বুড়িগঙ্গার কালচে পানি, হকারদের অবিরত ডাক আর এঞ্জিনের বিরক্তিকর শব্দ ছাপিয়ে মিষ্টি কণ্ঠটা নাহিদের কানে অনুরনন সৃষ্টি করল।
'একটু হেল্প করবেন প্লিজ।'
চাঁদপুরগামী স্টীমার ঈগলের স্টার্ন সাইডের রেলিংএ একা একা দাঁড়িয়ে ছিল নাহিদ। বর্ষাকাল দেখে স্টীমারে স্বাভাবিকের থেকে লোকজনের সমাগম কম। খোলা আকাশ আর উন্মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শ
অনেকদিন পরে আনমনা করে দিচ্ছিল সবকিছু। তখনি এই আহবান।
চব্বিশ-পচিঁশ বছরের ছিপছিপে তরুনী। চুল ছোট করে কাটা কাঁধ পর্যন্ত, শ্যামলা বর্ণের স্নিগ্ধ মুখ। কাঁধে ঝোলানো একটা বড় ব্যাগ ছিল, যেটা এই মুহুর্তে খোলা অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। ঝুঁকে পড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া জিনিসগুলো গুছাতে ব্যস্ত। তরুনী মুখ তুলে নাহিদের দিকে তাকাল।
'আপনার পায়ের কাছে আমার লিপস্টিকের কেসটা, একটু তুলে দিতে হবে।'
নাহিদ ভীরু ভীরু পায়ে এগিয়ে লিপস্টিকের কেসটা তরুনীর হাতে তুলে দিল। সে বরাবরই লাজুক স্বভাবের। অচেনা মেয়েদের সাথে কথা বলতে গেলে গলা কেঁপে ওঠে, কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর জানা সত্তেও কিছুতেই মুখে আসে না। শুভর ধারণা এই স্বভাবের কারনেই নাহিদের কোন 'হিল্লে' হয়নি এখনো । শুভ অবশ্য স্বভাব-চরিত্রে নাহিদের পুরো বিপরীত। কোন সংকোচের ধার ধারেনা। যখন যেটা মনে আসে
বলে ফেলে- কোন রাখ-ঢাক নেই। দুজনের বন্ধুত্বটা অনেকের কাছেই একটা মিস্ট্রি।
মেয়েটার ব্যাগে জিনিসের ছড়াছড়ি ছিল বোধহয়। ফ্যাসিয়াল টিস্যুর প্যাকেট, চুলের ক্লিপ থেকে শুরু করে হুমায়ুন আহমেদের সদ্য বের হওয়া উপন্যাস। জিনিস গুছানো শেষ হতে নাহিদের দিকে তাকিয়ে হাসল তরুনী।
'যদিও অন্যের জিনিস চুরি করে দেখা অপরাধ, আপনাকে ক্ষমা করা যায়। আমার নাম বর্ষা।'
'চুরি করে দেখলাম কোথায়, জিনিস তুলতে গেলে তো চোখে পড়বেই।' বিড়বিড় করতে করতে উঠে দাঁড়ায় নাহিদ।
'আরে এত সিরিয়াস হচ্ছেন কেন, মজা করলাম এমনি। জোকস, ঠাট্টা-তামাশা বোঝেন তো আশা করি!' বর্ষার কন্ঠে টিটকারির সুর।
কি বলবে খুঁজে না পেয়ে চুপ করে থাকে নাহিদ।
'আপনার নাম জানালেন না তো। নাকি বাসা থেকে অচেনা মেয়েদের কাছে নাম বলতে নিষেধ করা আছে।' মিটিমিটি হাসে বর্ষা।
'না সমস্যা নেই। আমি নাহিদ। ডাচ বাংলা ব্যাংকে ক্যাশিয়ার এর কাজ করি।' একটু অস্বস্তি বোধ করছে নাহিদ। ওদের কথোপকপন আশেপাশের কিছু যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে দুজনের সম্পর্ক বোঝার জন্য।
'আপনি কি করেন সেটা কিন্তু জিজ্ঞেস করি নাই। বিয়ের জন্য পাত্রী খুজছেন নাকি।'
শুভ থাকলে এই মুহুর্তে কি জবাব দিত একবার চিন্তা করল নাহিদ।
'বলা তো যায় না, যেখানে দেখ ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই। ' হাসল নাহিদ। মেয়েটার সপ্রতিভতার সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।
'বাহ এই তো বেশ কথা ফুটেছে দেখি আপনার।' ভুরু উপরে তুলে বলে বর্ষা। ' শোনেন পুরা যাত্রা একা একা করতে ভীষন বিরক্ত লাগছে। আপনাকেও দেখে মনে হচ্ছে একাই যাচ্ছেন।
চলেন ওই পাশটাতে গিয়ে দাঁড়াই, একসাথে গল্প করতে করতে যাওয়া যাবে।'
ডান দিকে রেলিং এর পাশে একটা তুলনামূলক ফাঁকা জায়গার দিকে ইশারা করে বর্ষা।
তীর ঘেঁষা ইট-ভাটাগুলো থেকে বের হওয়া অনর্গল কালো ধোঁয়ায় দুইপাশের দৃষ্টিসীমা মোটামুটি আচ্ছন্ন। নদীর পানি কালচে থেকে কিছুটা ধুসর বর্ন এখন। বর্ষার পিছু পিছু ফাঁকা জায়গাটার দিকে এগোতে থাকে নাহিদ।
একটা অপরিচিত মেয়ের সাথে এই দীর্ঘ আলাপচারিতার কথা শুভকে বললে বিশ্বাসই করবে না।
ওদের থেকে একটু দূরেই একজোড়া মধ্যবয়স্ক দম্পতি। মহিলার কন্ঠ দখিনের বাতাস ভেদ করে নাহিদের কানে আসে। 'এতদিন পরে যাইতেছি, তোমারে এত করে কইলাম বুবুর জন্য একটা শাড়ি কিইনা আনতে।
এখন খালি হাতে আমি কেমনে যাই।'
'সেদিন যখন মার্কেটে গেলাম, তখন কইলা না কেন। আইজ তো কোন সময়ই পাইলাম না।' গজগজ করে উঠেন ভদ্রলোক। 'এখন মাইনষের সামনে আর চিল্লাচিল্লি কইরা লাভ নাই।' আড়চোখে একবার নাহিদের দিকে তাকান তিনি।
দৃষ্টি সরিয়ে নেয় নাহিদ।
'বছর দশেক পরের নিজের ভবিষ্যত দেখে নিচ্ছেন নাকি।' বর্ষা যে ওর দৃষ্টি অনুসরন করছিল বুঝতে পারে নি নাহিদ। কিঞ্চিত অপ্রস্তুত বোধ করল।
'ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করি না, বর্তমান নিয়ে থাকি।'
'ভুল।' দ্রুত কথা কেড়ে নেয় বর্ষা। ' সবাই আসলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই বাঁচে। একটা উদাহারন দেই। শুধু বর্তমান নিয়ে থাকলে আপনি কষ্ট করে একটা মেসে না থেকে ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতেন। টাকা জমায়ে ফ্যামিলির জন্য জিনিস না কিনে নিজেই সব খরচ করে
ফেলতেন।'
'আমি মেসে থাকি কি না আপনি জানলেন কি করে!'
'অনুমান করলাম। ব্যাচেলর মানুষ। চাঁদপুর বাড়ী। একটা বিশাল ব্যাগ নিয়ে বাসায় যাচ্ছেন।'
'ব্যাচেলর কি না সেটাও কি আন্দাজ করলেন নাকি!'
'না ওটা আপনার আচার-আচরন দেখে।' হাসল বর্ষা।
ইট-ভাটা পেরিয়ে ধানক্ষেতের দৃশ্য এখন দুপাশে। ইট-পাথরের ধুসরতা থেকে স্বস্তিদায়ক সবুজের আলিঙ্গন একটা অদ্ভুত ভাললাগা সৃষ্টি করে মনে। সাথে বিস্তৃত নদীর ঢেঊ এর মতই ক্রমাগত বাড়তে থাকা শীতল বাতাস। হকারদের অনেকেই এখন বিক্রি-বাটা বন্ধ করে ছাদের
কিনারে গা এলিয়ে দিয়েছে বাতাসটাকে উপভোগ করার জন্য।
'আপনি সবচেয়ে বেশি ভয় পান, এমন তিনটা জিনিস এর নাম বলেন তো ?' নীরবতা ভেঙে জিজ্ঞেস করে বর্ষা।
'কেন?'
'এমনি, আলাপ জমানোর চেষ্টা করছি। অবশ্য ভাবভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে আপনার সবচেয়ে বেশি ভয় করছে আমাকে। চিন্তা করবেন না। ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলব না। '
হেসে ফেলল নাহিদ।
'একেবারে যে ইচ্ছা করছে না তা না। দশ বছর বয়সে আমার ছোট ভাইটাকে পুকুরে ধাক্কা দিয়ে ফেলছিলাম। ঝগড়া করছিল আমার সাথে বেচারা। কাজেই সাবধান।'
'অনেক কিছুই তো ভয় পাই। কোনটা বলব। মৃত্যু ভয় পাই, আগুন ভয় পাই, অন্ধকার ভয় পাই। তিনটা তো বলে ফেললাম মনে হয়।' কপাল কুঁচকে চিন্তা করে নাহিদ।'
'আপনি যে ভয়ানক বোরিং, আপনার ভয়ের লিস্ট শুনেই বোঝা যাচ্ছে। ' দুই হাত রেলিং এর উপর ছড়িয়ে দিয়ে পেছন দিকে ভর দিয়ে দাঁড়ায় বর্ষা।
'আপনার তালিকাটা শুনি তাহলে।' একটু আহত বোধ করে নাহিদ। অবশ্য প্রকাশ করে না সেটা।
'একাকীত্ব ভয় পাই খুব। একা থাকতে পারি না। দেখেন না, আপনাকে ধরে আনলাম এখানে। শুনতে হাস্যকর লাগলেও স্বপ্নহীনভাবে বাঁচাটা ভীষন ভয়ের আমার কাছে। মনে হয় কোন কারন ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকব! তিন নম্বরটা অবশ্য বলা যাবে না এখন।'
কেন বলতে গিয়েও জিজ্ঞেস করে না নাহিদ। থাক, কি দরকার!
'ছোট বোনের জন্য অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছেন নাকি ?' প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে বর্ষা।
চমকে যায় নাহিদ।
'এত চমকানোর কিছু নাই। কোন টেলিপ্যাথিক ক্ষমতা নেই আমার। আপনার ব্যাগের চেইনের ফাঁক দিয়ে একটা জামা দেখা যাচ্ছে। ধরে নিলাম সেটা ছোট বোনের জন্যেই হবে। '
'তাও ভাল। আমি তো ভাবলাম কোন সাইকিক এর পাল্লায় পড়লাম।' স্বস্তি বোধ করে নাহিদ। নদীর ঘোলা জলে সূর্্যের প্রতিচ্ছবি অদ্ভূত লাগে একেকটা সময়। আকাশের মতন নদীও বোধহয় কখনো পুরনো হয় না।
শুধু অনেক দুর্লভ স্মৃতির নিশ্চুপ স্মারক হয়ে থাকে।
'হ্যা অনেক দিন পরে যাচ্ছি। অফিসের কাজের জন্য ঘন ঘন যাওয়া আর সম্ভব হয় না।'
যাত্রার বাকি সময়টুকুতে অনেক কিছু নিয়েই কথা বলে ওরা। স্কুল জীবনের মজার ঘটনাগুলো, একটা পর্যায়ের সংগ্রামমুখর দিনগুলোর কথা অনেকটা অবলিলায় বলে যায় নাহিদ।
'ছোট বেলায় আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ ছিল একদিন সাঁতার দিয়ে ঘাট থেকে ওপারের চরে পৌছাব। আর কিছু না। বড় হওয়ার সাথে সাথে সবকিছু কেমন যেন জটিল হয়ে যায়।' স্মৃতিকাতর শোনায় নাহিদের কন্ঠ।
দূর থেকে চাঁদপুর ঘাটের ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে এখন। সারি বেঁধে রাখা স্টীমার, নৌকার সারি, কাঠের পাটাতন স্পষ্ট হয়ে আসে দৃষ্টিসীমায়। একটা অদ্ভূত যাত্রার আসন্ন সমাপ্তি। কেমন যেন একটা শুন্যতা অনুভব করে নাহিদ।
'মনে হয় আমাদের বিচ্ছেদের সময় হয়ে গেছে জনাব। আশা করি আপনি আবার আমার প্রেমে-টেমে পড়েন নাই। ট্র্যাজিক এন্ডিং আমার বেশি একটা পছন্দের না। ' হালকা সুরে বলে ওঠে বর্ষা। হাত তুলে আড়মোড়া ভাঙে।
বর্ষার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নেয় নাহিদ। কিছু বলে না।
'একটু কাছে আসবেন নাহিদ সাহেব?' নাহিদের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে বর্ষা।
বর্ষার খুব কাছে এগিয়ে যায় নাহিদ। কোন অস্বস্তি বোধ করে না নিজের অজান্তেই। স্টীমারভর্তি মানুষের ক্রুর দৃষ্টিও কোন প্রভাব ফেলতে পারে না। নাহিদকে অবাক করে দিয়ে বর্ষা একটা ভাঁজ করা কাগজ ওর প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে
বলে, 'এখান থেকে বের হয়ে আমি দৃষ্টির আড়ালে যাবার পর চিঠিটা পড়বেন। এর আগে না কিন্তু।'
বিমূর্ত নাহিদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পা বাড়ায় বর্ষা। স্টীমার ঘাটে ভেড়ার হালকা ঝাঁকিটা অনুভব করে নাহিদ। বের হবার রাস্তায় বাড়ি ফেরা লোকের লম্বা সারি। কিছুটা সামনে এগিয়ে হঠাৎ কি মনে হতে পেছন দিকে ফেরে বর্ষা।
'আপনি কি সাঁতার দিয়ে নদী পার হয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত নাহিদ?' আশেপাশের কোলাহলের কারনে প্রায় চিৎকার করে সে।
'হ্যা বর্ষা।' বিষন্ন শোনায় নাহিদের কন্ঠ।
'ভালো থাকবেন।' মুখ ফেরায় বর্ষা। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যায় যাত্রাশেষের ক্লান্ত জনতার ভীড়ে। ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে চিঠিটা বের করে নাহিদ। চিঠিটাতে কোন সম্বোধন বা স্বাক্ষর নেই।
'আমার ছোট ভাইটা লিউকোমিয়াতে ভুগছে। আমি সারাক্ষন ভয়ে ভয়ে থাকি ও হয়ত একদিন ঘুম থেকে উঠে আর আমাকে আপু বলে ডাকবে না। ওর চিকিৎসার জন্য শেষ অর্থটুকুও খরচ হয়ে গেল আজ। জানি না কি হবে এরপর।
ওর জন্য আমি সব করতে পারি।
আর মানিব্যাগ সবসময় সাবধানে রাখবেন।'
চমকে উঠে পেছনের পকেটে হাত দেয় নাহিদ। কিছু নেই, শূন্য। ক্ষনিকের জন্য নিজের ওপর তীব্র রাগ ওঠে, তারপর অজান্তেই হেসে ফেলে।।
- নাসাদ (priosoner.of.sun@gmail.com)
সচলায়তনে অন্যান্য লেখাঃ
জোছনার পালক
তবুও বদলায়নি কিছুই
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে
মন্তব্য
বাহ।
আপনার 'জোছনার পালক' গল্পটাও পড়লাম। এত দীর্ঘ বিরতি কেন, নিয়মিত লিখুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ। আসলেই নিয়মিত লেখা হয়ে ওঠে না।
-নাসাদ
ভাল লেগেছে। নিয়মিত লিখুন।
-রু
-নাসাদ
বাহ দারুণ লিখেছেন তো। আমার দাদাবাড়ী-নানাবাড়ি সব কিন্তু চাঁদপুরে।
ধন্যবাদ।
তাই নাকি। আমার বাড়ি অবশ্য চাঁদপুর না। এক খালা থাকেন। একবার গিয়েছিলাম। সুন্দর জায়গা।
-নাসাদ
রোমান্টিসিজমের দিকে যাচ্ছিলাম কিন্ত এ তো দেখি রঠার ছোটগল্প। তবে ছোটগল্পের যে গুণ দরকার পাঠক কে ধরে রাখার জন্য তা আপনার গল্পে আছে। ধন্যবাদ।
-নাসাদ
অনেক সুন্দর লিখছেন তো, ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ।
-নাসাদ
ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ, উৎসাহিত হলাম।
-নাসাদ
ভালো লেগেছে!!
শেষটা সুন্দর।
শেষটা ভাল লেগেছে দেখে ভাল লাগল।
-নাসাদ
-নাসাদ
পেছনের পকেটে হাত দিয়ে আমিও চমকে উঠলাম হঠাৎ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
-নাসাদ
এন্ডিং টুইস্টটা গল্পের সঙ্গে বেশ ভালভাবে মানিয়ে গেছে। পড়া শেষে মনে হয়, এর থেকে আর ভাল এন্ডিং আর কোনভাবেই সম্ভব ছিল না।
শেষটা ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
-নাসাদ
দরকার ছাড়া বাংলাদেশি মেয়েরা গায়ে পড়ে এত খাতির জমায় না, এইজন্য প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল বালিকার মনে কিছু একটা আছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
হুম, ভাল পর্যবেক্ষন। সময় অবশ্য পরিবর্তন হচ্ছে
-নাসাদ
ভালো লাগলো। নিয়মিত লিখুন
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
ধন্যবাদ, চেষ্টা করব।
-নাসাদ
গল্প পছন্দ হয়েছে, আপনার বর্ণনাভঙ্গি খুব চমৎকার। নিয়মিত লিখবেন আশা করি
অনেক ধন্যবাদ, চেষ্টা করব।
-নাসাদ
শেষটা বেশ লাগল।
-নাসাদ
লেখা চালিয়ে যাও, নাসাদ! শেষটায় অন্যরকম একটা আমেজ আছে।
দূর-দ্বীপবাসিনী
নতুন মন্তব্য করুন