জীবনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কি? ওয়েল, এটাই মনে হয় জগতের সবচেয়ে বেশিবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। উত্তর পাওয়া সহজ নয়, যারা পেয়ে যান তাঁরা মহামানব। নিজেকে দিয়ে বলতে পারি, মানুষের চাওয়ার শেষ নেই। খুব ছোটবেলায় ভাবতাম, বড় হয়ে খালি চা খাব। আরেকটু বড় হলে ভাবতাম, কেউ যদি ভুল করে একব্যাগ টাকা ফেলে যেত আর আমি কুড়িয়ে পেতাম, তাহলে অনেক সুতো কিনে মাঞ্জা দিতাম, বারবার ঘুড়ি কেটে গেলেও সুতোয় টান পড়ত না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় চাইতাম, পাশ করে বড় চাকরী করব আর নিজের সব শখ মেটাব। চাকরী পেয়ে যাবার পরে ভাবতাম, কি লাভ এই জীবনে যদি বিদেশী একটা চাকরী না পাই? বিদেশে চাকরী পাবার পর...থাক, আর না এগোই, বকরবকর করে লেখা দীর্ঘ করার মানে হয় না।
কাহিনীতে ফেরত যাই। সুইজারল্যান্ডের অসংখ্য শহরের মত, পিদ্যু শহরটাও খুব সুন্দর। আমি যে বাড়িটায় উঠেছি, সেটা একটা তেরো তলা ভবন, আশেপাশে উঁচু বিল্ডিং আছে আর মাত্র দুটো। পঞ্চাশ-ষাটটার মত বাড়ি, একটা স্কুল, একটা সুপারমার্কেট, একটা ফিলিং স্টেশন আর কিছু কারখানা, এই নিয়ে শহর। দুই দিকে থেকে ছোট ছোট টিলা ঘিরে রেখেছে এলাকাটা, আর দক্ষিন দিকে একটু দুরেই রয়েছে বিখ্যাত লেক জেনেভা। হয়তো জেনে থাকবেন, লেকের মাঝামাঝি রয়েছে ফ্রান্সের সাথে বর্ডার, অন্য পাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফ্রেঞ্চ আল্পসের একটা শাখা। আমার অ্যাপার্টমেন্টটা ছয় তলায়, কাজেই লেকের পানি দেখা যায় না। কিন্তু সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে পাহাড়শ্রেণী, বারান্দায় গিয়ে তাকালেই মনটা ভালো হয়ে যায়। মেঘে মেঘে বিচিত্র সব নকশা তৈরী হয়, বাতাস আসার জায়গা নেই বলে অনেকক্ষন স্থির থাকে নকশাগুলো। একটু ঠান্ডা পড়লে চুড়াগুলোয় বরফের পরিমাণ বাড়ে, কড়া রোদ উঠে গেলে কমে, অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেও একঘেয়ে লাগে না। বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটা বাঁধানো খাল, রাতে জানালা খুলে ঘুমালে কল কল শব্দ কানে যেন মধুবর্ষন করতে থাকে। জানালা খুললে দুটো দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়, এক, রেলস্টেশন, দুই বিশাল তিনটা মাঠ নিয়ে একটা স্কুল। রেলস্টেশনটা মাঠ থেকে একটু উঁচুতে, রাতের বেলা সবগুলো আলো জ্বলে উঠে একেবারে ঝলমল করতে থাকে, মনে হয় গিয়ে বসে থাকি। নিজের অজান্তেই দেশের মফস্বল শহরগুলোর ভাঙাচোরা রেলস্টেশনের সাথে তুলনা চলে আসে, আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি। রেলের কালো বিড়াল কি কোনদিন খুঁজে পাওয়া যাবে?
নতুন বাসায় আমার এক রুমমেট জুটেছে, ইমরান ভাই তার একটা রুম এক ফরাসী ছাত্রকে ভাড়া দিয়ে রেখেছিলেন। ছোকরা ফ্রান্সে এক সেমিস্টার পড়ে, আর এক সেমিস্টার সুইজারল্যান্ডে এসে কাজ করে যায়। পাশ করে বেরোতে অনেক সময় লেগে যাবে, কিন্তু দেখলাম এটা নিয়ে তার হা হুতাশ নেই, দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী ছেলেটা। আরও একমাস চাকরী করবে সে, মে মাসের শেষে চলে যাবে দেশে। দুই রুমের বাসা, কোন হলরুম নেই, বেসমেন্টের চাবি হারিয়ে গেছে, এই অবস্থায় আমি এসে উঠলাম। দুই রুমেই আগে থেকে মালপত্র ছিলো, সাথে এসে আমারগুলো জোটায় পরিস্থিতি হলো খুবই করুণ। সব মাল ঢোকানোর পর, আমি কেবলমাত্র আমার রুমের দরজাটা অর্ধেক খুলতে পারতাম, ঢুকেই একটা লাফ দিয়ে বিছানায়। ইয়ান, আমার প্রতিবেশী, দয়া করে তার রুমে সোফা আর ডাইনিং টেবিল-চেয়ার ঢুকতে দিয়েছে বলা রক্ষা, নইলে ওগুলো কোথায় রাখতাম জানি না।
যাই হোক, ইয়ানের যেতে খুব বেশি দেরি নেই, কয়েকদিন পর থেকেই হাত পা ছড়িয়ে আরাম করে থাকব ভাবতেই ভালো লাগছে। দুয়েকদিন যেতেই লক্ষ্য করলাম, বাসার আশেপাশের সৌন্দর্য আমাকে তেমন একটা টানছে না। কারণ স্পষ্ট, সৌন্দর্য একা উপভোগ করা যায় না। মনে মনে আফসোস করি, আমার স্ত্রী কেবল বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশে চলে গেল। যেমন চিন্তা করে আমরা এদেশে এসেছিলাম, তেমন একটা জায়গা শেষ পর্যন্ত পেয়েছি, কিন্তু এটা সে দেখে যেতে পারল না। মৃদু শীতল বাতাসে যখন শরীর জুড়িয়ে আসে, আরামের বদলে আমার তখন কষ্ট হতে থাকে, কারণ ঢাকায় ভয়াবহ গরম। লোডশেডিং মাত্রা ছাড়িয়েছে, বাসার জেনারেটর সংযোগ নেই, আইপিএস চার্জ হবার ফুরসত পায় না। আমার ছেলের শরীরে ইতিমধ্যেই ফুসকুড়ি, ফোঁড়া ইত্যাদি দেখা দিয়েছে, রাতে ঘুমাতে গিয়ে যন্ত্রণায় আহা উহু করে। মনে হলো, উপায় থাকা সত্ত্বেও আমি কেন ওকে কষ্ট দিচ্ছি? নিয়ে আসছি না কেন এখানে?
আমার সমস্যা তিনটা। এক, প্রসূতি মায়ের যত্ন, অফিস করে বাসায় কতটুকু সময় দিতে পারব জানি না। দুই, পুত্রের স্কুল। মনে মনে পরিকল্পনা করে রেখেছি, সুযোগ পেলেই অস্ট্রেলিয়া চলে যাব। অল্প খানিকটা সময় ফ্রেঞ্চ স্কুলে দিয়ে বাচ্চাটাকে কি কনফিউজ করে দেয়া হবে না? তৃতীয় সমস্যা এই লেখার সাথে অপ্রাসঙ্গিক। তিনটা সমস্যাকেই অগ্রাহ্য করতে বাধ্য হলাম, যখন ঢাকার লোডশেডিং আর গরম চরমে উঠল। সিদ্ধান্ত নিলাম, গিয়ে নিয়ে আসব ওদের।
এই সিদ্ধান্তের সাথে সাথে কাজ বেড়ে গেল। প্রথম কাজ, গাড়ি বদলাতে হবে। সকালে স্টার্ট নেয় না, এমন গাড়িতে পোষাবে না। যখন খুব দরকার, তখন যদি বেঁকে বসে হায় হায় করা ছাড়া কিছু করার থাকবে না। মিলন ভাইকে নিয়ে চলে গেলাম বাতিস্তার ওখানে। মনে ব্যাপক দ্বিধা, কারণ গাড়ির ডান পাশ জখম করে ফেলেছি, শুধু স্টার্টের সমস্যার কারণে তিন মাসের গ্যারান্টি সুবিধা পাবার আশা বোধহয় করা যায় না। বাতিস্তা নেহায়েতই মাটির মানুষ, ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করে গাড়িটা নিয়ে নিতে রাজি হলো, ডেন্ট ঠিক করে অন্য কারো কাছে বেচবে। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, এই মুহুর্তে তার কাছে আর কোন অটোমেটিক গাড়ি নেই। আগেই বলেছি, ইউরোপীয়ানরা অটো ট্রান্সমিশন পছন্দ করে না, তাই চাহিদামতো গাড়ি পাওয়া সহজ নয়। যা থাকে কপালে, ধরে নিয়ে ঠিক করে ফেললাম একটা ম্যানুয়াল গাড়িই নেব, নিজের গাড়ি দিয়েই না হয় শিখে নিলাম কিভাবে চালাতে হয়।
যারা পাহাড়ী এলাকায় গাড়ি চালিয়ে অভ্যস্ত তারা নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন কি কি অসুবিধার গল্প নিয়ে হাজির হব এইবার? হুম, অনুমান সঠিক, সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছি ঢালু জায়গায় গাড়ি পার্ক করতে গিয়ে আর ট্র্যাফিক জ্যামের মধ্যে যখন থেমে থেমে ওপরের দিকে উঠতে হয় তখন। নাইজেরিয়ায় থাকার সময় বন্ধু নাজমুল অমর এক বাণী দিয়েছিল, মানুষের গালি না খেয়ে গাড়ি চালানো শেখা সম্পূর্ণ হয় না। সেই ভয় থেকেই অটোমেটিক গাড়ির দিকে ঝোঁকা, এখন দেখা যাচ্ছে কাজটা ঠিক হয় নি। মিলন ভাইয়ের একঘন্টা আর ইয়ানের দুই ঘন্টা ট্রেনিং সম্বল করে করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু লোকের অসুবিধা করেছি বিস্তর। প্রায়ই ক্লাচের ব্যালান্স হারিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করে ফেলতাম, আর সমানে হর্ণ দিত লোকজন পেছন থেকে। অনেক চেষ্টা করেও প্রথমে ভুল কোথায় হচ্ছে ধরতে পারছিলাম না, সেই গল্প হয়তো পরে করব।
মেঘ জমে, আবার সরে যায়, রোদ আসে। আমার বেলায় রোদ একটুখানি উঁকি দিয়েই সরে গেল। আগের বাসা ছেড়ে দিয়েছিলাম এপ্রিলের ছাব্বিশ তারিখে, ইন্সপেকশনের ডেট পড়েছিল তেসরা মে। এখানে বলে নেয়া প্রয়োজন, বাসা নেয়া/ছাড়ার সময় বাসার সব খুঁটিনাটি দেখে নিতে/দিতে হয়। নিয়ম হচ্ছে, যেভাবে বাসা নিয়েছিলাম, ঠিক সেভাবেই বাসা ফেরত দিতে হবে। এক লোকের কথা পড়েছিলাম, যে পুরনো একটা বাসা ভাড়া নেবার পর দেয়ালের সস্তা ফ্যাকাশে রঙ পছন্দ হয় নি বলে সবগুলো কামরা হালকা নীল পেইন্ট করিয়ে নিয়েছিল, বাসা ফেরত দেবার সময় এলে বেচারাকে আবার পুরো বাসায় পুরনো রঙ করাতে হয়েছে। যদি কেউ দেয়ালে পেরেক গাঁথে, সেটা তুলে ফেলে পুডিং দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ওপরটা রঙ করাতে হবে, সেই রঙ হতে হবে হুবহু দেয়ালের এখনকার শেডের মত, যাতে মেরামতটা বোঝা না যায়। বাসা হতে হবে ঝকঝকে পরিস্কার। আমি ইন্সপেকশনের প্রস্তুতি হিসেবে পেইন্টার ডাকিয়ে দেয়ালের দাগ ময়লা, পেরেকের ফুটো এসব ঢেকে দেবার ব্যবস্থা করলাম, দুজন মহিলাকে নিয়োগ দিলাম পুরো বাসা পরিস্কার করে দেবার জন্য, বিশেষ করে বারান্দায় একটা পাখি বাসা বানিয়ে মলত্যাগ করে যা তা অবস্থা করে রেখেছিল, সেটা ঠিক করে দিতে বললাম। চুলোয় কিছু রান্নার দাগ বসে গিয়েছিল, সেটা তোলার কেমিক্যাল কিনলাম। সব শেষ হয়ে যাবার পর আশা করলাম, নিশ্চয়ই কোন ঝামেলা ছাড়া পর্বটা চুকে যাবে।
এক সপ্তাহ পর এজেন্সীর চিঠি পেয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম। আমার জন্য জরিমানা ধার্য করা হয়েছে নয় হাজার ছয়শ পঁচিশ সুইস ফ্র্যাঙ্ক (টাকায় কনভার্ট করতে চাইলে পঁচাশি দিয়ে গুণ করুন)। বিলের সারাংশ এমন
১। ৭৫৭৫ ফ্র্যাঙ্ক - মে-সেপ্টেম্বর মাসের বাসা ভাড়া (আমাকে বিদায় করে দিতে হয়েছে বলে তাদের সম্ভাব্য রেভেনিউ লস আমাকে পে করতে হবে, আমার কন্ট্রাক্ট ছিলো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত)
২। ৭৫০ ফ্র্যাঙ্ক – কিচেনের কাপবোর্ডের দরজা মিসিং (তাদের লোক খুলে নিয়ে গিয়েছিলো মেরামত করবে বলে, আর আসে নি)
৩। ৫০০ ফ্র্যাঙ্ক – বাসা পরিস্কার তাদের মনমতো হয় নি, তারা আবার প্রফেশনাল ক্লিনার দিয়ে কাজ করাতে চায় (আমার আপত্তি নেই, কিন্তু আমি জানি ৩০০ ফ্র্যাঙ্কে প্রফেশনাল পাওয়া যায়)
৪। ৫০০ ফ্র্যাঙ্ক – দুটো চাবি ইন্সপেকশনের পাঁচ মিনিট পরে ফেরত দিয়েছিলাম, ওই ব্যাটা মিসিং দেখিয়ে বিল করে দিয়েছে
৫। ১৫০ ফ্র্যাঙ্ক – কিচেন এবং শাওয়ার রুমের ড্রেনপাইপ নাকি ব্লকড, পরিস্কার করতে হবে (মিছে কথা)
৬। ১৫০ ফ্র্যাঙ্ক – এক্সট্র্যাক্টর ফ্যানের ফিল্টার তেলতেলে, বদলাতে হবে (অপ্রয়োজনীয়, কারন এটা বাসা যারা পরিস্কার করবে তাদের কাজ)
৭। ৫০ ফ্র্যাঙ্ক – সিলিঙের বাল্ব আউটলেটের প্লাস্টিক কভার মিসিং (কখনো ছিল না, আর থাকলেও দাম ৩ ফ্র্যাঙ্ক)
যাকে বলে একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে পড়লাম। ASLOCA’য় যোগাযোগ করা হলে তারা জানালো প্রতিবাদ করে একটা চিঠি দিতে, আমি দ্বিতীয়বারের মত তাদের ওপর আস্থা হারালাম। কারণ মিঃ জাকার্ড জানালেন পাঁচ মাসের ভাড়া চাওয়ার অধিকার নাকি এজেন্সীর আছে, যেহেতু কন্ট্রাক্ট বাতিল করা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে। ঠিক এই কথাটি আমাকে আগে জানালে আমি কখনোই বাসা ছেড়ে দিতাম না, কোর্ট থেকে আপীলটাও তুলে নিতাম না। নতুন করে আইনী যুদ্ধে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই, কিন্তু এই মুহুর্তে আমি সময় করতে পারব না। প্লেনের টিকেট কেটে ফেলেছি, চার দিন পরে ফ্লাইট। মাথায় একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হলাম, ভালো লাগছে না কিছু।
ইয়াসির
(আগামী পর্বে সমাপ্য)
মন্তব্য
আপনার কপালটা আসলেই খারাপ। ভালো কথা, আপনার লেখাগুলোর সাথে সুইস কিছু ছবি ঢুকিয়ে দেন না, লেখাটা আরও স্বাদু হয়ে উঠতো তাতে।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
শুধু কপাল খারাপ মনে হয় একে বলা যায় না, নতুন দেশে গেলে সে জায়গার আইন কানুন, আচার, সংস্কৃতি আগে থেকে জেনে নেয়া ভালো, অনেক ঝামেলা এড়ানো যায়। ঠেকে শিখেছি কিন্তু অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ছবি ঢুকানোর ইচ্ছে হয়েছিল, ভরসা পেলাম না, আমার তোলা ছবিগুলো খুব পরিস্কার নয়। তাও দিয়ে দেব কমেন্টে মনে হয়।
হুমম, কাঁটা বিহনে কি আর কমল হয়? তবে এই পর্বে আপনার "হইয়াও হইলো না" দেখে খারাপ লাগছে। আর পরের পর্বে মধুরেন সমাপয়েৎ যেন হয় সেই প্রার্থনা করছি। তাড়াতাড়ি ৯ আনুন।
-অয়ন
মধুরেন সমাপয়েৎ হলে ভালোই হতো, ৯ আসছে অচিরেই
বিরাট পেইন সহ্য করেছেন মনে হচ্ছে - লেখাটা আরেকটু বড় হতে পারত। পরে কী হল?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
একবার মনে হয়েছিলো বড় করে লিখে শেষ করে দিই, সময়ের অভাবে হয় নি। আগামী পর্বে সিরিজ শেষ করে দেব, এখন লিখতে গেলেও তেতো লাগে
আহারে, এইরকম কপাল খারাপ মনে হয় খুব বেশি মানুষের হয় না। বেশ অনেকদিন হয় স্ক্যান্দিনেভিয়াতে আছি, এর শতাংশ পরিমান ঝামেলাতেও পড়তে হয় নি।
হুম, আগে জেনেভাবাসী মাহমুদ কমেন্ট করেছিলেন "যে যেমন দুনিয়া তেমন"। আমি সম্ভবতঃ খারাপ লোক দোস্ত
আপনার লেখাগুলো পড়ছি সেই প্রথম থেকেই। খুবই অসহায় লাগে, ভাবি আপনার জায়্গাতে আমি হলে কি করতাম! 'কপাল খারাপ' বললে কমই বলা হয়। প্রবাসে প্রায় ২ বছর, আপনার ১ হাজার ভাগের ১ ভাগও সহ্য করি নি। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
-স্বপ্নচারীর স্বপ্ন
আশা করি ক্রমাগতঃ অভিযোগতালিকা দিয়ে আপনাকে বিরক্ত করে ফেলি নি
ঘটনাগুলোর আমি একটা নাম দিয়েছি "অজ্ঞানতার বিড়ম্বনা", কাজেই শুধুই কপাল খারাপ মনে হয় বলা যায় না। এখানে একটা রাজনৈতিক দল আছে যারা "অভিবাসী কমাও" টাইপের স্লোগান লিখে পোস্টার ছাপায়। কে জানে ওরা সেই দল করে কিনা। আর কারো জীবনে এরকম না ঘটুক এটাই কামনা করি আমরা। ভালো থাকবেন
আগ্রহ ভরে পড়ে যাচ্ছি আপনার অভিযোজন কাহিনি। আগামী পর্বটা আশা করি অনেক বড় হবে
হুম, ঠিক ধরেছেন, শেষ পর্বটা একটু বড় হবে। জুন-জুলাই-আগস্টের আড়াই মাসের কাহিনী একবারে তুলে দেব এইজন্য। আপনি আগ্রহ করে এই পঁচা গল্প পড়েছেন বলে আপনার অনেকগুলো ধন্যবাদ প্রাপ্য হয়েছে
নতুন মন্তব্য করুন