১.
আমার অন্য সব গল্পের মত এটাও একটা বানোয়াট গল্প। বানোয়াট গল্প লিখতে বসার কিছু ঝামেলা আছে।কাহিনী কিছুদূর এগোনোর পরই দেখা যায়, আর আগামাথার ঠিকুজি রাখা যাচ্ছে না।বৈরাম খাঁ হয়ে যাচ্ছে হরতন বিবি, দস্যু বীরাপ্পণের গপ্প গিয়ে ঠেকছে রাজা হরিশ্চন্দ্রের শবযাত্রায়।
যেমন আজকের গল্পটা সম্পূর্ণ অবান্তরভাবে শুরু হবে নিখিল হাজরাকে নিয়ে। নিখিল হাজরা যদি বাস্তবের কোন চরিত্র হতো, তাহলে এতদিনে তার আমার মতই গলায় টাই ঝুলিয়ে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির চাকরি করার কথা, বিবাহবার্ষিকীর দিন বউ নিয়ে পুরান ঢাকায় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বেড়াবার কথা। ছেলেবেলায় আমাদের অবশ্য দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, নিখিল বড় হয়ে রবীন্দ্রনাথ হবে। রবীন্দ্রনাথের মত কবিতা লিখতো ও। বিশেষ করে ক্লাস সিক্সে ইদ্রিস স্যারের পেটের অসুখের কাহিনী নিয়ে তার লিখা কবিতাটাতো ছিল রীতিমত অসাধারণ।
চটপটি খেয়ে গোলমাল পেটে
ঘটি নিয়ে হাতে
বাঁশবনে ছুটাছুটি
মোরা হেসে হই কুটিপাটি
নিখিল হাজরা পেটের অসুখে মারা যায় ভার্সিটির তৃতীয় বর্ষে এসে। ডাক্তারি রিপোর্টে লিখা ছিলঃ পসিবল রিজন – খাবারে বিষক্রিয়া, স্ট্রং পয়জন ইন ফুড, সোর্স আননোন।
নিখিলের বৃদ্ধা মায়ের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। হোস্টেলের গেটে এসে পাগলের মত খিস্তি করতো- আমার বাপধনরে মাইরা ফেলসে জাউরার বাচ্চারা। আমি নিজের মনে গজগজ করতে করতে বলতাম- চুপ যা বুড়ি। তোর পুত মরসে ইদ্রিস স্যারের অভিশাপে। দূর হ এখন।
পাঠক, আমরা এবার মূল গল্পে প্রবেশ করবো। মৃত নিখিল হাজরা বিষয়ক যাবতীয় অপ্রাসঙ্গিক কথার এখানেই সমাপ্তি। এই গল্পের কোথাও কখনো আর নিখিল হাজরা ফিরে আসবে না।
২.
কক্সবাজারের সী-গাল হোটেলে দুদিন হলো আমরা উঠেছি। এসেছি অফিসের কাজে। আমরা বলতে দুজন- আমি আর রুবা। এই সিজনে প্লেনের দুটো টিকিট জোগাড় করতে গিয়ে নাভিশ্বাস বেরিয়ে গেল। কি আর করা! রুবা একবার জিদ ধরলে না করার উপায় নেই। মেয়েটা এরকমই। বিয়ের প্রথম রাতে সে আগুনের মত চোখ করে বললো, এই খবরদার, কাছে আসবি না। আমি একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে খুব স্বাভাবিক গলায় বললাম, ওকে ম্যাডাম।
রুবা বালিশের নিচ থেকে একটা নীল কাগজের চিঠি বের করে আমার হাতে দিয়ে বললো, এটা পড়ে দ্যাখ। পড়া শেষ হলে আমাকে এক গ্লাস জল এনে দে। বিষের ওষুধ খাব।
আমি কাগজটা খুললাম। নীল কাগজে কালো অক্ষরে লিখা চিঠি। কেউ একজন রুবাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছে।
আমি কাগজটা ভাজ করে বুকপকেটে রাখতে রাখতে বললাম, চিঠি পড়ার দরকার নাই। তোমারে পানি এনে দিচ্ছি, বিষ খাও। শুভস্য শীঘ্রম। ভালো কথা, বিষের এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিয়েছ তো?
রুবা বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে কেনি আঙুলের নখ দিয়ে আমার ডান গালের চামড়া ছিলে ফেলল। আমি হাসতে হাসতে ওকে জড়িয়ে ধরলাম। সেই মুহূর্তে আমার মনে হল- আই এম দ্য হ্যাপিয়েস্ট ম্যান এভার অন দ্য আর্থ। এই দুনিয়ার সবচে সুখী লোক আমি।
৩.
রিয়েল এস্টেট কোম্পানির লোকগুলা ঘাঘু হয় বলে একটা চলতি ধারণা আছে। ধারণাটা ভুল। এরা গর্দভের গর্দভ হয়। সামান্য একটা কাজ বুঝাতে মোটামুটি ছয়প্রহর পার হয়ে গেল। সন্ধ্যের পর সপ্তমে উঠে গেল মেজাজ। আমি মেজাজ ঠান্ডা করার জন্য হোটেলে না ফিরে সী-বিচে চলে এলাম।
এই সময়টায় সমুদ্রসৈকত এলাকাটা হঠাৎ ঝিমিয়ে পড়ে। অন্ধকার রাতে মানুষ সমুদ্রে আনন্দ করে না। অন্ধকারে আনন্দের জায়গা আলাদা।
আজকে অবশ্য খুব চমৎকার চাঁদ উঠেছে আকাশে। জ্যোৎস্না এলেই আমি রেকর্ডার খুলে গান শুনি- ‘আজ জ্যোৎস্না রাতে সবাই গেছে বনে’। রুবার কন্ঠে খালি গলায় গাওয়া। অদ্ভূত কিন্নর কন্ঠ ওর।
আজকে অবশ্য রেকর্ডারে গান শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে না, ইচ্ছে হচ্ছে রক্তমাংসের রুবার গলায় গান শুনতে। সেটা সম্ভব না। আজকে মাসের প্রথম শনিবার। শনিবার হলো রুবার মৌনব্রত দিবস। তার ধারণা, প্রতিদিন কথা বললে ভালোবাসা কমে যায়। তাই মাসের একটা দিন আমার সাথে কথা বলা বন্ধ রাখে ও। ঢিলা হয়ে যাওয়া ভালোবাসার নাট-বল্টু পুনরায় টাইট দেয়।
রাতের সমুদ্র তার অমানুষিক সৌন্দর্য নিয়ে উপচে পড়ছে আমার চোখের সামনে। আমি বুকপকেটে হাত দিই। একটা কাগজ সেখানে খচখচ করে উঠে।
বহু বহু দিন ধরে খচখচ করছে ওটা; বুকপকেটে নয়, বুকের ঠিক মধ্যিখানে।
আমার খুব ইচ্ছে করতে থাকে, রুবাকে বলে দিই, নীল কাগজে কালো অক্ষরে তোমাকে লেখা চিঠির মানুষটিকে আমি আসলে চিনি। খুব ভালো করে চিনি।
বাড়াবাড়ি সৌন্দর্যের সামনে দাঁড়ালে মানুষের অনেকরকম পাগলামি করতে ইচ্ছা করে। যেমন এই মুহূর্তে আমার ভীষণ ইচ্ছে করছে সমুদ্রের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মরে যেতে।
নিজের চিন্তায় নিজেরই হাসি পেয়ে যায় আমার। মরে যাওয়ার মত অত সাহস আমার কোনদিনই হবে না। আমি মানুষটা খুবই ভীতু রুবা, খুবই ভীতু।
ভাবলে অবাক লাগে, সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়ানো এই ভীতু মানুষটাই পাঁচ বছর আগে একদিন খুব ঠান্ডা মাথায় নিখিল হাজরার ডালের বাটিতে সায়ানায়িড মিশিয়ে দিয়েছিল।
************
[রুবা তার মৌনব্রত ভেঙেছে। গভীর প্রতীক্ষায় সে হোটেলের বারান্দায় বসে আছে। অদ্ভূত একটা ঘোরের মধ্যে আছে রুবা। কেন জানি তার মনে হচ্ছে, তার আজকের এই প্রতীক্ষা আসলে অন্য কারো জন্য। নিখিল হাজরার জন্য প্রতীক্ষা।
রুবা জানে না, কিছুক্ষণের মধ্যে প্রকৃতি একটা ভয়ংকর শোধ নেবে। প্রকৃতি ঠিক করেছে, সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়ানো ভীতু মানুষটিকে সে আর আজ ঘরে ফিরতে দেবে না।]
---------------------------
সাত্যকি
joy.soumitraঅ্যাটgmail.com
মন্তব্য
ছবি গুলো জোড়া দিতেই গল্পটা চোখের সামনে দাঁড়িয়ে গেল।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
গল্প না কিন্তু আসলে।
বলার ভঙ্গিটা চমৎকার।
পাঁচ তারা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর। আপনার কাছ থেকে মনে হয় পাঁচতারার হ্যাটট্রিক করলাম।
ভালো লাগ্লো। গল্পের প্লট, আপনার গল্প লিখার ভঙ্গিমা দুইটাই দারুন।
ধন্যবাদ বন্দনা। যাক, গল্পের প্লটের প্রশংসা পাইলাম অবশেষে।
দারুণ। কিছু কনট্রাডিকসন আছে, যেমন জোত্স্না রাতে গান শোনা সমুদ্র উপভোগ করা সেনসিটিভ মানুষ প্রেমের জন্য সায়ানাইড মিশিয়ে দিল । লেখার স্টাইলটা বেশী ভাল লেগেছে।
--পাভেল
বলেন কি? সায়ানায়িড মিশিয়ে দিয়েও এই ব্যাটা এদ্দিন কেন ধরা পড়লো না, সেইটা তো আরো বড় প্রশ্ন।
ধন্যবাদ পাভেল।
এই গল্পটা দিয়ে লাকি সেভেন পূর্ণ হইল।
সচলে আমার অন্যান্যঃ
৬) জ্যৈষ্ঠের দিন
৫) গুই
৪)ডাইনি
৩)বিলুর ডায়েরি
২)ভালোবাসা ভালোবাসা
১)লাবুদি
--- সাত্যকি, লেখক।
ধন্যবাদ।
_____________________
Give Her Freedom!
অদ্ভুত রকম ভালো লাগলো।
প্রেমের জন্য মানুষ হয়তো সব করতে পারে; খুন করতে পারে আবার অনুশোচনায় বেছে নিতে পারে আত্মহত্যার পথ। যেটা গল্পে দেখিয়েছেন।
গল্প কিন্তু এই কারণে ভালো লেগেছে বলা যাবে না।
বরং কাহিনীর চমৎকার বর্ণনা, নান্দনিক ও আকর্ষণীয় উপস্থাপনা মনে দাগ কেটেছে বেশি।
ধন্যবাদ বাণীব্রত। গল্পে অবশ্য সুইসাইডের ব্যাপার ছিল না।
তা ঠিক। তবে কথাটি শেষ লাইনের মোটিফ দেখে বলেছিলাম।
ঘরে ফিরবে না দেখে ভেবেছি সে কোনো ভাবে মারা যাবে অথবা সুইসাইড করবে। সুইসাইডের সম্ভবনাটা আমার কাছে অধিক মনে হয়েছিল। যাইহোক আমি বোধহয় একটু বেশি বুঝে ফেলেছি।
আপনার উপস্থাপন ভঙ্গিটা চমৎকার, কিন্তু গল্পের প্লট দুর্বল লাগছে।
-এক জোনাকি
আমারো তাই ধারণা।
আমি সাত্যকির গল্পের ভক্ত
মারসেন আমারে। কই যাই অখন ?
পাঁচতারা
কও কি? তুমি তো এত সহজে তারা দেও না !
সাত্যকি প্রত্যাশা বেশি তৈরী করে দিয়েছিলে বন্ধু! অতটা মিটে নাই (মাথা চুলকানোর ইমো হবে) । তবে নিয়মিত হোও এই গান আবার গাইলাম..........
_____________________
Give Her Freedom!
রক্তমাংসের রুবা তো প্রতিদিন জীবনে আসে না ভাই। কেমনে লিখবো ?
গল্পের শেষে ব্রাকেটবন্দী কথাগুলো পড়তে না দিলেও এইটা একটা চমৎকার গল্প থাকত।
খুব ভালো লেগেছে।
ব্র্যাকেটের কথাগুলো এক ধরণের পাপস্খলন বলতে পারেন।
আপনি আমার প্রিয় লেখকদের একজন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ রংতুলি।
দুর্দান্ত লাগলো উপস্থাপনাগুলো।
ভাল লাগলো, আপনার লেখা অব্যাহত থাকুক।
facebook
তাই ? ভাল্লাগলো শুনে সজল।
হু, ভালইতো লাগলো।
তোমার ৭টা গল্পের মাঝে সব চেয়ে দূর্বল মনে হলো। প্লটটাকে ক্লিশে মনে হলো, গল্প উতরে গেছে তোমার উপস্থাপনার গুণে, আলাদা আলাদা ছবি একে অদৃশ্য সুতায় তাদের জুড়ে দেয়াতে।
ঠিক আলাদা করে দেখাতে পারব না, কিন্তু কোথাও কি হুমায়ুন উকি দিচ্ছেন? সম্ভবত বাক্য গঠনে (আজকে অবশ্য রেকর্ডারে গান শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে না, ইচ্ছে হচ্ছে রক্তমাংসের রুবার গলায় গান শুনতে। সেটা সম্ভব না। আজকে মাসের প্রথম শনিবার। শনিবার হলো রুবার মৌনব্রত দিবস। ) কিংবা চরিত্রগুলোর ক্যাজুয়ালিটিতে ( তোমারে পানি এনে দিচ্ছি, বিষ খাও। শুভস্য শীঘ্রম। ভালো কথা, বিষের এক্সপায়ারি ডেট দেখে নিয়েছ তো?) কিংবা চরিত্রগুলোর উৎকেন্দ্রিকতায় (মৌনী দিবস) কিংবা প্রকৃতির অশনী হস্তক্ষেপে (রুবা জানে না, কিছুক্ষণের মধ্যে প্রকৃতি একটা ভয়ংকর শোধ নেবে।)।
আমি ভুল হতে পারি, তবে মনে যা আসল বলে দেয়াই ভালো মনে হলো
আর এত দিনে তোমার হাচল হয়ে যাওয়া উচিত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এম্নে সবার সামনে বেইজ্জতি করলেন সজলদা ?
আপনার প্রতিটা পয়েন্ট শতভাগ ঠিক। একটা জায়গায় হুমায়ূনের হেল্প নিসি, বাকিগুলো সাবকনসাসলি হয়ে গেসে।
গল্পটা অনেকদিন চিন্তা করে লিখসিলাম দাদা, কেন জানি ভালো হইলো না !
হাচলত্ব এর কথা আর মনে করিয়ে দিয়েন না
আমারো কেন জানি এমন মনে হল। "যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ" এরকম কিছু নাম হবে গল্পটার তার সাথে কেমন জানি মিল লাগল। যদিও গল্পটা ভিন্ন। আমিও ভুল হতে পারি। রুবা নামটা কি ব্যবহৃত হয়েছিল কোন গল্পে?
যাই হোক এছাড়া চমৎকার লেগেছে। টুকরা অংশগুলো জোড়া লাগানো পাঠকের উপর ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারটা অসাধারণ।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ভালো লাগলো গল্পটা। প্লট, বর্ণনাভঙ্গী সব মিলেই। বর্ণনায় বেশ কিছুটা হুমায়ূন আহমেদ ছায়া দেখা যায়।
অনেক রকম মন্তব্য এসেছে - ভালোই লাগলো আগাগোড়া। সবচেয়ে ভালো লাগলো সহজ সরল ভাষায় বর্ননা দেয়া টুকরো টুকরো ছবি গুলো। গল্প তো নয়, যেন ক্রসওয়ার্ড পাজল মেলালাম।
- অয়ন
ছবি জোড়া দেয়ার ব্যাপারটা অসাধারণ লাগলো। হুমায়ুন আহমেদ উকি দিলে দিক না।
- দূর-দ্বীপবাসিনী
হুমায়ুন উকি দিলেও সমস্যা নাই। একজন সাহিত্যিক আরেকজন সাহিত্যিকের কাছ থেকে ধার করতেই পারেন, তাতে সাহিত্যের দেনা বাড়ে না।
গল্প বলার ভঙ্গিটা ভালো লেগেছে - ঋজু।
খালি খটকা লাগলো - সায়ানাইড নামক জিনিসটা মেশায় ক্যামনে? এটা যদি পটাশিয়াম সায়ানাইড বা এই জাতীয় কিছু হয় তাহলে আমাদের নায়কের আর হাজরাকে মেরে ফেলা হতো না, নিজেই হাজরা হয়ে যেতো
জয়, একটা ভৌতিক/প্যারানরমাল/সাইকো স্ক্রিপ্ট লেখো না আমার জন্য।
তুমিই পারবে এরকম কিছু লিখতে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
হুঁ, ব্র্যাকেটের কথাগুলো না থাকলেই ভাল হত।
ভাল লাগল
আমাদের আবার সায়নাইড শুনেই বড্ড চোখ নিশপিষ করে একটা জমকালো গোয়েন্দা গল্প পড়ার জন্য। এটার একটা পার্ট টু হতে পারে? কোন ভাবে নিখিলের অটোপ্সি রিপোর্ট আরেকবার রি-ওপেন করা যায়না?
আমাদের একটা গোয়েন্দা উপন্যাস লেখার অনেকদিনের ইচ্ছে। তবে ২০১৪-র আগে কি আর শেষ হবে?
- ঈপ্সিত/চম্পাকলি
খুবই ভেতরে গিয়েছে কথাগুলো। খুব স্পষ্ট করে লেখা যাতে মনে হচ্ছে সবকিছু সামনেই হচ্ছে।
-তমাল/ Tomal
নতুন মন্তব্য করুন