অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের অডিও জগতের জনপ্রিয় কিছু ব্যান্ড অ্যালবাম নিয়ে পোষ্ট দেব ভাবছিলাম। ভাবনা আর কাজে পরিণত করে ফেলার মধ্যে ফারাক অনেক। প্রায়ই আমার ভাবনাগুলো ভাবনাতেই স্বীমাবদ্ধ থেকে যায়। এই ভাবনাটাও তেমন-ই। তবে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত মিউজিক অ্যালবামগুলো এবং এর বাজার কাটতি দেখে একসময়ের একনিষ্ঠ শ্রোতা-ভক্ত হিসেবে বুকে হাহাকারের মাতম জেগে উঠলো কেন যেন!
পুরোনো দিনগুলোতে ঈদের সময় এলেই আমি উন্মুখ হয়ে থাকতাম নতুন অডিও ক্যাসেটের আশায়। উন্মানতা ও নতুন নতুন অ্যালবামের দুরন্ত সব গানের লোভে চোখ থাকত নতুন অ্যালবামগুলোর দিকে। আর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু বরাবরই মতই অদম্য বাংলা ব্যান্ড মিউজিক। ঐ সময়টাতে জনপ্রিয় সব ব্যান্ড ও সুরকাররা বছরের তিনটি উপলক্ষ পহেলা বৈশাখ, ছোট ঈদ আর বড় ঈদ-এর ভাবনাকে কেন্দ্র করেই মূলত অ্যালবাম তৈরীতে ব্যস্ত থাকতেন। সেটা হোক জনপ্রিয় গীতিকার,সুরকার ও কম্পোজার, আইয়ুব বাচ্চু, প্রিন্স মাহমুদ, জুয়েল-বাবু (মূলত সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক) থেকে শুরু করে জনপ্রিয় ব্যান্ড কিংবা সলো আর্টিস্ট, সবার টার্গেট-ই এক, সবচেয়ে ভালো অ্যালবামটিই তুলে দিতে হবে শ্রোতা-ভক্তদের হাতে। শ্রোতা হিসেবে আমরাও কৌতূহলী হয়ে অপেক্ষায় থাকতাম আসন্ন প্রলয় ঝঙ্কারের।
সময়টা মিলেনিয়াম-২০০০। ঈদ আর নতুন শতাব্দীর যৌথমিলন প্রাপ্তি ও প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল হয়ত। শিল্পীমনে যেমন ব্যপক প্রস্তুতি ছিল, শ্রোতা হিসেবে আমরাও পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম। প্রস্তুত (!) শব্দটা ব্যবহার করলাম এই কারণেই যে, অ্যালবামের বাজার কাটতি নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট কারও মাথা ব্যথা কিংবা দুঃচিন্তা ছিল না বোধকরি, যা বর্তমান সময়ের মূল ভাবনা। নতুন বছর আর ঈদ আনন্দের তীব্রতাকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে প্রকাশ পায়, প্রিন্স মাহমুদের স্রোত। কিশোর শাহীনের মিলেনিয়াম। ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম প্রেম। মাইলসের প্রবাহ। ওয়ারফেজের আলো। কাওসার হাসান বিপুলের সুরে কিরণ। জনপ্রিয় আরেক সুরকার জুয়েল-বাবুর (উনারা দুইজন কিন্তু!) সন্ধি অ্যালবামটিও খুব সম্ভবই সেই সময়েরই। এছাড়াও আরও অনেক অনেক অ্যালবাম।
প্রকাশের সাথে সাথেই কিনে ফেলি প্রিন্স মাহমুদের স্রোত, কিশোর শাহীনের মিলেনিয়াম, প্রেম সহ অন্যান্য অ্যালবামগুলো। ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে ঈদের আগে থেকেই শুনতে থাকি জেমসের 'আমায় একজন মানুষ দেখা যে পাপ করে নাই, আমায় একজন মানুষ দেখা যে পাপী না (সমস্ত মহামানবদের উর্ধ্বে রেখে)', এবি-র 'অভিমান নিয়ে দিন কেটে যায়, অভিমান কেন অকারণেই, অভিমান কারোর উপর নয়, নিজেই সাথেই' সহ পিয়াসের 'মন শত পাহারায়', হাসানের 'যে যায় ফিরে আসেনা', জুয়েলের 'যদি কখনো একাকী মনে হয় নিজেকে', মিজানের 'কাল যে আপন ছিল আজ হল পর' কিংবা শাফিনের বিখ্যাত 'দুঃখ স্রোত'। এত গেল একটি অ্যালবামের গানগুলোর কথা (সবকটি গান উল্লেখ করা বিরক্তিকর, যদিও প্রতিটি গানই এমন চমৎকার)।
প্রতিটি অ্যালবাম ছিল এমন চমৎকার সব গানে ছাওয়া। রাস্তায় বেরোলেই শোনা যেন হাসানের কিন্নর কণ্ঠে হার্ড রক 'সে যেন ফেরারী অপ্সরী, সে যেন অদৃশ্য মায়াবী নারী' কিংবা 'কেন বৃষ্টি ঝরে যায় নিরব এই মনে', মাইলসের 'কি যে চায় এই মন, কি খোজে সারাক্ষণ, আমার পিয়াসী মন'।
ঠিক সেই সময়েই মিলেনিয়াম অ্যালবামে প্রথমবারের মত গান করেন 'জেনস্ সুমন'। নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই পরবর্তীতে এই শিল্পী 'একটা চাদর হবে'-র শিল্পী হিসেবে ব্যপক পরিচিত পান (স্বতন্ত্র পোষ্টে বলব এই জেনস্ সুমনের অজানা অধ্যায়)। জেনস্ সুমনের 'আমার ভালোবাসাটাই জীবনের এক ভুল, তাই হারিয়ে ফেলেছি আমার সব কূল, আমি দুঃখীর চেয়ে বড় বেশী দুঃখী, আমার জীবন পাল্লাতে দুঃখের ভাগ বেশী, কেন এমন হলো বলো না, বলো বলো খোদা তুমি বলো, কি অপরাধে এমন হলো, কেন এমন হলো বলো না' গানটির ব্যতিক্রমী লিরিক, সঙ্গীতের নতুন ও নান্দনিক উপস্থাপনা এবং সর্বোপরি জেনস্ সুমনের চমৎকার কণ্ঠ গানটিকে অসম্ভব জনপ্রিয় করে তোলে। সাধারণ শ্রোতা যারা নিজেরা অডিও ক্যাসেট কিনেন না কিন্তু অন্যদের সাথে সাউন্ড স্পীকার কিংবা ডেক-সেট চালিয়ে মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে গান শোনেন, প্রথম ধাক্কাতেই তারা গলায় তুলে নিল সেই গান।
ছবিঃ আমার ব্যক্তিগত সংগ্রহের খানিকটা।
যেখানেই যেতাম, নতুন অ্যালবামের আগমনী বার্তা পেতাম গানের সুরে সুরে। অন্যদিকে সব ক্যাসেট কেনা সম্ভব হতো না বলে অনেকেই ধার নিয়ে নিয়ে নতুন অ্যালবামের গান শুনত। আমি নিজে যে কত জনকে অ্যালবাম ধার দিয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। এটাও সত্য যে, প্রিয় মানুষজনকে উপহার হিসেবে সবেচেয়ে বেশী দিয়েছি 'অডিও ক্যাসেট'। এখনও উপহারে পছন্দের তালিকার শীর্ষে অডিও সিডি। আমার কাছে গানের ক্যাসেট উপহার দেয়া মানে অব্যক্ত অনুভূতিগুলো গানের কথায় মেলে দেয়া। ভালোলাগা ক্ষণগুলোকে সুরের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে রাখা। যখনই সুরের ভাঁজে টান পড়বে, গোপনে সাজানো আমার অনুক্ত অনুভূতিগুলো তখনই ধরা দেবে অপার্থিব মাদকতায়।
২০১২-সাল। আর মাত্র ২/৩ দিন পরই ঈদ। ঈদ উপলক্ষে বাজারে এসে বেশ কিছু অ্যালবাম। জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বাপ্পা দা প্রকাশ করেছেন 'বেঁচে থাক সবুজ'। যদিও মাস ছয়েক আগে বাপ্পা দা-র এই সলো অ্যালবামটি পৃষ্ঠপোষকতা করার মত কোন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি। প্রায় দুই যুগ ধরে কথা, সুর ও সঙ্গীতের উন্মাদনায় ভাসানো বাংলা ব্যান্ড মিউজিকের যুবরাজ প্রিন্স মাহমুদ প্রকাশ করেছেন 'অপরাজিতা' নামে একটি মিক্সড অ্যালবাম। হয়ত, বাজারে অ্যালবাম বলতেই এই অ্যালবামটিই!! নতুন নতুন অনেক শিল্পীদের অ্যালবামও চোখে পড়ার মত। তবে এরই মাঝে কি যেন নেই! বেশ কয়েকটা সিডি শপে টু মেরেছিলাম, নতুন মিউজিক অ্যালবামের তুলনায় মুভি, গেমসের দিকে আগ্রহ চোখে পড়ার মত। প্রায় সব সিডি শপেই (৭/৮তো হবেই! যেখানে আমি গিয়েছি) প্রিন্স মাহমুদের 'অপরাজিতা'-র গানগুলোই ঘুরে ফিরে বাজতে দেখেছি।
এবার দুঃখটাকে ভাগাভাগি করিঃ ঐ যে প্রথমেই বলেছিল তিনটি উপলক্ষকে কেন্দ্র করেই সঙ্গীত জোয়ার আসে। যার একটি আসন্ন। অসম্ভব শ্রোতাপ্রিয় ও লিজেন্ড ব্যান্ড এলআরবি তাদের সর্বশেষ অ্যালবাম প্রকাশ করেছিল ২০০৮ সালে, শিরোনাম স্পর্শ। এরই মাঝে পেরিয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। এখন ২০১২। শীর্ষস্থানীয় এই জনপ্রিয় ব্যান্ডটি এই ঈদেও প্রকাশ করেছে তাদের ১৩-তম ব্যান্ড অ্যালবাম 'যুদ্ধ'। 'যুদ্ধ' নামটি এই সময়েরই প্রতিচ্ছবি। তবে এলআরবি যুদ্ধ নয় শান্তি চায়। আর তাইতো, পাইরেসি নামক দানবের দৌরাত্ব্যে ঠেকাতে মিউজিককেই একমাত্র পেশা হিসেবে বেঁছে নেয়া এলআরবি তাদের নতুন অ্যালবামটি মুঠোফোনে রিলিজ দিয়েছে। সিডি আকারে রিলিজ পেতে সময় লেগে যাবে হয়ত আরো কয়েক মাসের। তেমনি, আরেক জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস-এর সর্বশেষ 'প্রতিচ্ছবি' অ্যালবামটিও মুঠোফোনে প্রকাশ পেয়েছিল, তাও অনেক দিন আগের কথা। এখনও বহুল প্রতীক্ষিত সেই অ্যালবামটি সিডি হিসেবে রিলিজ হয়ে আলোর মুখ দেখেনি। অন্যদিকে, গতকাল কিংবা পরশুদিন পেপারে নিউজ দেখলাম আরেক দিকপাল সুবীর নন্দী ঘোষনা দিয়েছেন 'নিজের পকেটের টাকায় আর অ্যালবাম নয়'।
তাহলে, আমরা আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে টেনে হিঁচড়ে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছি ? প্রশ্নটা আমার ঈদ আনন্দের মত অমীমাংসিতই রয়ে গেল!
পুরোনো প্যাচালঃ সঙ্গীত, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও একটি ভাবনা
------------------------------
মোখলেছুর রহমান সজল
মন্তব্য
দারুন
জেনস সুমনের সাথে জেমসের ঝামেলা লাগসিলো শুনছি. বিস্তারিত মনে নাই. পোস্ট দেন.
মুঠোফোনে এলবাম প্রকাশের ব্যাপারটা কি?
..................................................................
#Banshibir.
জেমসের সাথে জেনস সুমনের কোনও ঝামেল হয়নি, জেমসের ঝামেলা হয়েছিলো দেহলভীর সাথে। এরপর দেহলভী ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে সুমনকে জেনস নাম দিয়ে হাজির করে। এই ঘটনা আমি শুনেছি নগর বাউলের কিবোর্ডিস্ট আসাদসহ আরও কয়েকজনের কাছ থেকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি যথাসময়ে প্রতিউত্তর দিতে পারিনি বলে। দীর্ঘ অনেকটা সময় ইন্টারনেটের বাইরে ছিলাম।
সত্যপীরঃ অনেক ধন্যবাদ।
মুঠোফোন কোম্পানীর সাথে শিল্পী কিংবা ব্যান্ড শর্ত সাপেক্ষে এক ধরণের চুক্তিতে যায়, যেখানে নির্দিষ্ট মোবাইল কোম্পানীর রেড়িও ষ্টেশনগুলোতে নতুন গানগুলো শোনা যাবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এবং বিনিময়ে মোবাইল কোম্পানী শিল্পী অথবা ব্যান্ডকে অর্থমূল্য প্রদান করবে। সেবা প্রদানকারীরা একটা পোর্ট নাম্বার দেবে, যেকোন নাম্বার থেকে ঐ পোর্টে ডায়াল করলেই শোনা যাবে রিলিজ হওয়া নতুন গানগুলো।
মোবাইল কোম্পানী সারাজীবনই আমাদের আবেগ অনুভূতি নিয়ে ব্যবসা করে যাবে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আমাদের নৈতিক আদর্শগুলোও তাদের ব্যবসার প্রধান কাঁচামাল।
এটা সত্য যে, এই পাইরেসির যুগে এর মাধ্যমে শিল্পীরা কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করেন। হয়ত এটা ছাড়া এখন আর অন্য কোন পথ খোলা নেই। তবুও কেন জানি মেনে নিতে কষ্ট হয়।
জেনস্ সুমনকে নিয়ে যথাসময়ে পোষ্ট দেব আশা রাখি।
আমারও অর্ধশত ফিতার-ক্যাসেট আছে। কিছুদিন পরে মনে হয় ফেলে দিতে হবে।
ক্যাসেটগুলো ফেলে দিলেও অ্যালবামের কাভারগুলো সংগ্রহে রাখুন।
হয়ত, আজ থেকে আরও এক যুগ পরে কাভারগুলো দেখেই হারিয়ে যাওয়া কোন স্মৃতিতে টান পড়বে।
ভালোবাসার ভালোলাগা অনুভূতিগুলো সজীবতা ফিরে পাবে তখন।
ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।
জেনস সুমনের অজানা গল্প জানার অপেক্ষায়
লেখা ভালো লাগলো। আমারো অর্ধশত এর মতো আছে ফিতা। এখন মেয়ে মাঝে মাঝে বের করে আর সারা ঘরে ফিতা টেনে বের করে খেলে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
যথাসময়ে হাজির হব প্রিয় এই শিল্পীকে নিয়ে।
ভালো থাকুন।
ঈদ এলেই নতুন এ্যালবামের জন্যে পাগল হয়ে যেতাম। আশরাফ ভাইয়ের কাছে আগে থেকে বুকিং দিয়ে আসতাম পাছে মিস না হয়ে যায়। সেসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়, কি মজার জীবন ছিলো, হাহ ......।
জুয়েল-বাবু আর একসাথে কাজ করে না। আমার কাছে ওদের অনেক কাজের মধ্যে সেরা কাজ মনে হয় জেমসের গাওয়া 'কবিতা' গানটি। জুয়েল চাকরীর ক্যারিয়ার আর ধর্মকর্ম নিয়েই মশগুল। বাবু অনেক বছর হয়ে গেলো একাই কাজ করছে, ওর পুরো নাম আজমীর বাবু। আমি এবং বাবু, দুজনেই ঈদ করতে বাড়ি এসেছি এবং রোজ রাতেই দেখা হচ্ছে। প্রিন্স ভাইও আমাদের প্রতিবেশী কিন্তু উনি বাড়ি আসেনা অনেক বছর, বিশেষকরে অল্পদিনের ব্যাবধানে মা-বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে। উনি মা মারা যাওয়ার পর লিখেছিলো সেই বিখ্যাত 'মা' গানটি।
জুয়েল, বাবু, বৃহান, প্রয়াত রাহুল আর আমি- একসাথে ব্যান্ড করেছি অনেক বছর। ঈদের পরে আমাদের অন্যতম কাজ ছিলো ঈদের হীট গানগুলো আমাদের কনসার্টের জন্যে কম্পোজ করা।
অনেকেরই জানা নেই প্রিন্স ভাই একদা গানই করতো। তার সুরেলা কিন্তু চিকন ও অতি বিগলিত কন্ঠের জন্যে অনেকে আড়ালে ফাজলামি করে তাকে খুলনার আশা ভোসলে বলতো। নিচে দ্য ব্লুজ ব্যান্ডে প্রিন্স ভাইয়ের তিনটি গানের লিঙ্ক দিলাম-
১। তোমাকে ছাড়া জীবন আমার
২। কাল সারা রাত
৩। ও বন্ধু তুমি আমারে ছাইড়া যাইও না
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বস, আপনার কাছ থেকে মিউজিক ইন্ড্রাস্ট্রির জানা-অজানা কথা নিয়ে একটা বা কিছু লেখার দাবী রাখলাম।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আমিও একই দাবি রাখি।
ধারাবাহিক ভাবে লিখতে থাকুন আপনার অনুভূতিগুলো। আপনার ব্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বলবেন কিন্তু।
অনেক ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয় ভাইয়া।
আমার গানের পোষ্টে আপনি এলেই যেন পূর্ণতা খুঁজে পাই।
জুয়েল-বাবু খুব সম্ভবত সবচেয়ে ভালো কাজগুলো করেছে জেমসের জন্যই। তরুণ ভাইয়ের লেখা ও জুয়েল-বাবুর সুর করা জেমসের জনপ্রিয় গানগুলোর কয়েকটি উল্লেখ করছিঃ ওরে দেখে যারে তুই (অ্যালবামঃ মেয়ে), পদ্ম পাতার জল (অ্যালবামঃ ও আমার প্রেম), বর্ষা আমার চোখের প্রিয় ঋতু (অ্যালবামঃ সন্ধি), আরও কিছুক্ষণ কি রবে বন্ধু (নীরবতা), কিছুটা আশা তুমি রেখো যতন করে (নীরবতা), মাঝে মাঝে নিজেকে বড় একা লাগে (বৃহস্পতি), তোমারই কারণে (সুন্দরী) সহ আরও অনেক জনপ্রিয় গান।
প্রিন্স মাহমুদ অল টাইম ফেবারিট। প্রিন্স মাহমুদের মা ও বাবা-র পরলোকগমন সত্যিকার অর্থেই ছিল একটা বড় ধাক্কা।
সেই শক্তি থেকে শুরু করে অপরাজিতা প্রায় ৫০-৬০ টা অ্যালবাম। অগণিত জনপ্রিয় গান। লিখে শেষ করা যাবে না। প্রিন্স মাহমুদের ৯০-দশক নিয়ে লিখেছিলাম। অন্য ব্লগে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রিন্স মাহমুদের 'ফ্রম ওয়েস্ট' ও 'দ্যা ব্লুজ'-এর গানগুলো শুনেছি। দারুণ সব গান। 'সব রাজাকার ভাইসা যাইবো বঙ্গোপোসাগরে', 'ও বন্ধু তুমি আমারে ছাইড়া যাইও না' 'চলে গেছো সব কিছু পেছনে ফেলে', 'সে কেমন মেয়ে' গানগুলো শুনেছি। (এ জন্য গানপাগল পাপ্পু ভাইকে ধন্যবাদ। উনার কল্যাণেই অসম্ভব সম্ভব হয়েছে।)
বাবু ভাইকে বইলেনঃ আমরা আজও মিস করি উনাদের। যেই সময়টা একান্তই আমাদের করে দিয়েছিল, ঝড়ের মতোই ফিরে ফিরে আসে সেই দিনগুলো।
ভালো থাকুন।
নতুন মন্তব্য করুন