মধ্যবিত্ত যুবক,
আমি তোমাকে দাঁড়াতে বলিনি,শিখতে বলিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চারদেয়ালের মাঝখানে হয়ে যাওয়া নাটুকে সব শিষ্টাচার।আমি চাই ওসব দেখে তোমার বুকে জ্বালা ধরে যাক,আরও তুচ্ছ মনে হোক তোমার পায়ের নীচের মাটিটুকুকে।আভিজাত্যের রঙ দেখে তোমার অস্তিত্ব বিব্রত হোক ।তোমার দৃষ্টি সীমারেখা পেরিয়ে নীলরঙা মায়াবী চোখের মেয়েটি যে ক্যাফে তে ঢুকে গেল,তুমি তার ভেতরটা ভাল করে চেয়ে দেখ।ওখানকার সুপের বাটি তোমার ঘরের বাদামী হয়ে যাওয়া কাঁসার বাসনের চেয়ে কতটা স্বচ্ছ তা দেখে ভেবনা এসব তোমার চোখের ভুল।কি অদ্ভুত সুগন্ধির মেলা বসে ওখানে!! ভাবতে ভাবতে আরও সপ্নাতুর হোক তোমার খেয়ালী মন,তারপর মিনিটখানেক পরেই সম্বিৎ ফিরে পেলে তীব্র বিষাদেরা ডানা মেলুক তোমার আশেপাশে।
আমি চাই এসব দেখে তুমি আদ্র হয়ে যাও,খুব বেশি কষ্ট পেলে তুমি কেঁদে ফেল।শোষিতের ঘামে গড়ে উঠা হাজার বছরের মানব সভ্যতা তোমার জন্য যে কষ্টটুকু জমিয়ে রেখেছে তা চেপে রেখে লাভ কি।আমি জানি এইসব ভুতুরে কষ্টের ভাগ কেউ নিবেনা,তবু তা তরল হয়ে ঝড়ে পড়ুক। আমি চাই তুমি ভেঙ্গে পড় ,ভেঙ্গে পড় নিশ্চিন্তে আর গভীর বিশ্বাসে অর্থনৈতিক মন্দায় মায়ের বিমর্ষ মুখ দেখে,ভেঙ্গে পড় বাবার পেনশনে কিছুই আর ঠিকমত চলেনা বলে।তোমার ভেতরের বিদ্রোহকে বিদ্রুপের হাসি হেসে বলে দাও-যে আকাশের নিচে আছ সে আকাশ তোমার নয়,ওখানে তুমি বড়ই মানহানিকর,তোমার ছোট্ট শ্যাওলাধরা বাড়ি যে পাশের বহুতল ভবনের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় ভীষণভাবে।
সবদিকে আগুন লেগে গেছে,তুমি কোথায় দাঁড়াতে চাও যুবক??যুবক, আমাদের এই মিছিল দীর্ঘ ভীষণ,তার চেয়েও বেশি অসহায়।আমরা তাই মিলিয়ে যায় অস্তগামী সূর্যের মতন তীব্র কমলারঙ্গা বিষাদ রেখে পুরো আকাশে,ক্ষুধার একক আধিপাত্যের সকাল সন্ধ্যায় আমরা তাই বাগানের এককোনের একলা,ভীষণ একলা কোন গোলাপের মত ঝড়ে পড়ি।কিন্তু যুবক,মনে রেখ আমাদের ডালে কাঁটা ছিলনা,কাঁটা ছিল না...
নিয়নের আলো
মন্তব্য
শোষক আর শোষিতের কাহিনি। ইঁরি মুতাব্বির আমার কাস্তি আর হাতুরাটা ল। আইজকা বিপ্লব কইরাই ছাড়ুম!
জয় দাস কাপিটল, দাস কাপিটল জিন্দাবাদ, দাস কাপিটল দীর্ঘজীবি হোক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন