আমি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম, বলে কি এই ছেলে!আবার বললো, হাতটা ধর ।
- না, তুই চলে যা ।
- পরে কিন্তু আফসোস করবি ।
- করবোনা ।
- হুমম, যে চোখে কাজল দেয়া ফরজ সেই চোখ আমার সর্বনাশের কারণ । থাক তুই, গেলাম ।
এই বলে লম্বা পা ফেলে এলোমেলো চুলের গেরুয়া পাঞ্জাবি পড়া সন্ন্যাসীর মত ছেলেটা আমার পাশ থেকে উঠে চলে গেলো । আমি চুপচাপ বসে দেখলাম, চোখের দীঘিতে পানি টলমল করছে গড়িয়ে পড়তে লাগলো । ভাগ্যিস ওয়াটার প্রুফ কাজল দেই চোখে নইলে সপ্তাহে ৩/৪টা কাজল লেগে যেতো ।
হাতটা ধরতে পারতাম, অমির হাত সেভাবে কখনোই আমার ধরা হয়নি । কিন্তু আজ ডক্টরের কাছে যেতে হবে, তাই ধরা হলোনা, হবে কি না তাও জানিনা....!
ডক্টরকে দেখতে বদরাগী লাগছে, আমি মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছি, হঠাত্ করে সে বলে,"আপনার লজ্জা করেনা?"
আমি ডক্টরের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম, এই মধ্যবয়স্ক লোকটা আমাকে কি বোঝাতে চাইছে তা আমার মাথায় ঢুকলো না ।সে আবারো বললো, আপনার শরীরে যে ব্লাড নেই এ নিয়ে আপনার লজ্জা করে না?
আমি আমার স্বস্তির নিঃশ্বাস গোপন করে হাসিহাসি মুখে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম । রক্তহীন আমার শরীরটাকে ভ্যাম্পায়ারের সাথে তুলনা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, ভ্যাম্পায়ারের মত আমিও এর ওর রক্ত ধার করে বেঁচে আছি, প্রতিমাসে কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি আমাকে রক্তদান করে থাকে । তাই এটা নিয়ে ওরকম কিছুই বলার নেই । বের হয়ে মেঘলা আকাশ দেখে বাসায় ফেরার জন্যে রিকশা নিয়ে নিলাম,যদিও এমন আবহাওয়ায় কারো হাত ধরে রিকশায় ঘুরতে ভালো লাগার কথা । ইচ্ছে ছিলো যদি কখনো বিয়ে করি বরকে মার্সিডিজের জায়গায় একটা রিকশা কিনতে বলবো, হাঃ হাঃ হাঃ!
কেউ একজন ভাবতেই অমির নাম চলে আসে কেমন করে যেনো । আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি ছেলেটা আমার ভেতরটা জুড়ে বসে আছে । ওর কথা ভাবতে ভাবতে আকাশদেবী অশ্রুবিসর্জন শুরু করে দিলেন, আমি ভিজতে লাগলাম...
আমার জীবনের দৈর্ঘ্য খুব বড় নয় মাত্র ২২বছর, ২২বছরের অধিকাংশ সময় আমি ব্লাড আর থেরাপি নেওয়ার উপর দিয়েই কাটিয়ে দিলাম ।অসুখটার নাম না হয় আপাতত নাই বা বলি আসলে কাউকে বলতে ভালো লাগেনা, মানুষের চোখে করুণার দৃষ্টি আমার সহ্য হয় না । আমি একটা অন্যরকম জীবনযাপন করি অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক, মানুষ তার মৃত্যুর ব্যাপারে অনিশ্চিত কিন্তু
যখন কাউকে তার মৃত্যুর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় তার কাছে প্রতিটা দিন ভীষন হুল্লোড় করে বেঁচে যাওয়ার মত । যেমনটা আমি, প্রতিটা দিনকে ভীষনরকম ভালোবেসে শেষটুকু বাঁচতে চাই!
অমি মানে অমিত ভার্সিটির বন্ধু আমার, প্রথম দেখায় ছেলেটাকে আমার একদমই পছন্দ হয়নি । পাঞ্জাবি পড়া একটা ছেলে সারাক্ষণ খুব হৈচৈ করে আর মাঝে মাঝে ভয়ানক নির্লিপ্ত, ব্যাপারটা কেনো জানি আমার সহ্য হতো না । একদিন হুট করে ক্লাসের সকল মেয়েদের হাতে একটা পোস্টার ধরিয়ে দিলো, খুলে দেখা গেলো একটা বাংলা সিনেমার পোস্টার 'ভালোবাসা দিবি কিনা বল' । মেজাজ তিরিক্ষি করে ওর সামনে দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম এসবের মানে কি । ও আমাকে বলে, দ্যাখ ভালোবাসা দিতে না চাইলে নাই কিন্তু এমন ভাবে রেগে তাকাইসনা । ভ্রু-প্লাক করিসনাই তো কপাল কুচকে তাকালে বিশ্রী লাগে'
আমি এতটা হতভম্ব হয়ে গেলাম যে ঐখান থেকে নড়তে পারছিলাম না ওর কথা শুনে। অমিত আমার সামনে শিস্ বাজাতে বাজাতে চলে গেলো...
ঐদিনের পর আমার অমিতের সাথে ভাব হয়ে গেলো,সেইরকম অবস্থা কেউ কাউকে ছাড়া থাকিনা, বন্ধুত্বর যদি কোন সংজ্ঞা লাগতো আমাদের দুজনকে দেখিয়ে দিলেই চলতো । একসময় আমরা একটা গ্রুপ হয়ে গেলাম ।আমি, সাদিয়া, আশা, অমিত আর তূর্যের গ্রুপটা ক্যাম্পাসের সবচে হাড়বজ্জাত আর চেনা গ্রুপ হয়ে উঠলো দিনে দিনে ।বন্ধুত্বের পর পরেরই ঘটনা, রাত ১১টার দিকে অমিত হাজির । আম্মু এসে বললো, অমিত আসছে মনেহয় অসুস্থ, তুই ওকে যেতে দিসনা আমি গেস্ট রুম ঠিক করছি । আমি ড্রয়িংরুমে গিয়ে দেখি চোখটোখ লাল করে ও বসে আছে, পাশে বসতেই অমিত বিড়বিড় করে বলতে লাগলো, গাঁজা খাইছি মাথায় অনেক ব্যাথা , তোর কোলে মাথা রাখবো ।
সেদিন সারাটা রাত কোলে ওর মাথা রেখে সোফায় বসে রইলাম । ছেলেটার চুলে আলতো করে হাত বুলাতে বুলাতে একরাতের মাঝে একটা মায়া গ্রাস করলো ওর প্রতি!
ক্লাসের মাঝে অমিতের কবিতা লেখার আর গান গাওয়ার জোরে মেয়েদের কাছে অতি প্রিয় হয়ে উঠলো । ফ্লার্ট করতে যাওয়ার আগে তার মনে পড়তো, উফ্ আজ ত্রপার সাথে বই কিনতে যাওয়ার কথা বলেই দৌড়ে বান্দা হাজির । একসাথে ঘুরতে ঘুরতে গ্রুপের মাঝে তূর্য আর আশার প্রেম হয়ে গেলো, একটা গ্রুপে কাপল থাকা যে কি যন্ত্রণার! সারাক্ষণ লুতুপুতু কাহিনী দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে উঠলাম আমরা । আশা মাঝে মাঝে টিপ্পনি কেটে বলতো, তোর আর অমিতের কবে হবে? আমি হাসতাম । অমিত কেনো আমার কখনোই কারো সাথে কিছু হবে না।
অমিতের বন্ধুত্বে মায়ার পরিমাণ এতটা বেড়ে চললো যে, বিভিন্ন পকেটে টাকা গুজে রাখা ছেলেটার ওয়ালেট
অথবা চাবির রিং প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আমি কিনে দিতাম । অমিতও কম যেতো না...কিন্তু সমস্যাটা হলো তখন যখন অমিত টকটকে লাল গোলাপসহ একটা চিরকুট আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেলো ।
ঐদিন ও আমার চোখে কাজল ছিলো, কিন্তু চোখের পানিতে সব ধুয়ে গেলো চিরকুট পড়ে । এভাবে আমি যে কাউকে জড়ানোর ক্ষমতা বহু আগেই হারিয়ে ফেলেছি, আমার বাঁচার নিশ্চয়তা নেই যেখানে সেখানে কি করে আরেকজনকে জড়াই? বাসায় ফিরে না গিয়ে হসপিটালে চলে গিয়েছিলাম, থেরাপি নেয়ার তারিখ ছিল আমার....
ভার্সিটিতে এসে দেখি অমিত অসম্ভব কৌতূহলী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে । আমি ওর পিঠে একটা থাপ্পড় মেরে বললাম, গার্লফ্রেণ্ড পাইছিস?ও আমার সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নে প্রথমে অবাক, চোখে মুখে একটা বিরক্তির ছাপ ফেলে চলে গেলো ।
এভাবে ভার্সিটির ৩টা বছর কিভাবে যেনো পার করে দিলাম, না আমি অমিতের চিরকুটের কোন উত্তর দেইনি । কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে যখন অনুভূতিগুলো বুঝতে শুরু করলাম আচমকা টের পেলাম আমি অদ্ভুত ভাবে অমিতকে ভালোবেসে ফেলেছি!
কোন কিছু আর আগের মত নেই আমার উপহার দেয়া ওয়ালেটের জায়গায় অমিতের হাতে নতুন ওয়ালেট আমাকে সেটা জানান দিলো । আমি চোখে প্রশ্ন নিয়ে তাকানোর পর অমিত লাজুক হেসে বললো, সাদিয়া দিয়েছে । সবকিছু বদলাতে লাগলো পাঞ্জাবি ছেড়ে অমিত টিশার্ট ধরলো, সাদিয়া তার সবচে অপ্রিয় রঙ এর পোশাক পড়ে আসতো অমিতকে খুশি করতে । একেকটা দিন কাটতো, আমি ঈর্ষায় পুড়তাম । ক্লাসমেটের প্রেমে পড়ার যন্ত্রণা অসহ্যকর, চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না, প্রতিদিন দেখা হবেই । অথচ এই ভয়েই ভালোবাসি কথাটা বলিনি ওকে, যদি একবার অমিত না বলে দেয় আমার ভার্সিটি লাইফ পুরাই নরক হয়ে যাবে ।আমি অমিতের চোখে সাদিয়ার জন্য মুগ্ধতা খেলা করতে দেখতাম, আমার সবকিছু ভয়ানক বিষাদময় হয়ে উঠলো । আমি সহ্য করতে পারছিলাম না আর কোন কিছু ।সীমা অতিক্রমটা করলো যখন পিজ্জাহাটে খেতে গিয়ে সাদিয়া এনাউন্স করলো অমিত আর সে এখন একে অন্যের, They are in a relationship!
আমি ওয়াশরুমে গিয়ে কেঁদে আসলাম, ওয়াটারপ্রুফ কাজল নোনা জলে কিছুই হলোনা । ফিরে আমি হাসতে হাসতে ওদের সাথে গল্প করতে লাগলাম ।
বাসায় ফিরে আমি দরজা লাগিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলাম, আমার চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগলো । ভেতরটা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলো, মনে হচ্ছিলো তীব্র একটা ব্যাথা আমাকে শেষ করে দিবে ।এগিয়ে টেবিলটার কাছে গেলাম, ডায়রি খুলে পুরোনো চ্যাপ্টা গোলাপটায় হাত বুলাতে বুলাতে ঝরঝর করে কেঁদে দিলাম । চিরকুটের কাগজটা ৩বছরে অনেকখানি হলদেটে, বিবর্ণ হয়ে গেছে গোলাপটার মত । গোলাপটা আর চিরকুট একসাথে দিয়েছিল অমিত আমাকে, চিরকুটটা খুলে আবার পড়তে লাগলাম,
"ত্রপা,
আমি তোর চোখের মধ্যে বাস করি- এ কথা আমার সকল সৃষ্টিছাড়া অক্ষরের গায়ে লেখা থাকে , বুজে গেছি আশ্চর্য সন্ধ্যায় দৃষ্টি এবং দৃশ্যেকল্পের আঙুলে বকুল ফোটাতে গিয়ে ! কিন্তু পাশেই পড়ে থাকে ধূসর সন্ধ্যার উপাখ্যান, উপাখ্যানের ভেতর ভেঙ্গে পড়ে শীতঘুম । আশ্চর্য রোদ শীতঘুম ভেঙ্গে চোখের কাঁখে।
তোর চোখে কি আছে কোন হাওয়ামেঘের ডানা? বাচাল হাওয়ামেঘকে আদর করে কাছে টানব, গল্প হবে বৃষ্টি এবং কদমফুলের প্রেমের ।খুনসুটি হবে বৃষ্টির চুলে মাখা আদরে ।অন্ধকার আঁকা কি তোর চোখের কালোয়? নির্জন অন্ধকারে কি ডেকে যায় কোন ডাহুক, প্রাচীন কোন অতৃপ্ততা নিয়ে? ঐ চোখে আমার ঘর,আমার বসন্তদিন, সুখপোকাদের মায়াবীচাদর । চোখের প্রান্তরের ঐ অন্ধকার চিনিনা।
সারাবেলার নৈঃশব্দ্যের অসুখ তোর চোখে। দীর্ঘশ্বাস বুনে যায় নিষ্পলক ,একঝাক রাজহাঁস বসে থাকে এখানে, সকল অসুখ ডানা মেলে উড়ে যায় চোখের গভীরে আরণ্যক নির্জনতায় ,শুণ্যতার পলেস্তার ভালোবাসায় খসে পড়ে!
মূলত আমার মাথায় ঘটে যায় এইসব-তোর কাজল চোখের মধ্যেই সমস্ত বিষাদ নিয়ে ডুবে যেতে চেয়েছি !
- অমিত "
চিরকুটটা বুকের সাথে চেপে ধরে রাখলাম আমি, চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ছে । ৩টা বছর আগে আমি এই চিরকুট আর লাল গোলাপের কোন জবাব দিইনি ওকে, তবে আজ কেনো এত লাবণ্য বিলাপ? ঘড়ির দিকে তাকালাম, সময় রাত ৩.১৫ । বাইরে ঝড়ের তাণ্ডব আর ভীষন বৃষ্টি, আমি চুপিচুপি ছাদে উঠে গেলাম । আষাঢ় মাসে জন্মেছি বলেই হয়তো বৃষ্টির প্রতি এক অন্যরকম টান অনুভব করি সবসময়, তাই রাত ৩টা বাজেও বৃষ্টির ডাক উপেক্ষা করার মত ক্ষমতা নিয়ে আমি পৃথিবীতে আসিনি । হাটুতে মুখ গুটিশুটি মেরে ছাদের এক কোনায় বসে রইলাম, দমকা বাতাসে বৃষ্টির বড় ফোঁটাগুলো শেলের মতে বিঁধছে আমার শরীরে । আমার ব্যাথা হৃদয়ের এ কোন থেকে ও কোনে ছড়িয়ে গেলো, পুরো ভেতরটা জুড়ে তাণ্ডব চলছে আমার ।ছাদে শুয়ে পড়লাম, আমার চোখের পানি গড়িয়ে বৃষ্টির সাথে মিশে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে চোখ বুজলাম । আমার কাজল চোখে সমস্ত বিষাদ নিয়ে ডুবে যাওয়া মানুষটি আর আমার জন্যে নেই.....!
পরিশিষ্ট : পরেরদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাদে ত্রপার নিথর দেহটি পাওয়া যায় । শীতল দেহটির হাতের মুঠোয় অস্পষ্ট একটা কাগজ ছিল যার লেখা কালি বৃষ্টি আর ত্রপার চোখের জলে মিশে ছিল...
(কবিতাটার জন্য স্পেশালি থ্যাংকস ব্লগার প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার । কবিতাটা না থাকলে হয়তো গল্পটা পূর্ণতা পেতোনা ।
গল্পটা আড়াইমাস ধরে লিখেছি কেটেছি,লিখেছি আর কেটেছি, শেষ হয়েছে প্রায় ২দিন হলো । যখন শেষ হলো ত্রপার তীব্র ব্যাথা আমাকেও গ্রাস করেছে এবং আমি লাবণ্য বিলাপ করেছি । )
- দূর্বা জাহান
durba.ghash@জিমেইল.com
মন্তব্য
আপনার নামটা চেনা চেনা লাগছে!
লাগতে পারে, আশেপাশে কোথাও দেখেছেন মনে হয়
এ কোন বৃষ্টি বেলার গল্প!
নদীর ভাঙা পাড় ধরে সাদা কাশফুল-
আর ভিজে যাওয়া সবুজ দূর্বা।
সন্মুখে খরস্রোতা নদীর ভাঙনের আহ্বান-
আমি অবেলায় এসে দাঁড়াই;
দেখি শান্ত নদীর বুকে তোমার প্রতিচ্ছবি।
গল্পটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে।
গল্পটা পড়ে আপনার খুব ভালো লেগেছে জেনে আমারো খুব ভালো লাগছে, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
ভাল্লাগছে।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ধন্যবাদ আপনাকে
তবে এর আগের গল্পের মন্তব্যটা দেখলে মনে হয় আর হাসি মুখে ধন্যবাদ দিতেন না।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
এর আগে তোমার দুটা লেখা পড়েছি।তারপর থেকেই আমি তোমার মুগ্ধ ভক্ত!!এমন তোলপাড় প্রেমের এলোমেলো গল্প তুমিই লিখতে পার।(পছন্দের কাউকে আপনি বলতে ভাল্লাগেনা,তাই তুমি।।।)
সুবর্ণনন্দিনী
হুম, সচলে ৩টা লেখা ছিল এর আগে । তবে আমার লেখা পড়ে কেউ আমার মুগ্ধ ভক্ত হতে পারে তা কখনোই ভাবিনি । আর আমিও চাইনা যে আমাকে পছন্দ করবে সে আপনি উচ্চারণ করে দূরত্বটুকু বজায় রাখুক, ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা ভাল লাগার চে আমাকে তুমি ডাকার জন্যে
গল্পটা ভালো লাগলো
বানানের দিকে একটু খেয়াল রাখার অনুরোধ রইলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ, পরবর্তীতে বানানের ব্যাপারে আমি আরো সতর্ক হবো
অনেকগুলো কথা,
১। অমি হাত না ধরে চলে গেল আর ত্রপা ডাক্তারের কাছে গেল। অথচ, অমি-ত্রপার গল্প শুনতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম ত্রপা বেচারী বহু আগেই মরেছে। অতীতে মরে গিয়ে থাকলে ডাক্তারের কাছে এখন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে কেন? কোন অংশ কি আমি বাদ দিয়েছি পড়তে?
২। বরকে মার্সিডিজ অথবা সে রিক্সাই হোক কিনতে বলতে হবে কেন! ত্রপা নিজেই কিনে নিক না!
৩। পরিচিত প্রেমের কাহীনি। মন্তব্য করার জন্য পুরোটা পড়েছি।
আরো লিখুন। অন্যান্য গল্পও আসুক।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য'দা
১। আপনি মনে হয় পুনশ্চ শব্দটা খেয়াল করেননি।
-- ঠুটা বাইগা
১| আমি বর্তমান থেকেই লেখা শুরু করেছি । ত্রপা ডক্টরের কাছ থেকে ফেরার পরে ওর সাথে অমিতের পরিচয় এবং চিরকুট পাবার পরের অংশটুকু ভাবছিলো । তারপর সে অমিত এবং সাদিয়ার প্রেমের শুরুটুকু দেখে । পরিশিষ্ট পড়ে তো এটা মনে হওয়ার কথা নয় ত্রপা অতীতে মারা গেছে ।
২|এটা আমরা ত্রপার চিন্তার দিকেই ছেড়ে দেই না, সে তার বরের কাছ থেকে আবদার করবে । আমারো তো প্ল্যান আছে বিয়ের পর বরকে দিয়ে গাদা গাদা বই কেনাবো
৩| আমি ভালো লিখতে পারিনা, টিপিক্যাল কাহিনীই আমি লিখি শুধু অন্যভাবে ।
এই লেখা পড়ে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
খুব চমৎকার লিখেসেন। পড়ে মনে হল আরও একবার পড়ি। আসা করি আরও লিখবেন।
চেষ্টা করবো লিখতে, আমি তো লিখতে পারিনা । ধন্যবাদ আপনাকে
টিপিকাল কাহিনী নিয়েই লেখালেখি চালিয়ে যান
আপনার নাম/নিক'টা দেখেই মা.মু ভাই-এর মতই আমার-ও চেন চেনা লাগছিল
পরে মনে পড়ল, ফেসবুকে দেখেছি ফর শিওর - আনকমন নাম/নিক (ভাল অর্থে)
মস্তিষ্কে স্মৃতির ধুলাবালি ঐটাকে ঝেড়েমুছে নতুন কিছু আনতে হবে, ততদিন টিপিক্যাল লেখাই সই
হ্যাঁ ফেসবুকে দেখেছেন, আমার এই আনকমন নাম নিয়ে এক বিশাল কাহিনী আছে শুনিয়ে দিবো একদিন । ধন্যবাদ
কষ্টের গল্প। এতো কষ্টের গল্প লেখেন ক্যামনে? মনিটর ফাইট্যা পানি বের হয়ে যায় না?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চেষ্টা করেছি বহুবার একটা হাসিখুশি কিছু লেখার চেষ্টা করবো হয়নি । মনিটর থেকে পানি বের না হলেও আমি নিজে খুব কষ্ট পেয়েছি, কেঁদেছি । গল্পের শেষটুকুতে লেখা আছে । ধন্যবাদ
লেখাটি দুঃখের কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে হেসে ফেললাম
- ব্যাঙের ছাতা
গল্প পড়লাম। ভালো লেগেছে। তবে, ডাক্তার দেখানোটা কি মোস্ট রিসেন্ট ঘটনা? তাহলে আমিত আবার পাঞ্জাবী পড়ছে কেন? টি-শার্ট পড়া উচিত না? নাকি সাদিয়ার সাথে আর সম্পর্কে নেই?
তবে অনেক ছোটছোট জিনিস খুব ভালো লেগেছে।
"ক্লাসমেটের প্রেমে পড়ার যন্ত্রণা অসহ্যকর, চাইলেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না, প্রতিদিন দেখা হবেই " - সত্যি।
ঈপ্সিত আর চম্পাকলি অবশ্য কলেজের ব্যাচমেট।
- ঈপ্সিত/চম্পাকলি
হ্যাঁ ডক্টর দেখানোর ব্যাপারটা মোস্ট রিসেন্ট ঘটনা, তবে অমিতের সাথে সাদিয়ার সম্পর্ক আছে এবং টিশার্টের পাশাপাশি অমিত মাঝেসাঝে পাঞ্জাবি পড়ে, থ্যাংকস আপনাকে
'অসহ্যকর' - এই শব্দটাকে ইদানিং শুনছি/পড়ছি। এটার মানে কি?
প্রেমের গল্প আমাকে টানে না, সেটা যদি টিপিক্যাল হয় তো যথাসম্ভব এড়িয়ে চলি । তবে পড়লাম এবং মন্তব্য করছি এই কথাটা বলার জন্য যে আপনার লেখার হাত খুব ভাল। অন্য ধরনের গল্পও আসতে পারে।
এটা পড়ে মনে হয়েছে যে , ত্রপা কি করে জানল ওর বরের মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্য থাকবে, নাকি মার্সিডিজ কেনার সামর্থ্যওয়ালা ছেলে বিয়ে করে তাকে রিকশা কিনে দেয়ার আবদার করবে ? এমনি শুধু রিকশা কিনে দেয়ার আবদার করবে এরকম হলেই আমার জন্য বুঝা সহজ হত।
আমার বন্ধুদের ভিতরে কেউ অসুস্থ হয়ে বাসায় আসলে আমার মা ও তাকে যেতে দিতেন না, সেবাও করতেন। কিন্তু আমি সারারাত তার মাথা কোলে রেখে সোফায় বসে থাকলে সেটা মনে হয় না বাসায় কেউ স্বাভাবিক ভাবে নিত। আমি কি অনেক পিছিয়ে আছি? এই আচরনটা কি সত্যি স্বাভাবিক ভাবে নেয় এখনকার বাবা মারা ? একটু যেন অবাস্তবতার খোঁচা লাগল।
যাই হোক লেখক কি লিখবে সেটা তার ইচ্ছে, তবে পড়ে কি মনে হল তাই জানালাম।
আরও লিখুন । ভাল থাকুন।
হ।
লেখা চলুক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিচ্ছি । তারপরেরটুকু বলি,
প্রথম যে অংশটুকু কোট করেছেন সেটা কথাচ্ছলে বলা এটা নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন । এই কথা বলার জন্য বিয়ের পর বরের সামর্থ্য নিয়ে ভাবা লাগেনা । আমি প্রায়ই বলি আমার কমপক্ষে ৫টা বাচ্চাকাচ্চা লাগবে, তখন কেউ ভাববেনা আমার বরের ৫টা বাচ্চার ভরণপোষনের সামর্থ্য আছে কিনা, ঐটাকে একটা হাল্কা কথা হিসেবেই ধরে নিবে ।
দ্বিতীয় যে অংশটি কোট করেছেন, সেখানে আপনার চিন্তা ঠিক আছে । তবে এ ব্যাপারটার আমার বাস্তবজীবনে একজনের সাথে ঘটতে দেখেছি বলে আমার অভিজ্ঞতার কারণে ব্যাপারটা সহজ লেগেছে যা আপনার কাছে নয় । আর গল্পের নায়িকা ত্রপা ক্ষণজন্মা,অসুস্থ তাই এতটুকু ছাড় পেয়ে গেছে । কিছু পরিবার এমন রয়েছে, এই আচরণ স্বাভাবিকভাবে নেয় তবে তাদের সংখ্যা কম
আপ্নের গল্প আর সচল এবং অতিথিদের মন্তব্য পড়বার পর আমার কোন মন্তব্য করাটা মুটামুটি নিঃপ্রয়োজন। যে দুই-একটা প্রশ্ন করব বলে ঠিক করেছিলাম তা দেখি উনারাই করে ফেলেছেন। আরও আরও লিখতে থাকুন - কখনো হয়ত কিছু জিজ্ঞাসা করার সুযোগ হবে।
- রঞ্জিত
গল্প কি প্রশ্ন করার জন্যে পড়েন?
যাইহোক প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে এমন লেখা মনে হয় সচলায়তন প্রকাশ করবেনা । ধন্যবাদ
গল্প টা খুব ই ভাল লাগলো। অনেকদিন পর গল্পের ভিন্ন একটা স্বাদ পেলাম। ধন্যবাদ গল্প টি লেখার জন্য। এই গল্ল টা মনে হয় আমার ভাগ্যে লেখা ছিল। কারন গুগল এ doolby লিখে সার্চ দিচ্ছিলাম। গুগল বিডি তে চলে আসলো দূর্বা জাহান। ভাবলাম পড়ে দেখি কেমন লাগে। আমি বই পড়ি কিন্তু কখন ও ব্লগ বা অনলাইন এ কিছু পড়ি না। কিন্তু আপনার গল্প টা টা সত্যি ই অনেক ভাল লেগেছে। আর এটাই আমার প্রথম ব্লগ বা এই টাইপ এর কিছু পড়া। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।।।। গুগল কেও অনেক ধন্যবাদ doolby lab থেকে আমাকে এখানে আনার জন্য।।।। ভাল থাকুন ।।। শুভ নববর্ষ।
নতুন মন্তব্য করুন