আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ভাবনায় বাংলাদেশের উন্নতির ধারা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ৩১/০৮/২০১২ - ৪:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যারের “নিউইয়র্কের আড্ডায়” পড়েছি বেশ কিছুদিন আগে। খাতায় দেখছি, তারিখটা ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের! লেখাটা টাইপ করা হয়নি আমার কুখ্যাত আলস্যের কারণে! যাই হোক, সায়ীদ স্যারের লেখাটা বস্তুত, নিউইয়র্কে এক দুরন্ত তর্কের জীবন্ত বর্ণনা; প্রসঙ্গ – বিগত ৫০ বছরে বাঙালি ও বাংলাদেশিদের অর্জন ও উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ-ভাবনা। ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাবাদী হাসান ফেরদৌস এবং আব্দুল গাফফার চৌধুরী; অতি আশাবাদী আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং আতিউর রহমান। আমার নিজের অবস্থান মিশ্র বা আরো পরিমিতভাবে বললে কতকগুলো শর্তসাপেক্ষে আশাবাদী, শর্ত পূরণ না হলে হতাশাবাদী।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার খুবই স্বাপ্নিক ও আশাবাদী। এটা মোটেই দোষের কিছু নয়। আমাদের মত তরুণদের তিনিই স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, শিখিয়েছেন পরিপূর্ণভাবে মানুষের মত বাঁচতে, ঘানিপেষা গাধার মতো নয়! তিনি বলেছেন গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের তথা পূর্ব বাংলার উন্নয়ন এবং ঢালাও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে পাথমিক পুঁজির বিকাশ। উনি খুবই আশাবাদী এবং দেশের উন্নতি প্রসঙ্গে একেবারে নিশ্চিত। তবে সেটা হয়তো তিনি দেখে যেতে পারবেন না – এ কথাও মানেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, বাংলার অতীতের চাইতে বর্তমান অনেক বেশি সমৃদ্ধিশালী। যেসব বুদ্ধিজীবি (যেমন আবদুল গাফফার চৌধুরী) বাংলার অতীত গৌরবময়তার নেশায় বুঁদ, তাদেরকে ভ্রান্ত প্রমাণ করবার জন্য তিনি চর্যাপদের যুগের ভয়াবহ দারিদ্র্যের উদাহরণ দেখিয়েছেন। দু’পক্ষেই শক্তিশালী যুক্তি দেখানো যায়।
তবে সায়ীদ স্যার যে বিষয়গুলো অতি সরলীকরণ করেছেন সেগুলো হচ্ছেঃ

অতীতে বাংলার দারিদ্র্য তিনি দেখিয়েছেন, কিন্তু সে সময় এখনকার উন্নত দেশগুলোও যে অত্যন্ত দরিদ্র ছিল, তা তিনি দেখাননি। লুটপাট করলেও ইউরোপীয়রা লুণ্ঠিত সম্পদ আরো বাড়িয়েছে এবং পুরো জাতির যথাসম্ভব উন্নতি ঘটিয়েছে। ইংরেজরা বিজ্ঞানে দক্ষ ছিল এবং তাদের দূরদৃষ্টি ছিল, তাই ২০০ বছরের লুন্ঠিত সম্পদে তারা গড়ে তুলেছে আজকের ব্রিটেন। কিন্তু তাদের জ্ঞান, উদ্যম ও সাধারণ ইংরেজদের সততা কিন্তু লুট করে হয় নি! দরিদ্র সব দেশেই আছে। কিন্তু আমাদের দেশের মত হতদরিদ্র মানুষ আফ্রিকা ছাড়া পৃথিবীতে বিরল। পুঁজিবাদের বিকাশ মানেই একটা বিশেষ সম্প্রদায় স্মপদকে কুক্ষিগত করবেই। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কিন্তু এটা দেখাননি যে, আমাদের অতীতের গরীবরা গরীবই আছে; রাজা-নবাব-বাদশাদের স্থান দখল করেছে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা। হতদরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা বদলায়নি তেমন। সেই চর্যাপদের যুগের মতই কালে ভদ্রে উনুনে আগুন জ্বলে! গ্রামবাংলার উন্নতি বৃহৎ স্কেলে বলার মত নয়। আমি চার-পাঁচ বছর আগে আমাদের গ্রামে গিয়েছিলাম- আট বছর পর। ভেবেছিলাম কিছুই চিনতে পারবো না! হরি হরি! কিসসু বদলায়নি আট বছরে, শুধু দুএকটি পরিবার কাস্টমস ইত্যাদিতে চাকরী করে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে! ভারতবর্ষের মত প্রায় একই সময়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী চীন কিন্তু তরতরিয়ে উঠে গেছে– পরিশ্রম,সততা ও নিষ্ঠার বলে।

বাংলার অতীত গৌরব সম্পর্কে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সন্দিহান আর গাফফার চৌধুরী অতিমাত্রায় মোহমুগ্ধ। সায়ীদ স্যার বলেন, “ ইংরেজ যে বাংলার মাটিতে ঘাঁটি গাড়তে এসেছিল তা ভারতের (হয়তো বাংলারও) সম্পত্তির লোভে- সন্দেহ নেই, কিন্তু একান্তভাবে বা মূলত বাংলার সম্পত্তির লোভে কিনা একথা বলা কঠিন।” দুজনই অতিসরলীকরণ করে তর্কের খাতিরে তর্ক করে গেছেন। বাংলা নিঃসন্দেহে সম্পদশালী রাজ্য ছিল, কিন্তু অমন যত্রতত্র সোনার ছড়াছড়িও ছিল বলে কোন আলামত পাওয়া যায় না।

“ আমার বিশ্বাস, গত পঞ্চাশ বছরের বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের সামগ্রিক চিত্র আসলে এক অপ্রতিহত বিশাল অগ্রযাত্রার চিত্র এবং এই যাত্রা অবারিতভাবেই এগোচ্ছে।” – এই হচ্ছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সামগ্রিক মূল্যায়ন। গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে – একথা মানি। কিন্তু ‘অপ্রতিহত’ ও ‘অবারিত’ শব্দগুলো শুধু বাড়াবাড়িই নয়, অন্ধ-অবাস্তব কল্পনা। সভ্যতার গতি কখনোই একমুখী নয়, সভ্যতা শুধু এগোয় না পিছোয়ও বটে। মানুষের গড় আয়ু ও জীবনযাত্রার মান যেমন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে তেমন অনেক নতুন সমস্যাও তৈরি হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক-দালালদের নানাভাবে সমাজে পুনর্বাসিত করেছে রাষ্ট্রযন্ত্র। এখন এমন একটি পর্যায় চলে এসেছে যে, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, প্রতিষ্ঠান ও সরকারী আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এবং আত্মীয়তার ও ব্যবসার অমোঘ বন্ধনে একাত্তরের খুনী ও ঘাতকরা এদেশকে ভীষণভাবে ঘিরে ধরেছে। ৭৫ এর কালো রাতের পর দীর্ঘ ১৫ বছর দেশে স্বৈরতন্ত্র ও বর্বর সামরিক শাসনের জাঁতাকলে নির্মমভাবে পিষ্ট হয়েছে মানুষের মৌলিক অধিকার, বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ। এই অদৃশ্য শক্তির হাত থেকে জাতি কি আদৌ কোনদিন মুক্ত হতে পারবে? এদেশেই একাত্তরের খুনীদের দোসররা কবীর চৌধুরী, ডঃ আহমদ শরীফকে মুরতাদ ঘোষণা করে এবং ডঃ হুমায়ুন আজাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। দেশছাড়া করে তসলিমা নাসরীনকে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রার মান আরো খারাপ হচ্ছে। সামান্য কিছু টাকার জন্য জামাতী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সব স্তরের মানুষ এমনকী কিছু মুক্তিযোদ্ধারাও অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করছেন। দুর্নীতিতে ৫ বার বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন হবার পর এখনো মেধাতালিকায় স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ, ঢাকা সম্প্রতি ছিনিয়ে এনেছে পৃথিবীর জঘন্যতম নগরীর শিরোপা! এদেশে এখন আর আরজ আলী মাতুব্বররা জন্মায় না, নতুন প্রজন্মের অনেকেই জামাত-শিবিরকে ঘৃণা করে না। আর রাষ্ট্রের আয় বাড়া মানেই কিন্তু আপামর মানুষের আয় বাড়া নয়। কাজেই বিপুল অর্থনৈতিক উন্নয়ন সত্ত্বেও পতনের সব উপাদানই বাংলাদেশে বিদ্যমান!

কাজেই গত পঞ্চাশ বছরে কোন উন্নয়ন হয়নি – এটাও যেমন অতিশয়োক্তি তেমনি এই উন্নয়ন নিয়ে খুব বেশি আহলাদিত হবার কোন কারণ নেই। সায়ীদ স্যার অবশ্য অনৈতিকতাকে সমর্থন করেননি। উনি ধ্বংসস্তুপেও পথ খোঁজেন – এবং সত্যি বলতে, এই আশা ছাড়া আমরা বাঁচব কী নিয়ে? আসলে এই বিতর্কের কোন মীমাংসা নেই। আমাদের মৃত্যুর পর পৃথিবী যদি স্বর্গেও পরিণত হয়, তার আদৌ কোন মূল্য আমাদের কাছে নেই, কিন্তু আমাদের চেষ্টা করা উচিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরেকটু সুন্দর-নিরাপদ পৃথিবীর নিশ্চয়তা দেয়ার। বাংলাদেশের নেতা-নেতৃদের যন্তর-মন্তর ঘরে না নিয়ে গেলে আমি তো জীবদ্দশায় কোন বিপুল উন্নতির সম্ভাবনা দেখি না! সময়ের সাথে অর্থনৈতিক উন্নতি স্বাভাবিকভাবেই হবে। পাহাড়ের চেয়ে গ্রামের জীবন সহজ ও উন্নত, গ্রামের চেয়ে শহরের জীবন আরামপ্রদ – অবশ্য পকেটে মাল থাকলে! কাজেই এই নগরায়ন-শিল্পায়ন এবং তৎসংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিকতম মানুষের প্রচুরতম উপকার না হলে এই ব্যবস্থায় কিছুলোক পুঁজিপতি হলেও প্রায়ই উঠবে দুর্ভিক্ষের হাহাকার। দেশের শ্রেষ্ঠ ও সৎ মস্তিষ্কের ছেলে-মেয়েদের একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যা সরাসরি রাজনীতির তপ্ত রণক্ষেত্রে নামার সাহস না দেখালে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অতি ভয়ানক। আমি এই শর্তের কথাই বলেছি শুরুতে।

অলয়


মন্তব্য

রংতুলি এর ছবি

জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন বলতে যদি আমরা বুঝি নাগরিক জীর্ণ বস্তি, অথবা ছুঁড়ে ফেলা জঞ্জালের মতো ডাস্টবিনের পাশে পড়ে থাকা অভুক্ত কিছু মানুষকে পাশ কাটিয়ে দামী পাজেরো হাঁকিয়ে ম্যাকডোনাল্ড'স আর পিতসা হাটে যাওয়া, তাহলে এটা জীবনযাত্রার উপহাস ছাড়া কিছুই না! অন্যদিকে গ্রামগুলোতে দেশের কৃষিপ্রধান জীবিকার প্রেক্ষিতে, কৃষি জমিতে প্রান্তিক কৃষক, বর্গাচাষির ভূমিকাই প্রধান, কৃষক সারা বছর ঘাম ঝরিয়ে যে ফসল ফলায় তার অর্ধেক ভূমি-মালিককে দিয়ে, বাকিটুকুতে পরিবারের অন্ন যোগাতে, পরবর্তী ফসলের বীজ, সার, কীটনাশক যোগাড়ে হিমশিম খেতে হয়। জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির কল্পনা তাদের কাছে বিলাসিতা, অতএব বছরের পর বছর তারা রয়ে যায় লাঙ্গল টানা চাষীই। অসুখে-বিসুখে অথবা মেয়ের বিয়ের পণ যোগাতে বাধ্য হয়ে বেচতে হয় উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া সামান্য জমি বা বাপ দাদাদের
ভিটেটুকুও। আর যাদের নিতান্তই কোনো উপায় থাকেনা তাদের দারস্ত হতে হয় সুদের উপর টাকা খাটানো মহাজনের নিকট বা গ্রামীণ ব্যাংকের মত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিকট। দেশের মাথা পিছু রেমিট্যান্স বাড়লেও তাদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়না। কারন দেশের নীতিনির্ধারক, রাজনীতিবিদ ও সাথে এই সকল রক্তচোষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ পাহাড় সমান হয়ে তাদের পরবর্তী কয়েক প্রজন্মের জন্য গচ্ছিত থাকলেও, তার ছিটে-ফোঁটার ছোঁয়াও এই সব সাধারন মানুষের ভাগ্যে জোটে না। উপরন্তু সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অবাধ লুঠতারাজে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিত্য বেড়েই চলে। যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা, পথে-ঘাটে মানুষ মরে কুকুর বেড়ালের মতো, ছাত্রদের উপর পুলিশ চড়াও হয় হিংস্র পশুর মতো, আজ দেখলাম পোশাক শিল্পের উপরও চীনা ঘাঘু ব্যবসায়িক নজর! নদীমাতৃক দেশের বড় নদীগুলো পরিণত হচ্ছে বিস্তীর্ণ বালিচর বা নালায়। সেখানে আমরা আমজনতা এসব দেখে সয়ে এতই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, নিজে একবেলা ভরপেট খেয়ে, গায়ে
ভাবলেশহীন একটা চাদর টেনে বলি এইতো আছি বেশ! আবু সাঈদ স্যারের মত আমিও স্বপ্ন দেখতে চাই, কিন্তু সরি স্যার, আমি হতাশা ছাড়া কিছুই দেখিনা!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সঙ্গে প্রায় পুরোপুরি সহমত। কিন্তু একটুখানি আশা আছে। যদি কিছু ভালো ছেলে-মেয়ে নিশ্চিন্ত জীবন ছেড়ে রাজপথে নামে এবং ধীরে ধীরে নোংরা ব্যবসায়ী নেতাদের স্থানচ্যুত করতে পারে, তবে এই পুঁজিতে ভবিষ্যতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। কিন্তু রাজনীতির ডাস্টবিনে মেধাবীরা নামতেই চায় না! কাজেই হতাশাই বোধহয় নিয়তি!

জাবেদ আকবর এর ছবি

আপনি শুরু করেন, শুধু আশা করে বসে থাকলেতো হবে না। "Knowing is not enough, we must apply. Willing is not enough, we must do।"

অতিথি লেখক এর ছবি

কী দেখে যে "সৎ ও মেধাবী"দের দলে ফেললেন? অ্যাঁ
একটা গল্প বলি, শুনুনঃ এক ছিল সৎ, মেধাবী, আদর্শ ছাত্রনেতা। তার সমর্থনও ছিল। কিন্তু ব্যবসার ক্ষতি হবে বলে এবং ছেলেটি অন্য শহরের বলে মেয়র সাহেব তাকে নেতা বানালেন না, নির্বাচন হতে দিলেন না! তিনি তার শহরের এক লম্পটকে নেতা বানালেন। এর কিছুদিন পর ক্যাম্পাসে গন্ডগোলের সময় বিনা দোষে, বিনা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে নির্দোষ ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছেলেটি বুঝতে পারে চারপাশের মানুষের নোংরামি। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে পুলিস। বেরিয়ে সে জানতে পারে সেই পুলিস অফিসার তালিকাভুক্ত রাজাকারের সন্তান, ছাত্রলীগ পেয়ে তাদের ওপর জন্মের ক্রোধ ঝেড়েছে! সে সহ আরো এক নির্দোষ ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ায় সব ছাত্র হল ছেড়ে পালায়। ছেলেটি জেলে থাকাকালীন তার হৃদরোগী মা প্রায় মরতে বসে। দেশে কোন বিচার নেই এবং পুলিস তাদেরকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায় বলে ছেলেটা নীরব থাকে। তাকে ফাঁসানো অধ্যক্ষকে কিছুদিন পর আরো ভালো পদ দিয়ে রাজধানীতে আনা হয়। আপনি কি মনে করেন এই ছেলেটি বা তার অনুসারীরা আর রাজনীতি করবে?

কর্ণজয় এর ছবি

ব্যালেন্স,,,,
‌দুজনে

অতিথি লেখক এর ছবি

বাস্তবতা খানিকটা হতাশই করে।
অলয়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।