চলো দুইজনে জীবনের মানে খুঁজি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৯/২০১২ - ১১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চন্দন যদি সেই মুহূর্তে কিছু না বলে অন্যান্য সময়ের মতো চুপ করে থাকতো ,তাহলে হয়তো এখন এই রাতে অফিস থেকে ফিরে তাকে শুকনো মুড়ি চিবোতে হতো না। গতকাল ছিল ছুটির দিন। ছুটির দিনে রূপা সাধারণত ওর মার বাসায় থাকে। বেছে বেছে গতকালই কেন জানি ও ওর মার বাসায় যায়নি। সারাদিন ঘরের সব জিনিসপত্রকে একবার উত্তরমুখী করেছে তো আরেকবার দক্ষিণমুখী করেছে। কোনো জিনিসপত্র একই ডেকোরেশনে টানা একমাসের বেশি থাকতে পারেনা । এগুলোর চিপায় চিপায় যে ময়লা জমে সেগুলো পরিষ্কার না করলে ওর নাকি গা কুটকুট করে। তো গতকাল সারাদিন সে সব জিনিসপত্র ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করাতেই ব্য¯ত ছিল। সাথে চন্দনকেও সারাক্ষণ ইঁদুর দৌঁড়ের উপর রেখেছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও চন্দন রূপার সব কাজে হাত লাগিয়েছিল। তবে তার মুখে সারাক্ষণই চাপা একটা বিরক্তি ছিল।

আর সে বিরক্তির কারণেই কি না দুপুরের খাবার খেতে যখন সাড়ে তিনটা বেজে গিয়েছিল এবং মুরগীর মাংসে কামড় বসানোর সাথে সাথে মনে হলো মাংসের ভেতরটা কাঁচা রয়ে গেছে ,ঠিক তখন ই তার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। বেশ রাগ করেই চন্দন বলল,সারাক্ষণ ঘরের ডেকোরেশন চেঞ্জ না করে রান্না- বান্নাতে একটু সময় দাও। নুফাতে নাকি ভালো রান্না শেখায়। প্রয়োজনে নুফাতে ভর্তি হও। এই বাজারে এত টাকা দিয়ে মুরগী নিশ্চয়ই কাঁচা মাংস খাওয়ার জন্য কিনিনি।
চন্দনের কথা শুনে রূপা চোখ প্রায় কপালে তুলে বলল,কি বললে তুমি ? আমার রান্না খারাপ ? আর নুফাতে রান্না শেখায় একথা তুমি জানলে কি করে ? চেহারা একটা এমন করে রাখ যেন ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানোনা। আর তলে তলে এতদূর?

নুফার খবর জানার জন্য তলে তলে এতদূর যেতে হয় না। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখলেই জানা যায়। আর রান্না খারাপ হয়েছে একথার জন্য এমন চোখ কপালে তুলে ঝগড়া করার কি আছে? রান্নাটা শিখে নিলেই হচ্ছে ।
আ -আমি চোখ কপালে তুলে ঝগড়া করছি ? তাহলে তুমি কি করছ ? রান্না আমি জীবনেও শিখব না । তুমি নিজে যখন এত রান্না বিশেষজ্ঞ হয়েছ তাহলে আজ থেকে তুমিই রান্না করবে ,কেমন?
আমি রান্না করলে তোমাকে বিয়ে করেছি কেন?
কি ? তুমি আমাকে রান্নার জন্য বিয়ে করেছ ? রান্নার জন্য ? তাহলে তুমি বরং এক কাজ করতে ,টমি মিয়াকে বিয়ে করতে। টমি মিয়া তোমাকে পৃথিবীর নানা রকম খাবার রেঁধে খাওয়াতো। আমাকে করেছ কেন ?
চন্দন কিছুটা বিব্রত হয়ে বলল,কি সব পাগল-ছগলের মতো কথা বলছ। এখানে টমি মিয়াকে বিয়ে করার কথা আসছে কেন?
কি বললে তুমি? আমি পাগল-ছাগলের মতো কথা বলছি? আমি?
ব্যস,চন্দনকে আর কিছু বলতে হয়নি। এরপর রূপা তার স্বরূপে ফিরে গিয়ে শুরু করেছে নন স্টপ মুখের ব্যায়াম।

তোমার মতো একটা মিনমিনে শয়তান,আমড়াকাঠের ঢেঁকিকে যে আমি কি দেখে পছন্দ করেছিলাম তাই ভেবে কোনো কুল-কিনারা করতে পারছি না। তোমার চৌদ্দগুষ্ঠির ভাগ্য যে আমার মতো বউ পেয়েছে। আমি হচ্ছি গিয়ে বানরের গলায় মুক্তার মালা।
চন্দন অবশ্য দু’একটা কথার মাঝে ফোঁড়ন কেটেছিল। আর এতে করেই কিছুটা নিভে আসা আগুন আবার দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠার মতো রূপাও জ্বলে উঠেছিল।

শেষের দিকে রূপা ’তোমার সংসারে ঝাঁটা মারি’ বলে এই অল্প সময়ের মধ্যে আবার নিজের ব্যবহারের সব জিনিসপত্র গুছিয়ে ছোট ব্যাগটা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
চন্দন পেছন থেকে ওকে ডাকতে যাচ্ছিল দেখে ও একটু থেমে বলল,খবরদার মেনিমুখো শয়তান,আমার পেছন পেছন আসবে না।
চন্দন থেমে যায়। কারণ সে জানে রাগ কমে গেলে রূপা নিজেই কাল সকালে ফিরে আসবে।

কিন্তু সকালে যখন রূপা ফিরল না কিছুটা চিšিতত হলো চন্দন। ভেবে রেখেছে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে রূপাদের বাসায় গিয়ে ওকে নিয়ে আসবে। কিন্তু শালার এম.ডি. কিনা বেছে বেছেই আজকে কনফারেন্স ডাকল। আর সারাটা দিন ক্লায়েন্ট,এলসি,লাভ-লসের পারসেন্টেজের হিসেব করতে গিয়ে রূপাকে ফোন করার সুযোগই পেল না। দুপুরের দিকে যখন রূপার মা ফোন করেছিল তখন ক্লায়েন্ট সামনে বসে ছিল বলে তাড়াহুড়ো করে লাইন কেটে দিয়েছে চন্দন।
নিজের উপরই এখন রাগ হচ্ছে চন্দনের। কেন যে কাল রান্নার কথাটা বলতে গেল!

আকাশে মেঘ ডাকছে। বৃষ্টি নামবে জোরেশোরে। ইস ! রূপাটা যদি এখন বাসায় থাকত দু’জনে মিলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখতে পারত। অবশ্য এর মধ্যে রূপা রান্ন্া ঘরে গিয়ে দু’কাপ চা বানিয়ে অনত।
রূপার মুখেই যত ঝাঁঝ। মনটা একেবারেই কাঁদামাটির মতোই নরম। হঠাৎ করেই রূপার জন্য মনের ভেতর কেমন যেন হাহাকার জেগে ওঠে চন্দনের।
রূপাকে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গেই পেল। মনে হলে রূপা যেন ওর ফোনের জন্যই অপেক্ষা করছিল। অথচ গলার স্বর কি কাট্ কাট। ফোন ধরেই রূপা বলল,কি ব্যাপার ফোন করেছ কেন?
রূপা , তুমি কি করছ?
আমি খেমটা নাচছি ,তোমার কিছু বলার আছে?

চন্দন গলার স্বরটাকে আগের চেয়েও নরম করে বলল ,না মানে,আমিসহ খেমটা নাচলে কেমন হয় ? তুমি শুধু একটু শিখিয়ে দিলেই হবে।
ফাজলামো করবে না বললাম।তুমি নুফাতে গিয়ে রান্না শেখো । খেমটা নাচ শিখতে হবে না।
রূপা , সরি। ভুল হয়ে গেছে।

রূপা কোনো জবাব দিচ্ছিল না দেখে চন্দন বলল , রূপা বৃষ্টি হচ্ছে ,দেখেছ ?
ঢং করবে না বললাম। খবরদার ঢং করবে না আমার সাথে। আজ সারাদিন একবারও ফোন করনি কেন ?

চন্দন বেজার মুখে বলল, সারাদিন কি যে ধকল গেছে তুমি যদি দেখতে। নিঃশ্বাস ফেলার সময় পর্যšত পাইনি । এরপর বাসায় ফিরে কি খাচ্ছি , জানো ?
কি ?
শুকনো মুড়ি ।
কোনো রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খাও ।
বৃষ্টি হচ্ছে না ! অবশ্য তুমি বললে তোমাদের বাসায় চলে আসতে পারি। আসব?
না ।
বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করছে । ভীষণ !
ভেজ । নিষেধ করেছে কে ?
তোমাকে নিয়ে ...।
কথা শেষ করার আগেই রাখছি বলে রূপা লাইনটা কেটে দিল।
চন্দন সঙ্গে সঙ্গে আবার ট্রাই করে দেখল মোবাইলটা বন্ধ ।
বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বাড়ছে । হঠাৎ করে বিকট শব্দে বাজ পড়ে কারেন্টটা চলে গেল।

চন্দন বারান্দা থেকে অন্ধকারে হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে ডাইনিং রুমে আসতে গিয়ে চেয়ারের সাথে একটা ধাক্কা খেল। কোনো মতে নিজেকে সামলে নিয়ে সে হন্যে হয়ে চার্জ লাইট খুঁজছে।
সাধারণত রূপা কোথাও বেড়াতে গেলে চন্দনের তেমন একটা সমস্যা হয় না । কারণ রূপা সবকিছু এমনভাবে গুছিয়ে হাতের নাগালে রাখে! আবার প্রতিটা জায়গায় থাকে ছোট্ট একটা চিরকুট।কিন্তু এবার যেহেতু ঝটিকা অভিযানের মতো ঝটিকা গৃহত্যাগ হলো তাই এখন বেসামাল চন্দন । সে রূপার কথা ভাবছে। এই মেয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছে কোন আক্কেলে ? বাইরে এত বৃষ্টি পড়ছে তবু কেমন হাঁসফাঁস লাগছে চন্দনের । সে একবার সামনের বারান্দায় যাচ্ছে। আরেকবার পেছনের বারান্দায় যাচ্ছে।
রাত প্রায় ১১ টা ।

চন্দন এতরাতে এই বৃষ্টির মধ্যে কোথাও বের হবার চিšতা বাদ দিয়ে শোয়ার আয়োজন করে । অবশ্য ক্ষিধায় পেট চোঁ চোঁ করছে তার। ইচ্ছে করলে অবশ্য ভাতটা রান্না করে একটা ডিম ভেজে নিলেই পারতো । কিন্তু এত ঝামেলা করবে কে ? তার চেয়ে শুয়ে যাওয়াই ভালো।
চন্দন যখন শোয়ার আয়োজন সম্পন্ন করছিল ঠিক তখনি কারেন্ট এলো এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কলিং বেলটা বেজে উঠল।
এত রাতে আবার কে এলো ভেবে বিরক্তি নিয়ে চন্দন লুকিং গ্লালস দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার।
কেউ নিশ্চয়ই লুকিং গ্লাসে হাত দিয়ে রেখেছে।

চন্দন কে কে করছে কিন্তু ওপাশ থেকে কেউ কথা বলছে না। অথচ কলিং বেল বাজছে তো বাজছে । চন্দন বিরক্ত হয়ে দরজা খুলে দেখে কাকভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রূপা।
হাতে একটা বড় হট ক্যারিয়ার।আর ওর নিজের ছোট ব্যাগটাতো আছেই ।
তুমি ! এতরাতে এই বৃষ্টির মধ্যে ! কিছুটা বিস্ময় নিয়ে বলে চন্দন।
হ্যাঁ ,আমি। আমি তো তোমার মতো মেনিমুখো শয়তান না । তাই চলে এলাম। মা এখানে খাবার দিয়েছে । নাও, খেয়ে নাও।
কার সাথে এসেছ ?
কার সাথে এসেছি মানে ? একা এসেছি।
একা এসেছ ?
হু, একা এসেছি। কেন ? কোনো সমস্যা ?
না , কোনো সমস্যা না।তুমি রাগ করছ কেন ? আমি তো এমনিতেই জানতে চাচ্ছিলাম। মানে তুমি কিভাবে এসেছ, এই আর কি!
রূপা চাপা একটা হাসি সারা মুখে ছড়িয়ে বলল, তাই না ! তুমি আসলেই একটা মেনিমুখো শয়তান। সন্দেহ , না ?
চন্দন মাথা মাথা চুলকিয়ে বলে না , সন্দেহ কেন ? বলতে পার কৌতুহল। তোমার দৌড় তো আমার জানা আছে। কার সাথে এসেছ ?
বাবার সাথে। বাবা নিচে নামিয়ে দিয়ে গেলেন। আচ্ছা তুমি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও । আমরা ছাদে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজব।

চন্দন আমতা আমতা করে বলে ,এত রাতে! কাল আমার অফিস আছে না !
রূপা এবার হেসে বলে, থাক আর আমতা আমতা করতে হবে না। তোমার দৌড়ও আমার বেশ ভালো জানা আছে ।

মোহছেনা ঝর্ণা


মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভালো লাগল।
আরো লিখুন।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

মোহছেনা ঝর্ণা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হা হা হা! দেঁতো হাসি

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ইয়ে, হাসলাম, মানে গল্পটা পড়ে ভাল লেগেছে... শেষটা মজার, পাঞ্চ লাইনটা। দেঁতো হাসি
চলুক। চলুক

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ

রসগোল্লা এর ছবি

গল্পটা পড়ে বেশ ভাল লাগলো|:) আরও লিখুন|

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ

মোহছেনা ঝর্ণা

বন্দনা এর ছবি

আপনার লিখা বেশ ঝরঝরে আপু, ভালো লেগেছে পড়তে। ছোটছোট খুনসুটিগুলাগোর বর্ণনা পড়ে খুব মজা পেয়েছি।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

মোহছেনা ঝর্ণা

পাঠক এর ছবি

কয়েকটি কারনে ভাল লাগেনি।
১। শিরোনাম তা সুন্দর কিন্তু গল্পের মুল ভাবের সাথে খুব সঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়নি।
২। গল্পের কাহিনি অতিপুরাতন, খুজলে এই ধাঁচের গল্প অনেকগুলো পাওয়া যাবে। কোন মৌলিকত্ব পেলাম না।
৩। সব বউ কে একই সংলাপ বলিয়ে ঝগড়া করাতে হবে? আপনার নিজের কোন পর্যবেক্ষণ নেই?
৪। খেমটা নাচ নাচছি কথাটায় হোঁচট খেলাম।

সবমিলিয়ে সচলের নীড়পাতায় আসার মত লেখা মনে হয়নি। যা ভাল লেগেছে তা হোল আপনার লেখার ধরণ, ভাষা বেশ ঝরঝরে।
আশা করছি আমার মন্তব্যে লেখার উৎসাহ না হারিয়ে বরং আরও অনেক অনেক ভাল লিখবেন।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনার কথাগুলো।ভালো না লাগার কারণ গুলো এত সুন্দর করে বিশ্লেষণ করেছেন যে আমি মুগ্ধ।আমি আশা করব এরপর থেকে যখন আমার লেখা নীড় পাতায় আসবে আপনার এমন গঠনমূলক সমালোচনা আমি পাব। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নামটা জানলে ভালো লাগতো।যদিও না জানালেও কোনো সমস্যা নেই।

মোহছেনা ঝর্ণা

কাজি_মামুন   এর ছবি

পাঠকের সমালোচনাটি ভীষণ সুন্দর ছিল, তবে সত্য বলতে কি, আপনার মন্তব্যটি তাকেও ছাড়িয়ে গেছে, এমনই ব্যতিক্রমী সৌন্দর্যে দীপ্ত আপনার প্রতি-জবাবের শব্দগুলো।
আপনার আরও লেখা পড়ার প্রত্যাশায় থাকছি।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি
তবে আমার মনে হয়েছে আপনার দৃষ্টিভংগি অনেক সুন্দর।আর তাই আমার খুব সাদামাটা কথার মাঝেও আপনি এত সৌন্দর্য খূঁজে পেয়েছেন।
আরও লেখা পড়ার যে প্রত্যাশা করেছেন তা পূরণ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।আবারো ধন্যবাদ। হাসি
ভালো থাকবেন।
মোহছেনা ঝর্ণা

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

ঝরঝরে লেখা...পেট পুরে হেসেছি । চলুক ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ।
পেটপুরে হেসেছেন জেনে খুশি হলাম।ভালো থাকবেন।
মোহছেনা ঝর্ণা

অতিথি লেখক এর ছবি

বাহ। একেবারে আমার জীবনের সাথে মিলে গেল। মানে কিছুদিন পরে যা ঘটবে আর কি চোখ টিপি
নিয়মিত লিখতে থাকুন ঝর্ণা।

নির্ঝরা শ্রাবণ

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ।
জীবনের আনন্দের গল্পগুলো জীবনের সাথে মিলে গেলেই ভালো লাগে।

ভালো থাকবেন।
মোহছেনা ঝর্ণা

অতিথি লেখক এর ছবি

চরিত্রের নাম আর গল্পটা ভীষণ পরিচিত !
পড়তে গিয়ে হোঁচট খাইনি,ভাষা গতিময়
এই ধরনের গল্পে আসলে মিলন মুহূর্ত তাই এর প্রান,তাই কাটাছেরা করার কিছু পেলাম না।
কাওকে মনে করিয়ে দিলেন
অনেক ধন্যবাদ।

বুড়া মকবুল

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য ।
ভালো থাকবেন। হাসি
মোহছেনা ঝর্ণা

ঈপ্সিত/চম্পাকলি এর ছবি

বেশ মজা লেগেছে পড়ে। সাধারণত আমাদের বর-বউ-এর ফ্লাফ পড়তে ভালো লাগেনা (যদিও নিজেদের প্রেমের বিয়ে); লেখার হাত খুব ভালো আপনার। অনেক লিখুন। যেকোন লেখাই মনে হয় আপনার হাতে খুব খোলতাই হবে। চালিয়ে যান।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। হাসি
পরের মন্তব্যগুলো জেনে ভালো লাগলো।
সত্যি হলে আরও ভালো লাগবে। হাসি

সুলতান এর ছবি

আমার ভাই কঠিন কঠিন গল্প ভালো লাগেনা। আপনার গল্পের মতো সহজ সরল গল্পই ভালো লাগে। ভালো লেগেছে আপনার গল্প। আরো গল্প আশা করছি।
আর একটা কথা, লেখা দেখার জন্য মডারেটর আছেন। তাদের মডারেশন পেরিয়ে যদি কোন লেখা চলে আসে তাহলে তো লেখককে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।

হিমু এর ছবি

আপনার মনে করায় গলদ আছে। মডারেশন পেরিয়ে কোনো লেখা আসার অর্থ লেখককে পাঠকের সাথে যোগাযোগের প্রথম সুযোগ তৈরি করে দেয়া। মডারেশন পার হওয়ার অর্থ লেখার দায়ভার লেখক থেকে মডারেটরের কাঁধে ডেলিগেট করা নয়।

সুলতান এর ছবি

আচ্ছা কেউ যদি বলে এই লেখা নীড়পাতায় আসার মত লেখা মনে হয়নি তাহলে আপনি তার দায় কার উপর বর্তাবেন? লেখা নিয়ে সমালোচনা এক ব্যাপার আর এই ধরনের কথা অন্য ব্যাপার বলে মনে হয়।

হিমু এর ছবি

আমি ঐ দায়টা মন্তব্যকারীর কাছেই রেখে দিতে চাই। একটা লেখা নিয়ে নানারকম মত থাকতে পারে। সেই মতের সঙ্গে আপনাকে বা আমাকে সবসময় তো একমত হতে হবে না।

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। হাসি
লেখককে প্রশ্ন করলে কোনো সমস্যা নেই।
লেখক প্রশ্নের জবাব দিতে এবং পাঠকের সুচিন্তিত মতামত গ্রহন করতে প্রস্তুত।
(আমি আমার ক্ষেত্রে কথাটা বললাম।) ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ভালো লেগেছে , কঠিন লিখাগুলো হয়ত শৈল্পিক মানের গুরুত্ব অনেক বহন করে , কিন্তু পোলাও মাংশ খুব প্রিয় হলেও আমাদের দৈনিক খাবার কিন্তু ভাত মাছ ই ,শুধু সহজলভ্যতার জন্য নয় , তাতে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যও বোধ করি । তাই হয়ত জীবন ঘনিষ্ট এই লেখা টি ভালো লেগেছে । আরেকটু বলতে চাই , সহজ লেখার মান ও মূল্যায়ন যদি এতই কম হত , তবে হুমায়ুন আহমেদ আমাদের এত আপন হতেন না । ধন্যবাদ ।
মৌটুশি বাশার

মোহছেনা ঝর্ণা এর ছবি

ধন্যবাদ মৌটুশি।লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
আর পরের কথাগুলো যা বললেন,আমি আসলে তার যোগ্য নই।
সেটা শুধুই আপনার উদারতা।
এই ভালোবাসা এবং উদারতার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। হাসি

আলতাইর এর ছবি

আমার মনে হয় আপনার আরো অনেক গল্প বলার বাকী। অপেক্ষায় আছি(পপ্পন)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।