অনলাইন গন মাধ্যম নীতিমালা-২০১২ যে উদীয়মান বিকল্প মিডিয়া কে বিকাশ এর আগেই কণ্ঠ রোধ এর একটা প্রচেষ্টা চেষ্টা তা একটা শিশুও বোঝে। এই নীতিমালায় কি আছে একটু ভালো ভাবে দেখা প্রয়োজন।এই আইনটাকে সরকার এবং এই কানুন এর মুল লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় রেখে ব্যাখ্যার চেষ্টা করেছি।
দীর্ঘ হয়ে যাবে বলে এই কিস্তিতে শুধু মাত্র প্রথম দশটির ব্যাখ্যা আছে। পরবর্তী কিস্তিতে বাকি গুলো আসবে।
১। (ক) এই নীতিমালা “অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনা নীতিমালা ২০১২” নামে অভিহিত হবে।
(খ) জারির তারিখ থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে।
যে কোন লিগাল ডকুমেন্ট এর শুরুতে একটা ডেফিনিশন থাকে। প্রথম পার্টি, দ্বিতীয় পার্টি সহ সকল সংজ্ঞার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। এই খানে এইটা না থাকাতে, ব্লগ, অনলাইন পেপার, ফেসবুক নিউজ , ফোরাম, ফেসবুক কমেন্ট, স্ট্যাটাস সহ যে কোন তথ্য কেই নীতি মালার আয়তায় এনে যে কোন নিপীড়ন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে সরকার।
0২। অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনার লক্ষ্যে আবেদন আহ্বান:
(ক) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ, গণসচেতনতা ও বিনোদনের পরিসর বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক বিকাশ ও মূল্যবোধ গড়ে তোলার এবং বিশ্বব্যাপী এ সকল বিষয়াদি সম্প্রচারের অনলাইন গণমাধ্যম স্থাপনের জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে তথ্য মন্ত্রণালয় দরখাস্ত আহ্বান করবে।
(খ) প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী (অফিস অবকাঠামো, মোট জনবল ও নির্ধারিত ব্যাংক ব্যালেন্স, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতার সনদপত্র)সহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতার সনদ পত্র কথাটা খেয়াল করুন। প্রথমেই, সিটিজেন ব্লগারদের গলা টিপে ধরা হলো।
৩। মালিকানা সংক্রান্ত নীতিমালা:(ক) অনলাইন গণমাধ্যম স্থাপনের জন্য আবেদনকারী ব্যক্তিকে বাংলাদেশের নাগরিক এবং কোম্পানিকে অবশ্যই বাংলাদেশী কোম্পানি হতে হবে।
তার মানে আপনি বিদেশী কোম্পানি হলে আর বাংলায় নিউজ লিখতে পারবেন না।
এই ধারাতে,বি.বি সি বাংলা ,ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ, ইরান news, voa news সহ বেশ কিছু বিদেশী সংস্থা যারা বাংলায় সংবাদ পরিবেশন করে তারা বাংলায় সংবাদ প্রদান এর আইনগত অধিকার হারাবে।
এইটার বাস্তব প্রয়োগ অসম্ভব। এবং এইটাতেই বোঝা যায় ,কি নিরেট মূর্খ আমলার দল এই আইন টি বানিয়েছে।
পারলে বিবিসি বাংলার প্রকাশনা সরকার এই কানুন দিয়ে বন্ধ করুক, দেখি সরকার এর কত হেডাম।
(খ) অনাইন গণমাধ্যমের মালিকগণ বেসরকারি মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মত প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সরকারকে আয়কর পরিশোধ করবেন।.
[/b
]অনলাইন শব্দে বানান ভুল।
এইটা একটা সেলফ এক্সপ্লেনেটারি কথা । যে কোন প্রতিষ্ঠানকে আয়কর দিতে হয়। কিন্তু এইটাকে নীতিমালায় নেওয়ার প্রয়োজনটা হইলো, এইটা দিয়ে সরকার আপনাকে অনেক সহজ ভাবে সাইজ করতে পারবে। আপনি একটা ব্লগের মালিক হলে, গুগল অ্যাডস্যান্সে এ যদি কয়েকটা সিম্পল ডলার আয় করেন, আর এইটা যদি আপনি রিটার্ন এ সাবমিট না করেন, আপনি আইন বিরোধী হলেন আর সরকার আপনাকে ইনকাম ট্যাক্স আইন দিয়ে সাইজ করতে পারবে।
সমস্যা হচ্ছে, আপনার এই কয়টা টাকার প্রতি সরকার এর কোন মাথা ব্যথা নাই। কিন্তু আপনি সরকার বিরোধী কিছু লিখলেই, আপনি আয়কর ফাকি দিয়েছেন বলে একটা ধারায় আপনাকে সরকার জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারবে।
[b]৪। লাইসেন্স আবেদনের নিয়মাবলী:
(ক) এই নীতিমালার অধীনে প্রদেয় লাইসেন্স ব্যতিরেকে কোন প্রতিষ্ঠান অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা কিংবা পরিচালনা করতে পারবে না;
টাইটেল দেখেন । সরকার বলছে যে এইটা নীতিমালা। কিন্তু এপ্লিকেশন এর স্কোপ থেকে এইটা পরিষ্কার যে এইটা একটা খুবই কঠিন ভাবে বিধিবদ্ধ আইন।
সোজা বলা হইছে,এই লাইসেন্স বাদে আপনি কোন অনলাইন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনা করতে পারবেন না।
এইটা ভয়ংকর এই জন্য যে কোন ধরনের অনলাইন গণমাধ্যম সংজ্ঞা ছাড়া সরকার আপনাকে পরিষ্কার বলে দিচ্ছে, আপনি কোন ধরনের নিউজ অনলাইন এ পোষ্ট করতে পারবেন না সরকারি অনুমতি ছাড়া। যে কোন নিউজ কেই অনলাইন গণমাধ্যম বলা যায়।
এমনকি আপনার ব্লগ সাইটও অনলাইন গণমাধ্যম। কারণ সরকার কিন্তু ডিফাইন করে নাই । সরকার ইচ্ছে করেই এই ডেফনিশান টা দেয় নাই।
(ঘ) আবেদনকারী কোম্পানিকে অবশ্যই কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে;
এইটা সুপার ইন্টারেস্টিং । মানে আপনাকে এখন থেকে লিমিটেড কোম্পানি করতে হবে। একটা ছোট ফার্ম, প্রোপ্রেটরটরশিপ এবং সিম্পল একটা ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে, বা একজন উদ্যমী তরুণ একটা জুমলা ট্যমপল্যাট দিয়ে চাইলেই একটা নিউজ পেপার করতে পারবে না। তাকে জয়েন্ট স্টক এ গিয়ে ইনকোর, পোরেশন করাতে হবে। লিমিটেড কোম্পানি করতে হবে , যাতে দুইয়ের অধিক ডিরেক্টর থাকতে হবে, চেয়ারম্যান থাকতে হবে, পেইড আপ ক্যাপিটাল কত বলতে হবে। বহুত হুপলা ।
এই হুপলা করার তরিকা দিয়েই, উদ্যমী তরুণ দের উদ্যোগ কে গলা চিপে মারা হবে। রাঙামাটি ডিগ্রি কলেজ এর একটা তরুণ যুবক তার উদ্যম দিয়ে একটা একটা নিউজ পোর্টাল খুলে তার এলাকার নিউজ আর দিতে পারবে না। শুধু মাত্র কর্পোরেট পুঁজি আর কালো টাকার অধিকারী ছাড়া কেউ ব্লগ বা অনলাইন নিউজ করতে পারবে না।
(ঙ) আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আবেদনের সাথে ফেরত-যোগ্য আর্নেস্টমানি বাবদ সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় বরাবরে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার প্রদান করতে হবে;
লাইসেন্স পাওয়ার আগেই, আপনাকে দুই লাখ-টাকা দিতে হবে। পাবেন তার কোন গ্যারান্টি নাই।
(ছ) কোন অনলাইন গণমাধ্যমের মালিক/পরিচালক সরকারের অনুমতিক্রমে একাধিক অনলাইন গণমাধ্যমের মালিক/পরিচালক হতে পারবেন;
এইটা খুব ইন্টারেস্টিং। এই ক্লস টাতে সরকার খুব ফ্লেক্সিবল হয়ে গেল মনে হচ্ছে। আসলে কিছুনা।
আপনি যদি একবার লাইসেন্স পান সরকার এর সুনজর প্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে, সরকার তার পর আপনার তৈল মর্দনের পথ সুগম করে দিতে চায়। সরকার আপনাকে ফিল্টার করবে মাত্র একবার।
(জ) সরকারি/বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ/বিল/কর খেলাপি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এবং ফৌজদারি অপরাধ বা নৈতিক স্খলন-জনিত কারণে দণ্ডিত কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি আবেদন করতে পারবে না;
এইটা শুনতে ভালো মনে হলেও, ইন্টারনেট এর দুনিয়াতে কোন শৃঙ্খল গ্রহণযোগ্য নয়।
(ঝ) লাইসেন্স প্রদানের পূর্বে সরকার কর্তৃক বিবেচিত আবেদনসমূহ নিরাপত্তা ছাত্রপত্রের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। অনুকূল নিরাপত্তা ছাড়পত্র না পাওয়া গেলে লাইসেন্স প্রদানের জন্য কোন আবেদন যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না;
এই খানেই অরিন্দম কহিল সহাস্যে।
আপনাকে ব্লগ লিখতে হলে,জুমলা ট্যাম্পল্যাট দিয়ে নিউজ পেপার করতে হলে, প্রথমেই সরকারি দল এর হতে হবে। সরকার নিশ্চিত হতে চায় যে আপনি সরকার এর বিরুদ্ধে কিছু লিখবেন না। সেই ধরনের কোন সম্ভাবনা থাকলে আপনার নিরাপত্তা ছাড়পত্র দেয়া হবে না।
(ঞ) সরকার কর্তৃক নির্বাচিত আবেদনকারীদের অনুকূলে লাইসেন্স প্রদানের পর বিটিআরসির নিকট থেকে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে:
এই খানে খেয়াল করেন। পুরো গল্পটা এতো সময় ছিল তথ্য মন্ত্রনালয় এর। আপনাকে এই পার্টি কে সামাল দেয়ার পর আবার বি.টি.আর.সি কে সামাল দিতে হবে।বি.টি.আর.সি এর আবার নিজস্ব আইন আছে। নিজস্ব সাইবার-ক্রাইম দল আছে। ওইখানে আপনাদের জন্য আরেক সিস্টেম আছে।
৫। লাইসেন্স ফি:লাইসেন্স গ্রহণকালে আবেদনকারী এককালীন ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান করে মূল কপি মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।
সিটিজেন জারনালিজমের আলোকে মত প্রকাশ এ উৎসাহী কিছু তরুণ খুব অল্প পুঁজিতে খুব অল্প কিছু পাওয়ার আশায়, নিজের বেডরুম থেকেই নিউজ পেপার চালু করে। এদের কেউ কেউ হয়তো কোনদিন তার আইডিয়া দিয়ে, তার উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে মেইন স্ট্রিম নিউজপেপার দের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে।ইমরোজ খালিদিরা এই তরুণদেরকেই ভয় পায়। এই তরুণরা হয়তো লাইসেন্স এর ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবেন, কিন্তু পাঁচ লক্ষ টাকা তাদের কর্নিয়া বেচলেও বের হবেনা। এই ক্লস এর মাধ্যমে খালিদি গ্রুপ শুরুতেই এইসব তরুণদের, এবং সিটিজেন ব্লগারদের, কম্পিটিশন থেকে সরিয়ে দিতে চায়। সরকার ও তাতে উপকৃত হয়, বিরোধী মত এর উন্মেষ অঙ্কুরেই বিনাশ করার মাধ্যমে।
৬। লাইসেন্স নবায়ন:
(ক) প্রতি বছরে সংশ্লিষ্ট খাতে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ফি প্রদান করে লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। সরকার প্রয়োজনে লাইসেন্স ফি পুন:নির্ধারণ করতে পারবে;
৭। জামানত:লাইসেন্স গ্রহণকালে অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পূর্বে প্রদত্ত আর্নেস্টমানি বাবদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা পরবর্তীতে জামানত হিসেবে গণ্য হবে;
পাঁচ লাখ এর পরে, আরও দুই লাখ জামানত আর পঞ্চাশ হাজার ইয়ারলি ফি। মোট সাড়ে সাত লাখ আপনাকে শুরুতেই দিতে হবে।
বদমাইশির একটা সীমা থাকা উচিত।
৯। লাইসেন্স স্থগিত-করণ ও বাতিলকরণ:সরকার নিম্নোক্ত এক বা একাধিক কারণে লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে:
(ক) লাইসেন্স/চুক্তি সংক্রান্ত সরকারের কোন পাওনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে;
(খ) বিটিআরসি প্রদত্ত কোন শর্ত ভঙ্গ করলে;
(গ) এই নীতিমালার কোন শর্ত/শর্তাবলি ভঙ্গ করলে; এবং
(ঘ) সরকারের অন্য কোন নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে।
উপরে খ তে খেয়াল করেন এই কালা কানুন বাদেও আছে, বি.আর.টি.সি এর নিয়ম।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হল ঘ।
এর কারণে সরকার যে কোন কারণেই লাইসেন্স বাতিল করতে পারে। কি অসম্ভব স্বৈরাচারী এই রকম একটা কথা একটা গণতান্ত্রিক সরকার আইনে রূপ দিতে চায়। সরকারের যে কোন নির্দেশ না মানলেই সরকার আপনার লাইসেন্স বাদ দিতে পারে।
কি অসম্ভব দেশে আছি আমরা।
১০। অনলাইন সংস্করণ পরিচালনা:
সরকার কর্তৃক অনুমোদন-কৃত বর্তমানে বিদ্যমান টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলসমূহ লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষকে অবহিত রেখে অনলাইন সংস্করণ পরিচালনা করতে পারবে। বিদ্যমান সংবাদপত্রসমূহ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত রেখে অনলাইন সংস্করণ পরিচালনা করতে পারবে।
এই ক্লস এ অনেক মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছে, খালিদি গং। মেইনস্ট্রিম কর্পোরেট মিডিয়আর অন লাইন সংস্করণ নিউজ পেপার এবং রেডিও টেলিভিশন এর পোর্টাল গুলো কে এই লাইসেন্স নেয়ার দায় থেকে বাহিরে রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে মেইনস্ট্রিম গনমাধ্যম এর সমালোচনা থেকে এই আইনকে বাঁচানো হইলো।
অন্যদিকে মেইনস্ট্রিম নিউজ পেপার গুলো এক দিক থেকে খুশি যে , অনলাইন/অ্যালটারন্যটিভ নিউজ মিডিয়া থেকে তারা যে একটা কমপিটিশন এর মুখে পরেছিলেন আর পরতে যাচ্ছিলেন তা থেকে তারা মুক্তি পেলেন। তাই এই ক্লস টার কারণে,মেইনস্ট্রিম নিউজ-পেপার এবং মিডিয়া এই বিষয়ে তেমন উচ্চ বাচ্য করবে বলে মনে হয়না।
তাই ব্লগার এবং অনলাইন একটিভিস্টদের নিজেদেরকেই এই আইন নিয়ে পথে থাকতে থাকতে হবে।
Blogger Armchair Economist as Guest Writer
মন্তব্য
অনলাইন গণমাধ্যমের সৈয়দীকরণের প্রথম ধাপ।
ফেসবুক বা ব্লগের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা কীভাবে প্রযোজ্য আমি বুঝতে পারছি না। এই নীতিমালা মেনে চলতে গেলে সবাইকে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বা কোনো ব্লগ খুলতে গেলে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। আর ব্লগ "গণমাধ্যম" নয়, সেটা ইনট্রিনসিক্যালি একজন ব্যক্তির পর্যবেক্ষণের প্রকাশিত রূপ। তথ্য বিশ্লেষণের অধিকার আমাদের চিন্তার অধিকার, যা সংবিধানের শুরুতেই সংরক্ষিত। সরকার চিন্তার প্রকাশের জন্য লাইসেন্স ইস্যু করতে পারে না।
অফলাইন খবরের কাগজ প্রকাশ করতে গেলে সম্ভবত (নিশ্চিত নই) কুড়ি টাকার স্ট্যাম্পের ওপর সইসাবুদ করতে হয়। সেখানে অনলাইন খবরের কাগজ প্রকাশ করতে গেলে কেন পাঁচ-সাত লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে? সেক্ষেত্রে সব অনলাইন খবরের কাগজওয়ালারা কুড়ি টাকা খরচ করে একটা অফলাইন খবরের কাগজের ডিক্লারেশন নিয়ে তার অনলাইন সংস্করণ চালাতে থাকবেন, যেটা এই নীতিমালা মতেই করা সম্ভব।
এই নীতিমালা যে প্রণয়ন করেছে, তার ব্যাপারে সরকারের উচিত সতর্ক থাকা। এবং তাকে আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহ করা।
হিমু ভাই,তাহলে কিন্তু দেশে লবণাল্পতা দেখা দেবে!
নির্ঝর অলয়
হিমু দা'র মত করে বলি:
এই নীতিমালা যে প্রণয়ন করেছে, তার ব্যাপারে সরকারের উচিত সতর্ক থাকা। এবং তাকে আয়োডিনযুক্ত লবণ সরবরাহ করা।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন