গানের রাজ্যে অন্যের সুর নিজের বলে চালিয়ে দেওয়াটা খুবই প্রচলিত একটা ঘটনা। সাধারণভাবে এগুলোকে ‘সুর চুরি’ বলা হয়। সাহিত্য বা সঙ্গীতে অন্যের রচনাকে নিজের বলে চালানোকেই কুম্ভিলত্ব বা কুম্ভিলকবৃত্তি বলা হয়। আমাদের আজকের বাংলা গান সারা পৃথিবীর সব রকম গানের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। বাংলা গানে একই সাথে মিশেছে ব্লুজ-কান্ট্রি সং থেকে শুরু করে বাউল-ভাটিয়ালী-কীর্তনের নানান স্রোতধারা। তানসেন থেকে বাক পর্যন্ত এবং এলভিস-ডিলান থেকে স্করপিয়ন পর্যন্ত সবরকম সুরই বাংলা গানে এসেছে নানান রচয়িতার মাধ্যমে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, ডি,এল রায়, থেকে শুরু করে সুমন, অঞ্জন, বাচ্চু, মাকসুদ, পার্থ সবাই নানারকম গান থেকে সুর সংগ্রহ করেছেন। শচীনকর্তা নিয়েছেন লোকগান আর রবিঠাকুরের গান থেকে, তাঁর পুত্র নিয়েছেন রবিঠাকুর থেকে এলভিস পর্যন্ত সারা দুনিয়ার সুর থেকে। উপমহাদেশে চলচ্চিত্রে ফিউসনের জনক সলিল চৌধুরী পাশ্চাত্যের ক্ল্যাসিকেল থেকে শুরু করে দরবারী কানাড়ার মত ভারী রাগেও গান তৈরি করেছেন। এদের সবাই কি তাহলে চোর? মনে পড়ছে পার্থ বড়ুয়া আমাকে একবার বলেছিলেন, “রবীন্দ্রনাথ করলেই অ্যাডপটেশন আর আমি করলেই চোর- এ কেমন নীতি? গানের ভূবনে কোনটা কুম্ভিলকতা আর কোনটা আত্মীকরণ তার নিরূপণ আসলেই ভীষণ কঠিন ব্যাপার। তাহলে কি রবীন্দ্র-নজরুলের মতো মহান স্রষ্টারাও কুম্ভিল? রবীন্দ্রনাথকে ‘চোর’ বলে গালি দিলেও আনন্দ, কারণ তাতে বিস্তর প্রচার! সে তুলনায় নজরুল গালি কম খান, পাবলিসিটি তুলনামূলকভাবে কম বলে, যদিও ভাঙা গানের সংখ্যা তাঁরও কম না! এ লেখায় আসলে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো কঠিন, কিন্তু কুম্ভিলতার প্রচলিত সংজ্ঞা নিয়েও কিছু সংশয় থেকেই যায়। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
আলোচনার শুরুতেই দেখে নেয়া যাক কুম্ভিলতার সংজ্ঞা কীঃ
বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভিধান বলছে, “ কুম্ভিল, কুম্ভিলক- যে লেখক অন্যের গ্রন্থের ভাব-ভাষা চুরি করে নিজের নামে চালায়।”
সংসদ বাঙ্গালা অভিধান বলছে, “কুম্ভিল, কুম্ভিলক, কুম্ভীলক- চোর; যে অপরের রচিত সাহিত্য হইতে ভাব-ভাষা প্রভৃতি চুরি করিয়া নিজের বলিয়া চালায়,” শ্যালক, শালমাছ।
অক্সফোর্ড অ্যাডভান্সড লার্নার্স ডিকশনারি বলছে, “plagiarise- to copy another person’s ideas, words or work and pretend that they are your own.”
উইকি বলছে, “Plagiarism is defined in dictionaries as the "wrongful appropriation," "close imitation," or "purloining and publication" of another author's "language, thoughts, ideas, or expressions," and the representation of them as one's own original work,[1][2] but the notion remains problematic with nebulous boundaries.”
অর্থাৎ মোদ্দা কথায় অপরের সৃষ্টি বিনা অনুমতিতে নিজের নামে চালালে বা অত্যন্ত মূলানুগ অনুকরণ করলে সেটাকে কুম্ভিলকবৃত্তি বলা হয়। আমার মতে এখানে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ কথাটাও লাগানো দরকার। কারণ অনেক সময় বিনা চুরিতেও একই সময়ের বা বিভিন্ন সময়কালের ভিন্ন ভিন্ন সাহিত্যিক ও সঙ্গীতকারদের সৃষ্টিতে “ভাবগত” প্রায় অবিকল সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়, যা আসলে চৌর্যবৃত্তি নয়। যেমন উস্তাদ বিলায়েত খান দেখিয়েছেন যে, চারশো বছর আগেই তানসেনপুত্র বিলাস খান ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিকেলের কম্পোজিশনগুলোর অনুরূপ সুর সৃষ্টি করেছেন তাদেরও দুশো বছর আগে। মোৎসার্ট বা বিটোভেন কিন্তু বিলাসখানী তোড়ি শোনেন নি। আমার বাল্যবয়সের দুটো অর্বাচীন রচনায় যথাক্রমে বঙ্কিম ও মানিকের অক্ষম অনুরণন পেয়েছি পরবর্তীতে, ওসব পড়ার পর! এই ‘অনিচ্ছাকৃত’ মিলগুলোকে কিন্তু সংজ্ঞা অনুযায়ী কুম্ভিলবৃত্তিই বলতে হয়! তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, ব্যাপারটা যথেষ্ট ধোঁয়াটে।
আমাদের জাতীয় সঙ্গীতের সুরটা কি আসলে চুরি না আত্মীকরণ? এর নিরপেক্ষ বিচার হওয়া উচিত। সত্যিই তো রবীন্দ্রনাথ আর পার্থ বড়ুয়াকে আলাদা মাপকাঠিতে বিচার করাটা শিল্পের রাজ্যে বর্ণাশ্রমের মতই একটা বর্বরোচিত প্রথা। এমনও লেখা দেখেছি যেখানে বলা হয়েছে যে, জমিদার কবি নাকি তাঁর গরীব প্রজার সৃষ্টি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। রবিঠাকুরকে নিরপেক্ষভাবে বিচার করা একাধারে কঠিন এবং অত্যন্ত বিরল একটি বিষয়। কারণ ফ্যাশন আছে দুটো- এক, রবীন্দ্র স্তাবকতা এবং দুই, রবীন্দ্রবিদ্বেষ। দুটোর মাঝামাঝি কিছুর অস্তিত্ব সমালোচনার জগতে মেলা ভার। যেমন সুনীল-শক্তিরা যৌবনে রবীন্দ্ররচনাবলিকে ধূলিস্যাৎ করে উত্তরযৌবনে তাঁর গীতসুধারসে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়েছেন। রবীন্দ্রনাথও সরে এসেছিলেন কৈশোরের মাইকেল-বিরোধিতা থেকেই। রবীন্দ্রনাথ মদ খেতেন কিনা এমন একটা মামুলি ব্যাপার নিয়ে ডঃ আহমদ শরীফের মতো পণ্ডিত ব্যক্তিও ঝাঁঝালো সমালোচনা করেছেন। অথচ মাতলামি করে কারো সর্বনাশ না করলে মদ খাওয়াটা ঠিক কী ধরনের অপরাধ তা আমার জানা ঙেই! যাই হোক রবীন্দ্রনাথের ওই গানটা আসলে কুম্ভিলকবৃত্তি নয় – এ কথা বললে আমায় আবার রবীন্দ্রস্তাবকদের দলে ফেলে দেবেন না যেন, কারণ ওই বলয়ে আমি নিতান্ত রবীন্দ্রবিদ্বেষী হিসেবেই পরিচিত! প্রথমত রবীন্দ্রনাথ গানটির সুর প্রসঙ্গে বলেছেন ‘বাউল’ সুর –অর্থাৎ নিজের মৌলিক সুর বলে চালাননি। দ্বিতীয়ত, গগন হরকরা ছিলেন লালনের এক ভক্ত শিষ্য এবং তার ‘আমি কোথায় পাব তারে’ গানটি বাউল সুরের থেকে আলাদা কোন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নয়। তৃতীয়ত, শ্রদ্ধেয় অমর পাল মহাশয় যে গগন হরকরার করা আসল প্রামাণ্য সুরটিই গেয়েছেন তার প্রমাণ কি? বাউল গানের প্রামাণ্য সুর অতি দুর্লভ। কাজেই অমর পাল যে পরবর্তীতে ‘আমার সোনার বাংলাকে’ মডেল করেই গাননি –তাই বা কে বলবে? অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ হয়তো কিছুটা পরিবর্তিত আকারে সুরটা নিয়েছিলেন কিন্তু এখন যেহেতু আমরা ‘আমার সোনার বাংলা’ ই গেয়ে এবং শুনে থাকি কাজেই মূল গানটা গাইবার সময় এখন আর পরিবর্তন থাকলেও সেটা আলাদা করা কঠিন। ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ বা ‘কতবার ভেবেছিনু’ –এসব গানও কি চুরির পর্যায়ে পড়ে? এগুলোর সবই ঋণ স্বীকার করে নেয়া এবং হুবহু অনুকরণ নয়।
আবার রাগসঙ্গীতের বন্দিশ থেকে সুর পুরোপুরি বা আংশিক অনুকরণ করলেও সেটাকে অনেকেই চুরি বলেনা। কারণ রাগসঙ্গীতের সুর নাকি ‘প্রচলিত’ এবং তাই জনগণের সম্পত্তি, কারো ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি নয়। কিন্তু আসলেই কি তাই? ইমনের অতি প্রচলিত ধ্রুপদ ‘চরণন সুখ চিরঞ্জীব’ বা ভৈরোঁর ‘সঘন বন ছায়ো’ কি তানসেনের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি নয়? রবীন্দ্রনাথ মূল গানের প্রতি ঋণ স্বীকার করে ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ বা ‘বাণী তব ধায়’ রচনা করলে তখন চুরির অভিযোগ কেন ওঠে না? এগুলোর সুর প্রচলিত বলে? তাহলে বিনীতভাবে জানাতে চাই যে এই গান দুটিও যথাক্রমে হরিদাস স্বামী এবং ক্ষেমরসিক নামের দুইজন, গগন হরকরার চেয়েও গরীব সঙ্গীতগুণীর ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি ছিল! রাগসঙ্গীত কিন্তু পল্লীসঙ্গীতরূপ কৃষক পিতারই শিক্ষিত, মার্জিত সন্তানতুল্য! কাজেই তার রূপটা আরো সুসংহত এবং কম্পোজারের নাম জানাটাও রবিঠাকুরের কাছে কঠিন কিছু ছিল না। কিন্তু ওসব গানের ক্ষেত্রেও তো তিনি স্রেফ রাগের নাম বা মূল গানের নাম স্বীকার করেই খালাস, মূল স্রষ্টার নাম করেননি। তখন কেন চুরির অভিযোগ উঠবে না? বিশেষত, যদুভট্ট তো তাঁর পিতার বেতনভূক গাইয়েই ছিলেন! তাই বলে কি তাঁর সৃষ্টিকেও নিজের বলে ভাবা জায়েজ? নজরুলের বেশ কিছু বিখ্যাত বাংলা খেয়াল আগ্রা ঘরের খেয়াল বন্দিশ ভেঙে সৃষ্টি। বেশ কয়েকটির কম্পোজার আফতাব-এ-মৌসিকী উস্তাদ ফৈয়াজ খান সাহেব। যেমন ফৈয়াজ খাঁ তথা ‘প্রেম পিয়া’ র জয়জয়ন্তীর বিখ্যাত দ্রুত বন্দিশ ‘মোরে মন্দর অব লোঁ’ ভেঙে আরো সুন্দর কথার ‘মেঘমেদুর বরষায় কোথায় তুমি।’ নজরুল নিজে কিন্তু নাম বলেননি! সব গান নিয়ে বলতে গেলে একটা পুরো বই হয়ে যাবে এবং তেমন বই বাজারে দুর্লভ নয়। আমি শুধু অতি প্রচলিত দু একটি উদাহরণ দিলাম। রাগসঙ্গীতের জগতেও কিন্তু কুম্ভিলকতার উদাহরণ বিরল নয়। বেশি পুরনো এবং তখল্লুস বিহীন বন্দিশগুলোকে অনেকেই নিজের নামে চালাতেন। তাই সেকালে তখল্লুস বা পেন-নেমের ভীষণ চল ছিল। যুগন্ধর শিল্পী উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খান একবার বলেছিলেন-“আমি এমন পাপী নই, যে বুজুর্গদের বন্দিশ নিজের বলে চালাবো!” রাগসঙ্গীতের অফুরন্ত বিস্তারের সম্ভাবনা থাকলেও মূল বন্দিশটি আসলে সুসম্বদ্ধ কম্পোজিশন এবং সেটার সত্বাধিকার সম্পূর্ণ ভাবে রচয়িতার। কাজেই অন্যের সুর থেকে সুর সংগ্রহ করলে উৎস রাগসঙ্গীতের বন্দিশ হলেও শুধু 'প্রচলিত' বলেই কিন্তু পুরোপুরি দায়মুক্ত হওয়া চলে না! কাজেই গগন হরকরার গানের সুর ‘বাউল’ বলে গ্রহণ করলে সেটা যদি চুরি হয়, তবে স্বরলিপিতে শুধু রাগের নাম উল্লেখ করে ত্যাগরাজ, তানসেন, যদুভট্ট, ফৈয়াজ খাঁর কম্পোজিশন গ্রহণ করাও চুরি। অর্থাৎ কট্টরভাবে কুম্ভিলকবৃত্তির সংজ্ঞা মানলে রবীন্দ্র-নজরুল বিরচিত সঙ্গীতের একটা বড় অংশকেই চুরি বলতে হয়, স্বীকার করা গুলোকে আত্মীকরণ মেনে নেবার পরও। আংশিক স্বীকার্যসমন্বিত গানগুলোকে কী বলব? সব তো এঁরাও স্বীকার করে যান নি, পরে উদঘাটন করেছেন বিভিন্ন সঙ্কলকেরা, সেই সাথে নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম ও অবসান ঘটেছে!
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, কুম্ভিলকতা আর আত্মীকরণের সীমারেখাটা খুব ঝাপসা, অনেক ক্ষেত্রেই। প্রশ্নটা সহজ কিন্তু উত্তর অ-জানা! রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের আগে বাংলা গানে সুরের দীনতা ছিল অত্যন্ত লক্ষণীয়। মূলত এই দুইজনের সোনার কাঠির স্পর্শেই বাংলাগান বিশ্বসঙ্গীতের বিপুল সৌন্দর্য আহরণ করে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। কাজেই বাংলা গানের সুরের জগৎকে ঋদ্ধ করবার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বদলে তাদেরকে কুম্ভিলক আখ্যা দেওয়া নিতান্ত অনুচিত। অনেক ক্ষেত্রেই প্রাসঙ্গিক অন্য লেখায় তাঁরা ঋণ স্বীকার করেছেন, বা তাঁদের কাছে শুনে সঙ্কলকেরা মূলের প্রতি ঋণ স্বীকার করেছেন। তাছাড়া ভাঙা গানে তাঁরা যে কাব্যগুণের সঞ্চার করেছেন, তার মূল্যও দেয়া উচিত, কারণ সর্বোপরি এগুলো কাব্যসঙ্গীত। যেকোন শিল্পী, সাহিত্যিক বা সঙ্গীতস্রষ্টা যদি মূলের প্রতি ঋণ স্বীকার করে তার আধারে নতুন কিছু সৃষ্টি করে- তবে তাকে কুম্ভিলক বলা ঠিক হবে না। আমি তাই রবিঠাকুর, নজরুল, আর,ডি, বর্মন; সলিল, সুমন চাটুয্যে, পার্থ বড়ুয়া বা মাকসুদ – কাউকেই চোর বা কুম্ভিল বলার বিরোধী যতক্ষণ তারা মূলের প্রতি ঋণ স্বীকার করছেন। ‘আমার সোনার বাংলা’র সুরের ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ কেন গগন হরকরা রচিত ‘বাউল সুর’ উল্লেখ করেননি, সেটা রবীন্দ্রগবেষকরা বলতে পারবেন। তবে ত্যাগরাজ-তানসেন বা ফৈয়াজ খাঁর মত মহীরূহের গানও যদি নামোল্লেখ না করে ‘প্রচলিত’ বলে চালিয়ে দেয়া যায় তবে গগনবাবুর গানখানাকে ‘বাউল’ বলে চালানো বোধহয় কুম্ভিলকতার নিদর্শন নয়। আর যদি অভিযুক্ত করতে হয় তবে উৎস অস্বীকার করা বা আংশিক ভাবে স্বীকার করা সব ভাঙা গানের জন্যই রবিঠাকুর ও নজরুলকে কুম্ভিলকতার দায়ে অভিযুক্ত করতে হবে। এটা অবশ্যই অনু মালিকের মাইলসের গান চুরি করে চালিয়ে দেয়ার মত সহজ ঘটনা না!
তথ্যসহায়িকাঃ
১। ব্যবহারিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি
২। সংসদ বাঙ্গালা অভিধান, সাহিত্য সংসদ
৩। Oxford Advanced Learner’s Dictionary
৪। উইকিপিডিয়া
৫। সঙ্গীতচিন্তা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬। ছিন্নপত্রাবলী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭। রবীন্দ্রসঙ্গীতকোষ -সুরেন মুখোপাধ্যায়
৮। নজরুল গীতি প্রসঙ্গ- করুণাময় গোস্বামী
১০। উস্তাদ ফৈয়াজ খাঁ ও আগ্রা ঘরানার প্রকাশিত ও ঘরোয়া অজস্র রেকর্ড
১১। রূপান্তরী, সিডি।
নির্ঝর অলয়
মন্তব্য
কয়েকটা বেপার নিয়ে প্রশ্ন করবো। তবে সময়ের অভাবে আপতত এইটুকুই বলে গেলাম।
লেখা দারুণ পছন্দ হয়েছে।
সঙ্গীতের ওপর আপনার জানাশোনা বেশ।
দারুণ লাগলো পড়ে।
সৌরভ কবীর
"পরদেশী মেঘ যাও রে ফিরে, বলিও আমার পরদেশীরে ,,," এটাওতো তাহলে মেঘদুত থেকে চুরি! নিচের লিঙ্ক টা দেখ।
http://www.itwofs.com/hindi-rdb.html
লেখাটা চমৎকার লাগল। বোঝাই যায় গানের উপর আপনার পড়াশোনা বিস্তর।
আমার ব্যক্তিগত মতটা আপনার মূল বক্তব্যের মতইঃ আদি সুরের/লেখার প্রতি ঋণ স্বীকার করা হলে সেইখানে আর কুম্ভীলতার স্থান রয় না। রবি ঠাকুর থেকে শুরু করে অনু মালিক হয়ে যদু-মধু-কদু, যে কোন সঙ্গীতানুরাগী তাঁদের অনুপ্রেরণা খুঁজে পেতে পারেন অন্য কারো সৃষ্টিতে। সেই সুর/কথাকে কে আধার করে সৃষ্ট সুর/কথা নিঃসন্দেহে 'অনুপ্রানিত' গোত্রের মধ্যে পড়বে। এর পরে আসছে ঋণ-স্বীকারের কথা। যারা ঋণ স্বীকার করবেন তারা কুম্ভিলতার দোষে দুষ্ট নন মোটেও। যারা করবেন না তাদেরকে অনু মালিকের মত গালমন্দ শুনতে হবে বৈকি।
এই প্রসঙ্গে এইটে বলা যায়ঃ
অন্য কারও সুর শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব্য সৃষ্টি + ঋণ স্বীকার = অনুপ্রাণিত
অন্য কারও সুর শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে নব্য সৃষ্টি + ঋণ অস্বীকার = অনু-মালিকত্ব
সহমত।
ধন্যবাদ। না গান নিয়ে আমার পড়াশোনা বিস্তর নয়। আমি সঙ্গীতের প্রায়োগিক দিকের ওপরেই বেশি গুরুত্ব দিই, যদিও সঙ্গীত আমার পেশা নয়, কিন্তু শখের চেয়ে অনেক বড়।
আপনার সমীকরণ খুব পছন্দ হয়েছে।
দারুন লাগল।
আরো লিখুন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ। কিন্তু সবুজ দ্বীপ ছেড়ে পাহাড়ে কেন??
নির্ঝর অলয়
এখানে দ্বীপ নেই যে; খালি পাহাড় আর পাহাড়।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আশা করি আপনার কাছ থেকে আরো এমন লেখা পাবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন