চায়ের কাপে চুমুক দিয়া কুদ্দুস আলী বললেন,“বুঝলা আনিস,তোমাগো সংগঠনে নাম না দিলে আর চলেনা,সংগঠন কইরা আজকাইল তুমি ফাকিস্থান নিয়া কি সুন্দর কইরা গুছাইয়া কথাবার্তা কও।আমার দিলে ফাকিস্থান কিন্তু ফাকিদের পক্ষে কথা কইতে গেলেই খালি পাকাইয়া যায়।কি যে করি!!”
আনিস হাসি দিল,“পাকানোর কিছু নাই স্যার,দাঁড়ান আপনেরে ফকফক্কা কইরা বুঝাইয়া দেই।এই যেমন ধরেন পুরুষের আসল জিনিস হইল গিয়া তার ধন।ধন ছাড়া পুরুষ অচল।হাত ছাড়া আমাগো চলতে পারে,পাও ছাড়াও চলতে পারে,কিন্তু ধন ছাড়া??একদম চলবো না।”
কুদ্দুস আলী বিরক্তমুখে বললেন,“ওরে বাছা ধন!!তোমারে যাই জিগাই তুমি খালি ধন টাইনা আনো।আচ্ছা,হাত পাও ছাড়া চলবা ক্যামনে শুনি!!”
আনিস থতমত খেলেও খেই হারাল না,“না,মানে স্যার,পায়ের বদলে বিয়ারিং এর চাক্কাই তো যথেষ্ট।”
“আর হাত??” কুদ্দুস আলীর নরম জিজ্ঞাসা।
আনিসের মুখে চিন্তার ছাপ,“স্যার,হাত জিনিসটা অবশ্য খুবই দরকারি কিন্তু বিয়ার পরে তো আর লাগেনা।”
কুদ্দুস আলী হুঙ্কার দিলেন,“বিয়া না কইরাই হুদা ডাইলগ দিবানা কইলাম!!মনে রাখবা সব কিছুর বিকল্প হইতে পারে কিন্তু হাতের কোন বিকল্প নাই।আজাইরা কথাবার্তা আমাকে বলবা না।আমি তোমার বস।প্রমাণ সহ বুঝাইয়া কথা বলবা আমার সাথে।একটা সিরিয়াস আলাপ করতাছি আর তুমি ধন নিয়া হুদা মশকরা মারতেছ!!”
আনিস প্রমাণ গুছিয়ে বলল,“ধনের চেয়ে বড় সম্পদ আর নাই স্যার।এইযে বৌ মারা যাওয়ার সাথে সাথেই সাতান্ন বৎসর বয়সের আপনি উনিশ বছরের একটা সুন্দরী গ্রামের মেয়েরে বিয়া করলেন কিংবা করতে পারলেন সেইটাতো আপনার ধনের জোরেই,নাকি!!”
কুদ্দুস মিয়া থতমত খাইলেন,“আরে,তুমিও না!!সবকিছুর প্রমাণ দিতে বলছি নাকি!!ধন যে বিশ্বসংসারের ইয়োগা মেরে কিছু রাখতেছেনা এইটা তো ইউনিভার্সাল ট্রুথ।নেও যা বলার প্রমাণ ছাড়াই বলো।”
“তো বলতেছিলাম,এইযে স্যার আপনার ধনের ভিত্তিপ্রস্তর নইড়া যাওয়ার পরও আপনি বিয়া করলেন এইটার ফলে ধনতন্ত্রে...” কুদ্দুস আলী আনিসকে শেষ করতে দিলেন না,“আনিস,আমার বউকে তুমি দেখছ??”
“জি স্যার,সেইদিন সিনেমা হল থেইকা বের হওয়ার সময় আপনার পাশে ভাবিকে দেখলাম।পুরাই বাতাবী লেবুর মত সামনের...”,আনিসের মাত্রা সামলাইতে কুদ্দুস আলী ধমক দিলেন,“আহ!!আনিস!!ফাকিস্থান নিয়া জানি কি বলতেছিলা??”
আনিস বাতাবী লেবুর বর্ণনা ঠিকঠাক দিতে নাপারার কষ্টে শুরু করল,“তো স্যার যা বলতেছিলাম,ধনই আসল জিনিস।সেইরকম এই ফাকিস্থানিরা হইল গিয়া আমাদের আসল ভাই মানে ধনের ভাই,আদর কইরা বললে সুনাভাই।”
কুদ্দুস আলী এক রাম ধমক লাগাইলেন,“বেয়াদপ!!উনাদের জাতভাই,ধর্মভাই না বলে সুনাভাই বলতেছ কেন??আদব লেহাজ নাই??”
আনিস চিপায় পড়ার মত মুখ করে বলল,“স্যার,পুরান ডাক দিয়া আর কত্তদিন!! পাবলিক ডিমান্ড বইলা একটা জিনিস আছেনা??নতুন যুগে নতুন ডাক চালু করতে হবেনা??”
“তাই বইলা সুনাভাই!!”,কুদ্দুস আলী অবাক।
“স্যার ফাকিদের সাথে ধর্ম বাদে আমাগো যেইখানে মিল আছে,তা হইল এই সুনা।এই জইন্যই ফাকিরা হইল আমাগো সুনাভাই আর ফাকিস্থান হইল সুনাস্থান।তবে ভয় নাই,স্যার।সুনার বাঁধন খুব শক্ত।সব বাঁধন ছিঁড়া গেলেও সুনার বাঁধন আটকায় থাকবে,আমরা আটকায় রাখব।”
সুনাবন্ধনের গভীরতা বুঝে কুদ্দুস আলী থামলেন।আনিস বলতে লাগল,“শুধু ফাকিস্থানিরা না স্যার,যারা ফাকিস্তানকে ভালোবাসে তারা সবাই স্যার আমাদের সুনাভাই।যেমন ধরেন আমি,আপনি,সুনা ব্লগের সুনা-মুণিরা হইলাম গিয়া সুনাভাই।তবে সুনাভাইদের গ্রুপে ঢুকতে চাইলে ঠ্যালা আছে স্যার।বহুত নিয়ম কানুন আছে কিনা।”
ইঙ্গিত বুঝে কুদ্দুস আলী জোর দিয়া চিৎকার দিলেন,“আরে!!নিয়ম কানুন কোন ব্যাপার!!আমাকে আজকেই তুমাদের সুনাগ্রুপে নিয়া নেও,সুনানিয়ম আমি সবই মানব।”
আনিস এই ধান্দাতেই ছিল,“আপনার মত সুনার মানুষ আজকাল পাওয়াই যায় না,স্যার।এই ফর্মে একটা সাইন আর টিপসই দেন।এই ‘সুনা নিয়মকানুন’ বইটাও স্যার আপনি রাখেন,কখন লাগে কে জানে!!”
টিপসই দিতেই আনিস হাততালি দিল,“স্যার,আইজকা থিকা আমরা ‘সুনা নিয়মকানুন’এর বন্ধনে আবদ্ধ,সুনাভাই।সুনাভাইদের মইধ্যে সম্পর্ক থাকতে হবে সুনায় সুহাগা।আসেন সুনাভাই,কোলাকুলি করি।”
কোলাকুলি শেষে সুনাভাই হবার তৃপ্ততায় কুদ্দুস আলী গরম কফিতে চুমুক দিয়ে শান্ত ভঙ্গিতে অন্য আলাপ শুরু করল,“তো আনিস,সেইদিন তুমিও সিনেমা দেখতে গেছিলা নাকি??তোমারে তো ছবি শুরুর আগে কোথাও দেখলাম না।”
“না,মানে একটা ফ্রি টিকিট পাইছিলাম।দেড় ঘণ্টার ছবি।জামে পইড়া গেছিই এক ঘন্টা পরে।তবে স্যার পয়সা উসুল।”,আনিসের হাত চুলকানো জবাব।
কুদ্দুস আলী বিষণ্ণ গলায় বলল,“হুম,শেষটা খুব ভালো ছিল,না??আমি ঐ শেষটুকুই দেখতে পারিনাই,আফসোস।”
আনিস জিহ্বা দিয়া লুল টান দিয়া একটা শব্দ করে হাসি দিল,“আরে,স্যার ছবি দেখছে কেডায়??আর আমিওতো ছবি শেষ করতে পারি নাই।”
কুদ্দুস আলী থতমত খাইলেন,“মানে??”
আনিস সেইদিনের বয়ান শুরু করল,“ঢুইকাই স্যার মাঝের ফাঁকা সিটে বইয়া পড়লাম তাড়াতাড়ি।বিদেশী ছবি মানুষ দেখে,স্যার??মাইয়াগো কাপড় চোপড়,আস্তাগফেরুল্লাহ!!অল্প একটু দেইখাই বিনা ঝাঁকিতে জিনিস পত্তর সব খাড়ায় গেছে।এমুন সময় পাশের মাইয়া দেখি আমার হাতে চিমটি দিয়া কয়,‘খেলবানা??’ ”
-“তারপর??”
-“আরে,ছাইড়া দিমু নাকি!!সুনানিয়মে চিমটাইলে খামচি দেওয়ার নিয়ম,তাই মাইয়ার হাতে একটা হালকা খামচি দিছি,এমন সময় মাইয়া দেখি হাতে না,একেবারে জায়গামত চাইপা ধরছে।”
-“তারপর??”
-“স্যার,‘সুনা নিয়মকানুন’এ চিমটাইলে খামচি আর চাইপা ধরলে জাইত্যা ধরার নিয়ম।”
-“মানে??”
“হাতের কাছে মাইয়ার যা কিছু পাইলাম জাইত্যা ধরলাম।”,আনিসের চোখে মুখে তৃপ্তি।
উত্তেজনায় চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়েছেন কুদ্দুস আলী,“তারপর??তারপর??”
“এরপর মাইয়া স্যার কয়বার দুষ্টু বইলা একটু পরে পরে আমারে হেব্বি চিমটি আর সুড়সুড়ি দিল আর আমিও সাচ্চা সুনাভাইয়ের মত সুনানিয়মে চালাইতে লাগলাম।”,আনিসের চোখেমুখে লজ্জা।
-“খালি দুষ্টু কইল?”
-“না স্যার,প্রত্যেকবার আমারে চিমটি দেওয়ার লগে ফিসফিস কইরা আরেকটা কি জানি কইছিল।”
-“কি কইছিল??”
-“কি জানি কইছিল!!ভুইলা গেলাম,ই ই ই...”
-“ইচিং বিচিং??!!”
-“হ হ,ইচিং বিচিং!!কিন্তু স্যার,আপনে জানেন ক্যামনে??”
কুদ্দুস আলী কাপটা আনিসের মাথা বরাবর ছুড়ে মারলেন,“হারামজাদা!!পেট খারাপের জন্য শেষ আধঘন্টায় বাথরুমে থাকছি আর তুই আমার জায়গায় গিয়া বইসা আমার বৌয়ের লগে ইচিং বিচিং খেলছস??”
“আপনার বৌ??ইচিং বিচিং খেলা??”,আনিস আকাশ থেকে পড়ল।
-“বেশিক্ষণ জাইগা থাকতে পারিনা বইলা বৌ আমারে জাগায় রাখতে এই খেলাটা বাইর করছে।তারপর কয়দিনে বৌয়ের এমন অভ্যাস হইছে,যেইখানেই যায়-অন্ধকার পাইলেই একটু পরেপরেই খালি ইচিং বিচিং খেলতে চায়।এইজন্যই কমবয়সী মাইয়া বিয়া করতে নাই।”
-“জব্বর খেলা বানাইছে স্যার,আহ!!দুনিয়ার সকল বৌ যদি এইভাবে খেলাটা আয়ত্তে আনতে পারত তাইলে সিনেমাহল গুলা আমার মত সুনাভাই দিয়া ভইরা যাইত!!”
কুদ্দুসের গলা উঠল,“হারামজাদা!!তোরে আমি চাকরি দিলাম আর তুই আমার বৌয়ের লগে ইচিং বিচিং খেইলা বেড়াস।”
আনিস বোঝানোর ভঙ্গিতে,“চেইতেন না স্যার,বেশিক্ষণ তো আর খেলি নাই।বিশ মিনিট পরে আর কুলাইতে না পাইরা বাথরুমে গেছিলাম,ফেরত আইতে আইতে ছবি শেষ।মাবুদ বাঁচাইছে।নাইলে তো ইচিং বিচিং শেষ কইরা চিচিং ফুও খেইলা ফালাইতাম।”
কুদ্দুস আলী কিচ্ছু শুনলেন না,“আমার বৌয়ের লগে ইচিং বিচিং খেলা??আমার ছোট ভাই দুইটা পলিটিক্স করে,মারাত্মক চিজ।এমন দুইটা পলিটিকাল মিথ্যা মামলায় ঢুকায় দিব যে বাকিজীবন চিচিং ফু জেলখানায় গিয়া খেলবি হারামজাদা!!”
কুদ্দুস আলী ভাইদের ফোন করতে উদ্যত হলে আনিস চিৎকার করল, “পলিটিক্স!!এইটা করলে আপনার সুনায় গজব পড়ব স্যার।আপনি সুনানিয়মকানুনের পয়লা নিয়মই মানতেছেন না।”
সুনা আর সুনাভাইত্ব কোনটাই কুদ্দুস হারাতে চাননা,“পয়লা নিয়মটা কি??”
আনিসের উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে কুদ্দুস আলী সাথে সাথে “সুনা নিয়মকানুন” বইটি টেনে নিয়ে প্রথম পাতার প্রথম নিয়মে চোখ বুলালেন,বড় অক্ষরে লেখা____________
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
আগের পোস্ট________
বিখ্যাতির বিড়ম্বনা!!!
সুরুজ মিয়ার টেলিভিশন
চোর,ডাকাত কিংবা পুলিশের গল্প
মন্তব্য
খানিক অস্লিল হলেও মজা পাইলাম
বাবুরাম সাপুরে
বেশ কয়েকটা ট্যাগ দিয়েছেন, তার মধ্যে আছে রম্যরচনা। আজাইরা বা হিজিবিজিও আছে, হইছেও তাই। কিন্তু রম্য কোথায়? ফাকিস্থান দিয়ে শুরু করে পরে সিনেমা হলের অন্ধকারে অপরিচিত মহিলার সাথে যেসব বর্ণনা দিলেন, এতো দেখি গুপ্তের গল্প ফেদে বসেছেন!! পরে আবার খেলার সাথে রাজনীতি না মেশানোর পুরাতন জামাতী কায়দাটা উল্লেখ করে কি করতে চাইলেন কিছু বুঝলাম না! এইটা কি খেলা আর রাজনীতি না মেশানোর ঐ জঘন্য মতবাদটা জাস্টিফাই করার নতুন কায়দা? কিস্যু হয় নাই + অরুচিকর পোস্ট
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
প্রকাশভঙ্গীটা ভালো হয়নি, তবে লেখক মনে হয় এই মতবাদকে জাস্টিফাই করতে চাননি, বরং এই মতবাদকে ব্যাঙ্গ করতে চেয়েছেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পুরা লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছিলো গাছেও ধরে নাই, তলায়ও পড়ে নাই। কনফিউজ হয়ে গেছিলাম। আবার পড়লাম। সেই সাথে কেটেও পড়লাম
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লেখার মান (কিস্যু হয়নাই) নিয়ে আপনার মন্তব্য শিরোধার্য।পাঠক লেখার মানে বুঝতে নাপারলে তার দায়িত্ব লেখেকের উপরেই বর্তায়।আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
কিন্তু গুপ্তের গল্প ফেঁদে বসলেই ব্যাপারটা অরুচিকর হয়ে যায় কি!!
এই ফাকিদের পরিচয় আপনি কিভাবে দেবেন জানিনা কিন্তু সুন্দর করে দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।এদের নিয়ে কিছু বলতে বা লিখতে গেলে এর চেয়ে রুচিকর কথাবার্তা আমার মাথায় কিংবা মুখে আসেনা এবং সত্যি বলতে কি,এই ব্যাপারে নিজের রুচিবোধের এই ভয়ংকর ভগ্ন দশা দেখেও আমার মনে একটুও অপরাধবোধ জাগেনা।এইসব বান্দাদের এর চেয়ে ভালো ভাষায় কিংবা ভাবে আমি কল্পনা করতে পারিনা।তাই এদের নিয়ে লিখতে গিয়ে অরুচিকর গুপ্তকে গুরু মানতে আমার মনে কোন দ্বিধা হয়নি বরং মনে হয়েছে গুপ্তের গল্পের অরুচিকর নোংরা চরিত্রগুলোই এদেরকে ঠিক মানিয়ে যায়।
আর আপনার মত সকলেরই যদি লেখা পড়ে মনে হয় আমি জামাতিদের জাস্টিফাই করতে চাইছি তাহলে লেখাটা সরিয়ে দেবার জন্য আমি নিজে মড্যুদের আবার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ।
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
পরিস্কার করার চেষ্টা করি। এদের রুচিবোধের ভগ্নদশা দেখে আপনার মনে অপরাধবোধ জাগুক তা চাই না। তবে এদের চরিত্র আঁকতে যেয়ে আপনি গল্পটা অন্যদিকে নিয়ে গেছেন। আমার মনে হয়েছে। উপরে দেখুন, গল্পের বেশির ভাগটা আপনি ব্যবহার করেছেন
ইত্যাদির ব্যাখ্যায়।
পাকিদের আর তাদের বেজন্মা লেজুড়গুলোকে গালি দেওয়ার জন্যে বা স্যাটায়ারের জন্যে ঘুরিয়ে প্যাচ দেওয়ার দরকার নাই সেটাও বলছি না। স্যাটায়ারের জন্যে সেটা করতেই পারেন। কিন্তু স্যাটায়ার করতে যেয়ে এটাওতো লক্ষ্য করা দরকার যে লেখার টোন/ফোকাস অন্য দিকে চলে যাচ্ছে কিনা। লেখক হিসাবে আপনি লিখেছেন। তেমনি পাঠক হিসাবে আমি সময় নিয়ে লেখাটা পড়ার পর যখন কিচ্ছু ধরতে পারি নাই, তখন বিরক্ত হয়েছি। একই সাথে লেখাটার শেষে এসে এত কনফিউজ হয়েছি যে বিরক্ত হয়ে ওই জামাতী মত জাস্টিফিকেশনের কথা বলেছি। এটা আমার মতামত ছিল, এজন্যে সচলের অন্য পাঠকদের এর সাথে জুড়ে দেয়াটা ঠিক হবে না। লেখা সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলছি না। মডুরামেরা নিশ্চয়ই তাদের কাজ জানে।
আপনার এর আগের সুরুজ মিয়াঁ আর চোর-ডাকাতের লেখাগুলোর কিন্তু প্রশংসাই করেছিলাম। যদিও লেখাগুলো শেষের দিকে কেমন নেতিয়ে গেছে, তবে মোটের উপর ভালো লেগেছিলো। আর বিখ্যাতির বিড়ম্বনায় দেখেন মুর্শেদ ভাই লিখেছেন
আপনার সব লেখায় এই মন্তব্যটা খুবই লাগসই। ওই আরেকটুর ব্যাপারটায় লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করি।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
১
জুন ভাই বলেছেন লেখাটায় হিউমার মোটেই ছিলোনা,আমার নিজের কাছেও মনে হয়েছে এইটা লেখাটার সবচাইতে বড় সীমাবদ্ধতা।আপনার কিস্যুই হয়নাই কথাটিও আমি মেনে নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছি।
তবে ‘অরুচিকর লেখা’ বলা হলে আমার মতামত ভিন্ন।‘অরুচিকর লেখা’র মানে দাড়ায় ‘অপাঠ্য’ এবং আমি তা মানতে নারাজ।অরুচিকর মানুষদের রুচিসম্মত ভাবে প্রকাশিত করবার ইচ্ছা এই লেখায় অন্তত আমার একেবারেই ছিলনা তাই এই ব্যাপারে আমি অনুতপ্তও নই।গুপ্তসাহিত্যের কিছু শব্দগুচ্ছ কিংবা ‘চিমটি’ ‘জাইতা ধরা’ ‘সুনানিয়ম’ কিংবা অশালীন প্লটে আপনাদের আপত্তি মেনে নিয়েও বলছি,এইসব হারামজাদাদের এর চেয়ে বেশি রুচিকর বলে ভাবতে এবং দেখাতে আমার ইচ্ছা হয়নি।
আমার মনে হয়েছে যাদের পুরাণে খেলার সাথে রাজনীতি না মেলানোর মত ভয়ংকর নোংরা বাজে যুক্তি থাকতে পারে,তাদের পুরাণে চাইপা ধরলে জাইতা ধরা কিংবা সিনেমাহলের অন্ধকারে নোংরামি করার যুক্তিসম্মত নিয়ম কানুনও থাকা খুব একটা অস্বাভাবিক না।
নোংরাদের নোংরা এই ব্যাপারগুলোর বিবরণে কিছু মানুষ আঁতকে/শিউরে উঠুক,আমি তাই চেয়েছি।এতে লেখার টোন অন্যদিকে গেছে বলে আমি বোধ করিনা।
তবে জামাতিদের জাস্টিফাই করছি আপনার এইরকম প্রশ্নে প্রচন্ড হতাশ হয়েই মডারেটরদের লেখাটা সরিয়ে নিতে বলেছিলাম।জামাতিদের জাস্টিফাই করার বিষয়টা পরিস্কার করে দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২
চারপাশের সুন্দর সুন্দর মানুষদের আফ্রিদির জন্য প্রচন্ড হাততালির শব্দে অসহ্য হয়ে যখন হল ছেড়ে যেতে হয় তখন এই বেজন্মাদের জন্য মুখ দিয়ে ভালো কিছু বের হয়না।
পুরানো এই জামাতি কায়দায় এখনো আড়ালে-আবডালে আমার সামনে পিছনের বাঙ্গালী মুসলমানেরা গর্বভরে খেলা রাজনীতির এই অদ্ভুত সম্পর্কের ব্যাপারটা বলে একরকম স্বস্তি পাচ্ছে,পাশের মানুষদের স্বস্তি দিচ্ছে।যুক্তি এদের টানে বলে বোধ হয়না,তাই তাদের ভেতরের নোংরামিটা বাইরে আনতে চেয়েছিলাম।ত্যানা পাকায় রসিকতা করবার কোন ইচ্ছাই আমার ছিলনা।
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
আরেকটু র ব্যাপারটা মুর্শেদ ভাই বলেছিলেন রসবোধ নিয়ে,আমার বেশ মনে আছে।এই লেখায়ও এই ব্যাপারে জুন ভাই সমালোচনা করেছেন।এরপর লিখলে অবশ্যই আরেকটু র দিকে খেয়াল রাখব।
সময় করে আমার আগের লেখাগুলো পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
তেমন মজা পাই নাই। আসলেই আজাইরা প্যাচাল।
খিস্তি জাতীয় লেখা হয়ে গেলো কি?
রম্যগল্প না বরং কৌতুক মনে হল।
আপনার আগের লেখাগুলোর মত লেখা চাই।
লিখা চলতে থাকুক।
পাকিস্তান মুর্দাবাদ...
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
রাজা ভাই,এইসব লোকদের নিয়ে এর চেয়ে নোংরা খিস্তি করতেও আমার আপত্তি নাই তবে ঠিকভাবে করতে পারিনি বলে দুঃখিত।
পাকিস্তান মুর্দাবাদ
“খেলার সঙ্গে রাজনীতি জড়াবেন না।” জাতীয় রাজাকারীয় বক্তব্যকে ব্যাঙ্গ করা আপনার উদ্দেশ্য ছিল, সেটা আমার কাছে পরিষ্কার।
আমি যা বলতে চেয়েছি, তা হল, মাঝের কিছু লেখা, বিশেষত: আনিস আর বাতাবী লেবুর মধ্যকার ইচিং বিচিং খেলার বর্ণনা কেমন জানি বেশি খিস্তি জাতীয় লাগল, যা লেখা মানকে কিছুটা হয়ত কমিয়ে দিতে পারে।
আপনার অন্য গল্পগুলোতে যে লেখক সত্ত্বাকে খুঁজে পেয়েছি, তিনি অন্যভাবেও আরো বেশি হিট দিয়ে লেখাটি লিখতে পারতেন বোধ করি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ভেবে ভালো লাগছে অন্তত কাওকে পরিষ্কার করে বোঝাতে পেরেছি।
বাতাবি লেবু এবং এই গল্পের সব নোংরা ব্যাপারগুলোকেই নোংরা করে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলাম যাতে চারপাশের হারামজাদাদের নোংরা চেহারাটা দেখে মানুষ একটু ভাবে।ঠিকঠাক করতে পারিনি হয়ত,সেজন্য দুঃখিত।
অনেক ধন্যবাদ রাজা ভাই।
ফাইক্কাগো গালি দিবেন সরাসরি। এত রাখঢাকের কী আছে??
দেবা ভাই
-----------------------------------------
'দেবা ভাই' এর ব্লগ
আসলেই,রাখঢাক করতে যাওয়ার চেষ্টাটাই উচিত হয়নাই।
ধন্যবাদ।
কোথায় যেন ছন্দটা কেটে গেছে। ভাষাগত বা বিষয়গত ব্যপারে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু হিউমারটা কেন যেন ঠিক ঠিক উঠে আসছে না। আর তারচাইতেও বড় কথা দেবা ভাই বইলা গেছেন; হারামীর জাতরে হারামী কইতে এত প্যাঁচানির দরকার নাই আসলে।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
খুব বেশি রেগে একটু ঝোঁকের মাথায়ই লিখে ফেলেছিলাম,একটু বেশিই অপরিণত হয়ে গেছে লেখাটা।এরপর থেকে কিছু লিখলে সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে লিখব।ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন