বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে ভর্তি ফি ছিল ১,৮২৫ টাকা, যা ২০১২ সালে বাড়িয়ে করা হয় ৫,৯৮৪ টাকা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অভ্যন্তরিন আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে্র বাজেটে ঘাটতি পূরণের তাগিত দেওয়ায় কতৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বর্ধিত ভর্তি ফি প্রত্যাহারের দাবিতে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন আন্দোলন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত সোমবার থেকে বাকৃবির অনুষদীয় করিডোর ও প্রশাসন ভবনের সামনে সব ধরনের মিছিল, মিটিং, ধর্মঘট ও অবরোধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। প্রগতিশীল ছাত্র জোট গত মঙ্গলবার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রশাসন ভবন অবরোধ করার জন্য প্রশাসন ভবনে অবস্থান নেয়। এ সময় বাকৃবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। তারা রড ও লাঠি নিয়ে ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের উপর আক্রমন করলে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয় যার মধ্যে ১২ জন ছাত্রী নেত্রী। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সেঁজুতি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কিশোর আহমেদ, সহ-সভাপতি অজিত দাস, অর্থ সম্পাদক জিনিয়া হোসাইন এ্যানি, দফতর সম্পাদক সিফাত হোসাইন জয়া, প্রচার সম্পাদক আশরাফ মিল্টন, সহ-সম্পাদক বিপ্লব চৌধুরী, সদস্য মাজহারুল ইসলাম মাসুম সহ আরও বেশ কিছু নেতা-কর্মী। আন্দোলনকারীদের পেটানোর সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এদিকে বুধবার বাকৃবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় প্রক্টরের পদত্যাগ ও ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
দেশের বেশ কিছু জাতীয় দৈনিকে আসা কিছু ছবিঃ ( প্রথম দুটি ছবির সূত্রঃ The Independent ও The Daily Sun )
মন্তব্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখে খারাপ লাগল।
২০১০ সালের জুলাইতে চবিতে বেতনবৃদ্ধি করা হলে সাধারণ ছাত্র ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো যখন এক কাতারে এসে বেতনবৃদ্ধির প্রতিবাদ করছিল, সেসময় পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ এক হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর উপর চড়াও হয়।
অনেকের কাছ থেকে সেসময় শুনেছিলাম, ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথভাবে লাঠিচার্জের পাশাপাশি অনেক মেয়ের প্রাইভেট পার্টে হাত দেয়।
আর ইদানিং শুনছি, চবিতে শিবির ট্যাগিং দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে ছাত্রলীগ।
'মুক্তিযুদ্ধের মত পবিত্র চিন্তাধারার' উপর ভর করে ছাত্রলীগ যা করছে, তা আসলে প্রকারান্তরে মুক্তিযুদ্ধের আর্দশকে অপমান করা। বাস্তবিক অর্থে, ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি সংগঠনের বাইরে আর কিছুই নয়। ওরা ওদের কুকর্মগুলোকে আড়াল করতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ব্যবহার করছে।
ছাত্রলীগের সারমেয়পনা বন্ধ হোক!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
"খবর" "সমসাময়িক" ট্যাগ ঠিক আছে,বাকি ট্যাগগুলি প্রযোজ্য না। গবেষণা বা দেশচিন্তা দূরের কথা এই টপিকে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ই নাই। বিশ্লেষণ তো নাই ই। আর নাই লেখকের নাম। নাই আর নাই।
অথচ ভালো একটা বিষয় তুলে এনেছিলেন।
..................................................................
#Banshibir.
ছাত্রফ্রন্টের এইগুলার জন্য বুয়েট লাইফ দেড় বছর নষ্ট হইছে। এই দলটার নাম শুনলেই মুখভর্তি থুতু আসে।
এভাবেই সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রসংগঠনগুলো যুগে যুগে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আসছে।
বাকৃবির প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক ধন্যবাদ। গুন্ডা দিয়ে পিটিয়ে ছাত্র অধিকার থামিয়ে রাখা যায় না, এই শিক্ষাটা অন্তত ছাত্রলীগের ভুলে যাওয়ার কথা ছিল না, ৬৯ থেকে ৭১ এ তাদের ভূমিকাটাও যদি তারা মনে রাখত!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
শিক্ষাঙ্গনে অরাজকতা মেনে নেয়া যায় না।
শিক্ষাঙ্গনে এমন অরাজকতা মেনে নেয়া যায় না।
লিখেছেন - অণুপ্রভা।
নতুন মন্তব্য করুন