আচ্ছা দেশে ফোন করা হয়নি আজ কদিন হোল? দশ দিন, নাহ পনের দিনতো হবেই। বাবা মা নিশ্চয়ই চিন্তা করছেন খুব। ফোনের দিকে পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় দিপম, দেশে এখন রাত ১ টা প্রায়, ফোন করা কি ঠিক হবে? যদিও জানে এক দুবার বাজলেই মা দৌড়ে এসে ফোনটা ধরবেন, ব্যাকুল হয়ে জানতে চাইবেন দিপম কেমন আছে, এতদিন ফোন করেনি কেন? আজ থাক, কাল নাহয় সন্ধ্যার দিকে করব; কথাটা ভাবতেই ভেতরটা হাল্কা হাল্কা লাগে; আসলে এ মুহূর্তে বাবা-মার মুখোমুখি হতে অস্বস্তি হচ্ছে খুব। পরক্ষণেই ভাবে পুরো ব্যাপারটা এখন না জানিয়ে শুধু কিছুক্ষণ কথা বললেই তো হয়, ও ভাল আছে জানলেই তো ওনারা নিশ্চিন্ত থাকবেন। কিন্তু সেই কথাটা চেপে যেতে পারবে কি? বিশেষ করে মা কে সবকিছু খুলে না বলে কবে থেকেছে দিপম? থাক নাহয়, আরেকটু ভেবে, একটু গুছিয়ে কাল না হয় করা যাবে। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে চোখ পড়ে, সকাল ৭ টা বাজে! নতুন চাকরি, ৮ টার বাসটা ধরতে না পারলে খবর আছে।
ইলেকট্রিক কেতলিতে তাড়াতাড়ি চায়ের জন্য পানি বসিয়ে দিল দিপম। এখন নাস্তা কি করা যায়? কখনোই আগেভাগে গুছিয়ে রাখার অভ্যাসটা আর হোল না। ঠিক যা ভেবেছিল, সিরিয়াল এর কৌটো খুলে দেখলো একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে, প্যানকেক মিক্সও শেষ। টুনা থাকলে অবশ্য চটজলদি স্যান্ডউইচ করে ফেলা যায়। ভাগ্যক্রমে টুনার একটা কৌটো ফ্রিজের এক কোণায় খুঁজে পাওয়া গেল, কবে কিনে রাখা কে জানে। ব্রেড পাওয়া গেল কোনোরকমে ৩ টুকরো। তাও ভাল, দুপুরের আগে খাবার সময় পাওয়া যাবে না আজ, ততক্ষণ অন্তত পেটে কিছু থাকবে। মুহূর্তেই মার কথা মনে পড়ে মনটা হুহু করে উঠল। খাবার নিয়ে মাকে কম জ্বালিয়েছে ও? রোজ ভোরে মা জানতে চাইতেন আজ দিপমের কি খেতে ইচ্ছে করছে, কি রান্না করবেন। একেকদিন ছিল একেক বায়না, রোজ এক খাবার তখন মুখে রুচত না। মা কিভাবে একহাতে সব সামলাতেন কে জানে। কতদিন নাস্তা না খেয়ে তাড়াহুড়ো করে বেড়িয়ে গেছে, মা বারবার ডেকেছেন, দিপম শোনেনি। রাতে খাবার বেড়ে মা ডাকাডাকি করেছেন, বিরক্ত দিপম তেঁতে উঠে বলেছে পরে আসছি, তোমরা খেয়ে নাও। সেই দিনগুলির কথা দেশের বাইরে এসে প্রতি মুহূর্তে মনে পড়ে; আজো অজান্তেই বুকের গভীর ঠেলে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো।
বাস স্টপটা বাসা থেকে ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। হিম শীতে এটুকু পথ যেতেই কাহিল অবস্থা। বরাবরই দিপমের শীত খুব বেশী, ভারী ওভার কোটের নিচে কয়েক লেয়ারে সোয়েটার না চাপালে চলে না। আজকের বাসটা বেশ দেরিতে আসলো, বাস চালক সেজন্য একটু সাহেবি কেতায় দুঃখ প্রকাশ করলেন। হিহি করে কাঁপতে কাঁপতে বাসে উঠে এককোণায় বসে পড়ল দিপম। আহ এইবার শান্তি, হিটারের আরামদায়ক উষ্ণতায় বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে বেশ অফিসে পৌঁছে যাওয়া যাবে। এদিকের পথঘাট এখনও দিপমের কাছে নতুন; আসলে চাকরি পাবার পরই এই বাসাটা নেয়া। আগে তো ইউনিভার্সিটির কাছে একটা শেয়ারড হাউসে থেকেছে দীর্ঘদিন, চাকরিটা নেয়ায় এখন না একটু সম্ভব হচ্ছে নিজের মতো করে থাকার।
চাকরীটাও বেশ ভাল পেয়েছে বলতে হবে। অবশ্য পাবেই বা না কেন? দিপমের রেজাল্ট সেই স্কুল থেকে এখন অবধি ঈর্ষনিয়। এদেশের শীর্ষ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছে, নামকরা জার্নাল পাবলিকেশন হয়েছে বেশ কটা। এজন্যই তো থিসিস জমা দেয়ার পরপরই এই নামকরা রিসার্চ অরগ্যানাইজেশনে এমন একটা জায়গা হয়ে গেল। এখন নিজের ভবিষ্যতটা মন মতো গড়ে নেবে। শুধু তরতর করে সামনে এগিয়ে চলা আর জীবনের সব আরাধ্যগুলো হাতের মুঠোয় আটকে ফেলা।
এই বড় হবার স্বপ্ন দেখা ছোটবেলা থেকেই মনে গেঁথে দিয়েছিলেন বাবা। ওর পড়াশোনায় যেন কোন সমস্যা না হয় সেজন্য তিনি কিনা করেছেন। এখন বুঝতে পারে দিপম, আসলে বাবার নিজের জীবনের অপ্রাপ্তিগুলো থেকে দিপম কে মুক্ত রাখতেই ছিল সেই আপ্রাণ চেষ্টা। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাঝারি গোছের চাকরি করতেন বাবা, সেই বেতনে ঢাকায় একরকম সংসার চালানো গেলেও, নামি স্কুলে ছেলেকে পড়ানো কিংবা প্রাইভেট কোচিং এর খরচ সংকুলান অসম্ভব ছিল। সেজন্য অফিসের পর অনেক রাত অবধি ছাত্র পড়াতেন, ছুটির দিনগুলো পর্যন্ত রাখতেন না নিজের জন্য । সমস্ত আরাম আয়েশ ছেড়েছিলেন শুধু ওর জন্যই। দিপমও বাবাকে বিমুখ করেনি, প্রাণপণ খেটে পড়াশুনো করেছে। ওর রেজাল্টের পর বাবার ক্লান্ত মুখটা এমন আলোয় আলোয় ভরে যেত, দিপমের তখন নিজেকে ঠিক যুদ্ধজয়ী বীর মনে হতো।
চিন্তায় হঠাৎ ছেদ পড়ল, এরপরই তো ওর স্টপেজ। তাড়াতাড়ি বেল বাজিয়ে বাস চালককে বাস থামানোর সিগন্যাল দিয়ে দিল। বড় রাস্তার ওপরেই চৌদ্দ তলার বিশাল গ্লাস বিল্ডিং, দেখার মতো অফিস বটে। সূর্যের আলো পড়ে এমন ঝলমল করে ঠিক রূপকথার প্রাসাদের বর্ণনা মনে পড়ে যায়। দিপমের রুম দশ তলায়, লিফট ছাড়া উঠবার উপায় নেই। এই লিফটটা খুব বিরক্তিকর লাগে, ঢোকার আগে একবার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন করাতে হয়, কত তলায় যেতে চায় সেই বাটন চাপার পর আরেকবার, তারপর লিফট থেকে বের হবার সময় আরও একবার। এক লিফটে এতো সিকিউরিটি কেন দিয়ে রেখেছে ব্যাটারা কে জানে। অফিস ঘরে ঢুকতেই অবশ্য সব বিরক্তি উবে গেল, এতো সুন্দর! এমন পরিবেশে কাজে ডুবে থাকতে ক্লান্তিও আসে না।
লাঞ্চ টাইম পর্যন্ত টানা কাজ করে গেল দিপম, লাঞ্চের সময় শমিত আসতে সম্বিত ফিরল। অফিসে আপাতত বন্ধু বলতে একজনই হয়েছে, সে শমিত। ভারতীয় ছেলে হলেও ওর বেড়ে ওঠা এখানেই, সেজন্য চিন্তা ভাবনাগুলো এদেশিদের মতোই। বাঙ্গালী আবেগগুলো খুব একটা বোঝার কথা নয়। তারপরও একসাথে লাঞ্চ করতে করতে শমিতকে সব কিছু খুলে বলল দিপম। অন্তত কারও সাথে আলাপ করলে যদি একটু ভাল লাগে। আর মানসিক চাপ নিতে পারছে না ও।
শমিত বেশ মন দিয়েই শুনল ওর কথা। ওর মতে দিপমের অবশ্যই এদেশে থাকা উচিত। এতো ভাল ক্যারিয়ার, রিসার্চের সুযোগ দেশে তো সম্ভব না। বাবা মা কে বুঝিয়ে বললে ওনারা বুঝবেন নিশ্চয়ই। দিপমও কি এই কদিন এভাবেই ভাবেনি? যখন চাকরির অফারটা পেল তখনো তো মনে হচ্ছিল কোন জাদুবলে ওর স্বপ্ন ছোঁয়ার সিঁড়িটা পেয়ে গেছে। কিন্তু বাবা মার কথা মনে আসতেই সব অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। ওনারা কিভাবে নেবেন ব্যাপারটা? মা তো ওর স্কলারশিপের খবর শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন, কিছুতেই ছাড়তে চাইছিলেন না একা। বাবাই না বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করালেন। আর দিপমও তখন মাকে আশ্বস্ত করেছিল এই বলে যে মাত্র তো কটা বছর, দেখতে দেখতে আমি চলে আসব তোমাদের কাছে। এখন ও কি বলবে মাকে? মার সেই চোখের পানি ধোয়া মুখটা কিভাবে সরাবে মন থেকে? বাবা কেও বা কি বলবে? রাশভারী শক্ত বাবা হয়তো ওর ক্যারিয়ারের কথা ভেবে আবার সব সামলে নেবেন, কিন্তু ওনার ইচ্ছা তো দিপম জানে। বাবা সবসময় চেয়েছেন দিপম দেশে বড় কিছু করুক। খুব অসহায় লাগছে কদিন। চাকরির এতো বড় খবরটা পর্যন্ত বাবা মার কাছে চেপে গেছে ও। কিচ্ছু ভাল লাগছে না। মনে হচ্ছে ছোট্ট বেলার মতো যদি মাকে জড়িয়ে ধরে সব গলগল করে বলে দিতে পারত।
বাসায় ফিরে আজ বড় ক্লান্ত লাগে। নিউজ দেখতে দেখতে মন শক্ত করে দিপম। আজ ফোন করে সব খুলে বলবে ও। ওর মনের ইচ্ছার কথা, স্বপ্নের কথা- সব। বাবা মা এখন হয়তো মন খারাপ করবেন, কিন্তু কদিন পর নিশ্চয় মেনে নেবেন। দিপমের একটা ভাল ক্যারিয়ার হোক, এটা তো ওনাদের চেয়ে আর কেউ বেশী চাইতে পারে না। আর কতো মানুষ দেশের বাইরে আছে, তাদের পরিবারও তো ব্যাপারটা মেনে নিচ্ছে, ওনারা কি তাদের সন্তানকে কম ভালবাসেন?
রিং হচ্ছে, একবার, দুবার, ওপাশে কে ধরবে আজ? বাবা নাকি মা? দিপমের আবার অসহায় লাগতে থাকে, কেমন একটা বুক খাঁখাঁ করা অনুভূতি। অবশেষে মা ই ধরলেন, দিপমের গলা শুনে উচ্ছ্বাসে উপচে পরে জানতে চাইলেন ও কি করছে, আজ কি খেয়েছে। দিপমের চোখে পানি চলে এলো। মা সবসময় যেন সেই ছোট্ট দিপমের সাথে কথা বলেন, কতো মায়া নিয়ে, আদর নিয়ে। মাকে কিভাবে বলবে সেই রুঢ় কথাটা? মা তাঁর মতো জানিয়ে গেলেন আশেপাশের সবার খবর, বারবার বললেন দিপম যেন ঠিকমত খায়, ঠাণ্ডা যেন না লাগে। মা কে কিছুই বলতে পারল না দিপম, শুধু হু হ্যাঁ করে সব কথায় সায় দিয়ে গেল। একটুপর বাবা ধরলেন, চিরচেনা সেই ভরাট কণ্ঠস্বর আজ কেমন দুর্বল শোনাচ্ছে না? বাবার বয়স তো কম হোলনা, সারাজীবন সংসার টেনে আর কতো শক্ত থাকবেন? যার ওপর ভরসা করে আছেন, সেও তো পালিয়ে যাবার পথ খুঁজছে।
না,আর পারছে না দিপম; প্রতিটা দিন এই দুজন মানুষের ছোট-বড় হাজারটা কষ্ট, ত্যাগ দেখে বড় হয়েছে ও। তাঁদের নিজেদের কোন শখ ছিল না, দুজনের আলাদা কোন মুহূর্ত ছিল না। দিপমের দামী স্কুলের বিলাসী পিকনিক, বাবা যেভাবে হোক চাঁদার টাকা জোগাড় করেছেন; দিপম ভাল একটা ক্রিকেট ব্যাটের শখ করেছে, সেই টানাটানির সংসারে দিপম তাও পেয়ে গেছে ঠিকঠিক; ঈদে কখনো দেখেনি বাবার একটা নতুন পাঞ্জাবী কিংবা মা'র জন্য একটা ভাল শাড়ি। সব ছিল শুধু দিপমের জন্য, শুধু দিপমের। বাবা ওনার প্রোমোশনের অফার পর্যন্ত ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ঢাকা ছেড়ে যেতে হবে বলে; তাতে যদি দিপমের পড়াশুনার ক্ষতি হয়! এই দুটো মানুষ, দুজন একলা মানুষ, নিজেদের সবকিছু নিংড়ে দিয়ে দিয়েছেন শুধু তার জন্য, ওনাদের সমস্ত অপেক্ষা শুধু ওর জন্য। ওর পাঠানো মোটা টাকায় ওনাদের হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য আসবে; ছেলে ছুটিতে দেশে ফিরলে কদিন আনন্দে ঝলমল করবেন। কিন্তু শুধু এটুকু দিয়েই কি এই দুটো নিঃস্ব মানুষের কাছে আশৈশবের ঋণ শোধ করতে চায় দিপম? এক মুহূর্তে সব কিছু সহজ হয়ে যায় দিপমের জন্য, নির্ভার দিপম শক্ত করে বলে, বাবা, আমি খুব শীঘ্রি ফিরছি তোমাদের কাছে, এবার সত্যি শেষ হচ্ছে আমাদের অপেক্ষার।
-এক জোনাকি
মন্তব্য
বাস্তবে তো আসলে এমন হয়না, বাস্তবে বাবা মার অপেক্ষা কখনো শেষ হয়না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।
সত্যি তাই। সেজন্য গল্পটা লিখলাম এমন বিশেষ একজনকে নিয়ে যে বাবা মা'র অপেক্ষাকে নিজের সবকিছু থেকে অনেক বড় করে দেখেছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-এক জোনাকি
ভাল লাগল।
আরো লিখে যান।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
সব লেখায় আপনার উৎসাহ পাই, অনেক ধন্যবাদ
দিপমের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার আশেপাশে, এমনকি আমার মাঝেও দিপমকে খুঁজে পাইনি, তাই অভিনন্দন পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে না। আমরা সবাই বাবা মার কষ্ট অনুভব করি, তাঁদেরকে ভীষণ ভালবাসি, কিন্তু নিজের ভবিষ্যৎ তুচ্ছ করে এমন সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা; যারা পেরেছেন এবং পারছেন, তাদেরকে আমার স্যালুট।
-এক জোনাকি
আপনার এই লেখাটা ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
-এক জোনাকি
এরকম সাহসী যদি হতে পারতাম। প্রেক্ষাপট হয়তো এক নয়; কিন্তু এরকম সাহসী হওয়ার ডাক আসে জীবনে অনেকবারই।
চমৎকার লাগল।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ধন্যবাদ জুন।
একবছরের উপর মা'কে ফোন করিনা। যদিও দেশে অন্য সবার সাথেই কথা হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
ঠিক বুঝতে পারলাম না। আপনার মা কি ধরা ছোঁয়ার বাইরে এমন কোথাও আছেন যেখানে আপনি পৌছাতে পারছেন না?
ভুল বুঝে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
-এক জোনাকি
আমরা চলে আসার পরপরই উনার কিছুটা স্মৃতি বিভ্রম ঘটেছে। মাঝে মাঝে সবকিছুই মনে করতে পারেন আবার পারেনওনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
কতটা মানসিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বুঝতে পারছি। আপনার মা'র সুস্থতার জন্য দোয়া করছি। আপনার জন্য শুভকামনা।
এক্ষনি দিপম হতে চাই, আবার এবার দিপম না হয়ে, পরেরবার দিপম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করি।
দিপম হওয়া কি আসলেই অতটা কঠিন? নাকি সত্যিই অতটা কঠিন নয় বলে ভয়ে কখনো চেষ্টাও করিনা?
পিছে পড়ে থাকে শুধু হাজার মাইল দূরে বাবার বিষন্ন গলা আর মার "ভালো আছিসতো?"-এর পিছে অজানা অপেক্ষার ক্লান্তি।
আবার পুরনো দ্বিধা জাগানিয়া লেখা, ভালো লেগেছে।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভাল লাগলো, একই উপলব্ধি আমারও।
নতুন মন্তব্য করুন