আইভরি কোস্টের নারীরা ( আইভরি কোস্ট টুকিটাকি- ৫)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/১০/২০১২ - ১১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
DSC04784 বেশ কয়েক মাস হল আইভরি কোস্টে অবস্থান করছি। দেশটির সব জায়গায় না যেতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং বেশ কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে যাবার সুযোগ হয়েছে। নানান জায়গায় ঘুরে ঘুরে আর মানুষের সাথে কথা বলে যতটুকু বুঝেছি তাতে বলা যায় এখানকার নারীরা সবদিক থেকে বঞ্চিত।নানা বিচিত্রে ভরা এই দেশ। তার চেয়ে বিচিত্র এখানকার নারীদের জীবন। আমি যদি শিক্ষার কথা বলি তবে আমি বলবো মূল শহর ছাড়া অধিকাংশ গ্রামের নারীরাই নিরক্ষর। যদিও কাগজে কলমে বলা হয় মোট নারীর ৩৩ শতাংশের মত অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন কিন্তু বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। পুরুষপ্রধান এখানকার সমাজ মেয়ের চেয়ে একজন ছেলের স্কুলে যাওয়াকেই বেশী সমর্থন করে। সমাজ বলতে চাই নারীরা কেবল কাজ করবে হোক সে গৃহস্থালি অথবা মাঠের , সন্তান উৎপাদন করবে, বড় বড় আগুন জালানোর লাকড়ির বোঝা মাথায় নিয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটবে, ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে রান্না করবে। আর তার স্বামী বা সংসারের পুরুষ মানুষটি অতি আরাম আর মনোযোগ দিয়ে তা ভক্ষণ করবে। DSC04714 এই দেশের একজন নারী প্রতিদিন যে কায়িক পরিশ্রম করে আমাদের দেশের একজন মেয়ের পক্ষে তা কল্পনা করাও অসম্ভব। এত পরিশ্রমের পরেও সে যদি তার ন্যায্য অধিকার পেত, তার চাওয়া পাওয়ার বিন্দুমাত্র মূল্য পেত তাহলেও সেটা হত তার সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর এক চিলতে সান্ত্বনা। কিন্তু শুনলে অবাক লাগবে যে একজন পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে গৃহস্থালির কাজে সাহায্য করে অথবা ক্রন্দনরত নিজের সন্তানকে শান্ত করার জন্য একটু কোলে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করে অথবা স্ত্রীর কষ্ট হবে ভেবে ভারী কোন বোঝা তার মাথা থেকে নিয়ে নিজে বহন করে তবে সেই পুরুষ মানুষকে সমাজ ও তার পরিবার বিষোদ্গার করে থাকে। ওই পুরুষ মানুষটি উইমেনাইজ হয়েছে বলে ঠাট্টা তামাসার পাত্রে পরিণত হবে। কোন পুরুষ মানুষ এই দেশে স্ত্রীর প্রতি এইটুক সহানুভূতি তো করেই না বরং এটা নিয়ে ভাবনাটাও যেন এখানে চিন্তার অনেক দূরে। এই দেশটিকে উত্তর এবং দক্ষিণ এই দুই ভাবে ভাগ করা হয়েছে। দক্ষিণের চেয়ে উত্তরাঞ্চলের নারীরা এখানে সবচেয়ে বেশী নিগৃহীত ও অনগ্রসর। সর্ব দক্ষিণের শহর যেটা অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত সেই আবিদজান শহরকে দেখলে পুরো দেশকে মেলানো অত্যন্ত কঠিন হবে। এই শহরটিকে পশ্চিম আফ্রিকার ইউরোপ বলা হয়। এখানকার নারীরা সবদিক দিয়ে একটু এগিয়ে। এগিয়ে এ কারণেই কারণ সব উচ্চবিত্তের মানুষের ঢল এই শহরকে ঘিরেই। এরপর দক্ষিণের ইয়ামাসুক্রু, দালোয়া, বুয়াকে এই শহরগুলোতে মেয়েদের অবস্থা বিশেষ করে শিক্ষার হার একটু বেশী হলেও অন্যান্য ক্ষেত্রে মেয়েরা অনেকটাই উত্তরের মতই। তবে এই সব অঞ্চলের শহর পার হলেই যখন একেবারে গহীন পাড়া গায়ে চলে যাবেন সেখানকার নারীরা আর সব গ্রাম আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মতই অবহেলিত। বাল্য বিবাহ ও বহু বিবাহ এখানে ব্যাপকভাবে প্রচলিত। খুব অল্প বয়সে বেশ কিছু মোটা অংকের যৌতুকের বিনিময়ে ছোট্ট কিশোরীকে তুলে দেয়া হয় প্রৌড় কোন পাত্রের হাতে। মেয়েটিকে জানানোও হয়না কে হতে যাচ্ছে তার জীবনসঙ্গিনী। হয়তো বিয়ের দিন সকালে সে জানতে পারে কার গলায় সে মালা পরাবে। আর যদি জানার পর মেয়েটি অসম্মতি জানায় তবে গরুর মত একটি রুমকে খোঁয়াড় বানিয়ে তাকে আটকে রাখা হয় সেখানে। না এখানেই শেষ নয়। এরপর ওই বৃদ্ধ পাত্রকে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়া হয় মেয়েটির খোঁয়াড়ে। বাইরে চলতে থাকে বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ আর ঘরের মধ্যে মেয়েটির উপর নেমে আসে অমানিশা। এরপর যা হবার তাই হয়। বাধ্য হয়ে ওই বিয়েতে মেয়েটিকে রাজী হতেই হয়। অনেক সময় কোন মেয়েকে দেখে পছন্দ হলে ছোট থাকতেই বিবাহযোগ্য পাত্র তার বাবার কাছ থেকে মেয়েটি কিনে নেয়। আর এই লেনদেন হয় একটু অন্যভাবে। পাত্রী নিজে একটু বড় না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণপোষণের খরচ বহন করে বর পক্ষ। এরপর দশ থেকে বার বছর হলেই মেয়ের বাবার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে কিনে নেয় মেয়েটিকে। বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের হার এখানে অনেক বেশী। কোন কোন পুরুষ মানুষ তার শেষ বয়স অবধি কম করে হলেও চার থেকে পাঁচটি বিয়ে করে থাকে। বিয়ের সাথে চক্র বৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকে সন্তান উৎপাদন। কাজ নেয় আছে বেকারত্ব। খাবার নেই আছে পুস্তিহিনতা। সন্তান পালনের সামর্থ্য নেই চলছে সন্তান উৎপাদন। এখানে নারীদের সম্পত্তির ওপর কোন অধিকার নেই। সমস্ত সম্পত্তির মালিক কেবলই ওই পরিবারের ছেলে বা পুরুষ মানুষটি। পুরুষ দ্বারা শোষিত এই নারীদের ক্ষমতায়নের ভয়ে সমস্ত অধিকার থেকে এদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মেয়েরা মুক্ত মনে কিছু ভাবছে অথবা কয়েকজন মেয়ে একত্রিত হয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছে – এইসব বিষয়গুলো এদেশের পুরুষেরা মেনে নিতে নারাজ। নারীদেরকে অনেকটা দাসীর মতই মনে করা হয় এখানে। খুব সামান্য কারণে নারীরা অনেক বেশী নিগৃহীত এদেশে। এমন অনেক স্কুল আছে যেখানে কোন ছাত্রী নেই অথবা থাকলেও তা খুব নগণ্য। এখানকার মেয়েদের স্কুলে আসা নাকি ধর্মীয় ভাবে নিষিদ্ধ। ধর্মীয় গোঁড়ামি এখানকার সবচেয়ে বড় বন্ধু। সমাজের পুরুষেরা মেয়েদেরকে শিক্ষিত হতে দেয় না তাদের নিজেদের স্বার্থে। নারীরা শিক্ষিত হলে হবে সচেতন। আর সচেতনতা মানেই নিজস্ব অধিকার আদায়ের চেতনা। এই চেতনাকে বড় ভয় পায় এখানকার পুরুষ। নানা রকম কুসংস্কার আর অনাচার আছে এদেশে। আর এই সমস্ত অনাচারের বড় শিকার হল নারীরা। ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন এর মত এমন অনেক অনাচারকে সামাজিক আচারের মধ্যে নিয়ে এসেছে এদেশের অনেক সমাজ তথা অনেক গোত্রের পুরুষেরা। এর জন্য ওই পুরুষের কিন্তু কোন কষ্ট নেই বরং সকল কষ্টের কঠিন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন কেবল নারীরাই। এদেশের পুষ্টিহীন নারীদের অবস্থা দেখলে মনে হয় সেই আদিম যুগে যখন পাথরে পাথরে ঘসা দিয়ে মানুষ আগুন জ্বালাত ঠিক ওইরকম একটা সময়ের মধ্যে এরা বাস করছে। পুষ্টি হীন এ কারণে যে তারা ঠিকমত খেতে পায় না অথচ বাল্য বিবাহের কারণে এক একটি মেয়ের অনেকগুলো সন্তান। খুব মায়া হয় এই সব নিরপরাধ নারীদের দিকে তাকালে। DSC04837 নারীরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত সেটা একদিক। অথচ অন্য আর একটি দিক আরও মর্মান্তিক। ২০০২ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে এদেশের নারীরাই। সবচেয়ে বেশী গৃহহীন আর সবচেয়ে বেশী ধর্ষণের শিকার হয়েছে তারা। গরুর নাকে দড়ি পরিয়ে যেমন বিশাল বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয় তার পিঠে । ঠিক তেমনই মনে হবে যখন সামনে দিয়ে বিশাল এক কাঠের বোঝা মাথায় আর কোমরের সাথে ছোট্ট শিশুকে পেঁচিয়ে কয়েক মাইল পথ হেটে যেতে দেখি এখানকার নারীদের। তাদের মুখের দিকে তাকালে বোঝা যায় সেখানে অনেক জমানো কষ্ট কিন্তু বলতে পারছে না। সন্তানের ভারে কুব্জ হয়ে পড়েছে কোমর কিন্তু পাশেই হেটে যাওয়া স্বামীকে বলতে পারছে না এই কষ্টের কিঞ্চিৎ ভাগ বহন করতে। DSC04836 হয়তো সেও ভাবে একদিন ভোর হবে একদিন মুক্ত পাখির মত সেও ইচ্ছেমত ভেসে বেড়াবে আকাশে। একদিন সেও সমান অধিকার পাবে, হয়তো একদিন তার সাথেই হেটে যাওয়া স্বামীটি তার কষ্টের ভাগ একটু ভাগাভাগি করে নেবে। আইভরি কোস্ট নিয়ে অন্যান্য লেখার লিংক ১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45337 ২। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44877 ৩।http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45222 ৪। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45698#comments ৫।http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46302 অমি_বন্যা

মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ফটুকগুলো ভাল হইছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ রাজা ভাই। ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

ক্রেসিডা এর ছবি

ভাইয়া.. একটা ভিসা পাঠান দেঁতো হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যান আইসা কি করবেন খাইছে । ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

বর্ণনা ভালো হইছে। তবে টাইপ করা পুরা রপ্ত হয়নাই লাগে। ভালো থাইকেন, আর বেশি বেশি লেখা দিয়েন।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতিথি লেখক এর ছবি

টাইপে একটু কাঁচা কিন্তু ছবি আর লেখাগুলো যে এভাবে একটা আর একটার উপর উঠে যাবে বুঝি নাই। পরে কারেকশান করলাম কিন্তু ওই ছবি আর লেখার লেপটা লেপটি থেকেই গেল। বুঝলাম না ঘটনা।

যাহোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই। ভালো থাকবেন।
অমি_বন্যা

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

খারাপ লাগলো। পরাধীনতার কষ্ট সবচেয়ে বড় কষ্ট

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে ঠিকই বলেছেন ইয়াসির ভাই। এদের কষ্ট দেখলে খুবই খারাপ লাগে। জানিনা এই পরাধীনতা থেকে এরা কবে মুক্তি পাবে।

অমি_বন্যা

কানিজ ফাতেমা  এর ছবি

এমন পরাধীনতা চিন্তা করাও কষ্টকর লাগে। অনেক খারাপ লাগছে আফ্রিকার নারীদের জন্য। লেখা এবং ছবি ভালো হয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

তোমাকে ধন্যবাদ। এখানকার নারীদের কষ্ট আসলেই মর্মান্তিক। মানুষ হিসেবে তার কি কি অধিকার তা এদের অধিকাংশেরই জানা নেই। ভালো থেকো।

অমি_বন্যা

তাপস শর্মা এর ছবি

সব তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির প্রায় এমনই অবস্থা মনে হয়

০২

যতদূর পড়েছি আফ্রিকার এই মর্মান্তিক সমাজ ব্যাবস্থা আজ থেকে নয় জেনারেশনের পর জেনারেশন চলে আসছে এবং তার বিন্দুমাত্রও উন্নতি হয়নি। এগুলি খারাপ লাগলেও বাস্তব। শিক্ষা এবং আর্থিক বিকাশ এই দুই মিলে সচেতনতার বলয় গড়ে না উঠলে এই পর্যায়ে মুক্তি আসবে না। এই দেশগুলির মূল সমস্যা রাজনৈতিক ও বিরাট মাত্রায় আর্থিক দৈন্যতা। এই দুই মিলে এই সমাজ ব্যাবস্থার জন্ম

০৩

আপনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলি লিখুন বেশী করে। সম্ভব হলে এদের ব্যাক্তি অনুভূতিগুলি লিখুন

০৪

আপনি তো যাবত বেশ কতগুলি লেখা লিখে ফেলেছেন। একটু মিথস্ক্রিয়া বাড়িয়ে দিন। আপনার হাচল হবার সময় এসেছে। মডুদের কাছে আপনাকে হাচল করার এক দফা দাবি জানিয়ে গেলুম হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

সচেতনতার বলয় গড়ে উঠতে আরও সময় লাগবে মনে হয়। এথনিক ক্ল্যাস এত বেশী যার কারণে সামনে এগিয়ে যেতে পারছে না দেশটি। তাছাড়া পশ্চিমা বিশ্বের একটা অলিখিত প্রভাব সবসময়ই আছে। রাজনৈতিক সমস্যাটা লাগিয়ে রাখা হয় যেন পশ্চিমারা আরও বেশী চুষে খেতে পারে।

লেখার চেষ্টা করছি। ব্যাক্তি অনুভূতিগুলোর সংমিশ্রণেই লেখা হয় তবে আলাদাভাবে সেগুলো দাড় করানো হয় না। ের পর এটা মাথায় রাখবো।

পীর ভাই এক লেখায় বলছিল যে কোন রঙ্গিলা মডুর চোখে যেদিন পড়ে যাবো সেদিন হয়তো হাচল হয়ে যাবো। মনে হয় চোখে পড়ছিনা খাইছে

আপনার জোর দাবির জন্য ধন্যবাদ তাপস দা। ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

আপনি আপনার নামের শেষে ইমেইল অ্যাড্রেস (যেটা দিয়ে সচলে নিবন্ধন করেছেন) দেন না, এটা একটা বড় কারণ হয়ে থাকতে পারে। খুঁজে খুঁজে হাচল করা মনে হয় একটু বাড়তি এফোর্টের ব্যাপার।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়াসির ভাই, ধন্যবাদ আমার নিকের নিচে এবার থেকে ইমেইল এড্রেস টা জুড়ে দেব। অনেক লেখায় তো দিলাম কিন্তু মেইল এড্রেস যেটা দিয়ে নিবন্ধন করা তা কখনও নিচে দেয়া হয়নি।

তবে একটা অসুবিধা এখন হয় তা হল মন্তব্য করা বা উত্তর দিতে গেলে অতিথি লেখক হিসেবে একটা নিক আর তার নিচে মেইল এড্রেস দিয়ে মন্তব্য করতে পারছিনা। কাজেই নামটা আর আসেনা শুধু অতিথি লেখক আসে। আগে এই অসুবিধা হত না।

অমি_বন্যা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি এখনো হাচল হনি নি এটা কিভাবে সম্ভব? অ্যাঁ

পোস্টে পেলাচ চলুক

হিল্লোল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার মাথা ঘুরাইতাছে এইটা দেখেই ভালো লাগা। হব হয়তো একদিন। মন খারাপ

চলুক দেয়ার জন্যে এই নিন আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ভালো থাকবেন হিল্লোল ভাই।

অমি_বন্যা

Fazlul karim এর ছবি

ভালো লাগল

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ করিম ভাই। ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনের পর স্বাধীন দেশগুলো এখনো থিতু হতে পারে নি। উপরন্তু গোত্রে- সম্প্রদায়ে হানাহানি আর ক্ষমতালিপ্সুদের দৌরাত্ম্যে আফ্রিকার দেশগুলো আসলে এক জায়গায় স্থির হয়েই আছে। একে আমার পিছিয়ে যাওয়াই মনে হয়। হাজারে হাজারে মানুষ না খেয়ে মরে যাচ্ছে, অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা, চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল, শিক্ষার দিকে নজর দেয়ার আগে চোখ সর্বদা সজাগ রাখতে হচ্ছে আবার কোনো জাতিগত সংঘাত শুরু হচ্ছে নাকি কোথাও। এত সম্পদে ভরপুর দেশগুলোর এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা...

আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে? এখানকার সাধারণ মানুষ নিজেদের অবস্থা নিয়ে কতোটা সচেতন? মৌলিক চাহিদা, অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যাপারগুলোও কীভাবে দেখে? বিভিন্ন গোত্রের মাঝে সংঘাত কতটুকু গোত্রপতির ইচ্ছা প্রসূত, আর অন্য লোকদের মনোভাব কীরূপ?

লেখার মাঝে স্পেস দিলে পড়তে সুবিধা হয়। ভাল থাকবেন। আর হ্যাঁ- হাচল হউন দ্রুত- হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি ঠিকই বলেছেন জাতিগত সংঘাত এদেশের অনগ্রসরতার অন্যতম একটি কারণ।

সচেতনতা এদেশের মানুষের মাঝে এখনও সেভাবে আসতে পারেনি তার কারণ হল অশিক্ষা। আর শিক্ষার অভাবে নিজস্ব অধিকার , অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যাপারে তারা অনেকটা পিছিয়ে। গোত্রের মাঝে সংঘাত শুরু হয় একেবারে ব্যাক্তি পর্যায়ে পরক্ষনেই তা ছড়িয়ে পড়ে সমষ্টিক ভাবে। হয়তো গোত্র পতির তখন আর করার কিছু থাকেনা।

তবে এদেশের মানুষ একটু বেশী সেন্টিমেন্টাল বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এক গোত্রের একটি লাশ পড়েছে তো ওপর গোত্রের দ্বিগুণ অথবা তিনগুন লাশ না ফেলা পর্যন্ত এই রক্তপাত থামে না।

লেখার মাঝে স্পেস ছিল। সাজানোও ছিল। কিন্তু কেন এমন হল জানিনা। প্রিভিউ দিয়েছিলাম তখন এই সমস্যা দেখেছি। পরে কারেকশানের চেষ্টা করেছি হয়নি।এ ব্যাপারে আপনার সাজেশান থাকলে দিতে পারেন। গত পোস্টেও একই সমস্যা ফেস করেছি।

ভালো থাকবেন। একই কথা কিন্তু আমারও। আপ্নিও হাচল হচ্ছেন না কেন? চিন্তিত

অমি_বন্যা

কাজি মামুন এর ছবি

খাবার নেই আছে পুস্তিহিনতা

পুষ্টিহীনতা হবে মনে হয়।

এরপর দশ থেকে বারো বছর হলেই মেয়ের বাবার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে কিনে নেয় মেয়েটিকে

ক্রয় পর্ব শুরু হয় তার আগেই যখন মেয়েটির বড় হওয়ার জন্য ভরনপোষন দেয়া হয়?
আপনার লেখা থেকে আফ্রিকাকে জানছি। যদিও আমরা কিছুটা এগিয়েছি, তবু আমাদের দেশের মেয়েদের সামাজিক অবস্থান যে খুব উন্নত হয়েছে, তা বলা যাবে না। লেখাটিতে উদ্ধৃত বৈষম্য কম-বেশী বাংলাদেশেও আছে। এমন অনেক মহিলাকে দেখেছি যারা বাসা-বাড়িতে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে শুধুমাত্র স্বামীবেচারার হাতে কিছু অর্থ তুলে দেয়ার জন্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, মামুন ভাই ভুল বানান ধরিয়ে দেয়ার জন্যে।

ক্রয় পর্ব শুরু হয় তার আগেই যখন মেয়েটির বড় হওয়ার জন্য ভরনপোষন দেয়া হয়?

এক অর্থে তাই। ভরণপোষণের সময় থেকেই ক্রয় পর্ব শুরু তবে বিয়ের আগে মেয়ের পরিবারকে মোটা অংকের টাকা অথবা জমি দেয়া হয়।
ভালো থাকবেন। মন্তব্যের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অমি_বন্যা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।