আমাদের কিছু ভুল ধারনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৪/১০/২০১২ - ৯:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের ভূ রাজনৈতিক প্রভাব মাপতে গিয়ে আমরা নিজেদের গুরুত্ব কে একটু বেশি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে হিসেবে করি বলে আমার মনে হয়। স্পেসিয়ালি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ এর সম্পদ এবং ভৌগোলিক অবস্থান হিসাব করে বাংলাদেশ কে নিয়ে বিশাল একটা পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছে বলে অনেকে বিশ্লেষক ধারনা দিয়ে থাকেন। বাস্তবতা হচ্ছে ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের কোন বেইল নাই।

কেন একটু আলোচনা করে দেখা যাক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার প্রতিটি সম্পর্ক কে চার টি দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করে। গুরুত্ব অনুসারে এই চার টি হচ্ছে অর্থনৈতিক, সামরিক, রাজনৈতিক এবং ৯১১ এর পরবর্তী বছর গুলো তে তাদের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ভিত্তিক কিছু ফোবিয়া থেকে। যুক্তরাষ্ট্র এমন চতুর একটা দেশ, তারা এই চার টিকে এক সাথে মিলিয়ে ফেলেনা। তারা প্রতিটিকে আলাদা আলাদা ভাবে এপ্রোচ করতে পারে, যদিও এই চারটি একে অপরের পরিপূরক এবং একটায় সমস্যা হলে, অন্যটায় টান পড়ার কথা, কিন্তু মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্র এই টা হতে দেয় না।

মনে করেন, রাজনৈতিক বৈরিতা থাকলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো তেল উপর দখল প্রতিষ্ঠার জন্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখে।পাকিসতানে ও মাকডোনাল্ড এর শাখা আছে। আবার সামরিক ভাবে গুরুত্ব হীন হওয়া সত্যে, বাংলাদেশ এর সাথে একটা রাজনৈতিক ভাবে সুসম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশ এর সাথে আমেরিকা এর একটা স্ত্রেটেজি। তবে, এই টা ঠিক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে কোন সম্পর্কে সব চেয়ে বড় প্রায়োরিটি থাকে, অর্থনৈতিক উদ্দেশ হাসিল।

তো কেন বলছি, রাজনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে বাংলাদেশ আমেরিকা এর কাছে কোন গুরুত্ব বহন করেনা।

করেনা, কারণ বাংলাদেশ এর মাত্র দুই টা প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ইন্ডিয়া আর মিয়ান্মার। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সি, আই, এর তৈরি করা তাদের আগামী ৩০ বছর এর স্ট্রাটেজি পেপার টা পাবলিশ করেছে। ওই স্ত্রেটেজি পেপার এ এইটা পরিষ্কার, ইসলামিক জঙ্গিবাদ বাদে , যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৩০ বছরে তাদের জন্যে সব চেয়ে বড় হুমকি মনে করে চীন কে। কারণ চীন ই পৃথিবীর এক মাত্র রাষ্ট্র যারা আগামী দশ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একছত্র আধিপত্যে বাধা দিতে সক্ষম। ইতি মধ্যেই আফ্রিকা এবং সাউথ আমেরিকা তে খনিজ সম্পদ দখলের প্রতিযোগিতায় চীনা এবং আমেরিকান কোম্পানি গুলো মুখোমুখি এবং নতুন সাম্রাজ্যবাদী প্রতিযোগিতায় আমেরিকা, চীন এর সাথে মার খাচ্ছে চীন এর অর্থনৈতিক শক্তির জন্যে।

এবং এই লড়াই এ, ইন্ডিয়া আমেরিকা এর ন্যাচারাল এলাই বা সহজাত বন্ধু। কারন ভারত এর সাথে চীন এর একটা বিরোধ রয়েছে ঐতিহাসিক ভাবেই। ৫০ বছর আগে, ভারত চীন যুদ্ধ এই দুই দেশের নেতারা ভুলে যান নি। এবং নিউ ওয়ার্ল্ড এর অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় চীন এর সব চেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। যদিও চীন ও ইন্ডিয়া স্ত্রেটেজিক কারনে, একে অপরের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব একে অপরের প্রতি সন্দিহান।

ফলে, আমাদের জন্যে অঙ্ক টা হচ্ছে, আমাদের এক পাশে ইন্ডিয়া যাকে ইউ, এস জানি জিগার দোস্ত বলে মনে করে। এবং ইন্ডিয়া কে নিউট্রালাইয করার জন্যে আমেরিকার বাংলাদেশ কে লাগেনা। তবুও কিছু চুলকানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার জানি দোস্ত কেও মাঝে মাঝে দেয়, একটু সামলে রাখার জন্যে। এবং এই সামান্য চুলকানি এর জন্যে যতো টুকু গুরুত্ব দিতে হয়, ঠিক তত টুকু গুরুত্ব রাজনৈতিক ভাবে আমেরিকা বাংলাদেশ কে দেয় । সেই কাজেও তার বাংলাদেশ কে প্রয়োজন হয় না, কারন ইনডিয়া কে ওই চুলকানি দেয়ার কাজ টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান কে দিয়ে ই সারে। তাতে তার সাপ ও মরে, লাঠিও ভাঙ্গে না।

আমাদের আরেক দিকে আছে বার্মা বা মিয়ান্মার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মিয়ান্মার খুবি গুরুত্ব পূর্ণ দেশ। কারন মিয়ান্মার এর আছে ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, চীন আর থাইল্যান্ড এর সাথে বর্ডার। সো এগেইন , চীন কে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ান্মার কে লাগবে। মিয়ান্মার এর সামরিক জান্তা ঐতিহাসিক ভাবে চীন মুখাপেক্ষী। কিন্তু গণতন্ত্র হাঁটি হাঁটি পা পা করছে, এমন সময় আমেরিকা মিয়ান্মার এর নতুন শাসক দের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সব চেয়ে তৎপর। এই জন্যেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে, মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা গুলো কোন আওয়াজ তোলে নাই। রোহিঙ্গা ইস্যু টা যখন সব চেয়ে গরম ওই সময় আং সং সুকি ইউ এস ভ্রমণ করে, কিন্তু কেও তার সাথে এই বিষয়ে একটাও আলাপ দেয় নাই। কারন মিয়ান্মার এর সাথে সম্পর্কের ভূ রাজনৈতিক গুরুত্ব বাদে, অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও আছে।

এবং বার্মা কে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী পাঁচ বছরে পকেটে নিয়ে আসবে। আর যদি নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয় এবং মিয়ান্মার যদি চীনের বলয় এর মধ্যেই রয়ে যায়, তবে আমেরিকা এর কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব খুব একটা বাড়বেনা, কারন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল শত্রু চীন, মিয়ান্মার নয়। এবং চীন এর সাথে আমাদের কোন বর্ডার নাই। সো মাঝে মাঝে মিয়ান্মার কে খাওজ্জাই দেয়ার জন্যে হয়তো আমাদের গুরুত্ব একটু বাড়বে। এবং এই গুরুত্ব হবে, আমাদের চুলকানি প্রদানের সামর্থ্যের গুণিতক পরিমাণ।

এখন আসি, থার্ড একটা ইস্যু তে। অনেকে বলে, অনেকে নয়, আমাদের দেখা মতে, বেশি এর ভাগ বাঙ্গালি বিশ্বাস করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রাম এ পূর্ব তৈমুর এর মত একটা ক্রিস্টিয়ান রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়। এবং এই টার জন্যে তারা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
শঙ্কা টা বোধ হয় সত্যি । আমাদের ইউ এস আর ই, ইউ এম্বাসাডার গন যত ঘন ঘন পার্বত্য চট্টগ্রাম এ যান, তাতে তাদের এই অঞ্চলে জোর গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বার্থ আছে বলেই মনে হয়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এ চাকমা এবং মার্মা ছাড়া(দুই টা প্রধান জন গোষ্ঠী) সকল ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এবং উপজাতিরা (উপজাতি বলতে আমার দিলে ব্যথা করে না। ইউ এন এর সংজ্ঞার গুষ্টি মারি। ছোটকাল থেকেই এই অঞ্চল এর লোক কে উপজাতি ডাকা হইছে বলে দেখেছি) আশি ভাগ এর উপরে ক্রিস্তিয়ান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে হয়ে গ্যাছে বলে শুনেছি। এবং ই এউ, ইউ এস, ক্রিস্টিয়ান মিসনারিগন, যিওনিস্ট ব্লক এরা এই ধরনের একটা স্বপ্ন মনে পুষে রাখবেন, একটা মুসলমান রাষ্ট্রের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান রাষ্ট্রের দিবা স্বপ্ন দেখবেন- এই টাই স্বাভাবিক ।

কিন্তু ইহা, হই বার নয়, কারন এই কিতাবের গরু রে গোয়ালে আনতে দূর অস্ত দিল্লি পর্যন্ত যাইতে হবে । এবং দিল্লি কক্ষনই এই টার সমর্থন দিবেনা। সামরিক বা রাজনৈতিক কোন কারন নয় এক মাত্র দিল্লি রাজী হবে না বলেই, এই টা কক্ষনও হবেনা।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কে চুলকানির স্ত্রেটেজি হিসেবে, শান্তি চুক্তি এর আগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী দের অস্ত্র সহ সব সহায়তা করছে, কিন্তু উপজাতি দের বিচ্ছিন্ন একটা রাষ্ট্র তৈরি করার উদ্দেশ্য হিসেবে নয় বরং এইটা বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন নেগোসিয়েশানে এ বারগেইনিং চিপস হিসেবে ব্যবহার এর জন্যে। আমাদের উপজাতিয় ভাই রাও এই চাল এর গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন।

ইন্ডিয়া এর সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিরা একটা নতুন রাষ্ট্র গড়তে সক্ষম হলে, ভারত তার অখণ্ডতা ধরে রাখতে পারবেনা। এবং এই ধারাবাহিকতায় সেভেন সিস্টারস ও আলাদা হয়ে যাবে এবং এমন কি মুল ভারতেও তার প্রভাব এড়াতে পারবেনা । সেভেন সিস্টার্স এর ভৌগোলিক অবস্থান এমন যে, এই টা ঠেকানো অসম্ভব হবে ইন্ডিয়ার পক্ষে। এই টা হতে দেয়ার মত গবেট ইন্ডিয়া নয়।
এই বাস্তবতা থেকে, এই অঞ্চল এ একটা নতুন ক্রিস্টিয়ান, বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র হওয়ার সম্ভাবনা অপ্রতুল ।

আরও বাকী থাকে বঙ্গোপসাগর। বঙ্গোপসাগর কে দখল করার কিছু নাই। এই পানি পাহারা দেয়ার ও কিছু নাই । সাগর কেও দখল করেনা, দখল করে খনিজ। ওই টা ওরা ইতিমধ্যেই তেল এর ব্লক দখলের মাধ্যমে দখল করে ফেলছে। তবুও এই খানে একটা অর্থনৈতিক গেম আছে, ওইটার আলোচনায় পরে আসছি ।
এই সকল কিছু হিসাব করে, অমার মনে হয়, ভূ রাজনৈতিক এবং সামরিক দৃষ্টি কোন থেকে, আমেরিকা সব নিয়ে গেল, নিয়া গেল বলে যে রব তোলা হয়, তার মধ্যে মাল খুব কমই আছে।

অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে হয়, আমাদের নিজেদের সম্পদ এর মূল্যকে আমরা খুবই ওভার এস্টিমেট করি। আমরা একটা দরিদ্র দেশ। সম্পদ কম থাকার কারনেই আমরা দরিদ্র। আর যে সম্পদ আমাদের আছে, তার উপর আছে ১৬ কোটি মানুষের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি। আড়ালে হাজার কোটি টাকা গায়েব করে দিতে পারবে, কিন্তু চাইলেও আমাদের দৃষ্টির আড়ালে তেমন কিছু কেও নিয়ে যেতে পারবেনা, তারা খুব ভালোই জানে।

তাছাড়া আমাদের আছেই টা কি, যা তারা নিয়ে যেতে পারবে ? আমাদের এখনও কোন আবিষ্কৃত তেল এর খনি নাই, কোন ডায়মন্ড এর খনি নাই, বড় কয়লার খনি নাই, লোহা এর খনি বা এমন কিছুর খনি নাই যার কোন স্ত্রেটেজিক গুরুত্ব আছে, আমেরিকা যার উপর নির্ভরশীল বা যেই টায় আঘাত হলে আমেরিকার কোন ক্ষতি হবে বলে যেই টাকে রক্ষা জন্যে বাংলাদেশ কে গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।

হয়ত আমাদের বঙ্গোপসাগর এ খনিজ আছে প্রচুর । কিন্তু বঙ্গোপসাগর এ কি আছে, তা এখনও আমরা পরিষ্কার নই। হয় তো অনেক বড় বড় তেল ক্ষেত্র ঐ খানে আছে, যা আমরা জানিনা। আমরা এমন দুর্ভাগা জাতি যে, মাত্র ১০০ মিলিয়ন ডলার এর নীচে খরচ করে, বঙ্গোপসাগর এ ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানোর কাজ টাও আমরা করতে পারি নাই। আমরা শেয়াল কে দিসি,কয় টা মুরগি আছে টা গুনে দিতে । কি অভাগা দেশ।

যদি বঙ্গোপসাগর এ আমাদের অংশে ব্যাপক খনিজ থেকে থাকে তো অবশ্যই আমেরিকা এর কাছ এ আমাদের গুরুত্ব বাড়বে। কিন্তু মজার কথা হচ্ছে বঙ্গোপসাগর এর বেশির ভাগ ব্লক কে, ইতিমধ্যেই আমরা মার্কিন কোম্পানিকে কে ইজারা দিয়ে দিয়েছি পৃথিবীর সব দেশের মধ্যে সব চেয়ে সহজ শর্তে। তো এই সম্পদ দখল করতে সপ্তম নৌবহর পাঠানর দরকার পড়ে না, ঘাটি তৈরি করার দরকার পড়েনা। একই সাথে আরও বলা যায়, দেশের মধ্যে যে খনিজ সম্পদ গুলো আছে ফুলবাড়ি, কুমিল্লা সিলেট জোন এর গ্যাস এই গুলো এর উপরে শেভরন সহ অন্যান্য মার্কিন কোম্পানি অলরেডি দখল প্রতিষ্ঠা করছে। ওরা দেখসে কতো সহজে আরও কতো সস্তায় আমাদের লিডার দের কিনে ফেলা যায়। একটা মন্ত্রী রে একটা জীপ গাড়ি, আরও একটা বিদেশ ভ্রমণ করিয়ে oxidental এর মত কয় এক হাজার কোটি টাকা এর ক্ষতি পূরণ মাফ করিয়ে দেয়া যায়।

সেই দেশ এর খনিজ হাত করতে শেভরন এর কিছু সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ই যথেষ্ট। এই সব খনিজ দখল করতে পুরো স্ট্রাটেজি লেভেল এ ফরেন পলিসি তে কিছুই করতে হয়না আমেরিকার। আমাদের নেতারা, তাদের দাক্ষিণ্য পেতে জিহবা বের করে বসে আছে। আয় আয় তুতু বললেই, আমাদের নেতারা কিছু দাক্ষিণ্যর বিনিময়ে আর যা কিছু তেল, গ্যাস বা খনিজ আছে তা ওদের হাতে তুলে দেয়ার জন্যে রেডি।

আরেক টা গান শুনি ডীপ সি পোর্ট এর। হায় রে বাঙ্গালি, দুনিয়া যেমন কি তোমার জন্যে বইসা থাকবে। একটু ডিটাইলস এ যাই।

বাংলাদেশ এর একটা ডীপ সি পোর্ট এর দুইটা ভূমিকা থাকতে পারে।

একটা হইল আমাদের নিজস্ব চাহিদা। আমাদের কর্ণফুলী নদী দিয়ে চিটাগাং পোট এ ঢুকতে হলে, একটা জাহাজের ম্যাক্সিমাম ড্রাফট হতে পারে ৯ মিটার আর একটা স্ট্যান্ডার্ড মাপ এর ১০০০০ টি ই এউ কন্টেইনার শিপ এর ড্রাফ্‌ট ১৬ মিটার। আর ফলে বাংলাদেশ কন্টেইনারবাহি বড় জাহাজ আমাদের পোর্টে ঢুকতে পারেনা। বাংলাদেশ থেকে যতো এক্সপোর্ট বা ইম্পোরট হয়, তো ছোট ছোট ফিডার জাহাজ দিয়ে সিঙ্গাপুরে বা কলম্বো থেকে আনা নেয়া করা হয়। আমরা যদি একটা ডীপ সি পোর্ট করি, তাহলে সিঙ্গাপুরে বা কলম্বো তে না পাঠিয়ে আমাদের ফিডার গুলো মহেশখালী চ্যানেল থেকেই কনটেইনার আনা নেয়া করতে পারবে। এইটা কোন মহা স্ত্রেটেজিক ব্যাপার না।
এই টা করতে পারলে কি না পারলে স্বার্থ হানি হবে কলম্বো বা সিঙ্গাপুরের আমেরিকা এর এই টা নিয়ে মহা কোন মাথা ব্যথা নাই। কোন একটা আমেরিকান কোম্পানি এর থাকতে পারে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে । কিন্তু আমি এই টার কোন স্ত্রেটেজিক গুরুত্ব দেখিনা।

আরেকটা হইল আন্তর্জাতিক চাহিদা। আমরা যদি একটা ডীপ সি পোর্ট করতে পারি, তবে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো এর কিছু ব্যবসা বাংলাদেশের দিকে আসবে। কিন্তু আসিয়ান ও অস্ট্রেলিয়ান হতে মিডল ইস্ট রূট টা আরও অনেক দক্ষিণে। ফলে আন্তর্জাতিক রুট এর ব্যবসা আনতে কলম্বো এর সাথে শক্ত প্রতিযোগিতা করতে হবে, অসম্ভব বলছিনা।

ওই খানে আর প্রণিধান যোগ্য যে, গৃহ যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শ্রীলঙ্কা চীনরে দিয়া, হাম্বানটোটা তে একটা ডিপ সি পোর্ট করেছে, ১.৫ বিলিয়ন ডলার খরচ করে যেই টা ওপেন হইসে জুন ২০১২ তে । এখন শ্রীলঙ্কান ডেলিগেটরা প্রচুর লবিং করছে আমাদের ফিডার জাহাজ গুলো সিঙ্গাপুর না গিয়ে হাম্বানটোটাতে নিতে।

তাই আমাদের ডিপ সি পোর্ট নিয়ে যদি কোন ষড়যন্ত্র হয়, তো সেটা করবে চায়না আর শ্রীলঙ্কা, কারণ হাম্বানটোটা চীন এর ফাইনান্স করা। এবং ওই টার ব্যবসা কমুক সেই টা চীন চাইবেনা।

হায়রে, বাঙ্গালি কাম এর সময় কাজ না করে, হেন করেঙ্গা, তেন করেঙ্গা , এ নিপাত যাক ও নিপাত যাক বলে রাস্তা গরম করতে পারব, কিন্তু দরকার এর সময় কারো চুল ও ছিলতে পারবোনা। দুনিয়া তোমার জন্যে বৈসা নাই। শ্রীলঙ্কা এর গৃহ যুদ্ধে সময় এই খানে একটা ডিপ সি পোর্ট হইলে হয়ত, এই ব্যবসা গুলো আমরা পাইতাম। এই টা দেশের জন্য বিরাট একটা সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারত, অনেক জব সৃষ্টি করতে পারতো। এমন কি চায়না রে দিয়া ও এই পোর্টটা করা যাইত। আমরা শুধু পলিটিক্স করে গেলাম, ডিপ সি পোর্ট নিয়া।

আমাদের একটা ডীপ সি পোর্ট হয় কি না হয় তার কোন ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব নাই। শুধু মাত্র আমাদের নিজস্ব বাণিজ্য কে গতিশীল করার জন্যে আমাদের নিজস্ব একটা ডীপ সি পোর্ট প্রয়োজন। তাইলে আমাদের এক্সপোর্ট এবং ইম্পোরট এর লিড টাইম কমে আসবে, রপ্তানি কারক এর এর কম্পিটিটিভনেস বাড়বে। আর ইম্পোরটার এর প্রাইস ফ্লাক্টুএশান এর রিস্ক কমে আসবে। যার ফলে আমাদের দেশের দ্রব্য মূল্যে কিছু টা হইলেও প্রভাব ফেলবে।

গুরুত্ব আমাদের কাছে, আমেরিকা এর কাছে না।

তাইলে গুরুত্ব কার কাছে আছে ?
আছে।
উপরের পুরা আলোচনায় দেখেন আমেরিকা, ইন্ডিয়া ভাই ভাই। আবার মিয়ান্মার কে চীনা বলয় থেকে নিয়ে আসার সর্বস্ব চেষ্টা করছে আমেরিকা। এবং মনে হচ্ছে, সে তাতে সফলও হবে।
তাইলে, এই এলাকায় মার্কিন একাধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। সেইটা কিন্তু অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক কোন দৃষ্টিতেই চীন এর জন্যে মঙ্গলজনক হবেনা। তাই, চায়না চাইবে, এই এলাকায় তার একটা এলাই থাক। এবং ওই টা হতে পারে বাংলাদেশ।
তাই আমেরিকার আছে গুরুত্ব না থাকলেও, নতুন বিশ্বে আমেরিকা এর প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চীন এর কাছে আমাদের ব্যাপক গুরুত্ব আছে।

কিন্তু এই টা একটা বিশাল আলোচনা। ওই খানে চার টা পার্টি থাকবে, ইন্ডিয়া, মিয়ান্মার , চীন ও আমেরিকা।। ওই খানে ইস্যু হবে স্ত্রেইট অফ মালাকার যে খানে মার্কিন নৌ বহর পেট্রল দেয় এবং যেটা চীন এর সাথে মিডল ইস্ট এর প্রধান ট্রেড রুট, ওই খানে ইস্যু হবে, কুন্মিং থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রেইল লিঙ্ক, যেই টা মিয়ানমার গত জুন মাসে রিজেক্ট করসে চায়নার ইচ্ছা এর বিরুদ্ধে , ওই খানে ইস্যু হবে চীন সাগরে সীমানা নিয়ে চীন এর সাথে তার প্রতিবেশী দের দ্বন্দ্ব এবং স্ত্রেইট অফ মালাকারের ও বাংলাদেশের সাথে চীন এর সম্পর্কে তার প্রভাব সহ আর অনেক কিছুই। ওই খানে আরও আসবে বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার এর চীনকে ডমিনেট করার পরোক্ষ স্বার্থ এবং ইন্ডিয়া এর বাংলাদেশ এর মার্কেট ধরে রাখার প্রত্যক্ষ স্বার্থ। ওইটা একটা বিরাট আলোচনা এবং হিন্ট গুলো পুরো টাই আমি বলে দিয়েছি। সমঝদাররা আল রেডি বুঝে গেছেন। ওই নিয়ে আরেক দিন লেখার আশা রাখি ।

তাই, উপসংহারে ওই টাই বলবো নিজেদের আমরা যত গুরুত্ব পূর্ণ ভাবি বা বামপন্থিরা বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সপ্তম নৌবহর এর আনাগোনা বা বাংলাদেশ এ ইউ এস এর ঘাঁটি গড়ার ব্যাপারে ফেনা তুলে যে ডায়ালগ গুলো দেন, তা তারা অভ্যাস বশত বলেন। আজকের বিশ্ব বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের তেমন কোন বেইল নাই।

লাস্ট কথা এবং শেষ কথা হইল, আমরা নিজেরা পৃথিবীর কাছে নিজেদেরকে ডিগ্নিফাইড, শিক্ষিত, প্রগ্রেসিভ, প্রফেশনাল এবং উন্নয়ন মুখি দেশ হিসেবে তুলে ধরতে পারি নাই। সবাই জানে, আমাদের কোন ফরেন পলিসি নাই, আমরা দুর্যোগের দেশ, দুর্নীতির দেশ, আমরা খুব নীচই মানসিকতার, জিরো ইনফ্রাস্ত্রাক্টার এর, অল্প শিক্ষিত, নিচু সাম্প্রদায়িক মানসিকতার, গোঁড়া ধর্মীয় দৃষ্টিকোন ধারি, দুই টা ঝগড়াটে মহিলা এর বাপের তালুক এবং সুযোগ হিন ১৬ কোটি মানুষের একটা ভাগার। আমাদের রাজধানী পৃথিবীর সব চেয়ে নোংরা শহর গুলোর এর একটা। ওই খানে রাস্তায় দুর্গন্ধ ময় রাবিশ পরে থাকে, মাস্তান রা বিকলাঙ্গ শিশু দের পেছনে বন্দুক ধরে, রাস্তায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে ভিক্ষা করায়। শুধু আমেরিকা নয়, ব্যবসার জন্যে ইন্ডিয়া বাদে প্রথিবীর অন্য কোন দেশের আমাদের প্রতি আগ্রহ নাই। আমাদের কোন মানব সম্পদ, নৈতিক সম্পদ, মানবিক সম্পদ, আইডিয়ার সম্পদ, খনিজ সম্পদ বা কোন কিছুই নাই যার কারনে আমাদের কে কেও সিরিয়াসলি নিবে। আমরা ১৬ কোটি পঙ্গপাল এর দেশ খানে একদম চিপ এ কিছু শরীর কেনা যায়, ওই শরীর আছে বলেই কিছু গার্মেন্টস ভিত্তিক কানেকশান বাকি পৃথিবীর সাথে বাংলাদেশের হইসে। যে টার কারনে দুনিয়াতে কিছু হইলেও আমাদের স্টেক তইরি হইসে।

পৃথিবীর সব ফরেন পলিসি হইল, স্বার্থের। গিভ এন্ড টেক এর। আমাদের দেয়ার মত কিছু নাই, এমন কি আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার মত তেমন কিছু নাই যে আমাদের অন্যরা পাত্তা দিবে।

খনিজ নিয়ে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার যে স্বার্থ টুকু আছে, টা মেনেজ করতে এক টা দুই টা লো লেভেল কর্মচারীই যথেষ্ট। ওই জন্যে দেখবেন, খুবই নিম্ন পর্যায়ের এর কর্মচারীদের বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ থেকে বের হয়ে, ওরা যায় বুরকিনা ফাসো, বা উগান্ডা এর মতো দেশ এ। আমার মনে হয়, শুধু একটা অদ্ভুত কারনে বাংলাদেশের পোস্টিং কে নিম্ন পর্যায়ের রাষ্ট্র কর্মকর্তা রা গুরুত্ব দেয়। তা হল, আমাদের রাজনৈতিক নেতা আর মিডিয়া, যে ভাবে তাদের পায়ের তলে পৈরা থাকে এবং আমাদের সাংবাদিকরা তাদের অপিনিয়ন এর দখিনা পেতে যেভাবে হাপিত্যেশ করে, পৃথিবীর আর কোন দেশ ওই রকম করা হয় না।

আমরা আত্নমর্যাদা নাই বলেই আমরা অতিরিক্ত সংবেদনশিল, অবাস্তবিক প্রত্যাশা করি, আর ছোট ছোট বিষয় গুলোকে ডিগ্নিফাই করি যেটা নিয়ে মানুষ হাসে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইন্ডিয়া বা চায়নার আমাদের নিয়ে যতই ভূরাজনৈতিক প্লান থাকুক আত্নমর্যাদা বাড়াতে না পারলে আমরা কোথাও নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারবোনা। মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের কাছও না এমন কি আমাদের সম্ভাব্য ঘনিষ্ঠ বন্ধু চায়না র কাছেও না।

Blogger Armchair Economist as Guest Writer.


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হ।
সবই আমাগো কপাল।

আজকের বিশ্ব বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের তেমন কোন বেইল নাই।

আযাযিল আপনার মঙ্গল করুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমেন

মনিরুল ইসলাম  এর ছবি

বাংলাদেশের বামপন্থীরা পেশাগত জীবনে ব্যর্থ হয়ে তারপর এই সব চিল্লাচিল্লি করে মনোযোগ আকর্ষনের আশায় ।তাদের সহকর্মী বা বন্ধুদেরকে বিদেশি কোম্পানীতে চাকরী বা কনসাল্টেন্সি করে টাকা কামাতে দেখলে তারা এসব বড় কথা বলে নিজেদের না পাওয়ার জ্বালা মেটায়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তাদের সহকর্মী বা বন্ধুদেরকে বিদেশি কোম্পানীতে চাকরী বা কনসাল্টেন্সি করে টাকা কামাতে দেখলে তারা এসব বড় কথা বলে নিজেদের না পাওয়ার জ্বালা মেটায়।

খুব সুন্দর বলেছেন। অনেক পুরনো একটা নাটকের কথা মনে পড়ে গেল। মামুনুর রশীদের ইতিকথা। সেখানে আবদুস্ সাত্তারের একটা সংলাপ ‌ছিল, "আমার দুইডা পয়সা হইছে তো...! সৈয্য হয় না। "

হিমু এর ছবি

জলিল হাউয়ায়ু?

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই। আমি এমন বামপন্থী দেখসি, যে অনেক ভাল চাকুরি ছেড়ে গ্রাম এ পইরা আছে, স্কুল এ পড়ায়। এমন ill informed আর ফালতু কমেন্ট গুলো আমার পোস্ট এ না দিলে হয় না ?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আরে নাহ্ ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

স্বপ্নহারা এর ছবি

তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এ চাকমা এবং মার্মা ছাড়া(দুই টা প্রধান জন গোষ্ঠী) সকল ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এবং উপজাতিরা (উপজাতি বলতে আমার দিলে ব্যথা করে না। ইউ এন এর সংজ্ঞার গুষ্টি মারি। ছোটকাল থেকেই এই অঞ্চল এর লোক কে উপজাতি ডাকা হইছে বলে দেখেছি) আশি ভাগ এর উপরে ক্রিস্তিয়ান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে হয়ে গ্যাছে বলে শুনেছি।

কেন ব্যথা করে না? উপজাতি কেন ডাকা হইছে? বা কেডা-কোন উদ্দেশ্যে ডাকে? কইত্থেকে শুনছেন ক্রিস্তিয়ান?

লেখা পইড়া মনে হইলো, আম্রিকা আপনের বেয়াইন লাগে!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

স্যাম এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

কোরবানি এর গরু এর সামনের রান বাজী, আপনি এই ব্লগ টা না পইরা কমেন্ত দিছেন। লাগবেন বাজী ?

স্যাম এর ছবি

আপনার মন্তব্য ভাল লাগলনা - দিলে আপনার ব্যাথা নাই করতে পারে - ছোট বেলা থেকে নিশ্চয়ই 'নিগ্রো', 'মালোয়ান' ইত্যাদি শব্দ শুনেও বড় হয়েছেন!

অতিথি লেখক এর ছবি

উপজাতি না দেখে, ক্ষুদ্র জাতি সত্তা বা এই ধরনের নাম এ ডাকা টায় কিন্তু আমাদের উপজাতীয় বন্ধু দের আপত্তি। গুলিয়ে ফেলেছেন ব্রাদার। আমি অবাক হইলাম, লেখা টা কি নিয়ে ডিবেট হচ্ছে কি নিয়ে।

সত্যপীর এর ছবি

আপনার লেখা নিয়েই ডিবেট হচ্ছে। একটা একটা করে পয়েন্ট ধরে আলোচনা এগুবে। এইবার হিল্ট্র্যাক্টে মার্কিন ব্যাকড ক্রিস্তিয়ান রাষ্ট্রের রেফারেন্স দেন।

..................................................................
#Banshibir.

স্বপ্নহারা এর ছবি

এখন আসি, থার্ড একটা ইস্যু তে। অনেকে বলে, অনেকে নয়, আমাদের দেখা মতে, বেশি এর ভাগ বাঙ্গালি বিশ্বাস করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রাম এ পূর্ব তৈমুর এর মত একটা ক্রিস্টিয়ান রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়। এবং এই টার জন্যে তারা জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
শঙ্কা টা বোধ হয় সত্যি । আমাদের ইউ এস আর ই, ইউ এম্বাসাডার গন যত ঘন ঘন পার্বত্য চট্টগ্রাম এ যান, তাতে তাদের এই অঞ্চলে জোর গুরুত্বপূর্ণ কোন স্বার্থ আছে বলেই মনে হয়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এ চাকমা এবং মার্মা ছাড়া(দুই টা প্রধান জন গোষ্ঠী) সকল ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী এবং উপজাতিরা (উপজাতি বলতে আমার দিলে ব্যথা করে না। ইউ এন এর সংজ্ঞার গুষ্টি মারি। ছোটকাল থেকেই এই অঞ্চল এর লোক কে উপজাতি ডাকা হইছে বলে দেখেছি) আশি ভাগ এর উপরে ক্রিস্তিয়ান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে হয়ে গ্যাছে বলে শুনেছি। এবং ই এউ, ইউ এস, ক্রিস্টিয়ান মিসনারিগন, যিওনিস্ট ব্লক এরা এই ধরনের একটা স্বপ্ন মনে পুষে রাখবেন, একটা মুসলমান রাষ্ট্রের মধ্যে ক্রিস্টিয়ান রাষ্ট্রের দিবা স্বপ্ন দেখবেন- এই টাই স্বাভাবিক ।

কিন্তু ইহা, হই বার নয়, কারন এই কিতাবের গরু রে গোয়ালে আনতে দূর অস্ত দিল্লি পর্যন্ত যাইতে হবে । এবং দিল্লি কক্ষনই এই টার সমর্থন দিবেনা। সামরিক বা রাজনৈতিক কোন কারন নয় এক মাত্র দিল্লি রাজী হবে না বলেই, এই টা কক্ষনও হবেনা।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কে চুলকানির স্ত্রেটেজি হিসেবে, শান্তি চুক্তি এর আগ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী দের অস্ত্র সহ সব সহায়তা করছে, কিন্তু উপজাতি দের বিচ্ছিন্ন একটা রাষ্ট্র তৈরি করার উদ্দেশ্য হিসেবে নয় বরং এইটা বাংলাদেশের সাথে বিভিন্ন নেগোসিয়েশানে এ বারগেইনিং চিপস হিসেবে ব্যবহার এর জন্যে। আমাদের উপজাতিয় ভাই রাও এই চাল এর গুটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন।

কারা সেই বাঙালি? আপনি কাদের সাথে থাকেন ভাই?
ভারতীয়রা অস্ত্র দিয়েছে এইটার একটা রেফারেন্স দেন। ভারতীয়দের গুটি ঐটাও একটু প্রমাণ করেন।
"উপজাতি"রা বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র চাইছে এইটা একটু খোলাসা করেন।
"উপজাতি" শব্দটা আদিবাসীদের জন্য একটা গালি বিশেষ, যেমন আমারে আপনে মালাউন কয়ে গালি দেন- নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠিও তাই। আপ্নের দিলে ব্যথা লাগে না কেনু???

আপ্নে ছোটবেলা থেকে অনেক আউল-ফাউল জিনিস পড়ছেন, ভাই। তাগো অনেক সাপ-ব্যাং-পোকামাকড় খাওয়ার গল্পও পড়ছেন। অহনতো বড় হইছেন- হয় হাছা কথা শিখেন নাইলে ফেসবুকের জামাতি গ্রুপে গিয়া লাদেন।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

সত্যপীর এর ছবি

অমা আমারে বকো কিল্লাই? খাইছে

..................................................................
#Banshibir.

স্বপ্নহারা এর ছবি

ভুল জায়গায় গেসে। স্যরি!

উনার জ্ঞানের জন্য একটা লেখা এইখানে।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

স্বপ্নহারা এর ছবি

না পড়ার কথা কেন মনে হইলো? আম্রিকা বেয়াইনের কথা শুনে? বেয়াইনের অনেক ক্ষমতা ঐটাই তোঁ কইলেন নাকি? আপনে কী বুঝাইতে চাইছেন সেইটা লেখার অগোছালো যুক্তির কারণে বুঝি নাই। সত্য কইরা কইলে, আপনের লেখাটা আমার দু'দু বার করে পড়তে হইছে-পয়েন্ট বুঝার জন্য।

নিচে পান্ডবদা কয়ে দিছে যা কওয়ার।

কোরবানির গরুতে আগ্রহ নাই।

উপজাতি যদি সারকাজম হয় তাইলে সেইটা বুঝি নাই। আর যদি না হয়, তাইলে একটু বুঝান ভাইডি। একটু জানা দরকার।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অচল  এর ছবি

জটিল লাগছে আপনার লেখা আর বিশ্লেষণ। নেক্সট লেখার জন্য বইসা রইলাম ।।।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধৈন্যা পাতা

আইলসা এর ছবি

আপনার এনালাইসিস ভালো লাগচে যদিও মাত্র একবার চোখ বুলাইছি।তবে আপনে একটা জিনিষ মিস করছেন আমাদের একটা মার্কেট আছে- ১৬ কোটি লোকের, প্রত্যেকে মাসে যদি ১০সেন্ট কইরা ভিক্ষাও নেয়, তাইলেও মার্কেট সাইজ হইলো ১৬মিলিয়নের। ১৬ মিলিয়ন ভিক্ষা দিতে, টোটাল এইড মানি হইতে হইবো ২৬ মিলিয়নের কাছাকাছি। প্রায় ৪০% এর মত যারা ভিক্ষা আনবো তাগো সার্ভিস চার্জ। যদিও এইটা আমগো মাথা ব্যথা, মার্কিন স্ট্রেজিস্ট্ররা এইটারে বেল তো পরে কথা, আদাও দেয় না।

আরেকটা প্যাচ আছে, মার্কিনরা যতই চায় মায়নমার স্ট্রংগলি চায়না-ওরিয়েন্টেড সুতরাং আশা নাই বরং আমার মনে মার্কিনিগো ইচ্ছা মায়নমারে চায়না-আমেরিকা ভাই ভাই বিজনেস করা। প্লাস আপনার মার্কিনরা টাকাটা ভালো বুঝে, টাকা চায়না থিকা আসুক আর ব্রাজিল হু কেয়ারস। বরং দেখেন সামনে চায়নারে আমেরিকানাইজড কইরা ফালায়নি।

বা্ট আপনার সাথে ১০০% একমত, আমার নিজেদের যতই আমগাছের বোটা ভাবি না, সারা বিশ্ব পরে, এশিয়া ও আমগো ফকিন্নির পুত, কামলারে ঘরের কামলা হিসেবেই জানে। আর আমগো বামপন্হীরা হইলো ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, খালি আবালের মত ফাল পাড়ে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার প্রথম হিসেব টা বুঝি নাই। চীন এর আমেরিকা oriyented হওয়ার chance কম।economic ফ্রণ্ট এ চীন আর আমেরিকা সব সময় ঠিক থাকবে। এই টা আমেরিকা এর credit। পলিটিকাল সমস্যা হইলেও ওরা ব্যবসা রে ক্ষতি হইতে দেয় না।
romney ভোট এ জিতলে, দন্দ টা বাড়তে পারে। romney বলসে, চীন রে currency manipultor হিসেবে declare দিবে ভোট এ জিতলে. এই টার অনেক প্রভাব আছে।
আমাদের যে সবাই ফকিন্নির পুত মনে করে, এই টা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানর জন্যেই এই লেখা । ঐ মতামত এর সাথে কোন দিমত নাই।

  মামুন মোসতফা এর ছবি

চমতকার বিশ্লেষণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

থানকু। হাসি

সত্যপীর এর ছবি

দেশটার অবস্থা খুবই খারাপ দেখি, আমেরিকার কাছে স্ট্র্যাটেজিক ইম্পর্ট্যানস না থাকা সত্ত্বেও আমরা পতিদিন লিচ্চিন্তে ঘুমাই ক্যামনে সেইটাই ভাবতেসি. আজকে নমাজ পইড়া আল্লার কাসে বিচার দিম!

হিলট্র্যাক্ট এ ক্রিস্তিয়ান রাষ্ট্রের গপ্পের একখান রেপারেনস দেন পড়ি. জানার আছে অনেক্কিচু.

(বানান ভুল সর্বস্ব পোস্টে ভুল বানানে মন্তব্য করে শান্তি পাইলাম)

..................................................................
#Banshibir.

ফারাসাত মাহমুদ এর ছবি

পুরাই অনন্ত জলিলীয়। এই বানানগুলো ভুলভাবে লেখাটাও ব্যাপক কষ্টকর। ধন্যি মশাই আপনার অধ্যবসায়। হাততালি গুরু গুরু

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই। বানান ভুল এর কথা কি বলব। বাংলা টিচার এর ছেলে হয়ে বাংলা লিখতে পারিনা। অভ্র , বাংলা টেক্সত ডট কম স্পেল চেক মিলে যে কি অবস্থা হয়, বুঝাইতে পারবনা। মাফ করবেন।
এখনও কেও একটা ভাল বাংলিশ থেকে বাংলা কনভারটার বানায় নাই। ঃ(

সত্যপীর এর ছবি

হিলট্র্যাক্ট এ ক্রিস্তিয়ান রাষ্ট্রের গপ্পের একখান রেপারেনস দেন পড়ি।

..................................................................
#Banshibir.

স্যাম এর ছবি

অতিথি লেখক এর ছবি

বানান ভুল এর জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। খেয়াল রাখবো।

সত্যপীর এর ছবি

হিলট্র্যাক্ট এ ক্রিস্তিয়ান রাষ্ট্রের গপ্পের একখান রেপারেনস দেন পড়ি।

..................................................................
#Banshibir.

কুমার এর ছবি

একটুশ খানি গুগ্লাইলাম, পাইলাম সব সোনাব্লগ আর নয়াদিগন্তের লিঙ্ক। পড়ার সময় বা ধৈর্য নাইক্কা।
বিস্তারিত এখানে, এখানে, এখানে

সত্যপীর এর ছবি

ও আচ্ছা এই কথা।

..................................................................
#Banshibir.

তানিম এহসান এর ছবি

বাস্তবতা হচ্ছে ভুরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অন্তত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের কোন বেইল নাই।
ঠিক বলেছেন, আমরা আসলে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গলের মাঝামাঝি থাকিতো, এই কারণেই বেইল নাই, নইলে কি আর হিলারি জোর করে আপনার কথামত নীচ মানসিকতার, নোংরা, কদর্য এই দেশ ঘুরে যান, মহাজনের নাও সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে। নিজেকে ছোট করে ভাবা শুরু করার পর বেইল পাওয়ার কোন সুযোগই আর দেখিনা।

খুব বেশি খণ্ডিত লাগলো, তবে আলোচনা শুরু করার জন্য চমৎকার। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি দুর্বল হবার একটা বড় কারণ আমাদের পর্যবেক্ষণ আর পর্যালোচনার দুর্বলতা, নিম মানসিকতা।

উপজাতি নিয়ে আপনার বক্তব্যে মজা পেলাম। জাতিতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী’র স্বীকৃতি নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বেঁচে থাক, উপানুষ্ঠানিকতায় নয়!

সুকান্ত  এর ছবি

হ ভাই কারো কাছে যখন শুনেছেন যে সব "উপজাতি" খৃস্টান হয়ে গেছে তখন আর দেরি কেন? হিন্দু বৌদ্ধ মুক্ত করলাম দেশ চলেন এইবার তবে বাদবাকি খৃস্টানদের উপর এক দফা হয়ে যাক :-/ এই মাটিরে পবিত্র পাকদেশ করতে হইবো তো, উপরি নতুন পাকদেশ হিসাবে আমেরিকার চোখে গুরুত্বও বেড়ে যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রচুর পাব্লিক রে দেখলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, রোহিঙ্গা এই সব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খ্রিস্টিয়ান রাজ্যের theory নিয়া আসে। আমি পুরা লেখায় ঐ মিথ টারে debunk করলাম। আর আপনে আমার উপর চড়াও হইলেন। ধৈরা নিয়ে পইড়েন না, পইড়া ধৈরা নিয়েন। তাইলে লেখার মজেজা বুঝতে পারবেন। কি মুশকিল রে ভাই।

হিমু এর ছবি

আরাকান অঞ্চলে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র তৈরি নিয়ে নানারকম খবর শুনি। পত্রিকাতে দেখি জামায়াতুল আরাকান নামে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে লোকজন। আপনি এই ব্যাপারটা এমন বিড়ালের মতো নিঃশব্দে এড়িয়ে গেলেন ... তারপর নিয়ে এলেন খৃষ্টানরাষ্ট্রের গল্প। এই গল্প নাকি আবার প্রচুর লোকজন করে।

আপনার পরিচিত লোকজন কি জামায়াতুল আরাকানের নাম শোনে নাই? ওগুলি নিয়ে কোনো থিওরি দেয় না তারা?

স্যাম এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
সুকান্ত  এর ছবি

ডিবাঙ্ক কোথায় করলেন বুঝলামনা! আপনিতো এমবাসেডরের যাওয়া আসা নিয়ে সেইটারে আরো পোক্ত করলেন। বাপরে কি একখান হাদিস লিখসেন যে পৈরা নিয়া তরজমা কৈরা মাজেজা বুঝতে হবে। বালছাল লেখার আগে বাল না ছাল কোনটা লেখবেন সেইটা ঠিক করে আসবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

O lord ! O lord !! O lord !!!এই লেখায় এত hate কোথায় খুজে পেলেন ? এই টা ত, আমেরিকা রে নিয়া লেখা।
আপনার জন্যেও বাংলাদেশ ভ্রমন ও ঘনিষঠ বন্ধু বাদে, ভিন্ন মত এর, ভিন্ন ধারার, ভিন্ন ideology এর অনেক মানুষ এর সাথে মেশা এর আহবান জানাচ্ছি।
আমি just সাধারণ মানুষ মধ্যে যারা একটু geopolitical লেভেল এ, পাব্লিকলি এভেইলেভেল ইনফরমেসান এর ভিত্তিতে যেই সব কথা বলে, তার একটা এংগেল নিয়ে আসছি। এবং ওই টারে DEBUNK করসি।
সেই অপরাধে আত এ already হিন্দু, বৌদ্ধ , খ্রিস্তিয়ান ethnic cleansing করে খেলাফত নামাই ফেলছেন আমার হাতে। এখন এক পশলা নাস্তিকতা দিলে আবার কমুনিস্ত বানায় দিবেন মনে হয়। মার্হাবা মার্হাবা। progressive হওয়ার সব চেয়ে বড় শর্ত গাড়ল না হওয়া।

কি নিয়ে লিখলাম, আর কি defend করতে হচ্ছে ।

কি pain এর মধে পড়লাম একটা ব্লগ লেইখা।

সত্যপীর এর ছবি

হে প্রগ্রেসিভ ডিফেন্ডার হিলট্র্যাক্ট এ ক্রিস্তিয়ান রাষ্ট্রের গপ্পের একখান রেপারেনস দেন।

..................................................................
#Banshibir.

স্বপ্নহারা এর ছবি

ব্লগে কিছু লেখলে সেইটা ডিফেন্ড করতে হবে যে ভাই। নাইলে মানুষ ঝাঁপায়ে পড়বে। এইটাই ব্লগের নিয়ম। এইটা সইতে না পারলে প্রথম আলুতে লেখেন- ওরা আপনার থিওরি অনেক আগ্রহ নিয়ে ছাপাবে। অনেক বাহবা পাবেন।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

ফারাসাত মাহমুদ এর ছবি

lord = ঈশ্বর / প্রভু
hate = ঘৃণা
ideology = চিন্তাধারা
just = শুধু
geopolitical = ভূরাজনৈতিক
debunk = অনাবৃত করা
already = ইতিমধ্যে
ethnic cleansing = জাতিগোষ্ঠী নির্মূল
progressive = আধুনিক
defend = প্রতিহত করা (আপনার ক্ষেত্রে "ব্যাখ্যা করা" বা "জবাব দেয়া")
pain = ব্যাথা (আপনার ক্ষেত্রে "ঝামেলা")

আর আইলসা ভাইয়ের ২০ নং মন্তব্যের জবাবে আপনার দেয়া মন্তব্যে "oriyented" এর সঠিক বানান হবে "oriented"।

ভাই কি ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়ার ছাত্র নাকি?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পদে পদে যান্ত্রিক সরলীকরণে ভরা এই বিশাল পোস্টটার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের ব্যাপারে আপত্তি করছি না দুটো কারণে। এক, কেউ যদি এভাবে বুঝে মনে শান্তি পেতে চায় তাহলে আমার ক্ষতি কোথায়? দুই, আপত্তি করতে গেলে আমাকে এর দ্বিগুণ সাইজের পোস্ট লিখে সেটা ব্যাখ্যা করতে হবে। এই পোস্টটার জন্য ঐ পরিমান ব্যক্তিগত রিসোর্স খরচ করতে আমার আপত্তি আছে - আমি নিতান্ত গরিব মানুষ।

তবে এই পোস্টটার উদ্দেশ্য নিয়ে আমার কিঞ্চিত সন্দেহ আছে। গায়ে পড়ে এতো ভালো ভালো উপদেশ আজকাল কেউ কাউকে দেয় না। কেউ কিছু নিয়ে অভিযোগ করলো না তারপরও 'আয় বুঝাই' বলে সব ভালো ভালো কথা বুঝিয়ে দিলে কেমন কেমন যেন লাগে। কী জানি আমি পাপী-তাপী মানুষ, আমার মনটাই মনে হয় বাজে সন্দেহে ভরা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বস খালি পুরানা গান মনে পড়াইয়া দ‌্যান .... দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এত কষ্ট করে পড়ে, তার উপর আবার মন্তব্যে করে যে সম্মান দেখিয়েছেন তা মাথা পেতে নিলাম।
কেমন জানি লাগে যে কথা বলেছেন, ওই টা অনেক কাল এর অভ্যাস এর কারনে। Dogma এবং ism নিয়ে বুঁদ হলে চোখে একটা shade পরে। তখন সব ই ঐ রং এর মত কেমন কেমন জানি লাগে।
এই টার একটা দাওয়াই আছে। দেশ ভ্রমণ। অনেক মানুষ এর সাথে মেশা। রাস্তায় হাঁটা। একই মত এ বিশ্বাসী ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাদেও বিভিন্ন মত এর এবং বিভিন্ন ideaology আরো লোক জনের সাথে মেশা। তখন একটা ক্ষমতা জন্মাবে। তখন একটা নতুন কথা শুনলে, আপনি ব্যাক্তির উদ্দেশ সম্পর্কে নিজের একটা judgment না করে ব্যাক্তি র মতকে গ্রহন বা বর্জন করতে পারবেন।
সেই দিন এর অপেক্ষায় থাকলাম। ইংরেজি তে এই টাকে, objectivity বলে।

সজল এর ছবি

আজকাই গাট্টিবোঁচকা বাইন্ধা দেশে বিদেশে ঘুরতে বাইর হমু। বার্ট্রান্ড রাসেল ছয় মাস পইড়া ইংরেজীও শিখখা নিমু, এর পরে আইতাছি আপনার পোস্টে কমেন্ট করতে। এই মহাকাব্যিক পোস্ট আশা করি আরো বছর দশেক টিকে থাকবে।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সুকান্ত  এর ছবি

চলুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ডিয়ার স্যার, প্রথমে একটা কথা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনে আমাকে চেনেন না। আমার শিক্ষা, ব্যাকগ্রাউন্ড, পেশা, কমিউনিটি, বিলিফ এগুলোর কিছুই জানেন না। অথচ আপনি আমার সম্পর্কে "অনেক কালের অভ্যাসের কারণে", "দেশ ভ্রমণ", "অনেক মানুষের সাথে মেশা", "রাস্তায় হাঁটা" ইত্যাদি অনেক বিষয়ে স্থির ধারণা করে জ্ঞান দিয়ে ফেললেন। আপনি কি আপনার সমস্যাটা বুঝতে পারছেন? আপনি নিজে যতটুকু জানেন সেটাকে পরম সত্য ধরে দুনিয়ার তাবত মানুষ আর ঘটনা সম্পর্কে নিজের ইন্টারপ্রেটেশন অন্যের উপর চাপাতে চাইছেন। আপনার পোস্ট আর মন্তব্যগুলোর লাইনে লাইনে তার প্রমাণ আছে। আপনি তার কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না। আপনাকে হেদায়েত করার কোন ইচ্ছে আমার নেই। সেটা সম্ভব হলে এতক্ষণ ধরে এতো লোক এত কথা বলছে সেগুলো আপনি বুঝতে পারতেন। আপনার আগের একটা পোস্টে আমি মন্তব্য করেছিলাম আপনি সেটার কোন উত্তর দেন নাই। এখানেও দেখছি সত্যপীর বার বার একটা প্রশ্ন করছেন আপনি সেটার উত্তর দিচ্ছেন না। বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে যারা কয়েক বছর ধরে বিচরণ করেন তার এইসব সিমটম খুব ভালো করে চেনেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক কিছু শিখা গেল ।লেখককে অন্তর থেকে ধন্যবাদ ।
রূপাই

খাইশুই এর ছবি

কিছু লেখা পইড়া মনে হয় - নাহ্‌, আমার সময়েরও দাম আছে; এই অনুভূতিটা বিস্ময়কর। এইটা তেমন একটা লেখা। পুরা পইড়া নিজের উপ্রে অশ্রদ্ধা আইসা গেলো। বুঝলাম আমার দূরদর্শীতার ভয়াবহ রকম অভাব আছে, কখন 'ভাগা' লাগবো এইটা বুঝতে সময় লাইগা যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

I would like to request the moderator, to publish the comments i have put. We are having a very good constructive debate here. And nobody is throwing mud. We are all making good points. Moderator should allow the comments i am posting so that, the debate can grow.
Thanks.

সত্যপীর এর ছবি

http://translate.google.com

..................................................................
#Banshibir.

দিগন্ত এর ছবি

প্রথম থেকে শুরু করলাম - পড়তে পড়তে এই পর্যন্ত এলাম -

"অনেকে বলে, অনেকে নয়, আমাদের দেখা মতে, বেশি এর ভাগ বাঙ্গালি বিশ্বাস করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রাম এ পূর্ব তৈমুর এর মত একটা ক্রিস্টিয়ান রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়।"

এরপরে এখানে এসে কমেন্ট লিখলাম। এর থেকে বেশী পড়ার নেই। তবে এই জিওপলিটিক্স নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

দ্রোহী এর ছবি

আমাদের এই গরিবি অবস্থা তো একদিনে হয় নাই। গত এক হাজার বছর ধরেই আমরা এইরকম গরীব আছি। তারপরও ওলন্দাজ-গোলন্দাজ, মুঘল-গুগল, আংরেজ-বাংরেজ নির্বিশেষে সবাই কষ্ট করে আমাদের দেশে আইসা আমাদের পুটু মাইরা দিয়ে গেছে।

অতএব আপনার কথা মতো আমেরিকা আমাদের পুটু মারতে আগ্রহী না এইটা কেমনে মানি? ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে তো আপনার কথার উল্টাটা সত্য মনে হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে খেরেস্তান রাষ্ট্র বানানোর কথা এই প্রথম শুনলাম জীবনে। সত্য হোক, মিথ্যা হোক এই একটা নতুন তথ্য অন্তত জানা গেছে আপনার পোস্ট থেকে।

লাস্ট কথা এবং শেষ কথা প্যারায় যা বলছেন তা মোটামুটি ঠিকাছে। তবে হুমায়ুন আজাদ আপনার চেয়ে সুন্দর করে বলে গেছে কথাগুলা।

আইলসা এর ছবি

দ্রোহী'দা হাজার বছর আগে আমাদের গার্মেন্টস (মসলিন) ছিল অন্যদের জন্য স্ট্যাটাস সিম্বল, আমাদের ছিল মহাস্থানগড়ের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমনকি কিছুদিন আগেও ছিল মেরুদন্ড সোজা নেতৃত্ব... এখনকার নেতারা ধ্বজ, আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের সেলিং পয়েন্ট সস্তা শ্রমিক, আমদের পড়াশোনার সিস্টেমই চাঙ্গে, মেধাবীরা এবং অমেধাবীরা ও পাগলা কুত্তার মত দেশ ছাড়তাছে।

আমেরিকার আমগো দরকার ছিল- চীনের জন্য। এখন যদি মায়নমারে ঢুকন যায়, আমগো দিয়া কি দরকার আমেরিকার?? কী আছে আমাদের কনতো?

হিলারীর বাংলাদেশ সফর কতকটা তার বন্ধু ইউনুসের জন‌্য বা বাংলাদেশে কর্মরত আমেরিকানদের মেন্টাল সার্পোট দেয়ার জন্য, মনে হয় না বাংলাদেশে স্ট্রাটেজিক ইম্পোর্টেন্সের জন্য- আমার ব্যক্তিগত ধারনা কোন প্রমান দিতে পারমুনা।

সাবেকা  এর ছবি

লেখাটা পড়ে কিছু কিছু ব্যাপারে অতি সরলীকরণ লেগেছে,কিন্তু লেখাটাকে একেবারেই ফালতু বলে উড়িয়ে দিতে পারছি না ।

ফেরদাউস এর ছবি

এ্যনালাইসিস ভাল, তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আলাদা হলে সেভেন সিস্টার্স ও আলাদা হবে, এই মতবাদের সংগে একমত হলাম না। পার্বত্য চট্টগ্রাম আলাদা হলে তাদেরই ক্ষতি বেশি, কোন বানিজ্য সমুদ্র পথে তারা আর সরাসরি চট্টগ্রাম বিভাগের মাধ্যমে করতে পারবে না। হয়তো আলাদা চুক্তি লাগবে। তাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পিছিয়েই থাকবে।

সত্যপীর এর ছবি

আর্মচেয়ারের কাছে রেফারেন্স চাইতে চাইতে গলা শুকায় গেসে। দয়ালু সহব্লগার কুমার কয়টা লিঙ্ক দিলেন, নয়াদিগন্ত সুনারবাংলা ইত্যাদির। ফিরে দেখি আর্মচেয়ার কি বলেছেন মূল পোস্টেঃ

অনেকে বলে, অনেকে নয়, আমাদের দেখা মতে, বেশি এর ভাগ বাঙ্গালি বিশ্বাস করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পার্বত্য চট্টগ্রাম এ পূর্ব তৈমুর এর মত একটা ক্রিস্টিয়ান রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়।

আন্ডারলাইন্ড অংশ খেয়াল করি। উনাদের দেখা মতে বেশির ভাগ বাঙালি। অর্থাৎ আর্মচেয়ার নয়া দিগন্ত সুনারবাংলার লোকদের সাথেই মেশেন। কুমারের খুঁজে পাওয়া লিঙ্ক থেকে এই ডিডাকশনেই আসতে হয়।

আর্মচেয়ার আমি জানি আপনি আমার এই মন্তব্য পড়ছেন। আপনার রেফারেন্স দিন, খুলে বলুন বিশদে কোথায় কবে কারা মার্কিন ব্যাকড খ্রিষ্টান রাষ্ট্রের বিশ্বাসের কথা আপনাকে বলেছে। আলোচনা হোক। আমার উপরের ডিডাকশন আপনি ভুল প্রমান করতেই পারেন।

এর পরে না হয় পোস্টের অন্যান্য টপিকে যাওয়া যাবে। ওয়ান অ্যাট এ টাইম।

..................................................................
#Banshibir.

হিমু এর ছবি

উনি মনে হয় এখন দেশ ভ্রমণ ও রাস্তায় হাঁটাহাঁটি ফেইজে আছেন। উত্তর পাওয়ার আশা ছেড়ে দেন।

সত্যপীর এর ছবি

হুঁ এটাকেই ইংরেজিতে বলে objectivity, বুচ্ছেন?

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

আর্মচেয়ারের আগের একটা লেখাতেও মনে হয় রেফারেন্স চাইতে চাইতে গলা শুকিয়ে গিয়েছিল কিন্তু "কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা" করে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। রূপান্তরের তরিকা দেখে আমোদিত হই।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সত্যপীর এর ছবি

আর্মচেয়ার ভাইয়া আমার উত্তর না দিয়ে নতুন পোস্ট দিলে আমি সেখানেও এই প্রশ্ন আবার করব. এই প্রশ্নের উত্তর জানা দরকার.

..................................................................
#Banshibir.

অরফিয়াস এর ছবি

এইবার আপনে একা না। আমিও অপেক্ষায়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমিও। ইংরেজীতে যাকে বলে waiting ....

অরফিয়াস এর ছবি

এইযে মাঝে মাঝেই ছাগু প্রোপাগান্ডামূলক পোস্ট পুশ করা হয় এগুলোর বিরুদ্ধে কোন ফিল্টার নাই?

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমন চৌধুরী এর ছবি

থাকা দরকার। তবে এই যে ‌ছাগু পোস্টের বিরুদ্ধে দলগত প্রতিরোধ, এইটারও মাঝে মাঝে দরকার আছে। সেক্ষেত্রে "মাঝে মাঝে" কথার অর্থ "মাঝে মাঝে" হওয়াই ভালো।

অরফিয়াস এর ছবি

হুমম, এটা বুঝি।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

রাস্তায় হাঁটাহাঁটি ছাড়াও ব্লগে বসেও নতুন ও ভিন্নমতের দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়- এইবা কম কিসে, শরীর আর পকেটত বাঁচলো। ভূরাজনীতি বুঝি না, বুঝি না যে এটা রেখাটা পড়ে আরো পরিষ্কার হলো। যেটুকু বুঝি আমাদের রাষ্ট্রীয় হীনমন্যতা আর বিরাজনীতিকীকরণ চুড়ান্তমাত্রায় গিয়ে ঠেকেছে। লেখক তার পক্ষে কিছুই উপস্থাপন করছেন না। এতোটা পলকা হয়ে এলেতো হয় না। ডিবেট করার মতো একটা পুঁজী আগে করে নিতে হয়। একটু কি বলবেন, নিসর্গ পজেক্ট এর কাজটা ঠিক কোথায়? কারা চালায়, কাদের অর্থায়নে? আফ্রিকার দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ কেন? যুদ্ধ অর্থনীতি জিনিসটা কি? পুঁজির আন্তর্জাতিকীকরণ বস্তুটা কি? আমেরিকা কি? পুঁজি কোথায় কিভাবে ঘোরে? বামপন্থিরা আপনার মাথায় কোন বাঁশটা দিয়েছে?
নিজেকে গুরুত্ব দিতে প্রশ্ন করা না, একেবারে নাবাল আমরা, এটা অবিসম্বাদিত। তা এই নাবালদের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার এতো শঙ্কা কেন? দফায় দফায় বৈঠকের কারণ কি? নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পূর্ববর্তী মিশনগুলো সম্পর্কে কি বলবেন?
যাক অনেক উলুবনে মুক্তো ছড়ালাম, অন্যরা কিছু মনে করবেন না।
স্বয়ম

হাসান এর ছবি

এইগুলি কোখেকে আসে কিছুদিন পরপর! গতকালকেও দেখলাম এক জ্ঞানী ব্যাক্তি পোস্টালেন নাফিসকে গ্রেপ্তারের পিছনে আমেরিকার "গভীর" ষড়যন্ত্র আবিস্কার করে, আজকে এই বস্তু। সচলায়তনে নির্মল বিনোদনের কোনো অভাব তো নাই, মলযুক্ত বিনোদন গুলা মডরেট করে দিলে হয় না?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।