প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মা কি যেন মন্ত্র টন্ত্র পড়ে মাথায় ফুঁকে দেন। আমি হাসি। আসলে মা’রা পারেও।সব সময়ই মা আতঙ্কে থাকেন এই বুঝি কিছু হল, কোন দাঙ্গা শুরু হল। মা’র ভাষায় আমরা সংখ্যালঘু। মা’কে কত বোঝাই, তোমার বাবা এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে গেছেন, তোমার আবার কিসের ভয়? তুমি আমার বন্ধু গুলাকে দেখনি? আমাকে দিনে একবার না দেখলে, খোঁচা না দিলে এগুলার পেটের ভাত হজম হয়? এদের দেখে বোঝা যায় এরা অন্য ধর্মের? এই দেশ আমাদের সবার। তাও মা মানেননা। খালি ভয় পান।বিভিন জায়গার দাঙ্গার উদাহরণ দেন। আমি হাসি মনে মনে। মা’টা আসলে এত ভীতু!
আমার পরিচয়টা দেই আগে। আমি পার্থ। আপাততঃ আমি বাসে। গাজীপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছি। বাসে ওঠার সময় আমি যে কত করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, হে ভগবান!আজকে যাতে একটা সুন্দরী মেয়ে আমার পাশে বসে!কিন্তু কে শোনে কার কথা! সেদিন আরো এমন বিকট কালো হাতি টাইপ একটা মহিলা এসে আমার পাশে বসেছে! আমি যে কি করব বুঝেই উঠতে পারছিলাম না। সেই মহিলা আবার টঙ্গী পার হতে না হতেই আমার কাধে মাথা রেখে ঘুম! এত্ত বাজে পরিস্থিতি!
বাসে উঠার পর আজ কেমন যেন মাথাটা ঘুরে উঠল। একবার মনে হল, ধুর, প্রতিদিন প্রতিদিন ক্লাস করা লাগে নাকি!চলে যাই বাসায়। পরে আবার মনে পড়ল আজকে একটা ক্লাস টেস্ট ও আছে। বাসে আমার উলটো পাশের সিটেই দেখি ইয়াসিন সাহেব বসে আছেন। আমি সালাম দিলাম। উনি কিছু না বলে বিড়বিড় করতে লাগলেন। হয়ত আমি অন্য ধর্মের বলে আমার সালামের জবাব নেন নি। কিন্তু লোকটাকে আমার কখনই ভাল্লাগেনা। ব্যাটা দুই বিয়ে করেছে। দ্বিতীয় বিয়ের সময় আন্টির কান্নাকাটির কথা শুনে আমরা এলাকার ছেলেপেলেরা তাকে বুঝাতে গিয়েছিলাম। কুকুরের মত আমাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল। যাই হোক, আসলে আমার সময় কম। শেষ সময়ে কিছু প্রাইভেট চিন্তা ভাবনা করি।আর প্রার্থনা করি। আপনারা বরং লেখকের সাথে ইয়াসিন সাহেব সম্পর্কে জেনে আসুন।
ইয়াসিন সাহেব মধ্যবয়স্ক লোক। সরকারী চাকুরী করেন। তাই দুই হাতের কোন রেখাই নেই, বড় সাহেবের সামনে ডলতে ডলতে সব মুছে গেছে। মুখে ছাগল দাড়ি, এত টুকুই গজিয়েছে। সুন্নত হিসেবে মেহেদী করিয়েছেন আবার। অত্যন্ত খোদাভক্ত লোক তিনি। দিনে সাত ওয়াক্ত নামায পড়েন, তাহাজ্জুদ আর এশরাক সহ। আল্লাহ পাক তাকে উর্বর জমি দিয়েছেন তাই আল্লাহর রহমতে তার পোলাপাও অনেক গুলা । সাতটা ছেলে ,তিনটা মেয়ে। সবগুলার নাম ধাম আলাদাভাবে সবসময় তার মনে থাকে না। তবে ঠিকই প্রতিদিন সকাল পাঁচটায় পোলাপানের বিছানার এক পাশ থেকে বেত মারা শুরু করতে তার ভুল হয় না। আলাদাভাবে ডেকে তুলতে লাগে অনেক সময়, তার চেয়ে এই সই, ধর তক্তা, মার পেরেক। কাজেই প্রতিদিন সকাল পাঁচটায় তার ঘরে এক বিকট সিম্ফোনী শোনা যায়। পিচ্চির হাই ফ্রিকোয়েন্সী “ওয়া ওয়া” থেকে ক্লাস টেন এ পড়ুয়া মেয়ের “আব্বাগো, আর মাইরেননা” সবই থাকে এতে। বাখ বা মোৎজার্টও এত ভ্যারাইটিজ সুর একত্রে দিতে পারেননি। প্রতিবেশীরা একটু চেঁচামেচি করে, পাশের বাসার কলেজ পড়ুয়া এক ছেলে প্রায়ই চিৎকার দেয়, “আল্লাহগো, জীবনে কত পাপ করছিলাম যে প্রতিদিন প্রতিদিন এই শাস্তি দিতেছ”! কিন্তু কে শোনে কার কথা!
ইয়াসিন সাহেবের দৈনন্দিন জীবন যাপনও দ্বীন ও ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক। তার বিবিও তার অনুসারী। স্বামীর পায়ের নিচেই তার বেহেস্ত, তাই প্রতিদিন দুপুরে, রাতে ইয়াসিন সাহেব খাবার পর যখন তার বিকট ভুড়িটা বের করে শুয়ে থাকেন, বউ বেচারী তখন তার পা মালিশ করতে থাকে।বিবিকে ইয়াসিন সাহেব বাসা থেকে কখনই বের হতে দেননা। যদি কখনো বের হতেই হয় তাহলে উপযুক্ত ভাবে (সম্পূর্ণ শরীর পর্দায় ঢাকা, চোখের ওপর কালো নেকাব, পায়ে মোজা, হাতে গ্লাভস; এই গ্লাভস আবার আমাদের মুশফিকুর রহিমের গ্লাভস না) বের করেন। যুবক বয়সে তার এক বন্ধু তাকে ফাজলামী করে বলেছিল, “দোস্ত, ভাবীকে একটা সিন্দুকে ভরে তালা মেরে ঠেলে ঠেলে নিয়ে যাইতি”! নাউযুবিল্লাহ! ওই নাফরমান বন্ধুর সাথে তার সেই থেকে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তবে অফিসের মহিলা কলিগদের সাথে ইয়াসিন সাহেব ঠিকই কথা বলেন, হাসি ঠাট্টা করেন। এ ব্যাপারে একটা ফতোয়া কেম্নে দেয়া যায় এই নিয়ে তিনি প্রায়ই চিন্তা করেন। তার বউ শুনলে আবার কান্নাকাটি শুরু দিবে। অবুঝ মেয়ে জাতি। বেশি তেড়িবেড়ি করলে পোলাপান সহ সোজা বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেবেন। ওনার দ্বিতীয় বউ তো আছেই ঢাকায়।ওইটারে নিয়া আসবেন তখন।
ইয়াছিন সাহেবের কথা হল এই দেশের মানুষ সভ্য হইছে এই সেদিন যেদিন থেকে পীর-সাহাবীরা এই দেশে ধর্ম প্রচার করতে আসছেন। এই দেশ মুসলমানের দেশ। আমরা বাঙ্গালীও না, বাংলাদেশীও না। আমরা মুসলমান। মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, মালাউনের কোন খাওয়া নাই। এই মালু গুলারে দেশ থেকে খেদাতে পারলে উনি যে কত্ত খুশি হইতেন! ইইশশ! একাত্তরে যদি আরেকটু সময় পাওয়া যাইত! পুরা মাইরা সাফা করে দেওয়া যাইত !হিটলারের ইহুদী নিধনের মত। আজকে উনি যাচ্ছেন উনার দ্বিতীয় বউয়ের বাড়িতে, ঢাকায়।
বাসে উঠে বসতেই ইয়াছিন সাহেবের মেজাজটা বিলা হয়ে গেল। এলাকার এক মালাউন পোলা ওনারে সালাম দিসে। একবার ভাবলেন কান বরাবর দুইটা থাপ্পড় দিয়া সালামের মানেটা জিজ্ঞেস করবেন। পরে আবার ভাবলেন শিক্ষিত পোলা, সালামের মানে না জাইনা নিশ্চয়ই সালাম দেয় নাই। ছেলেটা তার শান্তি কামনা করেছে কিন্তু এতেও ইয়াছিন সাহেব ঠান্ডা হন না। শালা হিন্দু, তোর শান্তি আমি চাইছি! তোর শান্তি আমি নিমুও না, তোরে শান্তি দিমুও না। ইয়াছিন সাহেব মনে মনে ভাবেন। বিধর্মী গুলার আরেক সমস্যা। এগুলা যে এত লেখা পড়া পারে! এগুলার জন্য মুসলমান পোলা গুলা পইরা পইরা মাইর খাইতেছে।পার্থ পোলাটার আরো কিছু কর্ম কান্ডের জন্য এরে ইয়াছিন সাহেব দুই চোখে দেখতে পারেননা।ওনার দ্বিতীয় বিয়ের সময় এই পোলা আসছে আরো পোলাপান নিয়া তাকে বাধা দিতে। হিন্দুর এত্ত বড় সাহস! মুসলমানের দেশে থাকস, খাস আবার মুসলমানের সাথেই তেড়িবেড়ি!চিন্তা করতে করতে তার মাথায় আগুন জ্বলে উঠে। জিহাদী রক্ত ইয়াছিন সাহেবের শরীরে। ওনার এক ভাই আফগানিস্থানে তালেবানদের হুজুরদের পক্ষে যুদ্ধ করতে গেছে। ইয়াছিন সাহেব যাইতে পারেন নাই খালি হার্ট একটু দুর্বল দেইখা।ওনার বাপ একাত্তরে পাক পাকিস্তানের পক্ষ হইয়া হিন্দু গুলার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। ছোট থাকতে কত বিধর্মীর লাশ পড়ে থাকতে দেখছেন তিনি!
সেদিন ইসলামী জঙ্গী সংগঠণ গুলার কিছু চটি বই পড়েছিলেন তিনি। তাদের সব কথা যে ভুল তা কিন্তু না। আসলেই, আল্লাহর আইন থাকতে আমরা কেন আদালতে যাব? ইসলাম কি নারীদের মুক্তি দেয় নি!এক সময় এই নারীদের জীবন্ত পুতে ফেলা হত!কেউ চিন্তা করতে পারে এটা! এখনকার মেয়েগুলা আবার ঢুংঢাং করে স্কুল, কলেজ , ইউনিভার্সিটিতে যায়। এটা নাকি তাদের অধিকার! আরে!এতো দেখি বসতে দিলে শুইতে চায়!ইয়াসিন সাহেবের রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে। বেহেশতে যাওয়ার জন্যে আরো কিছু নেকী কামানোর উদগ্র কামনায় লালায়িত হয়ে ওঠেন উনি।
হঠাৎ ইয়াছিন সাহেবের মাথায় বিদ্যুৎ চমকের মত এক চিন্তা খেলা করে ওঠে। এক মালাউন মারলেও তো অনেক সোয়াব।চিন্তা করেন তিনি। তাছাড়া উনি পোলাটার উপকারও করতেছেন। পোলাটা বেঁচে থাকলে আরো কত পাপ কাজ করত, এখন সেগুলা থেকে বেঁচে যাবে। যদিও হুজুররা বলে ইসলাম শান্তির ধর্ম কিন্তু শান্তি আছে কিসে!যেইদিন থেকে ধর্ম নিয়ে বিভাজন শুরু হল সেদিন থেকে দুনিয়ার বুকে কি আর শান্তি আছে! হয় ইসলাম গ্রহণ কর, নয়ত জিজিয়া কর দাও। ফাইজলামি শুরু করছ! আল্লাহর দুনিয়ায় খাইবা, পরবা আর আল্লাহর বান্দার কথা শুনবানা! যাই হোক, ইয়াছিন সাহেব এখন এগুলা নিয়ে মাথা ঘামাননা। হিন্দুটারে কেমনে কি করা যায় চিন্তা করতে করতেই বিদ্যুৎচমকের মত তার মাথায় আইডীয়াটা এসে পড়ল।তিনি চিন্তা করলেন পার্থ যখন নামতে যাবে তখন তিনিও নামতে যাবেন। তখন হঠাৎ তাল হারানোর ভঙ্গি করে পোলার গায়ে পড়ে যাবেন। ছেলেটা সোজা যাবে চাকার তলে।আর উনিও এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দেবেন। সাপও মরল, লাঠিও ভাঙ্গল না। কারণ দেশের সবাই তো তার মত খাঁটি মুসলমান না। বেশিরভাগই ভন্ড, এগুলা পরে আবার যদি উনাকে ধরে!
এসময় পার্থ উঠে দাড়াল। হ্যান্ডেল ধরে ধরে হেলতে দুলতে সামনে এগিয়ে দরজার পাশে দাড়াল সে। ইয়াছিন সাহেবকেও দেখল হেলতে দুলতে আসছে। ইয়াছিন সাহেব পার্থের পেছন এসে দাড়ালেন। বাস এখনো গতি কমায়নি। মাথার ভেতর কে যেন অনবরত বলে চলেছে মানুষ হত্যা মহাপাপ। আজাইরা প্যাঁচালে কান দিলেননা তিনি। বাস একটু গতি কমানো শুরু করতেই তিনি হঠাৎ পার্থর গায়ে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গি করলেন। পার্থ ছিটকে রাস্তায় পরে গেল। সে সময়ই উলটা দিক থেকে একটা ট্রাক আসছিল। একেবারে সোজা চাকার নিচে। এক তাল রক্ত দেখা গেল রাস্তায়।
ইয়াছিন সাহেবের হাত পা এখনো কাঁপছে। বাসের ভেতর সবাই আশ্চর্য রকম নিশ্চুপ। কেউ একটা শব্দ করছে না। কন্ডাক্টর আস্তে করে কাছে এসে বলল, “হুজুর, চুপচাপ নামি যান। এই মালুটারে আমিও চিনি। সোয়াবের কাজ করছেন। কেউ কিছু কওয়ার আগেই নামি যান।“ ইয়াছিন সাহেব নেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সবার টনক নড়ল। বিশাল হম্বি তম্বি শুরু হয়ে গেল বাসে। কেউ ড্রাইভারের কলার ধরে, কেউ কণ্ডাক্টর কে মারে। কিন্তু আসল অপরাধীতো চলেই গেছে।তাই তাদের হম্বিতম্বীও সার। এক্সময় তাও শান্ত হয়ে আসে । বাস থেকে নামার সময় দেখা যায় কারো মনেই আর এত বড় ঘটনাটি বিশেষ রেখাপাত করে নি।মন্ত্রণালয়ে চাকরী করা লোকটা ভুলেই গেছে কিছুক্ষণ আগে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। নামার সময় সে চিন্তা করে আজকে কোন বড় দাও আছে কিনা। মেয়েটা অনেক দিন ধরেই একটা আইপডের জন্য ঘ্যানঘ্যান করছে।
(এ ধরনের বাজে, মন খারাপ করা একটা লেখার জন্যে দূঃখিত। একজন ভালো মানুষের সঙ্গীতই লিখতে চেয়েছিলাম বিশ্বাস করুন। কিন্তু আমাদের সমাজে সেই ভালো মানুষটির আজ বড়ই অভাব।)
(কোয়াসিমোডো)
**গল্পের নামটি “লাইভস অফ আদারস” মুভি থেকে ধার করে নেয়া
মন্তব্য
মানুষ এত খারাপ এটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করেনা, কিন্তু অবিশ্বাসও করতে পারি না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মনটা খারাপ করে দিলেন তো!
অমি_বন্যা
আপনিই সেই বুকশেলফের গল্পটা লিখেছেন না কিছুদিন আগে? চমৎকার লেখার হাত আপনার। সাবাস।
একটা কথা বলি, শিরোনামে ব্র্যাকেটের ভেতর আশ্চর্যবোধক চিহ্ন না দিলেও চলত। পড়তে পড়তে পাঠকই ধরে ফেলবে এই গুড ম্যানটি ক্যামন গুড ম্যান। পাঠকের উপর আস্থা রাখুন।
এবং আরো অনেক লিখুন।
..................................................................
#Banshibir.
অসংখ্য ধন্যবাদ। নামটা লেখা নিয়ে আমিও দ্বিধা দ্বন্দে ছিলাম, পরেই আশ্চর্যবোধক চিহ্ন যোগ করেছিলাম। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ।
facebook
অসংখ্য ধন্যবাদ
চমৎকার লেখেন আপনি। লিখে যান। আজকে পাঁচতারা দিলাম। আশা করি ভবিষ্যতেও দিতে পারব।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসংখ্য ধন্যবাদ
চমৎকার হইছে।
আপনার লেখা সুন্দর আগায়, আরেকটু বড় লেখেন।
ধন্যবাদ
ইন্টারেস্টিং গল্পটা। শেষটা ঠিক পছন্দ হয়নি অবশ্য, তবে মেরে ফেলার ধারণাটার উদ্ভব পর্যন্ত ভালোই লাগছিলো।
- 'লাইভস অফ আদারস' আমার খুব পছন্দের সিনেমা। শেষ সংলাপটা দ্যাখলেই মন কেমন হয়ে যায়
লাইভস অফ আদারস দেখে এত্ত কষ্ট লেগেছিল! ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার লেখার হাত ভাল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
প্লট চমৎকার কিন্তু বুনট মোটামুটি লাগলো। তবে সম্ভাবনাময় লেখার হাত আপনার। চলুক
_____________________
Give Her Freedom!
লিখতে থাকুন। তবে আপনাকে বলব জীবনকে দেখার একটা সাদা, গভীর, অনুসন্ধিৎসু চোখ তৈরী করতে। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি খুব জটিল একটা নির্মাণঃ দাড়ি-টুপি-মুসল্লী লোক সব নিষ্ঠুর অমানুষ, আর ভিন্নধর্মী কেউ ৭০ এর দশকের বাংলা ছবির নায়ক- এত সরলভাবে জীবনকে দেখার সুযোগ বোধহয় আর নেই। প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে অনেক জটিল ভালো-মন্দের ভারসাম্য খেলা করে। আমি মনে করি একজন লেখক মানুষের সেই জটিল আবেগ-অনুভূতির সমীকরণকে বুঝতে চেষ্টা করেন। ভালো থাকবেন। আরো লেখা চাই।
ধন্যবাদ মন্ত্যব্যের জন্য। দাড়ি টুপি মানেই যে অমানুষ আমি কিন্তু তা বোঝাতে চাই নি।
অসংখ্য ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ
খুব মন খারাপ করা লেখা। চারপাশের মানুষ গুলোকে এরকম ভাবতে চাইনা।
লেখাটা গুছিয়েছেন বেশ ভাল, কিন্তু সেশটা আরেকটু ভাল হতে পারত। চলুক।।
ধন্যবাদ
লেখার হাত নিয়ে কোন কথা হবে না কিন্তু একটা ব্যাপারে বলব যে ইদানিং দাঁড়ি-টুপির ব্যাপারগুলো বেশ স্টেরিওটিপিক্যাল হয়ে যাচ্ছে। আর শেষটায় একটু অস্বস্তি ভর করল। তবু লেখালেখি চলুক
হিল্লোল
ধন্যবাদ
এরম আবার হয় নাকি! নিশ্চয় প্লটটা কল্পনাপ্রসূত। মনটা খারাপ করে দিলেন তো, বাস্তবে এমন যেন কক্ষনো না হয়। সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করা প্রকৃত ধার্মিকের কর্তব্য। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট )
আপনার গল্পের মূল চরিত্রের চয়নে পরতে পরতে মুসলিমদের প্রতি অন্ধ ঘৃনা প্রকাশ পায়। আপনার মত লোকদের জন্য যেন এরকম লোকগুলোই যেন আসেপাশে থাকে। যে অন্যের জন্যে অন্ধকার নিয়ে আসে তার কি আর কিছু প্রাপ্য?
নতুন মন্তব্য করুন