দেশে থাকতে মাসের শেষে পথে পথে ঠেলায় করে বাড়িবদলের হিড়িক দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। খুব অভিজ্ঞ ছিলাম না এ ব্যাপারে। এখন ঠেকে ঠেকে শিখেছি। সর্ব শেষ বদল দশ মাস ভাড়া বাড়িতে বসবাসের পর। মুভাররা যখন সব মালপত্র নিয়ে গেল, পুরোবাড়ি পরিস্কার করে দরজাটা বন্দ করে গাড়িতে ওঠার আগে বাড়ির সামনে বিদায় দিতে আসা এখানকার পড়শীদের বিদায় জানাতে এক বিষন্ন কাতরতায় মন ছেয়ে গেল। জীবনের একটি অংশের হাসি কান্নার সাক্ষি হয়ে রইলো ক্রেইগ হেনরি ড্রাইভের এই টাউন হোমটি।
ছয় মাস আগে মডেল হোমের সেলস এজেন্টের টেবিলে সাজানো ঝকমকে ছবি, ড্রইং, সাইজ, লে-আউট দেখে নুতন বাড়ির বুকিং দিয়ে গিয়েছি। আলোকিত নুতন রাস্তার পাশে জংলা জমিতে তৈরি হবে চার হাত ফাঁক ফাঁক সারি বাধা এক একটি ঢাউস নুতন বসত বাড়ি। নির্দিস্ট সময়েই কোন তদারকি, ক্যাচা ক্যাচি ছাড়াই বাড়ি রেডি। রেজিস্ট্রেশানের আগের দিন উকিলের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ দেয়ার পরের দিনই বাড়ির চাবি সহ দলিল দিয়ে দিলেন।
ঝা চকচকে নুতন বাড়িতে ঢুকে দেখি ইতিমধ্যে ছেলে মেয়েরা বাসযোগ্য করে ফেলেছে। যার যার রুমের দখল নেয়া হয়ে গেছে। বিছানা তৈরি, বাথরুমে পরিস্কার তোয়ালে, বাথটাবে শাওয়ার কার্টেন লাগানো হয়ে গেছে। খাবার টেবিলে সপরিবারে খেতে বসে আশে পাশের পড়শীদের খবর পাওয়া গেল। আমার ডান পাশে আলসালভোদরের, তাদের দুটি বাচ্চা, আমার ছেলের বয়সি। বা পাশে ক্যারিবিয়ানের, তাদের পিঠে পিঠি চারটি ছেলে, সামনের দুটো বাসায় কানাডিয়ান, একটিতে সদ্যবিবাহিত টোনাটুনি, আর একজনের তিন মেয়ে। আমার ঠিক পিছনের বাড়িতে অবসরপ্রাপ্ত কানাডিয়ান বুড়ো বুড়ি, ছেলে মেয়েরা ভিন্ন শহরে থাকে, আর একটিতে নিঃসন্তান কানাডিয়ান স্বামি স্ত্রী। তার পাশে চাইনিজ টোনাটুনি। বাড়ির সামনে দুই লেনের রাস্তা, তার পাশে চমৎকার ফুটপাথ। পুরো লটের দুই তৃতীয়াংশে বাড়ি, বাকিটুকু সবুজ ঘাসে ঢাকা। সদ্য ওঠা বাড়ি ঘরের পিছনের আঙ্গিনায় সীমানায় খোঁটা পোতা, কোন বেড়া না থাকায় মনে হচ্ছে এজমালী বিশাল খেলার মাঠ। পরের দিন বিকেলেই সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়ে গেল, আমার পুত্র পড়শী ছেলেদের নিয়ে খেলার টীম বানিয়ে খেলা শুরু করে দিল।
সপ্তাহ খানেক পরে, এক বিকেলে কে যেন কলিং বেল টিপলো। খুলে দেখি আমার পিছনের বূড়ো ভদ্রলোক। তিনি স্বভাব সুলভ সৌজন্যর পরে জানালেন তিনি তার সীমানায় বেড়া দিতে চান। আমরা খরচের ভাগ নিতে চাইলাম, তিনি দৃঢ় কন্ঠে তা প্রত্যাখ্যান করলেন, বললেন নিয়ম অনুযায়ি দুই ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিয়ে বেড়া দিচ্ছেন, যাতে আমরা চাইলে আমাদেরটা দিতে পারি। আসলে ঘরের আঙ্গিনায় বাদামী, কালো, হলুদ ছেলেপেলের হুল্লোরে স্পস্টই উনারা বিরক্ত, বল বেড়া ডিঙ্গিয়ে ঐ সীমানায় গেলেই রুক্ষ তর্জন, গর্জন শোনা যায়, কখোনো কখোন বল আর ফেরতই পায়না ছেলের দল। হেমন্তে বাকি সবাই মিলে ভাগাভাগি খরচে নিজেদের আঙ্গিনায় বেড়া লাগিয়ে ফেললো। আসন্ন তীব্র শীতের প্রতিরক্ষায় সব্বাই বেড়া রঙ করতে শুরু করলো। আমিও সেই দলে, এবং কাজ শেষে নিজের নিরিবিলি আঙ্গিনা আমাকে এতই মুগ্ধ করলো যে কাঁধ এবং হাতের ব্যাথা বেমালুম ভুলে গেলাম।
কলিং বেলের শব্দে সামনের দরজা খুলে দেখি আমার বাড়ির পিছনের সেই কানাডিয়ান বৃদ্ধ প্রতিবেশি, রেগে একদম কাঁই কাঁই। আমার স্বামি এলেন, প্রায় গর্জন করে বৃদ্ধ জানতে চাইলেন তার বেড়া আমরা কেন রঙ করেছি। আমরা বললাম, ‘হ্যা আমাদের পাশটা আমরা রঙ করেছি, তো?
আরো রেগে তিনি চিৎকার করে উঠলেন, ‘এটা আমার বেড়া, দাড়াও আমি তোমাদের স্যু করবো।
উত্তরে আমার স্বামি বললেন ‘ঠিক আছে, আমাদের তাহলে কোর্টে মোলাকাত হবে।
দরজা বন্দ করে আমরা ভিতরে চলে এলাম। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পরে ফের কলিং বেল, এবারো সেই কানাডিয়ান বৃদ্ধ, অনুতপ্ত, ক্রোধের বদলে সঙ্গে এনেছেন প্রজ্ঞা। প্রথমেই ক্ষমা চাইলেন, বিনীত অনুরোধ করলেন আমাদের ঘরে আলোচনায় বসতে। আমরা সানন্দে তাকে বসতে অনুরোধ করলাম। তিনি বেড়া সংক্রান্ত সমস্ত রসিদ নিয়ে এসেছেন, হিসেব মত খরচের আধাআধি ভাগ চান। তারপর চায়ের সাথে গল্পে গল্পে চমৎকার এক সন্ধ্যা কাটিয়ে গেলেন আমাদের সাথে।
শীতের শুরুতেই আমাদের সামনের রাস্তার ঠিক উল্টো দিকের প্রতিবেশি ড্রাইভ ওয়ের বরফ পরিস্কারের কন্ট্রাক্ট নিয়ে নিল। পাঁচটি বছরে শীত আমরা খুব আরামে কাটিয়ে দিলাম। তারপর… …তাদের বিচ্ছেদ, পিঠা ভাগ করে টোনাটুনি উড়ে গেল, বাড়িটি এক চাইনিজ দম্পতির কাছে বিক্রি করে। বাম পাশের ক্যারিবিয়ান পরিবার, চার বছর পর টরেন্টোতে চলে গেল আর একটি ক্যারেবিয়ান পরিবার কিনে নেয় তাদের বাড়ি। বাড়ির সামনের লনে ভ্যাঙ্কুভারের মত বেড়া দিয়ে সীমানা ভাগ করেনা। গত পনেরো বছর আমার ল্যাটিনো পড়শী এক সপ্তাহে দুজনের পুরোটা লনের ঘাস কাটে আরেক সপ্তাহে আমরা কাটি। আরেক পাশের ক্যারেবিয়ান পড়শীও ল্যাটিনো পড়শীর মত সময়ে অসময়ে সুখে দুঃখে বিপদে আপদে আন্তরিকতার ছোঁয়ায় ছুঁয়ে যায়।
দেশে আমার মায়ের কাছে এসে কুলসুমের মা, বা হুসনার মা তাদের স্বামির বা শ্বাশুরির প্রতিকারহীন কটুক্তি, অপমান, উদাসিনতা, বা কোন দুরের শহরে নিজের বৃদ্ধ বাবা মায়ের জন্য মন আকুল করা বোবা ভালোবাসার কথা বলে দিন গুজরানের উপলব্ধিজাত মানবিক আশ্বাসের জন্য বন্ধুত্বের আশ্রয় খুজতেন, এখানেও তেমনি মধ্যবয়সে এসে কারো পুরষ সঙ্গি যখন কোন লাস্যময়ির হাত ধরার জন্য চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে রাস্তায় নামে, তখন এতদিনের স্ত্রী কোথায় যায় মানষিক আশ্রয়ের জন্য? যদিও আমাদের আমলে ঘরের জানালা গুলি এখন দখল করেছে মনিটরে, ইন্টারনেটে, তবুও মানুষ দুর্যোগে আনন্দে ভার্চুয়াল নয়, একান্ত আপন জনের মত পাসের বাড়ির পড়শির কাছেই এখনো যেতে চায়। সমাজের জন্যও সেটা মংগল জনক।
মেঘে মেঘে বেলা হোল, আমাদের অনেকের বেলা যে পড়েও এলো। আমার তিন মেয়ে উড়ে গেছে নিজেদের সংসারে। সদ্য একাকিত্বের সঙ্গি, তখন হটাৎ সৌভাগ্যর মত থার্ড ইয়ারে পড়া পুত্র নাস্তার টেবিলে এসে বসলো। গল্পে গল্পে সে বললো ‘আম্মু জানেন, রহমান না মুভ আউট করছে।
সুযোগ পেয়ে আমিও ঝাঁজিয়ে উঠলাম, ‘তো কি? আমিও মুভ আউট করবো।
‘আপনি মুভ আউট করবেন? কোথায়? অবাক হয়ে সে জিজ্ঞেস করে। আমি ক্ষুব্ধ স্বরে বলি ‘ওল্ড হোমে, বুড়িদের সাথে খাবার খাবো, লাইব্রেরিতে যাবো, ট্রিপে যাবো, গল্প করবো।
আমার অভিমানটা সে বুঝেই চুপচাপ খেয়ে উঠল, বলল, ‘আম্মু আপনি এখন টু ইয়ং ওল্ড হোমের জন্য, আমি আপনাকে শুধু ইনফর্ম করেছি, আর আপনি আমাকে থ্রেট করলেন! এখন থেকে তারাতারি বাসায় আসবো, আচ্ছা?
পিছনের বৃদ্ধ প্রতিবেশি এসেছিলেন, সোয়া ছয় ফিটের দশাসই শরীর বাইরে থেকে তরতাজা দেখালেও জ্বরায় ধরেছে। দুজনেরই বাইপাস সার্জারি হয়েছে। বাইরের ঘাস কাটা, বরফ পরিস্কার, বাড়ির ভিতরের ছাফ ছুতোরো এখন অনেক কস্টের হয়ে গেছে, পেনশনের পে-চেকে কাজের লোক রাখাও সম্ভব না। তাই বাড়িতে টুকটাক কাজ করে ভালো দামে বিক্রি করতে চান। বাড়ির ছাঁদ পাল্টাতে কয়েকজন একসাথে কন্ট্রাক্ট করলে পয়সা অনেক বাঁচে। আমাদের সাথে পাড়ার অনেকেই এগিয়ে এলেন, আজ না হলেও কাল করতে হোত একাজ। আমাদের সাথে পনের বছর থাকার পর তার আসবাবপত্র সহ এক চাইনিজ দম্পতি কিনে নিলেন বাড়িটা। আর উনারা পার্থিব প্রয়োজনকে সংক্ষিপ্ত করে সদ্য কেনা কন্ডোতে উঠলেন।
কোন এক সোনালী ভোরে জীবনের পথচলা শুরু হয়, সামর্থ্যে, ইচ্ছেয়, কর্মে অধিকার বিস্তারের তুঙ্গে ওঠে, উপার্জন করে, পরিবার গড়ে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়। তারপর গোধুলীতে ফের গুটানোর পালা, সময় কখন যে কর্মঠ জীবনে সাক্ষর রেখে হু হু করে অতীতে চলে যায়, সহায় সম্পদ তো দুরের কথা, সঙ্গে করে হাত পায়ের দখলটুকু নিয়ে যায়, তাই অক্ষমতাকে সঙ্গে নিয়ে জ্বরাকে সমঝে, অনেক অনেক স্মৃতিময় গতকাল আর অনিশ্চিত কিছু আগামী কালকের জন্যও মানুষ ধর্ম, বর্ন, জাতী, সংস্কৃতির ভিন্নতা সত্বেও একই সমাজে পড়শীদের সাথে থাকে মিলে মিশে। জীবনের চৌকাঠ দিঙ্গোলেই মানুষ মৃত, অচেনা, তখন কোন পাড়ায় তার গন্তব্য, কেউ জানে না আজও।
,
আসমা খান।
মন্তব্য
লেখা ভালো লেগেছে। কিন্তু অজস্র বানান ভুল। বানানের ব্যাপারে সিরিয়াস হোন পাঠকের স্বার্থে।
অজ্ঞাতবাস
অশেষ ধন্যবাদ। বানানের জন্য নিজেই লজ্জিত, প্রতিকার খুজতেছি, কি ভাবে বাংলা স্পেলচেক ইনস্টল করতে হয়, কেউ যদি বলে দিতেন, খুব উপকৃত হতাম।
অভ্র ইন্সটল করে নিলে সাথে স্পেলচেক ইন্সটল হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু বানানের ভুল অভ্র দিয়েও ধরা যায় না। চন্দ্রবিন্দু কোথায় হবে না হবে এগুলো আসে না। আর সাথে কিছু সমার্থক শব্দ আছে যেগুলো আসল বানান না জানলে সমস্যা সৃষ্টি করে। বই পড়ার সময় খেয়াল করে সেগুলো টুকে রেখে ঠিক করে নিতে পারেন মনে হয়।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
অসংখ্য ধন্যবাদ মেঘা।
ভালো লাগলো।
ফারাসাত
মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, ফারাসাত।
আসমা খান
অনেকদিন পর লিখলেন, ভালো লাগে আপনার লেখাগুলা, অভিজ্ঞ কার ও চোখে জীবনের অনাগত দিনগুলা যেন দেখতে পাই।
সুন্দর মন্তব্য খুব ভালো লাগল বন্দনা। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসমা খান
টাইপোগুলোতে হোঁচট না খেলে আরো ভাল্লাগতো।
লেখা চলুক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
টাইপোর জন্য আন্তরিক লজ্জিত, প্রতিকার খুঁজছি, সাহাজ্য চাই।
মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ, তিথীডোর।
আসমা খান
মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে অভ্র স্পেল চেকার ব্যবহার করে দেখুন, কাজ হতে পারে
অনেক ধন্যবাদ ইয়াসির।
লেখলেন অবশেষে! ভাল লাগল-
facebook
অনেক অনেক ধন্যবাদ তারেক অনু। কিছুদিন আগেই কিন্তু আর একটি লেখা দিয়েছিলাম, লিংকটা
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46559
এমন উৎসাহ পেলে কার না লিখতে ইচ্ছে করবে অনু? শুভেচ্ছা জানাই।
আসমা খান
ধন্যবাদ
আসমা খান
আসমা খান
লেখা ভালো লেগেছে। চালিয়ে যান।
সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাড়িবদল থেকে জীবনের সায়াহ্নে পৌছানো, মাঝের টুকরো স্মৃতি হাতড়ানো, সবটুকু অসাধারণ!
- বিক্ষিপ্ত মাত্রা
অনেক অনেক ধন্যবাদ বিক্ষিপ্ত মাত্রা!!
লেখা ভাল লেগেছে।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
ভালো লাগলো লেখাটা। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। কেমন আছেন আপা?
অনেক ধন্যবাদ আয়নামতি। আমি ভালো আছি।আপনি কেমন?
একটা লেখা দিয়েছিলাম, 'বেলা যে পড়ে এলো
আপনার লেখাটি পড়বো এখন।
ভালো লাগলো, আরো লিখুন!
মন্তব্যর জন্য ।
ভালো লাগলো লেখাটা। নিয়মিত পড়া হয় আপনার লেখা। ভালো থাকবেন।
অমি_বন্যা
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।
অনেকদিন পর লিখলেন। চমৎকার একটা লেখা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক অনেক ধন্যবাদ, নীড় সন্ধানী
বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আসমা খান
লেখায় পাঁচ তারা । খুব ভাল লেগেছে, আপা । মানুষ যতই কেন ভার্চুয়াল জগতের বাসিন্দা হোক না কেন, হৃদয়ের উষ্ণতার সন্ধানে মানুষের কাছেই যেতে হবে ।
হাত খুলে লিখুন, আপা । একটা লেখা কয়েকবার করে পড়ুন, এডিট করুন । অন্যের লেখা পড়ার সময় বানানগুলো খেয়াল করুন । দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই বানান ভুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে । আমার নিজের অসংখ্য বানান ভুল হয় । লেখা চলুক ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
অনেক ধন্যবাদ জোহরা। এখন থেকে আরো মনোযোগী হতে হবে।
আসমা খান
ভালো লাগলো - প্রবাস জীবনের সাথে দেশের জীবনের মিলটা দেখিয়ে দিল আসলে মানুষ সবাই এক -
চালিয়ে যান।
-অয়ন
মন্তব্যর জন্য
আসমা খান
নতুন মন্তব্য করুন