বুয়েটের একজন শিক্ষার্থী হিসাবে বুয়েটের সাম্প্রতিক আন্দোলনে বুয়েটের মর্যাদা রক্ষায় সবার একাত্মতা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছিলাম। দলমত নির্বিশেষে কেমন করে সবাই একসাথে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন, সেটা দেখে গর্বিত হয়েছিলাম।
খটকাটা বাধে কিছু দিন পর থেকে। বুয়েটের এই আন্দোলনে শিবির ও হিজবুত তাহরিরের জড়িত থাকার কথা জনকন্ঠ (যার কিছু দালালি লেখার জন্য আমরা বলতাম জঘন্য কন্ঠ) পত্রিকায় বের হয়েছিল। তখন পাত্তা দেইনি। ভেবেছিলাম ঐগুলো লীগের পেইড রিপোর্টিং। কিন্তু গত দুই-তিনদিনে বেশ কয়েকটা নতুন ঘটনা ঘটেছে যা দেখে বেশ বিভ্রান্ত হয়ে গেছি। মনে হচ্ছে এতোদিন কি বোকা বনেছি আমরা সবাই? কাকে বিশ্বাস করব? হলে পাশের রুমের ভাইটি যিনি বুয়েট আন্দোলনে খুবই সক্রিয় ছিলেন, বেরিয়ে এল তিনি শিবিরের active cadre!!
১) গত সপ্তাহে ঢাকায় জামাত শিবিরের তান্ডব চলেছে। সেই সময়ে মালিবাগ থেকে বুয়েটের এক ছাত্র শিবিরের হয়ে পুলিশের উপরে হামলায় অংশ নেন ও ধরা পড়েন। পরে তার রুম থেকে জামাতের বই ও ব্যানার পাওয়া গেছে। (http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=ba9e46464ea43bf3a6de8bf192e91a7d&nttl=07112012149699)। তার প্রোফাইল এইখানে https://www.facebook.com/msibuet । যতটুকু মনে পড়ে ইনি বুয়েটের ফেইসবুক গ্রুপে নিজেকে শিবির নন বলে দাবী করতেন। বুয়েটে সম্প্রতি মহানবী (সাঃ) এর ব্যাঙ্গ করা সিনেমার বিরুদ্ধে মানববন্ধনের অর্গানাইজার। তখন অভিযোগ করা হয়েছিল যে এই মানববন্ধনের অর্গানাইজারেরা শিবির, কিন্তু সবাই ডেনাই করেছিল সেটা।
২) সেবা বুয়েট এবং আরো অনেক গ্রুপের সাথে জড়িত ও নেতা পদধারী আমিন বিন খলিলের আহসানুল্লাহ হলের ১০৮ নম্বর রুম হতে ধারালো অস্ত্র, বোমা, শিবিরের রশিদ বই, টাকা পয়সা ও একাউন্ট্সের হিসাব খাতা, প্ল্যানিং ডকুমেন্ট, ডায়রি, এসব উদ্ধার হয়েছে। (https://www.facebook.com/AminBinKhalil)।
এই আমিন বুয়েটের সেবা-বুয়েট নামের একটি ক্লাবের সক্রিয় সদস্য।
এসব ডকুমেন্টের মধ্যে একটা প্ল্যানিং ডকুমেন্ট খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে লেখা আছে, ২০১২ সালের জন্য শিবিরের প্ল্যান হলো বুয়েটের সব ক্লাব ও সংগঠনে তাদের অন্তত একজন করে এজেন্ট ঢোকানো, এবং নেতৃত্বস্থানীয় পদে তাদের বসানো। বলাই বাহুল্য, তারা তা করতে পেরেছে।
৩) বুয়েটের সাম্প্রতিক শিক্ষক আন্দোলনের সময়ে Save our BUET নামের একটি একাউন্ট প্রচন্ড সক্রিয় ছিলো। প্রতিদিন নানা গ্রুপে গিয়ে ছাত্রদের মিছিলে, আন্দোলনে উস্কাতো। নানা স্যারের স্ট্যাটাস বিভিন্ন গ্রুপে সরবরাহ করতো। এবং বাসায় থাকা ছাত্রদের ক্যাম্পাসে আসতে তাগাদা দিতো।
আন্দোলনের সময়ে সেই একাউন্টকে প্রচুর শিক্ষার্থী ফ্রেন্ডলিস্টে যোগ করেছে। এদের মধ্যএ বুয়েটের আন্দোলনকারী স্যারেরাও আছেন। যখন স্যারদের সাথে বুয়েটের ভিসির একটা সমঝোতা হলো আর ক্লাস শুরু হলো তখন এই একাউন্ট থেকে ক্লাস শুরু না করতে বলা হয়।
কিন্তু কয়েকদিন আগে হঠাৎ দেখা গেলো, এই একাউন্টের নাম বেঙ্গল ফোর্ট হয়ে গেছে এবং নানা গ্রুপে সাঈদী ও গোলাম আজম/নিজামীর সমর্থনে ভিডিও/লিংক ও জঙ্গী কথা পোস্ট করে বেড়াচ্ছে। https://www.facebook.com/bengalfort ।
আর আজকে শুনলাম এই সেভ আওয়ার বুয়েট আর কেউ নয়, গ্রেপ্তারকৃত শফিক।
৪) গ্রেপ্তার হওয়া শিবির কর্মীদের কম্পিউটার থেকে পাওয়া গেছে বুয়েটের কিছু শিক্ষকের কানেকশনের অভিযোগ। , বুয়েটে সিভিলের এক ম্যাডামের সাথে শফিকের মেসেজের স্কৃনসট দেখলাম বুয়েটিয়ান গ্রুপে। ঐখানে দেখা যায় ম্যাডাম শফিককে ধর্মীয় বইপত্র বিলি করার জন্য টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছেন। এবং শফিক/বেঙ্গল ফোর্ট উনাকে টিভি ইন্টারভিউ বা এরকম কিছু করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বুয়েট আন্দোলনের সময়ে।
বুয়েটের আন্দোলনের সময়ে ম্যাডাম প্রায় প্রতিদিন নানা স্যারের স্ট্যাটাস বুয়েটিয়ান গ্রুপে দিতেন, আর আমাদেরকে ক্যাম্পাসের মিছিলে আসতে বলতেন। এই ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য রাগিব হাসান স্যার বুয়েটিয়ান গ্রুপে প্রশ্ন তোলার পরে উনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ফেক একাউন্ট থেকে পোস্ট দেয়া হয়।
৫) আরো চিন্তার কথা, এই আমিন বিন খলিলের রুম থেকে পাওয়া গেছে বুয়েটের DSW এর সাক্ষরের সফ্ট কপি, যা ব্যবহার করে জাল নোটিশ বা এরকম ডকুমেন্ট তৈরী করা হতো।
৬) এবং পাওয়া গেছে ৩ শতাধিক ফেইক ফেইসবুক একাউন্ট (হিন্দু বৌদ্ধ ধর্মের এবং মেয়েদের প্রোফাইল সহ) ও পাসওয়ার্ড। বোঝাই যায় ফেইক একাউন্ট কোথা থেকে আসে।
৭) এছাড়া একটি সিক্রেট গ্রুপের স্কৃনসট দেখলাম যেখানে বুয়েটের আন্দোলন কিভাবে কন্ট্রোল করা হবে সেইটা ঠিক করার জন্য এই শফিক, আলিম এরা বানিয়েছিল। কয়েকজন টিচার ঐ গ্রুপের মেম্বার ছিলেন দেখলাম।
বুয়েটের আন্দোলনের লিডে থাকা সবার এই অবস্থা দেখে আমি খুবই শংকিত। জামাত শিবিরের রাজনীতিকে আমরা সবাই ঘৃনা করি। ভিসির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফুর্ত আন্দোলনে এরা কোথা থেকে কিভাবে জুটে গেল আর লিড নিয়ে নিল, সেটা বুঝতে পারি নাই সেই সময়ে কিন্তু এখন পুরা ঘটনা দেখে টাস্কি খেয়ে গেলাম। কি হচ্ছে এসব? স্যারেরা কেন এদের সাথে জড়িত আছেন/যোগাযোগ রেখেছেন?
সব কিছু কেন যেন ভেঙে পড়ছে। আর দুঃখের কথা শিবিরের এইভাবে ঢুকে পড়ার বেপারটা বন্ধুবান্ধব কাউকে বিশ্বাসই করাতে পারলাম না।
(ছবিগুলো ফেসবুক থেকে নিয়েছি)
- সাইফ (বুয়েট, সিভিল)
মন্তব্য
আন্দোলন হয়তো আলাদা ছিলো কিন্তু আপনি যা-কিছু এখানে বললেন, ছবি দিলেন এইসব ঘটনা এর আগেও বাংলাদেশে ঘটেছে, আরো সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এভাবেই শিবির ঢোকে। আরেকটা জিনিস পাওয়া যায়নি? পুরো বুয়েট এবং সংলগ্ন এলাকার স্ট্র্যাটেজিক ওয়ার ম্যাপ? জাবি’তে আমরা এটাও পেয়েছিলাম, সব হলের আলাদা নাম, প্রতিটি রাস্তার নাম আলাদা -- সে এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা। একবার না, আমাদের দুই দুইবার তাদের সাথে যুদ্ধ করে ক্যম্পাস মুক্ত করতে হয়েছিলো। আপনাদের বুয়েট এরা প্রকাশ্যে দখল করবেনা এখন, কারন এটা ঢাকায়। চারপাশ মনে হয় আগে থেকেই ঘিরেছে, আলীয়া মাদ্রাসায় এদের ভালো ভিত্তি আছে।
কি করবেন জানতে চাইছেন? এই-যে শুরু করে দিলেন, শুধুমাত্র এই কারনেই আপনাকে একটা সাবাস দিয়ে সাথে থেকে গেলাম। শিবির এর বিরুদ্ধে যা করতে হয় তার নাম নিজের জায়গায় শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া, যখন প্রয়োজন হবে তখন একটা হুংকার দেয়া। আপনি চিন্তাই করতে পারবেন না আপনার একার আওয়াজ কতটা নাড়িয়ে দিতে পারে!
বুয়েটের স্টুডেন্টরা যদি না বুঝতে চায় তাহলেতো বাংলাদেশের সমস্যা বেড়ে যাবে। সমস্যা কি তাদের? কি বলে তারা?
facebook
ফারাসাত
আপনার এই উদ্যোগকে শ্রদ্ধা জানাই। ছাগু বিতাড়ন জারি থাকুক। এর প্রথম পদক্ষেপ জনসচেতনতা। আর সে পদক্ষেপ নেবার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাই।
কিছু শিক্ষক আর বুয়েটিয়ানের সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততার কথাটা অনেকেই জানেন/তখনও জানতেন।জেনে শুনেও শুধু আন্দোলনের বেগ বাড়াতে ব্যাপারটা চেপে গিয়ে শিবিরের সাথে এক কাতারে দাঁড়ানোটা ছিল মানসিক বৈকল্যের সবচাইতে বড় উদাহরণ,আমার মনে হয় বুয়েটিয়ানরা এখন ব্যাপারটি নিয়ে ঠিকভাবে ভাববেন এবং এই হারামজাদাদের বিরুদ্ধে একটা শক্ত অবস্থান নেবেন।
আসলে আমার/আমাদের একটা সমস্যা হলো নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই সবকিছু বিচার করতে চেষ্টা করি। বুয়েটে আন্দোলনের সময় শিবির আওয়াজ উঠায়, একটু বিরক্ত হইছিলাম কারন বুয়েটে হিজবুত/শিবির আছে জানতাম, কিন্তু বেইল দিতাম না। একবার এক হিজু বড় ভাই দাওয়াত দেয়ায় দুই/তিন বার পোলাও কোর্মা খাইয়া আসছিলাম। ভাবছিলাম বেটারে খুব বেকুব বানান গেছে। আসলে দেখা যাইতেছে আমরা ধরা না খাইলেও, অন্য পোলাপাইন ভালই ধরা খাইছে। শিবির তো ভালই ঢুকছে বুয়েটে!!!
তয় বুয়েটের পোলাপাইন একটু সচেতন হইলে মনে হয়, এগুলা টিকতে পারবো না। অবশ্য জানি না, পুরে বেকুব হইয়া গেছি পোস্ট পইড়া।
যাহোক, পোস্টদাতারে ধন্যবাদ।
শিবির বিতারণ শুরু হোক। এই স্নিগ্ধা আফসানা জিনিসটারে একটু দেখতে মন চাইছে, সে নাকি বিশিষ্ট লুল আছিল শুনলাম। এগুলার ছবি সহ পরিচয় সব পাব্লিক করে দেয়া দরকার।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
স্নিগ্ধা আফসানা ৯৪ সিভিল।লুল বলতে কি বোঝায় জানিনা; তবে ইয়েস, সে একসময় boyish ছিলো, মানে ছেলেদের ঝাড়ির উপর রাখতো।Not that that is so relevant here. At that time we were all young. first year-এর program-এ নেচেছিলো। এখন হিজাব পরে। student থাকতে কখনো শিবির connection নিয়ে কিছু শুনিনি। Principal হাজেরা নজরুল মনে হয় ওর মা।Married to a batch-mate of ours. এবারের আনদোলোনে তার active participation নিয়ে তখন তেমন সনদেহো হয়নি; কারন এর আগে একবার জখন Sir-রা তাদের ছেলেমেয়েদের বুয়েট admissionএর Quotaর arrangement চাইছিলো (late 2008 or early 2009) তখন সে সচল রাগিবের একটা article আমাদের ৯৪ সিভিল মেইল group-এ forward করেছিলো।And that was the first Sachalayatan article that I read! Not trying to clear her or condemn her (because I don’t know what’s the fact), just sharing some facts I know.
অজ্ঞাতবাস
সিভিল ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে গেলেই তারে পাবেন। আপনার নামের সাথে তার নামের মিল আছে 'shanta'
অ, তাইলে সত্য সত্যই ছাগুর চাষ হইতাছে।
এই যে সচেতনতা শুরু হলো, এটাই এদের বিষ ঝেড়ে দেবে - শুধু আমাদেরকে আমাদের অবস্থানে অনড় থাকতে হবে। সাধারণ ছাত্রসমাজ সচেতন থাকলে এরা একটা ছোট পার্সেন্টেজকে হয়তো হাত করতে পারবে, কিন্তু কখনোই মূল চালিকাশক্তি হতে পারবে না।
-অয়ন
আজব তো কেন আপনার বন্ধু বান্ধবরা বিশ্বাস করছেন না! এই লেখাটা শেয়ার করুন বেশি করে।
তানিম ভাইয়ার সাথে একমত, নিজের বিশ্বাসে আস্হা রাখুন। শুভকামনা থাকলো।
সবাই জানে বুয়েট শিক্ষকদের মধ্যে শীর্ষ জামাতি ক্যাডার হলো খনিজ সম্পদ বিভাগের[url= www.buet.ac.bd/mme/faculty/fakhrul.htm] ড. ফখরুল ইসলাম[/url]। আন্দোলনের সময় মারমুখী অবস্থায় তারে সবার সামনে ভিসির রুমে যেদিন দেখলাম সেদিনই বুঝছি এই আন্দোলন জামাত শিবিরের। টিভিতেই দেখছি। এখন তার মেয়ে তাকিয়ান ফখরুলও বুয়েটের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছে। বুয়েটে জামাত শিবিরের সংখ্যা বৃদ্ধি এভাবেও কম ঘটে না। ছাত্র শিক্ষক কর্মচারী সমস্ত ফ্রন্টেই জামাতী পুশ ইন চলছে বুয়েটে।
এটা অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ঘটছে। এরা প্রাতিষ্ঠানিক পদগুলো দখল করে নিজেদের স্থায়ী করে নিচ্ছে। যেটা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে শাহজালালেও। প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো সংখ্যায় যতই ভারী হউক, প্রাতিষ্ঠানিক পদ দখলে অনেক বেশী পিছিয়ে আছে। শিবির রাস্তায় লাঠিয়াল রাখছে, আবার মেধার চর্চাও করছে, লবিং তো আছেই।
এই ফখরুল সাহেবের প্রিয় ডায়লগ "তোর গু খাওয়া উচিত"।
তার ডিপার্টমেন্টের ছাত্র না হয়েও পাকেচক্রে আমাকে একবার গু খাওয়ার এই আদেশ শুনতে হইছে। অসুস্থ একটা লোক।
অলমিতি বিস্তারেণ
শুধু "অসুস্থ" বলে এদেরকে রেহাই দেওয়া যায় না আর শিক্ষার্থীদের সাথে এ ধরণের ব্যাবহারের পর তিনি শিক্ষক থাকবার নৈতিক যোগ্যতাই রাখেন না,যখন বিশেষত তারা মানুষকে নৈতিকতার সুশিক্ষা দিয়ে বেড়ান।
হা হা হা... এই জিনিস দেখছিলাম গে নিয়ে
অলমিতি বিস্তারেণ
আইইউটিতে শিরিবের তৎপরতা নিয়ে সচলে বছর তিনেক আগে একটা লেখা এসেছিলো। কই শিবির, কই শিবির বলে আইইউটির 'ভাবমূর্তি' রক্ষা বাহিনী সেদিন উলটো ধরে পিটাতে চেয়েছিলো ব্লগ লেখকেই। এক প্রভাষক তো গ্রুপ মেইলেই সরাসরি লিখেই দিয়েছিলেন, শিবির থাকুক আর না থাকুক এই ধরণের লেখা যে লিখছে তাকে তিনি হাতে কাছে পেলেই পিটাবেন।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ।
ভাই, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা আলাদা (কারণ ওদের মধ্যে ঐতিহ্যর ব্যপারটা অনুপস্থিত, ঐখানে "ইয়ো" থেকে শুরু কইর্যা চর্মনাই পীরের মূরীদ সবই পাবেন), আর আই.ইউ.টিরে ঠিক বিশ্ববিদ্যালয় না কইয়া একটা মাদ্রাসা কওয়াই ভাল (ঐখানে যদি শিবির না থাকে তাইলে আর কোথাও শিবির পাওয়া যাওয়ার কথা না)। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ গুলার দিকে আমাদের সবার আগে নজর দেওয়া উচিৎ -- কারণ দেশের ৯০% পোলাপানগো উচ্চশিক্ষা ঐখান থেকেই হয়।
এইটা একদম আন্দাজে মেরে দিলেন ভাই, আইইউটিতে শিবির আছে কী না জানি না, তবে মাদ্রাসা বলা যায় না। আমার পরিচিত আইইউটির ছেলেদের থেকে বুয়েটের ছেলেদের মুসুল্লিগিরি বেশি।
ভাই "আন্দাজে মারা" কথাটা মনে হয় ভুল কইলেন, ঐহানে নাকি সংখ্যালঘু/জেনানা এইসবের নাকি ঢুকা নিষেধ, তারপর নাকি ফার্স্ট/সেকেন্ড ইয়ারের কারিকুলামে নাকি ইসলামিক স্টাডিজ, আরবীয় ভাষা শিক্ষা, কুরানিক সায়েন্স ইত্যাদি পড়ানো হয়, এইগুলান আমি একজন আই.ইউ.টিয়ানের কাছেই হুনছি (হে মিথ্যা কইলে কইতে পারে) -- এইগুলা শুইন্যার পর একটু মাদ্রাসা মাদ্রাসা গন্ধ পাই, আর এই গন্ধ পাওয়া যদি গলদই হয়, তাইলে হয়ত আমার চিন্তাভাবনাতে সমস্যা আছে।
তারপর আবার হেইদিন হুনলাম ঐহান কোন এক ভেটেরান প্রফেসর নাকি চিহ্নিত রেজাকার, শিবিরের মজলিশে-শূরার না কি এক বালের সদস্য (মজার ব্যপার হইল হেই প্রফেসরও নাকি এককালে বুয়েটেরই শিক্ষক আছিলেন) আর এই খবরডা মিথ্যা না, যে আমারে কইছে সে জাইন্যা শুইন্যাই কইছে -- এইগুলা হুইন্যাই কইলাম আরকি।
এটা আরেক টা ফালতু গাজাখুরি কথা, যারা জানে না, শুনা কথা শুনে বলে, আপনার তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক, তাই তাদের কাছ থেকে তা শুনেছেন, আপনি যে কোন লেভেল এর লোক তা আপনার কথা শুনে বোঝা যায়,
ভাই, আপনার ঝাড়ি খাইয়া মেলা ঢুঁড়াঢুঁড়ি করলাম। কিন্তু ভাই, তাগো ওয়েবসাইটতো দেখি একই কথা কয়, এইহানে একটু গুঁতা দিয়েন ভাই --
আই.ইউ.টি. যন্ত্রগণকবিদ্যা সিলেবাস
ফার্স্ট আর সেকেন্ড সেমিস্টারের লিস্টিটা একটু দেইখেন। স্পোকেন এরাবিক-১, ইস্লামিয়াত, স্পোকেন এরাবিক-২, ইস্লামীক হিস্টোরি, সায়েন্স এন্ড কালচার -- আমার দোস্ত তো তাইলে হাঁচাই কইছে দেহি।
আমার যতদূর মনে পড়ে সেই শিক্ষকের নাম "সাদিকুল" বা "শফিউল" বা এই জাতীয়-- যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর। জামাতের সাথে উনার সংশ্লিষ্টতার ব্যপারটা পুরাই শুনা কথা, সুতরাং ওখানকার ছাত্ররা হয়ত আরো ভাল বলতে পারবেন আশাকরি।
-- রামগরুড়
আই ইউ টির সিলেবাস আমার ভালোই জানা আছে। স্পোকেন এরাবিক, ইস্লামিয়াত, ইস্লামীক হিস্টোরি, সায়েন্স এন্ড কালচার, সব কিছই ঠিক। সমস্সা শুধু আপনার বু্ঝতে পারা তে।যে লিন্ক ভাই আমাকে দিছেন, তা কি আপ্নি ভালো করে পরেছেন, নাকি বুঝতে কষ্টো হয়েছে।
বিস্তারিত পরলে আমাকে কষ্ট করে আর উত্তর দিতে হতো না,
সময় পেলে আরেক বার দেখেন, কি এমন কথা লিখা আছে তাতে--------------
Lang 0102 Spoken Arabic I
Reading Comprehension; Letters and Pronunciation; Construction of words; Use of letters (Shamsi & Kamari) in words; Use of determiners and pronouns; Use of interrogatives; Use of nominal and verbal sentences Use of adverbs; Use of tenses; Use of Feminine & Masculine Genders; Use of Numerical; Conjunctive Adverbs; Use of every day’s conversation and dialogues and practice
ভাই, ঐ খানে কিন্তু Spoken English নামে এক্তা কিসু আছে, ঐটা কি দেখেন নি, নাকি আপনার বেক্তিগত সমস্সা আছে ঐ বিষইয়ে, সমস্সা একান্ত বেক্তিগত হলে আমার কিসু বলার নেই।
Lang 0104 Spoken English I
This course aims to give students of an international community accurate and meaningful communicating skills which will include expressions for personal identification (name, occupation, nationality etc.); body parts; time, day, week, months and years; daily programme; education and future career; entertainment; travel; postal, telephonic and telegraphic activities; health and welfare; food and drink; adjectives and comparatives and personal and formal written needs. Grammatical structures will emphasize the various tenses, and unit, articles, prepositions and adverbial particles; adverbs of manner, frequency, time and place; punctuation; model verbs; personal pronouns; affirmative; negative and question forms; and possessives and possessive adjectives.
This course deals with the practical and communicative aspects of the English Language by reinforcing and manipulating the sounds and grammatical patterns of the language needed in an international situation through dialogues with Audio – Language, Audio – Visual, silent way and total physical response, methods and techniques involving student participation in a language laboratory with the aids of audio and video cassettes, computer games and other communicative activities.
দিতীয় বিষয়ঃ
আপনি যে শিক্ষকের নাম বলেছেন, এই নামে আই ইউ টি তে কোনো শিক্ষক নেই।"সাদিকুল" বা "শফিউল" নামে কেঊ নেই। আর শুনা কথায় ভাই কান দিবেন না।
ভাই, এক টা কথা তো সবাই জানে, আনগুর ফল টক। আপনার কি এমন ঘটনা। আমার মনে হয়, আপনি যদি ইতি মধ্ধে পাশ করে থাকেন, তবে আপনি চাকুরীর বাজারে কোনো আই ইউ টিয়ান এর কাসে ধরা খাইচেন, অথবা যদি পাশ না করে থাকেন, তবে আপনার মাধ্ধোমিক এর বন্ধুদের চেয়ে পরে পাশ্ করবেন /আই ইউ টি তে চান্স পান নাই, এই দুখ্খে উলটা পাল্টা কথা না বুজে মুখস্ত বলছেন।
ভাল থাকবেন। সব সময় জেনে শুনে বলার চেষ্টা করবেন।
ভাই, একটা অতিরিক্ত বিদেশী ভাষা শেখার ব্যপারে কারোরই কোন আপত্তি নেই, আরবী ভাষা শুধু আই.ইউ.টি.তেই না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ানো হয়, তবে আলাদা বিভাগ আছে তার জন্য -- আমি যতদূর জানি আই.ইউ.টি. একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আর তাদের ওয়েবসাইটে যা দেখলাম সেখানে কোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ই পড়ানো হয়, যার সাথে আরবী ভাষা শিক্ষা আর ইসলামের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি শিক্ষার সরাসরি যোগাযোগ দেখতে পারছি না -- ছাগুরা পাইলেও পাইতে পারে।
ভাই, আপনি হয়ত বুঝবেন ক্লাসের প্রথম পিরিয়ডে ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন পড়ার পর পরের পিরিয়ডে কেউ মরিস বুকাইলির বই নিয়ে মুসা নবীর মাজে'জার সায়েন্টিফিক ব্যখ্যার ক্লাস নেওয়া শুরু করে, তাইলে ক্যামনে কি?
ইসলামের ইতিহাস, দর্শন অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়ানো হয়, তবে সেখানে ইমাম গাজ্জালীর থিওরী যেমন সিলেবাসে আছে, তেমনি ইমানুয়েল কান্ট, ফ্রেড্রিখ নিটশে আর কার্কেগার্ডের তত্ত্বও আছে, ছাত্র/ছাত্রীরা অন্ততপক্ষে দুইটার মধ্যে কন্ট্রাস্ট করার সুযোগ পায় (বিশেষ করে দর্শন বিভাগের ক্ষেত্রে এইটা প্রযোজ্য, অন্য বিভাগের ব্যপারটা ঠিক জানা নাই, তবে কাছাকাছিই হবে আশা করি)।
কিন্তু একজন বিজ্ঞানের ছাত্রকে পার্টিক্যাল ফিজিক্সও পড়ানো হবে আবার অন্য দিকে তার ইসলামীক মাজেজাও শেখানো হবে, এইটা কোন কথা হতে পারে না -- পুরাই উদ্ভট।
আর এই ব্যপারটা যদি আপনাদের কাছে সত্যই উদ্ভট লাগে (যেহেতু আপনারা বিজ্ঞানের ছাত্র, লাগা উচিৎ বলে মনে করি), আপনারা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন।
আর আপনার "আঙ্গুর ফল টলে"র ব্যপারটা পুরাই অপ্রাসঙ্গিক -- এই নিয়ে আর কথা না বাড়াই।
-- রামগরুড়
ভাই, অতিরিক্ত বিদেশী ভাষা শেখার ব্যপারে কারোরই কোন আপত্তি নেই, ভারতীয় সিনেমা দেখেও হিন্দি ভাষা শেখা যায়, সেটা মুল বিষয় নয়। মুল বিষয় হল, কেনো আই ইউ টি তে আরবি ভাষা শেখানো হয়? আপনার অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, আই ইউ টি ও আই সি'র অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, এখানে ও আই সি ভুক্ত ৫৭ টি দেশের ছাত্ররা পড়তে আসে, যাদের মুখের ভাষা হল আরবি, যেখানে আমাদের বাংলা। দুই ভাষাভাষীর পাশাপাশি রুম এ বসবাস। তাদের সাথে সালাম বিনিময়, হায়, হেলো টুকু তো অন্তত আমরা শিখতে পারি। এর বেশি কিছু শেখানো হয় না। স্পকেন ইংলিশ নামে কিন্তু এক টা বিষয় আছে যেটা বিদেশিরা করে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
আই.ইউ.টি. একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ কৌশল, কম্পিউটার কৌশল, স্থাপত্যকৌশল বিদ্যাবিষয়ক ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
"ইসলামের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি শিক্ষার সরাসরি যোগাযোগ দেখতে পারছেন না"-তাই তো। আপনার দেখতে পারার ও কথা না। এখানে ডিপারটমেন্টাল আর নন ডিপারটমেন্টাল মিলে ১৮২ ক্রেডিট এর মত পড়ানো হয়, যা বাংলাদেশে কোনো বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ানো হয় না। বাঙালি হিসেবে যেমন আমাদের বাংলা ইতিহাস জানা দরকার, মুসলমান প্রকৌ্লী হিসেবে আপনার ইসলামের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি শিক্ষা থাকা টা জরুরী। শুধু তাই নয়, এই সব বিষয়ের পাশাপাশি পরিবেশ, কৃষি বিষয়ক কিছু জ্ঞান ও প্রদান করা হয়।
আপনার কথা শুনে মনে হয়, এই সবের গুরুত্ব আপনার বোধগম্য নহে। কারণ আল্লাহ সবাই কে সব কিছু বুঝার ক্ষমতা দান করেন না।
ক্লাসের প্রথম পিরিয়ডে ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন পড়ার পর পরের পিরিয়ডে কখনোই নন ডিপারটমেন্টাল বিষয় থাকে না, রুটিন গুলো এমন ভাবেই করা
ভাই, আপনার কথা শুনে মনে হয়, আপনার জানার পরিধি কম। আজ পর্যন্ত মুসা নবীর মাজে'জার সায়েন্টিফিক ব্যখ্যা কোনো বিজ্ঞানী দেয় নাই। এখানে পড়ানো তো দুরের কথা।
এখানে ইতিহাস, বিজ্ঞান, শিক্ষা, প্রযুক্তি, বিষয়ক বিদ্যা যিনি প্রদান করেন তিনি একজন তড়িৎ কৌশলী, সাবেক শিক্ষক, বূয়েট, ডঃ হামীদুর রাহমান, বাংলাদেশে যত পাওয়ার প্লান্ট আছে, সব গুলোতে যিনি স্থাপনের সময় বিশেষ দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা দেখছি ফাঁকা কলস।
কুমার আপনে বোঝেন নাই। বাকিরা প্রকৌশলী আর এনারা "প্রকৌ্লী"।
..................................................................
#Banshibir.
প্রযুক্তিতে ইসলামের অবদান কতটুকু তা কি জানার কোনো দরকার নেই। ভিন্ন ধর্মীরাও তো প্রযুক্তিতে ইসলামের অবদান নিয়ে গবেষনা করে। আধুনিক বিশ্বে আজ অবধি যত আবিস্কার সব কিছুই কি পবিত্র আল কোরান এ বাইরে। প্রকৌশল বিদ্যা শুরুর প্রাক্কালে কি সবার ই তা জানা উচিত না? ইসলামে কি দিক নির্দেশনা আছে? আজ অবধি কত টুকু করেছেন মুসলমান বিজ্ঞানীরা।
আজ কাল অনেকেই আছে যারা নিজের দাদার নাম টাও ঠিক মত জানে না, ,-------------------------- আশা করি আপনার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নহে,
বাঁচতে হলে জানতে হবে। চর্মচক্ষুকে জ্ঞানচক্ষুতে রূপান্তরিত করলেন ভাইটু। ঋণী হয়ে গেলাম। প্রকৌশলবিদ্যা শুরুর প্রাক্কালে কি কি জানা দরকার তার একটা লিস্টি দিতে পারবেন ভাইটু, এবং আগামী প্রজন্মের প্রকৌশলীদের ভিত্তি মজবুত করতে কি কি করণীয় বলে আপনি মনে করেন? আপনার অবসরের সঙ্গী, প্রিয় বই নিচের কোনটি?
ক) আমরা কি চাই, কেন চাই, কিভাবে চাই
খ) এসো আলোর পথে
গ) মুক্তির পয়গাম
ঘ) উপ্রের সবকটি
আপনি নমস্য ব্যাক্তি।
ফারাসাত
এসেছে নতুন ছাগু তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান !
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কুমার ভাই, নতুন টার্ম শিখ্যা লন, মুসলীম প্রকৌশলী, হিন্দু প্রকৌশলী, বৌদ্ধ প্রকৌশলী...
ভাই হেগো কথা শুইন্যা মনে হয় অহন কোন জুলুরে ধইরা প্রকৌশল বিদ্যা পড়াইতে গেলে তাগো জুলু-নৃত্য-গীত শেখানো লাগব -- আজীব দুনিয়া।
-- রামগরুড়
পোস্টটা বুয়েটের সমস্যা নিয়ে। সেদিকেই মনোযোগ দিন না। আইইউটিতে কি আছে না আছে তা নিয়ে এত ত্যানা পেচাচ্ছেন কেন? আপনাদের এই কমেন্টগুলোই প্রমাণ করে যে বুয়েটে শিবিরের দাপটের সামনে আপনারা অসহায়। তাই ওখানে সুবিধা করতে না পেরে অন্য ভার্সিটি নিয়ে খাবলাখাবলি করছেন!!!
বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি আসলেই আন্দাজে কথাবার্তা বলেন।
হয়ত IUT কে নিয়ে অনেক সমালোচনা করা যাবে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সমালোচনা করার আগে একটু homework করে নেওয়া উচিত। এবং সমালোচনাটা গঠনমূলক হওয়া উচিত।
যাই হোক আপনি যেই প্রফেসর এর কথা বলছেন, উনার নাম সদরুল ইসলাম। মেকানিকাল বিভাগের অধ্যাপক। আর উনি ইবনে সিনার পরিচালক পর্ষদের একজন সদস্য।
-- ধন্যবাদ ভুল সংশোধন করিয়ে দেওয়ার জন্য। তাহলে উনি শিবিরের শুরুয়া কমিটিতে নন, ইবনে সিনা ট্রাস্টের একজন সদস্য। আর ইবনে সিনার পরিচালক পর্ষদে কি ধরণের লোকজন আছেন, সেইটা একটু পরিষ্কার হওয়ারও দরকার আছে বলে আমি মনে করি।
-- রামগরুড়
ভাই, মনে খুব প্রশ্ন জাগে, জীবনে কোনোদিন মাদ্রাসায় গেছেন, গিয়ে থাকলে এমন ফালতু কথা বলতে পারতেন না,
দয়া করে একটা বিষয় পরিষ্কার করবেন? কোনটা ফালতু? আই.ইউ.টি. কে মাদ্রাসার সাথে তুলনা করে আই.ইউ.টি. কে ছোট করা হয়েছে, নাকি এর উল্টোটা?
ফারাসাত
আই.ইউ.টি কি ভাই কখোনো আপনি গেছেন? ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার নাম কি কখনো শুনেছেন? কখনো কি শুনেছেন বুয়েট অথবা ঢাকা ইউনিভারসিটির কোনো সার রা বিখ্খাত আলিয়া মাদ্রাসায় খন্ডকালীন ক্লাস নেন,
বিষয় টি কি এখনো পরিস্কার নয়, কোন্ টা ফালতু,
আশা করি উত্তর দিতে হবে না।
না ভাই, আমি কখনো এই দু'টো প্রতিষ্ঠানে যাইনি। শুধু নামই শুনেছি। এবং আমি এটাও জানিনা যে কোন স্যাররা বিখ্যাত আলিয়া মাদ্রাসাতে ক্লাস নেন অথবা কেন নেন। যেহেতু আমি জানিনা তাই বিনীত ভাবে আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনার আপত্তির কারণটা কি? যেহেতু আপনি প্রশ্নের জবাব প্রশ্ন দিয়ে করেছেন এবং আশা করছেন উত্তর দিতে হবেনা তাই আপনাকে আরেকবার প্রশ্ন করে ঝাড়ি খাওয়ার ইচ্ছে নেই। বরং আপনার আপত্তির কারণ হিসেবে আমি যে সিদ্ধান্তে এসেছি আপনার প্রতিমন্তব্য থেকে তাই বলি-
যেহেতু বিখ্যাত আলিয়া মাদ্রাসাতে বুয়েট এবং ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্যাররা খন্ডকালীন ক্লাস নেন সেহেতু আই.ইউ.টি কে মাদ্রাসার সাথে তুলনা করে মাদ্রাসার অপমান করা হয়েছে।
ফারাসাত
ভাই, কথা বুঝে না বুঝার ভান করা কি দরকার, তরক করে লাভ নেই,
আই ইউ টি তে বুয়েটের আর ঢাকা ভারসিটির সার রা প্রতি সপ্তাহে বুধ ও ব্রিহস্পতিবার ক্লাস নেন, আর এখানে যেসব প্রফেসর রা নিয়্মিত পরায়, তারা সবাই প্রাক্তন বুয়েটের প্রফেসর,
এর মানে কি হল,
বুয়েট এক টা পাবলিক মাদ্রাসা,
আর আই ইউ টি এক টা আন্তরজারতিক মাদ্রাসা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
নারে ভাই আমি ভান করি নাই। আমি জানতে চেয়েছিলাম আপনার আপত্তির কারণটা। আপনি সোজাসুজি বললেই পারতেন যে আই ইউ টি কে মাদ্রাসার সাথে তুলনা করাতে আপনার খারাপ লেগেছে। কিন্তু তা না বলে আমি আই ইউ টি তে অথবা আলীয়া মাদ্রাসায় গিয়েছি কি না এসব জিজ্ঞেস করে অনর্থক ত্যানা প্যাচানোর দরকার ছিলো না।
ফারাসাত
ধন্যবাদ, শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারার জন্য। দাওয়াত রইল আই ইউ টি তে, সময় পেলে ঘুরে যাবেন, কেমন ইঙ্গিনেয়ারিং পড়ানো হয়, কোন লেভেল এ,
আশা করি অন্তত দেখে বুঝতে পারবেন,
ভাগ্যিস বুঝেছিলাম, নইলে আপনার সাথে কথা আরো কন্টিনিউ করতে হলে আমার কি হতো এটা চিন্তা করেই গা কাঁটা দিয়ে উঠছে।
এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। এই মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য শুরু হয়েছিলো রায়হান আবীরের শেয়ার করা একটা পোস্টের সূত্র ধরে। এই পোস্টটি কি আপনি পড়েছেন? যদি পড়ে থাকেন তাহলে আপনার বক্তব্য কি? আই ইউ টি তে কি শিবির আছে? যদি থাকে তাদের ব্যাপারে আপনার অবস্থান কি? (ধরে নিচ্ছি আপনি এখনো আই ইউ টি তে পড়েন)
আপনার দাওয়াত কবুল মনে হয় করতে পারবো না। যে ব্যাক্তি মুসলিম প্রকৌশলী হিন্দু প্রকৌশলী এরকম বিভাজন করতে পারে তার দাওয়াত কবুল করে নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ প্রমাণ করার কোন ইচ্ছা নেই।
ফারাসাত
ভাই, মুসলিম প্রকৌশলী শব্দ টা কে এতো গুরুত্ত দিতেসেন কেনো?
রায়হান আবীরের লেখা টা আমার ভালো মতোই পড়া।এর ঘটনা টা আমার ভালো জানা, পট্ভুমি, সব জানি।
আই ইউ টি তে শিবির কেনো, এর বিন্দু পরিমাণ ও নেই।
পোলাপানের পড়তে পড়তে জীবন যায়, আর আপ নি বলেন শিবিরের কথা।
ধরে নিচ্ছি আপনিই Arafat Ahmed Bhuiyan।
আমি আপনাকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং 'মুসলিম প্রকৌশলী' শব্দটিকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছি কারণ যেকোন সাম্প্রদায়িক স্টেটমেন্টে আমার অ্যালার্জী আছে।
আপনার ভাষ্যমতে রায়হান আবীরের শেয়ার করা পোস্টলেখক একজন মিথ্যেবাদী। এবং আপনার যুক্তিমতে যেখানে পড়াশোনার চাপ বেশী সেখানে শিবির থাকতে পারেনা। তারমানে বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, ঢাবিতে শিবির আছে কারণ সেখানে পড়ার চাপ নেই?
এর মানে কি বুয়েট বা অন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব প্রকৌশলী বের হচ্ছে তাদের জ্ঞাণের ঘাটতি আছে?
সাধারণত আমি প্রাণিবাচক বিশেষণ ব্যাবহার করে কাউকে সম্বোধন করিনা। কিন্তু আজকে 'রামছাগল' ও 'কাঠবলদ' এই দুইটা প্রাণীকেই অপমান করতে খুব ইচ্ছা করছে।
ফারাসাত
বুয়েটের সম্প্রতি মহানবী (সা:) এর ব্যাঙ্গ করা সিনেমার বিরুদ্ধে মানববন্ধনের অরগানাইজার '০৮ ব্যাচের শিবিরের শফিক। এইটা সম্পূর্ণ ভুল কথা । আমি '০৭ ব্যাচের সিএসই ডিপার্টমেন্টের Md. Shafiqul Islam ছিলাম এর অরগানাইজার ,সাথে আরও কয়েকজন।কিন্তু কোন ক্রমেই শিবিরের পোলাপান অরগানাইজার ছিল না ।এটা ছিল সম্পূর্ণ পলিটিকাল ইনফ্লুএন্স মুক্ত। বিশ্বাস না করলে কিছু করার নাই। তবে , হতে পারে শিবিরের পোলাপানদের এই নিয়ে কিছু গোপন এজেন্ডা ছিল, যা কিছুটা এখন প্রকাশ পেয়েছে। এটা নিতান্তই শিবিরের ব্যাপার। তাই বলে তাদেরকে অরগানাইজার বলে ফেলা এটা অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নই।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তাইলে স্নিগ্ধা আফসানা আপনাকে টাকা না দিয়ে শিবির শফিককে টাকা দেয়ায় বুঝা যায় তার ফোকাস এই ইভেন্ট ছিলো না, ছিলো শিবিরকে এইড করা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অনেকেই দেখি vc বিরোধী আন্দোলন কে এখন জামাত শিবির এর আন্দোলন হিসেবে বলতেসে কিন্তু আমি একটা ব্যপার পরিস্কার করে বলতে চাই vc বিরোধী আন্দোলন সাধারন ছাত্র ছাত্রি দের আন্দোলন ছিল। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আবার আমরা শিবির এর বিরদ্ধে আন্দোলন করব। বুয়েট কে রাজনীতি মুক্ত রাখব। শিবির এর বিরুদ্ধাচারন যাতে এমন না হয় যে লীগ কে সমর্থন করতে হবে। লীগ এবং শিবির উভয়ের বিরদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
এটাই সম্ভবত ইদানিং শিবির কর্মীরা ব্যবহার করছে সাধারন ছাত্রদের প্রভাবিত করতে।
লীগ, বিএনপি , জাপা, এরা হল বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘটন, এদের রাজনীতির ধরন আলাদা হতে পারে, চিন্তা ভাবনায় ব্যপক পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু একটা জায়গায় এরা সবাই এক, এরা বাংলাদেশের অস্তিত্তে বিশ্বাস করে। এদের প্রতিটি কাজকে আমরা সমভাবে আলোচনা সমলোচনা করতে পারি, ভাল করলে ভাল খারাপ করলে প্রতিবাদ করতে পারি। কিন্তু এদের সাথে শিবির মিলাতে পারি না।
বাংলাদেশের অস্তিত্তে যে বিশ্বাস করে সে শিবিরের অস্তিত্তে বিশ্বাস করতে পারে না। তাই শিবির নিয়ে আলোচনা সমলচনার কিছু নেই। এদেশে কোন শিবির থাকতে পারবে না, এটাই শিবিরের ব্যপারে একজন বাঙ্গালির অবস্থান হতে পারে। এর মাঝামাঝি কিছু নেই। শিবির যদি পুরা দেশকে সোনায় মুড়িয়ে দেয়, দেশের সব মানুষকে প্রতিদিন ফাইভ স্টার হোটেলে খাওয়ায় , দেশের মাথাপিছু আয় অ্যামেরিকার দিগুন বাড়িয়ে দেয় তবুও শিবির শিবিরই , তাকে বর্জন করতে হবে।
শিবির বর্জনের সাথে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমলচনার বা তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদের কোন সম্পর্ক নেই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বি এন পির বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস নিয়া বিতর্কের ব্যপক অবকাশ আছে।
ভাই এই ব্যাপারটার ভয়াবহতার কথাই সবাই বলছে। এই "ধূমপান ও রাজনীতি নিষিদ্ধ" ধরনের অ্যালার্মিং মানসিকতার প্রাবল্যেই কিন্তু শিবির ওয়াকওভার পেয়ে যাচ্ছে। একজন শিবির কর্মী প্রথমে আপনার সাথে খুবই আদবের সাথে পরিচিত হবে, শার্টের ধুলো ঝেড়ে দেবে, বোতাম লাগিয়ে দেবে, আঙ্গুল ফুটাবে, টিউশনির খোঁজ দেবে; সে ভুলেও কোন দলীয় রাজনীতির কথা প্রথমে উত্থাপন করবে না, নামাজ পড়তে বলবে। একসময় ইসলামি বইয়ের নামে আপনার হাতে মউদুদী বই ধরিয়ে দিতে খুব বেশি সময় তার লাগবে না। এবং এর শেষ গন্তব্য আপনার অজানা নয় বলেই মনে করি।
রাজনীতি মুক্ত করার নেশাটা বাদ দেন। অনেক রাজনীতি মুক্ত হইছে সব, এই সুযোগে যা হওয়ার হইছে, আর কইরেন না। একটা আন্দোলন বড় হয় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহনেই, আর সেটা পরিচালিত করতে যারামূল ভূমিকা রাখে বা সামনে থাকে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের উপরেই সব নির্ভর করে।বুয়েটকে শিবিরমুক্ত রাখেন, রাজনীতি মুক্ত রাখেন, বরং অন্ধতা রেখে রাজনৈতিক সচেতন হতে চেষ্টা করেন। ইদানিং দেখা যায় বড় করে লেখা থাকে ধুমপান ও রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস। ধুমপান মুক্ত ভাল কথা, রাজনীতি মুক্ত কেন? আপনি হয়ত খুশি হচ্ছেন, আশান্বিত হচ্ছেন, আমি কিন্তু আতঙ্কিত, একটু পরেই আজান হবে বোধ হয়।।।।।।।।।।।
স্বয়ম
আরেকটা ছবি বাদ গেছে -
এখানে কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই শফিককে শিবিরের বায়তুল মালের জন্য ২ জন টিচার চাঁদা দিয়েছেন। এরা হলেন প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম আর প্রফেসর মোঃ আলী।
জাহাঙ্গীর আলম এবং মোহাম্মদ আলী কোন ডিপার্টমেন্টের?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মোহাম্মদ আলী নামে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টে একজন প্রফেসর আছেন, আর জাহাঙ্গীর আলম কি ইলেকট্রিক্যাল এর ? যিনি আহসানউল্লা হলের প্রভোস্ট ছিলেন ?
জাহাঙ্গীর আলম সিভিলের এবং আহসানউল্লা হলের প্রভোস্ট ছিলেন।
-সুমন
একটা বিষয় বেশ কৌতুহল জাগালো, বড় ছুড়িটা লাল রং করেছে কেন? ব্যবহারের সময় ভূক্তভোগীর মনে অগ্রিম আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য? কি অবাক ব্যাপার, বুয়েটে পড়াশুনা করলেও এরা এখনও মধ্যযুগেই বসবাস করছে।
লক্ষ্য করুন পালের গোদাগুলোকে কিন্তু সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে ধরা হয়নি। এটা আশঙ্কাজনক।
পোস্টদাতাকে ধন্যবাদ
আপনার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
ঠিক এভাবেই বুয়েট এর সাধারন ছাত্র ছাত্রীদের প্রথমে বুঝতে হবে যে তাদেরকে ব্যবহার করে শিবির অবস্থান শক্ত করছে, তারপর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। ভিসি তাড়ানোর জন্য যেমন মাঠে নেমেছে শিবির তাড়ানোর জন্য তার চেয়েও শক্ত আন্দোলন করা উচিত।
সাধারন ছাত্রদের চাওয়া আর শিবিরের চাওয়া এক হলে, শিবিরের ব্যাপারে নমনীয় না হয়ে উলটো নিজেদের নিয়েই চিন্তায় পরে যাওয়ার কথা কেন এক রকমের হল এটা ভেবে। কিন্তু বুয়েটের সাধারন ছাত্রদের ভিতর নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও শিবিরের ব্যাপারে নমনীয় মনভাব ছিল, না থাকলে শিবির এতটা আগায় কি করে?
আশাহত হই এটা দেখে যে বুয়েটের ছাত্ররা প্রাতিষ্ঠানিক দিক থেকে যতটা মেধাবী রাজনৈতিক চেতনায় ততটা না। এটা অবশ্য বুয়েটে একা না, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বর্তমানে এই অবস্থা। এর সুযোগটাই শিবির নিচ্ছে।
আমাদের দেশের তথাকতিথ ভাল ছাত্র ছাত্রীরা যতদিন না পর্যন্ত পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই পড়বে,নিজের জগতের বাইরের পৃথিবী নিয়ে সচেতন হবে, রাজনীতি করার তো সবার দরকার নেই কিন্তু অন্তত রাজনীতি কি জিনিস সেটা বুঝার চেস্টা করবে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শুধু দুদিনের ( ১৬ই ডিসেম্বর আর ২৬এ মার্চ) আবেগি না হয়ে ( আবেগ তো অবশ্যই থাকবে) সাথে তখন সত্যই কি হয়েছিল, কার কি অবস্থান ছিল, কেন ছিল, এসব জানার বুঝারও চেস্টা করবে, ততদিন পর্যন্ত এসব ঘোল খাওয়ানোর প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে। আর ঘোল খেয়ে প্রথম কাজ আমি যে ঘোল খেয়েছি সেটা স্বীকার করা তারপর কেন খেলাম সেটা খুজে বের করা নয়ত ভবিষ্যতে এরকম আরও ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শুরু হবার সময়েই ধর্মের কথা বলে আর নানান ছলে বলে কৌশলে নানান হায়েনার দল কিভাবে তাদেরকে দলে টানার চেষ্টা করতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক করতে হবে। কাজটা করতে হবে বর্তমান সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদেরই। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে, বা অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে। যে যেভাবে পারুন, আপনার আশেপাশের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীটিকে এসব ব্যাপারে সতর্ক করুন। আপনার বলা দুয়েকটি কথাই, একটা নবীন প্রাণকে রক্ষা করতে পারে অন্ধকারের হাত থেকে।
এই পোস্ট লেখককে ধন্যবাদ। সাহসী, এবং সময়োপোযোগী লেখাটির জন্য।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কী ভয়ঙ্কর ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে এরা সব জায়গায় ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ছে! খুব দরকরি পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ সাইফ।
ছাইপাশ
লেখক পারলে আপনার মেল নামবার টা ডেন কোঠা আচে
তুই কি হুমকি দিচ্ছিস ?
আপনারা কি শিবির?
অজ্ঞাতবাস
যে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হতে পারে, তার সুযোগ বিরোধী পক্ষ নিবে এইটা জানা কথা। আর জামাত-শিবির রীতিমত ডুগডুগি বাজাবে এইটাও বুঝা যায়। তারপরও কিছু কিছু ব্যাপার একটু বেশিই দৃষ্টিকটু। আন্দোলনের সময় 'সেভ আওয়ার বুয়েট' নামের অ্যাকাউন্ট কে চালায় এইটা 'সাধারণ ছাত্র' দের কেউ খোঁজার প্রয়োজন বোধ করেনি দেখে হতাশ হলাম।
কেউ শিবির করলে তাকে হেয় করা যায়, কিন্তু তাকে কি কানে ধরে উত্তম মধ্যম দেয়া যায়? যায় না কারণ বাংলাদেশের আইন বলছে শিবির বেআইনি কিছু না। সরকারের যদি এতই গায়ে লাগে, তাহলে বলছি, 'দয়া করে শিবির নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন।'
-ফুয়াদ
এই কাজ করলে তো আরও বিপদ। নিষিদ্ধ করলেই তো আর তারা সবাই সুশীল ছাত্র বনে যাবে না, তারা তখন ছদ্মবেশে অধিকাংশই ছাত্রদলে যোগ দিবে, কিছু যোগ দিবে ছাত্রলীগে(অবশ্য এখনও আছে কিছু)। সংগঠন দুইটার এমনেই যা অবস্থা, তখন আরো নরক গুলজার করে ফেলবে। তার চেয়ে এই ভালো, এখন তো অন্ততঃ আলাদা করে চেনা যায়।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
ভিসি তাড়ানো আণ্দোলনের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ও শিক্ষকসমিতি শিবির বিতাড়নের ব্যাপারে কি কোনো আন্দোলন করা বা উদ্যোগ নেয়ার আশু সম্ভাবনা আছে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সেটাই।
এই কথাটা একবার কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন শ্রদ্ধেয় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
এসব ঘটনাবলী যেন তার কথারই সার্থকতা প্রমাণ করে।
তৃতীয় শ্রেনীর মন্তব্য। নামহীন এইসব আবালের আজাইরা কমেন্ট সচলে দেখতে চাই না।
..................................................................
#Banshibir.
অত্যান্ত স্থুল। চারিদিক বিচার বিশ্লেষন করে ডায়লগ ঝাড়বেন, হুট করে ঝড়ের বেগে কোৎ মেড়ে দুটো লাদা ফেলে চলে যাবেন না।
আপনার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই, এমন পোস্ট আরও আসুক।
কী ভয়ঙ্কর ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে এরা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে গোপনে। আমার কিছুতেই মাথায় আসেনা এত শিক্ষিত সব মানুষজন কিভাবে ঐসব ছাগু আর শয়তানদের দলে গিয়ে ভিড়ে? আমার মতে যারা জামাত শিবির করে সক্রিয়ভাবে অথবা সাপোর্ট করে গোপনে, এরা কেউ আসলে মানুষ না। জামাত মুক্ত শিবির মুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই!
এবং সেই জন্য আমাদের প্রত্যেককে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে, এদের খুঁজে বের করে নর্দমায় ছুঁড়ে ফেলতে হবে!
একজন সচল জানালেন চ্যানেল আইতে এ বিষয়ে লিড নিউজ করেছে। খুব সম্ভব এই লেখার একটা এক্সটেন্ডেড ভার্সান প্রকাশ করেছে তারা। আমি আপনার লেখার একটা বড় ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি এক্ষেত্রে। অবশ্যই একটা বাহবা প্রাপ্য আপনার।
চ্যানেল আইকে ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে সাহসী রিপোর্টিংয়ের জন্য। এই পোস্ট থেকে আপনাদের নিউজটি অনুপ্রাণিত হয়ে থাকলে পোস্ট লেখককে অ্যাকনলেজ করার অনুরোধ থাকল।
ফারাসাত
চ্যানেল আই এর নিউজটা অ্যাড করে দিলাম এখানে।
অশেষ ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য! আমি যে বাসায় থাকি, সেখানে কোন বাংলা চ্যানেল নেই, লিঙ্কটা ভারি কাজে লাগল।
- সাম্য
কৃতিত্বটা মোটেই তার না। বুয়েটের ছাত্রই আগে প্রকাশ করে। পিয়াল সাহেব সেখান থেকে বা তার কাছ থেকে নিয়েছেন।
_____________________
Give Her Freedom!
ওহ, জানা ছিল না। ধন্যবাদ।
- সাম্য
মুর্শেদ ভাই, পোস্টের অনেক তথ্য এবং সব ছবি অমি রহমান পিয়ালের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রথমে দেখেছি। তাই ওনার কৃতিত্ব প্রথমে অ্যাকনলেজ করা উচিত বলে মনে করি। পোস্টদাতা পিয়াল ভাইয়ের উল্লেখ করেননি।
ধন্যবাদ।
- সাম্য
চমত্কার লেখা। আশা করি BUET জেগে উঠবে। জামাত শিবির নিপাত ্যআক ।
খুব ভালো লাগলো লেখাটা। এখন তো বুয়েট নিয়ে অনেক লেখা দেখি সবখানে- তার বেশিরভাগেরই মোটো একরকমের।"বুয়েট এ প্রায় সবাই শিবিরপন্থি", "বুয়েট এর পোলাপান বলদ", "আগেই কইসিলাম ভিসি বিরোধী আন্দোলন আসলে সরকারকে বেকায়্দায় ফালানোর আন্দোলন"- সব ই শেলডন কুপার এর "I informed you thusly" টাইপের কথা। কাজের কথা মনে হয় এই প্রথম দেখলাম। যদিও আলুপোড়া খাওয়ার লোক (শিবির) অনেক ছিল, কিন্তু বুয়েট এর ছাত্রছাত্রীরা একাত্ম হয়ে আন্দোলনটাতো করেছিল! এবার সময় হয়েছে ওইভাবেই ক্যাম্পাস থেকে শিবির বিতারনের আন্দোলন করা।
অঃ টঃ- মোহাম্মদ আলী নামটা দেখে চমকে উঠেছিলাম, ইইই এর কিংবদন্তি টীচার মোহাম্মদ আলী স্যার নাকি? তাহলে তো আমার বুয়েট জীবন ই মূল্যহীন। বাঁচলাম- মেকানিকাল দেখে।
ইকবাল, ইইই, বুয়েট ৯৫
নতুন মন্তব্য করুন