কয়েক দিন ধরে একটা কথা সামজিক মাধ্যম গুলোতে জীন বিজ্ঞানী মাকসুদুল হকের পাট ও ছত্রাকের জীবন রহস্য আবিষ্কারের (যদি ও “জীবন রহস্য আবিষ্কারের”এই কথার সাথে অনেক ধরনের মতামত আছে) পর থেকে বেশ ঘটা করে একটা আলোচনা হচ্ছে আর সেটা হল আমাদের এই মুহূর্তে গবেষণা কতটুকু প্রয়োজন বা আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা। যেই দেশটিতে শতকরা ৪৯ জন দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে যেখানে মানুষের তিন বেলা আহারের জন্য অনবরত জীবন যুদ্ধের মাঠে থাকতে হয় আর সেখানে গবেষণা! আমাদের দেশটি সময়ের হিসেবে কৈশোর কাটিয়ে ভরা যৌবনে পদার্পণ করলেও সত্যিকারের দেশ হিসেবে এখন ও সেই শিশুকালে আছি। কি বলেন খাদ্য , কি বলেন চিকিৎসা বা বলেন প্রযুক্তির কথা সব ক্ষেত্রেই আমরা অন্যের উপর নির্ভরশীল। আমরা এখন প্রায় ৩৯ টি দেশে ঔষধ রপ্তানি করি। আমার জানা মতে আমাদের এমন কোণ একটা ঔষধ নেই যে আমার দাবি নিয়ে বলতে পারি সেই ঔষধ টা আমাদের নিজস্ব আবিষ্কার। বাংলাদেশে প্রায় ২১০ টি ফার্মাসিটিক্যাল আছে কিন্তু একটির ও সত্যিকারের গবেষণার ব্যবস্থা নেই যেখান থেকে মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে নতুন কিছু দেয়া যাবে। অর্থনীতি ভাষায় কোন কিছু উন্নতি একটা স্তরে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যদি না সেখানে নতুন কিছু ধারনা না থাকে, নতুন আবিষ্কার সব সময় যেকোনো প্রতিষ্ঠান উন্নতির সোপানে নিয়ে যায় । আর নতুন কিছু পাওয়া যায় গবেষণার মাধ্যমেই। সেই ক্ষেত্রে অ্যাপেলের ব্যাবসায়িক সাফল্যের কথা বলতে পারি। আজকের অ্যাপেলের এই সাফল্যের পিছনে কাজ করে তাদের ধারাবাহিক গবেষণা।
এখন আসা যাক মাকসুদুল হকের গবেষণা নিয়ে, আমি এখানে উনার গবেষণার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করব না। উনার বর্তমান প্রকল্প পাটের উপর ছত্রাকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে। এই প্রকল্পে প্রথম ধাপে সরকার থেকে বরাদ্দ ছিল প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। আর এই বিপুল পরিমাণ টাকা (যদিও গবেষণায় এই পরিমাণ টাকা খুবিই অল্প) নিয়ে অনেক কথা উঠেছে। তাদের পক্ষে যুক্তি হল এই দেশে অনেক মানুষ এখন ও রাতের পর রাত না খেয়ে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করে, আর সেখানে গবেষণায় এত টাকা খরচ করা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই না।
কিন্তু আমি বলব, না! এটা কোন বিলাসিতা না, এটা আসলে আমাদের প্রয়োজনের অর্থ ব্যয়! একটা দেশর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে কাজ করে সেই দেশের গবেষণার যোগ্যতা ও অবকাঠামোগত সুবিধা। মাকসুদুল হক ও তার গবেষণা দল সেই জিনিষটাই সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু করেছে। মাকসুদুল হক তার গবেষণার মাধ্যমে কি পেল বা কি পেল না সেটার আমার চিন্তায় আসে না। উনি গবেষণার জন্য একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে দিল, আর সাথে করে সরকারী গবেষকদের একটা বার্তা দিল যে তারাও পারে, শুধু দরকার উপযুক্ত একজন নেতার।
আর উনার গবেষণার বিষয়ে অনেককে বলতে শুনেছি এ আবার এমন কি আবিষ্কার। কিন্তু আমি বলব এটাকে অবজ্ঞা করে দেখার সুযোগ নেই। আমাদের দেশে প্রতি বছর পাটের পচন রোগে কৃষক আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতি হয়, পাটের সংরক্ষণ, পাটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এই সব সমস্যার সমাধানের প্রাথমিক ধাপ মাত্র। যদিও এই গবেষণার ফলে দ্রুত হয়তো ফলাফল পাওয়া যাবে না কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী কথা চিন্তা করলে এই গবেষণা অনেক কিছুর সমাধান দিতে পারে।
যারা বলে এত টাকা গবেষণায় খরচ না করে গরীব মানুষের জন্য মৌলিক চাহিদার পেছনে খরচ করলে অনেক ভাল হত। আমি ও বলছি গরীব মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলো মেটানো দরকার কিন্তু তা কখনই আমি গবেষণায় টাকা বাঁচিয়ে গরীব মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর পক্ষে না। যারা এই ধরনের চিন্তা করে আমি যদি তাদের বলি তাহলে আমাদের কোটি কোটি টাকা খরচ করে যুদ্ধবিমান কেন? আমাদের দেশে তাহলে তৃতীয় পজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক কেন? কেনই বা হাজার হাজার টাকা সেনাবাহিনীর পিছনে খরচ যেখানে গত ৪০ বছরে সেনাবাহিনীর মূল কাজ তেমন কিছুই করেনি। এগুলো সবই দরকার আছে একটা দেশের জন্য আর এই উপাদান গুলো কাজ করে এক একটা মজবুত ইটের গাঁথুনির মতো। আমার কথা হল গবেষণা ও একটি দেশের একটি মজবুত ইটের মত।
সময় এসেছে এখন বিশ্বকে কিছু দেবার। সবাই এতদিন জানত আমারা শুধু নেই, বিশ্বকে তেমন কিছু দেই না (যদিও সত্যেন বোসের মত আরও বিজ্ঞানী ছিল)। ব্যাপারটা এ রকম মনে করুন কয়েকজন মিলে একটা বনভোজন আয়োজন করা হল যেখানে যে যার যার মত করে কিছু দিচ্ছে কিন্তু সেখানে একজন কিছু দিচ্ছে না। তখন সবার মধ্যে একটা ধারনা হয় যে ঐ লোকটি অপরের কাজ থেকে শুধু নেয় দেয় না কিছুই। আমাদের অবস্থা ঠিক সেই রকম। এখন এই গবেষণার মাধ্যমে আমরা কিছু কিছু করে দিতে শুরু করেছি। এখান আমাদের শুরু মাত্র, আমাদের দেখালো কিভাবে গবেষণার পথে হাটতে হবে কিভাবে বিজ্ঞানে জগতে অবদান রাখতে হয়।
এই গবেষণার মাধ্যমে আমাদের গবেষণা করার সক্ষমতার প্রমাণ দিল। আমি কখনই বলছি না তারা অনেক অনেক বড় কিছু করে ফেলেছে কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য একটা গ্রাউন্ড করে দিল এখন সেখানে ইচ্ছে মত রং দিয়ে রাঙানো যাবে। সেই রাঙানো রোমানা পেইন্টের কোন রং দিয়ে নয় সেই রাঙ্গানো হবে আমাদের মেধা, গবেষণার সক্ষমতার রং দিয়ে। আমার যারা গবেষণায় নিয়োজিত আছি তারা জানি গবেষণায় ঘড়ির কাটা ধরে কোন সময় তালিকা নেই। আর সেই জিনিষটা গড়ে উঠেছে আমাদের ৩০ জন বাংলাদেশের গবেষকদের ভিতর , তাও আবার কোন সরকারি গবেষণার গবেষকদের! উনি আমাদের আরেকটা বার্তা দিয়েছেন যে ইচ্ছে থাকলে আমাদের সরকারি গবেষকদের দিয়ে গবেষণা হবে, দরকার ইচ্ছে আরে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা।
এই গবেষণার মাধ্যমে আরেকটি প্রমাণ হয়েছে আমাদের বর্তমান অবকাঠামোকে ব্যাবহার করেই বিশ্বমানের গবেষণা করা যায়। মাকসুদুল হক উনার তার প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য সাহায্য নিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের। এ ধারা এটাই প্রমাণ করে গবেষণার জন্য আমাদের দক্ষতা হচ্ছে এবং মাকসুদুল হকের পাটের জীবন রহস্যে গবেষানায় ও জাফর ইকবাল স্যারের নেতৃতে একদল তথ্য-প্রযুক্তিবিদ কাজ করেছে।
আরেকটি উধারণ দিয়ে বুঝে নিয়ে কেন আমাদের মত দরিদ্র দেশের গবেষণা বেশি বেশি প্রয়োজন। এখন কারও ডায়রিয়া হলে সবাই তিনটাকা দামের ওরালস্যালাইন খেয়ে নিতে পারি এবং প্রয়োজনীয় পানি ও লবণের ঘাটতি পূরণ করে যা আমাদের জীবনের জন্য অতি প্রয়োজন। তিন টাকা খরচ করে আমরা খুব সহজেই একটি স্যালাইন পেতে পারি। আর এটা সম্ভব হয়েছে আইসিডিডিআর’ বির বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের কারণে। যদি এটা আমাদের দেশে না আবিষ্কার না হত হয়তো এই স্যালাইনের দাম হত তিন টাকার জায়গায় ত্রিশ টাকা। কারণ হল এর পেটেন্ট (কেউ কিছু আবিষ্কার করলে সেটার মেধাস্বত্ব) কেনার জন্য ঔষধ কোম্পানি গুলোর অনেক খরচ করতে হত এবং তা পণ্যের দামের সাথে যুক্ত হত।
আমাদের দেশে দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার বিপরীতে খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। আর এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব এক মাত্র দ্রুত উৎপাদনশীল ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে। এই উৎপাদনশীল ফসল উৎপাদনের জন্য উচ্চ ফলনশীল জাত প্রয়োজন ,আর সেটা গবেষণার মাধ্যমে আমদেরই আবিষ্কার করতে হবে কারণ অন্য দেশ থেকে আমদানি করা জাত আমাদের আবহাওয়াতে যথেষ্ট কার্যকর হয় না হলে ও সেটা ব্যয় সাপেক্ষ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এই পর্যন্ত প্রায় ৬১টি উচ্চ-ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে এবং গত ৪০ বছরে আমাদের ধানের উৎপাদন তিন গুণ বেড়েছে।
যেখানে তৃতীয় বিশ্ব গুলোও এখন গবেষণার দিকে ঝুকছে সেখানে আমরা কেন পিছিয়ে থাকব? একটা সময় দেশটি উচ্চ ফলনশীল বীজ আমদানি করত চীন থেকে এখন তারা নিজেরাই উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ উৎপাদন শুরু করে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশ হয়ে ও ভিয়েতনাম তাদের গবেষণা আমাদের থেকে প্রায় ২০ বছর আগে শুরু করেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যেখানে এখন ও পুঁথিগত শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ সেখানে তারা গবেষণার দিকে ঝুকছে
এখন যত কথা বললাম সে তখনই বাস্তবায়ন সম্ভব যখন গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকে কিন্তু আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে কি করে এত টাকা যোগান দেয়া সম্ভব? আমি এখানে কিছু ধারনা দিব এই গুলোর সাথে আপনার মতামত ভিন্ন হতে পারে।
১। ইন্ডাষ্টি একাডেমী কোঅপারেশন মাধ্যমে আমরা গবেষণার ব্যবস্থা করতে পারি। যেখানে শিল্পকারখানা গুলো প্রয়োজনীয় গবেষণা অর্থ দিবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এর বিপরীতে শিল্পকারখানা গুলো গবেষণার বেনেফেশিয়াল শেয়ার পাবে। এবং সেই সাথে শিল্পকারখানার উন্নতি সাধনে সেই গবেষণার ফলাফল ব্যাবহার করতে পারবে। যেমন ধরা যাক “ক” শিল্পপ্রতিষ্টান “খ” বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা দিল ক্যানসার ঔষধ আবিষ্কার গবেষণায়। যদি “খ” বিশ্ববিদ্যালয় ক্যানসার ঔষধ আবিষ্কার করতে পারে তাহলে ঐ শিল্পপ্রতিষ্টান সেই বিনা খরচে ঐ ক্যানসারের ঔষধ তৈরির স্বত্ব পাবে।
২। সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে একটি গবেষণা তহবিল গঠন করতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের সব বড় প্রতিষ্ঠান প্রতি বছর নূনতম পরিমাণ অর্থ জমা দিবে গবেষণার জন্য। সেখান থেকে সরকার সেই অর্থ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দ দিবে। যদি প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের বিজ্ঞাপনের বাজেট কিছুটা কমিয়ে বরাদ্দ দেয় তাহলেও সেই পরিমাণটা অনেক হবে আমার আশা।
৩। অথবা সব শিল্পপ্রতিষ্টান গুলো একত্রে মিলে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দিতে পারে সেখানে তারাই সব ধরনের সুবিধা নিবে সেখান থেকে এবং সব ধরনের সিদ্ধান্ত গুলো তারায় নিজেরাই নিবে। যেমন:- সব ঔষধ শিল্পপ্রতিষ্টান একত্রে মিলে একটি ফার্মাকোলজি ইন্সটিটিউট দিতে পারে । আর সেখান থেকে আসা সব ধরনের গবেষণা ফলাফল তারা নিজেদের শিল্পপ্রতিষ্টান ব্যাবহার করতে পারবে।
আমার লেখাটা শেষ করতে চাই বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে। তাদের গবেষণার ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপ আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজি স্থাপন করেছে এবং মেডিকেল বায়োটেকনোলজি ইন্সটিটিউট এবং ন্যানো-বায়োটেকনোলজি ইন্সটিটিউট মত গবেষণা প্রতিষ্ঠান জন্য কাজ করছে। দেরীতে হলেও আমদের সরকারের বোধ উদয়কে স্বাগত জানাই। আর একটা অনুরোধ এই সব গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যেন ঠিক জায়গায় ঠিক মানুষটাকে দেয়া হয় এবং কোন ধরনের আমলা ত্রান্তনিক জটিলতার মধ্যে না পরে কাজ গুলো যেন সুস্থ ভাবে হয়। গবেষণা হোক উন্নতির ও মানুষের কল্যানের জন্য।
বিশ্বজিৎ পোদ্দার
সুনচুনইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়
দক্ষিন কোরিয়া
মন্তব্য
গবেষণার কোন বিকল্প নেই। প্যাকেজ প্রযুক্তি কিনে আনলেও তাকে লাগসই করার জন্য গবেষণা লাগে। প্রযুক্তি টেকসই করার জন্য গবেষণা ছাড়া উপায় নেই। স্থানিক পর্যায়ে অধিকতর প্রয়োজনীয় বিষয়ে নিজেরা গবেষণা না করলে অন্য কেউ সেটা করে দেবে না। গবেষণার কী দরকার সেটা রাজনীতিবিদদের কতো জনকে বোঝানো যাবে সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। আর সর্বজ্ঞানে আলোকিত আমলা স্যারদেরকে বোঝানো নিয়ে আরও সন্দেহ আছ। আমাদের দেশে গবেষণা খাত সর্বকালে কম গুরুত্ব পেয়েছে, পরিবেশ কখনোই গবেষণাবান্ধব নয়। রাতারাতি এই অবস্থার পরিবর্তন হয়ে যাবে বলে মনে করি না। আমাকে হতাশাবাদী বলে বকাবকি করতে পারেন। তবে অনেক দুঃখ থেকেই এমন কথা বলছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ষষ্ঠ পাণ্ডব , আমি আপনার সাথে একমত ।।।। ধন্যবাদ আপনাকে।।।।।।।
স্কয়ার, বারডেম, ইউনাইটেড হসপিটাল গুলোর মত দেশের অনেক হসপিটালে যেখানে সকল রোগীদের একটা ড্যাটাবেইস থাকছে, প্রত্যেকটি রোগীকে একটি কোডের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যাচ্ছে। রোগীর অসুখের বৃত্তান্ত জানা যাচ্ছে। সেখানে অনেক রকমের এপিডেমিওলজিকাল গবেষণার সুযোগ আছে। এসব গবেষণার জন্য সব সময় বিশাল অংকের টাকাও দরকার হয় না। দরকার ড্যাটাবেইস ব্যাবহার করার অনুমতি ইনটেলিজেন্ট মাইন্ড আর এপ্রিসিয়েশান।
এ ধরনের গবেষণায় বিশ্বকে চমকে দেয়ার মত অনেক ইন্টারেস্টিং ফাইন্ডিংস থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।
খুব ভাল বলেছেন। এখন কিছু কিছু হচ্ছে আমার জানা মতে ।
আমাদের শিখন পদ্ধতিইতো গবেষনা বান্ধব না, সেখানে মৌলিক গবেষনার প্রশ্নই ওঠেনা । ঝামেলা হবে বলে এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা শিক্ষার্থীদের কপিপেষ্ট বিদ্যা শিখায় দেয় । আর শিক্ষার্থীটি আজীবনের জন্য গবেষনাবিমুখ হয়ে থাকে ।
ফুল ভলিউম
সেই পরিবর্তন গুলো আসা দরকার।
এই নিয়ে একটা লম্বা লেখা লিখব ভাবছি দীর্ঘদিন, লেখা হচ্ছে না। লেখা ভালো হয়েছে বিশ্ব।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাইয়া লিখে ফেলেন । গোগ্রাসে গিলে ফেলার অপেক্ষায় থাকলাম। আমিতো এখানে তেমন ভাল কিছুই বলতে পারি নি।
ধন্যবাদ লেখার প্রশংসা ক্রার জন্য
এক্ষেত্রে আমার একটা কথা মনে পড়ল, আশির দশকে সিঙ্গাপুরে যখন বৈদেশিক কোম্পানী গুলা বিনিয়োগ করতে চাইল, তখন সে দেশের সরকার বিনিয়োগকারীদের ২টা শর্ত দিয়েছিল, এক. দেশের শেয়ার মার্কেটে শেয়ার ছাড়তে হবে, দুই. দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে গবেষণা খাতে লগ্নি করতে হবে -- আমাদের দেশেও এখন কিছু কিছু শুরু হয়েছে, যেমন স্যামসাং/ওয়াল্টন দেশে আর.এন.ডি. চালু করেছে তবে তারা এখনো একাডেমিয়াতে আসে নাই।
দরকারী লেখা।
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লিখেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
হায় গবেষণা!
আমাদের পাশের দেশ ভারতের দিকে তাকালে আপসোস হয়। ওরা এখন গবেষণাকে কত গুরুত্ব দিচ্ছে-কত এগিয়ে যাচ্ছে, বাইরের সবাই দেশে ফিরে যেতে পারছে! আর আমরা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আমি ও সপ্ন দেখি একদিন আমাদের গবেষকরা দেশে ফিরে যাবে, আর ও সেটার জন্য রাষ্ট্রের উচিত এখনি গবেষণার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা।
গুরুত্বপূর্ণ লেখা
আজকেই আমার ইউনিভার্সিটিতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পিএইচডি করতে আসা বুয়েটের এক ছোট ভাই এর সাথে এই বিষয় টা নিয়ে কথা বলতেছিলাম, যে দক্ষিণ কোরিয়ার না আছে খনিজ সম্পদ না আছে বিশাল ম্যানপাওয়ার কিন্তু ওরা আজ কোথায় চলে গেছে শুধু মাত্র কঠোর পরিশ্রম আর গবেষণার দিয়ে। আর আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলার ছাত্রদের তাদের ছাত্রজীবনের বিশাল একটা অংশ চলে যায় ছাত্র রাজনীতির যাঁতাকলে। আমরা গবেষণা করব কখন? আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলা এখন শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ-ই তো আর নাই। এই অবস্থায় কোন কোম্পানি, গবেষণার জন্য ইউনিভার্সিটিগুলাতে টাকা লগ্নি করতে চাইবে ??
সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ
এই গবেষণার মাধ্যমে আমাদের গবেষণা করার সক্ষমতার প্রমাণ দিল। আমি কখনই বলছি না তারা অনেক অনেক বড় কিছু করে ফেলেছে কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য একটা গ্রাউন্ড করে দিল এখন সেখানে ইচ্ছে মত রং দিয়ে রাঙানো যাবে। সেই রাঙানো রোমানা পেইন্টের কোন রং দিয়ে নয় সেই রাঙ্গানো হবে আমাদের মেধা, গবেষণার সক্ষমতার রং দিয়ে।
#কিছু দুর্দান্ত মানুষ আবারো প্রমান করে দিয়েছে তাদের মেধার স্ফূরণ অবশ্য নিয়মিতভাবেই মেধার ঝলক দেখা যায় এদেশের মানুষদের মধ্য থেকে কিন্তু সেসকল মেধাকে লালন করার মতো লোক খুব কম আমাদের দেশে, সেরকম স্বীকৃতি চারপাশ থেকে, কিছুদিন সবস্থানে আলোচিত হয় কিছুদিন তারপর ছত্রাক রহস্যের মতোই রহস্য থেকে যায় তাদের খবরাখবর, নিয়মিতভাবে এ সকল হিরোদের খোঁজখবর চাই সচলায়তনে।
#আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য, ভাল থাকুন সবসময়
আশরাফুল কবীর
বাইরে পড়তে যাবার আগে ভাবতাম (এবং এমন ধারনা দেয়া হতো) যে ফান্ডের অভাব, তাই গবেষনা করার কঠিন পথে না যাওয়াই শ্রেয়। এখন মনে হচ্ছে অন্য ব্যাপার। যেমন একটা উদাহরন দেই। ইঞ্জিনিয়ারিং আন্ডার গ্রেজুয়েট প্রোগ্রামের শেষ বছর আমরা যে প্রযেক্ট (মূলত তখনই গবেষনার হাতেখড়ি হবার কথা) করি সেখানে দেশেই পাওয়া যায় এমন যন্ত্রপাতি দিয়ে অনেক ভাল প্রযেক্ট করা সম্ভব। সেগুলো দামও কিন্তু বেশি না। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছাত্র/ছাত্রী অথবা/এবং শিক্ষকদের অনাগ্রহের কারনে সবাই নাম সর্বস্ব একটা রিপোর্ট জমা দেয়। যার বেশির ভাগই কপি করা জিনিশ। এখানে কেউ কষ্ট রাজি না। সবাই সর্টকাট খুঁজে। এটা খুবই দুঃখ জনক।
এমন লেখা আরো আসুক
নতুন মন্তব্য করুন