ইটালির বোলোনিয়া (ইংরেজিতে বোলোগনা) শহরে রয়েছি বছর চারেক হল।এটি ইটালির অন্যতম বৃহৎ শিল্পনগরী ও প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ইউরোপের সবচাইতে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের(১০৮৮) জন্মস্থান।মোজার্ট যেখানে সঙ্গীত শিক্ষার জন্যে এসেছিলেন,মার্কোনি যেখানে রেডিও আবিষ্কার করেছেন,লুইজি গ্যালভানি যেখানে তাঁর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন,যে শহরের সসেজের দুনিয়াজোড়া সুনাম, ঝড়-বৃষ্টি-বাদল থেকে রক্ষার জন্য যে শহরে রয়েছে ৪০ কিমি দীর্ঘ আর্কেড,মহাকবি দান্তে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন,যেখানে ভাষাবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক উমবের্তো একো অধ্যাপনা করছেন,আসুন তারই কিছু ছবি দেখা যাক।
ক।বোলোনিয়া শহরের কেন্দ্রে সাগর দেবতা নেপচুন।
খ।ফিবছর চকলেট উৎসব হয় এ শহরে।গোটা দেশের সমস্ত চকলেট নির্মাতারা আসেন তাঁদের সওদা নিয়।তাঁরই এক বিচিত্র নমুনা।
গ।গাছের গায়ে পেন্সিল স্কেচ। বোলোনিয়ার বোটানিকাল গার্ডেন। জন্ম ১৫৬৮।
ঘ।বোলোনিয়াকে লাল নগরী বলা হয়।সেটি দীর্ঘদিনের বামপন্থী শাসন নাকি ক্যাথলিক চার্চের সংখাধিক্যের কারণে,বলা কঠিণ।
ঙ।বোলোনিয়া শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্যুভেনির।যিশু মৃত্যু শয্যায়,তাঁকে দেখতে ছুটে এসেছেন পাড়া পড়শি। তাঁদের চোখে মুখে আতঙ্ক, বেদনা, প্রার্থনা।এই শিল্পকর্মের চিকিৎসা জগতেও ব্যাপক গুরুত্ব আছে বলে শুনেছি।
চ।বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভবন।এখানে হিউম্যান এ্যানাটমির ক্লাস হত।এখন এটি যাদুঘর।
ছ।ক্যাথলিক নগরীতে বড়দিনের জমজমাট প্রস্তুতি।
জ।সারা বছর নানান ধরনের মেলার আয়োজন লেগেই থাকে যার বেশীরভাগেরই অংশগ্রহণকারী এখানকার শিক্ষার্থীগণ।
ঝ।গুইদো রেনি এ শহরের সবচাইতে বিখ্যাত বারোক অঙ্কনশিল্পি। তারই একটি ছবি যেটি প্যারিসের ল্যুভর যাদুঘরেও স্থান পেয়েছে।
ঞ।এই পিয়ানোতে মোজার্ট বাজিয়েছিলেন,একটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য।
ট।বোলোনিয়ার একটি গতানুগতিক সুধাপানের আসর।
ঠ।দেয়াল আলো করা বোলোনিয়া খাবারের মেনু।
ঢ।রবিবাসরীয় সঙ্গীতে জমজমাট নগরী।
থ।গীর্জার ভেতরে অপূর্ব স্থাপত্যকলা।
ধ।প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের প্রবেশদ্বার।
-মনি শামিম
মন্তব্য
দারুণ সব ছবি!! সচলে স্বাগতম।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ধন্যবাদ সুমাদ্রী,প্রথম রচনা ব্লগে,একটু লজ্বাপীড়িত অবস্থায় আছি।
শহরের আরো কিছু বর্ণনা লেখনীতে আসলে আরো সুস্বাদু হত কিন্তু
মনে থাকবে।ধন্যবাদ।সামনেরবার ঝুড়িভরা বর্ণনা নিয়ে হাজির হতে চাই।
দারুণ দারুণ মণি ভাই!
এর পরে সাথে সাথে মন্তব্যও দিয়েন কিন্তু! আর বাংলায় ক্রমিক দিলে অক্ষরের পরের পারলে ব্রাকেট দিয়েন, দাড়ি দিয়ে মিলেমিশে যাচ্ছে
ইতালির অন্যান্য শহর এবং রাজশাহী নিয়ে পোস্টের অপেক্ষায়।
facebook
মন্তব্য দিব কি,আমি তো ভাবলাম লেখার যে হাল,এ মাল সচলায়তনে আসবেনা।আর তুই দেখিয়ে না দিলে তো ছবিই যুক্ত করতে পারতামনা!
লেন লিয়ে লেন!
facebook
চমৎকার সব ছবি। ছোট ছোট কথা আর হরেক রকম ছবিতে অনেক কথায় বলে গেলেন। ২ নং ছবিতে যা দেখা যায় তা কি চকলেট ? কেমন যেন নাট বল্টু তাইপের
ঠিক ধরেছেন।চকোলেট।এ উৎসবে চকোলেটের তৈরী ক্যামেরা,জুতো,ব্যাগ-সব পাবেন।
নাট বল্টু যে খাওয়া যায় সেটা আজ জনলাম। আমার সবচেয়ে পছচ্দ হইছে নাট বল্টু চকলেট
"মৃত্যু শয্যায় যীশু" এটা কি ভাস্কর্য? "গাছের গায়ে পেন্সিল স্কেচ" দেখে অদ্ভুত লাগলো। এতো বছর পরও কি আশ্চর্য জীবন্ত!! ছবিগুলো খুব ভালো এসেছে। বর্ণনা আরেকটু বেশী থাকলে আরো ভালো লাগতো।
ফারাসাত
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।প্রথম রচনা তো তাই ছবি দিয়ে কাজ সারতে চাইলাম,বেশী বর্ণনা দিলে যদি হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে যায়!
-মনি শামিম
ঠিক ধরেছেন।এটি ভাষ্কর্যই বটে।শুনেছি যে কটি বস্তু শহর বোলোনিয়াকে মনের মাঝে স্থাপন করে,এটি তার মাঝে অন্যতম।আর প্রথম রচনা হিসেবে ছবি দিলাম বেশী,বর্ণনা দিতে গিয়ে যদি হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গে
-মনি শামিম
চমৎকার ছবি। আর সবচেয়ে লোভনীয় হল চকোলেটের ছবিটা
চকোলেটের আরও ছবি আছে।সানগ্লাস,ক্যামেরা,হাতি,ঘোড়া,ক্যামেরা,জুতো-কোনটা চান,সব আছে!
-মনি শামিম
এইরকম ছবিওয়ালা পোস্ট ঘনঘন না দিলে কৈলাম এইদিক থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করা হবে।
একটা কৌতূহল-
চিকিৎসা জগতে গুরুত্বের কথা একটু যদি বুঝিয়ে বলেন।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বছর তিনেক আগে এই ভাস্কর্যের সাথে প্রথম দর্শন।এই ভাস্কর্যটি প্রথমে একটি হাসপাতালে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত থাকার পর বর্তমান গীর্জায় স্থান পায়। মৃত্যু অব্যাবহতির পূর্বেপরে মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যাক্তিকে ঘিরে যে হতাশা,ঔৎসুক্য,আতংক দর্শনার্থীদের মনোজগতে ছড়িয়ে পড়ে তারই একটি প্রামান্যরূপ শিক্ষার্থীদের দেখানো হত এর মাধ্যমে।বলা হয় এমন মনোজাগতিক ভাবাবেগ সমৃদ্ধ ভাস্কর্য এই প্রথম।এতটুকুই জানতে পেরেছি গীর্জায় নির্দেশিত বর্ণনা থেকে।এমন ছবি ওয়ালা পোস্ট আরও দেবো,তবে কিনা আনাড়ী হাতে লেখা তো, আত্মবিশ্বাসে খানিক ঘাটতি টের পাই। ধন্যবাদ উৎসাহটুকুর জন্য।
পাঠক হিসেবে তো দীর্ঘদিন ধরেই সাথে আছেন মনি ভাই, লিখিয়ে হিসেবে সচলায়তনে স্বাগতম! আপনার তোলা ছবি ভালো লাগে, এবার সচলায়তনের পাতায় ছবির আড়ালের কিছু টুকরো টুকরো গল্পও চাই সামনে...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
যাযাবর,আরও কিছু রচনা ছড়ানো ছেটানো আছে,আরেকটু শান দিয়ে নামাতে হবে।ছবি যুক্ত করা নিয়ে ঝামেলায় ছিলাম। অবশেষে অনু মুশকিল আসান করল।
-মনি শামিম
মনি ভাই সামনের বছর ফেস্টিভাল কবে? নাটবল্টু আর ক্যাম্রা খাইতে আসুম
প্রতি বছরের নভেম্বর মাসের ২য় সপ্তাহজুড়ে চলে এই চকলেট উৎসব।চলে আসুন
সামনে নভেম্বরে লিয়ে লিব নাখি? কি বুলছেন?
facebook
লে,তখন আমি থাকব নাখি বে মামুর বেটা,আমি তো আগস্টেই ফুড়ুৎ,তোর এখানে আসার অন্য বন্দোবস্ত করে লিব,দাঁড়া।
-মনি শামিম
এবারতো হল না, সামনের বছর
আলবৎ সামনের বছর।তবে কিনা আমি নিজেই সামনের বছর আর রইবোনা এখানে,তবে কুচ পরোয়া নেহি,যোগাযোগ রাখুন।শুধু চকলেট কেন,এখানে শিশু বইমেলা হয়,ওয়াইন মেলা হয়।মেলাময় বোলোনিয়া :)।ইটালি বেড়ানোর পরিকল্পনা থাকলে বোলোনিয়ার বিকল্প নেই।এখানে থেকে অন্য শহরগুলোতো আরামে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।এটা একটা ট্রেন জংশন নগরী,আমাদের ঈশ্বরদীর মতোন।এখান থেকে সব বড়ো নগরীর যোগাযোগ ব্যাবস্থা খুবই ভাল,নিকটতর ও স্বল্প মূল্যের।
-মনি শামিম
ছবিগুলি দুর্দান্ত লাগলো। আমি মাঝে মধ্যে ফটোগ্রাফির বই পেলে একটু নেড়ে চেড়ে দেখি। অতো নিয়ম কানুন শিখে উঠতে পারি না, দেখি মূলত ভালো ছবি দেখার লোভে। আপনার কয়েকটা ছবি, একদম সেই বইয়ের ছবির মতো লাগলো। বিশেষ করে, শেষের থেকে পাঁচ নম্বর ছবিটা- কম্পোজিশনের ক্ষেত্রে জ্যামিতিক শেপ এবং তার পজিশনিং বোঝানোর জন্য এমন একটা ছবি উদাহরণ হিসেবে কোন একটা বইয়ে ব্যবহার করেছিলো। সেই বিদ্যার এতো চমৎকার অ্যাপ্লিকেশন দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম !
আরো লেখা এবং ছবি আশা করি আপনার থেকে
অলমিতি বিস্তারেণ
ছবি তুলি মূলতঃ ইচ্ছে আর আগ্রহ থেকে,তেমন কেউকেটা গোছের কিছু নই তবে ভালো শিক্ষার্থী বটে।এই ডিজিটাল যুগেও ছবি তোলার হাতেখড়ি হয়েছিল ম্যানুয়াল ক্যামেরায়।আপনি যে শেপ,এ্যাঙ্গেল-এসবের কথা বলছেন তার জন্য ম্যানুয়াল ক্যামেরার সামান্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।সতর্ক কম্পোজিশন ম্যানুয়াল থেকেই শেখা।তারপরে ডিজিটালে উত্তরণ।আপনাদের ভালো লেগেছে,তাতেই আমার শান্তি।ছবি তোলার কারবারটা একটা দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার।হঠাৎ করে তা হবার নয়,লেগে থাকতে হয়।যেহেতু শিখছি তাই লেগে আছি।আপাততঃ আলোর গতিপ্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছি।কঠিণ মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ পুনরায়।
খুবই সুন্দর!
এত এই মনি(মুক্তা) কোথায় লুকিয়ে ছিল? ভাই, বেশ অনেকদিন ধরে আমিও বোলোনিয়া শহরে আছি। মুক্তমনায় হাতেখড়ি হয়েছে; সচলে এখনও সচল হয়নি। আমার গিন্নী অবশ্য নিয়মিত পাঠক, ওর মারফত খবরটি পেলাম তাই মন্তব্য করতে পারলাম।
আমার সেল নাম্বারঃ-৩৪৭৮৪২৫৯৮২। সম্ভব হলে আপনার নাম্বারটা দিয়েন বা যোগাযোগ করলে কৃতার্থ হবো।
সচলে অতিথি লেখক হিসেবে লিখতে পারেন আর ফ্লিকারে ছবি আপ করে এম্বেড করে দিতে পারেন সগজেই।
বোলোনিয়া নিয়ে লেখা/ছবি আশা করছি আপনার কাছ থেকে
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নাম্বারটা টুকে নিলাম।যোগাযোগ থাকবে।বাড়ির পাশেই আছেন অথচ কী আশ্চর্য দেখুন,সাক্ষাৎ হয়নি এখনও।সচলায়তনকে ধন্যবাদ।আপনি বোলোনিয়ার ছবি দেননি কেন আগে?
-মনি শামিম
দুর্দান্ত একটা পোস্ট হয়েছে মনি ভাই। ছবিগুলো একেবারে ঝকঝক করছে।
আমার প্রিয় ছবিগুলো:
ক।বোলোনিয়া শহরের কেন্দ্রে সাগর দেবতা নেপচুন (কম্পোজিসানটা দারুণ, বিশেষ করে প্রাসাদের তীর্যক রেখাটা গতানুগতিক ছবি থেকে আলাদা)
ঘ।বোলোনিয়াকে লাল নগরী বলা হয় (এই ছবিটার গাঢ় রংটুকু দুর্দান্ত এসেছে)
ছ।ক্যাথলিক নগরীতে বড়দিনের জমজমাট প্রস্তুতি (দৃশ্যটাই সুন্দর, তবে নিচের দিকে এতটা ক্রপ না করলেও পারতেন)
ত।প্রাচীন ভবনে রঙের মেলা। (আলোর সাথে দেওয়ালের রং, তার উপরে নীল আকাশ আর জ্যামিতির ব্যবহার - সব মিলিয়ে এই ছবিটা অনেকদিন মনে থাকবে)
দ।সাগর দেবতা পুনশ্চ। (বেশ পরিষ্কার ফ্রেম, অল্প দুইটা এলিমেন্ট - চমৎকার)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম ভাই,আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম।ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে জবাব দিচ্ছি।ক্রপ ট্রপ করিনিতো।যখন তুলেছি,জানতামইনা এসব।একটা ম্যানুয়াল লেন্স(নিকন ৮৫ এফ ২)দিয়ে তোলা।ফাহিম ভাই,গ্রীষ্মে শেষ বিকেলের আলোতে তো এখানে দেখি প্রাচীন ভবনগুলি দিনের অন্য সময়ের তুলনায় ভিন্ন রঙ ধারণ করে।রঙ আরও উজ্বল ও গাঢ় হয়ে ওঠে।তো সেটাকে ধরার সচেষ্ট একটা আয়োজন থাকেই।আর কম্পোজিশনটা ধীরে ধীরে শিখছি।যা শিখছি,ভুলছিনা,এটাই আশার কথা।আমার কিন্তু ভবনের ছবি অনেক আছে।আরও পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে সচলায়তনে,যদি তাঁরা প্রকাশের যোগ্য মনে করেন।এবার বর্ণনা অনেক কম হয়েছে,বলছেন অনেকে।সামনে আরও বর্ণনা নিয়ে হাজির হতে চাই।
-মনি শামিম
-মনি শামিম
চমৎকার বর্ণনামুলক পোস্ট, ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
তুহিন সরকার
বর্ণনা একটু কম হয়েছে বলেছেন যে অনেকে
-মনি শামিম
স্বাগতম। দারুণ পোস্ট।
দুর্দান্ত!!! কোপাকোপি- ফাডাইলাইছেন... থামলে কইলাম খপর হইয়ে যাইবে...
থামার পরিকল্পনা নেই,একবার শুরু হল যখন।আপনাদের ভালো লাগছে বলে উৎসাহ পাচ্ছি ব্যাপক
-মনি শামিম
বোলোনিয়া চোখের সামনে আবার খুলে গেল । চোখ ধাঁধানো ছবি, মন মাতানো শহর!
আর যে শহরে গরীবের দুয়ারে আপনার পদধূলি পড়েছিল,আর যে শহরে আমরা গেয়ে উঠেছিলাম
-মনি শামিম
ধন্যবাদ ।
শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।
-মনি শামিম
যাক্, শামিম তাহলে এলো ! এসেই তো বাজিমাৎ !! হা হা হা !
সচলে সক্রিয় যাত্রায় স্বাগত শামিম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঈষৎ লজ্বিত ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় আছি রণদা।আপনাদের ক্রমাগত উৎসাহ আর অনুপ্রেরণার ফসল ফললো অবশেষে।অশেষ ধন্যবাদ।
-মনি শামিম
বোলোনিয়ার বামপন্থী শাসন নিয়ে কিছু জানতে পারলে ভাল লাগত। লেখা ও ছবি চমৎকার হয়েছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টানা ৫৪ বছর এই শহর প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন বামপন্থীরা, ছিল তাঁদের বিপুল জনপ্রিয়তা।এ শহরের জনসেবার ব্যাপক পরিধি এবং তাঁর সুশৃঙ্খল পরিচালনার সিংহভাগ কৃতিত্ব দেয়া হয় এই প্রশাসনকে।ষাট ও সত্তর দশকে এই বামপন্থী প্রশাসন অসাধারণ একটি রেস্টোরেশন প্রজেক্ট হাতে নেয় যাঁর মাধ্যমে শহরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রকে তাঁরা রিয়েল এস্টেটের খপ্পর থেকে মুক্তি দেয় ও পুরণো সব আধাভাঙ্গা ভবনগুলিকে মেরামত করে এর ঐতিহাসিক প্রাচীন রূপটিকে নবায়ন করে। তাঁদের এই অবদান এখনও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে ঐতিহাসিকভাবেই বোলোনিয়া শহর ইটালিতে বামপন্থীদের ঘাঁটিরূপে বিবেচ্য এবং তারাই এখন ক্ষমতায়।
-মনি শামিম
চমৎকার পোস্ট!! সচলে স্বাগতম!!
-মনি শামিম
নতুন করে আর কি লিখবো। আশাকরি সামনে আরো চমক দেখাবি।
তবে আপনি কে জনাব?চিনলাম নাতো?তুই তোকারি করছেন যখন,আমাদের রুবেল নাখি?আর সামনে চমকের পরিবর্তে হতাশ হলে?কিলাবেন নাতো?
-মনি শামিম
আপনার ছবির হাত তো খাসা!
আপনার লেখার তো ভক্ত আমি দাদা।অণুর কাছ থেকে আপনার গল্প শুনলাম,লন্ডনি গল্প।ভালো থাকুন।
আপনি আমাকে এখন চিনবেন না তা আমি বেশ বুজতে পারছি। দেশ এ আসলে কিলাতেও পারি। পিঠে দু'ঘা পরলে আমি কে সব মনে পরে যাবে এ আমি হলফ করে বলতে পারি দাদা।
নতুন মন্তব্য করুন