টুসটাস করে কি যেন ফুটছে। আরে সাথে একটা গান চলছে ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালা দিয়ে এক টুকরো রোদ এসে পড়ছে গায়ে। শীতের সকালের রোদ। তাকিয়ে দেখি আমার ছোট ভাই কোত্থেকে যেন সাইকেলের চাকা মোড়ানো থাকে যেই ছোট ছোট ফোটকাওয়ালা প্লাস্টিক দিয়ে, সেটা নিয়ে ফোটাচ্ছে আর সুর করে পড়ছে, ‘পাল যুগে এ এ এ...পাল যুগে এ এ এ’। আমি ডাক দিলাম, ‘নিষাদ, কি করছ!’ সাথে সাথে ভদ্র মানুষের মত প্লাস্টিক ছুড়ে ফেলে মনোযোগ দিয়ে পড়তে লাগল, পাল যুগের সমাজ জীবন। ‘আম্মুকে একটু ডাক দাও তো’। বলার সাথে সাথে তার চিৎকার, ‘আম্মু!ভাইয়া উঠেছে!’ ‘এই!এতো জোরে চেঁচাতে হয়!আস্তে চেঁচাতে পারো না!’ আম্মু রান্নাঘর থেকে কাজ ফেলে ছুটে চলে এলেন।
‘কিরে বাবা!খারাপ লাগছে!’
‘আরে নাহ! আমি ডাকলেই তোমার মনে হয় আমি মরে যাচ্ছি!’ আমি হেসে বলি।
‘একদম বাজে কথা বলবি না! উঠবি?’
‘হু, টয়লেটে যাব’।
আম্মু আমাকে ধরে ওঠান, ব্রাশ করান, টয়লেটে নিয়ে যান আবার বিছানায় এনে শুইয়ে দেন।
‘দাঁড়া আমি তোর জন্যে নাস্তা নিয়ে আসছি’ বলে আমার কপালে একটা চুমু দেন। নিষাদের হাতে প্লাস্টিক টা দেখেই বলেন, ‘এই!এটা কোত্থেকে কুড়িয়ে এনেছিস! ছিঃ!ফেল, এক্ষুনি ফেল!’ নিষাদও প্লাস্টিক টা ফেলে দিয়ে আহ্লাদি করে বলে ‘আম্মু, আমাকেও একটা চুমু দিয়ে যাও!’ আম্মু হেসে ফেলেন, ‘শখ কত!’ বলে তার কপালেও একটা চুমু দিয়ে আমার জন্যে নাস্তা আনতে চলে যান।
নাস্তা খাবার পর আমি কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে বই পড়ি। দুপুর বেলা আম্মু আমাকে গোসল করিয়ে খাইয়ে দিয়ে যান। এরপর ঘন্টা দেড়েক ঘুমাই, জাগার পর আম্মু এক কাপ চা করে দেন। এরপর কিছুক্ষণ বই পড়ি আবার। বিকেল বেলা আম্মু জোরাজুরি করে আমাকে বাইরে নিয়ে যান। আমি কখনই যেতে চাই না, আমাকে দেখে মানুষের আহা উহু শুনতে আমার কখনই ভালো লাগেনা। তাছাড়া দোতালা থেকে হুইল চেয়ারটা নামানোও অনেক কষ্টের। তাও আম্মু আমাকে নিয়ে যাবেনই।
সন্ধ্যায় বাসায় এনে চা নাস্তা দেবেন। এরপর আবার বই পড়তে শুরু করি। আব্বু বাসায় ফেরেন সাত টার দিকে। প্রতি সপ্তাহেই দু’তিনটে নতুন বই নিয়ে আসেন আমার জন্যে। এরপর আমার সাথে কিছুক্ষণ গল্প গুজব করেন। সাড়ে নয়টার দিকে আম্মু রাতের খাবার খাইয়ে দেন। এরপর আবার বই পড়তে শুরু করি টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে। কখনো কখনো ল্যাম্প জ্বালিয়েই ঘুমিয়ে পড়ি।
মোটামুটি এভাবেই চলছে আমার জীবন গত তিনটে বছর ধরে।
আমার এক বন্ধুর ছোট থাকতে খুব ইচ্ছে ছিল সে একটা নদী কিনবে। নদী কিনে সে নদীর বালুবিক্রি করেই বড়লোক হয়ে যাবে। তার বড়লোক হবার অনেক শখ ছিল কারণ সে নাকি তার বড়দার কাছ শুনেছিল বড়লোক না হলে নাকি সুন্দরী বউ পাওয়া যায় না। আমারো ছোট থাকতে অনেক ইচ্ছে ছিল। সে ইচ্ছে ট্রাক ড্রাইভার হওয়া থেকে শুরু করে নোবেল পাওয়া, এমনকি নবী হওয়া পর্যন্ত পৌছেছিল। তবে নবী হওয়ার ইচ্ছেটা পরে বাদ দিয়েছিলাম, কারণ ধর্ম অনুযায়ী এখনকার নবী নাকি সব ভন্ড নবী। একটু বড় হওয়ার সাথে সাথে স্বপ্ন গুলোও পরিবর্তিত হতে শুরু করে, তবে সেগুলো যে লজিক্যাল হয় তা না। কলেজে থাকতেও আমার একটা স্বপ্ন ছিল আমি একা একটা চিলে কোঠায় থাকব। রুম ভর্তি মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত খালি বই আর বই থাকবে। একটা পিসি থাকবে আর রাজ্যের সব মুভি আর গান থাকবে তাতে। রুমে একটা ফ্রীজ থাকবে আর ফ্রীজ ভর্তি আইস্ক্রীম আর কোক থাকবে। আর আমি যখন যেটা খেতে চাব সেটাই আমাকে দেয়া হবে। আমি সারা জীবন রুমেই পার করে দিব। মাঝে মাঝে শুধু জানালা দিয়ে আকাশটা দেখব।
সৃষ্টিকর্তা মনে হয় আমার সাথে এই প্র্যাক্টিক্যাল জোকটা করেছেন। আমাকে পঙ্গু করে ঘরে বসিয়ে রেখেছেন। অল্প একটু এদিক সেদিক ছাড়া আমি আমার স্বর্গেই বসবাস করছি এখন। কিন্তু স্বর্গও যে সবসময় ভালো লাগবেনা কে জানত! মাঝে মাঝে আমি চিন্তা করি, আমি তো ঝুল ঝাড়ার ঝাড়ুর আগায় বসে হ্যারি পটারও হতে চেয়েছিলাম! হ্যারি পটার না বানিয়ে আমার এই স্বপ্নটাই কেন পূরণ করতে হবে! কে জানে, হয়ত হ্যারি পটার হলেও বেশি দিন ভালো লাগতনা।
আমার ছোট ভাই বোনের ধারণা আমি পৃথিবীর সব বই পড়ে শেষ করে ফেলছি। কয়দিন পরে আমাকে বই পড়তে দেয়ার জন্যে আব্বু আম্মুকে বই লিখতে বসতে হবে। এই সেদিন দেখি আমার ক্লাস ওয়ানে পড়ুয়া ছোট বোন নিশা কাঁদতে কাঁদতে স্কুল থেকে ফিরেছে। বাসায় এসেও কিছু বলে না কি হয়েছে, আম্মু আমি মিলে যতই জিজ্ঞাসা করি কি হয়েছে, কিছুতেই বলে না। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা গেল তাদের ক্লাসের এক মেয়ে নাকি তাকে বলেছে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যাক্তি হলেন আইনস্টাইন নামের একজন লোক, কিন্তু নিশা এটা কিছুতেই মানতে রাজি না! তার এক কথা, ‘আমার দাদার চেয়ে বেশি আর কেউ জানেনা’। ওই মেয়ে নাকি খেপে গিয়ে বলেছে, ‘তোর পঙ্গু দাদা তো কিছুই জানে না, সারাদিন ঘরে শুয়ে থাকে’। এ নিয়েই শুরু তাদের মধ্যে মারামারি। শুনে আমি হাসতে হাসতে শেষ। আমার বাবা মা ভাই বোনগুলো এত ভালো কেন!
এম্প্যাথি আর সিম্প্যাথি তে যে একটা পার্থক্য আছে সেটা মানুষ কখনই বুঝতে চায় না। তাই আমাদের দেশে আজ সিম্প্যাথি দেখানোর মানুষের অভাব নেই, কিন্তু এম্প্যাথি! এই বস্তু কি তা বুঝতে এখন ঢের সময় লাগবে। এটা শুধু তখনই মানুষ বোঝে যখন নিজের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঘটে। আমার দাদু যেমন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, তাই রাজাকার, জামাত শিবির দেখলেই আমাদের পরিবারের সবাই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। আমাদের পাশের বাসার এক আঙ্কেলই আছেন আবার, এমনিতে লোক ভালোই কিন্তু জামাতে হুজুর আছে বলে তাদের প্রতি দুর্বল। এখন নিজের পরিবারের কেউ মারা না গেলে কি এম্প্যাথি আসে? জাফর ইকবাল স্যারের দূঃখ আর আমার বাবার দূঃখ দেশের মানুষ কিভাবে বুঝবে? ঠিক একইরকম, দুই পা নিয়ে যারা হাটা চলা করছে তারা আমার মায়ের দূঃখ কিভাবে বুঝবে? একটু আহা উহুতেই তাই তারা পার করে দেয়।
ঘটনাটা যখন ঘটে আমি তখন ইউনিভার্সিটিতে। নতুন নতুন ভর্তি হয়েছি, রক্ত গরম। চে গুয়েভারা, মার্ক্স আর ক্যাস্ট্রো তখন আমার মনস্ত্বত্তে প্রচন্ড ঢেউ তুলেছে। তাই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ি আর সততা, নিষ্ঠা আর দেশপ্রেমের গল্প বলে বেড়াই। হল ক্যান্টিনে তাই আমার সামনেই এক নেতা চাদাবাজি করতে গেলে এর প্রতিবাদ করি। সে সময়ই হয়ত কিছু হয়ে যেত কিন্তু ক্যান্টিনে যারা নাস্তা করছিল, সব ছাত্ররাই তখন আমার সাথে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু ঘটনা যে এতদূর গড়াবে তা আমি নিজেও স্বপ্নে ভাবি নি। জানলে হয়ত সেই সময়ে শরীরের এড্রেনালিনের ফ্লো’টাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতাম। সেই সপ্তাহেই ছুটির দিনের রাতে আমার রুমের সামনে এসে দাঁড়ায় আমাদের সেই নেতা তার অনুসারীদের সহ। সবার হাতেই কম বেশি হকিস্টিক,লম্বা এক টাইপের দা(আমি তখনো জানতাম না এগুলোকে চা পাতি বলে, আচ্ছা এগুলোর নাম চা পাতি হল কেন?), বেস বল ব্যাট এগুলা ছিল। কিছু না বলেই তারা হঠাত মারা শুরু করল আমাকে। আমি শুধু অবাক হয়ে দেখছিলাম। এলোপাতাড়ি দা এর কোপ, আর হাত পায়ে হকিস্টিক আর বেসবল ব্যাটের বাড়ি। আমি অবাক হয়ে শুধু আমার রক্ত দেখছিলাম। রক্তের রঙ এত লাল! আচ্ছা যারা মারছে এদের রক্তের রঙও কি লাল!অবাক ব্যাপার হল যারা মারছিল তাদের পেছনে আমার কিছু বন্ধু, যারা ওই রাজনৈতিক দলের অনুসারী তারাও দাঁড়িয়ে ছিল। হয়ত ভদ্রতা দেখিয়ে মারছিল না আমাকে।
ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আমার বেচে থাকার কথা ছিল না। অলৌকিক ভাবে বেচে গেছি মাত্র দশ মাস হাসপাতালে কাটিয়ে। আমি বেচে আছি এতেই আমার বাবা মা অনেক খুশি, কোন রকম বিচার চাইতে যাওয়ার সাহস আর হয় নি। বাবা মা বলেছিলেন পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে, আমার আর ইচ্ছে হয়নি। সবার সামনে মাথা নিচু করে হুইল চেয়ারে বসে পরীক্ষা দেয়ার চেয়ে ঘরে বসে জানালার ফাঁক দিয়ে এক চিলতে আকাশ দেখাটাই আমার কাছে ভালো মনে হয়ছে। প্রথম প্রথম সবাই আহা উহু করত আমার জন্যে, বন্ধুরা সারাদিন ফোন করত, আমার গার্লফ্রেন্ড ও ফোন করে কান্নাকাটি করত। সময়ের সাথে সাথে সবাই সব ভুলে গেছে, এটাই স্বাভাবিক। বন্ধু বান্ধবরাও এখন আর ফোন দেয় না, গার্লফ্রেন্ড ও অন্য কাউকে নিয়ে ব্যস্ত। হয়ত সবই ঘটছে জহির রায়হানের ‘সময়ের প্রয়োজনে’।
আমার ছোট্ট দুটো চড়ুই পাখি আছে, সকাল বিকেল এগুলো আমার জানালার কাছে এসে বসে। দুটোকে এখন আমি আলাদা ভাবে চিনি, একটার চোখ একটু লালচে, অন্যটার ডান পাশের ডানায় একটা গোল কালো রঙের ফুটকি আছে। আমি সকালে খাবার পর এদের জন্যে রুটি ছোট্ট টুকরো করে রেখে দেই। দুপুর বেলাতেও কিছু ভাত রাখি। প্রথম প্রথম এসে এদিক সেদিক তাকিয়ে খাবার খেয়েই চলে যেত। এখন প্রায়ই এরা খাবার খেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। এরাও হয়ত বুঝে গেছে আমি তাদের ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখি না।
অপেক্ষা নাকি মানুষের বেঁচে থাকার টনিক। আমি তাই অপেক্ষা করি। আমার নিজের আকাশের ছোট্ট টুকরোটাতে মেঘের আনাগোনা দেখি। মানুষের মতই এরা আসে আর চলে যায়। যেন কত ব্যস্ত ওরা। কিন্তু আমার তো অফুরন্ত সময়! আমি তাই অপেক্ষা করি কবে আমার চড়ুই দুটো ভয় ভেঙ্গে ঘরে ঢুকবে, আমার হাত থেকে খাবার খাবে, আমার কাঁধে বসবে। অপেক্ষা করি আমি, স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার, স্প্রিং এর মতই।
মন্তব্য
সাধারন কিন্তু কোথায় যেন অসাধারনের ছোঁয়া পেলাম। এইটা শুধু গল্প হলেই খুশি হব সত্যি হলে না। আপনার নামটা দিলেন না ??
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
যখন পড়তে শুরু করলাম, এতটা আশা ছিলনা! কি সুন্দর সাবলীল ভাবে লিখে গেছেন, অতি সাধারণ শুরু টাই বিষাদময় এক ঘোর এর মাঝে শেষ হল। আসলেও এটা শুধু গল্প হলেই খুশি হব, যদিও জানি কত শত মানুষের জীবনে এমন অপেক্ষাটুকুই একমাত্র সম্বল..
লেখা থামাবেন না, চলুক!
রক্তিম অমৃত
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
গল্প ভালো হয়েছে, তবে আরও ভালো হতে পারতো। কাহিনীকে গল্প বানিয়ে তুলতে হয়। লেখার শেষে লেখকের নাম না দিলে কার গল্প পড়লাম বা কাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করলাম সেটা কী করে বুঝবো?
একটা ফলোআপ প্রতিবেদন চাই। জামায়াত-শিবির আজ পর্যন্ত যত সহস্র মানুষের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে তাদের বর্তমান অবস্থা কী?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখার শেষে নাম লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করব।
(কোয়াসিমোডো)
বাক্কা আপনার অন্যান্য লেখাগুলোর চেয়ে ভিন্ন।
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
অনেক সুন্দর লিখনি আপনার ! ছোটবেলায় আমিও ভাবতাম একটা ঘরভর্তি বই আর জানালার পাশে ফুচকাওয়ালা !
আর এম্প্যাথি আসতে আসলেই আরো যুগ লাগবে আমাদের মানব্সত্তাতে !
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর লেখাটার জন্যে
দারুচিনি
আপনাকেও ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
লেখা দারুণ লাগল।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
চরম সত্য!
লেখা ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
মন ছুঁয়ে গেল আপনার লেখাটি। আশা করি, এটি শুধুমাত্রই গল্প, সত্য কারো কাহিনী হয়।
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অসংখ্য ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
ভাল্লাগলো লেখার ভঙ্গি। সচল থাকুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসংখ্য ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
পুরো লেখাটার মধ্যে এই লাইনগুলো একেবারে বুকের ভেতরে গেঁথে গেলো।
ফারাসাত
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
আহা, দারুণ লাগলো লেখাটি।
ধন্যবাদ
(কোয়াসিমোডো)
গল্পটা খুব ভালো লাগলো।
নতুন মন্তব্য করুন