রাজশাহীর পদ্মা
প্রিয় রাজশাহী,
আশা করি ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। মানে যতটুকু ভালো না থাকলেই নয় ঠিক ততটুকু। বিজয় দিবস এলো গেলো। গত চার বছর হল বিদেশে আছি। তোমাকে এবারও বিজয় দিবসে খুব মিস করলাম। তুমি ফুলে ফুলে ভরে গেছ, এইটা দেখাটাই কোন একসময় আমাদের একটা প্রধান কাজ ছিল, তুমি তো জানোই। বিদেশে আসার আগ অব্ধি প্রত্যেক বছর এদিনে তোমার শহীদ মিনারগুলিতে জনসমাগম একটু একটু করে বাড়তে দেখেছি। এবারও নিশ্চয়ই বেড়েছে এমন। যেভাবে ফেসবুক জুড়ে তোমার ছবি দেখলাম, তাতে গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে। কুসুম ভোরে এখনও তোমার শহীদ মিনারের আঙিনা ছোট্ট শিশুদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে থাকে, তার কোন বাত্যয় নিশ্চয়ই এবারও হয়নি। বিজয় দিবসের আগে একে একে অনেকগুলি দুঃসংবাদ শুনে মনটা খুব খারাপ হয়েছিল। জানোই তো, রামুতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সহায় সম্বলহীন করা হয়েছে, তাজিন গার্মেন্টস এ কতগুলো মানুষ পুড়ে কয়লা হয়ে গেল, বিশ্বজিতের মৃত্যু দেখে তো বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছি আমরা সবাই! এসবের উত্তাপ কি তুমি টের পেয়েছিলে? পাও? তোমার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা তো আজীবন প্রতিবাদী, তোমার সাহেব বাজারের মোড় তো সংগ্রামী কণ্ঠে কাঁপা, এবার কি তার ব্যাতিক্রম হয়েছে? আমি জানি হয়নি। জোহা স্যার শিক্ষার্থীদের প্রান বাঁচাতে গিয়ে তোমারই রাস্তায় শহীদ হয়েছিলেন, তাঁর উত্তরসূরিদের ওপর তুমি নিশ্চয়ই আস্থা রাখতে পার।
আচ্ছা, সারা দেশে কুখ্যাত রাজাকারদের বিচার চলছে, এনিয়ে জামাত শিবির গ্যাং নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তোমার ওখানে কি অবস্থা? যত যাই বলি তুমি কিন্তু বরাবরই শিবিরের প্রতি বেশ দুর্বলতা দেখিয়ে এসেছ, বাংলা ভাই কিন্তু তোমারই এলাকায় লালিত হয়েছিল। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার চার ধারে শিবির তার আস্তানা জমিয়ে বসেছে বলে শুনি। এই বিদেশে এসে তোমার শহরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিলে মানুষ নানান কূটকথা বলে, বলে আমি নাকি বাংলা ভাইয়ের এলাকার মানুষ! আমার এত খারাপ লাগে, তোমার লাগেনা? তোমার লজ্জা করেনা? তোমারই বুকের ওপর বাংলা ভাই মিছিল করে, শিবিরের কর্মী আমার প্রতিবাদী ভাইয়ের রগ কেটে দেয়, আমার শিক্ষক চাচাকে খুন করে ম্যানহোলে ফেলে রাখে- এসব দেখেশুনে তোমার রাগ হয়না? তুমি কষ্ট পাওনা? তুমিইনা বীর শহীদের যুদ্ধক্ষেত্র? তোমার মাটিতে না পাক বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র যুদ্ধ হয়েছিলো? তোমার সেই সব সূর্য সন্তানদের উত্তরাধিকারেরা আজ কোথায়? তাঁরা না জাগলে সকাল হবে কি করে প্রিয় রাজশাহী?
তোমার পদ্মা ধীরে ধীরে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল, তোমার বাঁধের ওপর দাঁড়ালে বিশাল আকারের বিশ্রী একটা চর দেখা যায়, একি সহ্য করার মতন,বলো? আমাদের শৈশবের কৈশোরের সেই উত্তাল পদ্মা কোন এক অচেনা চরের মাঝে হারিয়ে গেল! সেই চরে এখন চাষাবাদ হয়, সেই চরে এখন বসতি হয়েছে। কিন্তু আমার মন কেন এমন করে, কেন ওই চরকে অভিসম্পাত দিয়ে বসি? টি-বাঁধের কাছে যে নৌকো নিয়ে একসময় নদী বক্ষে ঘুরে বেরাতাম,সেই নদীর গতিপথ কত ছোট হয়েছে এখন! আমার সাত বছরের কন্যাকে আমি এ কোন পদ্মা দেখালাম সেদিন! ও বলছিল, "বাবা, কত ছোট এই পদ্মা!" ওর কি দোষ বলো? ও যে গোয়ালন্দের মোহনার পদ্মা দেখে এসেছে! আমি যে ওকে বলতে পারলামনা যে আমাদের পদ্মা গোয়ালন্দের চাইতেও বড় ছিল! ছিল প্রলয়ংকারি, ছিল ভয়ংকর সুন্দর! তোমার বাঁধের কাছে দেখলাম বসার নতুন জায়গা হয়েছে, সৌন্দর্য বর্ধনকারী কিছু স্থাপনাও দেখে এলাম এইবার। তোমার শহরবাসীরা বেশ উপভোগ করছে ওখানে, আমার মেয়ে তো বেশ নাচানাচি শুরু করে দিয়েছিল। আমি শুধু পদ্মার করুণ রাগ দেখে যাচ্ছিলাম!
তোমার শহরে দেখলাম নতুন নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, মানে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে ব্যাপক। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দেশ, তুমিই বা বাতিল হবে কেন? একটা সংযোগ সড়ক দেখে এলাম, ওটা নাকি অলকার মোড় থেকে সাহেব বাজারে গিয়ে মিলবে! শুনেছি অনেক পুরনো ঘরবাড়ি নাকি কাটা পড়বে? আমি তো নিজের চোখেই দেখে এলাম যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে ভাঙ্গা পড়েছে। আচ্ছা, ইউরোপের অনেক শহরের কেন্দ্রে দেখি পুরণো স্থাপনার কিছুই ভাঙ্গা হয়না, বরং পুরণো হলে সেগুলোকে মেরামত করে তাঁর অতীত চেহারার নবায়ন করা হয়। এইযে আমিই যে শহরে রয়েছি, ইতালির বোলোনিয়ায়, এখানে কিন্তু নগর কেন্দ্রে নতুন কোন স্থাপনা নির্মাণ আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কবে যে তোমার শহরেও এমন আইন দেখব! এইযে তোমার বুকেই অতীতকে তামা তামা করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেনা কেন? কেন রাস্তায় মিটিং মিছিল হয়না? তোমার শহরে এত জায়গা খালি পড়ে আছে! মানুষ নতুন আবাস সেখানে গড়ে তুলে নগর কেন্দ্রকে কেন একটু রেহাই দেয়না? শুনলাম ঢপকল গুলোরও নাকি যেনতেন অবস্থা! এই ঢপকলগুলো তোমার ঐতিহাসিক সম্পদ, সেগুলোও কি চলে যাবে বেনিয়াদের খপ্পরে? আর তুমি কি চেয়ে চেয়ে দেখবে নীরব সাক্ষী হয়ে?
রাজশাহী, তোমাকে নিয়ে আমার অনেক দুশ্চিন্তা হয়, কিন্তু আনন্দও কিছু কম হয়না। তুমি যে দিনে দিনে কত জনপ্রিয় হয়ে উঠছ, জানো কি? তোমার পুঠিয়া দেখতে দূর দুরান্ত থেকে কত মানুষ আসে, একবার দেখেও তাঁদের মনের আঁশ মেটেনা, বারবার আসে। আমার ইতালিয়ান প্রফেসর তো পুঠিয়া দেখে মুগ্ধ, বিহ্বল হয়ে আছেন। আমাকে বলেছেন, বেঁচে থাকতে থাকতে আরেকবার ওখানে যেতে চান। কিসমত মারিয়া মসজিদকে ঘিরে মানুষের ব্যাপক কৌতূহল জেগেছে। আমি তো এইবার তোমার তাহেরপুর জমিদারবাড়ি দেখে আহ্লাদে আটখানা। চারঘাট স্লুইস গেটের কাছেও অনেক জনসমাগম দেখে এলাম, যদিও জলের দেখা পেলামনা, শীতকাল বলেই কিনা! তোমার বাঘা মসজিদ নিয়েও কিন্তু মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ আছে আর তা উত্তরোত্তর বাড়ছেই।
তোমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়ে গেল, ক'দিন আগেই। শুনলাম ছোটখাটো কিছু ভুলত্রুটি ছাড়া অংশগ্রহণকারীরা নাকি বেজায় আনন্দ করেছেন। ফেসবুকে সেইসব ছবি দেখে মনের অজান্তেই কান্না চলে এল। আনন্দের কান্না। জানোই তো, তোমার মতিহারের সবুজ চত্বরে ২৮টি বসন্ত কাটিয়ে এসেছি। মতিহারকে ভোলা কার সাধ্যি! যাই হোক, সমাবর্তনে সবাইকে আনুষ্ঠানিক পোষাকে অসাধারণ লাগছিল! অনেকে দেখলাম পুরো পরিবার নিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। আর আমাকে দেখো, এই ছাতার মাথা বিদেশে পড়ে রয়েছি, অযথা!
শোনো, অনেক লিখে ফেললাম। এটাই তোমাকে লেখা আমার প্রথম চিঠি। অনেক দীর্ঘ হয়ে গেল বলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এরই মাঝে তোমার মনোযোগ হারিয়ে গেলে আবার আমাকে দোষারোপ কোরোনা যেন! আমি জানি তুমি আমার চিঠির সাড়া দেবেনা, তবে আমি আবার লিখব, অনেক লিখব, তুমি কিন্তু না বলতে পারবেনা! ভাল থেকো রাজশাহী। আমার এই শুকনো চোখে তুমি আলো হয়ে বিরাজ কোরো। তোমার হৃদয় থেকে সকল ধর্মান্ধতা, সকল কূপমুন্ডুকতা দূর হোক।
-মনি শামিম
পুনশ্চঃ গত কয়েক বছরে তোমার কিছু ছবি তুলেছি, এখানে যুক্ত করে দিলাম। তোমার ভালো লাগলে খুশী হবো।
ক) শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
খ) বধ্যভূমি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
গ) সাবাস বাংলাদেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
ঙ) বধ্যভূমি রাঃ বিঃ-র পেছনে বিলের ভেতর ফুটে থাকা শাপলা ফুল
চ) হনুমান মন্দিরের ভগ্নাংশ, সাহেব বাজার, রাজশাহী
ছ) কুসুম্বা মসজিদের ভেতরে বিশ্রাম
জ) দোলমঞ্চ, পুঠিয়া
ঝ) তাহেরপুর জমিদারবাড়ির সম্মুখভাগ
ঞ) দুর্গাপুরের প্রকৃতি অপার
ট) মাষকাটাদীঘির একাংশ
ঠ) বিহাসে ফুটে থাকা রক্তজবা
ঠ) রাজশাহী ধান গবেষণা ইন্সিটিউট
ড) চায়ের ঠেকে গরম চা, কুসুম্বা মসজিদ
ঢ) সন্ধ্যে ঘনিয়ে এলো শাহ্ মখদুম মাজারে
ণ) সন্ধ্যাবেলার সোনাদিঘির মোড়
ত) গাছের গায়ে আঠা, আঠার ভেতর প্রতিবিম্ব
থ) হারমোনিয়াম, তবলাবাঁয়া, রাজশাহী আবৃত্তি পরিষদ
দ) উপশহর, রাজশাহীতে সবুজের কেনা বেচা
ধ) "আগুন দেখেছি আমি কত জানালায়"- হেতম খাঁ, রাজশাহী
ন) ভোরের আলোয় দুধ ওয়ালার ঘটি ভরা সাইকেল
প) বিহাসে আমার কন্যার দৌড়
ফ) পুনশ্চ পদ্মা
ব) ঐতিহাসিক ঢপকল
ভ) চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে- বিহাস, রাজশাহী
ম) বিহাস স্পেশাল
মন্তব্য
আপনার লেখা এবং ছবি দুটোই অসাধারণ সুন্দর।
তবে আলাদা করে পুনশ্চ পদ্মা ছবিটার কথা না বলে পারছি না। যেন ছায়ার মাঝ থেকে আমারই দিকে চেয়ে আছে কেউ, আর আমি চেয়ে আছি তাকে নিয়ে গোটা চরাচরের দিকে।
অনেক ধন্যবাদ।জানেন,যে ছবিটির কথা উল্লেখ করলেন,সেটি আমারও বিশেষ প্রিয়।ভালো থাকুন।
-মনি শামিম
প্রথম ছবিটা দেখে পোস্ট এ না ঢুকে পারলাম না। এছাড়া খ, ঙ ঞ ড ম খুব ভাল লাগল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেখার খুব ইচ্ছা। অনেকে বলে এইটা নাকি বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ধন্যবাদ নিন।বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই তো সুন্দর,রাজশাহীটা একটু বেশী,এই যা!
-মনি শামিম
মনস্থির হইলে আওয়াজ দিয়েন শাব্দিক আপু।
রাজশাহীতে দেখার মত আরও অনেক কিছু আছে।
সামনের বছর দেশেই থাকব আশা করি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ফিনিশ মানুষ রাজশাহীতে দাওয়াত দিচ্ছে? ক্যাম্নে কি?
এ বছর তো আর ১২দিন। সামনে বছরে আশা রাখি।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
সামনের বছরেই আসুন না? আগে থেকে জানান দিন কবে আসতে চান, খাতিরদারির অভাব হবেনা। আর গ্রুপ ধরে আসতে চাইলে তো সোনায় সোহাগা, গান শুনে যাবেন। নজরুল ভাই খুব করে আসতে চাইলেন, মনে হয় সময় পাচ্ছেন না।
-মনি শামিম
ফিনিশ মানুষ- ?
কে ফিনিস?
সামনের বছর চইলা আসমুনি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
রাজশাহীর পক্ষ থেকে ধন্নবাদ।।।।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
-মনি শামিম
শহীদ মিনারের ছবিটা আপনার তোলা আমার সবথেকে পছন্দের ছবি এখনতক। এই অ্যাঙ্গেলে আর কোন ছবি দেখি নাই, চট করে বোঝা যায় না কোথায় তোলা, আর বোঝার পরে অনেক আনন্দ হয় কেমন যেন!
সন্ধ্যার সোনাদীঘির মোড়ের ছবিটা কোথা থেকে তুলেছেন? ওভার-ব্রিজের উপরে থেকে কি?
ওহ! 'ম' এর মতো একটা ছবি আমার তোলাও আছে, তাই দেখে মজা পেলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর। শহীদ মিনারের ছবিটি তুলে আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের শহীদ মিনারের এই রূপ আমারও অচেনা ছিল। আমাকে কিন্তু এই ছবি তুলতে গিয়ে মিনারের মূল বেদির পাদদেশে যে খালি জায়গাটুকু আছে, সেখানে নেমে ছবিটি তুলতে হয়েছে। সন্ধ্যার সোনাদীঘির মোড়ের ছবিটি ওভার ব্রিজ থেকেই নিয়েছি, বুলস আই বুবু। তোমারও 'ম' এর মতন ছবি আছে? দেখেছি কি?
-মনি শামিম
ভালো লাগলো মণিভাই
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ ভাই। ডাকনাম ধরে ডাকলেন, মনে হল যেন যুগ যুগ ধরে চিনি আপনাকে। ভাল থাকবেন।
-মনি শামিম
দেখা হবে
_____________________
Give Her Freedom!
দেখা হোক তবে, শীঘ্রই।
-মনি শামিম
দারুণ! দারুণ!
ধন্যবাদ রংতুলি। ভাল থাকুন।
- মনি শামিম
নস্টালজিক করে দিলেনরে ভাই।
প্রানের শহরের দারুন সব ছবিগুলোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আহা সোনাদীঘির মোড়, পদ্মার তীর, শহীদ মিনার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,হেতম খা্ উপশহর, ঢপকল, ঝিরঝিরে পানি পড়া …..(দীর্ঘশ্বাস ফেলার ইমো)
লেখাও খুব ভালো হয়েছে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ধন্যবাদ আরজু, পদ্মার ধারে কোথায় বাড়ি ভাই আপনার?
- মনি শামিম
স্কুল, কলেজ, ছোটবেলার সব স্মৃতি রাজশাহী জুড়ে।
অনুদার সাথে যাযাবরদা এবং আপনাকেও পেলাম দেখি রাজশাহীর। রাজশাহী নামটা শুনলেই প্রানে অন্যরকম দোলা লাগে। হয়ত কখনও রাজশাহীতেই দেখা হবে সবার সাথে।
জন্মস্থান আর শৈশবস্থানের টান আসলে সাংঘাতিক তীব্র হয়।
আমার বাড়ি টিকাপাড়া গোরস্থানের ধারে। আপনার?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বাবার কর্মসূত্রে জীবনের বেশীরভাগ সময় কেটেছে অনবদ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বছর দুই হল থাকা হয় বিহাসে।আপু, আপনি দেশে ফিরবেন কবে? তখন দেখা হবে নিশ্চয়ই। হবে সচল আড্ডা। কি বলেন?
-মনি শামিম
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আরজু আপা, অনেক ধন্যবাদ, দেখা তাহলে হচ্ছেই, প্রিয় রাজশাহীতে!
-মনি শামিম
দেখা তো হতেই হবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
-মনি শামিম
যাযাবরদা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
যাযাবর দা কতি গো?
-মনি শামিম
অনেক ভালো লাগলো। একটু আগে শিমলা পার্ক থেকে আসলাম। রাজশাহী ছেড়ে কোন দিন কোথাও যেতে চায় না। কিন্তু পেটের দায়ে মনে হয় আর বেশি দিন এই প্রাণের শহরে থাকা হবে না।
, পেটের দায়ে শহর ছেড়েছি আমরা সবাই আর হৃদয়ের তাগিদে আবার ফিরে ফিরে যাচ্ছি। এটাই বোধহয় নিয়তি! এর হাত থেকে আমাদের কারোরই নিস্তার নাই! তবে এমন দিন হয়তো আসবে যখন আমাদের শহর ছাড়তে হবেনা, আমরা রয়ে যাব পদ্মাপারেই!
-মনি শামিম
-মনি শামিম
রাজশাহীর লোখাল পোলা আমি। আরও কয়েকদিন এই পদ্মা পাড়েই আছি।যদি আসেন এর মধ্যে তবে আওয়াজ দিয়েন। এক সাথে পদ্মার পাড়, টি বাধ, আই বাধ, কুসুম্বা মসজিদ, সোনামসজিদ পাহাড়পুর, দীবর দীঘী ঘুরে আসা যাবে। এই বারের পরে আর কবে এইভাবে সময় পাবো জানি না।
ফেস বুক-এ আমাদের রাজশাহী নামে একটা গ্রুপ আছে। ওখানে অদম্য উৎসাহী কিছু বান্দা সুযোগ পেলেই বেড়িয়ে পড়েন রাজশাহীর আনাচে কানাচে। আপনি তাঁদের সঙ্গী হতে পারেন কিন্তু সহজেই। আর ঈদের ছুটিছাটায় দেখা হয়ত হয়ে যাবে কোন একসময়। তখন কিছু একটা প্ল্যান করা যেতেই পারে।ঘুরাঘুরির সুযোগ কে মিস করতে চায়, বলুন?
ওহো মাথা খারাপ করা সব ছবি...আমার দেশটা এত সৌন্দর্য্য কেন ? আর হামাক কেনে বৈদেশে পড়ি থাকতি হয় ? হে নানা তুই জানিস নাকি ?
আমি রাজশাহী যাই নি কোনদিন । কোনদিন বিহাসের পদ্মার সুর্যাস্ত দেখিনি, কিন্তু আপনার পুনশ্চ পদ্মাকে এক লম্বর ভোট দিয়ে গেলাম ।
ছবিতে পাঁচ তারকা...খুব কম মনে হচ্ছে...আরো দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে তাই দিতাম ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
, সামনের বার দেশে এলে কথা দিন যে রাজশাহী আসবেন? আর কেউ কি জানে আদৌ, কোন কারণে কিসের টানে দিনের পর দিন ভিনদেশে কাটাতে হয়! কিংবা জেনেও হয়ত কোন গত্যান্তর থাকেনা! কে জানে?
-মনি শামিম
ভয়ঙ্কর এক কথা খুব সহজে বলে ফেললেন রে ভাই...
রাজশাহী যাওয়ার নেমন্তন্ন মনে থাকবে । উত্তরবঙ্গের সমাদরের খবর জানি...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
-মনি শামিম
হয়, আমরা খুবই সমাদর করমু।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ছবিগুলো অসাধারণ। রাজশাহীর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিলেন।
-মনি শামিম
-মনি শামিম
রাজশাহী যাওয়ার প্ল্যান অনেকদিনের।
নাহ, এইবার ঘুরে আসতেই হবে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দাঁড়ান, দাঁড়ান, আপনি যাবেন আর আমরা থাকবনা, তা হবেনা, তা হবেনা! কবে যাবেন তার আগাম ঘোষণা চাই আপনার কাছ থেকে।তারপর একটা মস্ত বড় প্ল্যান প্রোগ্রাম করতে হবে। বুঝলেন?
-মনি শামিম
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
তিথীপু, রাজশাহী আসতে মন চাইলে আওয়াজ দিয়েন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
-মনি শামিম
ঠিকাসে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
দিনক্ষণ আগে থেকে জানালে উপকার হয়। নজরুল ভাই, তানিম ভাই অনেকেই তো আসতে চান, একসাথে ঘুরাঘুরির মজাই আলাদা!
-মনি শামিম
রাজশাহী খুব প্রিয় শহর, যাওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি।
ছবিগুলো দারুণ লাগলো, বিশেষ করে শহীদ মিনারের ছবিটা।
কবে আসবেন বলুন তো? অনেকেই তো আসতে চাইছেন, একটা বড়সড় প্ল্যান প্রোগ্রাম করা যায় কিনা ভাবছি। অণু দেশে যাবে ফেব্রুয়ারি, যাযাবর আছে, কিন্তু আমি যে নেই,যাই হোক আমাদের কারোর জন্যই যেন আপনাদের যাওয়াটা আটকে না থাকে। আর রাজশাহীর আর একটি সম্পদ হল ঘরোয়া গানের আসর। তার কিছু ছবি সামনে দেয়ার আশা রাখি। এই সংগীত সুধা থেকে তো বঞ্চিত আপনাদের করাই যাবেনা!
-মনি শামিম
অনেকে আর বড়সড় প্ল্যান এরকম কিছু হলে আমিও ইন
_____________________
Give Her Freedom!
, স্বাগতম।
-মনি শামিম
জবর ব্যাপার! পুরাই গ্যারেজ!
সকালেই দেখেছিলাম ছবিগুলো, কিন্তু বাহিরে ছিলাম বলে কমেন্ট করা হয় নি, দারুণ হচ্ছে।
চিঠি লেখা চলুক, ছবি চলুক, সেই সাথে ইউনিক কিছু জিনিস ছবিতে আসলে ভালো হয় সে বিরেন দার খাসির চপ, বা কালাইয়ের রুটি যাই হোক না কেন। যেমন শহীদ মিনারের ছবিটা ইউনিক এসেছে।
রাজশাহী নিয়ে পরের পোস্টের অপেক্ষায়।
facebook
রাজশাহী নিয়ে পরের পোস্ট মনে হয় সময় নিয়ে লিখতে হবেরে, চিঠি তো, বেশী ঘন ঘন লিখলে বেচারা হাঁপিয়ে উঠবে। আর তাছাড়া ছবিও দিচ্ছি। ছবি তো তোলা হয়নি বেশী। আর ইউনিক ছবির কথা বলছিস, সেগুলো তো হাতেগোনা কিছু তোলা হয়েছে। ভালো ছবি তুলতে চাইলে রাজশাহীতে সময় নিয়ে অবস্থানের বিকল্প নেইরে। সেইটা আর হচ্ছে কোথায়? এই যে তুইও তো যাচ্ছিস ফেব্রুয়ারিতে, দেখবি, মনে হবে সময় কত অল্প! যখন একবারে ফিরে যাবো, তখন দেখবি ছবি ব্লগের কোন অভাব হবেনা আর তাছাড়া এইবারই তো সব ছবি পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরা দিয়ে তোলা হল, শহীদ মিনারের টাও, মন খালি খুঁত খুঁত করে! মনে হয়, এর চাইতেও তো ভাল হতে পারত! রাজশাহীকে আর সুন্দর করে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টাকে জারি রাখতে চাই, কিন্তু বিদেশে থাকলে তা আর হচ্ছে কোথায়?
-মনি শামিম
ধন্যবাদ রে অণু। জানিস, রাজশাহীর তেমন ভালো কোনও ছবি এখন পর্যন্ত তুলতে পারলাম না। সবসময় ভাবি কিভাবে রাজশাহীর সৌন্দর্যটা আরও ভালোভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তুলবো। কিন্তু হয়না জানিস? পারিনা। কোথাও একটা ঘাটতি থেকেই যায়। ইউনিক তো দুরের কথা বলার মতন কিসসু হয়না। আর হবেই বা কি করে? এখন পর্যন্ত একটু সময় নিয়ে আরাম করে রাজশাহীর ছবি তুলতে পারলাম কই? ক্যামেরা কিনলাম বিদেশে এসে, ছবি তোলায় সিরিয়াস হলাম বিদেশে এসে। সময়ই তো পেলামনা রে। রাজশাহীর স্থানীয় ফটোগ্রাফাররা অসাধারণ সব ছবি তুলছেন, তবে পাবলিক প্লেস এ তাঁদের ছবি মেলে কালেভদ্রে। আমি বরং তোর ছবির জন্য অপেক্ষা করছি। তুই ফেব্রুয়ারি তে এসে ইচ্ছেমতন ছবি তুলবি আর আমরা সেগুলি দেখবো এখানে, সচলায়তনে। দারুণ হবে।
রাজশাহী গিয়েছিলাম বছর কয়েক আগে এক শীতে, চমত্কার অভিজ্ঞতা। পুঠিয়ার রাজবাড়ি, রাজশাহী ইউনিভার্সিটির প্যারিস রোড, নিউ মার্কেটের ফুচকা, টমটমে করে ঘুরা-অভিজ্ঞতা ভালোই।
লিখতে থাকুন।
''দিবাকর''
দিবাকর, আপনার অভিজ্ঞতাও বিনিময় করুন না আমাদের সাথে?
-মনি শামিম
ছবিগুলো দারুণ লাগলো।
-মনি শামিম
দারুণ সব ছবি, দেখে আফসোস হচ্ছে। এখন ও যাওয়া হোলনা, কোনদিন যাওয়া হবে কিনা কে জানে।
কেন হবেনা বন্দনা, ইচ্ছে থাকলে উপায় একটা হয়েই যাবে। পদ্মাপারের এই অপরূপা শহর দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া যাবেনা। সোজা কথা!
ছবি ও লেখা দুই-ই দারুণ !
-মনি শামিম
দেখতে দেখতে সাড়ে ছ'টা বছর চলে যাবার পর মনে হয়েছিল, কয়েক মুহুর্তেই এতগুলো দিন পার করলাম! সাত বছর কেটে গেল আর যাওয়া হল না, কনভোকেশনেও না।
ছবিগুলো মনের ফ্রেমে বাঁধানো ছিল আগেই, আপনি আবারও সামনে নিয়ে এলেন। সব ছবিই অসাধারণ, সঙ্গত কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়েরগুলো আরো মনকাড়া কিন্তু প্যারিস রোড়ের সেই সহজ সৌন্দর্য কই……………….. !
পোস্টে প্লাস।।।
ধন্যবাদ। কনভোকেশনে কেন গেলেন নারে ভাই? প্যারিস রোডের ছবি সামনের বার দিতে চাই। একবারে সব দিয়ে দিলে আমার আর রাজশাহীকে চিঠি লেখা হবেনা যে!
-মনি শামিম
#অসম্ভব রকমের সুন্দর,খুব দারুন লেগেছে সবগুলো, উপভোগ করলাম পুরো সময়টুকু
#ভাল থাকুন।
আশরাফুল কবীর
ধন্যবাদ ভাই। আপনিও ভালো থাকবেন।
-মনি শামিম
রাজশাহী বিভাগে থাকলাম অথচ রাজশাহীতে যাওয়া হলনা। আশা করি এইবার হবে। প্রতিটি ছবির নামগুলো চমৎকার।
-মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান
ধন্যবাদ। যাবেন রাজশাহী নিশ্চয়ই। এবং আমাদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতাও বিনিময় করবেন। কি করবেন না?
-মনি শামিম
আরে মনি ভাই যে!
কেমন আছেন?
আমি আজকেই বিপ্লবী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম যে কালকে রাজশাহী যাবো। তারপর শুরু হলো ফোন, রাজশাহীস্থ তাবত লোকেদের ফোন করা, ফোন করলাম অনু তারেকরেও। যাযাবরও ব্যস্ত, আনন্দদীও ব্যস্ত। তাই আর গেলাম না। সামনের বার আপনি এলে যাবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কি বলেন নজরুল ভাই, আপনি যেতে চান আর রাজশাহী বাসি ব্যাস্ত হয়ে পড়ে, এইটা কোনও কথা হল? দাঁড়ান, আমি দেশে এসে নেই, তারপর শুধু আপনি কেন নুপুর ভাবী আর নিধি বাবুকেও আসতে হবে। নজরুল ভাই, ভালো আছি। বাঁধন অথৈ ওরাও ভালো আছে। আপনাদের জন্য কিন্তু একটা উত্তম সঙ্গীত সন্ধ্যা অপেক্ষা করছে, তখন কিন্তু সময় নিয়ে কোনও ধানাই পানাই শুনবোনা!
বলতে ভুলেছি, লেখা ছবি সবই মারাত্মক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই। আসলে সত্যি বলতে কি, সচলায়তনের লেখা পড়ি অনেকদিন যাবত। লিখব লিখব করেও লেখা হয়নি, অগত্যা অণুর পাল্লায় পড়ে এখানে বিচরণ। কিন্তু যাঁদের লেখা পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম সেই আপনি, শুভাশিস আপনারা কেমন দুর্লভ হয়ে উঠেছেন। আশা রাখি সামনের দিনগুলিতে আপনারা আরও সচল হবেন। সেই দিনের অপেক্ষায় রইলাম কিন্তু!
-মনি শামিম
ছবিগুলো দারুন লাগল, খুবই সুন্দর তো রাজশাহী। আশা করি নিকট ভবিষ্যতে ঘুরে আসতে পারব।
ধন্যবাদ বাপ্পি। ঘুরে আসুন রাজশাহী, হতাশ হবেন না, কথা দিলাম!
-মনি শামিম
২০০৭-এ রাজশাহী গিয়েছিলাম ২-৪ দিনের জন্য। ঐ এক বারই এখন পর্যন্ত। একটা কাজ নিয়ে গিয়েছিলাম বলে তেমন কিছু দেখার সুযোগ হয়নি, তবে শহরটার তুলনামূলক পরিচ্ছন্নতা আর "লেইড ব্যাক" আবহ/পরিবেশটা খু-উ-ব ভাল লেগেছিল। মনে হয়েছিল মাথা-খারাপ-করা ঢাকা ছেড়ে এখানেই থেকে যাই! ভাবছি, এখনও কি তেমন "লেইড ব্যাক" ভাবটা আছে, নাকি ঢাকার পাগলামির হাওয়া (অনেকটা 'দ্য মাস্ক'-এ জিম ক্যারির মত ) লেগে গেছে? রাজশাহীর মানুষের একটু টেনে-টেনে কথা বলার মিষ্টি ভঙ্গিটাও এত ভাল লেগেছিল যে কি বলবো। কানের মধ্যে মধুর মত - শ্রুতি-'মধুর' বলতে আসলে কি বুঝায় তখনই বুঝেছি।
তবে সবচেয়ে যেটা খারাপ লেখেছিল সেটা হল সারাজীবন ধরে পড়া 'প্রমত্তা' পদ্মার কঙ্কালসার মৃত রূপ। এটা দেখে এতই "শক্ড্" হয়েছিলাম যে, সেই ধাক্কা এক হিসেবে এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এর পরে রাজশাহী যাওয়ার আরও দুএকটা সুযোগ হলেও যাইনি - স্রেফ পদ্মার ঐ মন ভেঙে যাওয়া চেহারা আবার দেখতে হবে - এই ভয়ে!
****************************************
ধন্যবাদ মন মাঝি।কি চমৎকার করেই না অনুভূতিটুকু প্রকাশ করলেন, মন ভরে গেলো। টেনে টেনে কথা বলাটা এতদঞ্চলের বৈশিষ্ট্য। আসলেই শ্রুতিমধুর। কৃষিভিত্তিক রাজশাহীতে শিল্পাঞ্চল নেই বলেই হয়তো লেইড ব্যাক চরিত্রটি রাজশাহী বজায় রাখতে পেরেছে এখন অব্ধি। রাজশাহীর জীবনযাত্রার মান খুবই ভাল। রাস্তায় ভিড় নেই, ট্রাফিক জ্যাম এর বিরক্তি নেই, যোগাযোগ ব্যাবস্থাও বেশ ভাল। টাটকা খাবারের প্রাচুর্য সকল হাটেবাজারে। চিকিৎসাসেবা মোটের ওপর খারাপ নয়। আর বাড়িভাড়াও কম। তাই থাকার জন্য শহর হিসেবে রাজশাহী খুব উত্তম। শুধু চাকরি বাকরি সুলভ হলে রাজশাহী ছাড়ার কথা হয়ত ভাবতেই হতনা! তবে যে কারণে রাজশাহীর বাইরের মানুষ শহর রাজশাহীকে আপন ভাবতেন সেই পদ্মা গেল শুকিয়ে। পদ্মায় বাঁধ দিয়ে যে শহর তৈরি হল, সেই পদ্মার মৃত্যু দেখলে আমাদের ভয় হয়, আমাদের চোখে ভর করে থাকা সেই জীবন্ত পদ্মা এখন জলের জন্য হাহাকার করে মরে, এই কষ্ট আমরা কোথায় রাখি, বলুন?
-মনি শামিম
আজ থেকে বারো বছর আগে রাজশাহী গিয়েছিলাম বন্ধু সানজীদের বাসায়। ওর বাবা অধ্যাপক তাহের ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিদ্যার শিক্ষক। ২০০৫ সালে যাঁকে শিবিরের জারজ সন্তানগুলো নির্মম ভাবে হত্যা করে। আমরা উনার কোয়ার্টারে ছিলাম দুই দিন। সেই দুইদিনের স্মৃতি কোনভাবেই ভোলার নয়। পদ্মায় নৌকা ভ্রমন, ঝিলের পাড়ে আড্ডা, রাত জেগে হলের সাম্নের পুকুর পাড়ে গানের আসর, বিশ্ববিদ্যালয়ের অপার্থিব প্রকৃতি আর সাধারন মানুষের অকৃত্রিম আপ্যায়ন।
ছবিগুলো সবকিছুই আবার এক লহমায় মনে পড়িয়ে দিলো।
ফারাসাত
ফারাসাত, আপনার কথার কি জবাব দেব ভাই, তাহের স্যারের কথা মনে হলে এখনও মানুষটার মুখ ভেসে আসে। উনার ছেলের নাম তো হিমেল। আপনার বন্ধু সানজিদ কি হিমেলের আরেকটি নাম? আপনার কথাগুলো মনটাকে নস্টালজিক করে দিলরে ভাই, অনেকদিন রাবি কে দেখিনা চর্মচক্ষে!
-মনি শামিম
ছবিগুলো অসাধারণ। কিন্তু, চর্মচক্ষে এই সৌন্দর্যগুলো এত মোহনীয় হয়ে ধরা পড়েনা কেন? হয়তোবা চোখেরই দোষ। 'শহীদ মিনার' আর 'চাঁদের হাসি' ছবিদুটোর কথা না বলে পারছিইনা। 'বিহাস' টা কি?
-খ্যাংরা কাঠি
ধন্যবাদ খ্যাঙরা কাঠি। চোখের দোষ নয়রে ভাই, সব দ্যাখা দ্যাখা নয় আসলে। দ্যাখার সাথে ভাবনাটাও জুড়ে দিতে হয়! বিহাস আপনি নাও চিনতে পারেন, এটি রাবি সীমানার প্রান্তে যে ফায়ার সার্ভিস আছে তার খুব কাছে অবস্থিত এবং বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং সোসাইটির সংক্ষিপ্ত রূপ। রাবির অনেক শিক্ষক এখানে বাড়ি বানিয়েছেন, আমরা এখন এখানে থাকি বলে জায়গাটির ছবি এসেছে, এটা ছাড়া এর তেমন আলাদা করে কোনও মাহাত্ম্য নেই।
-মনি শামিম
অসাধারণ
দেখে নিলাম রাজশাহী
ধন্যবাদ।
-মনি শামিম
দেশে থাকতেই দেখেছিলাম যে আপনি ছবিপোস্ট দিয়েছেন। কিন্তু দেশের দুর্বল নেটে দেখার চেষ্টা করিনি। ফিরে এসে দেখে নিলাম।
পুঠিয়ায় কী দেখার আছে? উনি অত মুগ্ধ হয়েছেন শুনে জিগালাম।
আমাগো যাযাবর ব্যাকপ্যাকার ম্যাডাম রাজশাহী যাবার জন্য নেমন্তন্ন করে রেখেছেন, কবে আবার বাংলাদেশে যেতে পাই দেখি...
কৌস্তুভ, বাংলাদেশে শীঘ্রই যাবেন এবং অবশ্যই রাজশাহীতে আপনাকে আমরা দেখতে চাইবো। এক্ষেত্রে কোনও ধানাই পানাই চলবে না, আগে থেকেই বলে রাখলাম। যতই ভ্যাঙ্কুভার আর লন্ডন তাপালিং মেরে বেড়ান, আমাদের রাজশাহী না গেলে আপনার কিছুই দেখা হবেনা, বুঝলেন? তাড়াতাড়ি করুন!
-মনি শামিম
নাহ, আমিনী সা'ব ইন্তেকাল করার পর থেকে দুনিয়ায় বোঝাবুঝিতে ভাটা পড়েছে...
নতুন মন্তব্য করুন