শৈশব আর কৈশোরের ফেলে আসা মুহূর্তগুলো এই মধ্যবয়সে জানিনা কেন ফিরে ফিরে আসে আমার এই প্রবাসি জীবনধারায়। এক যুগ আগে ফেলে আসা রাজধানী ঢাকার ঐ শহুরে কোলাহল, মহল্লার ছেলেদের হুটোপুটি আর ফেরিওয়ালার ডাক শুনতে পাই আমি এই দূর পরবাসে। সত্য আমি জানি, দেশে ফিরলেও দেখা মিলবে না আর সেই শীলপাটা খোদাইকারিগরের। বহুজাতিক ব্রান্ডের গুড়ো মসলার প্যাকেটের সহজলভ্যতায় পেশা বদলিয়েছে শীলপাটা আঁকিয়ে কারিগর। কত যত্নের সাথেই না পাথরে তুলে ধরত তার শৈল্পিক নকশা, উবু হয়ে বিস্ময়ে দেখতাম আমার মার অতিপ্রিয় শীলপাটাটি। আজকের প্রজন্ম হয়ত জানবেই না কোনদিন শীলপাটা কি জিনিস, আঁকিয়েতো অনেক আগেই ফেলে দিয়েছে তার হাতুর আর বাটাল।
লাল রঙের অদ্ভুত বেশধারি ঐ চানাচুরওয়ালাও হয়ত হারিয়ে গেছে বদলে যাওয়া ঢাকায়, সন্ধেবেলা আসবে না আর কেউ হাতে চোঙ্গা আর পিঠে চানাচুরের বাক্স নিয়ে। মাথায় এক ত্রিকোনা টুপি আর মুখে চোঙ্গা দিয়ে ডাকতো চানাচুউউউররর……আমার মনে হতো আসছে কাবুলিওয়ালা, আবার কখনো হামিলিওনের বাঁশিওয়ালা। দিনে আসতো কটকটিওয়ালা, তিলের খাজা আর আচার বিক্রেতা। শৈশবের আনন্দই ছিল ঐ আম-আমড়ার টকঝাল আচার, ঋতুভেদে মিলতো চালতা আর বড়ইয়ের মিষ্টি আচার। পয়সা লাগতো না, পুরনো বই-খাতা নাহয় ফুরিয়ে যাওয়া গুড়ো দুধের টিন দিলেই মিলে যেত সুস্বাদু আচার। অর্থশাস্ত্রের এই সুপ্রাচীন লেনদেনের মাধ্যম হয়ত আর টিকে নেই পুঁজিবাদী উন্নয়নশীল আজকের বাংলাদেশে। আইসক্রিমওয়ালা অবশ্য পয়সা ছাড়া খুলতো না তার ভ্যানে লাগানো ঠান্ডা বাক্স। ক্রীম কি জিনিশ সেটাতো ঐ ছোকরাও জানতো না। ৫০ পয়সায় পেতাম লাল-সবুজ রঙ মেশানো বরফের ঐ নামকাওয়াস্তে আইসক্রিম। তাতে কি? জেলাতোর দেশে এক যুগ থেকেও মহল্লার ঐ ভ্যানগাড়ির আইসক্রিমের রঙ আর স্বাদ দুটোই জিভে লেগে আছে।
বছরে মাত্র একবার আমাদের মহল্লায় আসতো মধু আরোহণকারী। আমাদের দোতালা বাড়ির সানশেডে আর আমগাছে প্রতিবছর মৌমাছি বাসা বাঁধতো। দিন পর দিন মধুর ভারে সেই মৌচাকের আয়তনও বাড়ত আর আমরা অপেক্ষায় থাকতাম কবে আসবে সেই মধু আরোহণকারী। সময় মত এসে যেত সেই লোক, সম্বল শুধু মুখ ঢাকার এক গামছা আর হাতে একমুঠো খড়। ধোঁয়ায় পালিয়ে যেত মৌমাছি আর সুযোগ বুঝে লোকটি কেটে ফেলত মৌচাক। সম্মানী হিসেবে নিয়ে যেত অর্ধেক মধু আর আমরা ছোটরা আঙ্গুল দিয়ে চেটে খেতাম বাকীটুকু। এই প্রজন্মের ঢাকাবাসীকে এখন নিশ্চিত সুন্দরবনে যেতে হবে চাকভাঙা মধু খেতে।
তুলো ধুনতেও আসতো একজন বছরে একবার, পুরনো বালিশের তুলো ধুনে বানিয়ে দিতো নতুন বালিশ। হাতে থাকতো তুলো ধুনার জন্য এক অদ্ভুত তারওয়ালা যন্ত্র। সেতারের মত দেখতে ঐ যন্ত্রে শব্দও হতো এক সুন্দর লয়ে। কখনো জানা হয়নি এই পেশার নাম।
এলুমুনিয়ামের(বিক্রেতার ভাষায় সিলভারের)হাড়িপাতিল আর কাচের কাপপিরিচ দুইটি বড় ঝুড়িতে ভরে কাঁধে ঝাঁকিয়ে পাড়া ঘুড়ে বেড়াতো ফেরিওয়ালা। মাকে দেখেছি পুরনো শাড়ি বদলিয়ে নতুন হাড়ি কিনতে। লেসফিতাওয়ালার কাঁধে থাকতো এক বস্তা আর হাতে কাচের চুরির বাক্স। বোঝার ভারে লোকটা হাটতো একটু কুঁজো হয়ে। মাথায় বস্তাভর্তি মুড়ি ভরে ফেরিওয়ালা আসতো সারাবছর আর এলুমুনিয়ামের কলশিতে নিয়ে কাসুন্দির ফেরিওয়ালা আসতো শুধু সিজনমত। মহল্লার দুধওয়ালা তো প্রতি সকালে দিয়ে যেতো এক পোয়া দুধ, মাপার এলুমুনিয়ামের গ্লাসটা ছিল একটু অন্যরকমের। মাস শেষে নিয়ে যেতো পুরো মাসের বিল।
তালাচাবি মেরামতকারি ঝনঝন শব্দ করে আসতো মাঝে মাঝে। হাতে থাকতো তার বড় এক রিং ভরা হাজারো চাবির গোছা। ছুরি-বটি ধার দিতে একজন আসতো কোরবানির আগে, চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে একমনে ঘুড়িয়ে যেতো চাকা। ছুরি আর চাকার সংঘর্ষে বেরিয়ে আসতো বিদ্যুৎস্ফুলিঙ্গ। এযেন খোলা আকাশের নিচে পদার্থবিদ্যার প্রাকটিকাল ক্লাস।
আমাদের বাড়ির চারপাশে ছিল অনেকগুলো নারকেল আর সুপারির গাছ, প্রতিবছর না হলেও দু-তিন বছরে একবার ঐ গাছগুলি পরিস্কার করতে দেখেছি একজনকে, বাড়ি বাড়ি যেয়ে গাছ পরিষ্কারকারি এই পেশার নামটিও জানা হয়নি কোনদিন।
জানুয়ারি মাসে বেচে ফেলতাম আগের বছরের দৈনিক পত্রিকা আর স্কুলের খাতা। কাগজওয়ালা ওজন মেপে কিনে নিতো আমাদের পুরনো কাগজের বান্ডিল। নিউজপ্রিন্টের দাম দিতো হোয়াইটপ্রিন্টের থেকে অনেক কম। মনে পড়ে স্কুলে থাকতে নিউজপ্রিন্ট কাগজ কিনতাম দিস্তা হিসেবে। এক দিস্তা সমান ২৪ পাতা? বলপয়েন্ট দিয়ে লিখতে হতো, ইকোনো আর রাইটার নামে দুটি জনপ্রিয় ব্রান্ড ছিল।
মুচির স্থায়ি কর্মক্ষেত্র ছিল আমতলী, সপ্তাহে একদিন বেরুতো হোমসার্ভিসএ। হাতে নিয়ে এক ছোট কাঠের বাক্স ঘুরে বেড়াতো মহল্লা। বাটা কোম্পানির স্যান্ডেলের সেকেলে ডিজাইন ভালো লাগতো না, আধুনিক কলাপুরি স্যান্ডেল কেনার পর মাস না পেরুতেই যেতে হতো মুচির কাছে। বড় কোনও উৎসবের আগেও যেতে হতো জুতা পালিশ করতে। শেষবার দেশত্যাগের আগে দেখা মিলে আমতলীতে সেই পুরনো মুচির, পৈত্রিক পেশার সাথেই খুলে বসেছে মোবাইল ফোনে মিনিটে ৫ টাকার কারবার। ইন্টারন্যাশনাল কল পর্যন্ত করা যায় জুতা পালিশ করতে করতে।
সৃতির পটে থাকা এই ফেরিওয়ালাদের কোনও ছবিই আমার কাছে নেই। ঢাকার হারিয়ে যাওয়া বা হারাতে বসা এই পেশাজীবীদের কর্মধারার প্রত্যক্ষদর্শী এই আমি কোনদিন ভুলতে পারবোনা আমার শৈশব আর কৈশোরের মধুর সৃতিজুড়ে থাকা এই শহুরে ফেরিওয়ালাদের উপস্থিতি।
---জিপসি
মন্তব্য
আমতলী? লেখক কি ঢাকার মহাখালী এলাকায় থাকতেন? আমরা মহাখালীতে অনেক দিন ছিলাম, এখনও
মনে পড়ে সেইসব ফেরিওয়ালাদের। আপনার লেখা পড়ে শৈশবে ফিরে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
সারা বাংলাদেশই আছে হাজারো আমতলী, গাবতলি, তালতলা আর বটতলা। রাজধানী ঢাকাতেও ছিল একাধিক আমতলী, আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে কাফরুল এলাকায়। জানিনা আমতলী এখনও একই নামে পরিচিত কিনা। আপনার মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ।
---জিপসি
সব হারিয়ে যায়নি, এখনো অনেক কিছুই আছে।
আমি বোধহয় আরো কিছুদিন আগের...
বিশেষ করে ইকোনো রাইটারের আগে আমাদের কলম ছিলো ঝর্ণা কলম। সেই কালির দোয়াত থেকে ফোটা ফোটা কালি কাগজে রেখে মধ্যখানে ভাঁজ করলে দারুণ নকশা হতো...
বানান একটু খেয়াল করুন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঝর্না কলম দিয়ে আমিও অনেকদিন লিখেছি। অবশ্যই হোয়াইটপ্রিন্ট কাগজে, নিউজপ্রিন্টে কালি শুষে নিতো। পারকার ব্রান্ডের এক ঝর্না কলম দিয়ে লিখতাম স্কুলের পরীক্ষার খাতায়, সামনে থাকতো কালির দোয়াত।
কিছু বানান বিভ্রাটের জন্য লজ্জিত। কিন্তু আপনার মন্তব্বে আনন্দিত।
---জিপসি
'পার্কার' ! সে তো উচ্চবিত্তের কলম ছিল। আর সাধারনের ছিলো, 'পাইলট'।
জন্মদিনের উপহার হিসেবে পেয়েছিলাম বোধহয়, ঠিক মনে পরছে না। আমার কিন্তু ঝর্না কলম দিয়ে লিখতে ভালো লাগতো না, বড়দের উপদেশ ছিল ঝর্না কলম দিয়ে লিখলে হাতের লেখা সুন্দর হয়। কই আমার হাতের লেখা তো এখনও বগের ঠ্যাঙের মতো...
---জিপসি
ফেরিওয়ালাদের নিয়ে এ লেখা চমৎকার লাগলো। একই স্মৃতিকাতরতায় ভুগি আমিও মাঝে মাঝে। লিখব লিখব করে হচ্ছিল না। সব হারিয়ে না গেলেও যা টিকে আছে তা জীর্ন ও বিবর্ণ। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বহু মন্থর দূপুর পার করেছি এই পণ্য ফেরির ডাক শুনে শুনে। কোনও কোনও ডাকে দীর্ঘ দূপুর আরো দীর্ঘ হয়েছে। ভালো লাগলো শৈশবের সেই জাদুকরদের কথা মনে পড়ে।
স্বয়ম
"বারান্দায় দাঁড়িয়ে বহু মন্থর দূপুর পার করেছি এই পণ্য ফেরির ডাক শুনে শুনে" ... আপনার এই লাইনটা মনে দাগ কেটে গেল. .. আমাদের বাড়ির দোতলার ঐ বারান্দাটাকে অনেক মিস করি আমি ! দুপুরের স্নানের পর রোদ পোহাতে বসতাম ঐ বারান্দায়, শুনতে পেতাম রিকশার টুংটাং আর ফেরিওয়ালার হাক।
....জিপসি
গাছ পরিষ্কার করার পেশার নাম হল শিউলি। আমার হাওড়ার বাড়িতেও ছোটবেলায় এই সমস্ত ফেরিওলাই দেখেছি , এখন সেখানে মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং আর ফ্ল্যাট এর সারিতে ফেরিওলার প্রবেশ প্রায় নিষেধ। এছাড়াও আসত শোন পাপড়ি , ঘুগনি,
জয়ন্ত, আপনি হাওড়ার কোন দিকের বাসিন্দা ছিলেন? ডমজুর হলে আওয়াজ দিন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
- যন্ত্রটার নাম ধুনট, প্রফেশনালের নাম ধুনকর। ধুনটের শব্দটা মনে আছে - টুক্টুক্ ভ্যান্ভ্যান্।
- বাংলাদেশে এই প্রফেশনালদের নাম গাছি। এই গাছিদের একটা গ্রুপ আবার তাল-খেজুর গাছে শীতকালে রসের হাড়ি বসায়। গাছের ভাসকুলার বান্ডলের কোথায় নালী বসালে রস পড়বে সেটা মোলায়েম হাতে কেটে বের করা অসম্ভব দক্ষতার একটি কাজ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
তথ্যবহুল কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ধুনটের ছবি নেটে খুঁজে দেখতে হবে, কানে এখনও বাজে টুকটুক ভ্যানভ্যান...
---জিপসি
লেখাটা পড়তে পড়তে কতকিছু যে জীবন থেকে হারিয়ে গেছে, প্রতিপার্শ্বের কত রূপ-রস-দৃশ্য-গন্ধ-স্পর্শ যে চিরতরে উপে গেছে অস্তিত্ত্বহীণতার অলীক জগতে - সেটাই হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে লাগল। অবশ্য সবচেয়ে বেশি যেটা মিস করি তা হল ঢাকার সেই প্রায় মফস্বল ভাবটা, এখনকার তুলনায় তার সেই ধীরস্থির, মানবিক রূপ। যে শহরে ফুটপাথে বা রাস্তা ধরে সারাদিন টো-টো করে ঘুরে বেড়ানো যেত, নির্বিঘ্নে চলে যাওয়া যেত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় - একা বা বন্ধুবান্ধব মিলে। শহরের মধ্যেই অনেক ফাঁকা ফাঁকা আর প্রাচীণগন্ধী জায়গা ছিল (এখানে স্মৃতি প্রতারণা করছে কিনা বুঝতে পারছি না)। ছিল বাগান-টাগান-গাছপালাওলা আর প্রচুর খোলা জায়গাসহ পুরনো ডিজাইনের বাড়িঘর, শিশুমনে রহস্যবোধ উষ্কে দেয়ার মত আলোআঁধারি চিপাচুপা আর খালি জায়গা, আর ঝিম ধরিয়ে দেয়ার মত নিস্তব্ধ দুপুর। যখন মনে হত না একটা নিরন্তর চলমান বিশাল স্টোন-ক্রাশার, গ্রাইন্ডার, ব্লেন্ডার বা ফুড-প্রোসেসরের মধ্যে পড়ে গেছি আজীবনের মত।
পোস্টে আর মন্তব্যে আসা প্রায় সবকিছুই দেখেছি। ধুনকরের কথা এসেছে, নাপিতের কথা আসেনি। আমার সময় নাপিত, ধোপা, রুটিওলা, দুধওলা - সবই আসত বাড়ি বাড়ি। শৈশবে চুল কাটাকাটি 'সেলুন' বা বার্বার-শপে গিয়ে না, বাসায় আসা নাপিতের হাতেই হত। তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল রুটিওলা যার কাছে কিনা বাকরখানি, সুতি কাবাব আর ঢাকাই পরোটাও পাওয়া যেত। মনে পড়ে সেই বাইস্কোপওলার জাদুর বাক্স - যার গায়ে লাগানো কাঁচের ভিতর দিয়ে তাকিয়ে তাজমহল থেকে শুরু করে বিশ্ববম্মাণ্ডের তাবৎ আশ্চর্য বস্তুর জীবন্ত দৃশ্য নাটকীয় ধারাবিবরণীসহ দেখা ও শোনা যেত। মনে পড়ে নেচেগেয়ে বা বীণ বাজিয়ে বাঁদর, সাপ আর বেজির খেলা দেখাত যারা পাড়া ঘুরে ঘুরে তাদের কথা। এরা কোথায় আজ?
****************************************
আহা, বায়স্কোপ ! কতকিছুই হারিয়ে গেছে, জীবন থেকে। আবার নতুন কত কিছুই যোগ হয়েছে। এই যেমন,'সচলায়তন'।
হ্যাঁ, এটাই এখন আমাদের নতুন 'বাইস্কোপ' - কি বলেন?
****************************************
আমাদের পাড়ায় হোমসার্ভিসে নাপিত ছিলো না, যেতে হতো সেই আমতলী বিমলের সেলুনে। রুটি কিনতেও যেতে হতো দোকানে। ওরিয়েন্ট ব্রান্ডের পাউরুটির স্বাদ মুখে এখনও আছে।
---জিপসি
লেখাটা মনের গভীরে কোন এক কোণে বড্ড বেদনাভাব জাগিয়ে গেল।
এ বেদনা এক মধুর বেদনা, অতীত হল আমাদের জীবনের একমাত্র মৃত উপাদান যার সুগন্ধ কখনো ফুরায় না।
---জিপসি
কালের গর্ভে কত কিছুই হারিয়ে যায়...
চানাচুউউউউউউরররররররররররর এর সাথে সাথে মনে পড়ে গেল আমাদের পাড়ায় সন্ধ্যা বেলা ডেকে যেত “হট পেটিস্”।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
হট পেটিস পাড়ার দোকানে বিক্রি হতো। টিনের কালো বাক্সের ভিতর সারাদিন জ্বলত ফিলিপস বাতি, গরম থাকতো পেটিস আর ডানিস নামের এক গোলাকার চিনিযুক্ত আইটেম। পেটিসের ভেতর পেঁয়াজ মেশানো তরকারি ছাড়া আর কিছু মিলত কি?
---জিপসি
ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ।
এই ফেরিওয়ালাদের সবসময় মনে হতো ম্যাজিশিয়ান। ধন্যবাদ তাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
ফারাসাত
আমার ছেলেটা বড় হচ্ছে এই দূর প্রবাসে, ফেরিওয়ালা জিনিষটা কি তো তাই তো জানেনা এখনও। মনটা খারাপ হয়ে যায় মাঝেমাঝে।
......জিপসি
নতুন মন্তব্য করুন