গ্রাম প্রধান একটি দেশের গ্রাম্য সমাজ ব্যবস্থা যে কতটা শক্তিশালী ও ঐতিহ্যবাহী হতে পারে তা আইভরি কোস্ট না দেখলে এতটা কাছ থেকে উপলব্ধি করা হত না। ঐতিহ্যগত ভাবেই প্রতিটি গ্রামে আছে একজন গ্রাম প্রধান যাকে বলা হয় ভিলেজ সেফ।এই সব গ্রামে কোন প্রয়োজনে গেলে আপনাকে শুরুতেই শরণাপন্ন হতে হবে এই সেফের। এই ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো কাছে গিয়ে সেই প্রয়োজন জানালে আসলে কোন লাভ নেই। বয়স্ক এবং বুদ্ধিদীপ্ত এসব সেফদের দেখলে শ্রদ্ধায় অবনত না হবার কোন কারণ নেই।
(নব্বই ঊর্ধ্ব বয়স্ক একজন ভিলেজ শেফ ও পাশেই বসা স্পোক্সম্যান)
প্রত্যেক গ্রামের এই ভিলেজ সেফের একজন স্পোক্সম্যান বা মুখপাত্র থাকে। কিছু বলতে চাইলে স্পোক্সম্যান প্রথমে আপনার কথা শুনে তারপর তা লোকাল ভাষায় অনুবাদ করে করে দেয় সেফের কাছে। আবার সেফ কিছু বলতে চাইলে সে তা তার সেই স্পোক্সম্যানের মাধ্যমেই আপনার কাছে পৌঁছে দেবে। আমি এমনও সেফ দেখেছি যার বয়স নব্বই এর ঘরে। অথচ তা বলে তার নিজস্ব আদেশ নিষেধের প্রতি কারো যে কম শ্রদ্ধা তা কিন্তু নয়। এখনও এই বয়সে তারা চালিয়ে যাচ্ছে সকল বিচার কাজ।
এদেশে একটা জেলাকে বলে প্রিফেকচার আবার উপজেলাকে বলে সু প্রিফেকচার। জেলা প্রশাসককে বলা হয় প্রিফেকট আর উপজেলা প্রশাসক হল সু প্রিফেকট। কোন একটি প্রিফেকচারের অধীনে কোন গ্রামে যদি কোন ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটে তবে প্রথমেই যে ব্যক্তির কাছে যাওয়া হবে তিনি হলেন ভিলেজ সেফ। তার নিজস্ব মতামতের অনেক দাম এখানে। ঘটনার বিষয়ে তিনি যে রায় দেবেন প্রিফেকট অথবা সু প্রিফেকট অধিকাংশ সময় তা সহসায় মেনে নেন। এটাই আসলে এখানকার রীতি।
স্থান ভেদে এই রীতির কিছুটা তারতম্য ঘটলেও আসলে মূল বিষয়ের সাথে কারো দ্বিমত থাকেনা। গ্রামের যে কোন ব্যক্তি অথবা সমষ্টিক স্বার্থের ক্ষেত্রে এরা আসলে সবাই এক। এখানে বড়দের প্রতি ছোটদের শ্রদ্ধা বা সম্মান বোধ প্রবল।
(গ্রাম্য শালিস)
কোন সামাজিক বিচার অথবা ধর্মীয় কোন রীতি পালনের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে অগ্রাধিকার দেয়া হয় বয়োজ্যেষ্ঠদের । ধরা যাক কোন একটি অনুষ্ঠান বা বিচার কাজের জন্য বেশ কিছু চেয়ার আনা হল অনেক জায়গা থেকে জড়ো করে। নিয়মানুযায়ী সেই চেয়ারের প্রথম সারীতে প্রথমে বয়স্ক ব্যক্তিরাই বসবেন। তারপর ক্রমানুসারে একেবারে পেছন সারিতে স্থান পায় তরুণেরা।
কোন একটা মিটিং হলে সেখানে ভিলেজ সেফের যে গুরুত্ব বা মূল্যায়ন তা আসলেই চোখে পড়ার মত। নানা কারণে বিভিন্ন ট্রাইবের মধ্যে মারামারি অথবা রক্তপাত খুব সাধারণ একটা বিষয় এদেশে। অথচ এইসব বিষয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান দেন সেখানকার বয়োজ্যেষ্ঠরাই। আবার একইভাবে তাদের কথায় একটা শান্তিপূর্ণ সমাধানেও পৌঁছে যায় যুবকরা। এই যে একটা গ্রাম তথা সমাজের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, একজন আর একজনের প্রতি আস্থা আর বিশ্বাস তা সত্যি অনুকরণীয়। এখানে বয়সের ব্যপার অথবা বুড়ো হয়ে গেছে বলে সেফের নিজস্ব কমান্ডের প্রতি অন্য কারো বিন্দুমাত্র অবহেলা গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রাম ভিত্তিক বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান কেবলমাত্র এই ভিলেজ সেফই দিয়ে থাকেন।
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ টানবো আর তা হল খেলাধুলা। আইভরি কোস্টে খেলাধুলার যে কালচার বিশেষত ফুটবল যে এতটা জনপ্রিয় তা না দেখলে উপলব্ধি করা কঠিন। প্রতিটা গ্রামে আর কিছু না থাক ছোট হলেও অন্তত ফুটবল খেলার একটা মাঠ সহসায় চোখে পড়বে।
(ফুটবল প্রতিযোগিতা)
নানা বয়সের ছেলেরা বিকাল হলেই মাঠের দিকে হুড়মুড় খেয়ে পড়ে। ছোট গোল বারে নানা বয়সী ছেলেরা হালকা ড্রিবলিং করে ছুটে যাচ্ছে মাঠের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। বিভিন্ন বয়সের ছেলেদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা গ্রুপ।
(প্রচণ্ড ধুলার মাঝেও থেমে নেই ছোট গোল বারে অনুশীলন)
(মাঠে জায়গা নেই তাতে কি পিচ ঢালা রাস্তা আছে না)
বিকাল হলেই তারা নির্দিষ্ট দলে বিভক্ত হয়ে শুরু করে দেয় ফুটবল খেলা। আমি অনেক জায়গায় মেয়েদেরকেও বিকালে ফুটবল খেলতে দেখেছি।
এদেশের যুবকদের কাছে অনুপ্রাণিত করার মত একটা চরিত্র হচ্ছে দিদিয়ের দ্রগবা।
(ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
সে ছাড়াও রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা আয়া তুরে ও তার ভাই কোল তুরে , সেভিয়েলাতে খেলা রোমারিক, আর্সেনালে খেলা ইমানুয়েল এবু এরকম নামকরা বিশ্বনন্দিত অনেক ফুটবলার ।
( দেশের প্রায় সব জায়গার বিলবোর্ডে ম্যান সিটির আয়া তুরে)
(বিল বোর্ডে পিছিয়ে নেই জাতীয় দল)
(ম্যান সিটিতে খেলা তুরে ব্রাদার-ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)
( একসময় আর্সেনালে খেলা ইমানুয়েল এবু- ছবিটি নেট থেকে সংগৃহীত)
(রোমারিক- ছবিটি নেট থেকে সংগৃহীত)
খেলার জন্য খুব কমন এক জোড়া জুতা পায়ে দেয় এখানকার ছেলেরা যা দ্রগবা স্যান্ডেল নামে পরিচিত। এই স্যান্ডেলের রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার। এটা দিয়ে একাধারে চলে মাঠে কাজ, পায়ে হেটে চলা সহস্র মাইল পথ, চলে বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিধান আর বাড়তি সুবিধা হিসেবে ব্যবহার হয় ফুটবল খেলার বুট হিসেবে। একই জুতার এতগুলো ব্যবহার আসলে পৃথ্বীর অন্য কোন দেশে খুঁজে পাওয়া ভার।
(দ্রগবা জুতা পায়ে চলছে ফুটবল খেলা)
(এই জুতা পায়ে চলে মাঠের কাজও)
ফুটবল এদের কাছে অনেকটা সাধনার মত। ছোটবেলা থেকেই নিজেকে একজন ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলার সাধনায় লিপ্ত থাকে এখানকার অধিকাংশ তরুন। সবাই হতে চাই দ্রগবা অথবা তুরে । আর সে কারণেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শারীরিক বিভিন্ন কসরতে মত্ত থাকে এখানকার তরুণেরা।
(অনুশীলনে মত্ত)
বিভিন্ন বয়সী তরুণদের ঢল নামে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায়। কেউ আনমনে দৌড়ে চলেছে মাইলের পর মাইল, কেউ আবার কোন গ্রুপের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম। ফিজিক্যাল ফিটনেসের ব্যপারে এদের উদ্বিগ্নতা দেখলে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। সেই অল্প বয়স থেকে এরা যেভাবে শারীরিকভাবে সচেতন তা আসলে চোখে পড়ার মত। এখানকার একজন সামান্য সিকিউরিটি গার্ড থেকে শুরু করে যে কোন পেশার মানুষের জন্যই ফিজিক্যাল ফিটনেস একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সকল কাজের পাশাপাশি দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা থাকে শারীরিক কসরতের কাজে।
(কোন এক হাইওয়েতে অনুশীলনে ব্যস্ত এক তরুন)
এদেশে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা আসলেই কম। সামাজিক সমস্যা বলতে আমি বোঝাতে চাইছি চুরি, ডাকাতি, খুন খারাবী, ধর্ষণ। সামাজিক বৈষম্য এখানে সেইরকম চোখে পড়ার মত না। শ্রেণী বৈষম্য এখনও সেভাবে আঁকড়ে ধরতে পারেনি এখানকার সমাজ ব্যবস্থাকে। একজন ধনী আর একজন গরীবের মাঝে দুস্তর কোন ফারাক নেই অন্তত তাদের একে অপরের আচরণের ক্ষেত্রে। বেকারত্ব এখানে আছে তবে নেই খাদ্যাভাব। আর যে কারণেই সামাজিক সমস্যা সেভাবে স্থান পায় না এদের দৈনন্দিন জীবনে।
একজন ধনী আর একজন গরীবের মধ্যে পার্থক্য হতে পারে কেউ পাজেরো চড়ছে কেউ চড়ছে বাইসাইকেল, কেউ পাকা অট্টালিকায় থাকে কেউ থাকে মাটির ঘরে, কেউ শিক্ষার দিকে বেশী অগ্রসর, কারো এই ব্যপারটাতে রয়েছে কম আগ্রহ, কেউ আবিদজানে কোন একটা ভালো রেস্টুরেন্টে খরচ এফরট করতে পারে, কেউ মান শহরে কোন একটা ছোট রেস্টুরেন্টে খায় । কিন্তু মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষমতা কম বেশী সবারই সমান। খাদ্য, বাসস্থানের অভাব এখনও শুরু হয়নি। সুযোগের অভাবে শিক্ষা একেবারে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারেনি, চিকিৎসা সুবিধা এখনও অপ্রতুল। যুদ্ধ বিগ্রহ, জাতিগত সংঘাত আর পশ্চিমা প্রভাব না থাকলে দেশটির অনেক দূরে যাবার মত যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে।
সবকিছুর পরেও যে দিকটি খুব ভালো লাগে তা হল একটা খেলাধুলার সংস্কৃতির স্রোতে তরুন সমাজের অবগাহন। বিশেষ করে ফুটবলের প্রতি এদের যে প্রেম তা যে কোন ফুটবল প্রেমী দেশকে ছাড়িয়ে যাবার মত। এদের খেলা দেখলে খুব মনে পড়ে সেই ছোটবেলার কথা। এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টের কথা। কি একটা সময় পার করেছি আমরা। আমাদেরও ছিল পাড়ায় পাড়ায় এই খেলাধুলার সংস্কৃতি। কিভাবে বল কাটিয়ে ,কয়টা ডজ দিয়ে ভালো ডিফেন্ডার ঝনটুকে পরাহত করে নেটের মধ্যে জড়িয়ে দেব বল এই চিন্তায় রাতের একটা সময় পার হয়ে যেত। পরদিন বিকাল বেলা একটু আগে ভাগে গিয়ে মাঠে পৌছুতে পারবো কিনা অথবা কোন দলে পড়লে গোল দেয়ার সম্ভাবনা বেশী এসব চিন্তায় অনেকটা ব্যস্ত থাকতো নরম মগজ। বিকাল হলেই ছুটে যেতাম খেলার মাঠে। পাড়ার বড় ছোট মিলে একই মাঠে ছুটে যেতাম এই মাথা থেকে ওই মাথা। হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে দৌড়ে ছুটে আসতো সতীর্থরা। এভাবেই গড়ে উঠেছিল পারস্পরিক সখ্যতা -একটা শক্ত বন্ডেজ। আইভরি কোস্টের বিভিন্ন গ্রামে অথবা শহরে গেলে এলাকা ভিত্তিক , গ্রাম ভিত্তিক এই বন্ধন এখনও মন কেড়ে নেয়।
খুব মায়া হয় এদেশের মানুষের জন্য। এত ভালো একটা দেশ , এত সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা অথচ পশ্চিমা থাবার কাছে একেবারে নতজানু হয়ে আছে এই দেশ।
অমি_বন্যা
আইভরি কোস্ট নিয়ে অন্যান্য লেখা
১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44877
২। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45337
৩। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45569
৪। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45698
৬। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46302#comments
৭। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46490#comments
৮। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46626#comment-554805
৯। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46795
১০। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/47017#comments
১১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/47388#comments
আমার অন্যান্য লেখা
১২। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44739
১৩। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44952
১৪। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44581
১৫। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/47237
১৬। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/47275#comments
১৭। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44652
১৮। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45000#comments
১৯। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44244
২০। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45282#comments
২১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44326
২২। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45282#comments
২৩। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44899#comments
২৪। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45370
২৫। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45149
২৬। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46538#comments
২৬। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44786
২৭। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46669#comments
মন্তব্য
হাচল করার দাবি করছি।ভালো লেখা।
তোমাকে
অমি_বন্যা
প্রথম ছবিটার খেলা এখন প্রায় নিয়মিত খেলি ঢাকায়- আসল মাঠ মেলা আর ওয়াজ মাহফিল এর দখলে
আসল মাঠ মেলা আর ওয়াজ মাহফিল এর দখলে
ঠিক বলেছেন দাদা।
মন্তব্যের জন্য
লেখায় । কাসিয়াপলু গ্রামের বাচ্চাদের সাথে একবার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেছিলাম। ওটি ছিল এখানে আমাদের প্রথম খেলা। বাচ্চাগুলো আমাদের ১৯ গোল দিয়েছিল, আমরা দিয়েছিলাম ৩টা। আমি ছিলাম গোলকী !!
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
১৯ বনাম ৩?
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
গোলকী না বলে ভালো বাংলায় বলেন আপনি ছিলেন গোলরাক্ষস।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গোলরাক্ষস।
বেশ লিখেছেন। এই বৃদ্ধদের সম্মানীয় পদে বসানোর রীতিটা তো আমাদের দেশেও আছে।
আমাদের আগে ছিল এখন কিন্তু সেভাবে নেই কৌস্তুভ দা।
আমি খুব বেশি পুরানো পাঠক না, কিন্তু অতিথি লেখক হিসাবে একজনের ৩০ টা পোস্ট সচলায়তনে দেখি নাই। এই রেকর্ড শচীন টেন্ডুলকারও ভাঙতে পারবে না। অভিনন্দন
অনেক হাসালেন ইয়াসির ভাই।
আপনার এই সিরিজটা খুব ভালো লাগছে।বাংলাদেশের বহু গ্রামে এই রকম সালিশ ব্যবস্হা এখনও চালু আছে।মুরুব্বিদের পোষাক তো দেখছি মাদ্রাসা ছাত্রদের মতো।
যুমার।
লেখা ভাল লাগল অমি ভাই।
বোঝা যাচ্ছে আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা অনেক ভাল, আইভরি কস্টের অনেক খুঁটিনাটি জানতে পারলাম আপনার সুবাদে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপ্নাকে আপু। ভাল থাক্ববেন।
সিরিজটা আমার বেশ ভালো লাগে, চালাতে থাকুন।
আপনি আমার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন- আমি হাচল হয়েছিলাম যতদুর মনে পড়ে ২৩ নাম্বার লেখায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চালু আছে রাত দা । দেখি আমার নাম্বার কবে আসে
আপনার এই সিরিজটা খুব ভালো লাগে। আফ্রিকা নিয়ে জ্ঞান শুন্যের কোঠায় বলে হয়তো (আগেও বলেছি মনে হচ্ছে)|
দাবি জানালে কিছু হয় কী না জানি না, তবু আপনাকে হাচল করার দাবি জানিয়ে গেলাম.
আপনার ভাল লাগা আর মন্তব্যের জন্য কালো কাক। ভাল থাকুন সব সময়।
আপনার দাবির জন্য
আপনার হবে বস। চলুক, চলুক
ডাকঘর | ছবিঘর
কি হবে বস!? । চলছে চলবে তাপস দা। ভাল থাকুন সবসময় ।
চলুক, চলুক।
চলছে । মন্তব্যের জন্য অনেক দাদা।
নতুন মন্তব্য করুন