রাজশাহীর অনন্য প্রাকৃতিক শোভা, পুঠিয়া।
প্রিয় রাজশাহী,
শুভ নববর্ষ। আশা করি ভালো আছো। আমিও ভালো। তবে কি জানো তো, বোলোনিয়াতে ক'দিন হল সূর্যেরই দেখা নেই। আকাশ ধুসর হয়ে থাকে সর্বক্ষণ, কেমন দম বন্ধ হয়ে থাকা প্রকৃতি। প্রকৃতির সাথে আমাদের মানবমনের কি অদ্ভুত সম্পর্ক দ্যাখো, যেদিন যেদিন প্রকৃতি এমন গম্ভীর হয়ে থাকে সেদিন নাকি আমার মুখের দিকে তাকানো যায়না, এখানে আমার কলিগরা তেমনই তো বলে। শুনেছি, তোমার ওখানে নাকি আরও ভয়াবহ অবস্থা, বাঁধন বলল গত বুধবার নাকি ৪ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল তোমার শহরের তাপমাত্রা? এইটা কি কিছু হল,বল? তোমার খরের চালায়, টিনের ঘরে, মাটির বাড়িতে উত্তাপের জন্য গরম লেপ কি আছে ঘরে ঘরে পর্যাপ্ত পরিমানে? সংগ্রামী মানুষগুলো কি কষ্টেই না দিনযাপন করছে! তোমার নাগরিকরা, তোমার শহরের শিক্ষার্থীরা নিশ্চয়ই বসে নেই, নেমে পড়েছে রাস্তায় অসহায় মানুষদের সহযোগিতা করার জন্য। তোমার দুশ্চিন্তা কি, তোমার শহরে নতুন যৌবনের দূত তো সদা প্রস্তুত, তোমার শহর তো তাঁদের উদ্দীপিত সঙ্গীতে সদা মুখর। তারা নিশ্চয়ই বেরিয়ে পড়েছে, কড়া নাড়ছে ঘরে ঘরে, সংগ্রহ করছে গরম কাপড় আর তাঁর বিলি বণ্টনের সুষ্ঠু ব্যাবস্থা করছে!
ইতালির বোলোনিয়া শহরের সাথে এসব ব্যাপারে তোমার কি অদ্ভুত মিল! এই শহরও যে তোমার মতই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক শহর। এখানেও যখন বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকে তখন শিক্ষার্থীদের কলকাকলিতে সরব হয়ে থাকে শহরের রাস্তাঘাট, হাটবাজার, খেলাধুলা আর বিনোদন কেন্দ্রগুলি। আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায় শহরকে মনে হয় শ্মশান ভূমি। এখানেও শিক্ষা কেন্দ্রগুলি রীতিমতন বিস্ফোরণ কেন্দ্র। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ এবং মিছিলের ঢেউ ওঠে মুক্তিকামী শিক্ষার্থীদের মাঝে যখনই স্থানীয় কিংবা বৈশ্বিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এখানে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন আবাসভূমির জন্য শিক্ষার্থীরা একজোট হয়, এখানে মিডিয়ায় নারীকে পন্যরূপে উপস্থাপনের বিরুদ্ধে বারলুস্কোনির কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরানো হয়, এখানে সারা বিশ্বের আদিবাসীদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে মিছিলের ঢেউ বয়ে যায়, আবার এখানে ব্যাঙ্ক বীমাগুলির অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ আদায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা অভিনব পন্থায় নগ্ন হয়ে আন্দোলনের পথ বেছে নেন।
দেখ রাজশাহী, তোমার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষে পড়া মনির সংসার এবং লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য অবসরে ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছে, তাঁর জন্য গর্বে আমাদের বুকটা কত চওড়া হয়ে যায়। মনির কি বলেছে দেখ, "রাজশাহীতে নবম-দশম বা একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র- ছাত্রী প্রাইভেট পড়ালেও মাসে দুইশ টাকার বেশি পাওয়া যায় না। কাজ তো কাজই। আমি তো আর চুরি-ছিনতাই করছি না। এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমটা একটু বেশিই হয়। কিন্তু সৎ পথে থেকে কম সময়ে এত টাকা আয় করার অন্য কোনো উপায় আমি পাইনি।এই কাজটি কখনোই আমার খারাপ লাগেনি।" মনির ঢাকায় রিকসা চালিয়ে দৈনিক গড়ে হাজারখানেক টাকা উপার্জন করেন। এরপরও মনিরের আক্ষেপ যে তিনি শুধু টাকার অভাবে বোনদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অনার্স’ পড়াতে পারেননি। বাধ্য হয়ে এখন তারা বাড়ির পাশের কলেজে ‘ডিগ্রি’ পড়ছেন। আজকাল শর্টকাট আত্মোন্নয়নের খাতিরে কত শিক্ষার্থী রাজনীতির পঙ্কিল যাত্রায় নিজেদের শামিল করছেন, বাড়িয়ে চলেছেন তাঁদের বিত্ত,বৈভব। শিবির তো অল্পবয়সী কচি ছাত্র ছাত্রীদের পরজন্মের ভয় দেখিয়ে, চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রথম বর্ষ থেকেই তাদের দলে ভেড়ানোর তৎপরতা জারি রেখেছে। এইসব ছেলেমেয়েরা কি রুবেল কে দেখেও কিছু শিখতে পারেনা? এই অকুতোভয় রুবেল, এই অপরাজেয় রুবেলরাই তো তোমার শক্তি, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। শিবিরে ভর্তি হবার জন্য যারা নিজেদের প্রস্তুত করছে, উন্মুখ হয়ে উঠেছে তাঁদের তো লজ্জা পাওয়া উচিত রুবেলের জীবনযাত্রা পাঠ করে। আধুনিক, বিজ্ঞান মনষ্ক রাষ্ট্র গড়ে তোলার পরিবর্তে মধ্যযুগের অন্ধকারে প্রবেশ করার রাজনীতির পাঠ কেন নেবে এই একবিংশ শতকের সংগ্রামী ছেলেমেয়েরা? ডক্টর জাফর ইকবাল কি চমৎকার করেই না লিখেছেন আমাদের মনের কথাগুলি, এইসব পড়ে তোমার শিক্ষার্থীরা কি কোনও পাঠই নেবেনা কোনদিন?
তোমার শহরে এইতো কিছুদিন আগেই রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের কণ্ঠশিল্পী বাছাইয়ের প্রতিযোগিতা হয়ে গেল, শুনলাম বাছাই পর্বে মাত্র সাতজন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। অবাক হবার কোনও সুযোগ নেই কেননা প্রতি বছর এই সংখ্যাটাই নাকি এখন স্ট্যান্ডার্ড। যে হারে সব টিভি মিডিয়া সেরা কণ্ঠশিল্পী নির্বাচনে মাঠে নেমেছে, তাতে এই সংখ্যাটা আসলে খুবই স্বাভাবিক। বিজ্ঞাপনের ঝা চকচকে মোড়কের আড়ালে শুদ্ধ সঙ্গীতের চর্চা কি হারিয়ে যাবে? অথচ রাজশাহীর এই শুদ্ধ সঙ্গীতের ধারাবাহিকতা নিয়ে আমরা কত গর্ব করি সবসময়। রাজশাহীতে আছেন উস্তাদ রবিউল ইসলামের মতন যোগ্য উস্তাদ, রাজশাহীতে আছেন সুরসাধক অমরেশ রায়চৌধুরী, রাজশাহীতে সঙ্গীত সুধা বিনিময় করে চলেছেন উস্তাদ মঞ্জুশ্রী রায়; উস্তাদ শামসুজ্জামান, রাজশাহীতে আছেন আমাদের সকলের প্রিয় নিবেদিতপ্রান রবিনদা । তাঁদের গুনগ্রাহির সংখ্যা কিন্তু কম নয় মোটেও। নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা তাঁরা জাগিয়ে রেখেছেন এখনও, কিন্তু শিক্ষার্থী সংখ্যা সেই তেমনই আছে যা ছিল এক যুগ আগে। কিন্তু আর কতদিন তাঁরা বয়ে নিয়ে যাবেন এই তরণি, তাঁদের যোগ্য উত্তরসাধক কি রয়েছে তোমার পর্যাপ্ত পরিমান? এইসব শঙ্কার কথা ভাবলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। রবীন্দ্র সঙ্গীত পৌঁছে যাবে বাংলার ঘরে ঘরে-এই আশা করাটা কি তবে ভুল ছিল? যে দেশে ছায়ানটের মত প্রতিষ্ঠান মহীরুহের মতন বেড়ে ওঠে, সে দেশে শুদ্ধ সঙ্গীতের বিকাশে কেন এতো সংগ্রাম? তোমার শহরে তোমার গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রবীন্দ্র সঙ্গীত শিখবে, নজরুলের গান গাইবে, বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, বিদ্যমান সমাজ ব্যাবস্থা, অর্থনৈতিক কাঠামো, অন্ধ ধর্মবিশ্বাস -সবকিছুকে চ্যালেঞ্জ করতে শিখবে শৈশব, কৈশোর থেকেই- এমনটাই তো কাম্য। মাদ্রাসায় ধর্ম শিক্ষার জন্য তো তাঁদের জন্ম হয়নি, চ্যানেল চ্যানেলে শর্টকাটে তারকা হওয়াটা তো তাঁদের গন্তব্য হতে পারেনা।
গেল বছরের আগস্ট মাসে তোমার তাহেরপুর এলাকায় গিয়েছিলাম। পুঠিয়া থেকে অনতিদূরেই তাহেরপুর পৌরসভা। তাহেরপুর জমিদারবাড়ি এখন কলেজ। আমার যাবার মূল উদ্দেশ্য তো তুমি জানোই। তাহেপুরের জমিদার রাজা কংস নারায়ন রায় এই উপমহাদেশে প্রথম দুর্গা পুজার প্রচলন করেছিলেন, সেই মন্দিরটি দেখতে। কিন্তু দুর্গামন্দিরটি তালাবদ্ধ দেখলাম, আবার দেখলাম শ্যাওলা মাখানো শরীর জুড়ে তার ডাল পালা, পাতার মেলা। ঠিক বুঝলাম না এই দুরবস্থা কিংবা অযত্নের কারণ। সেই তুলনায় কাছের কালিমন্দিরের শৌর্য বীর্য দেখে কিঞ্চিত অবাকই হয়েছি। জমিদারবাড়ির সম্মুখভাগে ছোট্ট একটা কামান দেখে বিস্ময় জেগেছে মনে, এত ছোট কামান কি সময় দাগানোর ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হত? আশেপাশে কোথাও কোনও সাইনবোর্ড নেই, পরিচিতিমূলক কোনও বর্ণনাও কোথায় পেলামনা! জমিদারবাড়ির শোভা অপূর্ব, গাছ গাছালি ঘেরা, মনোরম পরিবেশ, কিন্তু কোথাও কিছু লেখা না থাকলে কিভাবে মেনে নেব যে এখানেই হয়েছে প্রথম দুর্গাপূজার প্রচলন? সেখান থেকে পুঠিয়া হয়ে গিয়েছি তোমার আরেক প্রত্নসম্পদ "কিসমত মারিয়া মসজিদ" দেখতে। এই মসজিদ ইদানিং বেশ কৌতূহল জাগিয়েছে অনেকের মনে। বিশেষ করে মসজিদটির গঠন ভারি অদ্ভুত যা এই এলাকার অন্যান্য মসজিদের চাইতে অনেক আলাদা। কষ্টের ব্যাপার হল এটি আমার দেখা বাংলাদেশের সবচাইতে অবহেলিত একটি প্রত্নসম্পদ। বাংলাদেশের প্রত্নতাত্মিক সম্পদ অধিদপ্তরের লজ্জা পাওয়া উচিৎ এই সম্পদের ভগ্নদশা এবং এর অবহেলিত রূপ দেখে। মসজিদ তো নয় যেন মসজিদের প্রেতাত্মা, কোনমতে বিলুপ্ত হবার জন্য দিন গুজরান করছে। মসজিদটি পুরো অরক্ষিত অবস্থায় আছে, কোনও সীমানা নেই, কোনও তথ্য কোথাও উল্লেখ নেই, যেন মাটি ফুঁড়ে হঠাৎই বেরিয়ে পরেছে এই মসজিদ। ভেবেছিলাম এর ছবি তুলে জনে জনে দেখাব, মাথা হেঁট হয়ে গেছে, সত্যি! এ আমি কোন অসহায় রূপ দেখলাম তোমার, বলো?
প্রিয় রাজশাহী, ফেসবুকে তোমার সন্তান তারেক অণুর ক্যামেরায় তোলা তোমার কিছু ছবি দেখার সৌভাগ্য হচ্ছে ক'দিন যাবৎ। প্রিয় বরেন্দ্র জাদুঘর, প্রিয় পদ্মার ঘাট, বিলুপ্ত প্রায় টমটম, প্রিয় আনন্দ আপা আর উদয়ের হাস্যজ্জল মুখ, পুঠিয়ার স্থাপত্য শিল্পের অসাধারণ সব ডিটেইলস। জানোই তো, গতবার তোমার অনেকগুলি ছবি তোমাকে দেখিয়েছি, তারপরেও তোমাকে যতবার দেখি, কেন যেন নতুন লাগে। তুমি কি কখনও পুরনো হবেনা? তুমি যেন কোন রহস্যময় এক পুরনো শহর যা আবিষ্কারের নেশায় আমরা ছুটে চলেছি তোমার পথে প্রান্তরে দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, আর পেয়েছি যখন হাতেনাতে তখন তুমি যেন উদ্ভাসিত হয়েছ নব নব রূপে। ইদানিং কি হয়েছে শোনো, আমি ফিলম ফটোগ্রাফিতে খুব মাতোয়ারা হয়ে রয়েছি। এইতো গেলবার তোমার কিছু ছবি সাদা কালোতে তুলবো বলে একটা ফিলমে ৩৬টা ছবি দ্রুত তোলা হয়ে গেল। কিন্তু প্রিন্ট করবো যে, ঢাকায় সুবিধেমতন কোনও দোকানই পেলামনা, তারা সব সাদা কালো ফিলম প্রিন্ট করা বাদ দিয়ে দিয়েছে। অগত্যা এখানে এসে চড়া মূল্যে প্রিন্ট করলাম এইতো সেদিন। আজ সেগুলি জুড়ে দিলাম চিঠির সাথে, তোমার ভাল লাগলে খুশী হবো।
পরিশেষে ভালো থেকো রাজশাহী, ভালো হয়ে থেকো।
ইতি,
মনি শামিম
১) পুঠিয়ার দোলমঞ্চের ছবি ছাড়া কি তোমায় লেখা চিঠি সম্পূর্ণ হবে? এটি আমার সবচাইতে প্রিয় স্থাপনা রাজশাহীর।
২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের একই বেদিতে অবস্থিত মুর্তজা বশির কৃত অসাধারণ সেই ম্যুরাল। কত তারা ভরা রাত, শুভ্র উজ্জ্বল দিন এর সামনে কাটিয়েছি শুধু চোখ ভরে একে দেখব বলে, মুর্তজাকে ঢাকায় এই ম্যুরালের কথা জিজ্ঞেস করতেই উনি স্মিতহাস্যে জানতে চান, "অনেকদিন যাইনা রাজশাহীতে, কি হাল আমার কাজের এখন, মানুষ দ্যাখে ট্যাখে তো?"
৩) অনন্য শহীদ মিনার। তোমার এই ছবিটি তুলতে গিয়ে আমাকে মিনারের মুল বেদির পাদদেশে খালি একটি জায়গায় নেমে তুলতে হয়েছে। শুনেছি, শহীদ মিনারের চারটি পিলার নাকি চারটি হাত, আকাশের দিকে বাড়ানো, পুরো শহীদ মিনারটি দেখলে এমন চিত্র কল্পনায় আনা মুশকিল হলেও এই ছবিটিতে তা অনুমান করে নেয়া কষ্টকল্পিত নয়, তাইনা?
৪) আমাদের শহীদ মিনারটি বাইরে থেকে এমন, শহীদ মিনারের সাথে আমাদের স্মৃতির তো কোনও শেষ নেই, আবার পাশের রাঃবিঃ মিলনায়তনটাও দেখা যাচ্ছে বেশ।
৫) শহীদ মিনারের ঠিক উলটোদিকেই রাঃবিঃ কেন্দ্রীয় মসজিদ। মসজিদটির নির্মাণ শৈলীও অপূর্ব।
৬) ঐতিহাসিক ধর্মসভা, রাজশাহী। এখানে এখন কারিগররা মাটির দেব দেবী নির্মাণে ব্যাস্ত থাকেন। আমরা ছবি তুলতে চাইলে উনারা কত আগ্রহ সহকারে আমাদের অনুমতি দিলেন। মনসা পুজোর আগের দিন, আমি আর আলোক ভেবেছিলাম থরে থরে মূর্তি সাজানো থাকবে, গিয়ে দেখি একটিও নেই, সব শহরে কিংবা আশেপাশের জায়গায় বিলি বন্টন করা সারা। পড়ে রয়েছে পুরনো কিছু অবিক্রিত এবং অসমাপ্ত দেবীগণ।
৭) পুঠিয়ার মন্দিরগুলির কথা তো একাধিকবার বলা হয়েছে। অসামান্য মন্দিরগুলি সাদ কালোতে কেমন লাগে তাই দেখতে চেয়েছিলাম স্বচক্ষে।
৮) চাঁপাই নবাবগঞ্জে গিয়েছিলাম বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেখানে কন্যা তাঁর এক কাজিনকে ধরে এনে ছবি তুলতে বলায় তা করা হল। পেছনে দেয়ালের গায়ে চুলায় আগুন ধরানোর জ্বালানি হিসেবে গোবরকুণ্ডলী সাজিয়ে রাখা হয়েছে বাড়ির দেয়ালে ।
৯) তাহেরপুর জমিদারবাড়ি। এটি এখন কলেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে। পুরো জমিদারবাড়ি অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভায় আচ্ছাদিত। কিন্তু জমিদারবাড়িটি অঙ্গসৌষ্ঠব তেমন একটা আকর্ষণীয় মনে হয়নি আমার।
১০) জমিদারবাড়ির ভেতরে দুর্গা মন্দির সেদিন তালাবদ্ধ ছিল। এখানেই নাকি রাজা কংস নারায়ন উপমহাদেশের প্রথম দুর্গাপূজা প্রচলন করেছিলেন। এখানে কোনও সাইনবোর্ড আমার চোখে পড়েনি। ভেতরে ঢোকার সুযোগ ছিলনা কিন্তু ভেতরটা এত অবহেলিত কেন সেইটা বুঝতে অপারগ হয়েছিলাম। তবে কি এইটা সেই মন্দির নয়? নাকি প্রথম দুর্গাপূজার ইতিহাস পুরোটাই মিথ?
১১) তাহেরপুর জমিদারবাড়ির পেছনেই শিব মন্দিরটি তুলনামুলকভাবে অনেক যত্ন সহকারে রক্ষিত।
১২) দুর্গাপুরের কিসমত মারিয়া মসজিদ। মসজিদের নাম মারিয়া হতে পারে, এ আমার বিশ্বাসই হচ্ছিলনা। বিপুল কৌতূহল মেটানোর জন্য একাই রওনা দিয়েছিলাম এর পানে। গিয়ে দেখি একটা ভগ্নপ্রায় স্থাপনা কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে। এটা কি প্রত্নসম্পদ? চমৎকার এই মসজিদের গঠন, কিন্তু কোনও যত্ন নেই, সবখানে কেবল অবহেলার চিহ্ন।
১৩) পুঠিয়ার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
১৪) শিব মন্দিরের উপরিভাগ, আরেক দফা যুক্ত করলাম।
মন্তব্য
এগুলো বেশিরভাগই স্ক্যানড ছবি, না? স্ক্যান করলে একটু ঔজ্জ্বল্য কমে যায়, আপলোড করার আগে খানিক কনট্রাস্ট ঠিক করে নিলে ভালো হত।
শহীদ মিনারের ছবিটা রঙিনেই দেখতে ভালো লাগছিল, নীল-সাদার খেলা।
সাদা-কালো ছবিগুলোয় একটা ফ্লেভার আসছে যেন বাবাদের সময়কার তোলা ছবি
সেটা মন্দ না, কিন্তু যখন ডকুমেন্টিং বা আর্কাইভিং করছেন তখন বাড়িগুলোর রঙও তো ডকুমেন্ট করে রাখা ভাল, তাই না?
ঠিক ধরেছ কৌস্তুভ, ছবিগুলি স্ক্যান করেছি আমার ক্যানন স্ক্যানার দিয়ে। ছবি তোলা থেকে শুরু করে সচলে পোস্টখানা দেয়া পর্যন্ত এই যাত্রাটা বেশ রোমাঞ্চকর হয়েছে। মনে থাকবে অনেকদিন। যেদিন প্রিন্টগুলি দেয়ার কথা, তার আগে দুইদিন দোকানে গিয়েছি প্রিন্ট হয়েছে কিনা জানতে। দোকানি বলছে প্রিন্ট তো আগামীকাল দেয়ার কথা, আজ কি কত্তে এয়েচ? ও আর কি জানে, সাদা কালোতে এই প্রথম ছবি তোলা হল! ও কি জানে ২২ ইউরো খসাতে কি আর্থিক দুর্যোগের ভেতর আমাকে পরতে হবে! ও কি জানে প্রিন্ট করার পর আমাকে স্ক্যান করতে হবে, ফ্লিকআরে দিতে হবে, সচলে পোষ্টাতে হবে? দুরুদুরু বক্ষে, অনেক অনুভূতির দরোজা ভেদ করে এই ছবিগুলি বিনিময় করছি কৌস্তুভ তোমাদের সাথে। এই আবেগ অমূল্য। এখানে আলো, কন্ট্রাস্ট, রঙ সব সেকেন্ড প্রায়োরিটি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই শ্রম আর ঘামের মিশেলের কারণেই বোধহয় ফিলমে আরও ছবি তোলার আগ্রহটা জেগে থাকল। আরও বলি ৩৬ খানা ছবির মধ্যে ২৪ টিই মোটামুটি পাতে দেবার মতন হয়েছে।
সাদা কালো ছবির ভেতর কেমন এক টাইম লেস ব্যাপার আছে, তোমার এমন মনে হয়না? তুমি ঠিক বলেছ, ডকুমেন্টিং এর সময় রঙটা থাকলে তাতে সুবিধে হয়, কিন্তু যখন আমার ছবি তোলার উদ্দেশ্য শুধু আর্ট কিংবা অন্যকিছু, ডকুমেন্টেশন নয়, তার বেলা?
-মনি শামিম
প্রথমতঃ রাজশাহী'কে লেখা চিঠি মন ছুঁয়ে গেল। যেন নিজের সাথে নিজেই কথা বলা... আরও দেখতে চাই রাজশাহীকে
০২
ফিল্মে তোলা এবং স্ক্যান করা বলে ছবিগুলির ঔজ্জ্বল্যে খানিকটা প্রভাব পড়লেও আবেদন অটুট আছে
০৩
বাংলাদেশে যখনই যাব একবার নদীমাতৃক রাজশাহীতে অবশ্যই যেতে হবে
০৪
আপনার হাচল হবার সময় চলে এলো বলে। মডুদের কাছে এই দাবি ঠুলে গেলাম
ডাকঘর | ছবিঘর
রাজশাহী তো আপনাকে আসতেই হবে তাপস। আমিও ফিরে যাচ্ছি এই আগস্ট মাসে। অবশ্যই আসবেন সেই সময় কিংবা তার পরে। হাচল কিভাবে হতে সেটা মনে হয় মডুদের ব্যাপার। যতক্ষণ আমার লেখাগুলি তাঁরা প্রকাশের যোগ্য মনে করছেন, আমি খুশী।
-মনি শামিম
-মনি শামিম
পুরাই ঘিরে লিলেন দেখছি... জব্বর হয়েছে ফটো আর লেখা
বুলছেন?
মন্তব্য লিখলে নামটাও দিয়েন কিন্তু এর পরেরবার থেকে।
-মনি শামিম
হ্যা ভাই, বুলছি। নাম দিতে ভুলে গেলছিলাম।
-- রামগরূড়
রামগরূড় নামটাও তো হেভি দিয়েছেন দেখছি, তো আপনার লেখা কই? কোথায় দেখছিনা যে?
-মনি শামিম
আপনি লোক খারাপ মনি ভাই। আগেও বলেছি এখনও বললাম।
ছবিগুলো সাদা কালো হওয়াতে বাড়তি একটা ফ্লেভার পেলাম।
রাসেল, রাজশাহীর ছবির ভাণ্ডার আমার ফুরিয়ে আসছে, এখন যে কি করি? আর যদি চিঠি লেখা না হয়? তুমি একটা লেখা দাও না? এত সুন্দর লেখো তুমি!
আর বোলোনা ভাই, সাদা কালো ফিলমে ছবি তুলতে গিয়ে তো ফকির হবার জোগাড়। ৮০০ টাকার ইলফোর্ড সাদা কালো ফিলম, ২২০০ টাকা দিয়ে ডেভেলপ সহ প্রিন্ট, আমার একদম জেরবার অবস্থা রে ভাই, তোমার ভাবী আবার যেন না জানে, জানলে আমার খবর খারাপ আছে!
-মনি শামিম
পুঠিয়া এলাকার স্যাটেলাইট ইমেজ কোয়ালিটি অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়াতেই বোধহয় বাংলাদেশী ইউজাররা ঐতিহাসিক স্থানগুলোর একটিও গুগল ম্যাপে চিহ্নিত করেননি।
স্থানগুলোর অলটিচ্যুড/ ল্যাটিচ্যুড পাওয়া যাবে মনে করে পড়তে শুরু করেছিলাম। এতো হৃদয়ছোঁয়া ভ্রমণ কাহিনী আর পড়েছি বলে মনে পড়ে না।
এইটা কেমন হল? পুঠিয়ার অবস্থান গুগল ম্যাপে দেখা যাচ্ছেনা, এই অপরাধের তো শাস্তি পাওয়া উচিৎ মশাই। কিন্তু শাস্তিটা কার প্রাপ্য?
রিপন ভাই, আমার লেখা তো পুঠিয়া নিয়ে নয়রে ভাই। আমি তো রাজশাহীকে চিঠি লিখেছি।এখানে পুঠিয়ার "অলটিচ্যুড/ ল্যাটিচ্যুড" কিভাবে পাবেন বলুন? আর ভ্রমন কাহিনী তো এটা কদাচিৎ নয়। ইয়ে,আপনি ভুল জায়গায় হানা দেননি তো?
-মনি শামিম
বিশ্বাস না করলেও সত্যি যে আপনার পোস্ট দেখেই আমার আবার অডিজিটাল ছবি তোলার খায়েস হইছে এবং এখন আমার সংগ্রহে আছে একটা নাইকন এফ ৫৫। সাথে ২৮-৮৮ লেন্স।
ছবি তোলার সাহস এখনো করে উঠতে পারছি না, তবে করে ফেলবো আশাকরি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কি বলছেন নজরুল ভাই, আপনি আপনার নিকন ৫৫ ফেলে রেখেছেন? আপনার ওপর নালত! শীঘ্রই বের করুন, ছবি তুলুন আর বিনিময় করুন আমাদের সাথে। আশা রাখি দেশে আসলে ফিলম ক্যামেরা ব্যাবহারকারীদের নিয়ে একটা গ্রুপ করে ফেলব আর মাঠে ঘাটে ছবি তুলে বেড়াবো! এত চমৎকার একটা মাধ্যম, গায়ে ধুলো মাখবে, একি সহ্য করার মতন ব্যাপার? বেশি প্যানপ্যান না করে ছবি তুলুন কালই।
- মনি শামিম
ভাল লাগল লেখা।
কয়েকটা ছবি খুব ভাল। কয়েকটার কম্পজিশান অত ভাল লাগেনি। আপনার আরেকটা পোস্টে ফাহিমের ফিডব্যাকের সাথে গলা মিলিয়ে বলি, আপনার কিছু ছবি বেশ টাইট ফ্রেমে তোলা। আরেকটু নেগেটিভ স্পেস থাকলে বোধহয় কম্পোজিশান আরও জমবে। ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি। আপনি না আমার আগের একটি লেখায় আপনার মতামত পরে বিস্তারিত জানাবেন বললেন, তারপর কই, আর এলেন না যে! যাই হোক, নেগেটিভ স্পেস এর ব্যাপারে আপনাদের মূল্যবান মতামত মনে থাকবে। পুনরায় ধন্যবাদ কবি। আপনিও ভাল থাকুন।
-মনি শামিম
হ্যাঁ জানাব চিন্তা করেছিলাম। কিছু পয়েন্টও গোছালাম মনে মনে। আর লেখা হয়ে উঠল না। পরে অনেকের আলোচনায় অনেক পয়েন্টই উঠে এসেছে। তাই শুধু শুধু আর লেখার ঝামেলায় যাইনি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কবি, আপনার ছবি কই? আপনার পর্যালোচনা এত সুন্দর যে আপনার ছবি দেখতে ইচ্ছে করছে।
-মনি শামিম
অদ্ভুত আপনার দেখার চোখ, আর তাই অদ্ভুত সুন্দর সব ছবি।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
আচ্ছা শাব্দিক, এই যে যাকে আমরা দেখার চোখ বলছি, এইটা কি প্রকৃতিদত্ত সবটুকুই? চর্চার মাধ্যমে একে শান দিলে কি পর্যবেক্ষণ শক্তিকে আরও শক্তিশালী করা যায়না? আমাদের সকলের দেখার চোখ যেমন স্বতন্ত্র, ভাবনার জগতটাও তো তেমনই বিচিত্র, এইজন্যই তো কলাজগত নানান সৃষ্টিসম্ভারে ভরপুর। আমার কাছে তো মনে হয় একজন উত্তম পর্যবেক্ষকই পারেন সহজেই অসাধারণ ছবি তুলতে, অন্যদের পক্ষে যার নির্মাণ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনার কি মত?
-মনি শামিম
অবশ্যই ভাইয়া। যে কোন কাজেই চর্চার কোন তুলনা নেই। প্র্যাক্টিস মেইক্স পারফেক্ট। কিন্তু শিল্প ব্যাপারটার মধ্যে নিজস্ব বলে ব্যাপারটা বোধহয় কিছুটা অন্য কাজের বেশি। কিছুটা ভেতর থেকে আসে। আর শিল্পকে ব্যাখ্যা করাও বোধহয় একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম। হয়ত আপনি যে দৃষ্টি দিয়ে একটা ছবি তুলছেন, আমি অন্য দৃষ্টি কোণ থেকে তা দেখছি, এমন কিছু আমার চোখে পড়ছে যা হয়ত আপনি ফোকাস করার সময় ভাবেননি। আপনার কাজ আমার প্রথম থেকে ভাল লাগছে, বলে এসছি।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ধন্যবাদ শাব্দিক। আপনার ফটুকবাজি সংক্রান্ত পুরনো কিছু লেখা গতকাল দেখছিলাম। পড়তে বেশ লাগছিল।একটা পোস্টে ছবি দেখা যাচ্ছেনা বলে একটু নিরাশ হলাম। আপনি বোধ হয় আপনার ফ্লিক আর অ্যাকাউন্ট থেকে ছবি গুলি সরিয়ে ফেলেছেন বলে এমন হয়েছে, যদিও নিশ্চিত নই। আপনি ফটুকবাজি নিয়ে আর লিখলেন না কেন শাব্দিক? ভাল হচ্ছিল তো।
আপনার কথা ঠিকই আছে। শিল্পীর সৃষ্টি একেক পাঠক কিংবা দর্শক কিংবা শ্রোতার মাঝে একেক রকম অভিঘাতের জন্ম দেয়, তাই হয়ত ব্যাখ্যা প্রদানের ক্ষেত্রেও আমরা ভিন্নতা দেখি। ফটোগ্রাফিকে তো অনেকে আর্ট হিসেবেই স্বীকৃতি দেন না। আমি যদিও তাঁদের দলে পরিনা।
পর্যবেক্ষণ শাব্দিক, পর্যবেক্ষণ। আমি শুধু এই শব্দটির প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে চাই। চর্চা নানান ভাবে হতে থাকে, যন্ত্র কুশলী হওয়াটাও তো নিরন্তর চর্চার মাধ্যমেই আয়ত্ত করতে হয়। ক্যামেরা যেহেতু একটি যন্ত্র, কাজেই তা ঠিকঠাক আয়ত্ত করাটাও চর্চার ব্যাপার, নয়কি?
এইযে আমি এখন অফিসে বসে আছি, আমার জানালা দিয়ে আমি দেখছি তুষার ঝরছে। বরফের কনা জমে আছে গাছের ডালে। আমি দেখছি হঠাটি গাছগুলি যেন এক ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। গাছের শেপ পালটে যাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে, দিনের বিভিন্ন সময় এই দৃশ্য বিভিন্ন রূপ ধারণ করছে, আমি ভাবছি কিভাবে আমি এই দৃশ্যের ছবি তুলবো। এই যে প্রকৃতিকে অবলোকন করা, পাঠ করা আর এই দৃশ্যকে আমার মত করে ধারণ করার আকাংখা, এটাই কি পর্যবেক্ষণের ফসল নয়? এই নিবিড় পর্যবেক্ষণই কি শিল্পীদের মাঝে সৃষ্টির তাড়নার জন্ম দেয়না? আমি শিল্পী নই, তবে আমার আনন্দ এই পর্যবেক্ষণে। আর এটার প্রতিই বেশি গুরুত্ব আরোপ করতে চাই, বাকি সব কিছু আমার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়না।
-মনি শামিম
বোকার মত ছবিগুলি ফ্লিকার থেকে সরিয়ে ফেলেছি, আসলে আমি একটু ননটেকি আছি। তাই পদে পদে ধরা খাই। এখন মনেও নাই কোথায় কোন ছবি ছিল যে ঠিক করে দিব।
আমার তো মনে হয় ফটোগ্রাফি এবং ম্যুভি হল এখন আর্টের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।যারা নতুন কে গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানায় তারাই কেবল ফটোগ্রাফিকে আর্ট বলবে না।
অবশ্যই, ১০০% সহমত। শিল্পীর নিবিড় পর্যবেক্ষণ থেকেই সব শিল্পের জন্ম। আর আপনিও অবশ্যই শিল্পী, যতক্ষন পর্যন্ত ফটোগ্রাফি একটা শিল্প।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
তালগাছের মাথাটা কই গেল
নতুন মন্তব্য করুন