সাওনা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০১/২০১৩ - ১০:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'সাওনা তে যাবে নাকি কাল?'
শনিবার সকালের 'ব্রাঞ্চ' খাচ্ছিলাম। তাকিয়ে দেখি হাসি হাসি মুখে মার্ক্কু দাড়িয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে মার্ক্কু-র সাথে আমার 'দ্বৈতাবাস' (দেশে থাকতে একবার এক দরখাস্তে 'দ্বৈতাবাস'-এর অনুমতি নিতে যেয়ে, 'দ্বৈতাবাস' এর জায়গায় 'সহবাস' লিখে ফেলেছিলাম, কি বিব্রতকর পরিস্থিতি!)। ফিনল্যান্ডে আমার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে 'হোস্টেল' বলতে ছোট ছোট দুইতলা কাঠের বাড়ি। এক বাড়িতে চারটা করে এপার্টমেন্ট, প্রতি এপার্টমেন্টে দুইজন বাসিন্দা। আমার সাথে থাকে মার্ক্কু। তাগড়া জোয়ান ছেলে, স্থানীয়। যে কোনো 'আজাইরা' জিনিসে আমার অযাচিত আগ্রহ দেখেই বোধ করি প্রস্তাবটা দিল। তাছাড়া মার্ক্কুকে সেদিন নারকেল দুধ আর ডিমের সালুন করে খাওয়ানোর পর থেকে ছেলেটা আমাকে বেশ তোয়াজ করে চলছে।

'সাওনা' হলো একটা খুপরি মত জায়গা যেখানে শীতের দেশের মানুষ 'গরম ভাপ' নিতে যায়। ভাপটা আসে বাষ্প থেকে। অনেকটা ভাপা পিঠার মত সিস্টেম, শুধু পিঠার জায়গায় মানুষ। একসাথে অনেকে বসে ভাপ নেয় আর সুখ দুখের গল্প করে। ফিনল্যান্ডে 'সাওনা' নিয়ে খুবই মাতামাতি। কে বেশীক্ষণ সাওনাতে বসে থাকতে পারে তাই নিয়ে প্রতিযোগীতাও করে, একেবারে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা, তা আবার টিভি তে দেখানোও হয় - পাগলের কারখানা। মাঝে মাঝে ভাবি, এদের কে যদি বাষ্পের বদলে যদি তাজা ধুলা সহকারে গরম ভাপ নেয়ানোতে রাজি করানো যেতো , তো পর্যটন শিল্পে ঢাকা শহরের একটা সম্ভাবনা ছিল। সে যাই হোক, নতুন যে কোনো অভিজ্ঞতা আহরণে আমি দুই পায়ে খাড়া। তাছাড়া ভিনদেশীয় কৃষ্টি সংস্কৃতির জানার প্রতি আমার একটা আকর্ষণ আছে। ইচ্ছে থাকলেও এর আগে নানা কারণে সাওনা তে যাওয়ার সময় করে উঠতে পারিনি। তাই বলে দিলাম যে যাব । ভবিষ্যত দেখতে পেলে যেতাম কিনা তা অবশ্য একটা প্রশ্ন !

রবিবার সন্ধ্যায় কথামত তৈরী হয়ে নিলাম। মার্ক্কুকে দেখে মনে হলো সে যুদ্ধে যাচ্ছে। বিরাট এক ব্যাগ তার মাঝে নানান রকম ক্রিম, বাষ্পপ্রুফ পত্রিকা, এলাহী কারবার। সাওনাটা হবে মার্ক্কুর ল্যাবরেটরির কলিগদের সাথে, বছর সমাপনী সমাবেশ। টাউন সেন্টার এর একটা খুব ঐতিহ্যবাহী সাওনা ভাড়া করা হয়েছে। সবাই একজন করে গেস্ট আনতে পারবে। জানতে পারলাম যে মার্ক্কুর বান্ধবী শহরে নেই, বুঝলাম তাই হয়ত ভাগ্যে শিঁকেটা ছিড়েছে। বান্ধবীর জায়গা নিচ্ছি, পুরুষত্ব বোধে একটু ঘা লাগছিল। আবার আনন্দও হচ্ছিল। কারন, সাওনার পর খাওয়া দাওয়া আছে - আজ ডিম খেতে হবেনা, কি আনন্দ! পুরুষত্ববোধ একদিন ছুটিতে যাক।

কুশল বিনিময় শুরু হলো । লালপানি, সাদাপানি বিতরণ হলো। ছেলে মেয়ে মিলিয়ে প্রায় ২০ জন, সবাই ফিনিস অথবা ইউরোপিয়ান, বিদেশী বলতে আমি, এক নাইজেরিয়ান আর এক পাকি। মার্ক্কু-র ল্যাব আর আমার ল্যাব একই বিল্ডিং এ। তাই, মুখগুলো পরিচিত। প্রফেসররা আগামী বছরের কি কি গবেষণা হবে তার ফিরিস্তি দিচ্ছিল। আমার অবশ্য এত তাং ফাং ভালো লাগছিল না। সাওনা শেষে রুমে ফিরে ফেসবুক এ স্ট্যাটাস আর ছবি তুলে লাইক টুকাতে হবে - মেলা কাজ। অতঃপর, সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এলো। সবাই লকার রুমে গেলাম। লকার রুমে নাম্বারিং করা ছোট ছোট আলমারি, প্রত্যেকের জন্য
একটা করে । তারপর যেটা হলো, সেটা হলো সবাই কাপড় খোলা শুরু করলো! এই সাওনার ভেতরে নাকি কাপড় নিয়ে ঢোকা 'স্ট্রিক্টলি' নিষেধ!

আমি ঘামতে শুরু করলাম। বাঙালির ছেলে আমি, গ্রামভর্তি লোকের সামনে উদোম হয়ে ঘুরে বেড়ানো আমার সইবেনা। পরক্ষনেই বুঝলাম নিজে উদোম হব কি, ঘরভর্তি উদোম লোকের মাঝে থাকাটাই ভয়ঙ্করভাবে অসস্তিকর। নতুন একটা জিনিসও শিখলাম, অপরিচিত লোককে বিবস্ত্র দেখতে অতটা অসস্তি হয়না কিন্তু পরিচিত লোকের ক্ষেত্রে অস্বস্তিটা হয় মাত্রা ছাড়া। মার্ক্কু দের গ্রুপের টীম লিডার দেখলাম আঙ্গুলের মাথায় লকার এর চাবিটা বাকের ভাই এর মত ঘুরাতে ঘুরাতে হেটে বেড়াচ্ছে, গায়ে সুতাটা পর্যন্ত নেই। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা দিল সহ -সাওনাকারিনী গণ । টিনেজ জীবনের সব ফ্যান্টাসি কে হার মানিয়ে, একই ঘরে আমি আর দুই হালি বিবসনা, কিন্তু আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মুক্তির উপায় খুঁজছি (হায় রে জীবন!)। ঠিক করলাম, সরাসরি কাপড় খুলতে অস্বীকার করা যাবেনা, তাতে অন্য সন্দেহ করতে পারে। আমি আবার অর্বাচীনের মত ভেতরে পরে এসেছি হাফপ্যান্ট। টেনশনে হাফপ্যান্টের নিচে আর কিছু আছে কিনা মনে করতে পারছিনা। অন্তত ভেতরে একটা অন্তর্বাস পরে আসা উচিত ছিল। এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে চোখ পড়ল নাইজেরিয়ানটার দিকে। একই সন্ধ্যায় পুরুষত্ব দ্বিতীয় বার আঘাত পেল!

পাঁচ মিনিট পর, সবাই সাওনা তে ঢুকে গেছে। মার্ক্কু আমার জন্য দাড়িয়ে আছে, আর পাকিটা দেখি আস্তে আস্তে তৈরী হচ্ছে । বুঝলাম সেও একই ট্রেন এর পেসেঞ্জার। ইতিহাস বলে, এই পাকি ব্যাটা কোনো কুটবুদ্ধি বের করবে নিজেকে বাঁচানোর জন্য। হলনা। কফিনের শেষ পেরেকটা ঠুকে সেও দেখলাম দিগম্বর হয়ে গেল! এর পরের টুকু ইতিহাস। নগ্নতায় ভরা সে ইতিহাস নাহয় নাই বললাম। ইজ্জত এর বিনিময়ে অন্তত কিছু অভিজ্ঞতা জমল। আর সুখের বিষয় নিজের ইজ্জত দিয়ে আসলেও আরও ২০ জনের ইজ্জত সাথে করে নিয়ে এসেছি, এই বা কম কিসে ?


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখকের নাম কই?? লজ্জার চোটে কি নামটাও কাটা হলো নাকি?? দেঁতো হাসি

ফারাসাত

অতিথি লেখক এর ছবি

আর লজ্জা, আমি এখন পেশাদার সাওনা-খোর।
তবে বিদেশে লজ্জা খুচরা নিলামে উঠালেও, দেশে আমার ইজ্জত এখনো পাইকারী । তাই ঠিক করলাম সচলে আসল নাম ব্যবহার না করে উপাধি ব্যবহার করব। তাহলে ইজ্জত বাঁচিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়া যাবে।
প্রথম লেখা তো, নাম লিখতে হয় তা মনে ছিলনা। ইয়ে, মানে...
ধন্যবাদ ।
নাদানপোলা

আলতাইর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি
নাদান পোলা

সত্যপীর এর ছবি

টিনেজ জীবনের সব ফ্যান্টাসি কে হার মানিয়ে, একই ঘরে আমি আর দুই হালি বিবসনা,

ওঁয়া ওঁয়া

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

অ্যাই কে আছিস!! যা একছুটে গিয়ে সত্যপীরনী কে ডেকে আন!! মুঘল বাদশাহ নামদারদের চরিত্রে কলঙ্ক লেপনকারী এই কুলাঙ্গারের আসল চেহারা এইবার উন্মোচিত হলো! একেই বলে "আল্লাহর বিচার", "ধর্মের কল সাওনাতে ঘামে" ব্লা ব্লা ব্লা!

তারেকানু তো কোনদিন ফিনল্যান্ডের সাওনার গল্প করে নাই! ঘটনা কি? চিন্তিত

ফারাসাত

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

টাইম পায় নাই মনে হয়, হ্যায় পম্পেইর দুষ্টুমিষ্ট যায়গা নিয়া বেশি বিজি আছিল

সত্যপীর এর ছবি

ধর্মের কল সাওনাতে ঘামে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

কষ্ট নিবেন না সত্যপীর । দুই হালি বিবসনার সাথে, এক ডজন একটা 'বিবসন'ও ছিল, একটা আবার কালো । সুখ নাইরে পাগল।

নাদানপোলা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার কব্জির জোর, বানানবোধ আর রসবোধ দুর্দান্ত! ইজ্জত দিয়ে কী করবেন মিয়া, দু দু বার করে লিখে যান দেঁতো হাসি
রব

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। লইজ্জা লাগে
নাদানপোলা

রংতুলি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি মিস্টার বিনের কথা মনে পড়ে গেল!

অতিথি লেখক এর ছবি

মিস্টার বিনের কথা মনে পড়ে গেল!

আমার আইডল। হাসি

নাদানপোলা

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া ওঁয়া
এ জীবনে কিছুই পেলুম না, সাওনাতেও গেলুম না

লেখা যা হইছে না পুরা সাওনা ফেইল!!!

অতিথি লেখক এর ছবি

ইজ্জত বাঁচছে ভাই। যার গেছে সেই জানে!

নাদানপোলা

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

এরে কয় ইজ্জতের বিনিময়ে ইজ্জত রক্ষা। ইজ্জত গেলেও মান-সম্মান তো বাইচা গেছে। এইটাতেই খুশ থাকেন।
লেখা রসময় হইছে। কিপিটাপ। চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন‌্যবাদ!

নাদানপোলা

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো
আপনার লেখার হাত দারুণ তো। বড়ই রসম‌‌য়। বেশী বেশী করে লিখে যান।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। রসময় লেখা বিষয়ে আপনের কথার উপরে কথা নাই।

নাদানপোলা

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

যাক বাঁচালেন। অবশেষে আপনার নাম প্রকাশ ঘটল। ষোল নম্বর কমেন্টের পরেও যখন কারও দেখা পাচ্ছিলাম না ভাবলাম নামটা বুঝি গুপ্ত'ই হয়ে থাকবে। লিখতে থাকুন সব ... আহেম .... হাত খুলে

অমি_বন্যা এর ছবি

রসে টইটুম্বুর একেবারে। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
পুরা রস তো ঢালতে পারিনাই। অনেক পুরানো দিনের কথা তো কিছু রস বেয়ে পড়ে গেছে।

নাদানপোলা।

সাবেকা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নাদানপোলা

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম সাওনার অভিজ্ঞতা সত্যিই বিব্রতকর।
।।।। ঈয়াসীন

অতিথি লেখক এর ছবি

সে আর বলতে!

নাদানপোলা

স্বপ্নহারা এর ছবি

আহারে! আপনের সৌভাগ্যে বড়ই হিংসিত হইলাম। আঙ্গো এইহানে আলাদা আলাদা। একবার, সাঁতার কেটে পানি ত্যাগ করতে গেসিলাম। দেখি এক ছোটখাট সাইজের ঘোর অন্ধকার তার বিশাআআআআল মেশিন নিয়ে জলবিয়োগ করে ইডেন উদ্যান এ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই মিলে সওনা রুমে ঢুকলাম। শালার ভাই এতই অন্ধকার যে সেও ঢুকে আঙ্গো লগে বইসা ছিল টের পাই নাই!! এরপর থেকে সাঁতার কাটতে যাওয়া ছাইরা দিসি ইউনিভার্সিটিতে।

চলুক

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অতিথি লেখক এর ছবি

ফিনল্যাণ্ড আর জার্মানিতেই কমন লকার দেখেছি। আর কোথাও দেখিনি। কালোদের কথা আর বলবেননা। ওদের নিকনেমই হলো 'ট্রাইপড'!

নাদানপোলা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফিনল্যান্ডে বেড়াতে যেতে হয় তাহলে... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তানজিম এর ছবি

হ , মেলানিনহীনদের দেশে মেলানিনধারীরা মনে হয় এই একজায়গাতেই বুক(!)ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় চোখ টিপি

হিমু এর ছবি

ফিনল্যান্ডে অবাধ সৌনাচার চলে দেখি।

অবশ্য জার্মানিতেও চলে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সে আর বলতে। আমি নিজেই একজন সৌনাচারী!
জার্মানিরও একটা সরেস অভিজ্ঞতা আছে লিখব একদিন।
অনেক ধন্যবাদ। আপনার মতামত প্রেরণাদায়ী।
নাদানপোলা।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

হো হো হো ,সৌনাচার এদিকেও হয় বটে!
কবি কামিনী রায়ের কথা ভেবে কয়েকবার যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলামও শেষ পর্যন্ত আর হয়নি।

তানজিম এর ছবি

" আর সুখের বিষয় নিজের ইজ্জত দিয়ে আসলেও আরও ২০ জনের ইজ্জত সাথে করে নিয়ে এসেছি, এই বা কম কিসে ?" শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

শয়তানী হাসি

নাদানপোলা

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমাকে একবার এক বান্ধবী জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা তুমি কি জামাকাপড় পরে সাঁতার কাটো?

সে যাই হোক, আপনি ভালো লেখেন। লিখতে থাকুন।

সমানে লেখা ঝাড়তে থাকুন আর মন্তব্য করে করে মডুদের অস্থির করে ফেলুন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

জামাকাপড় পরে সাঁতারা না কাটাতো বেশ রিস্কি! চোখ টিপি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পরে কাটা আরও রিস্কিরে মমিন!
গেলো গ্রীষ্মে আমার জন্মদিবসে সোনালী দিন দেখে গেছিলাম সাঁতার পাড়তে। পরনে অ্যাডিডাসের হাফপ্যান্ট। দেড় মিটার উপর থেকে টারজান স্টাইলে ডাইভ দিয়ে কারার মিজান স্টাইলে বেশ ভাব মেরে সাঁতার কেটে পুলের আনুমানিক মাঝ বরাবর আসার পর পিছন থেকে বন্ধুদের হাঁকডাক শুনে সাঁতার থামিয়ে ফিরে তাকিয়ে দেখি আমার সবেধন নীলমণি হাফপ্যান্টখানা মাইলসের 'সে কোন দরদীয়া আমায়, ডুবায় আবার ভাসায়' গান গাচ্ছে পুলের পানিতে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সমিস্যা কী! মেশিন তো ওয়াটার প্রুফ! আপনি মাঝ-পুল থেকেই ডাক দিতেন, সাঁতরে আয় কলিজু চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমার হাফপ্যান্ট কি লইট্যা মাছের ছালুন দিয়ে গরম ভাত খেয়ে এশার নামাজ পড়ছে? হাঁতরে আয় কলিজু কৈলেই মনে করছোস আয়া পড়তো!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাফপ্যান্টরে ডাকতে কে কইছে! যে স্বাধীনতা ঘোষণা করছে তারে যাইতে দেন। আমি তো হাঁকডাক করা বালিকা বন্ধুদের ডাকতে বল্লাম চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নাঙ্গুবাবার লেখা চরম হইছে। লুকজন দুষ্ট লেখা ভালু পায়। উদাসদা ছাড়া এরকম আদিরসাত্নক লেখা তো আর খুব বেশি পাই না। ছবিব্লগ চাই শয়তানী হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা পড়েই যে নাম দিচ্ছেন , ছবি দেখালে তো মার্ডার।
কথা প্রসঙ্গে বলে রাখি , আমি ভিডিও তে বিশ্বাসী। চোখ টিপি

নাদানপোলা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালোই
sabjan

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

নাদানপোলা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই পোস্টটার যাবতীয় কাহিনী বানোয়াট। সত্যসন্ধানী লোকজন এই পোস্টটাকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বাস করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না এর প্রতিটি ঘটনার সপক্ষে সচিত্র প্রমাণ দাখিল করা হয়। পোস্টলেখক নাদানপোলাকে প্রামাণ দাখিলের জন্য অনুরোধ করা গেল।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আমিও এইটাই কইছিলাম। আবার সহমত জানায়ে গেলাম। ছবিব্লগ চাই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আলতাইর এর ছবি

আমি এই প্রস্তাবে ২বার ভোটাধিকার প্রয়োগ করিলাম!!

অতিথি লেখক এর ছবি

সব রসের সেরা রস, আদিরস। চালিেয় যান। কিন্তু ট্যাগ টা কিশোর না দিয়ে ১৮ দেয়া উচিত নয় কি?
- কাজী

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

১৮+ দেয়ার মত তো কিছু লেখা নেই এই পোস্টে। বরং বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে কিশোররাই নাঙ্গু হয়ে পুকুর, খাল, বিল দাপিয়ে বেড়ায় দেঁতো হাসি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হো হো হো চলুক
কোন শহর??

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

এইটা এখন বলা যাবেনা হাসি , ইতোমধ্যেই কয়েকজন ব্ল্যাকমেল করার পায়তারা নিচ্ছে ।
তবে এখন আর ওখানে নেই। স্থানান্তরিত হয়েছি।
ধন্যবাদ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনুতারেক এখন দেশে আছে, ভাবতেছি ও ফিরার সময় তার লাগেজের চিপায় লটকে যাবো কি না

লেখা ভাল্লাগছে, বেশী বেশী সৌনাচার করেন, আর লেখা দেন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অরফিয়াস এর ছবি

শয়তানী হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদানপোলা

কাক্কেশ্বর কুচকুচে এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
দুই হালি বিবসনার মাঝে আপনি !!
এই কথা ভাইবা দেশে আর শান্তিতে ঘুমাইতে পারুম বলে মনে হয়না ওঁয়া ওঁয়া

অতিথি লেখক এর ছবি

শয়তানী হাসি

নাদানপোলা

স্যাম এর ছবি

হাহাহাহাহা- মজার বর্ণনা হো হো হো
সৌনাচার - এ বছরে শেখা প্রথম নতুন বাংলা শব্দ --- ধন্যবাদ হিম্ভাই খাইছে
'পাকিস্তান' আর 'লোটাস' যদিও আগে শেখা - কিন্তু ওইগুলা বিদেশী শব্দ চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদানপোলা

ফ্রুলিংক্স এর ছবি

জুসসসসস

অতিথি লেখক এর ছবি

কিতুসসসসসস (ফিনিস আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- )

নাদানপোলা

অতিথি লেখক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুরু গুরু গুল্লি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদানপোলা

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

হা হা হা।

দারুণ, মজা করে লিখেছেন

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার পেশা হলো মজার জিনিস (বিজ্ঞান) কঠিন করে লেখা। যাতে কেউ বুঝতে না পারে।
তা ভাবলাম, উল্টাটা করে দেখি কঠিন জিনিস (ইজ্জতলুট) মজার করে লিখি।

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
নাদানপোলা

কুমার এর ছবি

আপ্নে মিয়া চরম রসিক আছেন, নামখান ও যা লইছেন "নাদানপোলা"। হাসতে কাশতে ............মরে গেলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

ডাকনাম না. পো. । লইজ্জা লাগে

নাদানপোলা

অতিথি লেখক এর ছবি

ডাকনাম না. পো. । লইজ্জা লাগে

নাদানপোলা

পথিক পরাণ এর ছবি

নাদান হৈইয়াই যা কল্লেন! চরম!!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদানপোলা

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

হো হো হো চরম

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদানপোলা

mamun এর ছবি

গুল্লি

কৌস্তুভ এর ছবি

আমি একবার হোটেলের হট বাথে (ওই যাকুজি না কী যেন বলে) নেমে তবিলটবিল ভাজাপোড়া হয়ে যাবার আগেই তিড়িং করে উঠে এসেছি (তবে ওখানে জলপোষাক পরতে হয়, উদোম হওয়া নিষেধ)।

অতিথি লেখক এর ছবি

সাওনা লিখে তো আমার কাছে খাওয়া পাওনা করলেন।
সুদীপ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার জন্য এক জোড়া
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদানপোলা

অতিথি লেখক এর ছবি

"সাওনা" শব্দটি পড়ে কেমন যেন সন্দেহ লাগছিল । বিস্তারিত পড়ার পর বুঝলাম এতো "সনা" । আমি যখন সুইডেনে থাকতাম তখন আমারও "সনা" করবার খায়েশ( হা হা হা) হয়েছিল । একবার সুইডেন থেকে লাটভিয়া যাওয়ার পথে বিশাল বড় জাহাজের মধ্যে "সনা" করেছিলাম । যদিও তা ছিল শুধু পুরুষদের ব্যবহারের জন্য । ভিতরে গিয়ে দেখি বাচ্চারাও (বয়স ৮-৯ বছরের) একসাথে "সনা" করছে । আমার সাথে এক বাঙালি ভাই ছিলেন । আমরা অবশ্য অন্তর্বাস পরিধান করে "সনা" করেছিলাম । "সনা"র আগে ও পরে গোসল করা ভাল । গোসল করতে গিয়ে দেখি সবাই উদোম হয়ে গোসল করছে । সে ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা ।

স্বপ্নিলআকাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি ঠিকই বলেছেন।সঠিক ইংলিশ উচ্চারণ হলো 'সনা'. তবে ফিনিস উচ্চারণ হলো 'সাওনা', তাই 'সাওনা' বলতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- .

নাদানপোলা

আলতাইর এর ছবি

'সাওনা' অনেক নিরাপদ শব্দ। 'সনা' কইলে আবার সাকাচৌ এও কতা মনে পইরা যায়!

অতিথি লেখক এর ছবি

"এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে চোখ পড়ল নাইজেরিয়ানটার দিকে। একই সন্ধ্যায় পুরুষত্ব দ্বিতীয় বার আঘাত পেল!" হো হো হো

দুর্দান্ত ফ্লো এবং অ্যাপ্রোপ্রিয়েট সাইজের রম্যরচনা হয়েছে।

- অদচৌ

অতিথি লেখক এর ছবি

আবার মনে করিয়ে দিলেন। মন খারাপ

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদান পোলা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আরে দারুণ লিখেছেন মশাই। আনন্দ পেলুম রচনার বাহারে! হো হো হো আরো রসো লেখা চাই চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদান পোলা

ছোট নদী  এর ছবি

হা হা চমৎকার চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নাদান পোলা

আলতাইর এর ছবি

টিনেজ জীবনের সব ফ্যান্টাসি কে হার মানিয়ে, একই ঘরে আমি আর দুই হালি বিবসনা,

পাপী মন জিজ্ঞাসা করেঃ- মেশিন গর্জন করিয়া উঠে নাই??

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা। আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাইলে পোস্ট এর বয়সসীমা পরিবর্তন করতে হবে হাসি

নাদান পোলা

অতিথি লেখক এর ছবি

পুরো লেখাটাই খুব মজার। আমাদের এখানেও সাওনা খুব জনপ্রিয়। শুধু একবার গিয়েছিলাম। ছোট্ট একটা ঘরে ভাপ এ সিদ্ধ হবার জন্য কোনো আলাদা মজা পাইনি।

শিশির অশ্রু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।