শুরু থেকেই শুরু করি তাহলে... অনেক আশা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম দেশের অন্যতম স্বনামধন্য সরকারি মেডিকেল কলেজ,শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশালে। ধীরে ধীরে একটি একটি করে ৪ টি বছর পার করে আজ আমি ৫ম বর্ষে । এর মাঝে আছে কত পাওয়া- না পাওয়া, কত হাসি-কান্না, কত আশা- ভরশার গল্প। কখনো কোন পরীক্ষায় পাস করার উচ্ছ্বাস তো কখনো পাশের খাটের মেয়ের সাথে মন কষাকষির ফলে বালিশ ভিজিয়ে ঘুমিয়ে পড়া।
যাই হোক, মেডিকেল কলেজের নিয়ম অনুযায়ী আমরা যখন ৩য় বর্ষে উঠি তখন থেকেই ডাক্তার হওয়ার প্রথম সিঁড়িতে পা রাখি ওয়ার্ডে যাওয়ার মাধ্যমে ।আমাদের সকাল সন্ধ্যা ২ বেলায় ওয়ার্ডে যাওয়া লাগে । প্রথম দিকে খুব মজা লাগত, স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে ওয়ার্ডে যেতে। ভাবখানা এমন ডাক্তার তো হয়েই গেছি । কিন্তু রাতের বেলা যখন যেতাম তখন খুব ভয় লাগত,কারন আমাদের হোস্টেল, কলেজ আর হাসপাতাল একই ক্যাম্পাসের মধ্যে হলেও হোস্টেল থেকে হসপিটালের দূরত্বের মাঝখানের রাস্তাটুকু অন্ধকারাছন্ন , পুলিশ পোস্ট থাকলেও সেখানে ধু ধু মরুভুমি।আর মজার ব্যাপার হচ্ছে যে আমাদের ক্যাম্পাসটার কোন বাউন্ডারি নাই, যার ফলে লোকাল মাস্তানদের বাইক নিয়ে আনাগোনা সর্বক্ষণ এবং রাতে তা দ্বিগুণ । অধিকাংশ রাতেই আমরা যারা কিনা দেশের ভবিষ্যৎ মেয়ে ডাক্তার তারা এই পশুগুলোর বাজে কমেন্ট শুনতে শুনতে আর নিজেকে রক্ষা করতে করতে ওয়ার্ডে যেতাম এবং রুমে ফিরে আসতাম (এখনো তাই করি)।
প্রতিদিন পেপারে এত ধর্ষণের ঘটনা পড়ি, এত নারী নির্যাতনের ঘটনা পড়ি যে প্রচণ্ড ভয় নিয়েই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হত।
এতদিন পর্যন্ত আসলে শুধু এদেরকেই ভয় পেতাম, ক্যাম্পাসে অনেক পলিটিকাল ভাইয়া থাকলেও তাদের সেফ বলেই জানতাম কিন্তু গত রবিবার দিবাগত রাত ১২ টায় আমার মনোভাব বদলে যায়। আমি বুঝতে পারি মেয়েরা আসলে পৃথিবীতে কোথাও নিরাপদ নয় । মেয়েদের শুধু মেয়ে হিসেবেই দেখা হয়, কোন মানুষ নয়!!! ঘটনাটি হয়তবা ইতিমধ্যেই অনেকে পড়েছেন বা জেনেছেন তবুও বলি ঘটনাটি ছিল এরকমঃ-
গত ২০শে জানুয়ারী রাত আনুমানিক প্রায় ১২টার দিকে মেয়েদের নতুন হোস্টেলে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ভিপি ৩৮তম ব্যাচের ছাত্র আব্দুল্লাহ মারুফ ও প্রভিপি ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র আব্দুল বাকী,তারা দুজনে নতুন ভবনের ২০২৩নং কক্ষে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকে। এসময় সেই কক্ষে অবস্থানরত আমাদের ব্যাচের ছাত্রীরা দরজা খুললে দুই ছাত্র নেতা হমকি ধামকি সহ ছাত্রীদের সাথে অশোভন আচরন করে এবং সেই রাতেও মধ্যেই রুম ছেড়ে দিতে বলে। কি ভয়ংকর কথা! এটা কি মগের মুল্লুক যে কেউ এসে গভীর রাতে মেয়েদের রুমে ধাক্কা দিবে। আজ নাহয় পলিটিক্যাল লিডারেরা রুম ছেড়ে দেবার দাবীতে এসেছে। কাল যে কেউ ধর্ষণের উদ্দেশ্য নিয়ে আসবে না বা এসিড সন্ত্রাসের উদ্দেশ্য নিয়ে আসবে না এর নিশ্চয়তা কি কেউ দিতে পারে?
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে সোমবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীরা সবাই মিলে মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষে ছাত্রীরা সব মিলে যখন অধ্যক্ষের কাছে এই ঘটনার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করি নিজেদের নিরাপত্তার দাবী করে তখন অধ্যক্ষ প্রথমে বিষয়টা আমলে নিতে চাননি এমনকি উনি এই কথাও বলেন তোমরা আল্লার মাল, আল্লাহ তোমাদের হেফাজত করবেন আমার কাছে নিরাপত্তা চাচ্ছ কেন, আল্লাহ তোমাদের নিরাপত্তা দেবেন, তিনি এর বিচার করবেন, তার উপরেই ছেড়ে দাও। একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কিভাবে এমন একটি বিষয়ে এই কথা বলতে পারেন আমার জানা নেই। অধ্যক্ষ ও যদি তার কলেজের ছাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিশ্চিত করতে না পারেন তাহলে ছাত্রিরা কোথাই যাবে ? নাকি উনি অপেক্ষা করেন চরম কোন ঘটনার জন্য যা পেপারে প্রধান খবর হয়ে আসতে পারবে?
আর হোস্টেল সুপারকে সারাদিন জানানোর পর এবং রাতের বেলা পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযোগ করার পরও তিনি যখন বলেন যে ‘’কি বললা তোমরা? কিছু বুঝিনাই’’ তখন বোঝা যায় যারা এই ঘটনা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের মদদদাতা আসলে কারা।
ঘটনা শুধু সেখানেই শেষ হয়ে যায়নি, এরপর থেকে ছাত্র লীগের নেতা কর্মীদের হমকি ধামকি সহ আজ গভীর রাতেও তারা লাঠি সটা নিয়ে হল আক্রমন করার চেষ্টা করে। দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠের এমন ঘটনাও কি প্রধানমন্ত্রীর এত টুকু টনক নড়াবে না?
শুধু এটুকুই না এই বছরের শুরুতে ঠিক এই ধরনের ঘটনাই ঘটেছে রাজশাহী এবং রংপুর মেডিক্যালে। ছাত্রলীগ নেতারা স্থানীয় বখাটেদের সহায়তায় গভীর রাতে মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে মেয়েদের নোংরা ভাবে উত্যক্ত করে। সেই ঘটনাগুলো দেশের জাতীয় দৈনিকে আসার মত গুরুত্বপূর্ণ হয়ত ছিলনা তাই আসেনি। খুব জানতে ইচ্ছে হয় গভীর রাতে মেয়েদের হোস্টেলে জোর করে ঢুকে নোংরা কথা বলা বা হমকি ধামকি দেবার মত ঘটনা এত কম গুরুত্বপূর্ণ হয় কিভাবে? আমাদের ঘটনাটিও হয়ত লোক চক্ষুর আড়ালে থেকে যেত। আমাদের ঘটনাটি পেপারে এসেছে কারন আমরা সোচ্চার ছিলাম, আমরা প্রতিবাদী ছিলাম। এখানে বাকী দুই ঘটনার লিংক গুলো ও দিয়ে দিলাম। [রাজশাহী মেডিক্যালের ঘটনা, রংপুর মেডিক্যালের ঘটনা]
কিছুদিন আগে ডাঃ সাজিয়া আফরিন ইভা আপুর মৃত্যুটাও আমাকে খুব বেশি নাড়া দিয়ে যায়। কি অদ্ভুত! একটা ডাক্তার ধর্ষণের হাত থেকে বাচার জন্য খুন হল অথচ কেউ কিছু বললনা,কেউ কিছু লিখলনা তাকে নিয়ে, আমরা গুটিকয় মানুষ যারা ডাক্তার হব বা হয়ে গেছি তারা ছাড়া কেউ এগিয়ে আসলো না।তখন ভাবলাম ,ডাক্তার কি নিজের জন্য হচ্ছি!!! হয়ত সবাই বলবেন যে আপনারা তো সব কশাই হয়ে যান,কিন্তু আপনারা দয়া করে একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন তো কয়টা ডাক্তারের ভিজিট ৩০০-৪০০ টাকার উপরে?
আমরা কি শুধুই তবে আল্লাহর মাল? কোন সুস্থ কাজের পরিবেশ, পড়াশুনার পরিবেশ, স্বাধীনভাবে বাঁচার পরিবেশ, রাস্তাঘাটে চলাফেরার পরিবেশ কি আমাদের সমাজে মেয়েদের কখনও হবেনা? আর কবে আমরা প্রতিবাদ করতে শিখব?
অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে, আপনজনদের ছেড়ে এতো দূরে পড়ে আছি শুধুমাত্র একটা ভালো ডাক্তার হবার আশায়( ভালো ডাক্তার বলতে অনেক টাকা ইনকাম করবো সেটা বুঝাচ্ছি নারে ভাই) মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশায় , মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর আশায়। কত ভালো লাগে যখন একটা রোগী হাত তুলে দোয়া করে যখন তাকে ২ টা সাহসের কথা বলি,আবার এই আমি কুঁকড়ে উঠি ,কেঁপে উঠি ঘৃণায় , ভয়ে ,যখন আমার এই শরীরের দিকে,একজন হবু ডাক্তারের শরীরের দিকে রোগী , রোগীর অ্যাটেন্ডেন্ট সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যে কেউ তার নোংরা হাতটা বাড়ায় ।
আমি কার কাছে যাব, দেশের প্রশাশন, পুলিশ, হাসপাতালের পরিচালক, সিনিয়র ডাক্তার ,আমার কলিগ ,রোগী , রোগীর অ্যাটেন্ডেন্ট ,মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ সবার কাছেই তো আমি মেয়ে, ডাক্তার তো আমি পরে... আসলে এই মেয়ে হয়ে জন্মানোটাই একটা পাপ আর আমাদের দেশে মেয়ে হয়ে ডাক্তার হতে চাওয়া মহা মহা মহা মহা মহা পাপ(যে পাপের শাস্তি কিনা লজ্জা, অপমান, সর্বোপরি মৃত্যু)।
আমি আর যাই করি আমার মেয়েকে কোনদিন ডাক্তার বানাবনা(মাইন্ড ইট,আমি সন্তান বলিনি,মেয়ে বলেছি)।
( এটি সচলে আমার প্রথম লেখা। লেখাটা বেশী আবেগময় হয়ে যাবার জন্য দুঃখিত। )
নীপবন
মন্তব্য
আচ্ছা যারা এইসব অপকর্ম করছে তারাও তো একদিন ডাক্তার হবেন। কিভাবে একজন ডাক্তার হয়ে আরেকজনের উপর এমন করে
এরা সব করতে পারে ভাইয়া। এরা তো যখন থেকে রাজনীতি করে তখন থেকে আর মানুষ থাকেনা,পশু হয়ে যায়।
পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হবু ডাক্তাররা ভবিষ্যতে 'কশাই' হবে কি হবে না সেই প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর। আপনি এবং আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই নিরাপদ জীবনের অধিকার রাখি।
এই ঘটনার সঙ্গে আপনার মেয়েকে ডাক্তার বানাতে না চাওয়ার সম্পর্কটা বুঝলাম না। নারীর উপর সহিংসতা বাড়ছে, সবখানেই, সব পেশাতেই... ব্যাপারটি তো এমন নয় যে শুধু ডাক্তার নারীরাই ভিকটিম হচ্ছে।
নারীর উপর সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, সেই লক্ষ্যে সোচ্চার হতে হবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
১০০ ভাগ সহমত।
না তা না। তবে ডাক্তার, নার্স এই পেশাগুলো তে এই সমস্যার কারণে প্রভাব বেশী পড়ে। কারণ আমাদের ৩য় বর্ষ থেকে হাসপাতালে সন্ধ্যায় ক্লাসে যেতে হয়। রাত পর্যন্ত ক্লাস থাকে। হাসপাতালের নিচতলা সবসময়ই ভর্তি থাকে দালাল, মাস্তান,নেশাখোর এই জাতীয় লোক দিয়ে। এদের মধ্যে দিয়ে রাতে চলাফেরা ঝামেলাটা অন্য জায়গার চেয়ে একটু বেশী। পাশ করে গেলে রাতে হাসপাতালে ডিউটি দিতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই দিনের তুলনায় রাতে ফাঁকা থাকে অনেক বেশী। দুর্ঘটনার সুযোগ টাও অনেক বেশী।
আর ডাক্তারী পেশাটার একটা বড় সমস্যা হল এখানে রোগীর সাথে একজন ডাক্তার কে ফিসিকাল নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে হয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে সেটা আসলে খুব কঠিন হয়ে দাড়ায় সবার জন্যই।আমাকে যখন একজন ডাক্তার হিসেবে না দেখে একটা মেয়ে হিসেবে দেখতে থাকে তখন এ ধরনের পরীক্ষা করা, চিকিৎসা দেয়াটা আমার জন্য কতটা দুঃসহ এবং অপমানজনক হয়ে যায় এটা আসলে আমি বোধহয় বলে বুঝাতে পারব না। আর এদেশে রোগীদের একটা বড় অংশ এরকম ( দুঃখিত এ ধরনের কথা বলার জন্য, কিন্তু যে কাজ করে সে ছাড়া আসলে অন্যকে বুঝিয়ে বলাটা খুব শক্ত ) অন্য অনেক পেশাতেই আমাকে এ ধরনের কাজ করার মধ্যে যেতে হত না। আবার অন্য অনেক পেশা আছে যেখানে হয়ত পরিস্থিতি এর চেয়েও ভয়াবহ।
সেটাই।
আর ডাক্তারী পেশাটার একটা বড় সমস্যা হল এখানে রোগীর সাথে একজন ডাক্তার কে ফিসিকাল নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে হয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে সেটা আসলে খুব কঠিন হয়ে দাড়ায় সবার জন্যই।আমাকে যখন একজন ডাক্তার হিসেবে না দেখে একটা মেয়ে হিসেবে দেখতে থাকে তখন এ ধরনের পরীক্ষা করা, চিকিৎসা দেয়াটা আমার জন্য কতটা দুঃসহ এবং অপমানজনক হয়ে যায় এটা আসলে আমি বোধহয় বলে বুঝাতে পারব না। আর এদেশে রোগীদের একটা বড় অংশ এরকম ( দুঃখিত এ ধরনের কথা বলার জন্য, কিন্তু যে কাজ করে সে ছাড়া আসলে অন্যকে বুঝিয়ে বলাটা খুব শক্ত ) অন্য অনেক পেশাতেই আমাকে এ ধরনের কাজ করার মধ্যে যেতে হত না। আবার অন্য অনেক পেশা আছে যেখানে হয়ত পরিস্থিতি এর চেয়েও ভয়াবহ।
অনেক আপু। আমার আসলে এইটাই সবচেয়ে বড় আফসোস যে ডাক্তারদের কষ্ট গুলো একজন ডাক্তার ছাড়া অনুভব করতে পারেনা। এইটা অবশ্য অন্য সকল পেশার মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।
আপনি এত সুন্দর করে আমার অব্যাক্ত কথাগুলো বলে দিলেন, আশা করি অনেকের ডাক্তারদের নিয়ে কিছু ভ্রান্তি দূর হবে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
হবু ডাক্তাররা ভবিষ্যতে 'কশাই' হবে কি হবে না সেই প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর। আপনি এবং আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই নিরাপদ জীবনের অধিকার রাখি।
আমি নিজেও আপনার সাথে ১০০% সহমত। আসলে জানেন কি ভাইয়া, যখন ই ডাক্তারদের কোন সমস্যা নিয়ে কারো সাথে কথা বলি তাদের প্রথম ডায়লগ ,আরে মিয়া তুমি তো ২ দিন পরেই লাখ লাখ টাকা কামাবা, আর একটা কশাই বাড়বে আমাদের দেশে। কথা প্রসঙ্গেই কথাটা চলে এসেছে আর কিছু না।
মেয়েদের যে ডাক্তার হিসেবে কত প্রব্লেম ফেস করতে হয় তা শুধু একজন মেয়ে ডাক্তার ই জানে। আমরা মেয়ে এই কারনে আমাদের কোন কিছু শিখাতে গেলে আমাদের একজন পুরুষ স্যার বলেন,মেয়েদের এত কিছু শেখার দরকার নাই, তোমরা তোমাদের স্বামীর কাছ থেকে শিখে নিও(কারন তার ব্যাক্তিগত ধারণা ডাক্তারের ডাক্তারের সাথেই বিয়ে হয়)
প্রতিবাদ চলুক, লেখায়, মাঠে, রাস্তায়, কর্মক্ষেত্রে সকল জায়গায়।আপনার আমার মতো সবাই যদি এই দীক্ষায় দীক্ষিত হতো তাহলে তো আজ আমরা মাঠে নামতাম না।
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পাশে আসলে কেউ নেই, যদি তারা রাজনীতির সাথে যুক্ত না হয়। ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্যাম্পাসের কাছাকাছি জায়গাগুলোতেও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারে না। মেয়ে হলে তো কথাই নেই।
নীপবন, আপনার বরিশালের পাশের জেলার ঘটনা বলি। আপনার কিছু জানা থাকলে যোগ করবেন।
গতকাল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের সাথে স্থানীয় নেতাদের সৃষ্ট রাজনৈতিক সমস্যায় ছাত্রছাত্রীদের জীবন মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ে। এলাকার মানুষ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে ভীষণ মারধর করে। লেডিস হলে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর করে। মেয়েদের তুলে নিয়ে যাবার হুমকি দেয়। পরে পুলিশ র্যাব এসে গেলে তারা চলে যায়। গভীর রাতে পুলিশ চলে গেলে তারা আবার সুফিয়া কামাল হলের চারতলায় আক্রমন করে। কিন্তু সেখান থেকে মেয়েদের আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে সাধারন শিক্ষার্থীরা (ছাত্ররা) সারারাত জেগে মেয়েদের পাহারা দেয়। গতরাতে বা সকালে হলে রান্না পর্যন্ত হয়নি বলে আমি শুনেছি। ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যেতেও পারছেন না। কারন ফিরবার পথে আবার আক্রমণ হতে পারে।
এই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার নজীর। ঘটনাটির কোন সংবাদ মিডিয়াতে আমার চোখে পড়েনি এখনও।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
আপনার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে লেখা থেকে আপনার ইমেইল এড্রেসটি সরিয়ে ফেলা হলো।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ডাক্তারী পাশ করে আপনারা বিসিএস নিয়ে দৌড়াবেন। ঐসব নেতাদের কিছুই লাগবে না।
স্হানীয় রাজনীতিবিদেরা কিছু করবেনা কারন ওখানে আপনাদের ভোটের অধিকার নেই।
বর্তমানে সবাই আল্লাহর মাল
সৌরভ ভাইয়া আপনার লেখা ঘটনা আজ প্রথম আলো তে এসেছে, আমি আপনি বলার আগেই পড়েছি কিন্তু মেয়েদের সাথে যে এতটা কুৎসিত আচরন করা হয়েছে তা জানতাম না।আসলে আমাদের মেয়েদের কোথাও কোন নিরাপত্তা নাই।
সন্দেশ ভাইয়া আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। আমি প্রথম আলোতে দেখে নেবো।
ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
আমরা যখন প্রথম ক্যাম্পাসে পা রাখি তখন অবস্থা এতোটা খারাপ ছিল না। আস্তে আস্তে দেখেছি অবস্থা খারাপ হচ্ছে, এখন দেখছি আরও খারাপ হচ্ছে।
আমরা যখন ৩য় বর্ষে তখন প্রথম বার সন্ধ্যায় ক্লাসে যাওয়ার পথে আমাদের এক বান্ধবীর হাত থেকে বহিরাগত এক ছেলে মোবাইল নিয়ে যায়। আমাদের তৎকালীন প্রিন্সিপাল মনোয়ার স্যারকে বলতে গেলে স্যার বলে আমাদের নাকি চলাফেরা ঠিক নেই। এরপর জুনিয়র ব্যাচের আপাতমস্তক বোরকায় ঢাকা এক মেয়েকে রাতে ওয়ার্ডে ক্লাস করে আসার সময় কিছু বহিরাগত ছেলে ( ছাত্রলীগের) উত্তক্ত করে। স্যারকে জানানোর পর স্যারের ভাষ্য ছিল। জানই তো আমাদের সমাজ কেমন। তোমরা একটু সাবধানে চলাফেরা কর ( বোরকা ছিল বলে তার কথাটা এক্যটু ঘুরিয়ে বলা আর কি ) এটাই আমাদের স্যার দের বাস্তব চেহারা।
যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য একটা সঙ্ঘটন থাকলে ভাল হয়, কিছু নেতা থাকলে কাজটা গোছানো হয়।সেই উদ্দেশেই নিশ্চয়ই প্রায় প্রতিটা পেশার মানুষেরই একটা সঙ্ঘটন থাকে সংশ্লিষ্ট পেশার লোকজনের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য। আমাদের বিএমএ বলে যে ডাক্তারদের একটা সঙ্ঘটন আছে তাদের কাজ টা যে কি আসলে ? ডাক্তার দের বাঁশ মারা হয়ত।
এরা যেই শ্রম, লোকবল নির্বাচনের পিছনে খরচ করে, সাজিয়া মারা যাওয়ার পর তার কয়েক লক্ষ ভাগের এক ভাগও ব্যয় করতে দেখলাম না। যে পরিমাণ মেধা তারা দুর্নীতি করার জন্য খাটায় তার কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগও তো ডাক্তার দের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা আদায়ের জন্য খাটায় না। সাবসেন্টার গুলোতে থাকার ব্যবস্থা নেই, যোগাযোগের বাহন নেই ( মেয়েদের অবস্থা তো যাচ্ছেতাই ) , এতে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। কাজ করতে গিয়ে নিরাপত্তা নেই, এম্পি মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন , তাদের চ্যালা, পাতি মাস্তান যে যখন ইচ্ছে এসে হুমকি দেয় (রাত বিড়াতেও )এখন তো ওয়ার্ড বয় এসেও মেরে রেখে যাচ্ছে। কিন্তু ভাবখানা এমন এতে তাদের কিই বা করার আছে। এখন আবার এদের আজ্ঞাবহ লোকজনই মেয়েদের হোস্টেলে ঢুকে বাজে আচরণ করছে।
এবার আমরা বিচার দিব কার কাছে ?
স্যাররা, নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। পলিটিকাল লিডার রা কিছুই করবে না। কারণ তোমার ভোট নিয়ে তার মাথাব্যাথা নেই। পুলিশ তোমাকে পাত্তা দিবে না। সাংবাদিক রা শুনলে বলবে , আচ্ছা এই ঘটনা, তাতে কি। এসব তো নিউস হবে না। নিউজ হবে ডাক্তারদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু। ( তাও যদি সত্যিকারের দুর্নীতি গুলো নিয়ে এরা কিছু লিখত, এদের লেখা হবে ভাসাভাসা, ধরি মাছ নাছুই পানি টাইপ )
আর আমাদের মহান বিএমএ ব্যস্ত কার কাছ থেকে কত ঘুষ নেয়া যায়, নিজের দলের লোকদের কোথায় কোথায় বসান যায়, অপর দলকে কিভাবে বাঁশ মারা যায় এসব নিয়ে। এজন্যই মেধাবী রা বাদ পড়ে অ্যাডহক এর হাস্যকর পরীক্ষায়(অ্যাডহক সবাই মেধাহীন সেটা না , একাংশের কথা বলছি ) সরকারী মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ট্রেনিং পোস্ট পায় না, বেসরকারির ছাত্ররা সরকারী মেডিকেলে এসে সিএ হয়ে যায় এক লাফে (এখানেও একাংশের কথা বলা হয়েছে) কেউ কেউ অনেক বছর পার করে দেয় গ্রামে, পোস্টিং হয় না। আবার কেউ জয়েন করার কয়েক মাস পরই ট্রেনিং পোস্ট পেয়ে বসে থাকে।
বাংলাদেশে যত সঙ্ঘটন আছে তার মধ্যে সবচেয়ে অথর্ব হল সম্ভবত বিএমএ আর এদেশে যত গাধা আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় গাধা হল সাধারণ ডাক্তাররা( যাদের বাবা,মা,চাচা, খালু ডাক্তার না,তবুও ডাক্তার হওয়ার মত গাধামি করেছে, আর যাদের রাজনীতি করার মত কুবুদ্ধি, সাহস,ইচ্ছে নেই, তবুও এই পেশায় কাজ করে যাচ্ছে)
তোমাকে ধন্যবাদ সাহস করে লেখার জন্য । সেই সাথে তোমরা সবাই যে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করছ সেজন্য অসংখ্য অভিনন্দন। এরকম প্রতিবাদ লেখায়, মাঠে সবখানে করতে থাকলেই একসময় হয়ত এসব বন্ধ হবে। সবসময় সাথে আছি, থাকব।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অনেক ধন্যবাদ আপু। এত সুন্দর করে বিষয় গুলো সবাইকে বুঝিয়ে বলার জন্য।
ইন্টারর ডাক্তার হিসেবে কাজ করছি আর ছাত্র ছিলাম পাঁচ বছর। এতটুকু অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আপনার হতাশা একেবারে অমূলক নয়। মাঝে মাঝে নাইট ডিউটিতে আমার বন্ধু কলিগদের রোগীর মানুষের কাছ থাকে অসভ্য ইঙ্গিত শোনার ঘটনা কম দেখি নি। অনেকসময় দেখি রোগীরা নিজেও মেয়ে ডাক্তার দের ডাক্তার-ই মনে করে না।
তবে আশা হারাতে নেই। আর সারা দেশেও সহিংসতা হচ্ছে। মেডিকেল কিংবা ডাক্তার রা বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপের বাসিন্দা তো না।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সাবধানে থাকুন, আপাতত অক্ষম ক্রোধে এটুকুই বলতে পারলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সাবধানে আছি ভাইয়া।অনেক
আন্দোলনের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষন করে মনে হস্ছে সামনে আরো ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে।তারপরেও এই প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানাই।
অনেক
ঘটনা হলো হলের রুম দখল নিয়া, আর আপনি ফোকাস করলেন ধর্ষণ। আপনার পুরো পোস্টেই, নারী আর ধর্ষণ! এই ইচ্ছাকৃত ফোকাস বিচ্যুতির কারণ কি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রুম দখলের ব্যাপারটা তো দিনের বেলাতেও করা যেত, ফোকাস আসলে রুম দখল বা ধর্ষণ না, মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব।
আপনি কি পোস্ট লেখক?
'মেয়েদের' নিরাপত্তার অভাবটাও পোস্টের ঘটনা থেকে ফোকাস হওয়া উচিত না। কারণ, এই আকাম ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার সাথেই হচ্ছে। মেয়েদেরকে সিঙ্গেল আউট করা, সেইসাথে ধর্ষণকে হাইলাইট করা, যেখানে ঘটনায় ধর্ষণ একেবারেই অনুপস্থিত, পোস্টের উদ্দেশ্য নিয়া সন্দেহের সৃষ্টি করে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রাইট এইখানে ফোকাসটা ধর্ষণ নয় বা রুম দখল নয় - নিরাপত্তার অভাব এবং সেই সঙ্গে ছাত্রলীগের দাপটের আরও একটা চিত্র ফুটে উঠেছে। অবস্থাদৃষ্টে ছাত্রলীগ দেশটাকে মগের মুল্লুকই মনে করে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি পোস্ট লেখকের বক্তব্য চাচ্ছি। ফোকাস পরিবর্তিত হলে পোস্টের বক্তব্য ও উদ্দেশ্য পরিবর্তিত হয়।
রুম দখলের কাজটা ছাত্রলীগ বা বৃহত্তর ছাত্রশিবির সবাই করে। এটা ছাত্রলীগের একার পেটেন্ট করা আকাম না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ আমার বক্তব্য টুকু বোঝার জন্য।
ভাইয়া বুঝলাম শেবাচিম এর ঘতনাতি রুম দখলের,কিন্তু রুম দখল কেন রাত বারোটায় জোর করে মেয়েদের হলে ঢুকে করতে হবে? দিনের বেলাতেও তো হলে আসা যায় অথবা নিচে বসেও তো কথা বলা জায়,৪ তলায় উঠার যুক্তি কি?আর আজ যারা রুম দখলের উদ্দেশ্য নিয়ে হলে রাত ১২টায় ঢুকার সাহস দেখায় তারা যে আগামীতে কোন মেয়ের উপর রাগ হলে, কোন মেয়েকে পছন্দ হলে তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঢুকবে না এই গ্যারান্টি কে দিবে?আবার তাহলে রংপুর বা রাজশাহী মেডিকেল এর ঘটনাটি কিসের?সেখানে তো রুম দখলের বিষয় ছিলনা।আবার পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় এর ঘটনা থেকেও দেখেন যে কোন ঝামেলা হলেই মেয়েদের উপর আঘাত আসে ।সব জায়গাতে মেয়েরা নিরাপত্তাহিনতায় ভুগে।তাই এখানে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা ফোকাস করা হয়েছে।
এই খবরটার দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সাড়ে তিন মাস আগের ঘটনা। পুরোনো ঘটনার কথা টানতে গেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে মধ্যরাতে ২০০১ ও ২০০৪ সালে শিবিরের পুরুষ সদস্যদের কমাণ্ডো হামলার কথা বলা যেতো, কিন্তু আপনি বোধহয় তখন নাদান ছিলেন।
ভাইয়া সবচেয়ে মজার ব্যাপার আমাদের এখানে লীগের ছেলেরা বলে বেড়াচ্ছে আমরা শিবির করি এবং বাচ্চু রাজাকারের ফাসির আদেশের কারনে আমরা প্রতিবাদ করছি।
আমি আসলেই তখন নাদান বাচ্চা ছিলাম।তবে ভবিষ্যতে এই রাজাকারের বাচ্চাগুলকে নিয়ে লিখার ইচ্ছা আছে।
অফটপিক: বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় হওয়ার পর আপনাদের ওখানে শিবির বা ছাত্রী সংস্থার প্রতিক্রিয়া কী?
ঘটনা স্বীকার করলেন যে রুম দখলের - ধন্যবাদ।
কিন্তু এই ঘটনার ওপর লিখতে গিয়ে আবহ সৃষ্টি করলেন ধর্ষণের। ঘটনা বর্ণনার আগেপরেও নারী শরীর, ধর্ষণ ও ছাত্রলীগই চলতে থাকলো। এরপর ডাক্তার ইভার উদাহরণ দিলেন, যিনি খুন হয়েছেন ব্যক্তিগত কনটেক্সটে, কোনো দলীয় কনটেক্সটে না।
ধর্ষণে ফোকাস করলে সুবিধা হলো, ধর্ষণ শুনলেই মানবতা সহজে খাড়াইয়া যায়। যে মানুষ খুনের ঘটনায়ও দেখা যাবে হাই তুলতেছে, সেও ধর্ষণ শুনলে ছিঃছিঃ করে উঠবে। এবং অধিকাংশ সময়ই আগেপরে কিছু চিন্তা না করে।
এসকেপ রুট। যাতে লেখার ফাঁকফোকরগুলো চোখে পড়লে আবেগের দোহাই দিয়ে বের হওয়া যায়। আপনার লেখা এবং মন্তব্যে আমি নিশ্চিত আপনি মোটেই আবেগে চলেন না।
আপনি শিবিরের আকামের সময় চুপ, ছাত্রলীগের আকামের সময় কেন সোচ্চার - এই প্রশ্ন আমি করছি না। আপনার সময় সুযোগমতো সোচ্চার হওয়ার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু সত্যিই যদি আকাম প্রতিহত করতে চান, টপিকে থাকুন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লেখাটাতে আমি নারী হিসেবে লেখিকার অসহায়ত্ব দেখতে পেলাম। ধর্ষনের ঘটনাগুলোর আলোচনায় বুঝলাম বাংলাদেশের নারীরা এই ধর্ষন বিষয়ে কত অসহায় আর বিপন্ন বোধ করেন। তারপর জানতে পারলাম তাদের ছাত্রীনিবাস যেটাকে তারা এতদিন নিরাপদ ভেবে এসেছেন সেখানেই রাতবিরাতে হাঙ্গামা দেখে তারা আরো বিপন্ন বোধ করছেন, অনিরাপদ বোধ করছেন। আর এতোদিন যে ছাত্রীনিবাসকে ধর্ষনের বিরুদ্ধে একটা দূর্গ বা আশ্রয় ভাবছিলেন আজকে সেটা ভাবতে পারছেন না।
ছাত্রলীগের কথা ফোকাস করলেও দেখা যাচ্ছে আপনার "মানবতা সহজে খাড়াইয়া যায়"!
আপনি ছাত্রলীগের আকামের কথা শুনে এতো ফোসফাস কেন করছেন সে প্রশ্ন আমি করছি না। তবে আকাম ছাত্রলীগের হলেও সেটা আকামই। শিবির করলেও তাই।
এটাই পয়েন্ট। আকাম আকামই। এজন্য আকামে ফোকাস থাকা উচিত। ফোকাস সরে গেলে সমস্যা। হল দখলের আকামে ফোকাস যদি হয় ধর্ষণ, তখন ইতিহাস অন্য দিকে ঘুরে যায়।
স্রেফ ব্যক্তিআক্রমণ। আনকলড ফর। এর বিরুদ্ধে কিছু বলে ব্যান হতে চাই না।
যেটা দেখতে পান নাই, সেটা ত্রিমাত্রিক কবির কমেন্টে আছে। এ দেখতে না পাওয়ার জন্যই সচলে এই পোস্ট প্রকাশিত হয়েছে।
পোস্টটা স্টিকি করা হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আচ্ছা! যে কথাটা আপনার মুখ (!) দিয়ে বেরিয়েছে সেটাই যদি আপনার বিরুদ্ধে বলা হয় তাহলে সেটা ব্যক্তি আক্রমণ হয়ে যায়? আর আমার বিরুদ্ধে কিছু বললে ব্যান হয়ে যেতে পারেন এধরণের ফাড ছড়ানোর উদ্দেশ্য কি সেটাও পরিষ্কার হলো না।
"স্রেফ ব্যক্তিআক্রমণ। আনকলড ফর।"
আমার কথাটা ইন জেনারেল উক্তি। এবং ফ্যাক্ট। ধর্ষণ খুনের চেয়েও সেনসিটিভ জিনিস। আপনি আমাকে যেটা বলেছেন, সেটা 'ব্যক্তিগত' এবং মিথ্যা কথা। ছাত্রলীগের কথা বললে আমার 'মানবতা' খাড়ানোর কোনো উদাহরণ চোখে পড়লো না।
আপনার না, আপনার ব্যক্তি-আক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যক্তি আক্রমণ করলে সচলায়তন ব্যান করারই কথা। নাকি সচলে এখন ব্যক্তি-আক্রমণ বৈধ? অবস্থাদৃষ্টে বৈধই মনে হচ্ছে।
পোস্ট স্টিকি করতে বলে আমি কোন ব্যক্তিকে আক্রমণ করেছি?
একটা প্রশ্ন, আমেরিকায় কি আয়োডিন লবণের দাম বেড়েছে মন্দার পরে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
জামার্নিতে বেড়েছে?
না, জার্মানিতে বাড়ে নাই। আগেও ১৯ সেন্ট ছিলো, এখনো তাই। আপনাদের ওখানে কেমন বেড়েছে দাম?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমেরিকাতে মনে হয় আয়োডিন লবন নেই - যা আছে ইউরোপে, ওই কারণে ওদের বুদ্ধি বেশি। দেখছি আপনি যেটা করছেন সেটা হচ্ছে গায়ে পড়ে ঝগড়া, বিনা কারণে ঝগড়া করার রেকর্ড আপনার আছে, সম্ভবত কৌস্তুভের সাথে একবার করেছিলেন। আয়োডিন বেশি সেবন করলে এই সমস্যা হয় কিনা নিশ্চিত নই।
শিবিরও হল দখল করে - সুতরাং ছাত্রলীগের হল দখল করা এমন বিরাট কি ঘটনা যে এই খানে ধর্ষণ-টর্ষণ দিয়ে সেন্টিমেন্ট তৈরি করতে হবে - এই হচ্ছে আপনার মূল বক্তব্য, রাইট?
ছাত্রলীগ রাস্তায় মানুষ কোপায়ে মারবে, শিশু হত্যা করবে, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হল দখল করবে আর ওগুলো নিয়ে লিখলে লাভের গুড় কার পাতে যাবে সেটা আমার প্রথম চিন্তা করতে হবে?
বর্তমান পরিস্থিতে দেখছি লাভের গুড় শিবিরের অ্যাকাউন্টে জমা করার সব চেয়ে গুরু দায়িত্বটা ছাত্রলীগই নিয়েছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
গায়ে পড়ে ঝগড়া তো আপনিই করছেন। আপনাকে কে ডেকেছে কথার মধ্যে কথা বলার জন্য? নিজের চরকায় তেল দেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই মন্তব্যটিকে ব্যক্তি আক্রমন হিসেবে চিহ্নিত করলাম। মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এটা কি? উনার সাথে আমার কখনোই কোনো ব্যাপারে কিছু হয়েছে বলে মনে পড়ে না। এখানে ধুম করে এসে পায়ে পা লাগিয়ে দিলেন।
আমি 'বিনা কারণে' কৌস্তভের সাথে 'ঝগড়া' করেছিলাম!!!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কেউ ডাকেনি। স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে ঢুকলাম। আরেকবার বলি আপনার অভব্যতা ছাত্রলীগতুল্য। রাতের বেলাতে মেয়েদের হলে হানা দিতেন নাকি?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার বেয়াদবি শিবিরতুল্য। আপনি এখানে কি অসম্ভব বাজে রকমের মন্তব্য করেছেন আমার সম্পর্কে সেটা বোঝার মতো বোধশক্তি আপনার নাই। আপনি শিবিরের মতো ওৎ পেতে থাকেন, কখন রগ কাটা যায়। কখন একটা বিবেকের ভূমিকা নেয়া যায়। আপনাকে কেউ ডাকে নাই ভাই, আপনি অফ যান। আমাকে নিয়া আপনার চিন্তা না করলেও চলবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দ্বিতীয় উদাহরণ।
উদাহরণ কালেক্ট করার ঝামেলায় যান ক্যান? আপনার হাতে ক্লিক পাওয়ার আছে, ক্লিক মেরে দিতে পারেন। আমার সচলের অ্যাকাউন্টটার প্রতি শ্রদ্ধা আছে। এজন্যই আপনার ব্যক্তি আক্রমণের পরেও পালটা দেই নাই। এখন তাসনীম এসে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করছেন, আর আপনি উদাহরণ খুঁজছেন আমার মন্তব্যে। গ্রেট জব!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
যদি একজন মডারেটর কোন আলোচনায় জড়িয়ে পড়েন, কনফ্লিক্ট অভ ইন্টারেস্ট এড়াতে, সে আলোচনা সর্ম্পকিত কোনো মডারেশনে তিনি অংশগ্রহন করেন না।
একথাটা পড়েছিলাম সচলায়তন একাউন্টের কাছ থেকে একবার।
ও আচ্ছা, আপনি তাহলে আপাতত একা একা ক্লিক পাওয়ার অ্যাপলাই করতে পারছেন না।
অবশ্য ফেয়ার ট্রায়াল হলে আপনি এবং তাসনীম দুজনই হয়তো সচলে ব্যানড হতেন আগ বাড়িয়ে ব্যক্তি-আক্রমণের জন্য। দেখা যাক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তা্রও আগে আপনি ব্যান হতেন কৌস্তুভ বা স্পর্শকে ব্যক্তি আক্রমণ করার কারণে।
আমি একটু নাক গলাতে চাই। তাসনীম ভাই এবং বলাই দা দুজনেই আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আপনারা দুজনেই একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসেন।
- এডিট করলাম -
আমি আর কথা বাড়াতে চাই না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সেইম হিয়ার। আপনার সাথে আমার কখনো কিছু নিয়া ঝামেলা হয় নাই। আপনি মাঝখান দিয়া পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করতে এলেন কেন বুঝলাম না। এবং মনে কষ্ট পেলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
একদম খামাখা।
অজ্ঞাতবাস
মাহবুব ভাই আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিবো বুঝতে পারছি না। আমার ধন্যবাদে আপনার কিছু যায় আসে না, আপনি যা মনে করেন তা বলেছেন তবুও আপনাকে
লেখিকার লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে নারীর প্রতি যে সহিংসতা হচ্ছে তাতে সে চিন্তিত, ক্ষুব্ধ , আহত।
তার লেখা পড়েই বুঝা যাচ্ছে এসব নিয়ে সে ভিতরে ভিতরে অসহায় বোধ করছিল, যেটা আমরা সবাই কম বেশী করছি। এরপর যখন তার নিজের নিরাপদ যায়গাটাতেই একদল এসে হানা দিল, উদ্দেশ্য যাই হোক, ঘটনাটাতে ওখানে যারা ছিল সবাই যে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগবে এটাই স্বাভাবিক। সেই দলের লোকেরা ছাত্রলীগ হক,শিবির হোক অথবা অন্য যে কোন দলের হোক, তাতে তো তাদের অসহায়ত্ব কমবে বা বাড়বে না। এখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তাই এসব ছাত্রলীগ করছে, যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন ছাত্রদল,শিবির এরা করত। যখন যে সুযোগ পাচ্ছে করছে। আমরা যখন ক্যাম্পাসে তখন বিএনপির ক্ষমতার শেষ সময়। তাই আমরা শিবির ছাত্রদল এদের অনেক কুকীর্তি দেখেছি। আবার এখন যারা ক্যাম্পাসে তাঁরা ছাত্রলিগের টা দেখছে। লেখিকা যেহেতু এই নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে লিখেছে তাই হয়ত এখানে ছাত্রলীগের কুকীর্তি কথাটাই হাইলাইট হয়েছে। তার মানে তো এই না যে সে শিবির করে, বা সাপোর্ট করে।
অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, ছাত্রলীগ ক্রমাগত একের পর এক নষ্টামি করে যাচ্ছে , আর সেটা নিয়ে কথা বলতে গেলেই একদল এসে বলছে তোমরা শিবির কর, আবার শিবিরের লোক সেই প্রতিবাদ টার সুযোগ নিয়ে নিজেদের আখের গুছাচ্ছে। এর কারণে ঝামেলায় পড়ছে আমাদের মত সাধারন মানুষ। প্রতিবাদ করতে গেলেও এখন হাজার হ্যাপা।
লেখিকা যে বলেছেন সে আবেগি হয়ে লিখেছেন, এই স্বীকারোক্তির কারণটাও সম্ভবত এটাই যে উনার মানসিক অবস্থা যে ডিস্টার্ব এটা উনি নিজে বুঝতে পারছেন।
এখানে উনি স্যারদের আচরনের কথা বললেন, উপরের একটা মন্তব্যে আমি নিজেও আমাদের সময়ের প্রিন্সিপালের কথা বললাম ( উনি শিবিরের লোক ছিল )তাদের প্রিন্সিপালের আল্লাহ তোমাদের রক্ষা করবে টাইপ কথা, হোস্টেল সুপারের পুলিশের সামনে অস্বীকার এসবই লেখিকার লেখায় এসেছে । উনি তো একা ছাত্রলীগ কে দোষারোপ করেন নি। উনি নিরাপত্তাহিনতায় ভূগছেন এবং সেই কারণে এর সাথে সংশ্লিষ্ট ( যাদের ছাত্রীদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা ছিল) সবার আচরণ টুকুই লেখায় তুলে ধরেছেন।
লেখিকার ইভার কথা লেখার কারণ সম্ভবত এই যে ইভার মৃত্যু টা সব ডাক্তার মেয়েকেই খুব নাড়া দিয়েছে এটার সবচেয়ে বড় কারণ সে রাস্তায়, পার্কে, বাসায়, বাসে মারা যায় নি। যেসব যায়গায় প্রতিদিনই অসংখ্য মেয়ে কোন না কোন ভাবে ধর্ষিত, লাঞ্ছিত হয়। ে কারনেই মেয়েরা আমরা মোটামুটি এই ব্যাপার টাতে অভ্যস্ত হয়ে যাই। মনে মনে প্রস্তুত থাকি যে যে কোন সময় কিছু একটা হতে পারে। কিন্তু ইভা মারা গিয়েছে হাসপাতালে নাইট ডিউটি করতে গিয়ে। একজন মানুষকে বাঁচিয়ে তুলার চেষ্টা করার মত গুরুদায়িত যেই মানুষটার হাতে ন্যস্ত সে নিজেই যদি সেই জায়গাটাতে গিয়ে খুন হয় তাহলে তার মত দায়িত্তরত বাকি মানুষগুলোর মনের অবস্থা একটু নড়বড়ে হয়ে যেতে বাধ্য। অভুক্তভুগিরা সেটা সম্ভবত বুঝবে না। উনাদের কাছে অতিরঞ্জিতও মনে হতে পারে। প্রসঙ্গত আমার নিজের বাসা থেকেও নাইট ডিউটি করতে খুব জোরেশোরে না বলা হয়েছে, যদিও আগে এটা নিয়ে কেউ কোন মাথাই ঘামায় নি। ডাক্তার হলে নাইট তো করতেই হবে, সবাই এটাই স্বাভাবিক মনে করত। এখন কেউ করছে না। ইভার মৃত্যুতে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে এই জায়গাটাতে।
লেখিকার লেখায় আমার কোথাও মনে হয়নি উনি শিবিরের পক্ষে অথবা ছাত্রলীগের বিপক্ষে। উনি শুধু একটা ঘটনার প্রতিবাদ করতে চেয়েছেন, দুর্ভাগ্যবশত যেটা ছাত্রলীগ ঘটিয়েছে। শিবির ঘটালে ভাল হত, তখন উনার লেখায় সবার বাহবা দেয়াটা সহজ হত। ছাত্রলীগের বিপক্ষে দেখেই ব্যাপারটা গল্মেলে হয়ে যাচ্ছে। মাঝখান থেকে এই লেখা শিবিরের লোকজন শেয়ার দিচ্ছে, ফায়দা লুটছে।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই মুর্শেদ ভাই। যদিও জানি আপনি ধন্যবাদ পাবার জন্য কমেন্ট করেননি নিজে যা অনুভব করেছেন তাই লিখেছেন।
মেয়ে না হলে সম্ভবত মেয়েদের কষ্ট বোঝা যায়না। খুব কম সংখ্যক পুরুষই তাই শারীরিক ভাবে একটি মেয়ের লাঞ্ছিত হবার কষ্ট বুঝতে পারেন। একটি ছেলে কি কখনও জানে খুব ছোট থেকে একটি মেয়েকে ঠিক কিসের কিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। একজন পুরুষের নোংরা চোখের দৃষ্টি অথবা খারাপ স্পর্শ কি বাজে একটা অনুভূতি তৈরি করে এটি বোধ হয় পুরুষ সমাজের বোঝার ক্ষমতা হবেনা। তাই একজন পুরুষের কাছে ধর্ষণ স্রেফ একটা ঘটনাই হয়ে থেকে যায় যাতে কিনা অন্যরা প্রতিবাদ করলে, বেশী সোচ্চার হলে "মানবতা খাড়া হয়ে যাবার" মত শব্দ ব্যাবহার করতে হয়।
আমি পোস্টটি আবার পড়লাম কোথাও কিন্তু ঠিক সেইভাবে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়নি বা অন্য কোন দলের সপক্ষেও কিছু বলা হয়নি আর তাই হয়ত লেখিকা উনার কোন এক মন্তব্বে বলেও বসেছেন যে এটি কোন রাজনৈতিক পোস্ট নয়। বরং পুরো লেখাটাতেই আমি মেয়েদের কষ্ট এবং নিরাপত্তাহীনতার অসহায় অনুভূতি দেখতে পেয়েছি। এবং সেই কষ্ট থেকেই কিন্তু উনি শেষ পর্যন্ত বলেছেন যে উনার মেয়েকে উনি ডাক্তার বানাবেন না। যদি উনার অন্য কোন উদ্দেশ্য থেকে থাকত তাহলে পুরো পোস্টে ছাত্রলীগের দুর্নাম টাই ফোকাস করা হত মেয়েদের সমস্যাগুলো নয়।
হয়ত উনি বেশী আবেগি হয়ে লেখাটা মেয়েদের নিরাপত্তাহিনতার দিকে ফোকাস করেছেন কিন্তু সেখানে উনাকে এইটুকু বলাই কিন্তু যথেষ্ট ছিল যে মূল টপিকে লিখতে, খামোখা জল ঘোলা করার প্রয়োজন টা কি ছিল ঠিক বুঝলাম না।
ছাত্রলীগ,ছাত্রদল অথবা শিবির যেই কাজটা করে থাকুন না কেন এবং রুম দখল বা যে উদ্দেশেই করে থাকুক না কেন মূল পয়েন্ট হল গভীর রাতে মেয়েদের রুমে যেয়ে ধাক্কা দেওয়া। আজ রুম দখলের উদ্দেশে যদি যেতে পারে তাহলে কাল অন্য কোন খারাপ উদ্দেশেও যেতে পারবে। মূল বিষয়টা হল মেয়েরা তাহলে তাদের নিজের হোস্টেলে কি ভীষণ অনিরাপদ।
বাংলাদেশের অনলাইন ব্লগগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল সচলায়তন আর এই কারনেই কেউ খুব গুরুত্ব সহকারে কিছু লিখতে চাইলে সচল বেছে নেয়, কিন্তু কেউ যদি নিজের জীবনের একটি কষ্টের অথবা একটি আক্ষেপের ঘটনা লিখতে গিয়ে এইভাবে ঘটনাটি অন্য দিকে প্রবাহিত হতে দেখে তাহলে সেটি নিশ্চয় ভালো কিছু নয়।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ছাত্রলীগের কুকর্ম নিয়ে কথা বলাও যাবে না পাছে শিবির সুবিধা পেয়ে যায়। ছাত্রলীগ এই সরকারের আমলে কোন বালটা (ভালোটা'র আঞ্চলিক রূপ) করছে নিজের আখের গোছানো ছাড়া?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছাত্রলীগের অবদান কী-- এই প্রশ্ন কি করা যাবে? নাকি সেটা করলেও শিবিরের সুবিধা হবে?
আমারও সেটাই প্রশ্ন।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
ছাত্রলীগ বরং সরকারের গোঁদের ওপর সবচেয়ে বড়ো বিষফোঁড়ার নাম। এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বড়ো আকাম গুলা ছাত্রলীগের ব্যানারে। বিশেষ করে মিডিয়া ছাত্রলীগের আকামে গত ৪ বছরে কখনো নিউজখরায় পড়ে নাই।
এই পোস্টের ঘটনাও ছাত্রলীগের একটা আকাম: হল দখল।
ছাত্রলীগের আকাম নিয়ে অবশ্যই কথা বলা যাবে। হল দখল করলে হল দখলের দায়, ধর্ষণের দায় না। ব্যক্তিগত কারণে কেউ ধর্ষণের শিকার হলে সেটার দায়ও ছাত্রলীগের ওপরে না। এই অনেস্টি না থাকলে তখন উদ্দেশ্য নিয়া প্রশ্ন জাগে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনার পয়েন্টা আমি বুঝতে পেরেছি।
কিন্তু পোস্ট লেখক তো ছাত্রলীগ ধর্ষন করেছে এরকম কিছু বলেনি।
এটুকু পড়ে আমার মনে হলনা যে এটা ছাত্রলীগের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছে। এটা একটা সাধারণ আংশকার কথাই মনে হল।
বস, আপাতত আমার পয়েন্টটা বুঝতে পারলেই এনাফ। পোস্টে কি আছে, এর উদ্দেশ্য কি এটা পরে বুঝলেও চলবে।
হিমুর করা প্রশ্নগুলোর উত্তর পোস্টলেখক দিলে হয়তো আরো পরিষ্কার হবে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হুম।
আপনার যদি মনে হয় লেখার ফোকাস মূল বিষয়ে জায়নি, সেটা আপনি জানিয়ে সেখানেই ক্ষান্ত দিতে পারতেন। এবং খুব বেশি প্রয়োজন বোধ করলে ঘটনার ফোকাস ঠিক রেখে নিজে এই বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়ে আমাদের অবগত করতে পারতেন। কিন্তু একটা মানুষের (মেয়ে বলিনি কিন্তু) আশংকা, ভয়, অসাহয়ত্ব, নিরাপত্তাহীনতা এই বোধগুলো যে এরকম একটা ঘটনার সাথে খুব সহজে জড়াতে পারে, এটা বুঝতে একজন মানুষ হিসেবে খুব বেশি কষ্ট হবার তো কথা না!
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
যখনই কোন ফুটফুটে বাচ্চা মেয়ে দেখতাম আমার মনে হতো যে ইশ আমারও এরকম একটা মেয়ে হতো। কিন্তু বর্তমানে মেয়েদের নিরাপত্তা এত নিম্ন মানের আর নিজের মেয়ে জীবনের এত বেশী তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে যে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলতে ইচ্ছা হয়, থাক মেয়ে না হোক আমার।
ঘরের বন্দী জীবন থেকে খোলা রাস্তা, বস্তি থেকে বিলাসবহুল এপার্টমেন্ট, সব যায়গাতেই মেয়েদের প্রতি দৃষ্টি ভঙ্গি আসলে একই। চারপাশে মেয়েদের নিয়ে এত বেশী অঘটন কিন্তু আমাদের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। সবার সব কিছু গা সওয়া হয়ে গেছে। ২/১ সপ্তাহ একটু মিডিয়ায় হইচই, তারপর সব ঠাণ্ডা। এরপর আবার নতুন কোন টপিক। এভাবেই চলছে। আসলে আমরা এখন মেরুদণ্ডহীন হয়ে গেছি। প্রতিবাদ করার মত শক্তি বা মনোবল, কোনটাই আমাদের নাই।
আপু,আমার ও ঠিক এই স্বপ্ন ছিল,কিন্তু এখন আমিও এই কথাটায় বলি।কিন্তু আপু আমাদেরকেই তো আমাদের মেয়েদের জন্য একটা সুন্দর,পরিচ্ছন্ন পৃথিবী দিতে হবে আর সেই জন্য প্রতিবাদ চলুক সর্বত্র ।
সাবধানে থাকুন, আপাতত অক্ষম ক্রোধে এটুকুই বলতে পারলাম। এ ছাড়া আসলেই বলার কিছু নেই।
কিছু ছাত্র লীগ ক্যাডারদের এই ধরণের ধৃষ্টতা আসলেই বেশ আশঙ্কা জনক। আর সবচেয়ে বেশী আতংকিত হয়ে হতাশ হলাম তখন যখন একজন অধ্যক্ষ আপনাদের আল্লাহর মাল বানিয়ে দিলেন।
জানিনা মনুষ্যত্ব আমরা এত সস্তা দরে আজ কোথায় বিক্রি করে দিচ্ছি। আমাদের বিবেক আমাদের মানবিক গুন আমাদের থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে যেন।
মানুষ এখন পশুর পাশবিকতাকেও হার মানাচ্ছে। তবে দমে যাবেন না। ভালো একটা সময়ের স্বপ্ন আজও মরে যায়নি।
আপনাদের হলের অবস্থা আর সহপাঠীদের অসহায়ত্ব অনুভব করছি। নিজের উপর ভরসা রাখুন আর সাবধানে থাকুন । বলবনা যে এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার হোক তা এখন আর হয় না, তবে এটুকুই চাই যেন এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
ঠিক বলেছেন আপু,ভাল সময় আসবেই, আমরা সেই স্বপ্নই দেখি।
সেইটাই!
এই দাবানল প্রতিহত করতে আমাদের কি কিছুই করার নেই? দিনের পর দিন একই কাহিনী শুনতে আর ভালো লাগে না। অনেকের মত শুধু এতোটুকুই বলতে পারি, প্লীজ সাবধানে থাকবেন। পুলিশ, কলেজ প্রশাসন কেউই তাদের দায়িত্ব পালন করবেনা এটা মেনে নিয়েই আমাদের চলতে হবে
প্রথমে তোমাকে সচলে স্বাগতম জানাই।
বেশ ভালো লিখেছ, গুছিয়ে লিখেছ। তবে তার মাঝেও অনেক জায়গায় ফাঁক ফোকর রয়ে গেছে। পরেরবার চেষ্টা কর মূল ঘটনা আরেকটু ফোকাস করে লিখতে।
এটা তো অনেক ঘটনা থেকে বুঝাই যাচ্ছে যে আমাদের দেশে কোন সরকারই তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করবেনা। আমাদের সমাজ টাই মনে হয় ব্যক্তিকেন্দ্রিক নিরাপত্তার সমাজ হয়ে যাচ্ছে।
মেয়েদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন হচ্ছে না আর দিন দিন নারী নির্যাতন অপরাধের ঘটনা বাড়তেই আছে।
সচেতনাতার কোনই বিকল্প নেই। তোমার প্রতিবাদ কে সাধুবাদ জানাই। প্রতিবাদ চলুক লেখায়, কাজকর্মে, রাস্তায় সব জায়গায়। প্রতিবাদে ছিলাম, আছি, থাকব।
তোমাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইল। তোমাদের প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবী সফল হোক। সাবধানে থেক।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অনেক ধন্যবাদ আপু।আমি জানি তুমি ছিলে, আছে, থাকবে।
ভবিষ্যতে লেখার সময় ফোকাস করার চেষ্টা করবো।
একটা নির্দোষ ইনফো - এই লেখাটা আমি শিবিরের কিছু পোলাপানকে শেয়ার করতে দেখলাম।
আমি আশা করছি, লেখক হয়ত অত সাত-পাঁচ ভেবে লেখেননি, কিন্তু লেখাটাতে অনেক জায়গাতেই যুক্তির দুর্বলতা আছে। যেসব ইস্যু নিয়ে লেখার লাভের গুড় শিবিরের পাতে যেতে পারে সেসব ইস্যুতে একটু ভেবে চিন্তে লেখার দরকার আছে বলে করি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অবাক হই নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এখানে কিভাবে লাভের গুড় শিবিরের পাতে যেতে পারে আমি তা আগের কমেন্টে দিয়েছি ।আসলে কিছু বিষয় পরিষ্কার করা উচিৎ , যেমন - আপনারা হয়ত বিভিন্ন মিডিয়ার ছবিতে দেখে থাকবেন যে মেয়েরা সবাই মুখে কাপড় দেওয়া ছিল, এটার ওয়ান অ্যান্ড অনলি কারন হচ্ছে আমাদের মেডিকেল সাইন্স এর পড়ালেখায় ৫০% লিখিত ৫০% মৌখিক ।আমাদের পাস মার্ক ৬০% ।এখন শুধু লিখিত দিয়ে তো আমরা পাস করবনা, স্যার মাদামের সামনে বসে ভাইভা দেওয়া লাগে । তো এখন যখন স্যারদের কথা না শুনে, তাদের সামনেই মিছিল করছি, মিডিয়ার সাথে কথা বলছি তখন তারা পৃথিবীর সব ভুলে যাবে কিন্তু আমাকে ভুল্বেনা( যদি মুখ ঢাকা না থাকে)।আর আমার তাহলে জীবনেও ডাক্তার হওয়া লাগবেনা।
আর এখানে যদি কোন শিবির থেকে থাকেন যে আমার পোস্ট শেয়ার করেছেন দয়া করে তা রিমুভ করেন কারন আমি আর যাই করি না কেন আপনাদের মতো নব্য রাজাকারদের মনেপ্রানে ঘৃণা করি।
মুখ ঢাকা থাকলেই কি স্যারেরা চিনবে না কে কে আন্দোলন করছে?
এখানে ছবিতে দেখা যাচ্ছে অনেকেই মুখ খোলা রেখেই মানববন্ধন করছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাইয়া আমি আসলে বুঝতে পারছিনা যে আপনি কেন এই পোস্টকে একটি রাজনৈতিক পোস্ট বানানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন??? যাই হোক আপনার এবং সবার উদ্দেশে আমি একটি কথা বলতে চাই, এটি কোন রাজনৈতিক পোস্ট না, এটি শুধু আমার ব্যাক্তিগত ক্ষোভ এবং নারীদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে লেখা।আর আপনি যে মুখ খোলা ছবি দিয়েছেন সেটা আসলে আপনি এখানে থাকলে তাহলে বুঝতেন কখন মুখ খোলা ছিল আর কখন মুখ বন্ধ ছিল। মেয়েরা যে কোন পরিস্থিতিতে কতখানি অসহায় সেটা আসলে আপনি বুঝবেন বলে আমার মনে হয়না।
খামোখাই একটা অরাজনৈতিক ,ব্যাক্তিগত চিন্তার পোস্টকে দয়া করে রাজনৈতিক বানানো থেকে বিরত থাকুন।আর এরপর আমি আপনার সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে আগ্রহি না।ভাল থাকবেন।
দুটি প্রশ্ন:
১. এই ছবিতে যে প্রতিবাদী মেয়েদের দেখা যাচ্ছে, ওনারা কি আপনার চেয়ে কম অসহায় ছিলেন?
২. রাজনৈতিক পোস্ট কাকে বলে?
ছবিটা দেখে আমার যেটা মনে হল - ছবিটা মেয়েগুলোর অসতর্ক অবস্থায় তোলা, মানে যে কয়জনের মুখ দেখা যাচ্ছে তারা প্রত্যেকে অন্যমনস্ক ছিল। আর পিছনে সব মুখ ঢাকা মেয়েদেরই দেখতে পাচ্ছি আমি।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
আমাদের বরিশাল পত্রিকার তোলা ছবি যেখানে দেখা যাচ্ছে সবাই মুখ ঢেকেই ছবি তুলেছে এবং ছবির নীচে সেই কথা লিখাও রয়েছে।
নীপবন
লেখক মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার কথাই তুলে ধরতে চেয়েছেন। কেন শিবির বা ছাত্রলীগ নিয়ে ঘটনাটি পলিটিকাল করা হচ্ছে। অপরাধ যেই করুক তার শাস্তি হতেই হবে।
আশা করি একদিন সমাজের এই অনাচার বন্ধ হবে।
ক্যাম্পাসে না থাকলে আসলে বুঝানো যাবে না প্রকৃত পরিস্থিতি কিরকম।অন্যায়টা কে করেছে,তারচেয়েও গুরুত্বপুর্ণ হোল অন্যায়টাকে প্রতিরোধ করা।
আপনার লিখাটা আমার কাছে খুবই হৃদয় বিদারক লাগছে। এত প্রতিকুলতার পরেও সাহসের সাথে যতটুকু অর্জন করেছেন এবং করার চেষ্টা করছেন তার জন্য অন্তর থেকে সাধুবাদ। আপনি যে পরিস্থিতির স্বিকার আমাদের সমাজে যদি পরিবর্তন না আসে তাহলে আগামিতে আমাদের বোন কিংবা মেয়েরাও একই পরিস্থিতির স্বিকার হবে। সাহস হারাবেননা, অধিকার আদায়ে আমাদেরকেই সোচ্চার হতে হবে।
বিভিন্ন সামাজিক কারনে মেয়েদের সমস্যাগুলো নিয়ে এমনিতেই মেয়েরা প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনা। আর দুই একজন যদি এগিয়েও আসে তাকে যদি ভুল অর্থে এইভাবে আক্রমন করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে হয়ত আর কোন মেয়েই প্রতিবাদ করতে সাহস পাবেনা। শেষ পর্যন্ত ভুক্তভুগি সেই মেয়েরাই থেকে যাবে।
বিষয়টা খুব দুঃখজনক !
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
বিষয়টা খুব দুঃখজনক !
সব কিছু দেখে শুনে পড়ে অবাক হতেও ভূলে গেছি !
সাবধানে থাকবেন আপ্নারা, এ ছাড়া কিইবা বলার আছে
নজরুল ভাইয়ের তিন নম্বর কমেন্টের পরেই এই পোস্টের আলোচনা মোটামুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আপনার কথার বটম লাইনটা কী? প্রতিবাদ করা নাকি পর্দা করা বা হারেমে ঢোকা? যা বললেন সেটা পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিটা ক্ষমতার অংশীদারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সেটার বিরুদ্ধে লড়াই যারা করে বা করতে চায় বা লড়াইকে সমর্থন করে তারা কেউই কিন্তু আপনার পোস্টের শেষ কথাগুলি বলে না।
আপনি এই পোস্টে আসলে কী বলতে চান? পাঠকের বুঝে নেওয়ার দায় যেধরণের পোস্টে একেবারেই থাকেনা আপনার পোস্টটা সেই ধরণের।
অজ্ঞাতবাস
অন্য সবার মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছেন কিন্তু হিমুর দুইটা প্রশ্নের উত্তর পাই নি। অপেক্ষায় আছি -
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দেরীতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত। ব্লগে আগে লিখিনি তাছাড়া কিছুটা অসুস্থতার জন্য তালেগোলে দেরী হয়ে গেল।
আমাদের হলে কোন মেয়ে ছাত্রী শিবির করে কিনা আমার সঠিক জানা নেই তাই ওভারঅল সবার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল বলতে পারছিনা। তবে বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় হবার পরে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন এবং হলে বা হলের বাইরে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব প্রত্যেকের কাছে দিনটি ছিল অন্যরকম আনন্দের।
স্বাধীনতা বিরোধীদের শাস্তি প্রদান এবং কার্যকরের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দেশকে যারা ভালবাসে তাদের প্রত্যেকের কাছে ভীষণ রকম কাম্য- এবং ছোট থেকে পরিবার থেকে এই শিক্ষাটাই পেয়েছি।
এখন বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি কার্যকর সহ অন্যান্য ঘৃণ্য রাজাকার গুলার শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছি।
অপ্রাসঙ্গিক হলেও আগেও বলেছি আবারও বলছি- রাজাকার, দেশদ্রোহী, যুদ্ধাপরাধী, নব্য রাজাকার, পাকিস্থান, জামাত শিবির প্রত্যেকের জন্য আজন্ম ঘৃণা, ঘৃণা এবং ঘৃণা।
রাজনৈতিক পোস্ট - হয়ত এখানে আমার বাক্য চয়ন ভুল হয়েছে। আসলে আমার লেখাটার মূল উদ্দেশ্য ছিল আশেপাশের সব মেয়েদের অসহায়ত্ব নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকেই লেখাটা লিখেছিলাম। আগে কখনও লিখিনি তাই যুক্তির জায়গা নড়বড়ে ছিল পরে সবার মন্তব্য পড়ে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি কিভাবে কোন ঘটনায় ফোকাস করে লিখা যায়। আমি আসলে রাজনৈতিক পোস্ট দিয়ে বুঝাতে চেয়েছিলাম কোন দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয় সামগ্রিক ভাবে আমি যা অনুভব করেছি সেটাই বলতে চেয়েছি। মেয়েরা সব ক্ষেত্রে ভুক্তভুগি হচ্ছে, আশেপাশের সব ঘটনা দেখে শুনে ভিতরের প্রচণ্ড কষ্ট চেপে রাখতে পারিনি তাই থেকেই লেখাটা লিখেছিলাম। আবারও সঠিক বাক্য চয়ন করতে না পারার জন্য আন্তরিক দুঃখিত।
পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ।
নীপবন
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন