বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় আলোকসঞ্চারী প্রতিষ্ঠান, মানুষের মনের ভেতরকার অজ্ঞানতা দূর করে তাঁকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে বিকশিত করাই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। কিন্তু ইদানীং খেয়াল করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভরে যাচ্ছে ছদ্মসাম্প্রদায়িক উত্তরাধুনিক ধান্ধাবাজে। এমনই একজন নব্যরাজাকার পিয়াস করিম, যে কিনা আবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক হয়ে বসেছে!
একটু পটভূমি বলি, এই উত্তরাধুনিক রাজাকারের বাবা ও নানা দুইজনই ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমিল্লা এলাকার রাজাকার - শান্তি কমিটির নেতা। তার বাবা অ্যাডভোকেট এম এ করিম মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলা শান্তি কমিটির নেতা। তাকে মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইনে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। এবং এই উত্তরাধুনিক-রাজাকার পিয়াস করিমকে এখন দেখা যায় প্রায়ই টিভি টকশোতে নানারকম উত্তরাধুনিক ত্যানা-পেঁচানির মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাজে কথা বলতে ও জামাত-শিবির গোষ্ঠীর পক্ষে সাফাই গাইতে। সে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে অপপ্রচার করে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই। সম্প্রতি শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের গণমানুষের আন্দোলনকে সে "অবৈধ" ও "ফ্যাসিষ্ট" বলারও দুঃসাহস দেখিয়েছে! এ কারণে স্বভাবতই এই ভণ।ড বদমাশটিকে শাহবাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
গোটা দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, আত্মশুদ্ধির পথ বেছে নিয়েছে। ঘোষণা এসেছে স্বাধীনতাবিরোধী সকল গোষ্ঠীকে প্রতিহত করার। শপথ নেওয়া হয়েছে, এইসব নব্যরাজাকারদেরও ধ্বংস করতে হবে সমূলে। এরই পথ ধরে, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তপক্ষকে বলতে চাইতে, আপনারাও দেশের সব মানুষের পথ ধরে আত্মশুদ্ধির পথ বেছে নিন। এই উত্তরাধুনিক রাজাকার পিয়াস করিমকে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করুন। এর মতো ভণ্ড ও জ্ঞানপাপী একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা রাখে না, এর স্থান হওয়া উচিত ভাগাড়ে। আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের এইসব নষ্ট ভণ্ড অসুস্থ মৌলবাদী লোকজনের হাতে ছেড়ে দিতে পারি। নানান নতুন প্রক্রিয়া এরা দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, মগজ ধোলাই করবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা সাধারণ ছেলেমেয়েদের। যেভাবে জাতীয় প্লেসক্লাব থেকে রাজাকার কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে, সেভাবেই আপনারা এই অসৎ শয়তানের বাচ্চাটিকেও বহিস্কার করে সৎ সাহসের পরিচয় ও জনগণের গণদাবীতে সাড়া দিন। এইসব জ্ঞানপাপী ৪২ বছর ধরে আমাদের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বহাল তবিয়তে, আর না, এদের লাথি দিয়ে খোঁয়ারে ঢুকাবার সময় এখনই। দেরি করবেন না। এই উত্তরাধুনিক-রাজাকার পিয়াস করিমকে বহিস্কার করলে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিমাই বাড়বে, দেশের মানুষ আপনাদের অভিনন্দন জানাবে। আর যদি তা না করেন, দেশের মানুষ আপনাদের চিনবে বেঈমান হিসাবে, ঘৃণা করবে প্রতিমুহূর্তে, যার ফলে একসময় অবশ্যই আপনাদের বিনাশও অনিবার্য হয়ে উঠবে।
অতএব, সাধু সাবধান। সময় থাকতেই এই জ্ঞানপাপীটিকে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দেশের মানুষের গণজাগরনের সাথে একাত্ম হউন। এটা আপনাদের জরুরী কাজ, আশু কর্তব্য। আমরা অপেক্ষা করছি।
মন্তব্য
একমত।
ব্লগারের নাম কো?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অধমের নাম দিগন্ত
ফ্যাসিস্ট কথাটা খুব ব্যবহার করে উত্তরাধুনিক-রাজাকার বা বুদ্ধি-ছাগু-কাঁঠালাপাতা-জীবি। না বুঝেই। ফ্যাসিজমের সংজ্ঞা হলো (সুত্র):
ফ্যাসিজম হচ্ছে একটি বৈপ্লবিক authoritarian nationalism অর্থাৎ কর্তৃপক্ষীয় জাতীয়তাবাদ। একজন ফ্যাসিস্ট জাতিকে একীভূত করার জন্য discipline, indoctrination, and physical training এর মাধ্যমে জাতীয় সমাজকে গণহারে সঞ্চালিত করে। গণ মানুষের যে কোনো আন্দোলনকে ফটাশ করে ফ্যাসিজম বলাটা ছাগলামী ছাড়া আর কিছু না।
আপনি বোধহয় কর্তৃত্ববাদী বলতে চেয়েছেন?
****************************************
হুঁ কর্তৃত্ববাদীই হবে। সঠিক বাংলাটা মনে আসছিলো না। ধন্যবাদ।
ফেসবুকে তাই একজন ধর্মপচারক যথার্থই বলেছেন-
অলমিতি বিস্তারেণ
আসলেই দারুণ বলেছিলেন, এটা এখন জনপ্রিয়। আমরা ফাঁসিবাদী, কোন কথা নাই।
_____________________
Give Her Freedom!
সহমত
সহমত দিগন্ত চৌধুরী!
প্রায় সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী’রা শাহবাগে আসে যায়, সেখানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী’রা আসে কিনা জানি-না; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী’রা এইরকম তাজা একজন বন্য-বরাহ’কে কিভাবে উঁচু গলায় কথা বলতে দেয় বুঝতে পারছিনা।
জি ভাই আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং ভাই আমি এখন পর্যন্ত রোজ যাচ্ছি শাহবাগ।ভাই আমাদের একজন শিক্ষক খারাপ হইতে পারে ভাই কিন্তু সে খারাপ বইলে আমাদের দিকেও আঙ্গুল তুইলেন না
নিজে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম বলে এখন লজ্জা লাগছে যে এরকম একটা বরাহ-ছানা আমার ভার্সিটিতে মাস্টারি করছে। পোলাপান করতেছে কি ভার্সিটিতে বুঝলাম না, কিছু ছোট ভাই-বোনের সাথে যোগাযোগ আছে এখনো, যদ্দুর জানি বেশিরভাগই বিকাল হইলেই শাহবাগ চলে যায়। শুধু শাহবাগ গেলেই হবে না আর, নিজের চারপাশে একটা করে শাহবাগ বানাতে হবে এইসব ছাগুরে টাইট দিতে।
ফাঁকা কলসি বাজে বেশি।
ডঃ পিয়াস করিম PhD করছেন Kasas State University থেকে যার Ranking নাই (US News এর অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার শাখায় প্রথম ৮০টার Ranking আছে, বাকিগুলার কোন Ranking নাই)। আর ১৭ বছর আমেরিকার MidWest-এর চিপা-চাপার এমন সব ছোটখাটো রিজিওনাল কলেজে (University of Nebraska at Kearny এবং Culver- Stocketon College, Missouri) পড়াইছে যেগুলাতে পিএইচডি তো দূরের কথা, মাস্টার্স প্রোগ্রামও নাই। জীবন পার করছে আন্ডারগ্র্যাডের পোলাপাইনগো Introductory ও Intermediate Macro-Micro Economics এর গৎবাঁধা বুলি পড়ায়া। তেমন উল্লেখযোগ্য কোন রিসার্চও করা লাগে না এসব টিচিং স্কুলে। কোন বড় চ্যালেন্জিং ও দায়িত্বশীল পদেও ছিলো না কোন দিন। আমেরিকার এই রদ্দিমালটা দেশে গিয়া ভাব লয় যে আম্রিকা থিকা বিরাট কামেল আদমি আইছে - দেশ ও জাতি নিয়া বিরাট বিরাট লেকচার শুনায়া দেয়! এমন ভাব নেয় যেন উনি Harvard-এর প্রফেসর ছিলো আর World Bank ও IMF'এ নিয়মিত পলিসি লেভেলের ইস্যুতে কনসালটেন্সি কইরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করছে!
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
পিচাশ শুয়োরের কথা ৫ মিনিট শুনলে গায়ে আগুন ধৈরা যায়!! হের লেকাচার পোলাপাইন কেম্নে শুনে এইডা রহস্য!
সময় আসছে সবার মুখোশ খুইলা দেওনের!!
_____________________
Give Her Freedom!
পিয়াস করিম এর বন্ধুরা East West university তে আছে। তাদেরকেও বহিশ্কার করা দরকার।so called fake marxists..............bloody hypocrites..............
আসিফ নজরুলের গায়ে গন্ধ বেশি হয়ে যাওয়ায় এই লোক জামাতের নতুন রিক্রুট।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সহমত।
যেভাবে সংসদে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে সেভাবে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ মর্মে একটি স্মারকলিপি দেয়া যায় না। ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দকে দিয়ে প্রতিবাদ করানোর ব্যাপারে সচেতনতা তৈরী করার উদ্যেগও নেয়া যেতে পারে।
- পামাআলে
দালালপুত্র পিয়াস করিম ১৮ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে বলছেন, জামাতকে নিষিদ্ধ করার শক্তি বা বুদ্ধি কারো নাই।
এই ঘোঁত ঘোঁত করা শুয়োরটার সাথে সুস্থ মাথায় আলাপ করাই সম্ভব না। শালা এখানে রাজনীতি বিজ্ঞান শেখানো মারাচ্ছে। কোন দল নিবন্ধিত থাকলেই সেটার নিবন্ধন বাতিল করা যাবে না এই তত্ত্ব কোন কিতাবে নাজিল হল। গত বছরও জার্মানিতে তিনটি (শিওর না) গ্রুপকে নিষিদ্ধ করা হল যার মধ্যে একটি এনপিডি। নিবন্ধন জিনিসটা কি ধ্রুব নাকি যে বাতিল করা যায় না! আমাদের টকশোগুলোতে যেভাবে জামাতের পক্ষে কথা বলা হয় তার একটি লাইনও যদি এভাবে ইয়োরোপের কোন টিভি প্রোগ্রামে নাজিদের পক্ষে কেউ বলতে যায়, রাজনীতি বিজ্ঞান তার পুটুতে আশ্রয় নেবে তৎক্ষণাৎ।
এরা আসলে তর্কের বাইরে চলে গেছে। পিয়াস করিমরা যেটা করছে সেটা সিমপ্লি চরম উদাস বর্ণিত ত্যানা প্যাচানি, ফলে এখন কিছু লিগ্যাল স্টেপ নেওয়া ছাড়া রাস্তা নাই। যেকোনো অর্থেই এরা ট্রাইব্যুনাল অবমাননা করছে।
নতুন মন্তব্য করুন