whitehouse.gov এ পিটিশন এর সমর্থনে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৮/০২/২০১৩ - ৯:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্যাকগ্রাউন্ড:
১। "We the people" নামে whitehouse এর একটা ওয়েবসাইট আছে, যেখানে কি না লোকজন (মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক) পিটিশন করতে পারেন, এবং একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক স্বাক্ষর যোগাড় হলে whitehouse একটা অফিসিয়াল উত্তর দেয়। উত্তর প্রাপ্তির জন্য যেটা দরকার: To cross the second threshold and require a response, a petition must reach 100,000 signatures within 30 days.
২। শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন জানাবার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আহ্বান জানিয়ে একটা পিটিশন ওখানে দাখিল করা হয়েছে ১৩ই ফেব্রুয়ারী।
৩। এই লেখাটা পর্যন্ত (গত ৫ দিনে) এতে সাক্ষর পড়েছে প্রায় ১৫৫০০। এই হারে চললে উপরের ওই "থ্রেশহোল্ড ক্রস" করাটা কঠিন হয়ে যেতে পারে।

ডিসক্লেইমার:
আমি পিটিশন এর সাথে formally জড়িত নই। কে শুরু করেছে জানিও না।এর সম্বন্ধে জেনেছি কেবল গতকাল, ফেইসবুক থেকে, এবং আমার স্বাক্ষর নম্বর: ১৩৪৩০.

পিটিশন থেকে আশা:
১। whitehouse এর একটা সাম্প্রতিক রেসপন্স দেখুন Catalonia এর ব্যাপারে: পিটিশনটা ছিল Catalonia (বর্তমানে স্পেনের একটা অঞ্চল) এর অধিবাসীদের একটা referendum করতে পারার অধিকারের সমর্থন চাওয়া। whitehouse এর উত্তর হচ্ছে: এটা স্পেনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, কাজেই আমরা নাক গলাব না।
২। আমি খুব বেশি হলে এই রকম একটা উত্তরই আশা করছি। এবং নিচে আমি লিখতে যাচ্ছি কেন এরকম একটা উত্তরও শাহবাগের পক্ষেই যাবে।

পিটিশন এর পক্ষের কিছু যুক্তি:
১। জামাতীদের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনে লবি করা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এই পিটিশন আর কিছু না হোক, অন্তত এটা প্রমান করবে (যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে) যে জামাতীদের বিপক্ষেও কিছু লোক আছে।
২। যদি Catalonia'র টার মতই উত্তর আসে, সেটাও ওইসব লবিকে পুরোপুরি পথে বসিয়ে দেবে: যুক্তরাষ্ট্র সরকার যদি স্বীকার করে যে এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তাহলে ওইসব লবিতে আর খুব একটা কাজ হবে না।
৩। মাহবুব মুর্শেদ সম্প্রতি লিখেছেন বিশ্বের চোখে শাহবাগকে দৃশ্যমান করে তোলার ব্যাপারে। এই পিটিশনটা ওই ক্ষেত্রেও কিছু কাজে দেবে।
৪। পিটিশনটা যখন দাখিল করা হয়েই গেছে, তখন এতে যদি সই বেশি একটা না পড়ে, সেটা রাজাকারদের পক্ষেই যাবে। (এটা একটু ব্ল্যাকমেল টাইপের যুক্তি হো হো হো

উপসংহার:
দয়া করে সবাই সই করেন এই পিটিশনে: এতে ভালো কিছু যদি নাও হয়, খারাপ কোনভাবেই হবে না।


মন্তব্য

তোফায়েল মিয়াজী  এর ছবি

অমি পিয়াল ভাই তো বললেন এটা একটা স্প্যাম ! কেউ কি ক্লারিফাই করতে পারেন প্লিজ?

অতিথি এর ছবি

এটা স্প্যাম নয়। যাচাই করার জন্য সরাসরি হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে যেতে পারেন এভাবেঃ
http://www.whitehouse.gov > issues > the administration > We the people >View petitions> show more petitions.

এখানে এরকম অনেক পিটিশন দেখতে পাবেন।
পিয়াল ভাই হয়ত ভুল বুঝে থাকতে পারেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্ল্যারিফাই হবে কিনা জানিনা, তবে আমি যা লিখছি সেটা আপনিও লিঙ্ক গুলোতে গিয়ে যাচাই করতে পারেন:
১। https://petitions.whitehouse.gov/ ওয়েবসাইটটা যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে পরিচালিত। wikipedia লিংক:
http://en.wikipedia.org/wiki/We_the_People_(petitioning_system)
২। "থ্রেশহোল্ড" পার হলে (অথবা মাঝে মাঝে না হলেও) যুক্তরাষ্ট্র সরকার থেকে একটা "official response" দেয়। ওই পিটিশনটার ওয়েবপেজে গিয়ে ডানদিকে দেখতে পাবেন লিংক আছে: "Recent Petitions", "Recent Responses" ইত্যাদি। ওগুলোতে গিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন।
৩। পিয়াল ভাইএর সন্দেহের কারণ হয়তো যে এই ওয়েবসাইটটা চালু হয়েছে অতি সম্প্রতি, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ (wikipedia থেকে দেখে লিখছি), এর খবর খুব বেশী প্রচারিত হয়নি, এবং এরকম ওয়েবসাইট দুনিয়ার আর কোনো গভর্নমেন্টের মনে হয় না আছে। এটা ওবামা সরকারের উদ্ভাবন, এবং যখন চালু হয়েছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সংবাদপত্রেও এটার ফল কি হবে সেটা নিয়ে কিছু লেখালেখি হয়েছে। উইকিপিডিয়ার পেজটাতে কিছু লিংক পাবেন।
৪। আমি লিখেছি উপরের আর্টিকেলটটা হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

অমি পিয়াল ভাইকে পরে বুঝিয়ে বলার পরে উনি উনার স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দিয়েছেন। এবং শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ পেজটিকে এই লিঙ্ক প্রচার করতেও আর বাধা দেন নি।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

Hasan mahmood এর ছবি

Very important to note that there are 2 counter pitition for the US Government to Demand Fair Trials for Bangladesh Opposition Leaders, and Stop Their Execution by Government Exploiting Public Sentiment and Express concern against the International War Crime Tribunal and Mob Justice in Bangladesh

Don't let them win. Please take the time to sign this one

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আমি যাচাই করে দেখেছি এটা স্প্যাম না। ওখানে করা পিটিশন গুলোতে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জবাবও দিয়েছেন। কিন্তু তবুও আমার মনে হয় এটার তেমন একটা প্রয়োজন ছিল না। ওরা আসলে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে না। বড়জোর একটা মন্তব্য করবে। সেটা আমাদের আন্দোলনকে আদৌ বেগবান করবে কিনা, সেটা নিয়ে আমি আসলেই সন্দিহান।

তবুও আমি সাইন করেছি। আপনার উল্লেখ করা চার নাম্বার পয়েন্টার জন্যেই এর বিপরীতে কথাও বলি না।

Emran এর ছবি

যারা আমেরিকার নাগরিক না, তারাও কি এই পিটিশনে স্বাক্ষর করতে পারবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যাঁ পারবে।

Hasan mahmood এর ছবি

পারবে

mamun  এর ছবি

অমি ভাই এইটার মধ্যে প্যাচটা লাগাইছে এবং পরে এটা নিয়ে কোন স্টেটমেন্ট দেন নাই।

নীরা এর ছবি

চলুক

--- নীরা

Rozy akter এর ছবি

আমরা যেখান থেকে হোক, যেভাবে হোক যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করতে হবে। সেটা আমেরিকা হোক আর রাশিয়া হোক। তাই সবাইকে পিটিশনে স্বাক্ষর করার অনুরোধ করছি।
এটা আমাদের ২য় মুক্তিযুদ্ধ, এ যুদ্ধে আমাদের জয়ি হতেই হবে।

ধুসর জলছবি এর ছবি

জানিনা এতে আদৌ কতটুকু কি হবে। তবে সাইন করেছি ।

অর্বাচিন স্বাপ্নিক এর ছবি

একটা কথাই বলার আছে,
আমার ভিক্ষার দরকার নাই।

guest writer এর ছবি

আমি দেশের স্বার্থে ভিক্ষা করতে প্রস্তুত।

পিনাকী  এর ছবি

প্রথমত: পিটিশনটার কোথাও ভিক্ষা চাওয়া টাইপের কথা নেই: এতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে "হস্তক্ষেপ করার" অনুরোধ করা হয়নি, করা হয়েছে "একাত্মতা ঘোষণা" করার।
দ্বিতীয়ত: দেখুন, আমরা যদি ভিক্ষা নাও চাই, জামাতীরা বসে থাকবেনা। ওদের পিটিশনে এর মধ্যেই ২০০০ এর উপরে সই পড়ে গেছে, আর এটাতে গতকাল থেকে ১০০০-ও নতুন সই হয়নি।
তৃতীয়ত: আর্টিকেলটার ৩ নম্বর যুক্তিটার কথা চিন্তা করুন। কেবলি একটা গা জ্বালা করা আর্টিকেল দেখলাম: http://www.theglobeandmail.com/commentary/in-bangladesh-a-generation-turns-its-politics-to-the-angry-past/article8799226/
মাথা গরম হয়ে রয়েছে।অলরেডি কিছু ছাগুরা গিয়ে কমেন্ট করা শুরু করে দিয়েছে।ওখানে গিয়ে একটু কমেন্ট করে আসুন সবাই।

পিয়াল এর ছবি

ছাগুদের উত্তরে কিছ বলে আসলাম, আপনিও যান।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি নিজেও সাইন করেছি। এটা কিছুতেই স্প্যাম না। বরং স্প্যাম বলে হয়ত জামাতীরাই মানুষকে বিরত রাখতে চায় এটিতে সাইন করা থেকে।

whitehouse.gov এ এ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য আমেরিকার নাগরিক হওয়া লাগবে না। বাংলাদেশের zip code দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যেতে পারে (যদিও আমি নিজে আমেরিকায় থাকি এবং এখানকার zip code-ই ব্যবহার করেছি)। যদি বাংলাদেশের zip code ব্যবহার করতে গেলে রেজিস্ট্রেশন করা না যায়, তাহলে ৫-সংখ্যার যেকোনো নম্বর ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

না- জিপ কোড লাগে নি যখন করেছিলাম।

পিয়াল এর ছবি

সাইন করলাম।

Emran এর ছবি

পিটিশনে আরও ৮২, ৬৭৩-টি স্বাক্ষর দরকার। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে কি ১০০,০০০ লোক নাই, যারা এই ব্যাপারে চিন্তিত?! আর এটা যদি বাংলাদেশ থেকে সাইন করা যায়, তা হইলে তো শাহবাগে একটা ল্যাপটপ বসায়ে লোকরে লাইন দিয়ে সাইন করাইলেই হয়। তিন দিনের মধ্যে ১০০,০০০ সাইন যোগাড় হয়ে যাবে! পাবলিকের সমস্যা কি?

শিশিরকণা এর ছবি

ফেসবুকে প্রচারণাঃ

WhiteHouse.gov এ অনলাইন পিটিশন (https://petitions.whitehouse.gov/petition/express-solidarity-protesters-bangladesh-who-are-seeking-justice-war-crimes-1971/mXK56Q8v) প্রসঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ
১/ এটি একটি স্ক্যাম।
- মোটেও না। Whitehouse এর আনুষ্ঠানিক সাইট এটি। এখানে পিটিশিনের মাধ্যমে হর হামেশাই জনগণ প্রেসিডেন্টের কাছে দাবি উত্থাপন করেন। কিছুদিন আগে আমেরিকায় অভিবাসী আইন পরিবর্তনের আন্দোলনের সূচনাও এরকমই পিটিশন থেকে। প্রথমত White House এর স্টাফরা এগুলো দেখেন। ২৫,০০০ স্বাক্ষর পড়লে তারা পিটিশনের একটা উত্তর দিতে বাধ্য। ১ লাখ পড়লে স্বয়ং ওবামা উত্তর দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখানে বিস্তারিত জেনে নিন (http://en.wikipedia.org/wiki/We_the_People_(petitioning_system)
এবং অবশ্যই হোয়াইট হাউজের ৪০পসা দরে আপনার ইমেইল বেচে পেটের ভাত জোটাতে হবে না। আরও অনেক পিটিশন সাইট আছে ( eg: change.org)এগুলার ব্যাপারে সে গ্যারান্টি দিতে পারি না। যারা এই পিটিশনের শুরু করেছেন, তারা বুঝে শুনেই করেছেন।

২/ আমেরিকার সাহায্যের কি দরকার? সবখানে বিদেশিদের দিকে তাকানো কেন? আমাদের কি মেরুদন্ড নাই?
- Precisely. আমাদের মেরুদন্ড আছে বলেই আমরা ওবামাকে জানাচ্ছি, দেখ বাংলাদেশ আজ জেগেছে। জামাত শিবির তোমাদের তলে তলে যাই তেল দিক আর ভুজুং ভাজুং দিক, আর সেটা শিনে আমেরিকা কি দাদাগিরি ফলাতে আসো, তাকে আমরা দাম দেই না। আমরা সাহায্য চাই না। জানিয়ে দিতে চাই হাওয়া কোন দিকে বইছে। জামাত যে আমেরিকাকে আগে থেকেই তেল দিয়ে যাচ্ছে, লবিং করে হেন তেন করে এটা জানা কথা। এবং তাদের এইসব কথাই জামাত শিবির প্রচার করে আম্রিকা আব্বার ব্যাকিং আছে বলে। হোয়াইট হাউজ থেকে তারা যুদ্ধপরাধীদের সমর্থন করে না এইরকম একটা জবাব জামাতের এইসব প্রচারে পানি ঢেলে দিবে।

৩/ ওবামা আমাদের সমর্থন করবে কি?
- আমেরিকা হাওয়া বুঝে চলে। মিশরে প্রথমে তারা হোসনি মোবারাকের পিছে ছিল প্রথমে, তারপর যখন দেখলো জনগণ একদিকে সেদিকে পল্টি খেল। এখন তো আর জামাত শিবিরের বেইল নাই। জামাতের টাকা আছে বুঝলাম, কিন্তু এত টাকা নাই যে, বিশাল জনসমর্থনের বিপরীতে টাকা দিয়ে আমেরিকাকে কিনতে পারবে। তাছাড়া পাকিস্তান এখন আর আমেরিকার দোস্ত নাই, টয়লেট পেপার হয়ে গেছে। ওদের কে পাত্তা না দিলেও চলে তাদের।
৪/ ১৯৭১ নিক্সন সরকার তো আমাদের বিরুদ্ধে ছিল
- একটু কারেকশান, নিক্সন কিসিঞ্জারের ইয়াহিয়ার সঙ্গে বিশেষ দোস্তি ছিল, তারা সিনেটের বিরুদ্ধে গিয়ে পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে। সব সরকার তো আর একই ছাঁচে গড়া নয়। এখন পর্যন্ত ওবামার সরকার লাইনে আছে।

৪/ তো তারপর কি হবে?
- প্রবাসীরা শুধু এটুকুতেই থেমে নেই। ১৯৭১ এর মত এবারও তারা বিশ্ব জনমত তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন। বিশ্ব মিডিয়ায় শাহবাগ আন্দোলননে সঠিকভাবে প্রচার করার জন্য লেখালেখি, গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তি চেনা মুখ এদের কাছ থেকে শাহবাগ আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন ও প্রচারনা করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। হোয়াইট হাউজের বক্তব্য আদায় এরই অংশ। ১৯৭১ নেতারা কেউ বিরোধিতা করলেও বিশ্বের সাধারণ মানুষই আমাদের সমর্থনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের মাধ্যমে আমরা সেইসব সাধারণ মানুষের কাছেই পৌছুতে চাই। এই বিশ্বের কোথাও যেন রাজাকারের ঠাঁই না হয়!

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।