দার্শনিক ফুরিয়ের প্রগতির সম্ভাবনায় এতটাই আপ্লুত ছিলেন যে, ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন, মানুষ একদিন স্বীয় ক্ষমতাবলে সমুদ্রকে পরিণত করবে লেবুর শরবতে, যখন পৃথিবীতে হোমারের মত কবি থাকবে তিন কোটি সত্তর লাখ, নিউটনের মত বিজ্ঞানী থাকবে তিন কোটি সত্তর লাখ, মলিয়ের মত নাট্যকার তিন কোটি সত্তর লাখ। ফুরিয়েরের ভবিষ্যতবাণীতে অতিশয়োক্তি রয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে রয়েছে স্বপ্ন, যার দৌলতে প্রগতির পথে পা বাড়াতে পারে চিরকালের তরুণ। তেমনই এক চিরকেলে তরুণ সেদিন দৃপ্ত কণ্ঠে করছিলেন তার নিজের ভবিষ্যতবাণী, বলছিলেন, শাহবাগের প্রজন্ম স্কয়ার আন্দোলনের ফলে এই দেশে আগামী কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ ব্লগার তৈরি হবে। আর চতুর্দিকে যে উদ্দীপনার জোয়ার দৃশ্যমান হচ্ছে, তাতে তরুণটির ভবিষ্যতবাণী ফুরিয়েরেরটির চাইতে অনেক নিকটবর্তী বলেই মনে হচ্ছে।
কিন্তু ব্লগার মানে কি? প্রশ্নটা এখন সবার মুখে মুখে। মা-বাবা-স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী-রিকশাওয়ালা-পাড়ার চায়ের দোকানদার সবাই জানতে চাইছে, ব্লগার শব্দের অর্থ কি? ব্লগার কাকে বলে? কারা এই ব্লগার? কি করলে ব্লগার হওয়া যায়? সেদিন বাসায় ফিরে আমার মার মুখেও শুনি এই প্রশ্ন: বাবা, ব্লগার কাদের বলে?" আমি মাকে বলি, "মা, ব্লগার হল এক শ্রেণীর লেখক, যারা অনলাইনে লেখে।" মার পরবর্তী প্রশ্ন: "অনলাইন আবার কি জিনিস?" আমি বুঝি, মাকে বোঝানো দুঃসাধ্য, তাই বলি, "তুমি এতসব বুঝবে না, শুধু এটুকু জেনে রাখ, ব্লগার হল একশ্রেণীর লেখক, মুক্ত লেখক। " মায়ের মুখ দেখে মনে হয়, সে এখনো অন্ধকারে, অতি স্বাভাবিকভাবেই, তবে আর প্রশ্ন করে না সে, হয়ত না বুঝতে পারার লজ্জায় বা আমার বিরক্তি উৎপাদনের আশংকায়। আমার খারাপ লাগে, দোষটা আমারই, মাকে ঠিকমত বোঝাতেও পারি না, এতই অকর্মা!
কিন্তু ব্লগার শব্দটি এখন এক মহাকাব্যিক মাত্রা পেয়েছে এই বাংলাদেশে, স্বাধীনতার সমার্থক হয়ে উঠেছে, তাই একে বাক্যে বন্দী করে বোঝান সম্ভব? তাছাড়া, বোঝানোর আবশ্যকতাই বা কতটুকু? ব্লগার শব্দটি আমার মায়ের অজানা থাকলেও তার মর্ম কি আজ আর আমার মায়ের অজানা? মুক্তিযুদ্ধের মতই সে কি আমার মায়ের অনুভূতির রাজ্য দাপরে বেড়াচ্ছে না?
হ্যাঁ, আমার মা এখন জানে, ব্লগার কারা। ব্লগার মানে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা। ব্লগার মানে নজরুলের 'বিদ্রোহী' কবিতা। এইতো গতকালই এক উদার, সংস্কৃতিমনা ও বয়োবৃদ্ধ পণ্ডিত ব্যক্তি যখন মুখ ফসকে বলে ফেললেন, 'আ'লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি সংযোজন করায় তরুণ প্রজন্ম যথেষ্ট প্রভাবিত হয়েছে ও অনুপ্রেরণা পেয়েছে', এক তরুণ ব্লগার সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠল, 'না, না, আ'লীগ তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করেনি, বরং তরুণ প্রজন্মই আ'লীগকে বাধ্য করেছে নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীর বিচার উল্লেখ করতে, আবার তারাই এখন সরকারকে বাধ্য করছে যুদ্ধাপরাধীর সঠিক ও সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে'। মুরব্বির মুখের উপরই কথা বলতে পারে, হ্যাঁ, ব্লগাররা বেয়াদব বটে, কারণ তাদের লেজ নেই, সত্য প্রকাশের অসংকোচ সাহস তাদের, দোদুল্যমান ও অকর্মণ্য বুদ্ধিজীবীদের সাথে তার মাঝে মাঝে বেয়াদবি করে ফেলে বটে!
'আমি আপনা ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ' মন্ত্রে বিশ্বাসী ব্লগাররা জড়ো হয়েছেন শাহবাগ চত্বরে দলে দলে, চার দশকের নষ্ট রাজনীতির আসন- আরশ দ'লে দ'লে, কিন্তু কাউকে বাধ্য করেননি তাদের সঙ্গে আসতে। তারা বলেন, "আপনি যদি মনে করেন, এটা আপনারও যুদ্ধ, তাহলে আসবেন।" নিজের যুদ্ধ, আর তাইতো বিনে পয়সায় এত লোকের সমাবেশ করতে পারে তারা, ভাড়া করে, ট্রাকে করে লোক আনার দরকার পড়ে না এখানে। চুক্তি মাফিক সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হয় না এই সমাবেশে যোগ দেয়া তরুণদের, কারণ কোন শিডিউল নেই এই আন্দোলনের, কেউ যদি নিজের জন্য যুদ্ধ করে, তার কোন শিডিউল থাকে? জয় ছাড়া কেউ যুদ্ধ ময়দান ছেড়ে দেয়? যখন যুদ্ধটি তার নিজের? যখন তা হয় নিজ দেশ, নিজ জাতিসত্তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ?
আমার মা এতদিনে ঠিকই বুঝে গেছেন ব্লগার আসলে কি। এক টকশো উপস্থাপক সেদিন বলছিলেন, প্রজন্ম স্কয়ারের আন্দোলনের আসল সুবিধাভোগী আ'লীগ। উপস্থিত তরুন ব্লগার নিরেপেক্ষতার বুলি আওরানোর চেষ্টা করেন না, বলেন, "আমাদের আন্দোলনে কেউ সংহতি প্রকাশ করে সুবিধাভোগী হলে, আমরা বাধা দেব কেন? বিএনপি এসে যতখুশি গেইন করে নিক, আমাদের তরফে আপত্তি থাকবে না।" আমার মা কি নিরেপেক্ষতার ছল ধরা অনেক বুদ্ধিজীবী সাথে ঐ ব্লগারের পার্থক্য ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন? না, তার মোটেও কষ্ট হয়নি, ছদ্মবেশী 'বাট', 'যদি' টাইপের বুদ্ধি-বেশ্যাদের বিপরীতে নতুন সূর্যের আলোয় আলোকিত ব্লগারদের চিনে নিতে, যাদের "ললাটে রুদ্র-ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!"
ব্লগারদের কলজে কত বড়? বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ আসেন প্রজন্ম স্কয়ারে, ব্লগাররা ধন্যবাদ জানান বটে, কিন্তু পরক্ষনেই সোজাসাপ্টা আর নির্লিপ্ত স্বরে জানিয়ে দেন, 'দুঃখিত, আপনাকে বক্তৃতা দেয়ার সুযোগ দিতে পারছি না।' এই ব্লগাররাই কিনা কোন প্রস্তুতি ছাড়াই মাত্র দুদিনের নোটিশে ডেকে বসেন মহাসমাবেশ, আর উপস্থিত হয়ে যায় লাখ লাখ জনতা! এই ব্লগাররাই কিনা সারা দেশের মানুষকে ডাক দেন তিন মিনিট নীরবতা পালনের, সন্ধ্যায় আহবান জানান প্রদীপ প্রজ্বলনের, আর সেই এক ডাকেই কিনা সারা দেশ এক সাথে হয়ে যায় নীরব-নিথর-নিস্তব্ধ, জ্বলে উঠে কোটি কোটি তারা! কি আশ্চর্য, এদের তৃনমূল কর্মি তো দূরের কথা, কোন সংগঠন পর্যন্ত নেই। তাহলে কোথায় পেলেন তারা এই শক্তি, কোথায় পেলেন এই আত্মবিশ্বাস, কোথা থেকে আসল সাংগঠনিক দক্ষতা? সারা দেশের সারা মানুষ কয়ে উঠল এক সাথে কথা! লিও ট্রটস্কি সেই কবে বলে গিয়েছেন,
"প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হস্তক্ষেপ করেন। অন্য কথায়, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং সরকারিভাবে অস্বীকৃত নেতৃত্বের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা ব্যবহার করেন। বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে জনগণ নিজেরাই তাদের সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করেন"
তাই আজ আর আমি মাকে ব্লগারের এই সংজ্ঞা দেই না যে, অনলাইনে যারা লেখে, তারাই ব্লগার। আমার মার বোধ ও অনুভূতি বদলে দিয়েছে 'ব্লগার' শব্দের চেনা অর্থ, আমার মায়ের ভাষায়, এখন ব্লগার মানে হল নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা।
আর আমার মা কি ভুল করছে কোথাও? যারা অনলাইনে লিখে, তারা সবাই কি আসলে ব্লগার? কেউ কেউ নয়কি কুলাঙ্গার? মর্ম দিয়ে যে ব্লগারের মানে উদ্ধার করেছে আমার মা, তাকে কি আর বিভ্রান্ত করতে পারবে কোন কুলাঙ্গার?
''আমরা হৃদয়ে বয়ে বেড়াচ্ছি এক নতুন পৃথিবী, এই মুহূর্তে জন্ম হচ্ছে সেই পৃথিবীর।'' -বুয়েনাভেনতুরা দুরুত্তি।
কাজি মামুন
১৯।০২।২০১৩
মন্তব্য
আপনার মাকে কয়েকটা ব্লগ পড়ে শুনাচ্ছেন না কেন?
আপনার পরামর্শ মাথায় রইল। তবে আমার এই সময়ের চিন্তা-চে্তনার অনেকখানিই প্রগতিশীল ব্লগ থেকে উৎসারিত। তাই মায়ের সাথে আমার দৈনন্দিন কথোপকথনে ব্লগ কিন্তু বারবার উঠে আসে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাইয়া।
টুকটাক লেখালেখি করি অনেক আগে থেকেই, তবে শাহাবাগের আন্দোলনের পর থেকে জীবনের আরো অনেক স্বপ্নের সাথে নতুন এক স্বপ্ন যোগ হয়েছে 'ব্লগার হব'। আমার মত আরো অনেকের স্বপ্নই এখন ব্লগার হওয়া। শাহাবাগের ব্লগাররা আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। লেখাটি বেশ ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ এই সুন্দর লেখাটির জন্য।
-ঈভান ওজো
অনেক খুশির খবর। একটি প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের সম্ভাবনাকে অনেকদূর এগিয়ে নেবে এই স্বপ্ন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া!
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
অনেক ধন্যবাদ, সৌরভ ভাই!
গণজাগরণের আঁতুরঘরের দাইমাদের পরিচয় নিয়ে লিখা! দাইমাদের পরিচয় নিয়ে সাধারণতঃ কেউ মাথা ঘামায় না, সবাই বাচ্চার কান্না শোনার আশায় থাকে। জিজ্ঞেস করে "ছেলে নাকি মেয়ে? বাচ্চা আর বাচ্চার মা সুস্থ আছে তো?"
আর কেউ কোনদিন এভাবে লিখবে কি-না, কে জানে! তাই পড়ার পর দু'জায়গায় শেয়ার দিয়ে ফেলেছি অলরেডি।
ক্ষতি কি, রিপন ভাই? দাইমারাও কি সেই আশাই করে না? ব্লগাররা অন্তত তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মিদের মত করে আন্দোলনের বিজয়কে নিয়ে টানাটানি করবে না, নিজেদের বলে দাবী করার কুৎসিত প্রতিযোগীতায় অবতীর্ণ হবে না। এইটুকু বিশ্বাস আছে ব্লগারদের উপর, এই বিজয় তারা মানুষের জন্যই নিবেদিত করবে।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! আর একুশের শুভেচ্ছা!
খুবই চমৎকার লেখা। এমন লেখা ব্লগ লিখতে অনুপ্রাণিত করে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া, আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকবেন। আর একুশের প্রথম প্রহরে জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা!
লেখঅ ভালো লেগেছে। কিছু সংকট আছে। সেটা বলার সময়এখন নয়। আন্দোলনের পর আলোচনা করা যাবে।
স্বয়ম
খুব কৌতূহলি করে তুলল! সংকটগুলো কি? এখন বলার সময় নয় কেন? এমন কি থাকতে পারে, জাতির এই নব জাগরণের সময় তা বলা যেতে পারে না?
যাহোক, উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আর একুশের শুভেচ্ছা!
অনেক ভালো লিখেছেন মামুন ভাই। ব্লগার কি বা এরা কারা, কি করে এমন প্রশ্ন এখন অনেককেই করতে শুনছি। বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না তাদের কাছে বিষয়টি একেবারেই নতুন।
তবে প্রজন্ম চত্তরের এই আন্দোলন এখন ব্লগার শব্দটির সাথে পরিচিত হবার একটা তাগিদ দিয়েছে।
লেখা ভালো লেগেছে
আসলেই। প্রজন্ম স্কয়ারের আন্দোলন আরো অনেক কিছুর সাথে সারা বাংলাদেশকে একটি শব্দের সাথে ব্যাপক পরিচিত করেছে, আর তা হল, ব্লগার। এই অর্জনটি এখন গুরুত্বহীন মনে হলেও, আমি আমার লেখায় উল্লিখিত তরুনের মতই মনে করি, হয়ে যেতে পারে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন। জ্ঞান-বিজ্ঞান-শিক্ষা-সংস্কৃতির এক নতুন দুয়ার খুলে যেতে পারে।
অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া। আর অভিনন্দন হাচল হওয়ার জন্য। একুশের প্রথম প্রহরে জানাই শুভেচ্ছা।
মামুন ভাই, হাচল হই নাই কারণ তাহলে মেইল পাবার কথা। খুব সম্ভবত টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে আমার নামটা বোল্ড দেখাচ্ছে। এই ব্যাপারে মোডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বলেন কি! আমিও অনেক খুশি হয়েছিলাম আপনাকে হাচাল দেখে।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
বাহ্, মা যথার্থই বলেছেন ! যে বোধটুকু আমাদের টকশোখানার নিরপেক্ষ বুদ্ধিবেশ্যাদের হয় না !
ধন্যবাদ মামুন ভাই, খুব সুন্দর লেখা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সম্ভবত আমার কোন লেখায় এই প্রথম আমার অসম্ভব প্রিয় রণদীপমদার মন্তব্য। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
মায়েরা অনেক সময়ই অনেক টেকনিকাল বিষয় বোঝেন না, কিন্ত তাদের রয়েছে এক সহজাত বোধগম্যতা। আর তাইতো তারাই টিকিয়ে রাখেন এই জগৎসংসার। খানিক অদ্ভুত ঠেকতে পারে, প্রচলিত ভাবনার পরিপন্থী মনে হতে পারে, তবে মায়েদের বাস্তবতা-বোধ বাবাদেরও ছাড়িয়ে যায়, অন্তত অনেক ক্ষেত্রে, আমার মতে।
দারুন লিখেছেন মামুন ভাই।
শুভকামনা রইলো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ক্রেসিডা ভাই,
এভাবে উৎসাহিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। এডিট করতে পারছি না, অথচ কিছু ভুল মারাত্মক পীড়া দিচ্ছে। যেমন, মলিয়ের হবে না, মলিয়েরের হবে। এমনি ভুল আরো কয়েক জায়গায়।
একুশের প্রথম প্রহরে অন্য এক ফাল্গুনের শুভেচ্ছা!
মাসুদ সজীব
নতুন মন্তব্য করুন