শাহবাগ এবং ব‌্যক্তিগত প্রাপ্তি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০২/২০১৩ - ৪:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমেই বলি আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তিটি কি? সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে ইন্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউটে প্রথম “মুক্তির গান” দেখি। আমার কিশোর মনে প্রচন্ড দাগ কেটেছিলো “মুক্তির গান”। বাসায় ফিরে আমি ওই যোদ্ধাদের মত বলতে চেয়েছিলাম, জয় বাংলা। দুর্ভাগ্য আমার, কৈশোর পার হয়ে, যৌবনের শেষ প্রান্তে এসেও আমি দীপ্ত কন্ঠে স্লোগান তুলতে পারিনি। অবশেষে শাহবাগ আমাকে সুযোগ করে দিলো সেই অহংকারি উচ্চারনটির। আমি শাহবাগের কাছে চির-কৃতজ্ঞ।

আমি খুবই ঘরকুনো, ভিতর-গোঁজা মানুষ। সময়ের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকাই আমার কু-অভ্যাস। তবু ঘটনাচক্রে শাহবাগ আন্দোলনের প্রথম রাত থেকেই আমি নিয়মিত হাজিরা দিয়ে এসেছি। না আমি আন্দোলন সংগঠক কেউ না। প্রথম রাতে, টিভি ক্যামেরার ধাক্কা-ধাক্কির আগে, শাহবাগে জড়ো হওয়া’ সাধারনের ভীড়ে আমি ও ছিলাম।
তারপর প্রায় প্রতি রাতেই কিংবা বিকালে নিয়মিত যাওয়া হয়েছে শাহবাগ, প্রজন্ম চত্ত্বরে।
ঘটনা চক্রে ঘটে যাওয়া আর ব্যাক্তিগত অনূভূতির গল্পই আজকের ব্লগর-ব্লগর।

শুরু থেকেই শুরু করি, কাদের মোল্লার ফাঁসি না হওয়ার খবর পাই অফিসে। বহুজাতিক কর্পোরেট অফিসে, মেধাবী সহকর্মীর সাথে শুরু হয় রায়ের ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস: কি হইতে কি হইলো এবং কি হইবেক? স্বীকৃত ডানপন্হী (যে কিছুদিন পরেই ল্যাঞ্জ্যা নাড়বে) তার অনুমিত সিদ্ধান্ত জানায়, সরকার ভয় পেয়েছে বা আঁতাত করেছে।

তার আগডুম-বাগডুম শুনতে শুনতেই, ফেসবুকে দেখি একটা ইভেন্ট রিকোয়েস্ট, আজকে (৫ ফ্রেবুয়ারী ??) সবাইকে শাহবাগে জড়ো হওয়ার অনুরোধ। মনে মনে ঠিক করি অফিস থেকে ফিরে, যাবো শাহবাগ। যদিও জানতাম আমার সক্রিয়তা ওই মনে হওয়াতেই শেষ। এবং যথারীতি বাসায় ফিরে নানাবিধ ঝামেলা শেষে, যখন আপনাকে আমি খুজিয়া পাইলাম, ততক্ষনে ঘড়িতে প্রায় সোয়া এগারো । তারপর ও বৌ রাজি হওয়াতে ভাবলাম ঘুরেই আসি। (তার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা)
রিকশা নিয়ে পৌছে গেলাম শাহবাগ মোড়ে। জানি এখন বিশ্বাস যাবেন না, কিন্তু আন্দোলন শুরুর রাতে রিকশা নিয়ে বারডেমের সামনে, এখন যেখানে জননী জাহানার ইমামের ছবিটা ঠিক সেই খান পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম।
পরদিন অফিস, সুতরাং কিছুক্ষন স্লোগানে গলা মিলিয়ে বাসায় ফিরে আসতে হলো।

পরদিন অফিসে যাওয়ার আগে দেখি অনলাইন একটা পেপারে, কাদের মোল্লার হাসি আর “ভি” সাইন। আদর্শ কর্পোরেট শ্রমিক হিসেবে অনেক আগে থেকেই জানি আবেগই আমাদের শত্রু, একদম আবেগী হওয়া যাবে না। ডোন্ট গেট ক্যারিড এ্যয়ে, বী রেশনাল। হায়রে রেশনালিটি! দুই বস্তা রেশনের জন্য রেশনালিটিতে মাপতে হয় হৃদয়।

কিন্তু কিছু অতি দুর্লভ মুহুর্ত আসে, যখন মানুষ এক লাফে বড় হয়ে যায়- অনেকটা বাংলা ফিল্মের ক্লাস ওয়ানে ঢুকে, মা আমি ফাস্ট হয়েছি বলে এম.এ পাস করে বেড়ানোর মত। আমি ওই মুর্হুতে, ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে, অনেকগুলো অনূভুতির অভিজ্ঞতা পেয়ে গেলাম। বইয়ে পড়া মস্তিষ্কের কোষে কোষে জ্বলুনি ব্যাপারটা অনুভব করলাম নিজের মাথায়। জানলাম কিছু রাগ চেপে যাওয়া যায়না।শীতের সকালে ঠান্ডা পানি ও অনেক সময় যথেষ্ট শীতল বোধ হয়না। জানলাম রক্তে শেকড় গাথা দাসত্বও স্থায়ী নয়। হয়তো ক্ষনিকের জন্য, কিন্তু তবু চোখ তুলে দাসস্য দাস। কাদের মোল্লার আঙ্গুল যেন আমাকে ঠেলে ফেলে দিলো আবেগহীন কর্পোরেট জীবন থেকে।

রাগে কাপতে থাকা হাতেই লিখে ফেল্লাম, “শুয়োরটা ভি সাইন দেখায়”। তারপর অফিস ফেলে ছুটলাম শাহবাগে।
পরিবারসহ স্লোগানে স্লোগানে কেটে গেলো বিকাল সন্ধ্যা, ততক্ষনে শাহবাগে চলে এসেছে টিভি ক্যামেরা, মানুষের প্রানোচ্ছাসের এক চমৎকার মিলনমেলা। যারা আপত্তি জানাতে চান, মেলা শব্দটাতে তাদের বলছি একটি সমৃদ্ধ জাতি, যার চেতনায় প্রোথিত আছে দ্রোহ আর প্রেম, সেই জাতি প্রতিবাদকে ও আনন্দমুখর করে তুলতে পারে। তার ক্ষোভের প্রকাশ ও শিল্পিত। চিন্তা করে দেখুন এক মাসেরও কম সময়ে কত চমৎকার গানই না গেথেছে আমাদের কবিয়ালরা! সুতরাং মেলা শব্দটিই আবেগী বাংগালিদের জন্য শতভাগ সত্যি। কিন্তু থাক সে কুতর্ক।
শাহবাগের প্র্রানোচ্ছাস ছেড়ে চলে এলাম বাসাতে, কিন্তু ঘুম এলোনা, মনে হলো কানের কাছে কে যেনো বলছে, তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা। মনে হলো, দূরে যেনো শোনা যায়, তুই রাজাকার। ভেবেছিলাম, বাসা কাছে তাই শাহবাগ থেকেই স্লোগান গুলো আসছে। কিন্তু পরদিন গুলশানে অফিসিয়াল মিটিং-এ বসে যখন কানের কাছে বাজছিলো, তুই রাজাকার। তখন বুঝলাম কানের মধ্যে কিভাবে বেজে উঠে শব্দেরা। শাহবাগকে ধন্যবাদ আমাকে এই অনূভূতিগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

আজো আমার কানে অনুরনিত হয় স্লোগান, আজো আমার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয় রাজাকারদের নামে, রক্তে আগুন ছোটে ছাগুদের ম্যাৎকারে ।

শাহবাগকে ধন্যবাদ আমাকে জানিয়ে দেয়ার জন্য, মানুষ হিসেবে আমি কতটাই না হীনবল। শাহবাগের সাথে আমার মনের মিল লুকতে হয়েছে আমার সহকর্মীদের কাছ থেকে। আমার সিনিয়ার যাদের উপর আমার রুজি নির্ভর, হাসিমুখে সয়ে নিতে হয়েছে তাদের ছাগুসুলভ পংক্তিমালা। ক্ষমা করো প্রিয় মাতৃভূমি আমার! আমি আজো নিজের শক্তিমত্তায় উঠে দাড়াতে পারিনি। তবে নিশ্চিত এই রাজাকার বেষ্টিত কর্মস্থল আমার ঠিকানা না।আমি অবশ্যই উঠে দাড়াবো স্বীয় শক্তিতে।

কী চমৎকার একটা ফিল্টারই না এই শাহবাগ! ছাগুগুলো কি সুন্দর ধরা পড়ে খেলো! যাদের হাজার যুক্তিতে ও বোঝানো যায় না, বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানানো শাহবাগের কর্তব্য না, এ শুধু জামাতিদের কুযুক্তি কিন্তু হায় ছাগু কি সহজে ছাগু। বিশাল ডিগ্রী আর আরো বিশাল বেকুবি মিশলেই না জন্মে এক একটা ছাগু।

শাহবাগ থেকে পাওয়া কিছু পর্যবেক্ষন
১/ ডিগ্রিধারী মানুষের মধ্যেই ছাগু বেশী কেননা এরা স্বার্থপর এবং অর্থলোভী হয়। আর সুশীল এবং সুবিধাবাদীদের মিল, শুধু “সু” ই নয়, আরো গভীরে।
আমার এক সুশীল বন্ধু জানতে চাইছিলো, আমি প্রতি সন্ধ্যায় শাহবাগ যাচ্ছি, আমি কি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট পাবো। হায় রে! ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছা! যদি পাই, তোরে দিয়া দিমু তুই এইটা ব্যবহার কইরা শহরঋণ ব্যাংক বা ক্র্যাক খুলিস।

২/ সাধারনত যেকোন বিষয়ে দুইজন বাংগালী নিম্নে তিনটা দল করে, কিন্তু জাতীয় স্বার্থে রিকশায়ালা খালেক আর কর্পোরেট ব্যাংকার রাশেদ পাশাপাশি দাড়িয়ে যেতে পারে। নিজ চোক্ষে দেখা।

৩/ বাংগালি আবেগী জাতি, অত্যন্ত আবেগী জাতি। তারা যদি মনে করে, চাঁদ মাটিতে নামানো প্রয়োজন, চাঁদ নামিয়ে ফেলবে। চাঁদ নামানো ঠিক কিনা, সম্ভব কিনা এইসব ছাগু-মার্কা যুক্তি বাংগালি পুছে না।

শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে অনেকের অনেক আশা, তার থেকে বেশি উপদেশমালা। তাদের জন্য বলি, ভাই পৃথিবী সব’চে ভালো সাজেশন আর উপদেশ দিতে ও যে কষ্টটা করতে হয়, তার থেকে এক কাপ চা বানানো ও অনেক কষ্টকর। সুতরাং ধৈর্য্য ধরেন, ফাঁসি না হইলে আপনে আর আমি না হয় শাহবাগে যেয়ে বসবনে। আপাত যারা বসে আছে, তাদের সমর্থন দেন। আপনে আর আমি তো বসে নাই। আমরা এদের অযথা সমালোচনা নাই বা করলাম।


মন্তব্য

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর করে লিখেছেন। আপনাকে কাছে পাইলে বুকে জড়ায়া ধরতাম।

- বিজন শারিয়ার।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আইলসা এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই। আপনি লাইভ স্ট্রিমের ব্যবস্থা করছিলেন-অসাধারন। আমি তো স্লোগান দেয়া ছাড়া তেমন কিছু করতে পারি নাই।

আইলসা এর ছবি

কোলাকুলি

হিমু এর ছবি

একটা নিক বেছে নিয়ে লিখতে থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

স্যরি নিক দিতে ভুলে গেছিলাম, আমার নিক আইলসা

ফাহিম হাসান এর ছবি

ডিগ্রিধারী মানুষের মধ্যেই ছাগু বেশী কেননা এরা স্বার্থপর এবং অর্থলোভী হয়।

গত দুই সপ্তাহে ফেইসবুকে যাদের ছাগুগিরি করতে দেখেছি তারা -

  • আমার স্কুল জীবনের বন্ধু
  • নর্থ আমেরিকার ভালো ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স/পি এইচ ডি করছে
  • ব্যাংক, টেলিকম ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের রিডিং ক্লাব, ডিবেইট ক্লাব, ফটোগ্রাফি এসোসিয়েশনে যুক্ত
অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই চোখের সামনে, এক হাত দূরে যারা ছাগুগিরি করছে,
১/ বিদেশি ডিগ্রীধারী ২ (একজন আবার হাভার্ড গ্রাজুয়েট)
২/ বুয়েট পাস ৩
৩/ আইবিএ পাস এমবিএ ৪ (একজন আবার ভ্যালেডেক্টেরিয়ান, আরেক জনের উক্তি মেয়েদের জন্য স্কুলের চাকরিই ভালো।)
৪/ ঢাকা ভার্সিটি ৪

বাচ্চারে পড়াশোনা না করাইয়া, রিকশা কিইন্যা দেয়া উত্তম।
-আইলসা

কিষান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

"হাসিমুখে সয়ে নিতে হয়েছে তাদের ছাগুসুলভ পংক্তিমালা------"

ক্লাসে, বসায়,প্রবীণদের কথায়------খুব ক্লান্ত লাগে,, এদর সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলতে বলতে সত্যি খুব ক্লান্ত লাগে, শুধু মনে হয় জাগরনের মানুষগুলা আমার থেকে এত দূরে কেন????

পদব্রজী

আইলসা এর ছবি

আমি কিছুক্ষন বোঝানোর চেষ্টা করি । এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে যাই...

অমি_বন্যা এর ছবি

দারুণ একটা লেখা ভাই। অসাধারণ সব অর্জনের কথা বলে গেলেন। এই অর্জনগুলই আজ আমাদের প্রেরণা আর সামনের দিকে এগিয়ে যাবার শক্তি। হাততালি

আইলসা এর ছবি

ধন্যবাদ।

নীল আকাশ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

আইলসা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

শাহাবাগ আমাদের শিক্ষা দিয়েছে কীভাবে আন্দোলন, সংগ্রাম করতে হয়্ বাংলাদেশে এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। জ্বালা ো পোড়া আন্দোলনের পরিবর্তে এধরেনর আন্দোলন শাহাবাগ থেকেই শুরু করতে হবে। দেশকে পাল্টাতে হবে আমাদেরই। আ'লীগ, বিএনপিসহ প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল কীভাবে আন্দোলন করে আর তরুল প্রজন্ম (ব্লগারদের উদ্যোগে) কীভাবে আন্দোলন করে জয়লাভ করলো।এর পর ো যদি রাজনৈতিক দলের শিক্ষা না হয় তাহলে দেশের মানুষ একদিন তাদের বয়কট করবে।

আইলসা এর ছবি

মনে হয়না শীগ্রই পরিবর্তন হবে। ব্লগারদের আর রাজনীতিবিদদের চাহিদ এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশাল পার্থক্য

নীপবন এর ছবি

চলুক চলুক

আইলসা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাইদ এর ছবি

দ্রোহী ভাই-এর একটা মন্তব্য ছিল পুরাটা মনে নাই, তবে বাংলাদেশে প্রতি ১০ জনে ৯ জন ছাগু এই টাইপের। এইটারে একটু পরিমার্জন করে, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জন উচ্চডিগ্রিধারিদের ৯ জন ছাগু বেশি মানানসই।
ক্লান্ত হয়ে গেছি এসব (কু)শিক্ষিত লোকদের সাথে যুক্তি তর্ক করতে।

আইলসা এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
ঠিকই বলছেন। আমার মনে হয়, মানুষের ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির সাথে আচরনও বদলে যায়।

মর্ম এর ছবি

জীবনে প্রথমবার স্লোগান দিলাম এবার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম যখন অনেক অনেক যৌক্তিক কারণেও এই কাজটা করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার তিন বছর পর এমন অভিজ্ঞতা হবে, এ একেবারেই কল্পনাতীত!

এত এত মানুষ শুধু দেশের জন্য নিঁখাদ মমত্ববোধ নিয়ে একটা জায়গায় এক হয়ে যাচ্ছে- না দেখেছে যে, কখনো বোঝা হবে না হয়ত তার।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আইলসা এর ছবি

এত এত মানুষ শুধু দেশের জন্য নিঁখাদ মমত্ববোধ নিয়ে একটা জায়গায় এক হয়ে যাচ্ছে- না দেখেছে যে, কখনো বোঝা হবে না হয়ত তার।

চলুক

নীরা এর ছবি

ভালো লেগেছে

---- নীরা

রু এর ছবি

আইলসা হয়ে এটা কী লিখলেন?! খুব ভালো লেগেছে।

আইলসা এর ছবি

ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।