বাংলাদেশের পত্রিকা জগতে বা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বোধকরি একটা উইন্ড অফ চেঞ্জ নিয়ে এসেছিলো আশির দশকে প্রথম প্রকাশ পাওয়া সাপ্তাহিক খবরের কাগজ। অধুনা পত্রিকাটি আর নেই। নিউজ ট্রিটমেন্ট, ইন্টারভিউ, সংবাদ-বিশ্লেষণ ও সর্বোপরি দুই বাংলার অনেক লেখকের কলামের এক অসাধারণ সমন্বয় ছিল পত্রিকাটিতে। কে লিখতেন না সেখানে? শামসুর রাহমান , হুমায়ুন আজাদ থেকে আরম্ভ করে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ অব্দি; সেকালের নবীন তসলিমা নাসরিন, লুৎফর রহমান রিটন থেকে প্রবীন যতীন সরকার বা হাসান আজিজুল হকও লিখতেন সে পত্রিকায়। লেখাগুলোর ধার, বলাই বাহুল্য, ছিল শাণিত, চকচকে।
খবরের কাগজের একটি জনপ্রিয় বিভাগ ছিল একস্লিপ। ঠিক খবরের কাগজের কর্মীরা নন, বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিকরা রাজনীতি ও সমাজের টুকরো ঘটনা নিয়ে লিখতেন কলামটি। সেখান থেকে আজকে কিছু খবর এখানে উপস্থাপন করছি। উল্লেখ্য যে, প্রত্যেকটি খবরই '৮৯ ও '৯০ সালের বিভিন্ন সংখ্যা থেকে নেওয়া।
১। প্রধানমন্ত্রীর বিলাসিতা, সেই সময়ের স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের প্রশাসনের বিলাসিতা ও অপচয়ের নমুনা কিছুটা এই খবরে মিলবে :
২। হাসানুল হক ইনুর কিছু তাৎপর্যপূর্ণ শ্লোক :
৩। কর্নেল(অবঃ) অলি মাগুর মাছের চাষ করবেন! বিস্তারিত জানতে :
৪। খালেদা জিয়ার কাছে পীর সায়েদাবাদীর বিশেষ উপহার :
৫। মওদুদ আহমদের প্রচারে সেন্সর দিলো বিটিভি :
৬। গাঁজাখোরের পাল্লায় ড. কামাল হোসেন :
৭। "বক্তৃতা শেষ করে শওকত বেগম খালেদা জিয়ার পাশে এসে বলেন, ম্যাডাম কেমন হয়েছে। খালেদা জিয়া রাগতস্বরে বললেন বক্তৃতা না জানলে করবেন না" :
৮। "স্বাধীনতা লাভের আঠারো বছর পর বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হেদায়েত আহমেদ সেদিন সিলেটের এক মঞ্চে দিব্যি উচ্চারণ করে বসলেন, রেডিও পাকিস্তান সিলেট", খবরখানা পয়লা ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০-এর :
৯। মুরীদ হিসেবে এরশাদ আমার সন্তান তুল্য - বললেন আটরশীর পীর :
১০। মোহামেডান-আবাহনী খেলার সময় কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান দেখালে দর্শকরা বিরক্ত হবেন, প্রতিবাদের ঝড়ও উঠতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনো নাকি রাজকবিদের রাজি করানো যায়নি। বিটিভির পক্ষে বিষয়টির সুরাহার জন্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে :
১১। টেলিভিশনের প্রতি মন্ত্রিপরিষদের বেশীরভাগ সদ্যসই নাখোশ। এখন টেলিভিশনের ক্যামেরায় অনেক মন্ত্রির মুখ দেখা যাচ্ছে না। এতে মন্ত্রিরা-তিক্ত-বিরক্ত হলেও তাদের কিছুই করার নেই :
১২। জনগণ পেয়েছে পানি, সার, টিকা, সরবৎ ও গরুর মাংস- তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা.আজিজুর রহমান এফআর সিএস:
১৩। এরশাদ বিটিভি দেখেন, হাসিনা খালেদা দেখেন না :
১৪। ছবিটি সৈয়দ আসিফা আশরাফি পাপিয়ার, যখন তিনি ছাত্রদলের হয়ে রাকসু নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। সাপ্তাহিক খবরের কাগজের ১৬ মার্চ ১৯৮৯ সংখ্যা থেকে পাওয়া। তো, খবরের কাগজের নেওয়া তার সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ : "জামাত-শিবিরের উত্থান খুবই দুঃখজনক। রাজনৈতিকভাবে জামাত-শিবিরকে মোকাবিলা করতে হবে। কিভাবে, কোন দর্শনে মানুষ জামাত শিবিরের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে সেই রহস্য জানতে হবে এবং এর চেয়ে উন্নততর প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে।"
:
১৫। ছিনতাইকারীর কবলে তসলিমা নাসরিন :
==
দিগন্ত
মন্তব্য
দারুন
-----সৈয়দ
আসিফা আশরাফি পাপিয়া
একমুখে কত কথা!!!
ব্যাপকস! এগুলো সব ডিজিটাইজ করে ফেলতে হবে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হা হা হা। ব্যাপক।
লেখকের নাম কী?
চমৎকার সংগ্রহ!
আচার্য
দিগন্ত। লেখার নিচে রয়েছে নামখানি। পুরো নাম থাকলে ভালো হয়। আর মন্তব্যের সাথে সাথে উনি যদি নিজেকে প্রকাশ করেন তাহলে আরও ভালো।
-মনি শামিম
দিগন্ত নামে একজন সচল আছেন। সুতরাং পোস্টের লেখক অন্য কোন নিক নিলে ভালো হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নয়া দিগন্ত ...
- দৈনিক ইনকিলাবের দুই পৃষ্ঠা জুড়ে জ্যোতি হিমেল পাউডারের বিশেষ ক্রোড়পত্রের কথা মনে আছে। সেখানে মন্ত্রী মহোদয়েরা ওই পাউডারের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বর্ণনা করলেও আসলে তা ছিল থাইল্যান্ডের হুলা হুলা আইস পাউডারের সরাসরি নকল (মায় প্যাকিংটা পর্যন্ত)। অবশ্য পতিত সামরিক স্বৈরাচার আর তার সহযোগীদের কাছ থেকে এরচেয়ে ভালো কিছু আশা করাই বৃথা।
- যে আমলে বিতর্ক করতাম সে আমলে পাপিয়ার সাথে একই প্রতিযোগিতায় একাধিকবার বিতর্ক করার অভিজ্ঞতা আছে। তখনই তাকে মনন-মেধা-অবস্থানে যে রূপে দেখেছি তাতে তার আজকের রূপে অবাক হই না। পাপিয়া আগে যা ছিলো, এখনও তাই আছে।
- এরশাদের কপালটাই খারাপ। ১৯৮২-১৯৯০ এর যাবতীয় অপকর্মের জন্য গালাগালি শুধু একা তাকেই খেতে হয়। তার সহযোগীদের অনেকেই কি সুন্দর আওয়ামী লীগ - বিএনপিতে মিশে গিয়ে আমাদের নেতাতে পরিণত হয়ে গেছে। ফরগেট-ফরগিভ-রিকনসিলিয়েট মনে হয় আমাদের মজ্জাগত। আসল গালিটা আয়নার দিকে তাকিয়ে দেয়া উচিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাপিয়া কাহিনী শুনতে মন চায়।
মূল পোষ্টে এইটা কেমনে কেমনে জানি বাদ পড়ে গেছে, এইখানে আবার দিলাম, মুরিদ হিসাবে এরশাদ আমার সন্তান তুল্য- আটরশীর পীর :
পোস্টে দেখতে পাচ্ছি তো। ৯ নম্বর।
দারুণ সংগ্রহ, আরও চাই!
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
দুর্দান্ত সংগ্রহ। পাপিয়া আপাকে একটা কপি পাঠানো যায় না?
তখন আমি অনেক ছোট , হয়ত সেভেনে পড়ি ।বাবা যাযাদি আর খবরের কাগজ পড়তেন এবং আমিও । তখনো যাযাদি নষ্ট হয়ে যায়নি । আমার বেশি ভালো লাগত খবরের কাগজ - ভাষা , ছাপা ,কাগজ ,আঙ্গিক ইত্যাদি সব মিলিয়ে । খবরের কাগজের একটা সংখ্যায় শিবির নিয়ে দারুন একটা ফিচার ছিল , যেখানে জামাতশিবিরের অনেক কুর্কীতির সাথে সাথে তাদের একটি মন্তব্যও ছিল যাতে এক জামাতি নেতা ফেরেশতাদের হিন্দুদের দেবদেবীর সাথে তুলনা করে ।ঐ ফিচারটা প্লিজ এড করুন , ধার্মিকরা এবং মিনি শিবিররাও দেখুক জামাত কতটা ধর্মপরায়ণ !!
...
জটিল !
আরও আসুক ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
মতিকণ্ঠ-ঘরাণার সত্যিকারের সংবাদ সব।
মুহিতের এই পোষ্ট আমাকে ভীষণ ভীষণ নস্টালজিক করে দিল। খবরের কাগজের সবগুলো সংখ্যা আমার সংগ্রহে ছিল একানব্বইয়ের ঘুর্নিঝড়ে বিনাশ হবার আগ পর্যন্ত। এই সময়ে পচিশ বছর আগেকার সময়ে ফিরে দেখার তুমুল আনন্দ ফিরে পেলাম। অনেক ধন্যবাদ এই পোষ্টের জন্য। নব্বইতে বাতিল হওয়া পতিত ঘেয়ো কুকুর এরশাদের জন্য এর চেয়ে ভালো উপহার হতেই পারে না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হা হা হা । চমৎকার সংগ্রহ
এগুলোকে ডিজিটাইজ করা হোক
বয়সই দেখা যােচ্ছ সমস্যা। সেদিনের কাদের সিদ্দিকী, আজ...; সেদিনের পাপিয়া আজ...।
শাহাবাগ, তাড়াতাড়ি কর, নইলে...
মরার আগে কিছু দেখে যেতে চাই।
একদা আমার সংগ্রহেও কিছু ছিলো... এখন কিছুই নাই
যার কাছে যা পুরান পত্রিকা আছে সেগুলা সব ডিজিটাল করে ফেলা দরকার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সিরাম।।
বেনি মাধব
চমতকার সংগ্রহ আপনার
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নয় নম্বর ( ৯ ) খবরটার ডান দিকের অংশটা ক্রপড। পুরো খবরটা কি আপলোড করা যায়?
(সিসিফাস)
নতুন মন্তব্য করুন