ব্লগার থাবাবাবার হত্যায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রের সরাসরি জড়িত থাকার খবর মিডিয়াতে বেশ আলোড়ন তুলেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আর বাংলা ব্লগে গুরুত্ব সহকারে ফলোআপ রিপোর্ট বেরুচ্ছে প্রতিদিন। সচলায়তনে নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরীর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণমূলক লেখাটিও ছিল তথ্যবহুল। মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অভিজিৎ রায়ের কলামে শিক্ষাঙ্গনে জঙ্গিবাদের ব্যাপারে অনেক বিশ্লেষণ উঠে এসেছে যদিও তথ্যগত অনেক ভুল ছিল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ইতিহাস বর্ণনায়। বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নর্থ সাউথের আজকের অবস্থান একদিনে গড়ে উঠেনি। একটা সময় ছিল মানসম্মত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বলতে নর্থ সাউথকেই বোঝাত। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ অনুসরণ করেই আজ উঠে এসেছে আরও কিছু মানসম্মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আটক নাফিসের নামের সাথে যখন নর্থ সাউথের নাম উঠে আসে তখন ভেবেছিলাম এ এক বিছিন্ন ঘটনা। নাফিস কিন্তু একজন অনিয়মিত ছাত্র ছিল। গত সপ্তাহের পত্রিকায় ৫ হত্যাকারীর ছবি দেখে বড় এক ধাক্কা খেলাম। বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছিল যে এরা নর্থ সাউথের ছাত্র। আমি বারবার ওদের ছবির দিকে তাকাই, ওই বয়সে আমিও তো ছিলাম একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বনানীর ক্যাম্পাসে কাটিয়েছি জীবনের আনন্দময় চারটি বছর। আদমজী স্কুলের সেই সুবিশাল ক্যাম্পাস আর নটরডেম কলেজের সেই ছায়াঘেরা পরিবেশে বেড়ে উঠা আমিতো ধীরে ধীরে ঠিকই আপন করে নিয়েছিলাম নর্থ সাউথের বনানীর অস্থায়ী ক্যাম্পাস।
এক যুগ আগে ফেলে আসা আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন স্থায়ি ক্যাম্পাস দেখার সুযোগ এখনও মিলেনি। পত্রিকায় পড়লাম এখন নাকি ১৫ হাজার শিক্ষার্থী পড়ে ওখানে। মনে পড়ে ছাত্রাবস্থায় প্রতি সেমিস্টারে টিউশন ফিসের সাথে জমা দিতাম নতুন ক্যাম্পাসের জন্য অনুদান। আজ হবে কাল হবে করতে করতেই বনানীর অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ হয়ে যায়। তারপর প্রবাস জীবনের জালে আটকে ফেরা হয়নি স্বদেশ। আর আজ অনলাইনে পড়তে হচ্ছে ৫ জ্বিহাদীর বর্বরতা। আমি ভেবে পাচ্ছি কিভাবে ৫ টি ছেলের চরিত্রগত পরিবর্তনে তাদের সহপাঠী আর পরিবার কিছুই আঁচ করতে পারল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দিকে শুধু আঙ্গুল তুললে হবে না, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৯/২০ বছরের সন্তানের চিন্তাভাবনা মনমানসিকতার দায় তার অভিভাবক/পিতামাতার উপরও বর্তায়। ছেলেগুলো প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র হলেও পত্রিকায় শিরোনামের হেরফের হতো না, “নর্থ সাউথের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণীকক্ষে গড়ে উঠছে জঙ্গি”। ধর্মান্ধতা যে ছেলেকে ধীরে ধীরে গ্রাস করছে সেতো শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নামায কক্ষেই পড়ে থাকবে না, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আর সেমিস্টার শেষের ছুটিতে সে কি করছে, কোথায় যাচ্ছে তার দিকে বাবা-মার লক্ষ্য থাকা উচিত। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠনগুলির গোপন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে অভিভাবক মহলের যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে।
পত্রিকার রিপোর্টে শিক্ষকের ভুমিকার কথা এসেছে। আমার ছাত্রাবস্থায় কোর্সগুলি পড়াতে আসতো অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পার্টটাইম শিক্ষকেরা। তাদের সময় বা সুযোগ কোনটাই ছিলনা ছাত্রদের সাথে কোর্সবহির্ভূত অন্য বিষয়ে আলোচনা করার। ফুলটাইম শিক্ষকদের দেখেনি কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় মতাদর্শ প্রচারণায়। পাঁচ ওয়াক্ত পরা নামাজি সহপাঠী আর হিযাব পরা সহপাঠিনী ছিল খুব সাধারণ এক দৃশ্য। কখনই তো সমস্যা হয়ে দেখা দেয়নি বন্ধুদের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাবগুলির কার্যক্রমেও মুক্ত চিন্তাধারার বিকাশ হতে দেখেছি সবসময়। সহপাঠীর চারিত্রিক পরিবর্তনকে আর হাল্কা ভাবে না নিয়ে স্টুডেন্ট এডভাইসারের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। কোর্সমেটরা একসাথে আলোচনা করে সন্দেহভাজন শিক্ষার্থীর গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রাখতে পারে।
উচ্চ শিক্ষার প্রসারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের এই সম্মানজনক অবস্থানের পিছনে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে পরবর্তী প্রতিটি ব্যাচ থেকে পাশ করে বেরিয়ে আসা শিক্ষার্থীর অবদান রয়েছে। কিছু বিবেকবর্জিত ছাত্রের অপরাধের কালিমায় আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ কলঙ্কিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সকল শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নর্থ সাউথ হয়ে উঠুক দেশের সর্বোত্তম বিদ্যাপীঠ।
......জিপসি
মন্তব্য
Vaya I saw this blog yesterday.
http://reportjamat.blogspot.com/2013/03/stand-up-speak-out-stay-safe.html
Students are organizing some mechanism to combat this issue. Thanks for the post.
প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
......জিপসি
সবাই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে মেতে আছেন । তাদের খুঁটি সরকারের হাতে আছে,এজন্য সবাই তাদের খোঁচা দেয়, তারাও ভয়ে অস্থির।
অপরদিকে বুয়েটের তো কেউ টিকিটিও স্পর্শ করতে পারছে না। এটি সরকারী প্রতিষ্টান হলেও তারা আবার সরকারী আইনেই সুরক্ষিত । এজন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কিছুই করতে পারছে না- আইনি সুরক্ষার কারনে।
একজন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে এ নিয়ে একটি অভিযোগ করেছিল।রীতিমত কমিটি করে তদন্ত হচ্ছে। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যেহেতু অভিযোগের জবাব দেয়ার বাধ্যবাধকতা নেই, তাই মঞ্জুরী কমিশন অসহায়, তারা কিছুই করতে পারছে না। বুঝেন ঠেলা, কই যাবেন।
অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক প্রতিকূলতা পেরিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে সময়ের পরিক্রমায়। এই অর্জন নষ্ট হতে দেয়া যাবেনা, নর্থ সাউথ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এই সত্য উপলব্ধি করতে হবে। সুনাম একবার হারালে তা আবার ফিরে নাও আসতে পারে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডার্ড রক্ষার দায় সরকারের না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা করতেই তো সরকার হিমশিম খাচ্ছে।
......জিপসি
তার মানে কি বুয়েটের মত পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জংগী উতপাদনকে আমরা উতসাহ দেব বা দেখেও না দেখার ভান করব?
কতৃপক্ষের আন্তরিকতায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত হোক সবধরনের সাম্প্রদায়িকতা থেকে।
সাম্পানওয়ালা
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি বুয়েটে পর্যন্ত ছাগুর আখড়া আছে। এগুলো উল্লেখ করে লেখা আসা উচিৎ সচলায়তনে।
জ্বী বস, আপনে বিষয়টাকে ঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন।
আপনারা যেহেতু সেখানকার সাবেক ছাত্র আপনারা পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে জনাব আজাদ সাহেব আছেন, তিনি চেষ্টা করছেন কিন্তু
সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আইনি সুরক্ষার কারনে কিছুই করতে পারছেন না।
কমিশনে বুয়েট নিয়ে বহু অভিযোগ আছে।
নর্থ সাউথ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তাই আমি আর সেদিকে গেলাম না। তবে নর্থ সাউথ কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত এবং আন্তরিকতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে দেখলাম যা খুবই ভালো উদ্যোগ।
যাক, যে বিষয়টা নিয়ে মন্তব্য করতে এলাম তা বলি এবার। লক্ষ্য করে থাকবেন, বাংলাদেশে ৮৫-৯০ শতাংশ মুসলিম স্বাধীনতার আগে থেকেই। ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হয়। এখানে মানুষ শান্তিতে নামায পড়ে, রোজা রাখে। এখনও এই দেশে রমজান মাসে অফিস-আদালত আগে আগে ছুটি হয়। বিভিন্ন ইসলামিক উৎসবে, সেটা ঈদ ছাড়াও, সরকারি ছুটি দেয়া হয়। এগুলো আমাদের দেশে ইসলাম এবং ইসলাম পালনের চিত্র। দশকের পর দশক ধরে মানুষ এভাবে ইসলাম পালন করে এসেছে। তখনও হিজাব ছিল। যে যে যার যার ইচ্ছে অনুযায়ী সেটা করতো। পুরুষরা দাড়িও রাখতো। কিন্তু সমস্যার সূচনা গত এক দশকে। ইসলামের নামে যখন থেকে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মাঝে বিষ ছড়িয়ে দেয়া শুরু হয়। ধর্ম খুব স্পর্ষকাতর বিষয়। তাই ধর্মকে নিয়ে রাজনীতিই করুন আর নিজের সুবিধাই আদায় করুন না কেন, সেটা বেশ কার্যকর। গত এক দশক ধরে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা এত বেশি বেড়ে গিয়েছে এবং সরকার সহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা এত বেশি ছিল যে এই মানুষগুলো সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে। এজন্যে আজ থেকে দশ বারো বছর আগের প্রেক্ষাপটের সাথে আজ আমরা বর্তমানকে মেলাতে পারি না। মানুষের মধ্যে ধৈর্য্যের বড় অভাব লক্ষ্য করি। আর যদি ধর্মের নামে কোন অপপ্রচার সামনে আসে, তাহলে তো কথাই নেই। খুব দ্রুত ব্লগ এবং ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একেকটা মিথ্যা। সরকার এবং বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যদি এখনই যথাযথ উদ্যোগ না নেন এসব থামানোর, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত খুব একটা সুখকর হবে না হয়তো।
টুইটার
আমি এই ব্লগপোস্টটি লেখার আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট চেক করে যারপনাই হতাশ হয়েছি, বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছিল এটি কোনও প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবপেজ! উইকিপিডিয়া সার্চ করেও দেখি ওই একই পেজ আসে। মান্ধাতার আমলের ওই সাইটে ঘুণাক্ষরেও একটি বাক্য নেই “জঙ্গিবাদের পৃষ্টপোষক” হিসেবে অভিযুক্তের বিপরীতে। নর্থ সাউথের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে বলতে পাড়ি পাবলিক রিলেসন্স অফিসের ভূমিকা বরাবরের মতই প্রশ্নবিদ্ধ!
আপনি যে বিগত এক দশকের কথা বললেন তার পুরোটাই আমি দেশের বাইরে। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে পারবো না তবে “বাঁশের কেল্লা ফেসবুক পেইজ” আর “সোনার বাংলা” ব্লগের মুরিদদের লাফালাফি দেখে মনে হয় যে ডিজিটাল বাংলাদেশ না পেলেও হাজার হাজার ডিজিটাল মূর্খের উদ্ভব হয়েছে।
......জিপসি
আমি এই ব্লগপোস্টটি লেখার আগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট চেক করে যারপনাই হতাশ হয়েছি
আপনি আজ হতাশ হলেন, আমরা শুরু থেকে আজ অবধি হতাশ এটা নিয়ে। অন্য যে কোন ভার্সিটির ওয়েব পেইজ এনেসিউ এর চাইতে অনেক গুণ ভালো। আমি বুঝি না কেন এইদিকে কোন নজর দেওয়া হয় না। তবে একটা কারণ হতে পারে এনেসিউ এর নোটিস বোর্ডের উপর সবাই নির্ভরশীল হওয়ায় আর অ্যাডভাইসিং/ রেজিস্ট্রেশন এর মতন কাজগুলো সব নিজের উপস্থিতিতে করতে হয় বলে হয়তো তেমন ওয়েব পেইজ নির্ভরতার কথা ভাবে না কর্তৃপক্ষ।
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে TEACHER EVALUATION হতো প্রতিটি কোর্সের শেষে, এখনও হয়তো হয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এটি একটি বড় সুযোগ শিক্ষকের কর্মদক্ষতা আর মন মানসিকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তথ্য প্রদানের।
অভিভাবকদের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারও প্রশাসনের কাছে থাকা উচিত। সন্দেহজনক ছাত্রের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে তার অবিভাবকের সাথে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টা দৃষ্টিকটু নয়।
নামাজ কক্ষ কিন্তু মসজিদ নয়, পত্রিকায় পড়লাম কতৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধুমাত্র নামাজের সময় ছাড়া কক্ষ বন্ধ থাকবে। বলতেই হবে, ভালো উদ্যোগ। আইনগত বাধা না থাকলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যাবহারের বিষয়টিও ভাবা যেতে পারে।
......জিপসি
রি-একটিভ হলে হবেনা, প্রো-একটিভ হতে হবে। প্রতিবার এইরকম মাত্রার একটা ঘটনা ঘটার পর যদি কর্তৃপক্ষের বোধোদয় হয় তাহলে বিষয়টা খুবই গুরুতর। বহু আগে থেকেই ব্লগগুলোতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে জামাত-শিবিরের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সন্দেহপোষন করা হয়েছে, তখন গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
শিক্ষাক্ষেত্রে শিবিরের শেকড় বহুদূর বিস্তৃত, সময় নিয়ে এর মূলোৎপাটন করা না গেলে আমাদের খবর আছে।
মৌলবাদী অপশক্তিকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হলেও মৌলবাদীতার শেকড় উপড়ে যাবে না। প্রতিটি পরিবারেই করতে হবে মুক্ত চিন্তাধারার চর্চা। ধর্মান্ধতা বন্ধের প্রো-একটিভ প্রক্রিয়া শুরু হতে হবে বাবা-মার হাতেই।
......জিপসি
সামাজিত বয়কট এর কথা আলাদা, আমি বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা বলছিলাম। আপনার যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় এর এলামনি, তারা কিন্তু চাইলেই একটা প্রেশার গ্রুপ তৈরি করতে পারেন, করাটা প্রয়োজন। আজকের এই পোস্ট যেমন আপনার কর্তব্যবোধের পরিচয় বহন করে তেমনি সামগ্রিক কর্তব্যের জায়গায় আপনাদের একটা যূথবদ্ধ আন্দোলন কিন্তু বিরাট পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে। আশা করি ভেবে দেখবেন
একটা দেশের উন্নতি বাধা গ্রস্ত করতে চাইলে তার যুবক জনগষ্ঠিকে ধংস করতে হবে। দেশের ৩/৪ তাংশ যুব শ্রেণী। বিপুল অংশকে নিহত,আাহত,অথর্ব করতে পারলে অন্তত ১০/১৫ বছর দেশকে সকল সূচকে নিম্ন মুখী রাখা যাবে। বর্তমানে অনেক সূচকেই উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে; অতঃএব-এখনই সময় ‘ইসলামী’ বিপ্লব করার। বিপ্লব তো লক্ষ্য না, লক্ষ্য ১০/১৫ বছর পিছিয়ে রাখা। অতীতে ’৭২-’৭৫-এ একই কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তখন ছিল ‘সমাজতান্ত্রিক’ বিপ্লব। সকলেই জানেন,‘সমাজতান্ত্রিক’ বিপ্লব সফল হয়নি। এখনও ‘ইসলামী’ বিপ্লব সফল হবে না। যা হবে,তা হচ্ছে ১০/১৫ বছর পিছিয়ে রাখা। ১০/১৫ বছর পরে যদি আবার স্হিশীলতা আসে, তখন আবার বিপ্লব বিপ্লব খেলা যাবে। তখন আমরা ‘সমাজতান্ত্রিক’ বিপ্লব নিয়ে খেলব, কি বলেন? খুব সুন্দর একটা চক্র, তাই না!
-নির্বাক
সবার জন্য অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার বিপ্লব হতে হবে। নিরক্ষর/ধর্মান্ধ জনগণ নিয়ে কোনও আদর্শিক বিপ্লব সম্ভব না। নিরক্ষরতা দূর করা গেলে কাঠমোল্লারাও আর ভাত পাবে না। সল্পশিক্ষিত কাঠমোল্লারা আজ দেশের উচ্চশিক্ষাঙ্গনেও ব্রেন ওয়াশ শুরু করেছে।
......জিপসি
সহমত।
-নির্বাক
নতুন মন্তব্য করুন