গ্রীক পুরাণের মহানায়কেরা - পর্ব ০১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৩/২০১৩ - ৫:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইচ্ছে ছিলো গ্রীক পুরাণের বীরদের নিয়ে একটা কাহিনীমালা লেখার। পুরানো বিষয়। বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু হয়েছে সাত বছর হলো, এখনো এই বিষয়ে কেউ কিছু লেখেন নি তা তো না। বরং এই বিষয়টা লেখালেখির মধ্যে শীর্ষেই থাকবে। সে থাকুকগে, আমি আমার মতন লিখবো। বলে তো দিলাম। এখন দেখা যাক আসলে আমি কত বড় যোদ্ধা। অলসতার সাথে লড়াইয়ে আমি জিতলেই কেবল এই লেখালেখি হতে পারে। তাহলে শুরু হয়ে যাক-

গ্রীকরা জন্ম হতেই বীর-পূজক। তাদের পুরাণেও বীরের অভাব নেই। একজনের চাইতে আরেকজন সেরা। এ বলে আমায় দেখ, তো, ও বলে আমায় দেখ। সে এক বিশাল ব্যাপার। তাহলে? লেখার আগেই কি লেখা থেমে যাবে? নাহ, তা কেনো? অনেক ভেবে একজন সাম্প্রতিক বীরকেই বেছে নেয়া হলো। সাম্প্রতিক? তাও আবার গ্রীক পুরাণের বীর? আরে বাবা, সে তো বীর বহু কাল ধরেই। কিন্তু আপামর জনগণের নিকট তার আবেদনের শুরু এই ২০১০ এর দিকে। “ক্ল্যাশ অফ দা টাইটানস” নামক সিনেমার মাধ্যমেই সারা পৃথিবী জানতে পারলো পার্সিয়াস নামের এই বীরের কথা। সেই বীর যার ব্যাপারে হোমার আগেই বলে দিয়েছেন , “সমগ্র মানবজাতির মধ্যে সবচাইতে বিখ্যাত, যাকে সকলেই চিনে।” নিজের বাগদত্তাকে ভয়ানক দৈত্যর কাছ থেকে উদ্ধারে, নিজের মা-কে এক দুশ্চরিত্র-শক্তিশালী রাজার হাতের মুঠো থেকে ছিনিয়ে আনতে পার্সিয়াসের বীরত্বের প্রমাণ মেলে। দুর্দান্ত সাহসী, দুরন্ত অভিযাত্রী, গ্রীক পুরাণের অন্যতম বিখ্যাত দৈত্য-হন্তারক, প্রজাপালক রাজা এবং গ্রীক পুরাণের চরিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্কে বিশ্বাসী। সব মিলিয়ে পার্সিয়াসকেই বেছে নিলাম।

মিথলজি মানেই পুরাণ। আর পুরাণ মানেই পুরানো জিনিস নিয়ে টানা হ্যাচরা। কাজেই পার্সিয়াসের কথা জানতে হইলে আরো একগাদা জিনিস আপনাকে জেনে আসতে হবে। সে আপনি চান আর নাইবা চান। পার্সিয়াসের কাহিনী শুরু বহু আগে। আর্গোস নামক শহরে রাজত্ব করতেন পার্সিয়াসের দাদা এক্রিসিয়াস। এই এক্রিসিয়াসের আবার এক যমজ ভাই ছিলো যার নাম প্রোটাস। প্রোটাসের সাথে এক্রিসিয়াসের দা কুমড়া+সাপে নেউলে-এর সমান শত্রুতা ছিলো। একেবারে আক্ষরিক অর্থেই মায়ের পেট থেকেই তাদের শত্রুতার শুরু হয়েছিলো। তো, যখন তারা যুবক হলো, তারা ভেবে বের করলো এই আর্গোসের রাজা কে হবে সেটা একবারেই ঠিক হোক। কাজেই লড়াই হলো। এবং সে লড়াইয়ে জিতে আর্গোসের রাজা হলো এক্রিসিয়াস। আর প্রোটাস বুঝে পেলো পাশের টাইরিন্স। এই টাইরিন্স আর্গোসের পাশের শহরই ছিলো বলা চলে। টাইরিন্স শহর তখন পুরাণের মধ্যেও কিংবদন্তির মর্যাদায় অভিষিক্ত। কারণ টাইরিন্সের দুর্গম দুর্গের মত দেয়াল যা পুরো শহরকে ঘিরে রেখেছিলো। এই বিশাল, অজেয় দেয়াল যার ব্যাপারে লোকে বলাবলি করতো যে এই দেয়াল কোন মানুষ নয় বরং সাইক্লপ্সেরা বানিয়েছে-যারা কিনা ছিলো জন্মগত মিস্ত্রী।

এক্রিসিয়াসের বিয়ে হলো এগানিপির সাথে। কিন্তু তাদের কোল জুড়ে এলো একটি মাত্র সন্তান। তাও মেয়ে। ডানাএ। এক্রিসিয়াসের মনে আশা, হয়তো একসময় তার ছেলে হবে যার হাতে সে এই রাজ্যের শাসনভার সঁপে দিতে পারবে। দিন কেটে যায়, মাস যায়, বছরও বিগত হয়। কিন্তু পুত্র-আশা আর পূরণ হয় না এক্রিসিয়াসের। উপায়হীন এক্রিসিয়াস একজন ওরাকলের সাথে কথা বললো তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে জানতে। কিন্তু কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে এলো সাপ। শুধু যে তার কখনো ছেলেই হবে না তাই নয়, বরং তার মেয়ের ছেলের হাতে অর্থাৎ তার নাতির হাতেই এক্রিসিয়াসের মৃত্যু হবে। নিয়তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কি কেউ জেতে? তাও শেষ চেষ্টা হিসেবে এক্রিসিয়াস চেষ্টা করলো ডানাএ-কে প্রাসাদের পাতালপুরীতে এক তাম্র কারাগারে বন্দী করে রাখতে। কিন্তু ওই যে, নিয়তি। যথাসময়ে ডানাএ-র কোলে এলো এক পুত্রসন্তান। গুজব ছড়িয়ে গেলো যে নির্বাসিত প্রোটাস নাকি চুরি করে কারাগার কক্ষে ঢুকে এই অপকর্মটি করেছে। কিন্তু ডানাএ বললো এক অদ্ভুত কথা। স্বয়ং দেবরাজ জিউস নাকি সোনালি আভায় আলোকিত করে তার কারাগারে এসেছিলেন। সোনালি বৃষ্টির ধারার মত ছাদ হতে জিউস কারাভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এভাবেই অন্ধকার কারাগারে জন্ম হলো পার্সিয়াসের। অনেক জায়গায় আছে জন্মের সাথে সাথেই নাকি শিশুর কান্নার আওয়াজে এক্রিসিয়াস তার নাতির ব্যাপারে জানতে পারেন। আবার অনেক কাহিনীকার বলেছেন যে পার্সিয়াস তার মার সাথে এক বছরের মতন কারাগারে বন্দী ছিলো। এক্রিসিয়াস হঠাৎ পার্সিয়াসের খেলার আওয়াজ শুনে প্রথম এই ব্যাপারে জানতে পারেন। সে যাই হোক- এই ব্যাপারে জানা মাত্র এক্রিসিয়াস ডানাএ আর পার্সিয়াসকে এক বিশাল কাঠের সিন্দুকে বন্দী করে এজিয়ান সাগরে ভাসিয়ে দেন। গুডবাই পার্সিয়াস।

কিসের গুডবাই? কোনকালে দেখেছেন যে কাহিনীর মাঝপথেই নায়ক মারা যায়? তাও আবার সেই নায়ক যার উপরতলার সাথে ডাইরেক্ট কানেকশন আছে। এরিমধ্যেই নিশ্চয়ই জিউসের কথা ভুলে যান নি। জিউস নিজে সেই কাঠের সিন্দুককে সুনীল সাগরের মাঝে পথ দেখিয়ে নিয়ে চললেন। এভাবেই সিন্দুক এসে পৌঁছলো সেরিফাস দ্বীপে। এই দ্বীপেও সেই ভাই ভাই কাহিনী। দ্বীপের রাজা পলিডিক্টিস যে কিনা রাজপ্রাসাদে থেকে সেরিফাসের শাসন কাজ নির্বাহ করেন। আর তার ভাই ডিক্টিস, যে কিনা একজন জেলে হিসেবে নিতান্ত সাধারণ জীবন যাপন করেন। একদিন মাছ ধরার সময়ে ডিক্টিসের জালে ধরা পড়লো সেই বিশাল সিন্দুক। ডানাএ আর পার্সিয়াস মুক্তি পেলো। দয়ালু ডিক্টিস তাদের আশ্রয় দিলো নিজ গৃহে। আশে পাশের সকলেই জানলো যে ডিক্টিসের বাসায় তার দূরসম্পর্কের এক আত্মীয়া আর তার ছেলে এসেছে। এভাবেই দিন কেটে যেতে লাগলো। পার্সিয়াস ধীরে ধীরে যৌবনে উপনীত হলো। (অন্য মতে পলিডিক্টিস এই ব্যাপারে জানা মাত্র ডানাএ-কে দাসী হিসেবে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যান আর পার্সিয়াসের দিন কাটতে থাকে সেরিফাসে এথেনার মন্দিরের সেবায়েত হিসেবে। যাই হোক, আমি প্রচলিত ধারায় এগোলাম। কি আর করা। গবেষক তো আর নই।)

রাজাদের সমস্যা প্রজারা। ইয়ে মানে সুন্দরী প্রজারা। এটাকে চিরন্তন সত্য হিসেবে ধরে নিতে পারেন। তো পলিডিক্টিসও সেই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। তাও আবার কার প্রতি। ডানাএ-র প্রতি। ডানাএ-র প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে পলিডিক্টিস তার পাণি-প্রার্থনা করে বসলেন। ডানাএ-ও সুন্দর ভাবে তার আবেদন লাল কালিতে খারিজ করে দিলেন। পলিডিক্টিস চাইলেই হয়তো ডানাএ-কে জোর করে তুলে নিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু ততদিনে পার্সিয়াস বেশ হাট্টাকাট্টা জোয়ান মর্দ হিসেবে বড় হয়ে উঠেছে। কাজেই সে দিকে আড়চোখে চেয়ে পলিডিক্টিসকে হাসিমুখে এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে হলো। কিন্তু দুর্জনের ছলের অভাব নেই। তার মাথায় ডানাএ-র এই ব্যাপারটা ঘুরতেই থাকলো।

ডানাএ-র হাতে প্রত্যাখ্যাত হবার কিছুদিনের মধ্যেই পলিডিক্টিস তার বাগদানের ঘোষণা দিলেন। পিসার রাজা অনোমাসের সুযোগ্যা কন্যা হিপ্পোডেমিয়ার সাথে এই বাগদান উপলক্ষে এক বিশাল ভোজসভার আয়োজন করা হলো। ভোজসভাতে তখনকার প্রথা অনুযায়ী সকল অভ্যাগতদেরই একতা করে উপহার নিয়ে যেতে হয়। পলিডিক্টিস সেটা জানতেন। পলিডিক্টিস এটাও জানতেন যে একটু দামী কোনো উপহার চাইলে পার্সিয়াস বা ডানাএ দিতে পারবে না। না দিতে পেরে হয়তো দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও পালিয়েই যাবে। কাজেই পলিডিক্টিস সকল প্রজাদের নিকট হতে একটি করে ঘোড়ার দাবী করে বসলেন। পার্সিয়াস বেচারা পড়লো বিপাকে। একজন জেলের কি আর এই সাধ্য আছে যে সে রাজাকে একটা ঘোড়া কিনে দিতে পারে? কিন্তু পার্সিয়াস কি আর যেই সেই লোক। সেও রাজাকে বলে দিলো, ঘোড়া না হয় দিতে পারলাম না কিন্তু আপনি যা চান তাই আমি এনে দিতে পারবো। চাইলে এমনকি আমি আপনাকে গর্গন মেডুসার মাথাও কেটে এনে দিতে পারি। পলিডিক্টিস যেনো মেঘ না চাইতে ঝড় হাতে পেলেন। ডানাএ-কে পাননি তাতে কি, ডানাএ-র হৃদয়ের মণি পার্সিয়াসকে তো হাতের মুঠোয় পেলেন।

পলিডিক্টিসের খুশী হবার কারণ ছিল। কারণ তখন পর্যন্ত কোনো মানুষ মেডুসার সামনে থেকে বেঁচে ফিরতে পারেনি। পারবে কি করে? এই মেডুসার চেহারার দিকে তাকালেই তো মানুষের সারা দেহ পাথরের রূপ নিয়ে নেয়। গ্রীক পুরাণের সেরা দানবীদের একজন মেডুসা। তিন গর্গন দানবীর একজন। এদের মধ্যে কেবল মেডুসাই মরণশীল। ইউরিয়াল আর স্থেনো অমর। গর্গন বোনদের চুল ছিলো বিষধর সাপ, চোখের তারায় ছিলো যে কোন মানুষকে এক নিমিষে পাথর বানিয়ে দেয়ার জাদু। তাদের দাঁত যেনো ধারালো শাণ দেয়া ছুড়ি, সারা শরীর শক্ত চর্মাবৃত যা কোন অস্ত্রের পক্ষে ভেদ করা সম্ভব নয়। সোনালী পাখনা আর তাম্র দিয়ে তৈরি থাবা। এই যখন অবস্থা তাদের বর্ণনার তখন পার্সিয়াসের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াই উচিৎ ছিলো। কিন্তু ভদ্রলোকের এক জবান। অসম্ভবকে সম্ভবে ঝাঁপিয়ে না পড়লে আর বীর কিসের। সুতরাং পার্সিয়াসের যাত্রা হল শুরু... (পর্ব ০১ সমাপ্ত)

লিখনেঃ সামি

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

রংতুলি এর ছবি

অসাধারণ! হাততালি চলুক

চলুক... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম। চালিয়ে যাচ্ছি এবং চালানো শ্যাষ। একে একে দিচ্ছি। পরের পর্ব পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সামি

মহুয়া  এর ছবি

দারুন। তারপর কি হলো শিগ্গির বলুন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে। এখানেই বলা শুরু করবো। আমি তো আরেকটা পোস্টে দিতে চাচ্ছিলাম। দেঁতো হাসি
তারপর কি হলো জানতে এই তো আর ১২ ঘন্টার মতন অপেক্ষা করতে হবে আর কি। পরের পোস্টে আসার আমন্ত্রন রইলো। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সামি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

... ... ...এডিথ হ্যামিল্টনের "মিথলজি" বইটার ২টা বাংলা অনুবাদ আছে বাজারে... দুর্ভাগ্যক্রমে তার খটমটে টা কিনেছিলাম... পড়া আর হয় নি... ... ...

... ... খেতা পুড়ি হ্যামিল্টনের... এইটাই চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

পাশেই আরো অনেক বইয়ের সাথে হ্যামিল্টনের বইয়ের কিছু প্রিন্ট বের করা ছিলো। সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে আস্তে করে পেপার দিয়ে ঢেকে দিলাম। গুরু মাইন্ড খেতে পারেন। আপনি তো ভাই এমন তুলনা দিলেন যে আমার হাতের সাথে সাথে কি-বোর্ড আর ল্যাপিও কাঁপতাসে। কয়শো আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- চান খালি আওয়াজ দেন। অনেক অনেক অন্নেক সাহস পেলাম। পরের পোস্ট পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। হাসি

সামি

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে মানে অনেক অনেক ধন্যবাদ। হাততালি দিয়া তো শরমিন্দা করলেন। আশা করি ভালো লেখা দিতে পারবো পরের গুলোতেও।
আইচ্ছা সবাই যেই হারে পপকর্ন খাচ্ছে তাতে মনে প্রশ্ন জাগে পপকর্ন কি বাংলালিংক দামে পাওয়া যাইতেসে। দেঁতো হাসি
ভালো থাকবেন এবং পরের পোস্ট পড়ার আমন্ত্রন রইলো। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এই কমেন্টটা তো সাফিনাজ আরজু ভাইকে করছিলাম। মন খারাপ

সামি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

হাততালি
বেশ তো। চলতে থাকুক ... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে মানে অনেক অনেক ধন্যবাদ। হাততালি দিয়া তো শরমিন্দা করলেন। আশা করি ভালো লেখা দিতে পারবো পরের গুলোতেও।
আইচ্ছা সবাই যেই হারে পপকর্ন খাচ্ছে তাতে মনে প্রশ্ন জাগে পপকর্ন কি বাংলালিংক দামে পাওয়া যাইতেসে। দেঁতো হাসি
ভালো থাকবেন এবং পরের পোস্ট পড়ার আমন্ত্রন রইলো। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সামি

নীল আকাশ এর ছবি

চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। আগামি পোস্টের আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম। হাসি

তারিফ শেরহান শুভ এর ছবি

আজ থেকে পড়তে শুরু করলাম। বাকিগুলোও নামিয়ে রেখেছি। আপনার লেখার স্টাইলটা সিরাম হয়েছে।
আমার নানা গ্রিক মিথলজি খুব মজা করে বলতেন। হাসি

তারিফ শেরহান শুভ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।