তুমি দারাও এসে জানালার পাশে, সার্শীতে
তোমার গরম নিঃশ্বাসের ছাপ
আমার কবিতা লিখবার খাতা- গভীর রাত্রিতে
তারা জেগে উঠবে, বাড়বে নিলয়-অলিন্দের উত্তাপ।
কুয়াশা ফেরত শিশির কণায় লিখছে চোখের ভাষা-
ওভিদের প্রাচীন গ্রীক মনের বিশ্বাস,
আমার চিন্তায় ঘোর ট্র্যাজিক পরিণতি, আর সর্বনাশা
তোমার চোখে অগণিত কবির সর্বনাশ।
যে লিখছে সে তুমি, আমি নই, আমি নই এই পৃথিবীর,
আমি শুধুই রাতের অন্ধকার-
যা গভীর রাতে তোমার ঘুমে স্থির
চোখের পাপড়িতে করে যায়- স্বপ্নের সঞ্চার।
(মাকিদ হায়দার)
মন্তব্য
ভাল লাগলো ।
Md. Mostafizur Rahman
আপনি কি কবি মাকিদ হায়দার? জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার ও রশীদ হায়দারের ভাই?
নাম বিভ্রাট। হ্যাঁ আমি কবিতা লিখি, সেই সুবাদে কবি, এবং নাম মাকিদ হায়দার। কিন্তু জিয়া হায়দার, দাউদ হায়দার ও রশীদ হায়দারের ভাই নই। আপনি যার কথা বলছেন, আমি তার চাইতে বয়সে বেশ তরুণ।
(মাকিদ হায়দার)
কি আশ্চর্য। কি আশ্চর্য। ওভিড-এর কথা বললেন আপনি। আর আমি মাত্র ওভিডের লেখা পড়ে আসলাম। একে কি বলা যায়? কাকতাল?
সে যাই হোক। কবিতাটা সুন্দর হয়েছে। প্রেমের কবিতা মানেই আমার কাছে ।
সামি
প্রফেসর হাজরা সত্যজিতের সোনার কেল্লায় বলেছিল টেলিপ্যাথির কথা। সে জিনিস হলে আর মন্দ কী।
(মাকিদ হায়দার)
পরে কিন্তু বোম্বাইয়ের বোম্বেটেতে জটায়ু নতুন শব্দ আনলেন। "এ যে টেলিপ্যাথির ঠাকুদ্দা।"
ভালো থাকবেন।
সামি
কেউ নয়, অন্য কেউ নয় তোমার মতোন ...
বিজন কথক
কবিতাটি ভালো লাগলো বলেই মন্তব্য করতে আসা। দুটি ব্যাপারে একটু পরামর্শ-
এক. কবিতার প্রথম লাইনে বানান ভুল থাকলে একটু দৃষ্টিকটু লাগে বৈকি! যেমন- দারাও= দাঁড়াও, সার্শিতে= শার্সিতে
দুই. দাউদ হায়দার, মাকিদ হায়দার, জিয়া হায়দার নামগুলো এত জনপ্রিয় যে এসব নামে কাউকে দেখলে একটু নড়েচড়ে ওঠে সবাই। যদিও আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার, কবিতা যদি লিখে যেতে চান 'মাকিদ হায়দার' নামটা একটু বদলে নেয়ার চিন্তাভাবনা করতে পারেন।
বানানের বিষয়টি নিতান্তই অবহেলার ফল। ব্লগে লিখবার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। অভ্র দিয়ে খুব দ্রুত লিখতে গেলে ও দিকটায় নজর দেয়া মুশকিল, সংরক্ষন বাটনে ক্লিক করে ফেলবার পর বিষয়টা আমার চোখে পড়ে, দ্রুত করতে গিয়ে খেয়াল করা হয় নি, কিন্তু তখন আর তা সংশোধনের কোন ব্যবস্থা নেই। এমন বেখেয়ালী আরো অনেক কিছুই হয়তো আপনার চোখে পড়বে, কারণ স্বভাবটা ঠিক বাগে আনতে পারি না, তার জন্য আগেই বলে নেই, দুঃখিত। যদিও এরপর থেকে এ ব্যাপারে খেয়াল থাকবে।
কবিতা সবসময়ই লিখে যেতে চাই, নিঃসন্দেহে। তবে নাম পরিবর্তনে আমার সায় নেই। ব্লগে লিখবার পূর্বে টুকটাক কিছু পত্রিকায় লিখবার যে কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা আছে তাতে এই সমস্যায় খুব একটা পড়তে হয় নি, আর এই নাম পরিবর্তনের পরামর্শও কেউ দেয় নি। বিধায় এ নিয়ে খুব বেশী ভাববার প্রয়োজন পড়ে নি আগে। যাইহোক বড়জোড় ডাক নামটা এর সাথে দিয়ে দিতে পারি, তাও একদম নিরুপায় হলে। আসলে ঠিক তাতেও সায় নেই। আপাতত কিছুই করছি না। এভাবেই লিখতে থাকবো, যা হবে পরে দেখা যাবে।
আপনার পরামর্শের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আরো একটু ভেবে দেখতে চাই।
কবিতাটা আসলেই সুন্দর। ওভিড সম্পর্কে জানতে চাই।
নাহিয়েন
ধন্যবাদ। ওভিদ সম্পর্কে আপনাকে আমার চাইতে অন্য কেউ আরো ভালো জানাতে পারবে। তবু বলছি; জানেনই তো পুরাণ কিংবা ধর্ম সবসময় হয় শিল্পকে উপজীব্য করে বেড়ে উঠেছে নয়তো প্রাচীন কালের শিল্প গড়ে উঠেছে ধর্মকে কেন্দ্র করে। ওভিদ তেমনই একজন রোমান কবি, যার বদৌলতে আমরা গ্রীক ও রোমান পুরাণের অনেক কাহিনী জানতে পাই। তার পুরো নাম খুব সম্ভব, পাবলিয়াস ওভিদিয়াস নাসো, যিশু খৃষ্ট জন্মের প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে তার জন্ম। হাতের সামনে তার কোন বই নেই, থাকলে নিশ্চিত করেই বলে দিতাম, আপাতত সৃতির উপর ভরসা করেই বলছি, ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন। যাই হোক, এবার তার লেখা সম্পর্কে আমার কিছু ব্যাক্তিগত মতামত দেই, আগেই বলছি একান্তই ব্যাক্তিগত। আমার কাছে ওভিদকে ট্রাজেডির নায়ক মনে হয়েছে, তার লেখায় একরকমের বিষণ্ণতা, কেমন যেন সব ভালোর একটা ট্র্যাজিক পরিণতি আমার চোখে পড়েছে। নিঃসন্দেহে বলবো গ্রীক কবিদের চাইতে রোমানদের কল্পনা শক্তি ও রোমান্টিকতা কম, আমার চোখে ব্যতিক্রম এই ওভিদ। কারণ তিনিই বোধহয় পুরাণের কাহিনী সম্বল করে সবচাইতে বেশী নিখাদ প্রেমের কবিতা লিখেছেন, আর কল্পনার দৌড়ও এমন খেলিয়েছেন যে তার অনেক কবিতার কাহিনী তার লেখা ভিন্ন অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আপনি তার লেখাগুলো জোগাড় করে নিতে পারেন, আমি কথা দিচ্ছি, আপনার ভালো লাগবে।
(মাকিদ হায়দার)
ভাল লেগেছে। সচলে স্বাগতম
নতুন মন্তব্য করুন