“মা, কি লিখব বাবাকে?” চার বছরের কনর প্রশ্ন করে আমায়। জবাব দিলাম লিখে দাও “বাবা তোমাকে ভালবাসি”। ওইটুকু ছেলে আমার, সবে লিখতে শিখেছে। কতটা আনন্দেই না লিখে ফেলল বাবাকে লিখা তার প্রথম চিঠি। পরদিন পাঠিয়ে দিলাম ডাকে। কনরের সেই চিঠি তাঁর বাবার হাতে পৌছুলো লন্ডনে, ওর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কিছুদিন পড়ে। এরিকই খুলল সেই খামে ভরা চিঠি। কিছু মুহূর্ত পেরুলো নিঃশব্দে, যা কোনদিন ভুলবার নয়।
ইতালির ভেরোনার এক ছোট্ট গ্রামে জন্ম আমার। রক্ষণশীল ক্যাথলিক পরিবারের বাবা মারা যান আমি ছোট থাকতেই, দুই মেয়েকে নিয়ে মা পড়ে যান অথৈ সাগরে। পরিবারের খরচ চালাতে রাতদিন অনন্ত পরিশ্রম করতে হতো মাকে। বড় বোনের সাথে আমিও ভর্তি হয়ে যাই কনভেন্ট স্কুলে। মার আশা ছিল বড় হয়ে ব্যাঙ্কে নাহয় স্কুলের কোন ছোট চাকরি বাগিয়ে নিতে পারবো।
শোবিজ জগতের নামি মডেল আর টিভি শো উপস্থাপনার স্বপ্ন দেখতাম আমি। বয়স আঠারো পেরুতেই ভেরোনা ছেড়ে রোমে পাড়ি দেই আমি। টুকটাক মডেলিং করতে করতেই দুই বছরের মাথায় টিভি শো উপস্থাপনার সুযোগ মিলে যায়, রোম ছেড়ে যেতে হয় মিলানে। ফটোগ্রাফিরও শখ ছিল আমার। ক্যারিয়ারের প্রথম ধাপগুলি বেশ সহজেই বেয়ে উঠছিলাম তরতর করে। ভেরোনার লোরেদানা রাতারাতি বনে গেলাম লরি দেল সান্ত। সারাদিন মডেলিং আর টিভি শো, উইকএন্ডে বন্ধুদের সাথে ডিস্কো আর কনসার্ট, ভালই কাটছিল মিলানের দিনগুলি।
একবার এক কনসার্টের শেষে বন্ধুদের সাথে যাই এক সেলেব্রিটি ডিনারে। হরফ করে বলছি প্রথম দেখায় এরিককে চিনতে পারিনি আমি। ডিনার টেবিলে অনেক গল্প করে যাই দুজনে, ওকে অনেক নির্মোহ ব্যাক্তিত্তবান পুরুষ বলে মনে হয়েছিল সেদিন। এরিক আমাকে পরেরদিন আবার ডিনারের দাওয়াত দেয়, আমিও সায় দেই। বাসায় ফিরে সকালের পত্রিকা খুলে আমি চিনতে পারি ব্লুজের ঈশ্বরকে, কোকেইন গানটি আমার শোনা ছিল আগেই। ডিনারে যাই, এবার কাছ থেকে বেশ খুঁটিয়ে দেখি এরিক ক্ল্যাপটনকে। কি চমৎকার একজন মানুষ, ভালো লেগে যায় এরিকের সান্নিধ্য। আমি চাইনি আমাদের ভালো লাগা সম্পর্কে রূপ নিক। কোনও বিখ্যাত পুরুষের এক রাতের শয্যাসঙ্গিনী হতে কখনই চাইনি আমি। স্বপ্ন দেখতাম সেই পুরুষের যার সাথে আমি এক আবেগ আনন্দে ঘেরা পরিবার গড়তে পারবো। কিন্তু এরিক পিছু ছাড়ল না আমার, প্রায়ই যোগাযোগ করতো আমার সাথে। আমার জন্মদিনে লন্ডন থেকে ফোন করে গীটার বাজিয়ে গাইল হ্যাপি বার্থডে! কিছুটা ভরসা পেলাম ওর আচরণে, ধীরে ধীরে গড়ে উঠল আমাদের সম্পর্ক। একদিন ফোন করে বলল “লরি, আই অ্যাম ইন টাউন!” আমি জানতে চাইলাম কোন শহরে, জবাব দিলো “মিলান”। মজা করে বললাম মিলানে কি কর তুমি? আমাকে হতবাক করে উত্তর দিলো “কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি!” গান লিখল আমাকে নিয়ে, Lady of Verona, প্রেমে পড়তে সময় লাগল না আর।
I fell in love with a lady from Verona,
She's just as sweet as she can be.
All of her life she's been a loner
Because she likes to stay so free.
Out of all of the things they make in Italy,
The clothes, the cars, the wine, the food.
I love my lady from Verona
Because she made me feel so good.
But it wasn't meant to be;
I had to find out the hard way.
You know, what she gave to me
I'll treasure until my dying day
And I would not have it any other way.
(LADY OF VERONA; ERIC CLAPTON)
এরিকের দিনকাল খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না তখন। স্ত্রী প্যাটি বয়েডের সাথে নয় বছরের সংসার ততদিনে প্রায় শেষ পর্যায়ে। (প্যাটি বয়েডকে তো একরকম চুরি করেই ঘরে তুলেছিল প্রিয় বন্ধু জর্জ হ্যারিসনের কাছ থেকে!) মদ্যাসক্তি থেকে কোনদিনই নিজেকে পুরোপুরি ছাড়াতে পারেনি এরিক। ও সারাদিন হুইস্কি টেনে যাবে কিন্তু মাতাল হবে না। ওর সমস্যা ছিল দুই রকমের, মানসিক আর ইমোশনাল। এরিক কিন্তু সবসময় চাইত মদ্যাসক্তি থেকে নিস্তার পেতে, কিছুদিন ভালো যেতো কিন্তু আবার শুরু হতো ওর বাজে দিনগুলো। ও পরিপূর্ণ নিস্তব্দতা পছন্দ করে, লন্ডনের ট্রাফিক ওর ভালো লাগছিল না। সারের বাড়ি ছেড়ে ওকে লন্ডনে আসতে হয় ডিভোর্সের সময়। দিনের পর দিন আবার কখনো বা সপ্তাহ পেরিয়ে যেতো এরিক একটি শব্দও উচ্চারন করতো না, ঘরের ভিতর গীটার বাজাতে কখনই দেখেনি। আমি চুপ করে অপেক্ষায় থাকতাম, ও এমনটাই চাইত, নিস্তব্দতা! তারপর একদিন হঠাৎ জিজ্ঞেস করতো “লরি, খিদে পেয়েছে তোমার?” পরেরদিন হয়তো আরও দুটি বাক্ক্য উচ্চারিত হতো এরিকের মুখ থেকে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যেতো কিছু দিনের জন্য।
আমি জানতাম প্যাটির সাথে সন্তান না হওয়াটা ওদের ডিভোর্সের একটা কারণ। সেপ্টেম্বর মাসের একদিন এরিক আমাকে জিজ্ঞেস করে কি ভাবছি আমি, বলি মা হতে চাই আমি। খুশিতে আটখানা হয়ে বলল আমার সন্তানের বাবা হতে চায় ও। ওর আনন্দিত চোখের দিকে তাকিয়ে বুকটা ভরে গেল আমার! ডিসেম্বরেই গর্ভে এসে গেল আমার আর এরিকের প্রথম সন্তান। আমার খুশি তখন আকাশছোঁয়া। এরিককে জানালাম খবরটা, চুপ করে গেল ও। আসলে এরিক বড় একটা ধাক্কা খায় যখন জানতে পারে ও বাবা হচ্ছে, নিজের জীবনের প্রতি ওর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অনেক ধোঁয়াশা, অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্বিধায় ভুগতো। নিজের বাবাকে কখনই কাছে পায়নি শৈশবে, নানানানির কাছে বড় হয়েছে। পরিবর্তনকে প্রচণ্ড ভয় পায় এরিক, সাদামাটা গোছানো জীবনযাপন পছন্দ করে ও।
আমি তখন উইকএন্ডে থাকি লন্ডনে এরিকের সাথে, বাকি দিনগুলি মডেলিং আর টিভি শোর চাপে থাকতে হয় মিলান। এরিকের মৌনতা আমায় আহত করে, ঠিক করি ওকে কিছুদিন একা রেখে থেকে যাব ইতালিতে। আশা ছিল এরিক একদিন ঠিকই আমায় ফোন করবে। তিন মাস পর ফোন এলো লন্ডন থেকে, এরিকের ম্যানেজার অনুরোধ করল গর্ভপাত করতে! রাগে গা জ্বলছিল আমার, স্পষ্ট জানিয়ে দিলাম “আমি লরি দেল সান্ত আমার গর্ভের প্রথম সন্তানের কোনও ক্ষতি হতে দিবনা।” এরিক ঠিকই ফোন করল কিছুদিন পর, জানালো আত্মহত্যা করতে গিয়ে বিফল হয়েছে! ওর এই ছেলেমানুষিপনা কাপুরুষতায় হতাশ হলাম আমি। একজন এরিক ক্ল্যাপটনের কাছে জীবনের মূল্য কি?
দুই মাস পর হাতে এলো এরিকের চিঠি, ভুল বুঝতে পেরেছে ও, প্রথম সন্তানের বাবা হতে ও প্রস্তুত! সারারাত বুকের কাছে রেখেছি সেই চিঠি, পড়েছি হাজার বার। পরের সপ্তাহে মিলানে এলো এরিক, কি আনন্দেই না কাটিয়েছিলাম তিনদিন। আমি আবার স্বপ্ন দেখি ওকে নিয়ে। ও লন্ডন চলে যাবার পর দেখি সেই চিঠি গায়েব! ঐ একটিই প্রমাণ ছিল যে এরিক আমার গর্ভের সন্তান চেয়েছিল! আমি ঠিক করি অনেক হয়েছে, আর সইবো না আমি, এরিককে ফোন করে জানাই লন্ডন আসছি আমি বাচ্চা প্রসব করতে। কথা বাড়াল না ও, চেলসিতে ঘর ঠিক করে দিলো আমার জন্য। হসপিটালেও লেবার রুমে আমার সাথে থাকল এরিক, আমাদের ছেলে কনরকে কোলে তুলে নিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বলল “হে ঈশ্বর, আমি এখন পিতা!”
হঠাৎ করেই যেন সব ঠিক হয়ে গেল, এরিক, আমি আর কনর সুখি পরিবারের মতো দিন কাটাতে লাগলাম। ড্রিংক করাও ছেড়ে দিলো এরিক, সুন্দর কাটছিল ইংল্যান্ডের কান্ট্রিসাইডের সেই দিনগুলি। কিন্তু বিধিবাম! কনর বড় হচ্ছিল আর ঘরের নিস্তব্দতাও ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল শিশুর উপস্থিতিতে। এরিক ঠিক মানতে পারছিল না যে শিশুর প্রয়োজন প্রাধান্য পাবে সবসময়! ওর রুটিন বাঁধা জীবনধারায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল ছোট্ট কনর। কখনই খেলতে দেখেনি কনরের সাথে, দূরে বসে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো এরিক ওর ছেলের দিকে যেন অন্য গ্রহের এক শিশু। আমার আশা ছিল সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে। কনরের তিন বৎসর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি আমি, কিছুই বদলাইনি! এরিকের সাথে সম্পর্কের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেই আমি। কনরকে নিয়ে চলে আসি ইতালিতে।
এরিক একদিন ঠিকই উপলব্ধি করতে পারে যে কনর ওর জীবনের একটি অংশ, দুর্ভাগ্য দিনটি ছিল আমাদের সন্তান কনরের মৃত্যুর আগের দিন! ১৯৯১ সালের মার্চে এক দুর্ঘটনায় মারা যায় কনর। ইস্টারের ছুটিতে কনরকে নিয়ে আমি যাই নিউইয়র্ক, এরিক আগে থেকেই ওখানে ছিল। বাবা তার চার বছরের ছেলেকে নিয়ে যায় সার্কাসে, লংআইল্যান্ডে। খুব আনন্দে কাটে ওদের সময়। ফিরে এসে এরিক আমাকে বলে “লরি, আজ নিজেকে পরিপূর্ণ একজন পিতা মনে হচ্ছে”। আরও বলল কনরকে নিয়ে সামনের ছুটিতে লন্ডন যেতে, ছেলের সাথে আরও অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে চায় ও। আমি খুশি হলাম ওর এই পরিবর্তনে, ঠিক করলাম পরের দিন এরিক এসে আমাদের নিয়ে যাবে চিড়িয়াখানা দেখাতে। কনর তো সারাটা সন্ধ্যা উচ্ছ্বাসে মেতে রইল, বাবার সাথে সার্কাসে কত বড় হাতি দেখেছে তা শোনাতে লাগল আমাকে। কি আনন্দেই না কেটেছে আমার ছোট্ট কনরের দিনটি!
পরেরদিন আমরা শুরু করলাম খুব হই-হুল্লোড়ের মাঝে, সবাই একসাথে যাব চিড়িয়াখানা! বেলা ১১টায় আমি স্নানে থাকতেই শুনতে পাই কনর খেলছে ওর বেবিসিটারের সাথে। বাথরুম থেকে চিৎকার করে ছেলেকে বললাম জলদি তৈরি হতে, জবাব দিলো “এক মিনিটেই তৈরি হচ্ছি মা!” বাথরুম থেকে বের হওয়া মাত্রই বেজে উঠে আমার ফ্যাক্স মেশিন। পুরানো এক হিসাবের সাথে মিলিয়ে দেখতে বসে যাই ফ্যাক্সে পাওয়া কাগজের সাথে। কেটে যায় ১৫ মিনিট, ওদিকে শুনতে পাচ্ছি কনর লুকোচুরি খেলছে। ওই দিন আকাশচুম্বি সেই এপার্টমেন্টের ক্লিনার(janitor)রুটিনমাফিক পরিষ্কার করছিল আমরা যেই তলায় ছিলাম সেই ৫৪তম তলা। লুকোচুরি খেলতে গিয়ে আমার আদরের কনর হুট করে ঢুকে পড়ে ক্লিনার যে রুম পরিষ্কার করছিল সেখানে। পিছে পিছে ছুটে আসা বেবিসিটার আর্তচিৎকার করে ওকে বলল থামতে কিন্তু সেই বাক্য শেষ না হতেই আমার কনর আর নেই! আমি সেই রুমে দৌড়ে পৌঁছে বেবিসিটারকে জিজ্ঞেস করি কোথায় কনর? খোলা জানালার দিকে চেয়ে পেয়ে যাই উত্তর, অবশ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ি আমি।
ক্লিনার পরিষ্কারের সময় ফ্রেশ বাতাস প্রবেশের জন্যই হয়ত খুলে রেখেছিল কাঁচের সেই দেয়াল। ওই এপার্টমেন্টটি ছিল আমার বান্ধবীর, ছুটি কাটাতে গিয়েছিলাম নিউইয়র্ক। কনর বা আমি কখনই ভাবতে পারিনি ওই কাঁচের দেয়াল খোলা যায়। এরিক আমাদের নিতে আসলো ৫ মিনিট পরেই, বেচারা তখনও জানেনা চিরতরে হারিয়ে গেছে ওর সন্তান! যখন বুঝতে পারল, শক্ত হয়ে গেল ওর সারা মুখ। একে অন্যকে বলার মত কোনও কিছুই ছিল না আমাদের দুজনের। এ্যাম্বুলেন্সে করে কনরকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হল, আশা করার মত কিছু ছিলনা। মরচুয়ারিতে আমি যাইনি, এরিক ছেলেকে দেখতে ঠিকই যায়। চিড়িয়াখানায় আর যাওয়া হল না বাবা-ছেলের।
ইংল্যান্ডের সারেতে অনুষ্ঠিত কনরের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এরিকের বন্ধু ফিল কলিন্স, জর্জ হ্যারিসনের মত বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে উপস্থিত ছিল ওর সাবেক স্ত্রী প্যাটি বয়েড। আমার হৃদয় টুকরো হয়ে যাচ্ছিল এত ছোট একটা কফিনে আমার কনরকে শুয়ে থাকতে দেখে। এরিককে আমি কোনদিন কাঁদতে দেখেনি, কিন্তু আমি জানি ওর শোক প্রকাশটা অন্যরকম। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর ওর বাসায় সারারাত একসাথে প্রার্থনা করে কাটিয়ে দেই আমরা দুজনে।
এরিকের সাথে এখনও আমার যোগাযোগ আছে। এটা-ওটা নিয়ে কথা হয় কিন্তু কনরের সেই দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও আলোচনা আমাদের মাঝে হয়না। আসলে কিছু বলবার নেই কারও, এই সত্য আমরা দুজনেই জানি। জানি কনরকে নিয়ে গান লিখেছে এরিক, Tears in Heaven, অন্তর্মুখী এক সন্তান হারানো বাবা তার শোকগাথা হিসেবে বেছে নিয়েছে গানের কলি। আমি শুনিনি সেই গান, চাইনা শুনতে কখনও। আমস্টারডামে এক অনুষ্ঠানে যখন রেডিওতে বেজে উঠে এই গানের টাইটেল আমি ছুটে বেরিয়ে যাই খোলা রাস্তায়। মা হয়ে কখনই পারবো না শুনতে আমার কনরের নামে লেখা এই শোকগাথা।
....জিপসি
(পাদটীকা: ইতালিয়ান ম্যাগাজিনে কয়েক বছর আগে প্রকাশিত লরি দেল সান্তর সাক্ষাতকারের আংশিক ভাবানুবাদ।)
মন্তব্য
ভয়াবহ লাগলো। দারুন ইমোশনাল। কিন্তু বাচ্চাদের মৃত্যুর ব্যাপারটা কেন জানি গল্প হোক, উপন্যাস হোক আর বাস্তবের গল্পই হোক মেনে নেয়া খুব কঠিন। ব্রিজ টু টেরাবেথিয়া দেখার পরে পরিচালক আর লেখককে পেটানোর ইচ্ছা হয়েছিল।
দারুন লেখা।
সৌম্য।
Tears in Heaven আমার প্রিয় শিল্পী ক্ল্যাপটনের সেরা গানগুলির একটি। ১৯৯৩ সালের বছরের সেরা গানের গ্র্যামি পুরস্কার প্রাপ্ত এই মাস্টারপিসের লিরিক পৃথিবীর যেকোনো পিতার হৃদয়কে ব্যাথিত করবে। অনেকের মত আমারও কিছুটা জানা ছিল এই গান লিখার পটভূমি, কিন্তু কনরের মার গল্পটা যখন পড়ি আমার দুচোখের পাতা আবার ভিজে উঠে। আমার এই ক্ষুদ্র পোস্টের পাঠকদের অনুরোধ করবো গানটির আনপ্লাগড ভার্সনটি আবার শোনার জন্য।
http://www.youtube.com/watch?v=VRsJlAJvOSM
....জিপসি
ব্লুজের ঈশ্বরের ব্যাপারে এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেয়ায় লেখককে অনেক ধন্যবাদ। ক্ল্যাপটন গীটার হাতে নিলে মনে হয় ঈশ্বরও কাজ ফেলে গান শুনতে বসতেন। এ এক স্বর্গীয় অনুভূতি। জানতাম তার ছেলের এই দূর্ঘটনার কথা। কিন্তু পেছনের এই কাহিনী জানা ছিলো না। কি প্রবল দুঃখে ভরা জীবন অথচ কি সৃষ্টিশীল। এই তীব্র বৈপরিত্য আমাকে খুব ভাবায়। আবারো ধন্যবাদ। গত এক সপ্তাহে সচলে পড়া মানোত্তীর্ণ লেখার একটি এটি।
সামি
ভালো লেগেছে অনুবাদ। সাবলীল।
অনুবাদ বেশ মজার কিন্তু একই সাথে বেশ জটিল এক কর্ম! মূল গল্পটা এতো ভালো লেগেছিল যে সাহস করে ভাবানুবাদ করতে বসে যাই।
....জিপসি
এরিক ক্ল্যাপটন অনেক বছর ধরে tears in heaven গানটি গাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। ওর বক্তব্য এই গানটি গাওয়ার জন্য যতটা কষ্ট অনুভব করতে হয় তার কিছুটা লাঘব হয়েছে সময়ের পরিক্রমায়। বাবা হয়েছে ক্ল্যাপটন নতুন করে।
......জিপসি
নতুন মন্তব্য করুন