বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যামেরাটা বেকার ঘরে পড়ে ছিলো । না না কারনেই আর বের হওয়া হচ্ছিলো না । ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম, আমার দলে এমন আমি একাই না.... অনেক ভাই বেরাদারও আছে । কি আর করা..... সুদীপ্ত দা'র কাছে আর্জি পেশ করলাম, একটা ফটোওয়াকের কল করেন । দাদাও রাজি হয়ে গেলেন..... বলেই দিলেন গ্রুপের পক্ষ থেকে একটা ফটোওয়াকের ব্যবস্থা করাই যেতে পারে ।
ঠিক হল... ১৫.০৩.১৩ (শুক্রবার) সবাই যাচ্ছি 'বালিয়াটি জমিদার বাড়ি'-তে । সকাল ৯.৩০ এ গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সবাই রওনা দিবো । কিন্তু এতো সকালে ওঠা ইদানিং কালে আমার জন্য বেশ কষ্টের কাজ। মোবাইলে এ্যালার্ম দিয়েও উঠতে পারি না । এ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ওপাশ ফিরে ঘুম দেই । এমন দুঃসময়ে রোজ সকালে ঘুম থেকে তুলে দেবার দায়িত্ব স্বপ্নাকেই দিয়ে দিয়েছি তিনিই নিয়মিত সকালে ফোন করে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিচ্ছেন
যাই হোক..... ঘুম থেকে উঠে সময় মতই পৌঁছালাম বাস স্ট্যান্ডে। কিছুটা সময় বাড়ার সাথে সাথেই দলে জুটে গেলো এক এক করে ১২ জন । ১০ টা নাগাদ রওনা হলাম বালিয়াটির উদ্দেশ্যে । রাস্তায় হালকা পাতলা জ্যাম ঠ্যাঙিয়ে বেলা ১২টার কিছু পরে সাটুরিয়া বাস স্ট্যান্ডে নামলাম। এরপরে সবাই মিলে ঝট পট শেষ করলাম দুপুরের ভোজন পর্ব। সাটুরিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি করে পৌঁছালাম 'বালিয়াটি প্রাসাদ' বা 'বালিয়াটি জমিদার বাড়ি'-তে। বালিয়াটি প্রাসাদের সংক্ষিত পরিচয়। (আমি মানুষ হিসেবে বরাবরই কিছুটা অলস প্রকৃতির.... তাই নিজে না লিখে প্রাসাদের সামনে থাকা সাইন বোর্ডের ছবি যোগ করে দিলাম। )
এর পরের ঘটনা বড়ই সংক্ষিপ্ত। প্রাসাদের প্রবেশ করা মাত্রই যে যার ক্যামেরা নিয়া ঝাপিয়ে পড়ে ছবি তুলতে । আমিও তার ব্যতিক্রম না । সবাই যখন তুলতেছে, আমিও তুলি
বিকাল পর্যন্ত ওখানে কাটানোর পরে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম..... কিন্তু এবারে অবশ্য কপাল অতোটা ভালো ছিলো না । নবীনগর পার হবার পরেই আপন মনে গাইতে হল.... গাড়ী চলে না চলে না চলে না রে.... গাড়ী চলে না । অবশেষ রাত ১০.৩০ নাগাদ সহি সালামতেই বাসায় ফিরতে পারলাম ।
সংক্ষেপে বালিয়াটি যাত্রার রচনা তো লিখলাম.... এইবার ... ওই দিন প্রাপ্ত কিছু ছবি সবার সাথে শেয়ার করে এ বেলা শেষ করি
১.
২.
৩.
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
-
অনুপম প্রতীপ
মন্তব্য
ছবিগুলো দারুণ। কোন একদিন বালিয়াটি থেকে ঘুরে আসবো।
__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে
ধন্যবাদ
- অনুপম
দুর্দান্ত হইছে ছবিগুলো।
পোস্টে জাঝা।
আচ্ছা এখন নাকি বালিয়াটিতে ঢুকতে টিকেট লাগে?
সৌম্য
হ্যাঁ, টিকিট লাগে । প্রতিজন ১০ টাকা।
বাহ!!! ছবিগুলো খুবি সুন্দর, লেখাও ভাল হয়েছে।
ছবিগুলান দুর্দান্ত হইছে। ওয়াইড লেন্সের কাজ নাকি? আর ৮ নাম্বারটার প্রসেসিংটা বেসম্ভব সুন্দর!
আচ্ছা বালিয়াটিতে এখন ঢুকতে নাকি টিকেট করা লাগে?
সৌম্য
ভালো লাগলো পড়ে
কষ্ট লাগলো না যেতে পেরে
কান্দিস না। পরেরবার যাইস ।
ঢাকার কাছাকাছি এমন জায়গা আছে এটাই তো জানতাম না।
ধন্যবাদ।
এখন তো জানলেন। পরে সময় করে ঘুরে আসবেন
-অনুপম
শব্দটা কি বালিয়াটি হবে? নাকি বলিয়াদি? আমি একটু কনফিউজড।
ছোট্ট পরামর্শ: লেখায় ইমোর ব্যবহার সিরিয়াসনেস নষ্ট করে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
'বালিয়াটি' নামেই ওখানে লেখা আছে ।
-অনুপম
ওদের সাইনবোর্ডে বালিয়াটি লেখা আছে।
বালিয়াটি, বলিয়াদির জমিন্দারের বাড়ি না এটা ।
ছবিগুলোর ওভারপ্রসেসিং ভালো লাগছে না
পরেরবার মাথায় থাকবে
-অনুপম
বলিয়াদি জমিদার বাড়ি কালিয়াকৈর।
ছবিগুলো চমৎকার, যদিও বেশ প্রসেসড মনে হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার প্রসেসড ছবি নিয়ে আপত্তি নেই তা যদি চোখের সুখ যোগায়। আরও ছবি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম, সাথে উঠে আসুক ছবি তোলার গল্প, ছবির সাথের গল্প, ছবির বাইরের আর ভেতরের গল্প।
আর ইমো ব্যবহারের ব্যাপারে আগেই কেউ একজন বলেছেন, আশা করি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবেন। ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ । আপনাদের পরামর্শ অবশ্যই পরেরবার মাথায় থাকবে ।
-অনুপম
ছবিগুলো বেশি রঙচঙে মনে হচ্ছে। বালিয়াটিতে গিয়েছিলাম অনেক বছর আগে। আরেকবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটু এদিক ওদিক তাকালেই, বাংলাদেশে দেখার মত জায়গার অভাব নেই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ওভারপ্রসেসিংয়ের ফলে অবাস্তব রঙের ছড়াছড়ি দেখতে আমারও ভাল লাগে না। তবে আপনি ছবি ভাল তোলেন, একটা দুর্মূল্য ওয়াইড লেন্সও আছে বুঝিছি।
এবার যাবার কথা ছিল
ভ্রমণ জারি থাকুক, ইয়ে কিছু ছবি বেশি অবাস্তব ধরনের রঙিন হয়ে গেছে।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন