আমার সচল পরিবার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৩/২০১৩ - ১১:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার স্মোকি পর্বতের কেবিনে দুই রাত কাটানোর কথা শুনে তারেক অনু বলল, “আপা লিখে ফেলেন আপনার অভিজ্ঞতা”। কিন্তু আমিতো অনু নই যে ঘুরে এসেই লিখে ফেলব দারুন এক ভ্রমন কাহিনী।

এবার ঢাকায় আবারো তাগাদা, “আপা লিখছেন না কেন?” - আসলে আমিতো পড়তে ভালবাসি। জীবনী, আত্মজীবনী, গল্প উপন্যাস, প্রবন্ধ, মানি ম্যাগাজিনে স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ড, ডাক্তারের অফিসে বসে রান্নার রেসিপি - কী নয়? দেশে থাকতে ঝাল মুড়ি খেয়ে ঠোঙ্গা খুলে সেটাও পড়ে ফেলতাম।

আমাদের ভাই বোনের পড়ার অভ্যেস হয়েছিল আমাদের মার কাছ থেকে। মার যে ছবিটি সবসময় চোখে ভাসে, তাহলো দুপুরে খেয়ে মা শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ছেন। এখনও উনি প্রচুর পড়েন।

দীর্ঘ প্রবাস জীবনেও আমার পড়ায় ছেদ পড়েনি। মেয়েদের চার বছর বয়েসেই বই পড়তে শিখিয়ে দিয়েছি, যাতে আমার পড়ায় বিরক্ত না করে। কাজের পরে বাড়ী এসে খেয়ে বই নেই, স্বামী বসেন কম্পিউটার নিয়ে। আমাকে অনেক কিছু দেখাতে চাইতেন কিন্তু আমার এইসব যন্ত্রপাতি জাতীয় জিনিশে একদম আগ্রহ নেই। কাজে সারাদিন কম্পিউটারের সামনেই তো বসে থাকতে হয় । এই ভাবে আমার জীবন ভালই চলছিলো, কিন্তু গত দুই বছর আগে আমার সবকিছু বদলে গেল।

আমার এক বন্ধু মেহবুবা জুবায়েরের সাথে ফোনে পরিচয় করিয়ে দেয়। অল্প দিনেই আমাদের গভীর বন্ধুত্ব হয়। ওর কাছেই সচলায়াতন এর কথা শুনি। আরও শুনি দারুন এক ব্লগার হিমুর কথা।প্রথম দিন সচলে গিয়েই প্রেমে পরে যাই। বিরাট এক পড়ার জগতের খোঁজ পেয়ে রাত দিন
পড়তে থাকি।আমার এখন প্রচুর সময়। মা অসুস্থ ছিলেন বলে দীর্ঘদিনের কাজ ছেড়ে দেই, মেয়েরা বাসা ছেড়ে একজন কলেজে, অন্যজন কাজ করে।সেও ওর বাসায় থাকে। মা ভাল হয়ে দেশে চলে গেছেন। আমার এই একাকী জীবনে সচলায়াতন আশীর্বাদের মতো। একে একে আমি হিমু, অনু,
অনিকেত, কৌস্তভ, চরমউদাস, তাসনীম, সত্যপীর, উচ্ছলা, রাতস্মরণীয়, অনার্যসংগীত, মুরশেদ, বুনোহাঁস, আশালাতা, নাজমুল আলবাব অপু, তিথিডোর, পুতুল, প্রৌঢ় ভাবনা, জোহরা ফেরদৌসি,সফিনাজ আরজু, তাপস শর্মা, আরও অনেককে একতরফা চিনে ফেলি।

এরপর আমার ইচ্ছে হল মন্তব্য করার। প্রথম মন্তব্য ছাপার পরে প্রতি মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগলো। এরপরের কাহিনী তো সবারই জানা। আমি শুধু পড়ি না, মন্তব্যও করি। গতবার দেশে গিয়ে দেখা হয়েছিল মেহবুবা জুবায়ের, নাজমুল আলবাব অপু, উজান গাঁ, আর রেজওয়ানের সাথে। উচ্ছলার সাথে ফোনে যোগাযোগ হল। প্রথম যেদিন কথা হল মনেই হল না ওর সাথে কখনই আগে কথা হয়নি। তারপর ডালাসে দেখাও হল মেহবুবা জুবায়ের, উচ্ছলা, তাসনীম, চরম উদাস, সত্যপীরের সাথে। এবার দেশে গিয়ে দেখা হল তারেক অনু, বুনোহাঁস, অরফিয়াস, রাতস্মরনীয়, প্রৌঢ় ভাবনা, আশালাতা, তানিম এহসান, আর তদানীন্তনপাঁঠার সঙ্গে। আমার নিজেরই সংকোচ হচ্ছিল আমার চে' বয়েসে অত ছোট ছেলে মেয়েদের সাথে দেখা হওয়াটা কেমন হবে। ওরা আমাকে বড় বোনের মতো কাছে টেনে নিলো। অনিকেত আমার বাড়ীর কাছেই থাকে। খুব শীগগির ওর সাথেও দেখা হবে।

আমার স্বামী প্রথম থেকেই খুব উৎসাহ দিয়েছেন। এখন আমি বাসা থেকে কাজ করি। ডিনার করে সন্ধের পরে দুজন দুই কম্পিউটারে বসে যাই।
পড়ি আর ভাবি আমাদের যৌবনে কেন এই জগত ছিলনা। এত এত স্মার্ট শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের এই যে বিশাল পরিবার তার সদস্য হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়।

আমার মেয়েরা অবাক হয় যখন শুনে তাদের মা ৬৫০ মাইল ড্রাইভ করে ডালাসে সচল আড্ডায় যায়, দেশে গিয়েও সচলদের সাথে দেখা করতে যায়। মা যে তার মনের মতো জায়গা খুঁজে পেয়েছে সেজন্যে তারা খুশী।

সচলায়াতন আর আমার সচল বন্ধুদের অনেক ধন্যবাদ আমার মধ্যবয়েসের জীবনকে এত আনন্দময় করে দেয়ার জন্যে।

আজকে আবার লিখেও ফেললাম। খুবই সাধারন একটি লেখা। লেখাটি ছাপা হবে কিনা জানিনা। না হলে খারাপ লাগবে না। কারন আমিতো পড়তেই ভালবাসি।

- নীলকমলিনী


মন্তব্য

সত্যপীর এর ছবি

মেয়েদের চার বছর বয়েসেই বই পড়তে শিখিয়ে দিয়েছি, যাতে আমার পড়ায় বিরক্ত না করে।

হো হো হো

লেইখ্যা ফাটায়ালান।

..................................................................
#Banshibir.

নীলকমলিনী এর ছবি

আমারে কাইটাইল্লেও লেইক্ষা ফাডায়াতাররল্লাম্না । @ সত্যপীর

তিথীডোর এর ছবি

মনটন ভাল না, আপনার লেখাটা পড়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফের লগালাম। হাসি

আমি ব্লগিং এবং বাংলা ব্লগিং দুটোর সঙ্গেই পরিচিত হই সচলায়তনের মাধ্যমে। ২০০৯ এর শেষের দিক থেকে সেই যে সর্বনাশের শুরু, এরপর কত চন্দ্রভূক অমাবশ্যা কেটে গেল... আকাঙ্খাই বাড়ল কেবল, আসক্তি আর ঘুচল না। মন খারাপ
মানুষ হিসেবে ঠিক সামাজিক এবং স্বাভাবিক নই বোধহয়, আড্ডা/ জমায়েতগুলো তাই নানা ছুতোয় এড়াতাম। অবশ্য গত ক'মাসে, বিশেষ করে একুশে বইমেলায় সরাসরি মোলাকাত হয়েছিল অনেক সচলের সঙ্গেই। হাসি

স্বাগতম। হাততালি
লিখুন মন খুলে। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

প্রথম লেখাতেই ফাঁকি দিলেন? স্মোকি মাউন্টেন কই?

লেইখ্যা ফাডায়লান পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সৌরভ কবীর এর ছবি

চলুক চলুক

__________________
জানি নিসর্গ এক নিপুণ জেলে
কখনো গোধূলির হাওয়া, নিস্তরঙ্গ জ্যোৎস্নার ফাঁদ পেতে রাখে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বছরের পর বছর ধরে পুরোটা সময়ই সচলায়তন এবং সচল বন্ধুদের সংস্পর্শে কাটে...
আপনারও কাটুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্যাম এর ছবি

সত্যকথা - আমিও সাক্ষী দেঁতো হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

৬৫০ মাইল ড্রাইভ করে, হাত ভর্তি গিফট্ নিয়ে, দিক্বিদিক আলোয় ভাসিয়ে দিয়ে তুমি কবে আবার ডালাসে আসবে, লক্ষ্মীটি ? হাসি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

লেখাটা পড়তে দারুণ লাগলো। দিদিভাই, লিখে যান মনে যত কথা আছে। চলুক
আর সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।

হিমু এর ছবি

নীলু আন্টি আপনি হাত খুলে লিখতে থাকেন, খালি ভালো ভালো খাবারদাবারের ছবি দিয়ে কাইন্ডলি কোনো পোস্ট দিয়েন না। পিলিজ। এইসব দেখলে সমিস্যা হয়।

স্যাম এর ছবি

মানে কি? জাউয়ারক্রাউট নিয়ে দিতে পারবে কিন্তু কাচ্চি বা খিচুড়ি নিয়ে পারবেনা - তাই তো? শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

সত্যপীর এর ছবি

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

ওরে নারে কি দেখালি রে।

- ডিম পোঁচ

হিমু এর ছবি

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

রিসালাত বারী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

হো হো হো

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মরুদ্যান এর ছবি

হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সাফি এর ছবি

সাফি এর ছবি

চামে চিকনে নিজের বয়সটা কমায় নিল!

ইশতিয়াক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাবেকা  এর ছবি

হাততালি

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আরে আমার নামও আছে দেখছি ... খাইছে দেঁতো হাসি

লেখাটা দেখেই কেন জানি মনে হচ্ছিল আপনার হবে।
আরও অনেক লেখা চাই।
শুভকামনা রইল। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

মন মাঝি এর ছবি

চলুক চমৎকার। আরও লিখুন!

****************************************

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

আপনার মতো আমারও পড়তে ভাল লাগে হাসি । তাই শুধু পড়ি আর মাঝে মাঝে মন্তব্য করি।
আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে। আশা করি মাঝে মাঝেই আপনার লেখায় মন্তব্য করার সুযোগ পাব হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

ঠিক, ঠিক, স্মোকি মাউন্টেনের কথা দিয়ে শুরু হল তারপর সেটার গপ্প কোথায় হারিয়ে গেল?

যাকগে, গপ্প এবং মুখরোচকের ডালি নিয়ে প্রস্তুত থাকুন, সত্বর আসিতেছি... দেঁতো হাসি

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

মার যে ছবিটি সবসময় চোখে ভাসে, তাহলো দুপুরে খেয়ে মা শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ছেন। এখনও উনি প্রচুর পড়েন।

আপনার মাকে আমার সালাম জানাবেন, নীলকমলিনী । এমন মায়ের ঘরে বারবার জন্ম নিতে সাধ হয় । প্রকৃতি, মানুষ আর বইয়ের প্রতি আমার মায়েরও ছিল অসম্ভব ভালবাসা ।

আপনার এই লেখাটা প্রকাশিত হওয়াতে আমার খুব ভাল লাগলো । কত সহজে নিজের অনুভূতির কথা বললেন । সেই সঙ্গে সচলায়তনের প্রতি ভালবাসার কথা । যদিও আমি সচলায়তনকে একদম ভালবাসি না । এ এক বিচ্ছিরি নেশা...এত এত কাজের মধ্যেও ইচ্ছে করে একটু উঁকি দেই...কে কী লিখলো, পড়ে দেখি...কত রাতে ঘুমানোর সময়ে “একটু শুধু চোখ বুলাবো, পড়বো না” প্রতিজ্ঞা করে এসে ঘন্টার পর ঘন্টার কাটিয়ে দেই...কাজেই সচলায়তনকে আমি একদমই ভালবাসি না

ও, আরেকটা কথা । হিমুর সঙ্গে আমিও একমত । আপনি আর মেহবুবা আপা কত পদের মিষ্টি বানাতে পারেন, তা দিয়ে আমাদের কী ? কেন ঐসব দিলে দাগা দেয়া ছবিগুলো দেখান আমাদেরকে ?

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

শিশিরকণা এর ছবি

মিষ্টি বানানোর রেসিপি দেন।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

আচার্য এর ছবি

কেমন সহজ সুন্দর সাবলীলভাবে নিজের মনের কথাগুলো লিখে ফেললেন! খুব ভালো লাগলো লেখাটা। হাসি

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

সুলতান এর ছবি

একদিন আমিও লিখবো, হুমম!

রংতুলি এর ছবি

সচলে আমার প্রবেশ কাহিনী একটু উল্টো - জানা নাই, শোনা নাই টুপ করে একদিন পোস্ট দিয়ে ফেলি। প্রথমবারের মত কোনো বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এবং ব্লগিং এর সাথে পরিচয় হয় এখানেই। প্রথম প্রথম একদম অচেনা কোনো পরিবেশে মানিয়ে নিতে আমার একটু সময় লাগে, কারণ আমি এরকমই। প্রায় এক বছর হয়ে এলো, এখন দিনে অন্তত কয়েকবার সচলে না ঢুকলে ভাত হজম হয়না। পড়ছি, মন্তব্য করছি, কখনো কি মন্তব্য করবো ভাবতে ভাবতেই প্রিয় কোনো পোস্ট চোখের আড়াল হয়ে যাচ্ছে। এখানে রোজ যে পোস্টগুলো আসে, চেনা-অচেনা প্রতিটা নিকই কেন জানি আপন লাগে। একমাত্র বই ছাড়া অন্য কোনো কিছুই আমাকে এভাবে বেঁধে রাখতে পারেনি। টিভি, সিনেমা, নাটক, ফেবু বা ভার্চুয়াল জগৎ... কোনোটাই না! জোহরা আপুর সাথে আমিও একমত, এখন আমার অনেক অনেক জরুরী কাজ জমা হয়ে থাকে এই সচলের জন্য, একটু ঢুঁ দেবো বলে ঢুকি আর ঘণ্টার পর ঘন্টা কিভাবে যে পার করে ফেলি, বুঝিনা! মন খারাপ

লেখা ভালো লাগলো, খুউব! চলতে থাকুক... পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

নীলকমলিনী এর ছবি

সবার সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভেবেছিলাম ছবি ছাড়া মজার মজার সহজ কিছু খাবারের রেসিপি দিবো সচলের যারা একা একা হাত পুড়িয়ে রান্না করে খাচ্ছে তাদের জন্যে। কিন্তু হিমু তো আগেই না করে দিলো।

শিশিরকণা এর ছবি

ছবি দিলে কোথায় গিয়ে খেয়ে আসতে হবে সেই বাড়ির ঠিকানা বলে দিলেই আর কেউ মাইন্ড করবে না।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কৌস্তুভ এর ছবি

এহ, আইছেন! নীলকমলিনী শুধু ঠিকানা দিলেই হবে? টিকিট কি আপনি দিবেন?

সচল জাহিদ এর ছবি

ভালো লাগল আপনার অনুভূতিগুলো।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অমি_বন্যা এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে দিদি। চালিয়ে যান।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমাকে স্মার্ট এবং শিক্ষিত বলার জন্য ধন্যবাদ। পোস্টের স্ক্রিনশট রাখলাম। কাজে লাগবে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

স্বাগতম। লিখতে থাকুন হাতখুলে।

সচলায়তন আমার জন্যও এক জানালা খুলে দিয়েছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

স্মোকি পর্বতের কথা বলে আমার মত স্মার্ট আর শিক্ষিত পোলাপানের গল্প বললেন? অনার্য সঙ্গীতের মত আমিও স্ক্রীনশট রাখতেছি। লেখালেখি চলুক হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মেঘা এর ছবি

বাহ্‌ চমৎকারভাবে নিজের কথাগুলো লিখে ফেলতে পেরেছেন তাতেই তো একটা সুন্দর লেখা হয়ে গেলো! লিখতে আর বেশি কিছু লাগে নাকি?

লিখতে থাকেন হাত খুলে। আর বেশি বেশি রান্নার রেসিপি দেবেন আপু। আমার রান্না শেখা জরুরী হয়ে গেছে এখন। সচলের লেখার জগতে এইবার স্বাগতম। নিয়মিত লিখে যান।

শুভ কামনা।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

অনিকেত এর ছবি

নীলু'দিইইইইইইইইই-----
প্রথম লেখাতেই জমিয়ে দিলেন---
লেখা আসতে থাকুক অবিরল, অনর্গল--

অফুরান শুভ কামনা!

অতিথি লেখক এর ছবি

নীলকমলিনী দিদিভাই আমি এই দিন সাতেক হল এই ব্লগ-বাড়িতে এসেছি। আমার বয়স বেশী না, এই বছর কয়েক আগে হাফ-সেঞ্চুরী পার করেছি। কিন্তু এই প্রথম কোন ব্লগ-এ আসা। একটু একটু গা-ছম-ছম করছে। আপনার লেখা পড়ে এট্টু এট্টু সাহস আসছে - সব্বাই তাইলে ছায়া-ছায়া, ভার্চুয়াল না! ঘরের পাশের স্মোকিতেও যায় কেউ কেউ!
বেশ ভাল লাগল আপনার লেখা। পরের লেখায় আপনার স্মোকি-ঘোরার গল্পের জন্য হা-পিত্যেশ করে র-ই-লুম।
আর এই ছেলে-পিলেদের নিয়ে যা বলেছেন - এক্কেবারে বাঁধিয়ে রাখার মত ঠিক-ঠিক। রত্ন একেকটি! কাকে ছেড়ে কাকে পড়ি!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।