আমাদের খাওয়ার টেবিলের চারটা পায়ের কোনটা যেন অসমান, খেতে বসলে কর্তা গিন্নির বাটি ঠেলাঠেলিতে বড় আপদ হয়। ধনেপাতার চাটনি ছলকে থাই সুপের মধ্যে পড়ে, ফ্রাই করা দুর্ভাগা আস্ত চিকেন দম্ভ নিয়ে সিংহাসনে বসতেই পারে না। খালেদা-হাসিনার স্নায়ুচাপের মত ঝলসানো পোড়া মুরগি তার পোড়া আলুর গদি নিয়ে খুব ভয়ে থাকে- এই বুঝি মাটিতে happy landing হলো!
কর্তা-গিন্নি এ দুইয়ের টোনাটুনির সংসার, কোনো সুদিনে তৃতীয় অতিথি এলে হাত-পা, বাটি-পদ-চামচের সংখ্যা সামাল দিয়ে খেতে বসলে ভারসাম্য রাখতে হয়, কোনটা রেখে কোনটা নেব আর দেব।
বাটি ঠুকাঠুকির মাঝে খাওয়ার পর্বে আসে অনেক আলোচনা- শুটকিতে কেন গন্ধ হয়, পুদিনার চারা কেন বাড়ছে না, কেন নতুন পোপ সোনালী ফ্রেমের চশমা পরে না, কার মাথার চুল কেন পড়ছে - ইত্যাদি, ইত্যাদি ও ইত্যাদি। বাটি ঠুকাঠুকির মাঝে আদান প্রদান করতে থাকা এত জ্ঞানের একটা বড় শতাংশ কেবলি অমূলক জ্ঞান বিনিময় ঘটে। মাঝে মাঝে এই জ্ঞানবিতরণী আহার পর্বের শেষ গ্রাসের সাথে শেষ হয়ে যায় এবং আমরা, জ্ঞানপিপাসু যুগল আহারপর্ব শেষ করে আরো বৃহৎ স্বার্থে জ্ঞান লাভের আশায় আমরা যার যার laptop এর সামনে নিজেদের সমর্পণ করি। কিন্তু, গুরুগম্ভীর আলোচনা হলে মাঝেসাঝে আহারপর্ব, স্নানপর্ব, নিদ্রাপর্ব শেষ হয়ে পরবর্তী এক-দুই দিনের সকল পর্ব জুড়ে আলোচনা চলে।
এবার থালাবাটির গল্পে আসি। বিচিত্র গাঢ় বেগুনি বর্ণের খাঁটি চীনদেশীয় থালাবাটি গুলো পৃথিবীর খ্যাতনামা এক কোম্পানির সিল নিয়ে আমার জন্য সানন্দে অপেক্ষা করছিল আমি আমার সংসারে আসার আগেই। বাগে পাওয়ামাত্র আমি অত্যন্ত অনাদর, অবহেলায় তাদের স্বাগতম বার্তা গ্রহণ করেছি (কারণটা পরে বলছি)। প্রচন্ড তাপমাত্রায় দহন , শৈত্যবাস, ঘূর্ণন, নাচন, পতন এবং সম্ভাব্য সকল প্রকার পীড়ন দ্বারা বাটি ও থালা আমার সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছে। আমার অত্যাচারের মাত্রা সহ্য করে টিকে থাকার পর তাদের এই সহনশীলতা দেখে চীন জাতির উপরে আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন।
কর্তা স্বভাবে বিপরীত, এই থালাবাটি যেন তার জীবনে আমি আসার আগে তার সকল সুখের-দুখের প্রথম ও অন্যতম সাথী। কোণাভাঙ্গা দুটি দলছুট ভাইকে ঘরের টবের নিচে রেখেছি দেখে তার অশ্রুসিক্ত টিসুপেপারটি ময়লার ঝুড়ি থেকে রেখে দেয়ার ইচ্ছা ছিল- যেন ছানাপোনাদের দেখাতে পারি। তার হাতের কোমল পেলব স্পর্শে থালাবাটিদেরদের স্নানক্রিয়া সম্পাদন দেখার সময় মনে হয়, কোনো বিজ্ঞাপন নির্মাতাকে এই 'হৃদয়ের গভীর থেকে আসা অপার্থিব যতনে থালাবাটি ধৌতকরণ প্রক্রিয়া' দেখালে এক ধাক্কায় ৭/৮ টা মচমচে বিজ্ঞাপন বানানোর মসলা পেয়ে যাবে।
শুধু থালাবাটি নয়, তার কেনা চামচ, কড়াই, হাঁড়ি- সবকিছুর প্রতি তার সীমাহীন ভালবাসা। সংসারের ভার বুঝে নেয়ার সময় তার অন্যতম অনুরোধ ছিল- 'কথা দাও, সারাজীবন এই থালাবাটি বাহিনীকে সযতনে আগলে রাখবে??!!' সাথে সাথে মাথার উপরে পাশাপাশি একটা প্রশ্নবোধক ও একটা আশ্চর্যবোধক (?!) ঝুলে গেল গেল, তবু কর্তার মন জয় করতে বললাম- 'কথা দিলাম, ওগো , কথা দিলাম!'.
তখন বুঝতে পারিনি এই কথার গভীরতা এই মাত্রায় ছিল যেন কাঁচকি মাছ টিসু পেপারে করে রান্না করি, যাতে মাছের কাঁটার দাগ না পড়ে। কয়েকদিনের এই সংসার বাসে আরো কিছু সদস্য যোগ করে বাহিনী একটু বড় করেছি। একটা ব্যাপার খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি- শুধুমাত্র পুরাতন সেই থালাবাটির প্রতি তার ভালোবাসা সীমাহীন ও অকৃত্তিম। নতুন সদস্যের দিকে তার অজানা নির্লিপ্ততা, আর পুরাতনদের জন্য তার প্রেম দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। ধুয়ে রাখার সময় নতুনগুলো কোনমতে ধুয়ে রেখে দেয়, আর চীনদেশীয় বেগুনি থালাবাটি একটু বেশিক্ষণ ধরে ঘষামাজা হয় তারপর তাদের স্বস্থানে সগৌরবে ফিরে যায়, নতুনগুলো পড়ে থাকে যত্রতত্র। এই দেশে কমদামে ভালো জিনিস পাওয়া খুব দুষ্কর- কপাল ভালো থাকলে দু'একবার পেলেও কেন জানি কর্তার তাদের বাড়িতে ঠাঁই দেয়ার ইচ্ছা হয় না। মেয়েদের মন সন্দেহপ্রবণ হয়- মাঝে মাঝে মনে হয় ওই থালাবাটিগুলো তার কোনো 'বিশেষ' অতীত-স্মৃতিবিজরিত নয়তো??!!
যাহোক, প্রসঙ্গে আসি। রন্ধনক্রিয়ায় কোনকালে আমি পটু ছিলাম- এই দাবি করব না। তবে নতুন খেলনা পেলে কার না খেলতে ভালো লাগে? খেলা খেলা রান্নায় তাই পায়েসে লবন পড়ে , ঢেরসে দুধ পুড়ে - আর কর্তা হয় বলির পাঁঠা। সেদিন শুকনো মুখে খাওয়া হত ও হয় টেবিলে জ্ঞানের ঝড় না বয়েই। ঝড়ের বাতাস যায় টিভির উপর দিয়ে, কর্তা খেতে খেতে তার বিচক্ষণ বিচার দিয়ে মাপার চেষ্টা করে টিভির পাত্রপাত্রীদের কাজকর্মের প্রয়োজনীয়তা-অপ্রয়োজনীয়তা। রান্না যত বেশি পোড়া হয়, তাদের কাজকর্ম তত বেশি অপ্রয়োজনীয় অনুভূত হয় (highly significantly proportional to অপ্রয়োজনীয় to the power constant K , K is unknown ).
সময় বয়ে যায়, দুধ আর লবনের আন্দাজে একটু দখল হয়। ঢেরশ, পায়েসের পাশে আজকাল আরো ২/৩ পদ হচ্ছে, ঠিক যেমন আশরাফুল গণজাগরণে জাগ্রত হয়ে শ্রীলংকার মাটিতে বাংলাদেশকে অবশেষে ভালো একটা দিন দেয়। তাই আজকাল বিচক্ষণ কর্তার নতুন জ্ঞান আলোচনার বিষয় শুরু হয়েছে- এত পদের রান্না কেন হয়? রান্নার প্রয়োজনীয়তা কি ও কেন? খাদ্যাভাস কত প্রকার ও কি কি? খাদ্যাভাসের পেছনে মানুষের কি কি চিন্তা দায়ী ইত্যাদি, ইত্যাদি ও ইত্যাদি। পারস্য থেকে মুঘল, জিনতত্ত্ব থেকে কোরআন-হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা- কিছুই এই আলোচনার উর্ধে নয়; থাই, চাইনিজ, ইতালিয়ান - কেউ পরিত্রাণ পাওয়ার নয়।
অভিমান হয় - আমি তো লবন মরিচ মেখে দু'গাল ভাত খেয়ে অমৃতসুখ পাই। সাধের গাঢ় বেগুনি খাঁটি চায়নিজ বাটিতে টমেটো কাস্যরলে ধনেপাতা দিয়ে সাজাই শুধু কি আমার দেখতে ভালো লাগে তাই? ঢেরসে দুধ পড়ে বা পোড়ে একবার দুবার - দুতিন বছর শুধু বিজ্ঞাপন করে এরপর থেকে তো আমিও আশরাফুলের মত ডাবল, ট্রিপল করতে পারি, নাকি? জেদ চেপে যায়। রান্না করতে আমার ভালো লাগে, কারণ কর্তাকে পাতে দিয়ে খেতেই আমার সুখ। বিচক্ষণতা দিয়ে কি এই সামান্য মেয়েলি মন বুঝার বুদ্ধি হয় না?
কর্তা কোনমতে দমার পত্র নন, সীমাহীন ক্লান্তি নিয়ে দিনের পর দিন বুঝতে থাকে এত পদ রান্নার অপ্রয়োজনীয়তা। আহারপর্ব, স্নান্পর্ব, নিদ্রাপর্ব পার হয়ে জ্ঞান-আহরণপর্বেও এই ভাবনা কর্তাকে বিচলিত করতে থাকে। তার জ্ঞানভান্ডারের সম্ভাব্য সকল যুক্তি দিয়ে বোঝানো শেষ হয়, শরণাপন্ন হতে হয় সার্বজনীন জ্ঞানের referenceদের কাছে। খাদ্যাভাস, স্থূলতা , কোরআন -হাদিসের আলোকে খাবার কেমন হওয়া উচিত- Google search এ এসব নিয়ে এই ধরনের page আসতে থাকে। আমারও সব লিংক পড়া, জানা হয়ে যায়। আমি পুর্বাপেক্ষাকৃত একটু বেশি জ্ঞানী হই ও সবশেষে আরেকটু উদ্যম প্রয়োগ করে আরো পদ বেশি রান্না করতে শুরু করি।
কর্তা নতুন পথ ধরে- "আমার ভুড়ি বেড়ে যাচ্ছে, কেমন হবে এখন? আমি এখন থেকে কম কম খাব". আমি treadmill, dumbbell, pushupband, yogamat বাসার কোথায় কোনটা আছে তালিকা বসার ঘরে টাঙ্গাই এবং যথারীতি অন্য তরকারির সাথে 'ঝাল করে লাল করে' গরুর গোস্ত ভুনা রান্না করি। (কর্তার অনেক প্রিয় খাবার).
কর্তা গোস্ত ভুনা দিয়ে ভাত খেয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটে ভারী পেট নিয়ে। কিছুদিন পর বলে- "গোস্ত বেশি খেলে রাতে ঘুমাতে কষ্ট হয়, কম কম খাব". আমি যথারীতি youtube দেখে 'organic চর্বি সহ তেল ছাড়া ঝাল করে লাল করে' গরুর গোস্ত ভুনা রান্না করি, সাথে অন্য তরকারী। (চর্বির জন্যই গোস্ত কর্তার অনেক প্রিয় খাবার).
কর্তা জিন্স খুলে ঢিলা প্যান্ট পড়ে খেতে বসে, পাতে চর্বি সহ তেল ছাড়া ঝাল করে লাল করে' গরুর গোস্ত নিতে নিতে বলে- "কি দরকার ছিল এত পদ রান্না করার? একপদে খাওয়া কত ভালমত হতে পারে, জানো ? পৃথিবীর কত বড় অংশের একদল মানুষ না খেয়ে থাকে, জানো ?" খাওয়া শেষ করে একটা link gmail এর বদন্যতায় উপহার পাই, তার দ্বারা পৃথিবীর অভুক্ত মানুষের পরিসংখ্যান ও ভুক্ত মানুষের করণীয়, পালনীয়, অনুসরণীয় সহ নির্দেশিকা থাকে।
আমি দমার পাত্রী নই। আমার খুশি লাগে রান্না করতে অত:পর খাওয়াতে, এতে এত বলার কি হলো?
উপায়হীন হয়ে কর্তা বলে- "এত রান্না কর যে আমাদের টেবিলে ধরে না। কতগুলো বাটিতে করে তরকারী রাঁধ খেয়াল আছে? বাটিতে গোস্তের হাড্ডির দাগ পড়ে গেল তো ". হঠাৎ আমার সামনে সব স্পষ্ট হয়ে যায়। আমার মন হিসাব কষে বের করে ফেলে- এত সব থালাবাটি ব্যবহার করি সেই কষ্টে কর্তার মন কাঁদে!
থালাবাটির কষ্ট এখানে বড় হল? আমি এত কষ্ট করি সেটা কিছু নয়?
বড্ড অভিমান হয়, রাগ ও। রান্নার জন্য ফ্যাশনাবল হাতের নখ কেটে ছোট রাখছি, আর বাটিতে হাড্ডির দাগ নিয়ে এত চিন্তা?
এই চায়নিজ বাটি আমি নির্বংশ করে ছাড়বো ! এখানে আসবে ইতালিয়ান, সিঙ্গাপুরিয়ান কিংবা মঙ্গোলিয়ান, আর চলবেনা চায়নিজ!
এরপর থেকে বেগুনি বাটি ভরে আমি বেশি বেশি organic চর্বি সহ তেল ছাড়া ঝাল করে লাল করে' গরুর গোস্ত ভুনা রান্না করি, কর্তা বেশি বেশি রান্নার অপকারিতা বুঝতে বুঝতে হাঁসফাঁস করে, ঝালের জন্য খেতে বসে পানি খায় আর পাতে গোস্ত তুলে নেই। আমি নড়বড়ে টেবিল ঠেলে ঠেলে বাটি ঠুকাঠুকি করি, যেন একে একে সবগুলোর happy landing হয়ে যায়।
কর্তা খেতে বসে হাঁসফাঁস করে, খায় হাঁসফাঁস করে, এবং ঘুমায় হাঁসফাঁস করতে করতে। হাঁসফাঁসের ফাঁকে ফাঁকে আমাদের জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় আমি কর্তাকে google সার্চ এ লিংক পাঠাই what to eat to have a smooth toilet এবং হাঁসের রোস্ট with garlic cloves inside এর রেসিপি খুঁজতে youtube এর সদ্ব্যবহার করতে থাকি।
গৃহে গৃহযুদ্ধ বাঁধে, কারণ বউ অনেক রাঁধে।
কর্তার বাড়ে ভুড়ি , আমি বাজাই তুড়ি-
কর্তার উপর এ আমার মধুর প্রতিশোধ, থালাবাটি আগে না বৌয়ের রান্না আগে!
পরিশেষে কাহিনীর সমাপ্তি ঘটে, ডাবল ট্রিপল করেও গাডডু খায় বাংলাদেশ, গণজাগরণে পরে ভাটা। সাদা পতাকা তুলে কর্তা শান্তি বৈঠক ডাকে। উভয় পক্ষের mutual agreement draft নামা নিয়ে কর্তা বলে " এত রান্না করা বন্ধ কর!"
আমি গরম চোখে বলি- " গাঢ় বেগুনি থালাবাটি তোমার কোন girlfriend এর উপহার দেয়া, সেটা আগে বল!"
কর্তার চোখ কপালে উঠে- " তুমি ছাড়া আমি কভু কোনো মেয়েকে এমন নজরে দেখিইনি, সবাইকে আমার বোনের নজরে দেখলুম!"
-"তবে আমি তোমার বউ হলুম কি করে?"
-"তোমাকে দেখতে ঘাড় উঁচু করতে হয় তাই, তুমি কত লম্বা! এই দেখো- এখনো আমার হাত ঘেমে যায় তোমার হাত ধরতে গেলে ! "
-" মিছে কথা! তবে বেগুনি থালাবাটি নিয়ে তোমার এত প্রেম কেন? রান্না করে খাওয়ায় বলে খুশি হও না কেন? রান্না করতে মানা কর কেন?"
মূল্যবান মস্তিষ্কধারী মাথাটির কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে কর্তা বলে- ' কপাল আমার! এই না হলে মেয়ে মানুষের বুদ্ধি! এত এত থালাবাটি ভরে ভরে রান্না কর- এইগুলো তো আমাকেই ধুয়ে রাখতে হয়, নাকি?
হাঁড়ি, বাটি , থালা- ঝোল তেল মসলা !
হলুদ, চর্বি, গ্রিজ- রসুন, সস, চিজ!
তোমার কথা ভেবেই আমি তাদের যতন করি, মিথ্যা ভেবে দুঃখ দিলে? কোথায় তারে ধরি!"
আমি laptop খুলে মন দিয়ে the big bang theory দেখা শুরু করি।
পুনশ্চ: আজকাল আমি easy low fat sandwitch recipe খুঁজছি, কোনো ভালো রেসিপি জানা থাকলে দিয়ে সাহায্য করবেন প্লিজ!
মন্তব্য
প্যারা করে লিখুন প্লিজ।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ক্ষমাপ্রার্থী। লেখাটা প্রকাশ হবে ভাবিনি, একদম প্রথম লেখা তাই বুঝে উঠতে পারিনি। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
প্রিয় লেখক/ লেখিকা,
আপনার লেখাটা সুন্দর, কাল রাতে ঘুম দেবার আগে আগে খিক খিক করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমরা আশা করব আপনাকে নিয়মিত পাব এখানে, তখন কয়েকতা ব্যাপার মনে রাখলে খুশি হব খুব-
১। লেখায় আপনার নাম বা 'নিক' অবশ্যই ব্যভায় করুন। নামহীন লেখাগুলোকে ভয়ংকর এতিম এতিম লাগে!
২। ইংরেজী শব্দের ব্যবহার কমাতে পারলে ভাল, একেবারেই এড়িয়ে যেতে না পারলে নিদেনপক্ষে ইংরেজীতে না লিখে বাংলা হরফে লিখুন
৩। লেখায় 'প্যারা' ব্যভার করুন, নয়ত চোখে ভয়ানক চাপ পড়ে; মুঠোফোনে পড়ছেন যাঁরা ওদের ক্ষেত্রে এ কথা আরো অনেক বেশি সত্য, কাজেই পাঠকের সুখটা খেয়াল রাখার চেষ্টা করুন
৪। নিয়মিত থাকুন, লিখুন।
সচলায়তনে স্বাগতম! (মানে যদি এটাই প্রথম লেখা হয়ে থাকে! )
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
প্রথম প্রকাশ ১০০% ভ্রান্তিমুক্ত হবার নয়, আর ভুলগুলো করে তবেই শিখলাম। কিছুটা হলেও আনন্দ দিতে পেরেছি জেনে খুব ভালো লাগলো আশা করি এরপরের লেখাগুলোর জন্য এই ভুলগুলো থেকে শিখব।
আশা করছি এরপর থেকে অনেক টেকনিক্যাল ত্রুটিমুক্ত লেখা উপহার দিতে পারব। সবাইকে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
যাকে বলে অতি উপাদেয় হয়েছে!
অনেক ধন্যবাদ। আরো ভালো লিখতে উৎসাহিত হলাম
লেখার শেষে নিজের নাম/নিক দিন, তাহলে কার লেখা পড়লাম সেটা বুঝতে পারবো।
লেখাতে প্যারা ভাগ করুন, তাতে পড়তে পাঠকের আরাম হয়।
আপনার লেখা কিছু ইংরেজী শব্দ বাংলায়ই প্রতিবর্ণিকরণ করতে পারতেন। যেমন, ইউটিউব, ল্যাপটপ, গুগল, জিমেইল লিঙ্ক ইত্যাদি। তাহলে ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু হতো না।
আপনি ভালো গল্প বলতে পারেন (মানে লিখতে পারেন)। আপনার রসবোধও চমৎকার। ধৈর্য বা আশা বা উৎসাহ না হারিয়ে লেখালেখি চালিয়ে যান। এটা বেঁচে থাকার একটা ভালো উপায়।
অটঃ যারা রান্না করতে জানেন না বা চান না, তারা দুটো নিখাদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত। এক, রান্না করার আনন্দ (এটা একমাত্র শিল্প যেখানে চক্ষু-কর্ণ-নাসিকা-জিহ্বা-ত্বক পঞ্চইন্দ্রিয়ের ব্যবহার আছে)। দুই, নিজের ভালো রান্না অন্যকে খাওয়ানোর আনন্দ (একজন মানুষ পরিতৃপ্তির সাথে খাচ্ছে - এটা পৃথিবীর সুন্দর দৃশ্যগুলোর একটা)।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রাত্যহিক জীবনের অনেক টুকরো টুকরো ঘটনা মানুষকে বেঁচে থাকার প্রেরণা দেয়। রান্না নিয়ে নাড়াচাড়া করছি মাত্র- মনে হচ্ছে এটা অপরকে আনন্দ দেয়ার খুব চমৎকার মাধ্যম। লেখাতে ভুলগুলো বুঝতে পেরেছি অনেক পরে, ঠিক করার উপায় নেই। ভুল সহ লেখাটা পছন্দ করার জন্য ধন্যবাদ ও ক্ষমাপ্রার্থী
পাণ্ডব'দা লেখা পছন্দ করেছেন আর সেই অতিথি ভালো লেখক হয়ে ওঠেনি এরকম কখনো হয়না। আপনি ভালো লেখেন। পরিবেশনের খানিকটা দূর্বলতা কাটিয়ে উঠুন। সচলায়তনে স্বাগতম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ, আশা করি এরপরের লেখাগুলোতে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব। ভালো লেখা উপহার দিতে পারার মত আনন্দ দ্বিতীয়টি নেই, চেষ্টা করে দেখি ভালো লেখতে শিখি কিনা!
মজারু হয়েছে!
তবে এত সুন্দর গল্পের শিরোনামটা আরেকটু যত্নের সাথে দিতে পারতেন। 'মেয়েলি ভাবনা' কথাটা কেমন বেখাপ্পা শোনাচ্ছে।
আরো আরো লিখুন!
মেয়েলি শব্দটা ছাড়া 'মেয়েমানুষী' শব্দটা মাথাই এসেছিল, কিন্তু মথায় কেন জানি এটাই পাকা হয়ে বসলো। আপনার ভোট কোনটায়? জানাবেন
লেখাটা পছন্দ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
সহজ এবং সুন্দর।
সুবোধ অবোধ
অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আরো সুন্দর লেখা উপহার দিতে পারব
প্রথ্ম লেখা হিসাবে খারাপ হলো না। সামনে ভাল লিখবেন আশা করি।
সচলায়তনে স্বাগতম ! লেখা মজারু হয়েছে। আরও লিখুন প্লিজ।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অনেক ধন্যবাদ, আশা করছি পাঠকদের জন্য আরো সুন্দর পরিবাসনায় লেখা উপহার দিতে পারব।
ভালো ছিল, বেশ ভালো
বাহ! ঝরঝরে লেখা----
-- তাহসিনুল
নতুন মন্তব্য করুন