আমার পত্রিকা পড়া শুরু হয় খেলার পাতা দিয়ে। এখন পর্যন্ত কোন পত্রিকা হাতে পেলেই খেলার পাতা উল্টাই। ক্রীড়ালেখকরা তাই অবশ্যই প্রিয় লেখকদের কাতারে থাকেন।
বাংলাদেশের স্বনামধন্য ক্রীড়ালেখক উৎপল শুভ্র। প্রথম আলোতে লেখেন। তার লেখা অতি সুন্দর।পড়তে ভালো লাগে। তবে মানুষ খ্যাতি পেলে তার মধ্যে একটু ইয়ে চলে আসে। আমার ধারনা প্রিয় উৎপল শুভ্র সাহেবের তা হচ্ছে। তার পেটে কৃমি রা মিছিল দিচ্ছে বের হতে চাই বের হতে চাই বলে।
আমার এই ধারনার কারন তিনি আজকের প্রথম আলোতে মুশফিকুর রহিম কে নিয়ে লিখেছেন। তিনি মুশফিকুর রহিম কে বুঝিয়ে দিয়েছেন তার কাজ কি কি। পেটে কৃমিরা মিছিল না দিলে এমন লেখা অসম্ভব।
তিনি লিখেছেন অনুশীলন ও খেলার বাইরে অধিনায়কের কিছু কাজ থাকে তা মুশফিকুর রহিম ভুলে যান।
এ ব্যাপারে তিনি দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেনঃ
১।৩য় ম্যাচের আগে মুশফিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন নি।
২।হাম্বানটোটার র্যান্ড উদাওলাওয়ে সাফারি রিসোর্টে স্বাগত জানাতে শ্রীলঙ্কান হোটেলের লোকজন প্রদীপ জ্বালিয়ে হোটেলে ঢুকতে বলেছিল।মুশফিক প্রদীপ প্রজ্বলন করেন নি।তিনি পরে জানিয়েছিলেন “বাস জার্নি করে আমার শরীর ভালো লাগছিল না”।
প্রথম কারন টির পিছনে সামান্য যুক্তি আছে ধরে নিলেও দ্বিতীয়টি একেবারেই অযৌক্তিক। মুশফিক ও মানুষ। তার যদি বাস জার্নি করে খারাপ লাগে, অসুস্থ ফিল করে তবে কি সে তা মাথায় নিয়ে হোটেলের প্রদীপ জ্বালানো অনুষ্ঠানে যাবে?!
২য় কারনটি এসেছে প্রথমটির কারনে। মনে হয় সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক না আসায় লেগেছে খুব বিখ্যাত ক্রীড়ালেখক উৎপল শুভ্রের। তিনি তো আবার নামকরা লোক। তিনি যেখানে উপস্থিত সেখানে পিচ্চি ক্যাপ্টেন আসে না কোন সাহসে! এই তো জ্বালা শুভ্র সাহেব?
উৎপল শুভ্র একেবারে ফালা ফালা করে হাজার হাজার পাঠকের সামনে মুশফিক কে বুঝিয়ে দিলেন তার দায় দায়িত্ব। তবে তিনি নিজে কি ভুলে গেলেন তার দায়িত্ব বা দায়িত্বের এখতিয়ার?
অধিনায়কের আচরন দেখার জন্য বোর্ড আছে। তিনি ক্রীড়া লেখক। খেলা নিয়ে লিখবেন। খেলোয়াড়দের এইরকম দায়িত্ব বুঝানো জ্ঞান দান কারী লেখা কেন? জ্ঞান কি বেশী হয়ে গেল? বেশী চুলকায়?
ঈশপের একটা গল্প বলি শুনেন,
এক গৃহস্তের ছিল এক কুকুর আর গাধা। গাধা দিনে বোঝা বইত। আর কুকুর রাতে ঘর পাহাড়া দিত। মালিক মনে করত কুকুর গুরুত্বপূর্ন কাজ করে। অতএব কুকুরের জন্য বরাদ্দ খানা খাদ্য ও ছিল বেশী।
এইজন্য গাধার মনে বড় দুঃখ।
একদিন রাতে কুকুর চলে গেল পাশের বাড়িতে। কুকুর নাই দেখে এক চোর রাতে বাড়িতে ঢুকতে চাইল। কুকুর তো ছিল না। গাধা ভাবল এই সুযোগ। কুকুরের কাজ করে সেও মালিকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারবে।
সে শুরু করল ভয়ংকর চিৎকার।সেই চিৎকারে চোর পালাল। মালিকের ঘুম ভেঙে গেল মাঝরাতে।
সে এসে দেখল পাগলের মত চেচাচ্ছে গাধা। মালিকের মেজাজ গরম হয়ে উঠল। সে হাতের কাছে ঝাড়ু নিয়ে গাধাকে ধুম পেটানো শুরু করল হুদাই ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য।
এই গল্পের নীতিশিক্ষা ঈশপ বলেছিলেন, অন্যের কাজ নিয়ে নাক গলালে এরকম ঝাড়ুপেটা খেতে হয়।
আফসোস গল্প থেকে শিক্ষা নেয়ার মানুষ বড়ই কম। তবে শিক্ষা নিয়ে নেয়া ভালো। নাহলে যে পাঠকের ঝাড়ুপেটা চলবে। এমনিতেই প্রথম আলোর মন্তব্য সেকশনে শুরু হয়েছে(শুনেছি মন্তব্য মডারেশন ও হয় ওখানে)। পাবলিক তো আর এত জ্ঞানের কচকচানি বুঝে না।
-মুরাদ
মন্তব্য
এরকম একটা লেখার অপেক্ষা করছিলাম। সকালবেলা খেলার পাতা দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
লেখা আর উটের ছবি দুটাই জটিল হইছে
যা বলেছেন, ভাই! এমনই ভাবসাব আজকাল ওনার। লেখায়
প্রায় সবগুলো মন্তব্যতেই উচিত জবাব দেয়া হয়েছে দেখলাম। প্রথম মন্তব্যটা পড়তেই সবচাইতে জটিল লাগলো
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
আপনার লেখাটা কিন্তু হাস্যরসের একেবার বর্ডার লাইনে পড়ে যায়। আরেকটু কেয়ারফুল হবেন প্লিজ।
ছবিটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে।
আপনার শিরোনামটা দুর্দান্ত হয়েছে, দারুণ। কিন্তু লেখাটা অতটা ভাল্লাগে নি
উৎপল শুভ্রের লেখা আমার বেশ লাগে। কোন লেখকের সব লেখা ভালো লাগা সম্ভব না- কাজেই অনেক লেখাই আবার ভালো লাগে না। এই বিশেষ লেখাটায় প্রকাশভঙ্গিটা একটু রুঢ় থাকলেও বিষয়টা কিন্তু দরকারী। অধিনায়কের কিছু দায়িত্ব থাকে। যেখানকার যে নীতি, সেটা মেনে চলাও কিন্তু অধিনায়কেরই তো দায়িত্ব
... আপনার আরো লেখা আসুক
উৎপল শুভ্র আমারও ভারি পচ্ছন্দের লেখক। কিন্তু কালকের রিপোর্টটা ভাল লাগেনি।
খেয়াল্র প্রথম অংশটার বাংলাদেশ খেলোয়ারদের 'বডি ল্যাঙ্গুয়েজ' একেবারেই জুৎসই ছিল না, কেন জানি মনে হচ্ছিল, এই লেখার একতা যোগসূত্র এই লেখার সাথে থাকলেও থাকতে পারে!
লেখাটা জরুরী হয়ত, কিন্তু ওটা অন্য কোন দিন অন্য কোন কলামে পড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করতাম!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
লেখাটা কিন্তু আমারো ভালো লাগে নি। তবে অধিনায়কের দায়িত্বটা উড়িয়ে দিতে পারছি না আর কি।
দায়িত্ব অবশ্যই আছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার’রা দেশ এবং জাতি’র প্রতিনিধিত্ব করেন, সবভাবেই। অধিনায়কের দায়িত্ব সবচাইতে বেশি।
কিন্তু সুহান, এই ফিডব্যাক তিনি শ্রীলংকাতেই সামনাসামনি দিতে পারতেন মুশফিকুর রহিম’কে, চাইলেই সেটা পারা যায়। কিংবা দুইদিন পর বলতে পারতেন। একেবারে খেলার দিন এইভাবে এইরকম শিরোনামে এতবড় একটা লেখা তার মত একজন সিনিয়র সাংবাদিকের জন্য কতটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে সেটা বুঝতে পারছি-না। পৃথিবীর ক্রিকেট সাংবাদিকতার ইতিহাসে এইরকম রিপোর্টিং আর দ্বিতীয়টি হয়েছে কিনা জানা নেই।
খুব বেশি পারসোনালাইজ মনে হয়েছে লেখাটা, বড়ভাই-সুলভ। খেলার দিন সকাল বেলা!!!
ভাই দিলে ব্যথা পাইলাম।আশরাফুল আমার খু---------------উ----------------------ব প্রিয়।
নতুন মন্তব্য করুন