শহীদ রুমী স্কোয়াডের উদ্যোগে আয়োজিত আমরণ অনশনে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের আবেগের প্রতি আমার অকুন্ঠ শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা জানাই এই আবেগী তরুণগুলোর প্রতি। কিন্তু আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি একটি জাতীয় আন্দোলনে, একটি চেতনার যুদ্ধে আবেগ অন্যতম শক্তি হলেও তার সাথে প্রয়োজন বুদ্ধি-বিবেচনা-কৌশলের যথাযথ সমন্বয়।
প্রেক্ষাপট, ব্যপ্তি, অর্জন সবকিছু মিলিয়েই ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ’১৩ এর এই প্রজন্মযুদ্ধ থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। তবু এই আন্দোলনে আমাদের চেতনার উৎসমুখ তো সেই একাত্তরই। তাই দৃষ্টান্ত টানতে গিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছি সেই একাত্তরেরই। একাত্তরে ত্রিশলক্ষ শহীদ আর ৪ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। এই আত্মদানকারী মানুষের অধিকাংশেরই কোনো প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল না যুদ্ধকৌশলের সাথে; তাদের অন্তর জুড়ে ছিল দেশের জন্য ভালোবাসা, আবেগ। আজ যেই শহীদ রুমী’র ৬১তম জন্মদিন, তিনিও বিদেশী স্কলারশীপের তোয়াক্কা না করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নির্ভেজাল আবেগ থেকেই। কিন্তু তারপরেও মুক্তিযুদ্ধের সফলতার পিছনে আমরা কি অস্বীকার করতে পারি তাজউদ্দীন আহমেদ, ওসমানীদের মাস্টারব্রেইনকে, তাঁদের অবদানকে?
৫ফেব্রুয়ারী এই আন্দোলনের শুরু থেকে এই আন্দোলনের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। আর তাই খুব কাছ থেকেই জানি, কীভাবে এই আন্দোলনের একেকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসাথে এমনটাও হয়েছে যে অনেক সিদ্ধান্তই আমার মনঃপূত হয় নি এবং মিটিংয়ে ধারালো সমালোচনা করে এসেও মিডিয়ায় সিদ্ধান্তের স্বপক্ষেই কথা বলেছি। কারণ এটা গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন, গণমানুষের আন্দোলন; এখানে গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে আসা মানুষের মতামত, মিডিয়া সেলে ছোট্ট চিরকুটে লিখে দিয়ে যাওয়া কোনো এক বয়োবৃদ্ধ চাচার মতামত সবই সমানভাবে বিবেচ্য। এবং যেহেতু গণজাগরণ মঞ্চে কেউ নেতা নয়, সকলেই কর্মী; সেই জায়গা থেকে একজন কর্মী হিসেবে গণজাগরণ মঞ্চের গৃহীত সিদ্ধান্তের পক্ষেই আমার অবস্থান।
আবার ফিরে আসি একাত্তরের আশ্রয়ে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নীতিনির্ধারণে যে ভুলগুলো আমায় খুব করে পোড়ায় তা হল, জিয়া এবং মোশতাকের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে না পারা; যেটা পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশকে ভয়ংকরভাবে ভুগিয়েছে, এখনো ভোগাচ্ছে। এই আন্দোলনেও তাই শুরু থেকে এই ধরণের মানুষদের অনুপ্রবেশের ব্যাপারে কঠোর হতে মতামত দিয়েছিলাম আমি।
সবাই নিশ্চয় অবগত আছেন যে, গত ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ বেলা ৩টায় শাহবাগে ‘ব্লগার এণ্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কে’র ডাকা ‘মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল’ এর সাথে যোগ না দিয়ে ‘জাতীয় স্বার্থে ব্লগার অনলাইন এক্টিভিস্ট’ নামে ব্লগারদের আরেকটি সংগঠন প্রেসক্লাবে একই ইস্যুতে অন্য একটি প্রতিবাদ কর্মসূচী আহবান করে। দাবিগুলো প্রায় একই হওয়া সত্ত্বেও এবং ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ নামকরণ হওয়ার পরেও ‘নির্দলীয় গণমঞ্চ’ নাম দিয়ে তারা বিচ্ছিন্নভাবে তাদের কর্মসূচী চালিয়ে যেতে থাকে। আর এই কর্মসূচীর হোতারা হচ্ছেন মাহবুব রশীদ, ফারুকওয়াসিফ প্রমুখ। এরা একই সময়ে নিজেদেরকে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক দাবি করে মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য-বিবৃতিও অব্যাহত রাখে। (মাহবুব রশীদ প্রথম আলো তে তার কলামে আন্দোলনকে টিএসসি বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সরিয়ে নিয়ে যাবার কথা বলেছিল, যেটা স্পষ্টতই বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা ছিল।) আর তাই আমি শুরু থেকেই এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে মত দিয়েছিলাম।
যাই হোক, সেই মত যে সঠিকভাবে অনুদিত হয় নি, তার প্রমাণ আজকের এই বিশৃংখল অবস্থা। গত ২৬ মার্চ পরিবর্তন ডট কম এর মাহবুব রশীদ ও প্রথম আলোর ফারুক ওয়াসিফদের নেতৃত্বে তাদের সমমনা সংগঠনগুলো গণজাগরণ মঞ্চে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিকল্প কর্মসূচি ঘোষণা করে। অন্যদিকে শহীদ রুমী স্কোয়াড ঘোষণা করে ‘আমরণ অনশন’। শুরুতেই বলেছি, আমরণ অনশণকারীদের আবেগের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু আমি এখনই ‘আমরণ অনশন’ এর সঠিক সময় মনে করি না। মনে করি, সামনে এখনো অনেকটা পথ, অনেকটা ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেয়া বাকি আছে। আমরা যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের ফাঁসি চাই। জামাতের সমূলে বিলুপ্তি চাই। আর এর জন্য অহিংস আন্দোলনের সর্বোচ্চ অস্ত্রটি এখনই ব্যবহার করে ফেলার বিপক্ষে আমার মত।
জয় বাংলা।
জনতার একজন, জনতার সাথে আছি, গণজাগরণ মঞ্চের সাথে আছি।
সুমিত সাহা, ব্লগার এণ্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট
কর্মী, গণজাগরণ মঞ্চ, প্রজন্ম চত্বর, বাংলাদেশ।
মন্তব্য
হয়তো আপনি ঠিক। সময়টি ঠিক হয়নি।
কিন্তু একটা প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধের কাঠের বন্ধুক নিয়ে লেফট-রাইটই বা কতটুকু যৌক্তিক বা হিসাবী ছিলো? কিন্তু সেই বেহিসেবী প্রানের আত্মাহুতিই আমাদের দিয়েছে একটি লাল-সবুজ পতাকা।
আমরা জানি সেই আবেগী সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো না, হিসাবের নিশ্চিত পরাজয় জেনে যে লড়াইয়ে নামে, সেই তো সংশপ্তক, সাহসী প্রান। ষড়যন্ত্রকারী গতকাল ও ছিলো, আজো থাকবে, তা বলে সহযোদ্ধাদের উপর বিশ্বাস হারানো ঠিক নয়। একদমই ঠিক নয়।
ফারুক ওয়াসিফরা রুবাইয়েতর গান ও গাইবে, আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও বিক্রি করবে। কিন্তু ফারুক ওয়াসিফরা কখনোই গনমানুষের সমর্থন পাবে না। তাদের নিয়ে সময় নষ্ট না করে, আসুন আমরা চেতনা শান দেই। আমাদের প্রজ্বলিত চেতনাই এ দেশকে বাচিয়ে রাখবে। আনিসুলরা মাফ চায় চাক, আমরা তীব্র কন্ঠে বলি, জামাতি শুয়োরদের সাথে কোন আপোষ নয়।
ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যের অনেকাংশের সাথেই একমত। তবু স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষে লড়াই আর পরাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষে লড়াই- এই দুয়ের মধ্যে কিছু ভিন্নতা তো থাকবেই।
জয় বাংলা।
আপনি কি বুয়েট ছাত্রলীগের সুমিত সাহা?
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
সুমিত সাহা, ৪র্থ বর্ষ,পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট
১৭/০৩/১২ থেকে ৬/৫/১২ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম।
বর্তমানে কাজ করছি 'ইয়ুথ ফর পিস এণ্ড ডেমোক্রেসি' নামক সংগঠনের হয়ে সামাজিক কার্যক্রমে।
জয় বাংলা।
শহীদ রুমি স্কোয়াড এর এই "আমারন অনশন" আওয়ামী লীগের অর্জন ছিনিয়ে নিবে বলেই কি এত্ত ভয়? অমি পিয়াল এর ব্লগ এবং ফেসবুক এও যেন এখন আগুন ঝরছে এই অনশন এর বিপক্ষে।
করুনা আপনাদের জন্য, দলীয় স্বার্থের উর্ধে কখনই যেতে পারলেন না ।
আমি আমার মত দিয়েছি এবং তাদের আবেগের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছি। নাথিং এলস।
জয় বাংলা।
ঠিক একথাই মনে মনে আওড়াচ্ছিলাম, স্পষ্ট করে বলার জন্য ধন্যবাদ!
অফটফিকঃ এইখানে চিহ্ন দিতে গিয়ে, ভুলে সেটি সুমিতের কমেন্টে চলে গেছে!
ভাই শোনেন, রাগ কইরেন না, আমি আপনাদের বা তাদের (গজা মঞ্চ বা ব্লজা মঞ্চ), কারুর ডাক শুইনা শাহবাগে আসি নাই, এর আগেও আমরা রামুতে বৈদ্ধদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। যাই হোক দাবি কিন্তু এক, 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দিতে হবে, জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে।' এইটা নিয়া রাজনীতি কইরেন না। সবাইরে রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝায়েন না। ২০০৯ কিস্তির প্রতিশ্রুতি পালন না করলে, ওই প্রতিশ্রুতি ২০১৪ তেও বাস্তবায়ন হবে না।
যে বা যারা রুমি স্কোয়াডের আমরণ আনশনের, এই তরুণদের আবেগের মানে বোঝেনা সেইগুলার উচিত খাতুন গঞ্জে গিয়া চালের ব্যাবসা করা। শাহাবাগে ওইগুলার কোন দরকার নাই।।।।।
ধন্যবাদ। সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণই তো এই আন্দোলন কে সবার করেছে।
কেউ তাদের আবেগের অসম্মান করছে না। এখানে কর্মী হিসেবে আমার ব্যক্তিগত অবস্থানই কেবল ব্যক্ত হয়েছে।
জয় বাংলা।
জনাব সুমিত, বুয়েটে আপনি দায়িত্ব পালন করা কালীন কোন চাঁদাবাজির ঘটনাকি ঘটেছিল? মনে হয় আপনার নামটা ভালভাবে শুনেছি। ঐ চাঁদাবাজির ঘটনায় প্রতিবাদ করায় একটা বাম সংগঠনের বুয়েট নেতাকে বেদড়ক পিঠিয়েছিল আপনার কর্মী বাহিনী। বাহ্ দিব্যি গণজাগরণের নেতা সা্ইজ্যা গেলেন।
অদ্ভুত! তার সাথে এর কি সর্ম্পক? প্রসঙ্গান্তর করবেন না অনুগ্রহ করে।
ভাই, যেটাকে আপনি প্রসঙ্গান্তর বলছেনঃ ছাত্রজীবনে যৌক্তিক দাবি করতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বেধড়ক মাইর খেলে সেটা আসা করি করতেন না!!
এক সময়ের সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে এখন নিরপেক্ষ গন জাগরন মঞ্চের মুখপাত্র হবে, এটা আমার মত ভিকটিম দের পক্কে মানা সম্ভব না; যেমনটি সুজন ভাই বলেছেন।
ছাত্রজীবনে যৌক্তিক দাবি করতে গিয়ে আওয়ামী বা বিনপি সন্ত্রাসীদের হাতে বেধড়ক মাইর খেলে, আপনি সুজন ভাইর কমেন্টরে “প্রসঙ্গান্তর” বলতেননা।
এই আন্দোলন শুরু করছে এবং এর প্রান ছিল সব সময় সাধারন ছাত্র- জনগন। কিন্তু ছাত্রলীগ এরেও দলীওকরন করতে ছাড়ে নাই (বিনপি চান্স পায় নাই, বা নেয় নাই)।
প্রাসঙ্গিক, অবশ্যই প্রাসঙ্গিক!! গনজাগর মঞ্চে সন্ত্রাসীরা থাকবে কেন? উত্তর দিয়েন।
সবচেয়ে মজার বিষয়: ঐ বেধড়ক পিটানোর কারণে যে ছাত্রকে বুয়েট থেকে ১ টার্ম বহিষ্কার করা হয় এবং যার বিরুদ্ধে বুয়েট কর্তৃপক্ষ মামলা করে সে ব্যক্তিকে যখন ইমরান ভাই এর পাশে দেখি, তখন কষ্ট লাগে। এমনকি রুমি স্কোয়াডের নিলয় ভাইকেও ঐ ঘটনার পরের দিন হেনস্থা করে এরা বুয়েট ক্যাম্পাসে। (পোস্টদাতা আপনি তৎকালীন কমিটির মেম্বার ছিলেন এবং তার সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা জানিনা। তার অবস্থান সে নিজেই পরিষ্কার করবে আশা রাখি )
গণজাগরণ মঞ্চের আহবানে নিজের সাধ্যমত ছুটে গিয়েছি এবং যাচ্ছি। এর বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তার সাথে প্রতিনিয়ত তর্ক করে চলেছি। কিন্তু যখন কেউ ছবি দেখিয়ে বলে ঐ ব্যক্তি পাশে কেন?? তখন চুপ করে থাকা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারি না।
পোস্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে তা জানি, তবুও না বলে পারলাম না। ইমরান ভাইকে এবং পোস্টদাতাও একজন সক্রিয় কর্মী তার কাছে অনুরোধ করব যে, দয়া করে মিডিয়ার সামনে বা মঞ্চের সম্মুখে এসকল ব্যক্তিকে স্থান দিয়েন না। এদের উপস্থিতিতে প্রশ্নবিদ্ধ হন আপনারা, আর তারা খালি ফায়দা লুটে।
ধন্যবাদ। আমার অবস্থান উপরে ব্যক্ত করেছি।
জয় বাংলা।
ব্যাপারটা প্রসঙ্গান্তর না। যদি ফারুক ওয়াসিফ কে তার reconciliation তত্তের জন্য সন্দেহের চোখে দেখা যায় তাহলে সুমিত সাহা কেও এই ব্যাপারে অবশ্যই প্রশ্ন করা যায় । তবে সুমিত সাহা যদি তার অবস্থান পরিস্কার করতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই কোনো তর্ক থাকবেনা।
পুররাই পারফেক্ট এক্সাম্পল!
জটিল বলছেন ভাই!
যে বা যারা রুমি স্কোয়াডের আমরণ আনশনের, এই তরুণদের আবেগের মানে বোঝেনা সেইগুলার উচিত খাতুন গঞ্জে গিয়া চালের ব্যাবসা করা -
http://www.sachalayatan.com/onnokeu/48609 -
একাত্তরের সাথে ২০১৩'র একটি বড় পার্থক্য হল: একাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি জেলে থাকলেও নেতৃত্ব দেয়ার দেয়ার জন্য তাঁর উত্তরসূরীরা ছিলেন কিন্তু গণজাগরণ'২০১৩-তে এরকম কোন কেন্দ্রীয় অভিভাবকীয় নেতৃত্ব নেই।
আন্দোলনে যারা এসেছেন, তারা সবাই নিজ নিজ চেতনার জায়গা হতে এসেছেন। এখানে কে, কি নাম নিয়ে, কোন মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলনে এসেছে তা দেখবার বিষয় নয় বরং দাবীটাই হল মূখ্য বিষয়।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবী এখানে মূখ্য বিষয়। ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ হোক কিংবা, ‘নির্দলীয় গণমঞ্চ' অথবা, 'শহীদ রুমী স্কোয়াড' এরা সবাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবী নিয়ে আন্দোলন করছে। এখানে কেউ যদি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করে তা হলে তার আদর্শগত সমস্যা আছে।
আপনি বলেছেন,
কেন সর্তক করেছেন?
‘নির্দলীয় গণমঞ্চ' কিংবা, 'শহীদ রুমী স্কোয়াড' কি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবীর বিপক্ষে কিছু বলেছে বা, করেছে?
নিশ্চয় করেনি। তাহলে, আপনি কি বিষয়ে সর্তক করলেন?
গণজাগরণ'২০১৩ গণমানুষের আন্দোলন। ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ যদি নিজেকে গণজাগরণ'২০১৩-র অভিভাবক মনে করাটা সমীচীন হবে না।
'শহীদ রুমী স্কোয়াডের' ছেলেগুলো আমরণ অনশনে কেন গেলো?
জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত আমাদের সরকারকে আলটেমেটাম দিয়েছিলাম। সরকার আমাদের কথা শুনেনি। তাই, সোজা হিসেব, ডু অর, ডাই। ৪২ বছর এই কুকুরদের ভার সয়েছি আর বইতে পারবো না। শহীদ রুমী স্কোয়াডের ছেলেরা অহিংস আন্দোলনের হার্ডলাইনে যেয়ে তো ঠিক কাজই করছে।
আপনি বলেছেন,
কেন ঠিক হবে না? গণজাগরণ মঞ্চ থেকে আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। সরকার দাবী পূরণ করেনি। সুতরাং, অহিংস উপায়ে হার্ডলাইনে গেলে ক্ষতি কি? আপনি আমাকে যুক্তি দিয়ে বলেন, কেন অহিংস উপায়ে হার্ডলাইনে যাবো না?
-সাব্বির
পুরোপুরি একমত
আসলেই এ ব্যাপারে সুমিতের জবাব আশা করছি!
আমার মনে হয়না উনি কিছু জবাব দিবে। আমার কেন জানি মনে হইছে এই ব্লগ উনাদের দলীয় মিটিঙে অনেক গবেশনা কইরা লিখা। এখন উনি এত্ত প্রশ্ন পাইয়া ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া গেছে। প্রত্যেকটা প্রশ্নর উত্তর দেয়ার জন্য তো আর দলের মিটিং ডাকা যায় না।
আপনার প্রতিটি প্রশ্নের জবাব পোস্টেই আছে। এর বাইরে নতুন কিছু বলার নেই।
জয় বাংলা।
গণজাগরণ মঞ্চের উচিৎ ছিলো এই যোগাযোগের সমস্যাটি শুরুতেই শুধরে ফেলা। আর মনে রাখতে হবে যে বড় আন্দোলনের ছোটোখাটো ফ্যাকশন সৃষ্টি হবেই। তাদের সঙ্গে নিয়ে, আবারো বলছি তাদের সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে হবে।
গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় অভিযোগ হলো এর রাজনৈতিক দলীয়করণ করা হয়েছে। আমি গণজাগরণ মঞ্চকে কখনো এই অভিযোগটি রিফউট করতে শুনিনি।
এখন বিভাজনের সময় নয়। গণজাগরণ মঞ্চ থেকে শহীদ রুমী স্কোয়াডের সাথে একাত্মতা ঘোষনা জরুরী। সেইসাথে ফারুক গুয়েবাড়াদের গদাম দেয়া জরুরী। এরা রিকনসিলিয়েশনের কথা বলে আবার আগুন লাগলে আলুপোড়া খাইতে ছাড়ে না।
এই ভয়টা আমরা সবাই পাচ্ছি। তাই, যত দ্রুত সম্ভব ফাঁকগুলো পূরণ করে এসব সুবিধাবাদীদের আস্তাখুড়ে ছুড়ে ফেলা দরকার।
শহীদ রুমী স্কোয়াড বলেছে তারা গণজাগরণ মঞ্চে আছে। মঞ্চের মুখপাত্রও বলেছে তারা আছে। ঐক্যবদ্ধভাবেই লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাবে গণজাগরণ মঞ্চ। আর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্নজনের সাবেক-বর্তমান ব্যক্তিগত রাজনৈতিক পরিচয় আছে। কিন্তু দাবিতে, স্লোগানে, চেতনায় আন্দোলন সবসময়ই দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে ছিল, আছে, থাকবে।
জয় বাংলা।
গণজাগরণ মঞ্চ একটি নিয়মিত আন্দোলনের মাঝে প্রতিনিয়ত সকলের সাথে সম্ন্বয় করে কাজ করছে। এখন মেহেরজান নামক অশ্লীল সিনেমার প্রসংশায় পঞ্চমুখ, রিকশিলিয়েশন তত্ব আউড়ানো, ফাসি একটি অমানবিক ব্যাপার বলে মানবতার ঝান্ডাধারীদের যখন গণজাগরণ মঞ্চের শুরুর মুল দাবী রাজাকারের ফাসীচাই কে আড়াল করে জামাত নিষিদ্ধের জন্য আমরণ অনশন আন্দোলন শুরু হয় তখন আপনার শংকা না জাগলেও আমাদের জাগে। এইটা পানিতে ভাসমান বরফের এক অংশ বলেই মনে হয়।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের ভাইদের বলছি... নির্বাহী আদেশে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত একটি দলকে বাতিল ঘোষনা করলে পরবর্তিতে যে আইনী জটিলতা তৈরী হবে তার সুযোগে জামাত আবার তার নখ বের করবে সময় সুযোগ মতো।আপনাদের আবেগের জায়গাটা কে স্যালুট.... কিন্তু ভুল পথে লড়াই করলে ত হবে না ভাইরা...
শহীদ রুমি স্কোয়াড কি ফাঁসির দাবি আড়াল করছে? কবে, কেম্নে? রেফারেন্স দিয়ে বলে। না হলে সরি বলেন।
মনে রাইখেন ভুল পথ বলে কিছু নাই, জনগন যেটা চায়, সেটাই সঠিক পথ। বাকি সব আগাছা।
এখন মেহেরজান নামক অশ্লীল সিনেমার প্রসংশায় পঞ্চমুখ, রিকশিলিয়েশন তত্ব আউড়ানো, ফাসি একটি অমানবিক ব্যাপার বলে মানবতার ঝান্ডাধারীদের যখন গণজাগরণ মঞ্চের শুরুর মুল দাবী রাজাকারের ফাসীচাই কে আড়াল করে জামাত নিষিদ্ধের জন্য আমরণ অনশন আন্দোলন শুরু হয় তখন আপনার শংকা না জাগলেও আমাদের জাগে।
কোট করলে পুরা লাইন করতে হয়। নীচে ও কিছু কথা বলেছি আমি। আপনি যেহেতু ঐ গুলো নিয়ে কথা বলেননি তাহলে কি ধরে নিব আপনি একমত !!!!!
জামাত নিষিদ্ধ আর যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবী আলাদা । আন্দোলন কারীরা নিষিদ্ধের দাবীতে ব্যানার তুলেছে, ঐখানে বিচারের দাবী নাই। আপনি ভাল করে দেখবেন তাদের ব্যানার টা।
সব পথ সঠিক এইটা হাস্যকর। তাহলে বলতে হয় জামাতের পথও সঠিক!!!!!? ধরবেন নাকি ঐ পথ ... সরি বললাম এখন এমন ভাবে বলার জন্য, ভেবে দেখবেন.... চিন্তার দ্বার খুলে তর্ক করতে হয়। একটা পক্ষ নিয়ে কথা বলে গেলে সমস্যা। আর ভারতে জামাত কিভাবে রাজনীতিতে পুন:প্রতিঠ্সিত হয়েছে তার ইতিহাস আশারাখি এখানে বলতে হবে না ।
আবার ও বলছি.... যারা অনশন করছে তাদের আবেগের জায়গাটিতে আমার ও মানসিক সমর্থন আছে কিন্তু যুক্তি বোধের সমর্থন নেই। কীবোর্ডে বসে সমর্থন করার ও কিছু নেই এ ক্ষেত্রে যদি আপনি আসলেই সমর্থন করেন.....
আমি একটা লাইনের শেষ পর্যন্ত কোট করেছি। পরের কিছু বাদ দেই নি, বাদ দিয়েছি লাইনের প্রথম দিকের কিছু, যার ব্যাপারে আমার জ্ঞান সীমিত।
বিরুদ্ধে মত দিতে ইচ্ছা না হলেই, একমত ধরে নিতে পারেন না। একমত হলে বলেই দিতাম। অন্য কমেন্ট এ যেমন করেছি।
৫ ই ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই অনশনকারীরা কখনোই ফাঁসির দাবি তুলে নাই, আপনারে এই কথা কে কইল?এদের সাথে এখনো কথা হলে ফাঁসির দাবির কথা ঠিকই শুনতে পেতেন।
দাবি আলাদা কিন্তু অবশ্যই একই সুত্র গাঁথা। না মানলে- তাল গাছ আপনারই।
আর এখন যেটার জন্য অনশনে বসছে, ব্যানার এ সেটাই তো থাকবে তাইনা?
শাহবাগ আন্দোলনের শুরু থেকেই অনলাইন অ্যাক্টিভিজম এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এতদিন তো আপনার মত, পিয়াল ভাই এর মত কেউ বলেননাই, শাহবাগ না আইসা ফেসবুক এ স্ট্যাটাস দিয়ে , ব্লগে ফাইট দিয়ে কোন লাভ নাই। এখন বলছেন কেন? জানতে পারি। কারন হয়তো আপনারা চাননা এই আন্দোলনের পক্ষে মানুষের জনমত গড়ে উঠুক, মানুষ জানুক ওই তরুন গুলো এই ত্যাগের কথা। তাই না? না মানলে, আবারও তাল গাছ টা আপনারই।
বাহ বেশ ভাল যুক্তি বোধ আপনার.... তালগাছ নিয়ে টানাটানি কেন আবার শুনি!!!! সাথে আবার পিয়াল এর নাম ও দিছেন!!!!!!..... দুরা এইখানে...
পাল্টা কমেন্টে অনেক কিছু এড়াইয়া গেলেন দেখা যাচ্ছে। সব মত সত্য কথাটা ঠিক এইটা আপনি বলছেন সো বলা যায় আপনি আমার মতের সাথেও একমত ... হে হে হে
অযথা যুক্তির পাল না তুলে আর কথার ফুলঝুড়ি না ছুটিয়ে অন্য কিছু করার উপদেশ (মাগনা বলে) দিলাম.... চিন্তার ক্যাপাবিলিটি বাড়ান আর উপড়ে অনেক কথা বলেছি তা তালগাছ মাথা থেকে সড়িয়ে চিন্তা করেন... যুক্তির জন্য যুক্তি খুবই বাজে ব্যাপার...
ভাই সহজ একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন একটু সহজ কইর্যা? যে.. আর কত পরে আপনার সেই "সঠিক সময়" টা আসবে?
বিয়াল্লিশ বছরের হিসাব চুকাতে সময় তো লাগবেই। আর তাছাড়া দাবি তো ছয়টা। একটা আদায় করতে গিয়েই যদি সর্বোচ্চ অস্ত্রটা ব্যবহার করে ফেলি তাহলে পরবর্তীতে বাকি দাবিগুলোর ক্ষেত্রে করণীয় কি হবে সেটাও তো ভাবতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে গেলে অনেক দূরদর্শী হতে হয়, ভাইডি। (ব্যক্তিগৎ মত)
জয় বাংলা
আপনাদের কখন মনে হবে সময় হয়েছে, তার জন্য সবাই হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না। যাদের মনে হয়েছে সময় হয়েছে, তারা অনশনে বসেছে।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
বিয়াল্লিশ বছরের হিসাব চুকাতে আরো বিয়াল্লিশ দুগুণে চুরাশি বছর তো লাগতেই পারে (যথেষ্ট দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পেরেছি তো, নাকি?)
ভাই শোনেন, আমাদের বাপ-দাদারা এতো দূরদর্শী হৈলে নয় মাসে স্বাধীন হৈতেন না.. এখনো ইয়াহিয়ার সাথে আলুচনাই পাকাইতেন।
সঠিক সময় আওয়ামীলীগ আরো ২/১ টা ইলেকশন জিতলে আসতেও পারে!
সাফি, লেখক যখন লীগার, তখন লীগ যখন মনে করবে এখন অনশন করার টাইম হয়ছে, তখনই আসলে উনাদের মতে টাইম হবে। আর ভাইবো না, এইখানে ভদ্র ভাষায় একটা ব্লগ লিখছে দেখে প্রাক্টিকালি এরা ভদ্র করে এর পরে দেখা হলে কথা বলবে। ইচ্ছা হলেই এরা হকিস্টিকের ভাষায় কথা বলে। বুয়েটের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনায় তার প্রমান। ঈশানদের পা ভাঙ্গার সময় লীগ গনজাগরণ মঞ্চের কথা ভাবে না, জনগনের কথাও ভাবে না, খালি ভাবে দলীয় দাপটের কথা। এখন হয়ে গেছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী। হাস্যকর!
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
চেতনার মূল জায়গাটা ঠিক থাকুক। ঠিক থাকুন তাঁরা যাদের বহু বছরের শ্রম-ঘাম আর লড়াইয়ের কারণে একটা শাহবাগ আজ বিশ্বের দরবারে প্রতিদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যেতেই থাকছে, ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে -- এটা একদিনের লড়াই নয়।
একটা জাগরণকে সর্বস্তরে আন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে দেবার আগেই শতধা-বিভক্তি কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শাহবাগের মুখপাত্র হিসেবে যারা কাজ করেছেন তাদের কাজের ফলাফল একেবারে স্বীকার না করাটা যেমন সামর্থ্যের দীনতা তেমনি সেই কাজের ভুল-ত্রুটির কারণে তৈরি হতে থাকা শূন্যস্থান তেলে-জলে মিশে গেলে সেটা চিন্তার দীনতা --- সবটাই আত্মঘাতী।
যুদ্ধাপরাধের বিচার কিংবা জামাত নিষিদ্ধকরণ দাবী বাদ দিয়ে লড়াইয়ের সৈনিকেরা এখন পরস্পরের চরিত্র হননে নেমেছে -- আমরা যে যেভাবেই নিজেদের দেখি না কেন, জামাত-শিবিরের কাজ সহজ করে দেয়ার দায়ভার সবাইকেই সমানভাবে নিতে হবে।
কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে তা যদি তরুণ প্রজন্ম ইতিহাস (শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধ নয়, জামাত-শিবিরের কীর্তিকলাপ মুক্তিযুদ্ধের পর ভিন্ন মাত্রায় চলেছে পুরোদমে) দেখে পুরোপুরি বুঝতে না পারে তাহলে দেশের কপাল আবার পুড়ল বলে!
আর শাহবাগের বিরোধী পক্ষ এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র জামাত-শিবির কিন্তু অনলাইন এক্টিভিজম এর বিরোধী পক্ষ কারা সেটা আমি এই দেড় বছরের সচল জীবনে যতটা পরিষ্কার হয়েছি তা যদি এক্টিভিস্ট’রা না বোঝেন তাহলে খবর আছে।
আপনারা দয়া করে সমালোচনার জায়গাতেও সংহতি খুঁজুন, চাইলেই পাওয়া যাবে, দূরত্ব তৈরি করা সবচাইতে সহজ। আমাদের সার্বিক সংহতি একটা দিন পিছিয়ে যাওয়া মানে জামাত-শিবিরের এক মাস এগিয়ে যাওয়া -- এই সত্য যত দ্রুত অনুধাবন করা যাবে তত এই দেশ আর জাতি’র জন্য মঙ্গল!
গণজাগরণ মঞ্চ সারা বাংলাদেশের। কাজেই ঐক্যের বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধভাবেই গণজাগরণ মঞ্চ এগিয়ে যাবে সাফল্যের পথে- এই বিশ্বাস আছে।
জয় বাংলা।
""কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে তা যদি তরুণ প্রজন্ম ইতিহাস (শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধ নয়, জামাত-শিবিরের কীর্তিকলাপ মুক্তিযুদ্ধের পর ভিন্ন মাত্রায় চলেছে পুরোদমে) দেখে পুরোপুরি বুঝতে না পারে তাহলে দেশের কপাল আবার পুড়ল বলে!
আর শাহবাগের বিরোধী পক্ষ এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র জামাত-শিবির কিন্তু অনলাইন এক্টিভিজম এর বিরোধী পক্ষ কারা সেটা আমি এই দেড় বছরের সচল জীবনে যতটা পরিষ্কার হয়েছি তা যদি এক্টিভিস্ট’রা না বোঝেন তাহলে খবর আছে।
আপনারা দয়া করে সমালোচনার জায়গাতেও সংহতি খুঁজুন, চাইলেই পাওয়া যাবে, দূরত্ব তৈরি করা সবচাইতে সহজ। আমাদের সার্বিক সংহতি একটা দিন পিছিয়ে যাওয়া মানে জামাত-শিবিরের এক মাস এগিয়ে যাওয়া -- এই সত্য যত দ্রুত অনুধাবন করা যাবে তত এই দেশ আর জাতি’র জন্য মঙ্গল!""-ঠিক বলেছেন।
ভাইরে, যদি এই অনশনের সাথে 'গণজাগরণ মঞ্চ'-এর মুখপাত্র সংহতি জানাতেই পারেন তাহলে কেনো এটাকে মূল আন্দোলনের সাথে প্রচার করতে আপনাদের এত গাত্রদাহ? জাত নেবে যাওয়ার ভয়ে? আর কত নিজের জিভ দিয়ে পশ্চাত পরিষ্কার করে যাবেন সারমেয়দের মত?
এ ব্যাপারে আমার ফেসবুক স্ট্যটাস্টা তুলে দিচ্ছি, "অনেকেই দেখি উঠে পড়ে লেগেছে গণজাগরণ মঞ্চ আর শহীদ রুমী স্কোয়াড কে মুখোমুখি দাঁড় করাতে। কিন্তু বাস্তবে কি ঘটছে? শহীদ রুমী স্কোয়াড জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের প্রতি তাদের সংহতি আছে। আর অন্যদিকে সবার সাথে আলোচনার ভিত্তিতে নেয়া গণজাগরণ মঞ্চের সিদ্ধান্তের কারণে অনশনে 'আনুষ্ঠানিক' সংহতি না জানালেও প্রতিদিনই এসে অনশনকারীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন, যোগাযোগ রাখছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকার। এ ব্যাপারে বিভাজনের প্রশ্নটি তাই নিতান্তই অমূলক। গত ২৬শে মার্চ থেকে শহীদ রুমী স্কোয়াড অনশন করে যাচ্ছে জামাত নিষিদ্ধের দাবীতে, যা গণজাগরণ মঞ্চের ছয়টি দাবীরই একটি। গণজাগরণ মঞ্চ সবার হয়ে সবাইকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যাবে প্রতিটি দাবি আদায়ের পথে। তাই, ঐক্যবদ্ধ থাকুন, বিভাজনের গুজবে কান না দিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকুন গণজাগরণ মঞ্চে অভিন্ন দাবীতে। জয় বাংলা।"
আপনার লিখা পড়লাম, বেশ পজিটিভ লিখা। কিন্তু অনেক বিষয়ই চাপা পড়েছে, এক হাতে তালি বাজে না এই কথা কে না জানি। মাহবুব রশিদ বা ফারুক ওয়াসিফের মতো ধূর্ত পাবলিককে সুযোগ করে দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চই। একটা কথা শুরু থেকেই চলে আসছে বটে কিন্তু ক্রমেই শাহবাগে যারা কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় তারা ভূলে বসেছেন সেটা হলো, শাহবাগ গণমানুষের। যারা ফারুক ওয়াসিফ বা মাহবুব রশিদের সাথে দায়ড়িয়ে আছে, এরা দাবী আদায়ের একটা প্লাটফর্ম চায়। আজ ফারুক ওয়াসিফ বা মাহবুব রশিদ সুযোগ নেবে এটা ভাবা উচিৎ ছিল ২৫ মার্চ রাতে, যখন সিদ্ধান্ত নেয়া কর্মসূচি বদলে দেয়া হলো, লীগ এর আপত্তি থাকায়। আন্দোলনে জড়িত লীগ ছাড়া যেসব সংগঠন বা ব্যক্তি আছে তারা এটা কেন মানবে? আন্দোলনকে নিয়ে যদি ড্রইং রুমে শোপিস সাজানোর মতো ভাবে তাহলে প্রতিপক্ষ সুযোগ নেবেই। একটা বিষয় স্পষ্ট, আন্দোলন এর দাবী আদায়ের পথ ঠিকঠাক রেখে কেউ যদি লাভের গুড় খেতে চায়, পাবলিক চুপ থাকবে। কারন পাবলিক জানে এর থেকে স্বচ্ছভাবে তার দাবী পূরণ সম্ভব না। কিন্তু যদি কেউ দাবী আদায়ের পথেই ঘাপলা তৈরী করে আখের গুছাতে চায়, তাহলে প্রতিপক্ষ লাফ দিয়ে যেমন রশি ধরবে তেমনি পাবলিকও তাকে ফুটবল শট মারবে।
আপনার বিশ্লেষণ অতিশয় মুগ্ধকর।
আজকের শহীদ রূমী স্কোয়াড ৭১'র নাঙা ভূখা আবেগি যোদ্ধারা, আর সর্বজনাব ইমরান সরকার, অমি পিয়াল ব্লা ব্লা ব্লা এরা সব তাজউদ্দীন, ওসমানী!
বাহ! আমি হতবাক!
জনাব সুমিত আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আপনি কখন কোন পার্টি করেছেন তার সাথে আমার কোন লেনদেন নাই। আমি জানি আপনি গণজাগরণ মঞ্চেরকর্মী। এবং আপনারা আন্দোলনের ভালো চান। এগিয়ে যান আপনারা পাসে আছি সবসময়। থাকবো আজীবন সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
নতুন মন্তব্য করুন