বিভ্রান্তি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৪/২০১৩ - ২:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রিকশাওয়ালা বলল, ‘ভাই এসে গেছি।’

রিকশাওয়ালার কথায় সহবত ফিরে পেলাম। মাথার মধ্যে চিন্তা এত বেশি ঘুরপাক খাচ্ছে যে অন্য কোন কিছুই মাথায় ঢুকছে না। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কত?’

‘বিশ টাকা দ্যান।’

মানিব্যাগ থেকে দশ টাকার দুটো নোট ধরিয়ে দিলাম। অন্য সময় হলে পনের টাকার ভাড়া বিশ টাকা কেন এই নিয়ে তর্ক জুড়ে দিতাম। কিন্তু আজকে ব্যাপারটা অন্যরকম।

মানিব্যাগ পকেটে ঢুকিয়ে হাঁটতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ খেয়াল হল, আচ্ছা আমি আজ রিকশায় এলাম কেন? অটোতে এলেই পাঁচ টাকায় পুরো ব্যাপারটা শেষ হয়ে যেত। মাসের প্রায় শেষের দিকে। এ সময় এটা বিলাসিতা ছাড়া কিছু নয়।

আমি মেসে থাকি। টিউশানি করে আর ছবি এঁকে খরচ চালাতে হয়। টিউশানি করতে করতেই আমার রোজ নটা-দশটা বেজে যায়। মাঝে মাঝে পত্রিকা অফিসে কাজ থাকলে এগারটা-বারোটাও বেজে যায়। তখন মেসে ফিরে আসলে আমার রুমমেট বাশার ভাই শুকনো মুখে বলেন, ‘খেয়ে এসেছেন?’

‘না রে ভাই, খাওয়ার আর সময় পেলাম কই?’

‘আচ্ছা দেখি চা বসাই দু কাপ তাহলে,’ বলে বাশার ভাই ষ্টোভে চা বানাতে বসেন। আমি শার্টটা খুলে হাঙ্গারে ঝুলিয়ে বিছানায় বসি। জানালাটা খুললেই বাশার ভাই বলে ওঠেন, ‘জানালা বন্ধ করেন, মশা আসে।’

‘আপনার তো মশারি আছে, সমস্যা কি?’

বিরস মুখে বাশার ভাই চায়ের ফুটন্ত পানি দেখতে থাকেন। আর আমি বাইরে চেয়ে থাকি। দুটো গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকা বিল্ডিং আর একটা ল্যাম্পপোস্ট ছাড়া কিছুই দেখা যায় না, তবুও চেয়ে থাকি।

বাশার ভাই চা বানিয়ে এগিয়ে দেন, ‘ নেন ধরেন, আর দুটা বিস্কিট খান।’

আমি একটা বিস্কিট নিয়ে কামড় দেই। নোনতা স্বাদ, কিছুতা ড্যাম হয়ে গেছে। তবুও চিবোতে থাকি। তারপর চায়ে চুমুক দেই, চমৎকার চা।

‘আপনার চা’টা বেশ ভাল।’

‘ভাল আর কি,’ বাশার ভাই হাসেন। বেচারা বিবাহিত বউকে গ্রামের বাড়িতে রেখে এখনে থেকে চাকরি খোঁজেন। দুটো টিউশানি করেন, কুলোতে পারেন বলে মনে হয় না।

‘ভাবি কেমন আছে বাশার ভাই?’

বাশার ভাই কী যেন ভাবছিলেন। প্রশ্ন করতে কিছুটা চমকে উঠলেন। চায়ের কয়েক ফোঁটা বিছানায় পড়ল। তিনি বিব্রত কণ্ঠে বললেন, ‘আছে কোন রকম। ও তো ভাবে শহরে আমি সাহেবের চাকরি করি।’

আমি মন্তব্য করি না। করার কিছুই নেই। কারণ আমিও তার মত একই পথের পথিক। পথের সন্ধানে নেমেছি, পথের দেখা নেই।

এভাবেই দুজন যুবক চা হাতে বাইরে চেয়ে থাকি। বাইরের ল্যাম্পপোস্টের বিষণ্ণ আলো ছাড়া কিছুই দেখি না।

কিন্তু আজকের ঘটনা অন্য রকম। আজকে হঠাৎ করে সব কিছু বিস্ময়কর বিস্ময়কর লাগছে। এই সীসাযুক্ত বাতাসেও যেন প্রানভরে শ্বাস নিতে পারছি।

ঘটনাটা ছিল এরকম- রোজকার দিনের মত বাসে করে ভার্সিটি থেকে আসলাম। ঘড়িতে দেখলাম দুটো বাজে। আড়াইটা থেকেই টিউশানি শুরু। এই আধঘণ্টাতেই গোসল করে খেয়ে ফ্রেশ হতে হবে। বাস থেকে নেমে অটো ধরব এই সময় পেছন থেকে কে যেন ‘এই যে ভাই, এই যে ভাই’ বলে ডাকছে।

ফিরে দেখি একটা লোক বাসের জানালা থেকে আমাকে ডাকছে। লোকটা বাসে আমার সিটে বসে আছে।

‘ভাই ব্যাগটা ফেলে যাচ্ছিলেন বোধহয়।’

‘জ্বি আমার?’

‘হ্যাঁ, এইতো সিটের নিচে পড়েছিল,’ বলে লোকটা আমাকে ছোট একটা ব্যাগ জানালা থেকে আমাকে দিল।

ব্যাগটা হাতে নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। কাল রঙের একটা ব্যাগ। কিছু বলার আগেই বাসটা ছেড়ে দিল। কথা বলার সুযোগ পেলাম না।

একটা রিকশায় উঠে ব্যাগটা খুললাম। ব্যাগটা খুলে ছোটখাটো একটা শিহরণ আমার সমস্ত শরীরে বয়ে গেল। ব্যাগের ভিতর পাঁচশ টাকার দুটা মোটা বান্ডিল। সাথে আর কিছু নেই।

আমি ব্যাগটা বন্ধ করলাম। এই কয়েক মিনিটের মধ্যে কি ঘটলো তা ঠিক বুঝতে পারছি না। এটা বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে।

কী ভাবছিলাম মনে নেই। অনেকগুলো খাপছাড়া ভাবনা মাথায় ঘুরছিল। রিকশাওয়ালা না ডাকলে আরও অনেক কিছুই ভাবতাম। ভাড়া মিটিয়ে হাঁটতে লাগলাম। এই নিরুদ্দেশ যাত্রার সঙ্গী এই ছোট্ট কাল ব্যাগটা।

আমি গুনে নিয়েছি। দুই ব্যান্ডেলে মোট পঞ্চাশটা পাঁচশ টাকার নোট। মোট কত হয়? পাঁচ দুই দশ আর এদিকে দুই আর তিন পাঁচটা শূন্য।

এক লক্ষ টাকা! আমি ঘামতে শুরু করলাম। এক লক্ষ টাকা একসাথে আমি কখনও দেখি নি। এতগুলো টাকা কি আমার?

অনেক চিন্তা মাথায় আসল। এমনও তো হতে পারে, যে কাউকে কিডন্যাপ করা হয়েছে- আর তাকে বাঁচাতে এতগুলো টাকা? কিংবা কারো চিকিৎসার?

তবে কি এগুলো আমার নেওয়া ঠিক হবে? আবার তখনই মনে হয়, তাহলে আল্লাহ্‌ এই টাকাগুলো আমাকে কেন দিল? অন্য কাউকে কেন নয়?

এক লক্ষ টাকা একজন টিউশানি করা যুবকের কাছে অনেক টাকা। কিন্তু খুব বেশি তা কিন্তু নয়। এই টাকা দিয়ে তাহলে একটা আর্ট স্টুডিও খোলা যাবে। পত্রিকার কভার এঁকে আর কতদিন?

আবার বাশার ভাইয়ের কথাও মনে হয়। এই টাকা দিয়ে তাকেও তো খুশি করা যায়। আমার আর্টের কাজের জন্য নিজের জায়গার অনেকটাই তিনি ছেড়ে দিয়েছেন যাতে আমার আঁকতে সমস্যা না হয়। আমি যখন আঁকি, তিনি নিশ্চুপে চেয়ে থাকেন। যেন রঙের মাঝে কি যেন খুঁজছেন, দেখতে পেয়েও ঠিক ধরতে পাচ্ছেন না।

এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে পার্কের মধ্যে ঢুকে পড়েছি খেয়াল করিনি। একটা বেঞ্চ খালি ভেবে বসতে গিয়েই তাঁর সাথে দেখা হল। তিনি, যাকে ছাড়া এ গল্প প্রায় অসম্পূর্ণ।

লোকটা মাথা নিচু করে মুখ গুঁজে বসেছিল জন্যেই তাকে দেখতে পাইনি। আমি বসব কিনা বসব ভেবে যখন চলে যাচ্ছিলাম তখন তিনি মুখ উঠিয়ে আমাকে দেখলেন, একটু চেপে গিয়ে বললেন, ‘বসুন।’
গলাটা সামান্য ভেজা। ভদ্রলোক বোধহয় কিছুটা কাঁদছিলেন। আমি বসে গেলাম। তিনি চোখ মুছলেন। আমি কিছুটা বিব্রত বোধ করলাম।একজন বয়োজ্যেষ্ঠকে কাঁদতে দেখলে কি করা উচিৎ আমার জানা নেই।

তিনিই মুখ খুললেন। কিছুটা হাসার চেষ্টা করলেন। হাসিটা বড় অদ্ভুত লাগল আমার।

‘কিছু মনে করবেন না। আসলে মনটা বড় খারাপ তো, তাই একটু আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম।’

ভরাট কণ্ঠস্বর। ভদ্রলোক নিজেকে সামলে উঠেছেন। কিছু না বললে খারাপ দেখায় জন্যে বললাম, ‘না না, ঠিক আছে। আমি উঠি তাহলে।’

‘এসেই যখন গেছেন বসুন না’, তিনি আমার হাতটা চেপে ধরলেন।

অগ্যতা বসে রইলাম। নাম-ধাম জিজ্ঞেস করে বললেন, ‘বাবা তুমি আমার থেকে অনেক ছোট। তুমি করে বলছি কিছু মনে কর না।’

‘না মনে করার কি আছে,’ আমিও কিছুটা ভদ্রস্থ হলাম।

‘আসলে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। গ্রামে থাকি, ঢাকায় এসেছিলাম একটু কাজে।’

ভদ্রলোক হাতের চশমাটা চোখে দিলেন। আমি চুপ করে রইলাম। তিনি আস্তে আস্তে বলতে লাগলেন তাঁর কাহিনী। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতে লাগলাম।

‘আমার নাম অনিমেষ হালদার। একটা স্কুলে পড়াই। আমার শহরে আসার কারণ আমার নাতনি...’

তাঁর গলাটা কেপে উঠল। হয়তো ভেতর থেকে কিছু একটা বারবার বাইরে আসতে চাইছে। তবে তিনি তা আসতে দিলেন না।

‘আমার নাতনি সতী। মা-বাপ মরা মেয়ে। ওর সামনের সপ্তায় বিয়ে। তাই শহরে এসেছিলাম টাকা যোগাড় করতে। আসলে আমি ছাড়া ওর কেউ নেই।’

একটু থেমে আমার শুরু করলেন। ‘স্কুলের মাস্টারির আর কত বেতন। ওটা থেকেও রিটায়ার করার সময় এসেছে। তবুও মুক্তিযোদ্ধা বলে একটু সম্মান পাই। তাই এখনও টেনে চলছি।’

‘আমি যখন বিকম দেই তখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে কাউকে না জানিয়েই গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বললে হয়তো যেতে দেবে না। না বলে যাবার শাস্তি পেলাম। বাবা ছিলেন এলাকার সম্ভ্রান্ত হিন্দু। যুদ্ধ শেসে এসে দেখি কেউ নেই। বাড়ি লণ্ডভণ্ড। শুনলাম হিন্দু বাড়ি জন্যে পাক সেনারা বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়। আমার মা, ছোট ভাই, বাবার বিধবা পিসি সবাই মারা যায়।’

ভদ্রলোক চশমাটা খুললেন। এরপর আবার শুরু করলেন- ‘তারপর শুরু হল আমার আসল যুদ্ধ- টিকে থাকার যুদ্ধ। সবাই বলল কলকাতা যেতে। কিন্তু মন সায় দিল না। থেকে গেলাম। এরপর বিয়ে-থা করে সংসার পাতলাম। বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হল না। তিনি বছর দুয়েকের মধ্যে মারা গেলেন। সাথে দুধের শিশু। ওকে কোলেপিঠে মানুষ করলাম। ও বিয়ে করল। আমার বউমাটা ছিল সাক্ষাৎ লক্ষ্মী। ভাবলাম এবার বুঝি ভগবান আমায় সব দিয়েছেন। কিন্তু আবারও প্রচণ্ড আঘাত পেলাম। ছেলে ছিল আমার অসম্ভব জেদি। এই জেদই তার কাল হল। কারা যেন ওকে খুন করল। আমার বউমা-তারা, সেও বছর না যেতে গত হল। আবার একটা দুধের শিশুকে নিয়ে একা হলাম। আমার নাতনি সতী।’

‘সেই ছোট্ট সতীরই সামনের সপ্তায় বিয়ে। আমি বৃদ্ধ মানুষ আর কীই বা করতে পারি। কখনও আমার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টাকে বিক্রি করতে চাই নি। তাই কখনই কোন ভাতা গ্রহণ করিনি। কিন্তু এবার ঠেকায় পড়ে ওপরওয়ালাদের কাছে এসেছি। সার্টিফিকেট দেখিয়েছি। এমপির সুপারিশ দেখিয়েছি। কিন্তু ওরা বলল প্রায় সপ্তাহ তিনেক সময় লাগবে। আমি সতীর বিয়ের কথা বললাম। তবুও ওরা শুনল না।’

একটানা বলে ভদ্রলোক থামলেন। চোখ দুটো মুছলেন। ভদ্রলোকের কথায় এমন আবিষ্ট হয়ে গিয়েছিলাম যে কখন নিজের চোখে পানি চলে এসেছিল খেয়াল করিনি।

ভদ্রলোক বললেন, ‘জীবনে কখনও কিছু নিয়ে আক্ষেপ করিনি। কিন্তু এখন আমার এ দেশটা, ধর্মটা নিয়ে বড় আক্ষেপ করতে ইচ্ছে হয় বাবা।’

শুনে বুকটা হু হু করে উঠল। আমার যেটা করা উচিৎ ছিল আমি সেটাই করলাম। ব্যাগটা উনার হাতে দিয়ে চলে এলাম।

পার্ক থেকে বের হতেই নিজেকে কিছুটা অন্যরকম লাগল। হঠাৎ করে এই শহরকে, এই শহরের মানুষকে বড় আপন মনে হল আমার। রেললাইন দিয়ে হাঁটার সময় পাশের বস্তির ছেলেমেয়েগুলোর দুরন্তপনা অনেকটাই মুগ্ধ করল আমায়।

কোন টিউশানিতেই গেলাম না। কি যেন ভেবে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলাম। যদিও মাসের শেষ তবুও কেন জানি খুব খরচ করতে ইচ্ছে হল। মানিব্যাগের লুকোনো পাঁচশ টাকার নোটটা খরচ করতেও কার্পণ্য করলাম না।

রাতে ফেরার সময় বাশার ভাইয়ের জন্য একটা ভাল চা-পাতা আর দামি বিস্কুট নিয়ে গেলাম। বাশার ভাই দুদিনের জন্য গ্রামের বাসায় গিয়েছিলেন। আজ হয়তো ফিরেছেন। আমার হাতে এগুলো দেখে অসম্ভব খুশি হবেন।

ঘরে ঢুকে দেখি বাশার ভাই মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। মেসের আরও কয়েকজন দাঁড়িয়ে। বাশার ভাই আমাকে দেখে ফোঁপাতে লাগলেন।

‘ভাই আমি শেষ ভাই, আমি পুরা শেষ।’

থমকে গেলাম। মুখে যে হাসিটা ছিল তাও মিলিয়ে গেল। বাশার ভাইকে মন খারাপ অবস্থায় দেখে দেখে অভ্যাস হয়ে গেছে। কিন্তু এরকম এবারই প্রথম।

‘কী হয়েছে আপনার?’ আমি ঘামতে শুরু করলাম।

‘ভাই আমি পুরা শেষ। আমার এক লাখ টাকা পুরা শেষ।’

‘এ্যাঁ!’ আমি লাফিয়ে উঠলাম। ঢোঁক গিলে বললাম, ‘কীভাবে?’

‘আজ সকালে গ্রাম থেকে আসলাম। একটা ভাল চাকরি ম্যানেজ হয়েছে। বলে লাখ খানেক টাকা দিতে পারলে চাকরি হবে। আমি গ্রামের জমি বেঁচে লাখ খানেক টাকা জোগাড় করলাম। বাসে করে এসে ব্যাগটা ভুলে বাসেই ফেলে দেই। তারপর আর মনে করতে পারি না। অনেকক্ষণ পর মনে হলে বাসের ওখানে ছুটি। কন্ডাক্টরটা বলে ব্যাগটা নাকি সে দেখেছিল। বাসের একটা লোকই দেখতে পেয়ে আগের প্যাসেঞ্জারকে তার মনে করে দিয়ে দেয়।’

বাশার ভাই হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল। বলল, ‘যে শালা বাস থেকে আমার টাকা নিয়ে গেছে ও জীবনেও সুখ পাবে না।’

আমি চা-পাতা বিস্কুট টেবিলে রেখে জানলার পাশে বসলাম। বাইরে তাকিয়ে রইলাম। ল্যাম্পপোস্টের আলোটাকে মিথ্যা মনে হল। মনে মনে বললাম, সুখই তো আনতে চেয়েছিলাম। সুখ যে এতটা সোনার হরিণ তা তো জানতাম না।

নাহিয়েন


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

ভালো লাগলো। আপনার গল্পের হাত বেশ চমৎকার তো।

রংতুলি এর ছবি

ভালো লাগলো।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক
দারুন।
লেখার শুরুটাতে কিছুটা পুরান হুমায়ূন আহমেদ স্টাইলীয় মনে হয়েছে, তবে সব মিলিয়ে আপনার লেখার হাত বেশ ভাল। আরও গল্প আসুক।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার। লিখতে থাকুন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আলোকিতা এর ছবি

প্রিয় ব্লগে খুব কাছের একটা মানুষের প্রথম লেখা দেখতে পাওয়ার আনন্দটা কি যে বিশাল!
বাবু,আমি খুব খুব খুশি এবং দুখি(কারন আমি মজা করেই বলছিলাম এটা ছাপালে তোকে পাঁচশ টাকা দিব মন খারাপ )

রাসিক রেজা নাহিয়েন এর ছবি

আপনাদের উত্‍সাহ আমার পরবর্তী গল্পগুলোর অনুপ্রেরণা । ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য ।

দিদিকে আর কী বলব, ও তো নিজেই একটা গল্প !

বেচারাথেরিয়াম এর ছবি

বাহ, চমৎকার লিখেছেন। চালিয়ে যান।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ভালো লেগেছে। ছোট্ট, কিন্তু সুন্দর। অল্প, কিন্তু অনেক ভাবনা উঁকি দিয়ে যায়। হাত খুলে লিখুন

তারেক অণু এর ছবি
আব্দুর রহমান এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো। 'রিকশাওয়ালার কথায় সহবত ফিরে পেলাম'। সংবিত হবে এখানে বোধহয়। সহবত মানে ভদ্রতা, সংবিত মানে চেতনা, হুঁশ।

আরো লিখুন।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

শিশিরকণা এর ছবি

এইরকম ঢিলে ঢালা মেজাজের গল্প পড়তে আমার খুব ভাল্লাগে। চলুক

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মরুদ্যান এর ছবি

হাততালি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগছে/ অনেক নাটকি‌য়তা আছে!

---------------------
মাসুম

সত্যপীর এর ছবি

চমৎকার গল্প৷

..................................................................
#Banshibir.

রাসিক রেজা নাহিয়েন এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে। আব্দুর রহমানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ভুলটি দেখিয়ে দেওয়ার জন্যে।

নৈর্ব্যক্তিক এর ছবি

চমত্‍কার

কালামিয়া এর ছবি

ছিমছাম গল্প। ভাল লাগলো। আরো লিখুন।

------কালামিয়া

নীল আকাশ এর ছবি

হাততালি

মানিক মনিরুল এর ছবি

সত্তিই অসাধারন। অনেকদিন পর মনের মত একটা গল্প পেলাম। ভাল লেগেছে।(Y)

নীরা এর ছবি

চলুক

---- নীরা

অতিথি লেখক এর ছবি

মর্মান্তিক। কেন যেন সত্যি মনে হচ্ছে।
চলুক

স্বপ্নহারা মানব

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
ভাল লাগল।

সুবোধ অবোধ

স্যাম এর ছবি

ভালো লেগেছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লাগলো

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।