১।
হাসনাত আবদুল হাই বিষয়ে প্রথম থেকেই একটা তিক্ত ধারণা মনের ভেতর ছিল। একবার এক সাহিত্য পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, হাই সাহেবের জুনিয়র একজন সহকর্মীকে কেন তার সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হলো এই নিয়ে তিনি ভয়ানক ঝগড়া করে সেই কলিগকে নানাবিধ "....বাচ্চা...." টাইপের নানান চূড়ান্ত বাজে গালি দিয়ে চলে গিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি সামান্য বসার আসন নিয়ে এইরকম করতে পারে, সে যে আসলে আস্ত একটা ছোটলোক তাতে কোনও সন্দেহ নাই। গালাগালির শিকার হয়েছিলেন যে সরল মানুষটি, তাঁকে আমি চিনতাম, তাঁর কাছে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির কথা শুনে দুঃখই লেগেছিল। পরে আরেকটি কান্ড জানতে পারি। হাই সাহেব "নভেরা" উপন্যাসটি লিখে খ্যাতিমান, আমাদের চেনাজানা অনেকেই এই উপন্যাসের ভক্ত। তো যাঁকে নিয়ে এই উপন্যাস রচিত, সেই অসামান্য শিল্পী নভেরা আহমেদকে ফ্রান্সে আমাদের খুব চেনা একজন সিনিয়র অভিনেতা বইটা পৌঁছে দিয়েছিলেন, নভেরা সেই বই একটুখানি পড়েই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, "এই বইয়ের কথা যে বলবে বা এই বই যে সাথে নিয়ে আসবে সে আমার ঘরে ঢুকতে পারবে না, কেননা গোটা বইটাই অসত্য আর মনগড়া কথায় ভরা।" এবং, পরে বইটার কিছু তথ্য নিয়ে পরিচিত কিছু সূত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখেছি, কথা ঠিক, হাই সাহেব মনগড়া বাক্য লিখতে ওস্তাদ।
হাই সাহেবের লেখক হিসাবে উত্থান আশির দশকে, কিন্তু তার মানহীন লেখাপত্র কী করে ছাপা হতে লাগলো হুট করে এত এত, তার পিছনে একটা ভানুমতীর তথা আমলামির খেল আছে। এবং সত্যি এই, হাই আমলা না হইলে জীবনেও লেখক হকে পারতেন না। এটা হলফ করেই বলা যায়। আশির দশকে তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার ডিসি। এরকম দামী একটা পদে থাকার সময় সপ্তাহে সপ্তাহে তার প্রধান কাজ ছিল ঢাকার বড় বড় পত্রিকার সম্পাদক ও লেখকদের প্রমোদভ্রমণ করানো কক্সবাজারে। এইভাবে কাজ সেরেছেন তিনি। আমোদে-প্রমোদে সম্পাদককুল খুশি, প্রধান লেখকেরাও, তো ছাপাও ত্যাঁদড় ও অভদ্র আমলাটির লেখা দেদারসে। মেকি ও জোরপূর্বক প্রশংসার কমতিও হয় না।
তো, হাই সাহেব যখন সুশীল প্রথম আলো পত্রিকায় একটি নোংরা, চটিগল্পেরও অধিক চটিগল্প লিখলেন, আমি অবাক হইনি। লম্পট স্বৈরাচারী শাসক এরশাদের প্রিয় আমলা যে কলমের বদলে শিশ্ন দিয়ে লিখবেন, এটাই স্বাভাবিক। এছাড়াও তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে, আর দশটা বাঙালি অন্ধ পেশী-ফোলানো পুরুষের মতোই তিনি ভয়াবহ পুরুষতান্ত্রিক, বিকৃত যৌনকাতরতার রোগী, বিদ্বেষপূর্ণ মন-মানসিকতার অধিকারী ও পার্ভাট। মৌলবাদের সাথে তার দোস্তির বিষয়টিও এর সঙ্গে সামনে চলে আসে। এছাড়াও, সভ্যতার বিন্দুমাত্র দায় যে এই তথাকথিত "লেখকটির" মধ্যে নাই, সেটা আমাদের চোখের স্পষ্ট হয়ে যায়। কিছু ভণ্ড সম্পাদকের উদ্দেশ্যের সাথে তার উদ্দেশ্যও মিলে যায়, দুইজনে মিলে অতঃপর শুরু করেন গেমপ্ল্যান, নোংরা এবং অনৈতিক ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হতে থাকে।
২।
হাই সাহেব নিন্দিত সিএসপি ঘরানার একজন আমলা। ক্ষমতার অলিগলিতে, সড়কে-মহাসড়কে তাদের আনাগোণা, আর সেই ক্ষমতার দাপটে দেশের আর সবার থেকে নিজেকে আলাদা করে জাহির করার হীন প্রবণতা অন্য বেশিরভাগ আমলার মতো তার মধ্যেও আছে। এবং আছে তা হাবেভাবে ও তুচ্ছতম কাজেকর্মেও প্রকাশ করার অসভ্য অভ্যাস। বাংলাদেশের কত ইয়া বড় বড় ক্ষতি যে রাজনীতিবিদরা করেছেন তা প্রায়ই ফলাও করে কেঁদেকুটে প্রচার করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশের তার চাইতেও কত বেশি ভয়ানক ক্ষতি যে এমন ভণ্ড আমলারা করেছে, তার কোনও খতিয়ান অজানা কারণে কো থাও কখনোই প্রকাশ করা হয় না।
ভবিষ্যতে এসব ষড়যন্ত্র ও ক্ষতির খতিয়ান ক্রমে ক্রমে প্রকাশ পাবে, এমন আশা রাখি আপাতত।
==
দিগন্ত চৌধুরী
মন্তব্য
হাসনাত আবদুল হাইয়ের উচিত এই ব্লগে গিয়ে যোগদান করা। তার দৌড় এইসব পর্যন্তই।
ভাই এইডা পাইলেন কই? এত দেখি পুরাই হীরা-জহরতের খনি -- হার্ডকোর দিনী ইল্মের সাথে হার্ডকোর চটির যুগলবন্দী, মাশাল্লাহ। এইরাম জিনিসই খুজতেছিলাম মেলা দিন। জাযাকাল্লাহ।
-- রামগরুড়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বাঙলাদেশের মানদন্ডেও যদি ধরি, হাসনাত আবদুল হাই হয়তো সেকেন্ড গ্রেড লেখকদের সারিতে পড়বেন। এটা ছিলো এতদিনের ভাবনা।
আজ উনি যেটা লিখলেন (সম্মানসূচক সর্বনাম ব্যবহার করা ঠিক হচ্ছে না), সেটি ''মুকছেদুল মুমেনিন'' এর মতোই খাঁটি অশ্লীল বস্তু।
এই আবর্জনার পাশে নীলখেতের অন্ধকার গলিতে নিউজপ্রিন্টে ছাপা বস্তুকে রাখলে বরং পরেরটিকে শিল্পিত ও শিক্ষণীয় মনে হয়। লেখক হিশেবে উনি বেশ লঘুস্তরে বসবাসকারি একজন। তাঁর সামাজিক আচরণে সেই রুগ্ন ''বুর্জোয়া'' ঢঙ ও উন্নাসিকতা লক্ষ্য করা যায় বলে জানি- যেটি আমরা অনেকে ব্রিটিশদের গোলামি করে শিখেছি। শাহবাগে তাঁর আপত্তি থাকলে সেটি আরো বহুভাবেই প্রকাশ করতে পারতেন।
যাই হোক, তাঁর দৌড় ''প্রথম আলো''র সাজ্জাদ শরীফ বা ব্রাত্য রাইসুর অফিসরুম পর্যন্তই।
প্রথম আলোকে আর বোধহয় বাড়তে দেয়া ঠিক হবে না।
facebook
বিকৃত এবং বিক্রিত লেখক হাসনাত আবদুল হাই
হাই এর পুরানো ইতিহাস মনে করে দেওয়ায় ধন্যবাদ। তবে চটি লেখকদের অপমান করাটা ঠিক হলো না। চটি লেখকরা অন্তত কষ্ট করে মৌলিক কিছু লেখে। এইলোকের লেখা পুরো জামাতি চোথা মেরে লেখা মনে হলো ।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
বদলে দেয়ার অঙ্গীকারনামা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে কিছু পুরস্কার জুটে গেলেই বদলনামার মালিকানা হাতে এসে যায় না।
সুরসুড়ি বেচা ভাতের কামলা আর যোগানদারদের দিন খুব বেশি নেই। কারণ, দিন বদলের পালা এবার সত্যই এসেছে।
এই লেখাটার সব কথাই হয়তো সত্য। সত্য বলেই ধরে নিচ্ছি। অন্তত এই ব্যক্তি যে একটু পোকা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু কেবল কয়েকটা ব্যক্তিগতভাবে শোনা কথা বলে এই লেখাটা এমন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে যে এটা নিন্দিত হবে। অসত্য বলে একটা মহল এটাকে প্রচার করবেই।
খুব ভালো হতো যদি একটি একটি ঘটনা অথবা বিষয় নিয়ে আলাদা করে লিখতেন। অন্তত নভেরা উপন্যাস নিয়ে আপনাকে বিস্তারিত লিখতে বলছি। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিতের বক্তব্য থাকুক সেখানে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সহমত।
টুইটার
লেখাটাকে হয়তো কেউ কেউ রেফারেন্স ছাড়া পরচর্চা বলবে, কিন্তু আমি একে সত্য হিসেবেই ধরে নেব। কারণ আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় প্রকাশকদের প্রমদভ্রমনের মাধ্যমে আমলাদের লেখক হয়ে ওঠার অনেক উদাহরণ রয়েছে। লেখকের বক্তব্যের সাথে যেগুলো বেশ ভালো ভাবেই মিলে যায়।
টুইটার
নভেরায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য নেয়া কঠিনই হবে মনে হয়। অনেকেই এখন আর নেই। নভেরার কথা জানি না, কিন্ত শিল্পী হামিদুর রহমান তো নেইই তার ভাই নাট্যকার ও আরেক সাবেক আমলা সাঈদ আহমদ যার সাক্ষাৎকার যদ্দুর মনে পড়ে বইটাতে হাই উল্লেখ করেছিলেন, তিনিও গত হয়েছেন কয়েক বছর হল। অনেক কাল আগেই গত হয়েছেন আরেক চরিত্র ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এসএম আলী। আরও অনেকে্রই মনে হয় একই অবস্থা। তবে সাঈদ আহমদ সাহেব বোধহয় জীবিত অবস্থায় এই বইটার কিছু ক্লেইম সম্পর্কে পাব্লিক কমেন্ট করেছিলেন। এই মুহূর্তে সোর্স দিতে পারছি না বলে দুঃখিত।
****************************************
****************************************
১।
প্রথম ঘটনাটির ভিকটিম আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন, সম্প্রতি প্রয়াত। ঘটনাটির আরো কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে আমার কথা হয়েছে, তাঁরাও খুব বিব্রত ছিলেন তা নিয়ে। নভেরার ব্যাপারটিও দুইজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি আমাকে নিশ্চিত করেছেন, যাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন সেই অভিনেতার সাথে ফ্রান্সে সফরসঙ্গী। তৃতীয় ঘটনাটিও একাধিক সূত্র, একাধিক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে নাম উল্লেখ করিনি, কারণ তাঁরা এখনও কর্মরত।
২।
নভেরার বিষয়টি নিয়ে কিছু কাজ করেছেন শিবু কুমার শীল, আশা করা যায় বিষয়টার উন্মোচন শীঘ্রিই একটা বইয়ের মাধ্যমে হাজির হবে।
শিরোনামে বিরাট এক অমার্জনীয় ভুল হয়ে গেছে। ভীমরতি যে হবে বুঝতেই পারছেন।
মানব মস্তিষ্ক বড়ই 'দুষ্ট'
আমি ভীমরতিই পড়েছি, আপনি বলায় খেয়াল করলাম যে এটা ভীতরতি।
(ভীতরতি -র ব্যুৎপত্তি নিয়ে চিন্তা করছিলাম কিছুক্ষণ, এটা ভাঙলে দুটো শব্দ পাওয়া যায়, ভীত আর রতি। তারপর মাথায় যেটা আসল সেটা নাই বা বলি , 'চরম উদাস সমগ্র' মনে হয় বেশি বেশি পড়ছি )
অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা কথা মনে পড়ে গেল। একবার আমার বোন আমাকে বলছিল যে তাদের স্কুলের হাই স্যারের কথা, তখন আমিও আমার স্কুলের হাই স্যারের কথা বললাম, উপস্থিত আরও কয়েকজন (যারা অন্য স্কুলে গিয়েছে বা যেত) তাদের 'হাই' স্যারের কথা বলল। তখন, আমার বোন (ও তখন বেশ ছোটই ছিল, ক্লাস ৫-৬ এ মনে হয়), থিওরি দিল যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্কুলেই মনে হয় একজন 'হাই' স্যার থাকে।
এখন মনে হয়, কথাটা পুরোপুরি মিথ্যে না,
সবজায়গাতেই 'হাই' রা আছে এবং থাকে
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
অসাধারণ! এই সূক্ষ্ম-সাল-শস্যের প্রয়োজন ছিল।
- সম্রাট দাশুগুপ্ত
মেহেরজান থেকে গতকালের গল্পটি সব-ই জামাতি প্রোপাগান্ডার অংশ।
লেখায়-
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
এই লোকটা নভেরাকে নিয়ে স্রেফ ব্যাবসা করেছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সহমত
যা কিছু জোলো, তার সাথে প্রথম আলো
ঠিক এ সময় এ ধরনের একটা লেখা প্রথম আলো কেন ছাপল বুঝলাম না। কোন মতলব ছাড়া এ জিনিস ছাপা হওয়ার কোনই কারন দেখিনা।
-গগন শিরীষ
ও মনু!! হাই মামু'র হিস্টোরি তো ব্যাপুক হাই!!! যাক, জুতা মারার আরো কয়টা কারণ পাওয়া গেলো!
একটা অজ্ঞাত কারনে দেখেছি বেশীরভাগ আমলারাই অবসরে যাবার পর বা পদে বহাল তবিয়তে থাকা অবস্থাতেই বই লেখার চেষ্টা করেন এবং লেখেন। এই বই গুলো বাংলাবাজারের কিছু আজে বাজে পাবলিকেশন থেকে ছাপাও হয়। কয়েকটা এরকম বই পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। বই পড়ে লেখক (আসলেই কি লেখক?) এর প্রতি করুণা ছাড়া আর কিছু অনুভব করতে পারিনি। বেঁচে থাকুক আমলারা, গামলায় গামলায় খাক। কিছু করতে গেলেই নানা নিয়ম নীতির বায়নাক্কা শোনায়। গান্ডুর দল।
- পিনাক পানি
কারো "শাহবাগুনুভুতি" আহত হলো কি?
বাংলাদেশে এ এক সমস্যা। যুক্তি দিয়ে যুক্তি খন্ডনের চাইতে চরিত্র হনন এখানে ব্যাপক আদৃত বিষয়। লেখার মান নিয়ে আলোচনা বাদ দিয়ে লোকজন ব্যস্ত হয়ে পড়ে তার স্বভাব চরিত্রের পোষ্ট মর্টেম করা নিয়ে। এখানে দেখি লোকজন কষে গাল দিচ্ছেন হাসনাত আব্দুল হাইকে অথচ যে পত্রিকা তা ছাপালো তার ভুমিকা নিয়ে সবাই অনেকটা নিরব। অভিযোগ- আব্দুল হাই অশ্লীল চটি লিখেছেন। অথচ হুমায়ুন আজাদকে পয়গম্বর জ্ঞানকারী ধার্মিকদের কাছে তার নানা অশ্লীল লেখা সাহিত্যের বিরাট রত্নভান্ডার বলে বিবেচিত হয়। এখানে যদি কী অশ্লীলতার অভিযোগ তুলেন, তবে তার কপালে মৌল্বাদীর তকমা এটে যাবে নির্দিধায়।
এটা কি এক ধরনের হিপক্রেসি নয়?
হুমায়ুন আজাদের সাহিত্যে আপনার বিবেচনায় অশ্লীলতা নিয়ে আপনি পাতার পর পাতা লিখে যেতে পারেন পৃথক পোস্টে। আপনাকে কেউ বাধা দেবে না। ইন ফ্যাক্ট জীবদ্দশাতেই তিনি এ কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন। মৃত্যুর অব্যবহিত পরও অনেকেই তাকে স্মরণ করতে গিয়ে এই অশ্লীলতার কথা স্মরণ করতে ভোলেননি।
আর এ কথাও সত্য যে হুমায়ুন আজাদকে যারা শারীরিক আক্রমণ করেছিলো, তারা মৌলবাদীই ছিলো, এবং সে আক্রমণকে পরবর্তীতে বাপের পুটকি দিয়ে বের হওয়া বহু কুতুব মৌখিক সমর্থন দিয়ে আসছে, তারাও মৌলবাদী।
হুমায়ুন আজাদ আপনার বিবেচনায় অশ্লীল রচনা করেও সমাদৃত কারণ তিনি কালোত্তীর্ণ অনেক কিছুই লিখে গেছেন। আবদুল হাই এই বালছালের পাশাপাশি যা লিখেছেন সেগুলোও রদ্দি মাল।
এইবার সামছুর রহমান, পাঁচজন রাজাকারের নাম বলেন দেখি?
হাসনাত আব্দুল হাই যুক্তিসংগত কোনো লেখা লেখে নাই যে তারে যুক্তি দিয়া প্রতিউত্তর দিতে হবে।
সমাজে অনেক চোর, ছাগল, বলদ কিসিমের লেখক থাকে। আপনে নিশ্চয় এখন তাদের সবার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে thesis লিখবেন না। কিন্তু ঐরকম কেউ যদি ফ্রন্ট লাইন এ এসে বক্তব্য প্রচার করা শুরু করে তখন তার অতীত কর্ম কান্ড check করা হবেই।
ব্যক্তিগত চরিত্রের পোস্ট মর্টেম করা হইলো কোথায়?? লেখা আর সেই লেখার লেখকের কথা বলা হচ্ছে। আর সত্যি সত্যি সমস্যা, যদি আসলেই আপনার কথা মত মর্টেম এ পোস্টার করা ধরতে হয়, তাহলে বুঝলেন ভাই, দুর্গন্ধে ধানমন্ডি এলাকার সব গন্ধগোকুল এলাকা ছেড়ে পালাবে; পারলে আগামী তিনদিন ভোরবেলা ধানমন্ডি লেকের পাশ দিয়ে মর্নিং ওয়াক করতে থাকা নারী সমাজের সাথে কথা বইলেন.... মর্টেম পুষ্ট হবে।
‘হুমায়ুন আজাদের সাহিত্যে অশ্লীল লেখা সাহিত্যের বিরাট রত্নভাণ্ডার বলে বিবেচিত হয়’ -- খুবই ভাল কথা। কিন্তু সেসবের সমালোচনা হয়েছে (নিচে হিমু ভাই বলেই দিয়েছেন), তবুও, সেইসব বিবেচিত কিছু লেখায় তথাকথিত অশ্লীলতা কেবলমাত্র অশ্লীল মন নিয়ে পড়লেই তা রত্নভাণ্ডার হতে পারে। সব দোষ মানুষের মনে, কি করবেন। হিপোক্রেসি, সব হিপোক্রেসি....
সুহৃদ সামছুর,
যে লেখাটা ছাপা হয়েছে তার মান নিয়ে কিসসু বলার নাই। যেটার মান নাই সেটার মান নিয়ে কথা বলার অবশ্য কোন যুক্তিও নেই। তবে লেখাটার যে বিষয়বস্তু তাতে পক্কবাল লেখকের মানসিক সুস্থ্যতা নিয়ে মনে প্রশ্নও জাগেনা। নির্দ্বিধায় তাকে মানসিক বিকারগ্রস্থ বলে ধরে নেয়া যায়। আর ভাই চরিত্র নিয়া কেনো টানাটানি করা হবেনা? লেখকের লেখায় কি তার নিজস্ব চরিত্রের খুব সামান্য অংশ হলেও কিছু চলে আসেনা? আর আলুক্ষেত নিয়া তো ভাই ব্লগারেরা মুখে ফেনা তুলে ফেলছে। আর এই ক্ষেত নিয়া ফেনা তোলার কিছু নাই। আপনি ভাই নিজেও যে প্রায় অসুস্থ্য তা হুমায়ুন আজাদের লেখার সাথে এই হাআহা র লেখার তুলনাতেই একেবারে দিনের আলোর মতো পরিস্কার।
Get Band email for free at ReverbNation.com
facebook
অসাধারণ।
- ইউক্লিড
http://www.facebook.com/iEuklid
নতুন মন্তব্য করুন