গত পরশু দেখলাম ‘লা মিজারেবল’, অনেকটা দেরি-ই হয়ে গ্যালো দেখতে তারপরেও তো দ্যাখা হয়েছে এটাই মূল ব্যাপার।
প্রথমত যারা টম হুপার এর ‘লা মিজারেবল’ দেখেছেন বা দেখবেন তাঁদের প্রতি একটা ব্যক্তিগত উপদেশ থাকবে তা হচ্ছে ভুল করেও সিনেমাটাকে ভিক্টর হুগোর বই ‘লা মিজারেবল’ এর সঙ্গে তুলনা করবেন না। এটা কেবল এই মুভির ক্ষেত্রে নয় বরং সকল মুভির ক্ষেত্রেই যেগুলো বই থেকে তৈরি হয়েছে। কারন আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি প্রত্যেক পাঠক ই এক একজন ফিল্মমেকার, বই পড়ে পাঠক বই সম্পর্কে নিজের মাঝে যে প্রজেকশন সৃষ্টি করে সেই প্রজেকশন কে অতিক্রম করা কোন পরিচালকের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং বই এবং সিনেমা দুটাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দ্যাখা উচিৎ।
যাহোক মূল বিষয়ে ফিরে আসি, লা মিজারেবল এর ঘটনার সুত্রপাত উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের জন ভ্যালজেন (হিউ জ্যাকম্যান) রুটি চুরির দায়ে উনিশ বছরের কারাদন্ড ভোগ করেন তারপর পেরোলে তাঁকে মুক্তি দেয়া হয়, দীর্ঘ সময় সমাজ বিচ্ছিন্ন থাকার পর পেরোল থেকে পালিয়ে ভ্যালজেন নতুন করে জীবন শুরু করে। এদিকে “জ্যাভার্ট”(রাসেল ক্রো) একজন আইন রক্ষী, খুজতে থাকে পলাতক ভ্যালজেন কে। ‘ফন্টিন’(অ্যান হ্যাথওয়ে) ভ্যালজেনের কারখানার কর্মী যার প্রতি না জেনেই ভ্যালজেন অবিচার করে বসে, যার ফলশ্রুতি তে ফন্টিন কে পতিতাবৃত্তি বেছে নিতে হয় এবং অচিরেই সে প্রান হারায়। ফন্টিন এর পরিনতিতে ভ্যালজেন অনুতপ্ত হয়, সে ফন্টিনের একমাত্র কন্যা ‘কসেট’(আমান্ডা শেফ্রিড) কে দত্তক নেয় ফরাসী বিপ্লবের শুরুর দিকে ফন্টিন প্রেমে পড়ে এক বুর্জোয়ার নাতি ‘মারিয়াস’ এর যে তার ঐশ্বর্য ত্যাগ করে শোষিতের পক্ষে বিপ্লবে নেমেছে। অপরদিকে ‘অ্যাপোনি’ (সামান্তা বার্কস) নামের আর এক তরুণী প্রেমে পড়ে মারিয়াসের, যাকে মারিয়াস বন্ধুর চোখে দ্যাখে। এবং সেই সময় বেজে ওঠে ফরাসী বিপ্লবের দামামা, বিপ্লবে, ব্যারিকেডে, রক্তে উদ্বেলিত হয় ফ্রান্সের রাজপথ......
লা মিজারেবল দেখে আমি প্রথমবার হতভম্ব হয়ে গেছি, এতটাই অবাক হয়েছি যে আমি প্রথমবার শেষ করে আবারো দ্বিতীয়বার সিনেমাটা দেখতে বসেছি। আসলে এটাকে ঠিক সিনেমা না বলে একটু অন্যভাবে বললে বোধয় বেশি মানায়- ‘একটা দীর্ঘ অপেরার ভিডিও’, পুরো সিনেমাটা হুপার এক ধরনের পপ অপেরার মাধ্যমে মঞ্চায়িত করবার চেষ্টা করেছেন, পুরোটা একটা মিউজিক্যাল ফিল্ম, স্ক্রিপ্ট পুরোটা কবিতার মত ছন্দে এবং একই সঙ্গে গান দিয়ে সাজানো। যদিও এখানে বেশ বিছু পুরোন গান ব্যাবহার করা হয়েছে। এবং সিনেমার বিশাল জগত বা সেট থেকে সরে এসে তিনি দৃশ্যের ক্ষেত্রে মঞ্চের সংক্ষিপ্ত পরিসর বেছে নিয়েছেন। প্রচলিত অর্থে আমরা যে ধরনের সিনেমার সেট এবং ক্যামেরার কাজ দেখে অভ্যস্ত তিনি তার থেকে অনেক সরে এসেছেন। যেমন ফন্টিনের জাহাজঘাটের পতিতাবৃত্তির দৃশ্যের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মঞ্চের সেট তৈরি করা হয়েছে এরকম পুরো সিনেমায় ই ছোট মঞ্চের কাজ ই বেশি যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেট কে বিস্তৃত করেছেন , যেমন মুভির শুরুতেই জাহাজ কে টেনে সৈকতে তোলার দৃশ্য এবং মুভির শেষে দীর্ঘ ব্যারিকেড এর দৃশ্যের ব্যপ্তি অনেক এবং দুইটা শট ই অসাধারন মনোমুগ্ধকর। তবে তিনি অনেক বেশি ‘ক্লোজ শট’ নিয়েছেন পুরা সিনেমায়, একই কাজ তিনি করেছেন তার ‘দ্যা কিংস স্পীচ’ এও। মাঝে মাঝে মনে হয় সিনেমাকে ওপেরাটিক করার কারনে বোধয় লো ক্লোজ শটের বাহুল্য দেখিয়েছেন হুপার, আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে বোধয় এই শট টা তার বেশি ই মনে ধরে। হুপার যেভাবে লা মিজারেবল তৈরি করেছেন এটা রীতিমত একটা কস্টোসাধ্য এবং কঠিন কাজ, লা মিজারেবলের মত গল্প কে মিউজিক্যাল ফিল্ম এ রুপান্তর আমি অন্তত কল্পনা করিনি। এবং সবচেয়ে দুসাধ্য যা মনে হয়েছে তা হচ্ছে অভিনেতাদের সেটে গান করতে হয়েছে লাইভ, ঠোঁট মেলানো কে হুপার প্রাধান্য দ্যান নি। এবং এই ব্যাপারটাই ফিল্ম কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এমন কি মুভির মেকাপ ও পোশাক ও মঞ্চ অভিনয়ের মত করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিশেষ করে ইন কীপার ও তার স্ত্রী এর মেক আপ ও পোশাক লক্ষ করার মত। ভাড়ে রুপান্তরের জন্য তাঁদের চড়া মেকাপ দেয়া হয়েছে আবার অনেক ক্ষেত্রে মেকাপে রিয়ালিটি রাখার চেষ্টা করা হয়েছে যেমন ফন্টিনের দাঁত হলুদাভ ছিল স্টার দের মত ঝক ঝকা নয়।
হিউ জ্যাকম্যান এক কথায় অনবদ্য অভিনয় করেছেন, স্পস্টোভাবেই তিনি তার মেধার পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে ‘হু এম আই?’ “লুক ডাউন” “দ্য বিশপ” গানগুলোতে এবং জ্যাভার্ট এর সঙ্গে দ্বন্দ্বযুদ্ধের সময়। একই সঙ্গে অ্যান হ্যাথওয়ে ও কাপিয়ে দিয়েছেন বিশেষ করে ‘আই ড্রীম এ ড্রীম’ গানটায়। এই দুজনের অভিনয় এখনও চোখে লেগে আছে। তবে দুক্ষজনক হচ্ছে আমার কাছে রাসেল ক্রো এর অভিনয় ভালো লাগে নি, তাঁকে অনেক দুর্বল মনে হয়েছে। কোন সময়েই তাঁকে জ্বলে উঠতে দেখিনি এমনকি ভ্যালজেন এর সঙ্গে দ্বন্দ্বযুদ্ধের সময় ও তার বিচরন হিউ জ্যাকম্যান এর পাশে ক্ষীণ।
ওপর দিকে দুজন শিশু অভিনেতার অভিনয় চমৎকার লেগেছে একজন ‘কসেট’ এর শিশু চরিত্র যদিও তার উপস্থিতি সিনেমায় খুব ই কম সময়ের তারপরেও তার ‘ক্যাসল অন এ ক্লাউড’ গান টা এবং এ সময়ের এক্সপ্রেশন টা মন ছুঁয়ে গেছে। আরা একজন যার কথা না বললেই নয় সে হচ্ছে ‘গ্যাভ্রোচ’(ড্যানিয়েল হাটলস্টোন) তার অভিনয় আমাকে হতবিহবল করে দিয়েছে বিশেষ করে ‘লুক ডাউন’ এবং ‘ডু ইউ হেয়ার দ্যা পিওপল সিং?’ গানে। তাঁকে দেখে আমি বেশ অনুপ্রানিত হয়েছি। অ্যাপনি বা সামান্তা বার্কস কে পুরো বেশ ভালই মনে হয়েছে কেবল শেষে এসে ‘আ লিটল ফল অফ রেইন’ গানটায় মনে হয়েছে সামান্তার ব্রেকডাউন ঘটেছে। আমার মতে এই গানটা মোটেও ভালো করতে পারেনি সে। এবং আমি দিন দিন হেলেনা বনহাম কার্টার এর ফ্যান হয়ে যাচ্ছি, যতই তার অভিনয় দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি পাগ্লাটে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তার তুলনা নাই।
সর্বোপরি এমন একটা দুঃসাধ্য কাজের জন্য টম হুপার অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
মুভির শেষে আমার ভেতরে এক ধরনের শুন্যতা কাজ করেছে, কারন পয়েন্ট টু পয়েন্ট মুভিটা আমাকে যথেস্ট আঘাত করেছে, প্রেত্যেক গান মন ছুঁয়ে গেছে। আমার ভেতরে হতাশা, কষ্ট, বিদ্রোহ, ঘৃণা জাগিয়েছে যথাসময়ে। সবচে বড় ব্যাপার হচ্ছে মুভিটা দ্যাখার সময় আমার মনে হয়নি যে আমি উনবিংশ শতাব্দীর ফ্রান্সের কোন ঐতিহাসিক গল্পের পটভুমি দেখছি, বরং মনে হয়েছে আমি আজ এই ২০১৩ সালের এই সময়ের বাংলাদেশ ও পৃথিবী দেখছি। দুশো বছর পরেও আদতে পৃথিবী বদলায় নি, শাসক, শোষক, শোষিত এর সমাপ্তি ঘটেনি পৃথিবীতে। মুভির শুরুতেই যখন লুক ডাউন গানটা শুনি-
“I have done no wrong
Sweet Jesus hear my prayer.
Look down look down
sweet Jesus doesn’t care.”
“Look down Look down
you will always be a slave
Look down look down
You are standing on your grave”
-তখন ভেতরটা ফাকা হয়ে যায় মাথায় বর্তমান দৃশ্য ভেসে ওঠে দাস প্রথার আদৌ বিলুপ্ত হয়নি- অপরিশোধিত, কলুষিত সমাজ ব্যবস্থা, আইন ও ভন্ড আইন রক্ষাকারী দের হাতে এখনও আমরা জিম্মি ও দাস হয়ে আছি। আমাদের শোষিত মানুষেরা সমাজের রক্ষাকারীদের হাতে ঠিক সে সময়ের মতই বন্দি। ঈশ্বর আমাদের ত্যাগ করেছেন বহু আগেই।
আবার ফন্টিন যখন ‘আই ড্রীম এ ড্রীম’ গায় ফন্টিনের হতাশা আমায় গ্রাস করতে থাকে ধীরে ধীরে। সিনেমায় যখন শিশু কসেটে এর আবির্ভাব ঘটে একজন নিঃসঙ্গ শিশু যখন তার স্বপ্নের রাজ্যের কল্পনা করতে থাকে -
“I know a place where’s no one’s lost
I know a place where no one’s cries
crying at all is not allowed,
Not in my castle in the cloud”
আমি তখন কেবল একজন শিশুর আক্ষেপ শুনিনা বরং এই সময়ের লক্ষ লক্ষ সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশু দের দেখতে পাই। আমার বিকলাঙ্গ অস্থি চর্মসার করোটি নিয়ে আমাই কেবল তাঁদের জন্য একটা মেঘের দেশের স্বপ্ন দেখতে থাকি।
সব’চে বড় ধাক্কা পেয়েছি যখন গ্যাভ্রোচ এর আগমন হয় মুভিতে একটা চমকপ্রদ আগমন এবং একটা ভয়াবহ গানের সাথে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বাস্তবতা দেখিয়ে দ্যায় ছোট্টো গ্যাভ্রোচ -
“There was a time we killed the king
We tried to change the world too fast
Now we have got another king
He is no better than the last”
এই টুকু শুনলেই আমার ব্যর্থতা আমাকে খোঁচাতে থাকে, আমার মনে পড়ে এই সময়ের বিপ্লবীদের কথা, আমাদের সহোযোদ্ধাদের কথা, শুভ, রাসেল ভাই, বিপ্লব ভাই, আসীফ মহিউদ্দিন দের কথা যারা পরিবর্তনের জন্য যুদ্ধ করে এক অন্ধ রাজার হাত থেকে আর এক অন্ধ রাজার হাতে পড়েছি। আমরা বোধয় আসলেই খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলেছি।
তার পরেও আমরা স্বপ্ন দেখি, সেই সকল অন্ধ, বধির মানুষদের উদ্দেশ্যে এখনও আমরা গাই এবং গাইবো- জানি একদিন তারাও আমাদের সাথে স্বপ্ন দেখবে , আমাদের পাশে এসে দাঁড়াবে – একদিন কাধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বো আমরা-
“Do you Hear the people sing?
Singing the song of angry man
It is the music of the people
who will not be slaves again
When the beating of the heart
Echoes the beating of the drum
There is a life about to start when tomorrow comes.
Will you join in our cruised?
who will be strong and stand with me?
Beyond the barricade is there a life you want to see?”
(বিঃ দ্রঃ এটাকে মুলত রিভিউ হিসেবে লিখতে চাইনি , চেয়েছিলাম মুভিটা দেখে আমার ব্যক্তিগত অনুভুতি প্রকাশ করতে, কিন্তু তারপরেও মুভির ব্যাপারে বেশ কিছু মন্তব্য হয়ে গেছে অভ্যাসবশত।)
- পিনাক পাণি (নিবন্ধিত নাম)
মন্তব্য
আমার কাছে মুভিটা অসাধারণ লেগেছে। “লুক ডাউন” , ‘আই ড্রীম এ ড্রীম’ , ‘ডু ইউ হিয়ার দ্যা পিওপল সিং" এই গান তিনটা ভয়াবহ ভাবে মনে ধাক্কা দিয়েছে। বইটা পড়ে যে অনুভূতি হয়েছিল সেটা মুভি দেখে হবে না জানা কথা, কিন্তু এই গান তিনটাতেই মনের উপর চাপ পড়ার মত উপাদান আছে।ড্যানিয়েল হাটলস্টোন আর ইসাবেল এলেন এই দুইটা পিচ্চিকেই আমার কাছে দারুণ লেগেছে। রিভিউতে
ধন্যবাদ
-------
পিনাক পাণি
লা মিজারেবল'কে নিয়ে যখন মিউজিকাল ড্রামা ফরমেটে মুভি বানানোর ঘোষণা আসলো তখন থেকেই একটা আতংক নিয়ে বসে ছিলাম। খুব মনে আছে ক্লাস সেভেন/এইটে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে পাওয়া বইটি পড়ে সন্ধ্যার ঝিমিয়ে আসা আলোতে মনখারাপ করে বসে থাকা কিশোর আমিকে। ভিক্টর হুগোর এই অনবদ্য সৃষ্টিটির সেলুলয়েডে কী পরিণতি হয় তাই নিয়েই আমার যত ভয় ছিলো। তার উপর মিউজিকাল ড্রামা ফরমেট!!
খুব ভয়ের সাথেই দেখা শুরু করেছিলাম, খুব লো এক্সপেক্টেশন নিয়ে। কিন্তু শুরুতেই 'লুক ডাউন' গানটি এক লহমায় মস্তিষ্ককে সজাগ করে নিয়েছিলো। প্রতিটা গানে শব্দচয়ন কী যে অসাধারণ হয়েছে তা বলার নয়।
হিউ জ্যাকম্যান তার অতুলনীয় অভিনয়শৈলী দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। রাসেল ক্রো'কে এই ছবিতে বিবর্ণ লাগার একটি অন্যতম কারণ আমার কাছে হিউ জ্যাকম্যানের অতি-শক্তিশালী অভিনয়ই মনে হয়েছে। অ্যান হ্যাথওয়ের ব্যাপারে কিছু বলতে যাওয়া ঝুঁকির, কারণ প্রতিটি নতুন চলচিত্রে তিনি নিজেকেই প্রতিনিয়ত ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। ড্যানিয়েল হাটলস্টোনের কথা না বললেই নয়- পিচ্চি যে কত মানুষকে এই অল্প বয়সে সুপরিণত অভিনয়ের মাধ্যমে ছুঁয়ে গেল তার ইয়ত্তা নেই।
বইয়ের সাথে পুঙ্খানুপুংখ তুলনা করতে চাইনা চলচিত্রটিকে। বরং চলচিত্র হিসেবেই মুল্যায়ন করেই বলতে চাই- অসাধারণ।
মুভি রিভিউ চমৎকার হয়েছে।
---- মনজুর এলাহী ----
জী নিঃসন্দেহে চমৎকার একটা কাজ।
সহমত।
সিনেমাটা দেখে আমিও বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। এক ধরনের এক্সপেকটেশান নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম, কিন্তু শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পর থেকেই অন্য রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। বিশেষ করে হিউ জ্যাকম্যানের অভিনয় আর গান গাওয়ার এই রকম দক্ষতার ব্যাপারে জানা ছিলো না। তবে সিনেমায় রাসেল ক্রো-কে বেশ দুর্বল মনে হয়েছে, গান গাওয়ার ক্ষেত্রে কখনোই স্বচ্ছন্দ মনে হয়নি।
হিউ জ্যাকম্যান অনবদ্য
সিল্ভার লাইনিং এখনও দ্যাখা হয়নি , দেখতে হবে
"লুক ডাউন"-আমার খুব ভাল লেগেছে!!!আর মুভিটি আসলেই অন্যরকম।
আর্গো আর সিল্ভার লাইনিং প্লেবুকও ভাল লেগেছে!!
পোকিয়াস_পোকা
নতুন মন্তব্য করুন