দুস্থ সাংবাদিক ভাই ও বোনদের জন্য সাহায্যের আবেদন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৮/০৪/২০১৩ - ৯:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি সাংবাদিক না ৷ সাংবাদিকতার স ও জানিনা ৷ হয়তবা সঠিক সাংবাদিকতা বা প্রতিবেদনের সম্পর্কে আমার মুর্খতা প্রকাশ পাবে এই লেখাটির মাধ্যমে৷ তবে এতটুকু বলতে পারি যে ৩ -৪ দিন ধ্বংসস্তূপের ভিতর থেকে কোনমতে বেচে ফিরে আসার পর 'আপনার কেমন অনুভূতি হচ্ছে' প্রশ্নটি যত সুপরিচিত সাংবাদিকই করুক না ক্যান, আমার জবাব হত "যেই গর্ত দিয়ে আমাকে বের করেছে, সেটা দিয়ে আপনি ধ্বংসস্তূপের ভিতরে খাবার জল বাতাস ছাড়া, পচন ধরা মৃত দেহের সাথে, বাচার অনিশ্চয়তা নিয়ে ৩-৪দিন বসে থাকুন ৷ তাহলে আমার সঠিক অনুভূতিটা বুঝতে পারবেন ৷"

আমি একটি পরিবর্তিত কর্মসূচির প্রস্তাব দিতে চাই ৷ রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার কাজের সমাপ্তির পর ধ্বংসস্তূপ অক্ষত রাখা হোক ৷ সেখানে যে সব সুরঙ্গ তৈরী করা হয়েছে উদ্ধার কাজের জন্য, সেগুলা দিয়েই আমাদের দেশের গুণসম্পন্ন সাংবাদিকদের পৌছে দিয়ে আসা হোক সেই সব জায়গায়ে যেখানে মানুষ আটকে ছিল ৷ যেই সাংবাদিক এখন যত বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে অনুভূতি সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব জানার বেপারে, তাকে রানা প্লাজার তত গভীরে রেখে আশা হবে ৷ তারপর সুরঙ্গ গুলো ভরাট করে দেয়া হবে৷ এভাবেই তাদের ৩-৪ দিন রেখে বের করে আনা হবে ৷ যারা জীবত বেরিয়ে আসতে পারবে তারা পরিষ্কার ধারণা পাবে 'অনুভূতির' সম্পর্কে ৷ আর একটা হাত পা কাটা গেলে আরো বেশি ভালো বুঝতে পারবে৷ আমি সাংবাদিকতার সম্পর্কে বেশি কিছু না জানলেও এতটুকুন বুঝি যে কোনো 'অনুভূতি' সম্পূর্ণভাবে বুঝতে হলে অভিজ্ঞতার উপর ওষুধ নাই ৷ ভাইয়েরা ও বোনেরা, সরকার, বিরোধী দল, গণজাগরণ মঞ্চ, জামাত-শিবির ও হেফাজত রাজাকারবৃন্দ - সবার কাছে আমার অনুরোধ - আসুন আমরা সব ব্যাবধান ভুলে গিয়ে, একত্র হয়ে আমাদের সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই ৷ যে যতটুকু পারি দান করি, কিছু সিমেন্ট এবং অন্যান্য যা যা লাগে যোগার করি, কিছু ভলান্টিয়ার নিয়ে এই প্রজেক্টটা সফল করি৷ যেই প্রশ্নের জবাব উনারা পই পই করে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খোজার সাহায্যে এগিয়ে যাই ৷ যেভাবে আমরা সাভারের দুর্ঘটনার সময় সবাই এগিয়ে গেছি ঠিক সেভাবেই আমাদের দুর্ভাগা সাংবাদিকদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন৷ এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ৷
Afroza13


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সুবোধ অবোধ

সজল এর ছবি

ভালোই লাগছিল। কিন্তু

ভাইয়েরা ও বোনেরা, সরকার, বিরোধী দল, গণজাগরণ মঞ্চ, জামাত-শিবির ও হেফাজত রাজাকারবৃন্দ - সবার কাছে আমার অনুরোধ - আসুন আমরা সব ব্যাবধান ভুলে গিয়ে, একত্র হয়ে আমাদের সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই ৷

এর মানে কী? সাংবাদিকদের কমন সেন্স শিখাতে গিয়ে রাজাকারদের সাথেও ব্যবধান ভুলে এক হয়ে যেতে হবে? রাজাকারদের অপরাধ সাংবাদিকদের ইনসেনসিটিভিটির চাইতেও কোমল?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

রাজাকার' শব্দটা এইখান সম্ভবত বিশেষণ। ধারনা করছি। লেখক সঠিকটা বলতে পারবেন। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সজল এর ছবি

(১ ভাইয়েরা ও বোনেরা, সরকার, বিরোধী দল, গণজাগরণ মঞ্চ, জামাত-শিবির ও হেফাজত রাজাকারবৃন্দ) - (২ সবার কাছে আমার অনুরোধ) - (৩ আসুন আমরা সব ব্যাবধান ভুলে গিয়ে, একত্র হয়ে আমাদের সাংবাদিক ভাই বোনদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই ৷)

১ সম্বোধন
২ সংযোজক
৩ আহবান

এমনটাই মনে হইল।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

 সাম্পানওয়ালা এর ছবি

আপনার কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। রাতিদিন সাভার বিপর্যয়ের লাইভ টেলিকাস্টে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের প্রতি যেখানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ সেখানে আপনি একধরনের বিদ্রুপ প্রকাশ করছেন। দুশ কিলোমিটার দুরত্ব আর কাজের ব্যাস্ততায় আমি সাভার যেতে পারিন। আমার মত এমন আরো অনেকেই আছে যারা হাজার কিলোমিটার দুরে আছেন কিন্তু সাভার যেতে পারছেন না কিন্তু তাদের মন সাভারের জন্য ছটফট করছে। তাদের জন্য এই দুঃসাধ্য কাজটি নিরলসভাবে সাংবাদিকরা করে গেছেন। আমি গত চারদিন ধরে যখনই টিভি অন করছি তখনই দেখছি প্রায় সব চ্যানেলগুলোতেই কোন না কোন রিপোর্টারের অবিরাম ধারাভাস্য। কখনো লাশ প্রাপ্তির কান্না জড়ানো কন্ঠ আবার কখনো জীবিত মানুষ উদ্ধারের উল্লাস ভেজা কলরব। ঠিক যেমনটি মনে হয়। হয়ত এই আবেগ আপনাকে ছুতে পারেনি, হয়ত অসুস্থদের "কেমন লাগছিল? " বলার মত মহাপাপটাই আপনার চোখে ধরা পরছে তাই বলে এটা ভাবা ভুল যে সবাই আপনার মত টিভি চ্যানেলগুলোতে মহাপাপ ধরায় ব্যাস্ত ছিল। দুঃখিত আপনার আহ্বানে সারা দিতে পারলাম না।

অরফিয়াস এর ছবি

ভাইয়েরা ও বোনেরা, সরকার, বিরোধী দল, গণজাগরণ মঞ্চ, জামাত-শিবির ও হেফাজত রাজাকারবৃন্দ - সবার কাছে আমার অনুরোধ - আসুন আমরা সব ব্যাবধান ভুলে গিয়ে

বুখে আয় বাবুল, বুখে আয় !

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

শিশিরকণা এর ছবি

সাংবাদিকদের বেশিরভাগই অপেশাদার। এরা না কথা বলতে পারেন গুছিয়ে, শুদ্ধ উচ্চারণে, আর এথিক্যাল সেন্স তো নাইই। এদেরকে আসলেই ট্রেনিং দেয়া দরকার। তবে ক্ষোভের মাথায় যেমন বলছেন সেটা দিয়ে তো কোন কাজ হবে না।
আর হ্যাঁ, যদি জামাতি রাজাকারকেও সঙ্গে নিতে চান, নেন, কিন্তু বিভেদ ভুলে নয়। আমরা সব ভুলে যাই দেখেই তো ঘুরে ফিরে এক বৃত্তে নানাভাবে পটকে মরতে থাকি। যদি সাপকে আপনার সহযোগী করতেই হয় সেটা যে বিষাক্ত এবং সে কথাটি মাথায় রেখে করেলেই ভালো হবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মুমূর্ষ মানুষের সামনে মাইকের চোঙ্গা ধরে অনুভুতির বয়ান শুনতে চাওয়া সাংবাদিকতার অংশ হতে পারে না, এই ব্যাপারটা এখনো আমাদের আনাড়ি টিভি সাংবাদিকদের মগজে ঢুকছে না। তাছাড়া অধিকাংশ সাংবাদিকদের আরেকটা ব্যাপার দেখা গেছে, ঘটনার বর্ননা যেন ফুটবল খেলার খোদাবক্সীয় ধারাবিবরনী।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

সাংবাদিকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমাদের সাভারের খবর সরবরাহ করছে, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো কাজ। অনেক মানুষের এ ঘটনা নিজের চোখে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ নেই, বিশেষ করে যারা ঢাকার বাইরে আছেন। তারা এই সাংবাদিকদের মাধ্যমেই এই ঘটনা জানছে, দেখছে। কিন্তু সমস্যা একটাই, সাংবাদিকদের কমন সেন্স কম। যাদের ধংসস্তুপ থেকে বের করে আনা হচ্ছে তাদের এসন অবান্তর প্রশ্ন করা যে অমানবিক, সেটা অবশ্যই সাংবাদিকদের বোঝা উচিত।

-লীলাবতি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।