পৃথিবীর যত দেশেই দাস প্রথার এই ঘৃণ্য অমানবিতা চালু ছিল না কেন আফ্রিকা মহাদেশের নাম সর্বদায় চলে আসে সবার আগে। যুগে যুগে ভাগ্যের এক নির্মম নিষ্ঠুরতার কাছে যেন নতি স্বীকার করেছে এখানকার সাধারণ মানুষ। অনেক ক্ষেত্রে তারা ভিন্ন কোন জনগোষ্ঠীর পেশী শক্তির বলে দাসত্বের এই বেড়ি পড়েছে আবার কখনও নিজ দেশেই কিছু প্রভু শক্তির বলে তারা বশীভূত হতে বাধ্য হয়েছে। ভাবতেও কষ্ট হয় যে সামান্য কিছু পাখি শিকারে সহায়ক এমন কিছু গোলাবারুদের জন্য নিজ দেশের নারী পুরুষকে পর্তুগীজদের কাছে দাস হিসেবে বিক্রি করেছিল এই গোল্ড কোস্টের মানুষেরা। এই নরপিশাচ ঘানার কিছু লোভী বনিকেরা যারা পর্তুগীজদের পাখি শিকারের মনোরঞ্জনের সামগ্রীর জন্য দাস বানিয়ে বিক্রি করেছিল এখানকার মানুষদেরকে।
১৪ শ শতকে এই ঘানাতেই হয়েছে দাস ব্যবসা। আর কেপ কোস্ট নামে পরিচিত ঘানার এই শহরটি মূলত ব্যবহার হত বিভিন্ন দেশ থেকে ধরে আনা কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের আটকে রাখার একটা পোতাশ্রয় হিসেবে।
(১)
(এলমিন ক্যাসেল)
এলমিনো ক্যাসেল ছিল এমনই একটা দাস আটকে রাখার দুর্গ যেখানে জড় করা হত আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধরে আনা দাসদের।
(২)
(৩)
( এলমিনো ক্যাসেলের আরও কিছু ছবি)
ক্যাসেল নামটি শুনলেই মনে পড়ে যায় কোন একটা সময়ে শাসন করা শাসকদের সুরক্ষিত দুর্গের কথা । একই সাথে চোখের সামনে ভেসে আসে সেই সময়ে এই দুর্গ থেকে গড়ে তোলা নানা সংগ্রামের, অনেক গর্ব মাখা ইতিহাস। কিন্তু ঘানার এই এলমিনো কেসেল যেন সাক্ষাত এক নরকের গুহা। এর সাথে নেই কোন গর্ব মাখা গাঁথা আছে অশ্রু ভেজা শোক গীতি, নেই কোন বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম আছে কেবল নিজের সাথে করে চলা টিকে থাকার এক নিরন্তর লড়াই। এই দুর্গের প্রতিটি ইট, পাথর আর দেয়ালের গায়ে কেবলই ক্ষত আর অশ্রুশিক্ত কান্নার প্রতিচ্ছবি। এর প্রতিটা কক্ষই যেন এক একটা বিষাক্ত বায়ুর আবদ্ধ ক্ষেত্র। আর এর মধ্যে বয়ে যাওয়া শত বছর আগের অত্যাচার তা যে কোন সময়ের মানবিকতার বিবেককে হু হু শব্দে কান্নার বয়ে যাওয়া রোলকে একটু হলেও থমকে দেবে। মানবিক বিবেক ভয়ে আঁতকে উঠবে তার চার পাশের দেয়াল ভেদ করে আসা বিভতস্য যন্ত্রণার প্রতিদ্ধনিতে।
ঘানা বিশেষ করে এই কেপ কোস্ট নগরীতে আসার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল অনেকের কাছ থেকে শুনে আসা এলমিনো ক্যাসেল। আফ্রিকাতে অবস্থানের সুবাদে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শুনেছি এখানকার দুঃখ গাঁথা। তাই আগ্রহ নিয়ে চলে এলাম কেপ কোস্টে। আসার দ্বিতীয় দিনেই গেলাম এলমিনোতে। আটলান্টিকের স্রোত এখন এই ক্যাসেলকে তার স্রোতের ধাক্কা দিতে পারে না।
(৪)
তবে আজ থেকে সাড়ে ছয় শত বছর আগে জাহাজ এসে ভিড়ত এই ক্যাসেলের দেয়াল ঘেঁসে। চলত স্লেভ বা দাস বিনিময়। কাউকে নিয়ে যাওয়া হত ইউরোপ আমেরিকার প্রভুদের কাছে বিক্রি করতে আবার অনেক হতভাগাকেই বিক্রির আগে রেখে যাওয়া হত এখানে।
ক্যাসেলে ঢোকার শুরুতেই চোখে পড়বে লোহার এক ঝুলন্ত সেতু। সেতুর উপরে উঠলেই দেখা যাবে শুকনো খাল বা লেক।
(৫)
( ঝুলন্ত সেতু)
(৬)
(সেতুর নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া কৃত্রিম খাল)
এখন এখানে পানি নেই তবে ভালো ভাবেই বোঝা যায় যে দাস দের এই সেতু মাড়িয়ে একবার ভেতরে ঢোকানোর পর তুলে দেয়া হত ঝুলন্ত সেতু। পালানোর কোন উপায় নেই কারণ সামনেই বিশাল লেক। মূলত পর্তুগীজ শাসকেরাই চালাত এই ক্যাসেল। বিভিন্ন দেশ থেকে ধরে এনে হারবার করা হত এখানে।
এবার ব্যাক্তিগত ব্যাগ রিসিপ্সনে রেখে ভেতরে ঢোকার পালা। ক্যামেরা সঙ্গে নিলে লাগে দ্বিগুণ ফেয়ার। তা সে যাই হোক ক্যামেরা সঙ্গে নিয়ে ভেতরে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে ক্যাসেল ঘুরে দেখানোর জন্য পেয়ে গেলাম গাইড। বেশ নাটকীয় ভঙ্গিমায় তিনি আমাদের সব কিছু ঘুরে দেখাচ্ছিলেন আর বলে গেলেন এল মিনোর দুঃখ।
(৭)
ক্যাসেলের মধ্যে ঢুকেই চোখে পড়ে ডানজেন লেখাটি।মূলত দুই রকমের ডানজেন ছিল এখানে। পুরুষ আর মহিলা। সুড়ঙ্গের মত গলি দিয়ে আমাদের নিয়ে যাওয়া হল ফিমেল ডানজেনে।
(৮)
(ফিমেল ডানজেন)
(৯)
(মুল কক্ষে ঢোকার সুড়ঙ্গ গলি)
চার কোন বিশিষ্ট চারটা ঘর। দেখেই বোঝা যায় যে শত শত বছর আগের কারুকাজ। এই সব ঘরের ডিজাইন আর মোটা শিকে বাঁধা এক রকমের জেলখানার প্রতিচ্ছবিকেই বোঝাতে চাইছি। ছোট ছোট চারটা ঘর যার এক একটাতেই আটকে রাখা হত চার থেকে পাঁচ শত মেয়ে দাসদের। চিন্তা করতে পারছিলাম না তখন যে গাইডের দেয়া তথ্য মতে এত কম জায়গার মধ্যে এত বিশাল নারীর অবস্থান কি অমানবিকই না ছিল।
(১০)
(১১)
( ছোট ছোট কক্ষ)
(১২)
(১২)
(আজ এখানে বাদুড়ের বসবাস)
আসলে সকল ক্ষেত্রেই নারীরা একটু বাড়তি যন্ত্রণা আর অত্যাচারের বলি হয়েছে। আর এর মুলে ছিল তাদের দৈহিক গঠন যা পুরুষ তার কাম চরিতার্থ করতে যুগের পর যুগ ব্যবহার করেছে। ফিমেল ডান জেন মূলত পর্তুগীজ প্রহরী আর গভর্নরদের ভোগের রসদ হিসেবে ব্যবহৃত হত। আটকে রাখা প্রায় সকল দাসকেই গভর্নরের শয্যা সঙ্গী হতে হত। মূলত গভর্নর ছিলেন এইসব ক্যাসেলের প্রধান। বাঁচার জন্যে অনেকেই সয়ে নিত সর্বস্ব হারানোর বেদনা। আবার অনেকেই ক্ষোভে লজ্জায় গভর্নরের আদেশ অমান্য করে থেকে যেত যার মূল্য দিতে হত গায়ের রক্ত ঝরিয়ে। সতীত্ব রক্ষার তাগিদে আদেশ অমান্য করা নারীটিকে লোহার শেকল পরিয়ে বেঁধে রাখা হত খোলা আকাশের নিচে।
(১৩)
( বিভিন্ন লোহার শেকল)
(১৪)
( শেকল পড়িয়ে এই লোহার কুণ্ডলিতে বেঁধে রাখা হত)
একদিকে তাকে চাবুক দিয়ে প্রহার করা হত আর অন্য দিকে তাকে দাড় করিয়ে রাখা হত অনাহারে। সেই দাসের জন্য আর অন্য কোন পথ খোলা থাকতো না শুধু মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা ছাড়া। কি নির্মমই না ছিল বিষয়টি, হয়তো পাশের মেইল বা পুরুষ ডানজেনেই আটক আছে ওই মেয়ের স্বামীটি। যে লোকটি এক সময় তার সর্ব শক্তি দিয়ে রক্ষা করেছে তার স্ত্রীকে, যে হয়তো অনেক কষ্ট করে হলেও তা সয়ে নিয়ে সুখ দুঃখ একসাথে ভাগ করে নিয়েছে। অথচ আজ কেউ জানেনা কারো খোঁজ। তবে ওই মেয়েটি হয়তো জানে আজ শুধু রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে নিজের জীবন দিয়ে ওই অপমানের জ্বালা নিভিয়ে যেতে হবে তাকে।
কোথায় থাকতো এই গভর্নর রুপী হিংস্র জানোয়ার তা দেখতে উঠলাম সিঁড়ি বেয়ে দোতলায়। ওই সময় চোখে পড়লো তার হেরেম খানা, রান্না ঘর।
(১৫)
(১৬)
( গভর্নরের কিচেন)
কে হবে তার শয্যা সঙ্গী তা নির্বাচনের জন্য তিনি ঝুল বারান্দা দিয়ে চারপাশ হেটে নির্বাচন করতেন কোন এক হতভাগা নারীকে। এরপর অনেক দিন ধরে রাখা কূপের এই পানিতে প্রথমবারের মত গোসল করিয়ে সাজিয়ে নিয়ে যাওয়া হত তার ওই রাতের শয্যা সঙ্গীকে।
(১৭)
(সেই কূপ)
কথাগুলো শুনতে শুনতে ক্ষোভে আর লজ্জায় নিজের উপর ধিক্কার দিয়েছিলাম। একজন মেয়ে গাইড হিসেবে নারীদের অমানবিকতার বর্ণনা করা যে কতটা বেদনা বিধুর হতে পারে তা লিকলিকে কালো মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়েই বুঝতে পেরেছিলাম সেদিন। ওই কূপের পানি যেন এখনও লজ্জায় স্তিমিত, ওই পাথর যেন ক্ষোভে আজও নিথর, ওই লোহার শিকে যেন আটকে থাকা মানুষের হাতের ঘাম এখনও তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে, চারপাশের দেয়াল যেন শত বছরের বয়ে বেড়ানো শোক আজও বুকে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
এরপর এলাম মেইল ডান জেনের দিকে। ফিমেল ডান জেনের সাথে আকৃতি গত কোন পার্থক্য ছিল না এখানে। তবে খুবই আশ্চর্য লেগেছে বায়ু নিষ্কাশনের জন্য চার কোনা ছিদ্রটি দেখে।
(১৮)
এই সব থাকার ঘরে বাতাস চলাচলের কোন জানালা ছিল না। শুধু উপর দিক দিয়ে ছিল ছোট্ট একটা ছিদ্র যেখান দিয়ে একটু বাতাস আসা যাওয়া করতো। এইটুকুও হয়তো রাখত না শুধু দাস দের ভেতরে চলা নানা কথাবার্তা শোনার জন্যই মূলত এটা রাখা হয়েছিল।
পুরুষদের উপর ছিল ভিন্ন ধরণের অত্যাচার। কেউ কথা না শুনলে অথবা আদেশ অমান্য করলে রাখা হত আইসোলেশন একটা ঘরে। এই ঘর মূলত ছিল হাউজ অব ডেথ। দরজার উপরের চিহ্ন দেখেই তা বোঝা যায়। এখানে আসা মানেই সে আর ফিরে যাবে না, অথবা তাকে আর বিক্রি করা হবে না। তার মানে কিন্তু এই নয় যে সে বেঁচে গেল। নানা ভাবে অত্যাচার করে এই ঘরে আটকে রাখা দাসদের মারা হত।
(১৯)
(হাউজ অব ডেথ)
শোনা যায় যে পর্তুগীজ বিভিন্ন আদেশ অমান্যকারি সৈনিকদেরও এখানে এনে মেরে ফেলা হত। নাটকীয় ভাবে সেই গাইড আমাদের সবাইকে এই হাউজ অব ডেথে ঢুকিয়ে গুড বাই বলে বাইরে থেকে তালা আটকে দিয়েছিল। তখন কয়েক সেকেন্ডের সেই নাটকীয় ভূমিকার অংশে থেকেই বুঝেছিলাম দিনের পর দিন আটকে থাকা ওইসব মানুষদের জীবনে কি অমানবিকতার অমানিশার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।
হাউজ অব ডেথ থেকে বের হলেই ছোট খাট একটা মিউজিয়াম যা পর্তুগীজ সময়ে একটা চার্চ চিল। মূলত এই ক্যাসেলটি ১৬ শতকের দিকে ডাচরা দখল করে নেয়। তখন এটি তারা এটি সৈনিক মেস হিসেবে ব্যবহার করতো। তবে ডাচ দখল করলেও মূল যে দাস ব্যবসা তা কিন্তু তখনও অর্থাৎ ডাচ দের শাসনামলেও চালু ছিল। আটকে রাখা মানুষদের সাথে আচরণেও এই ডাচরা ছিল পর্তুগীজদের মতই।
(২০)
(মিউজিয়ামের ভেতরে)
(২১)
( চার্চের কিছু তথ্য)
এরপর গাইড বললেন ‘লেটজ গো টু দা পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’।
(২২)
মিউজিয়াম থেকে ছুটে গেলাম মেইল ডানজেন পাড় হয়ে তার পরের একটা ছোট্ট ঘরে। আবছা আলো আধারি অবস্থা যেন ভেতরে। প্রথমে কিছুই দেখা যায় না। কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকলে ডার্ক এডাপটেসান হয়। আর তখনই দেখলাম একপাশেই রাখা কিছু ফুলের তোড়া। পাশ থেকেই একজন জানতে চাইলো এই ফুলের রহস্য। মুহূর্তেই জানানো হল এই পয়েন্ট থেকে শেষ বারের মত বিদায় নেয়া দাসদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের মত আসা অনেক টুরিস্ট এই ফুলগুলো সেই সব ভাগ্যাহত মানুষদের জন্যে উৎসর্গ করে রেখে গেছেন। শ্রদ্ধায় আমাদেরও মাথা অবনত হয়ে গেল।
(২৩)
( শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে থাকা ফুল)
আসলে এই পয়েন্টটির নাম শুনলেই বোঝা যায় যে এখানে যে আসে সে আর ফিরে যেত না। অর্থাৎ বিক্রি করতে জাহাজে ওঠানোর আগে এই পয়েন্টে শেষ বারের মত আনা হত পুরুষ অথবা মেয়ে দাসদের। শেষবারের মত এখানে দেখা করতে দেয়া হত পাশের রুমেই আটকে থাকা তাদের স্বামী স্ত্রীর সাথে। উপরে দেখতে পাওয়া ড্রেন দিয়ে নামিয়ে দেয়া হত মেয়ে দাসদের।
(২৪)
( এই ড্রেন দিয়ে নামিয়ে দেয়া হত নারী দাস দের)
(২৫)
( পয়েন্ট অব নো রিটার্ন)
প্রবহমান পানির স্রোতে ভেসে চলে আসতো নিচে যেখানে শেষবারের মত তার স্ত্রীকে দেখার জন্য অপেক্ষমান দাড়িয়ে তার স্বামী। শেষ দেখা, শেষবারের মত বলে যাওয়া শেষ কিছু কথা। এরপর ছোট্ট দরজা দিয়ে পাশের রুমে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর ছোট্ট লোহার গেট দিয়ে তুলে দেয়া হত অপেক্ষমান জাহাজের কেবিনে। তারপর আর কারো দেখা নেই। মুহূর্তেই যেন হারিয়ে গেল যেন দুজনে।
পয়েন্ট অব নো রিটার্নেও আমাদের একইভাবে আটকে রাখা হল। এক মিনিটের জন্য শুধু মাত্র সে সময় আটকে থাকা মানুষদের কষ্টটা উপলব্ধি করানোর জন্যে। এই কষ্ট আসলে উপলব্ধি করতে চাইনি আমি। এই কষ্ট উপলব্ধি করা যায় না। এই ব্যথা অনুভব করার সেই ক্ষমতা আমার নেই। শুধু এইটুকুই বলি যারা এই কষ্ট সয়েছেন , যারা আমাদের মতই রক্তে মাংসে গড়া মানুষ হয়ে অমানসিক এই বিভীষিকা সয়ে গেছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তাই এই ব্যথা আর উপলব্ধি করার প্রয়াস চালায়নি সেদিন। শুধু নিশ্চুপ নীরবে নিশ্চল দাড়িয়ে ছয়শত বছর আগের এই কেপ কোস্টের মানুষের কথা ভেবেছি। আর শিউরে উঠেছি সেইসময়ের হার মানানো বর্বরতার চিহ্ন দেখে। এরাও তো মানুষ, এদেরও তো সংসার ছিল, ছিল স্বপ্ন আশা ভালোবাসা, সংকল্প, তবে কেন এই অমানবিকতা সেদিন!!
অমি_বন্যা
মন্তব্য
উফফ, পড়তে গিয়েই শিউরে উঠছিলাম সেই ভাগ্যাহত মানুষগুলোর কথা ভেবে। আস্ত একটা সমাজব্যবস্থায় দাসপ্রথার এই অমানবিক প্রক্রিয়াটি এই কিছু দিন আগেও কেমন স্বাভাবিক ছিল, তা চিন্তা করলে প্রচণ্ড অস্বস্তি লাগে।
---- মনজুর এলাহী ----
আমাদের সাথে থাকা গাইডের বর্ণনা শুনে তখন আমারও গা শিউরে উঠেছিল।
facebook
কথা হচ্ছে দাসত্ব এখনও উঠে যায় নি। শ্রেফ ভোল পাল্টেছে।
--- পিনাক পাণি ---
নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম - ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ স্যাম দা।
গা শিউরে ওঠার মত । বিড়ম্বিত ইতিহাস,যদিও শিরোনামটা হাস্যোদ্রেককারী । অনেক কষ্ট করে লিখেছেন বোঝাই যাচ্ছে । দারুণ ইনফর্মেটিভ । ভালো হচ্ছে, চালিয়ে যান
তালেব মাষ্টার
চালিয়ে যাবো আশা রাখি।
মনে করিয়ে দিলেন সেই কিন্তাকুন্তের কথা। ওফ, কি অমানবিক! এইসব স্থাপনাগুলো অনন্তকাল ধরে থাকা উচিত, রক্ষনাবেক্ষণ করে রাখা উচিত ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের নমুনা হিসেবে। আমরা যাতে দেখতে পাই যে আমরাই কেবলমাত্র ফার্স্ট বা সেকেন্ড জেনারেশন অমানুষ নই, আমরা অমানুষ আমরা হয়েছি শত শত বছর ধরে।
ভাই, সম্ভব হলে আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস একটু মেসেজে দিয়েন প্লিজ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃ দা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমার মেইল এ্যাড্রেস
এইটা নিয়ে কোন একটা ডকুমেন্টারিতে জানি দেখেছিলাম।
ভীতিপ্রদ বিবরণ!
তা হতে পারে।
নতুন মন্তব্য করুন