সচলায়তনে এটাই প্রথম লিখা। কখন ভাবিনি যে কিছু লিখব। আসলে আমি লেখক নই, পাঠক। সচলে রেজিস্ট্রেশান করেছিলাম প্রিয় লেখাগুলোতে কমেন্ট করার জন্য। সচলে প্রথম যে লেখা পড়ি তা চরম উদাস এর, পরে এত মজা পেয়াছিলাম যে কমেন্ট করতে ইচ্ছা হোল। তারপর ধীরে ধীরে অন্য অসাধারন সব লেখকদের লেখা পড়তে পড়তে কখন যে সচল এত আপন হয় গেছে বুঝতে পারিনি। এখন অফিস এ এসে প্রথমে সচল খুলি, নতুন লেখাগুলি দেখলে খুশি লাগে। কিছু কিছু লেখকের লেখা পড়লে মনে হয় এতো আমার মনের কথা লেখক কিভাবে জানলো? আমার মত মানুষ যে আসলে ১০০% পাঠক তার আজকে লিখতে বসার কারণ মানসিক অস্থিরতা। গত কিছুদিন থেকে দেশে এত ভয়ঙ্কর সব ঘটনা ঘটে চলছে যে আমার মত সাধারন মানুষ যারা বাংলাদেশে বাস করি তাদের পক্ষে শান্ত থাকা মুস্কিল। রানা প্লাজার ঘতনার পরে আমাদের মন্ত্রীদের , রাজনীতিবিদদের ডায়লগ শুনে শুধু মনে হচ্ছিল কেন বধির হয়ে যাই না তাহলে আর কিছু শুনতে হত না। আবার সাধারন মানুষের এগিয়ে আসা দেখলে মনে আশা জাগে এখনও মনে হয় সব শেষ হয়ে যায় নি। সহস্র স্যালুট সেইসব মানুষদের যারা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে অসহায় মানুষগুলোকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু গতকালের 'হেফাজতে ইসলামী' নামক দানবদের তাণ্ডব দেখার পর মনে হচ্ছে আর কোন আশা নেই, সব শেষ। আমার প্রিয় মাতৃভূমি এখন জানোয়ারদের হাতে চলে গেছে। আমার অফিস বানানী আর বাসা মালিবাগের কাছাকাছি, অনেক লম্বা রাস্তা। গতকাল অফিস থেকে বাসায় ফিরার পথে মৌচাক পর্যন্ত আসার পরে দেখি আর সামনে যাওয়া যাচ্ছে না, রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। রাস্তায় ১৫/১৬ বছরের ছেলেরা টুপি মাথায় দিয়ে হাতে লাঠি নিয়ে ভাংচুর করছে। সি এন জি ড্রাইভার তাড়াতাড়ি ভিতর দিয়ে ঘুরে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। যারা এই অল্প বয়স্ক বাচ্চাদের হাতে লাঠি তুলে দিচ্ছে, তাদের মনে দেশপ্রেমের বদলে ধর্মান্ধতার বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে তাদের কি আমরা কিছুই করতে পারব না? আমারা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি, এরশাদ বিরোধী আন্দলনের সময় রাজনীতি বুঝার মত বড় ছিলাম না তারা এবারের গণজাগরণ দেখে তাদের বুকের মধ্যে একটা আশা তৈরি হয়েছিল যে আমার দেশ এখনও নষ্ট হয়ে যায় নি, কিন্তু গতকিছু দিনের একের পর এক ঘটনাতে মনে হচ্ছে সত্যি কি এই দেশ কখনও এমন হবে যেখানে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে, ধরমানুভুতি এত ঠুনকো হবে না যা কারো সামান্য কথাতে ভেঙ্গে যাবে, কাউকে আর বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে না পাওয়ার কষ্ট নিয়ে মরে যেতে হবে না? নাকি সব কিছু শুধু নষ্টদের অধিকারে যাবে?
মন্তব্য
না, সবকিছু আমরা নষ্টদের অধিকারে যেতে দেবো না।
আমরা পাঁজরে পাঁজরে দুর্গ গড়ে তুলবো।
আপনার প্রথম লেখা প্রকাশ হবার জন্যে আপনাকে অভিনন্দন।
চালিয়ে যান।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
সুবোধ অবোধ
৭৫ থেকে উল্টা চলতে চলতে আশার আর কিছু অবশিষ্ট রাখে নাই...
সেটাই মনে হচ্ছে ।।।।।।।ইদানীং পরিচিতদের নতুন নতুন চেহারা দেখতে পাই
স্বাগতম।
লেখকের নাম কই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
। আপনার লেখা অনেক আগ্রহ নিয়ে পরি।।।।। নাম দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
ইসরাত
খাইছে, আমার লেখাও কেউ আগ্রহ নিয়ে পড়ে!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নাম দিতে ভুলে গিয়েছিলাম
ইসরাত
লমা স্ট্যাটাসের থেকে ব্লগ লিখে ফেলা ভালো। নাহ! আমার দেশ্তাকে বাচাতে হলে আমাকেই কিছু করতে হবে। যে যার জায়গায় থেকে। আমার মনে হয় মানুষে মানুষে কথা বলা খুব জরুরি। দুই নেত্রীর আলাপের চেয়ে আমাদের মাঝে আলাপ হওয়া বেশি দরকার। আমরা সবাই এক কথাই ভাবছি প্রায় কিন্তু ভয়ে বলছি না, পাছে কি ভাবে। পথে ঘাটে সবার সাথে আলাপ করুন, কেমন দেশ চান তাই নিয়ে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ঠিক বলেছেন।।।।।।কিন্তু গত ফেব্রুয়ারী থেকে চারপাশের মানুষের নতুন রূপ দেখতে দেখতে হতাশ। বহু পুরান ২জন ফ্রেন্ড এর সাথে বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটে গেছে।অনেকে বাহিরে থেকে দেখলে খুব মানবতাবাদী কিন্তু যেই ধর্ম আসলো অমনি আর কোন কিছু চিন্তা করতে পারে না। এইটা বুঝে না যে মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই। সবাই শুধু বেহেস্তে যাইতে চায়!!!!!!
শেষ লাইনটাই আসলে এত কিছুর কিছুর জন্য দায়ী
ঠিক বলেছেন
লেখা আরেকটু লম্বা করতেন। ব্লগে এমনই হয়, পাঠক থেকে লেখক। পড়তে পড়তে একসময় মনে হয় আমার মনের কথাগুলা একটু জানাই। সেখান থেকেই লেখালেখি শুরু। লেখা চালিয়ে যান
আমিতো লেখক না।।।।।মনের রাগ মিটানোর আর কিছু না পেয়ে কিবোর্ড ।।।। আপনার লেখা কবে পাব, মাঝখানে কিছুদিন তাড়াতাড়ি লেখা দিয়েছিলেন এখন আবার বিরতি দিচ্ছেন কেন? দ্রুত লেখা চাই।।
সচলায়তনের নেশা একটা অভিশাপ।
লিখতে থাকুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সচলে স্বাগতম। পাঠকের মুগ্ধতা থেকেই তো আমরা একেকজন লিখতে শুরু করেছিলাম। লেখা চালিয়ে যান।
অনেক শুভ কামনা।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
সবকিছু অনেক আগেই নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে। দেশটা এখন অবার্চীন রাজনীতিবিদ আর ধর্মান্ধদের দখলে।
প্রথম লেখা প্রকাশের জন্য অভিনন্দন।
স্বপ্নহারা মানব
নতুন মন্তব্য করুন