বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভিওআইপি (VoIP) আতংক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৮/০৫/২০১৩ - ৮:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ রাতে বিডিনিউজে প্রকাশিত একটা খবরে অনেকেই দুশ্চিন্তিত হয়েছেন। কেউ কেউ বিরক্ত হয়েছেন। খবরটির শিরোনাম, ইন্টারনেট আপলোড গতি কমলো।

এইটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয় যে, আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকের কাছে (যারা শব্দটির সাথে পরিচিত) ভিওআইপি শব্দটি নিষিদ্ধ একটা অনুভূতি নিয়ে আসে- যেমনটা হয়তো আনে মাদক কিংবা পতিতাবৃত্তি। অথচ ব্যাপারটা এরকম হওয়া উচিত না। ভিওআইপি একটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার রীতিমতো যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব, ইন ফ্যাক্ট ঘটে যাচ্ছে। সারা বিশ্বে অসংখ্য গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কীভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত এবং আরো সুলভ করা যায়। সেখানে আমরা, বাংলাদেশিরা ক্রমাগত "অবৈধ ভিওআইপি" নামক হাস্যকর এক জুজুর আতংকে ভুগছি।

গুগলে যদি আপনি সার্চ করেন, How to prevent illegal VoIP লিখে, অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন প্রথম পাতার প্রায় সব ক'টি সার্চ রেজাল্টই বাংলাদেশের ইলিগ্যাল ভিওআইপি নিয়ে। এটা বেশ পরিষ্কার হয়ে যায় যে, illegal VoIP নামক অদ্ভুত এই শব্দদ্বয় নিয়ে বাংলাদেশেরই যতো মাথা ব্যথা। আমি টেকনিক্যাল কামলা শ্রেনীর লোক। বিগত অনেক বছর ধরেই এই সেক্টরে কামলা দিয়ে যাচ্ছি, তাই আইনগত দিক নিয়ে মন্তব্য করবো না। তবে বিভিন্ন সময়ে এইসব বিতর্কে আগ্রহী হয়ে ইন্টারনেট ঘেঁটে বিভিন্ন দেশের ভিওআইপি পলিসি পড়ে দেখার চেষ্টা করেছি। আমেরিকাসহ নানা দেশের ভিওআইপি পড়ে মোটের উপর যেই ধারণাটা হয়েছে, উন্নত বিশ্বেও ভিওআইপিকে আপাতত কঠোর কোনো শেকলে বাঁধা হয়নি, সঙ্গতকারণেই। সেখানে এই প্রযুক্তিকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। একদম রেগুলশনহীনভাবে চলছে না, তবে বাংলাদেশের মতো এমন ফৌজদারি আইন টাইপ ব্যাপার স্যাপারও সেখানে নেই।

বাংলাদেশ এমনিতেই প্রযুক্তিগতভাবে বেশ পিছিয়ে থাকা দেশগুলির একটি। মিটিং মিছিলে শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ বললেই দায়িত্ব চুকে যায় না। জেলাপর্যায়ের ওয়েবসাইট বানানো এবং আরো নানা তথ্য অনলাইনে সহজলভ্য করে দেওয়ার যে প্রচেষ্টা, তার জন্য প্রাপ্য কৃতিত্ব দিয়েই বলতে চাই যে, প্রকৃত ডিজিটাল যুগের ধারণা আরো অনেক বেশি অগ্রসর। দ্রুতগতির ইন্টারনেট এবং সুলভ যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া ডিজিটাল দেশের কথা হাস্যকর শোনায়। এটা বিরাট বড় আয়রনি যে, ডিজিটাল দেশের স্লোগান নিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকারই তার শাসনামলে দুইদফা ইউটিউব বন্ধ করেছে, ফেসবুকও একবার বন্ধ করেছিলো; মূর্খতার তালিকায় একদম সাম্প্রতিক সংযোজন হলো, আপলিঙ্কের গতি কমিয়ে দেওয়া। সরকার কিংবা বিটিআরসি কার বুদ্ধিতে এসব কাজ করে জানি না, তবে সে লোক মূর্খ কিংবা সরকারের শত্রু হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

আপলিঙ্কের গতি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা এতোটাই হঠকারী পর্যায়ের যে, একে ব্যাখ্যা করার ভাষাও আমার নেই। তুলনা হিসেবে বলতে পারি, এই সিদ্ধান্ত অনেকটা এরকম হয়েছে যে, আপনার ঘরে একজন যক্ষারোগী থাকার কারণে আপনি নিজে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন না। আমি নিশ্চিত বিটিআরসির লোকজন এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার আগে ভেবেছেন যে, "আপলিঙ্ক ভিওআইপি ছাড়া আবার কী কাজে লাগে? ডাউনলিঙ্ক তো আর কমানো হয়নি!" ; আমি অবশ্য এতোটা নিশ্চিত হয়েছি কর্মসূত্রে এই প্রতিষ্ঠানটির নানা স্তরের কর্তাব্যক্তিদের সাথে আলাপচারিতায় তাদের সম্পর্কে যে ইমেজটা গড়ে উঠেছে, তার মাধ্যমেই। তারা হয়তো এটা ভুলে গেছেন যে, ইন্টারনেট শুধু একমুখী অর্থাৎ ইউনিডিরেকশনাল যোগাযোগের মাধ্যম না। ইমেইলে ডকুমেন্ট অ্যাটাচ থেকে শুরু করে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবি আপলোড করা- সবকিছুই আপলিঙ্ক দিয়ে হয়। সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যে কী ভোগান্তিতে পড়বে, সেটা বোঝার মতো টেকনিক্যাল জ্ঞান এদের আছে বলে আমার কখনোই মনে হয়নি। সাধারণ জনগণের বাইরে সবচে বড় ভুক্তভোগী, ইন ফ্যাক্ট সম্ভবত সবচে বাজেভাবে ভুগছেন, যারা আউটসোর্সিং এর কাজে করে থাকেন। এছাড়া আপলিঙ্ক স্পীডের দুর্গতিতে ফর্ম সাবমিশন করার মতো কাজেও ভয়াবহ সমস্যা হওয়ার কথা। এমনকি অনলাইনে যদি কেউ ফাইনানশিয়াল ট্রানজাকশন করতে চান, তাতেও প্রচণ্ড ঝামেলায় পড়তে পারেন।

এখন প্রশ্ন হলো, বিটিআরসি তাহলে কীভাবে "অবৈধ" ভিওআইপি বন্ধ করবে? এর একমাত্র উত্তর হচ্ছে অট্টহাসি কারণ অবৈধ ভিওআইপি জিনিসটাই এক হাস্যকর শব্দ। যতোদিন বিটিআরসি (বস্তুত সরকার) তার এই প্রাগৈতিহাসিক কালের মনোভাব না বদলাচ্ছে, সেই পর্যন্ত কোনো উন্নতিই হবে না। মজার ব্যাপার হলো, নিশ্চিন্তে এই ভবিষ্যতবানীটা করা যায় যে বিটিআরসি কিংবা সরকার তাদের এই মনোভাব অচিরেই বদলাবে না। কেন বদলাবে না? কারণ যেখানেই "বৈধ এবং অবৈধ" শব্দদুটি আছে, সেখানেই এক্সট্রা টু-পাইস কামানোর সুযোগ আছে। আজ যদি ভিওআইপি টেকনোলজিকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় অর্থাৎ যে ধরনের বিজনেস মডেল পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলি ফলো করছে, সে পথে হাঁটা হয়, বাজি ধরে বলা সম্ভব যে অবৈধ ভিওআইপি ধরনের উদ্ভট কথাবার্তা আর শুনতে হবে না। কিন্তু সরকার সম্ভবত সে পথে হাঁটবে না। কেন হাঁটবে না? কারণ ভিওআইপি এইদেশের হোমড়া চোমড়া লোকজনের সোনার ডিম পাড়া হাঁস। মাঝে মধ্যে এরকম তর্জন গর্জন করে সব থেমে যাবে, আর যারা ব্যবসা করার তারা করবেই। আমার পক্ষে প্রমাণ দেখানো সম্ভব না, এবং আমি তাতে আগ্রহীও না- কিন্তু এই সেক্টরে যারা কাজ করছেন, তারা সকলেই জানেন সর্ষের ভিতরে কী বিপুল পরিমাণ ভূত আছে। জনশ্রুতি আছে যে মন্ত্রনালয় এবং খোদ বিটিআরসির অনেকেই এর সঙ্গে প্রবলভাবে জড়িত। রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠাণ বিটিসিএল যে দেশের সবচে বড় ভিওআইপির কারখানা, এ কথা এখন প্রমাণিতই। মাঝে মাঝেই পত্রিকাতে দেখবেন বিটিসিএলের নানা পর্যায়ের নানা কর্মকর্তার নাম উঠে আসছে এসব প্রসঙ্গে। যেহেতু প্রমাণ দাখিল করা সম্ভব না, তাই এ বিষয়ে আর কিছু বলারও দরকার দেখি না। আগ্রহীরা এই সেক্টরের পরিচিত কারো সাথে কথা বলুন, অনেক কিছুই জানবেন।

আমজনতা আন্দাজও করতে পারে না, এই খাতে কী পরিমাণ টাকা উড়ে বেড়াচ্ছে। শুধুমাত্র সঠিক জায়গায় সঠিক লোকটিকে চেনা থাকলে এবং আপনার এথিকাল ব্যারিয়ারটিকে দূর করে দিতে পারলে আপনি শুধুমাত্র দুই বছরের ভিওআইপি থেকে এতো বিপুল পরিমাণ কামাতে পারবেন যে, আপনার অন্তত আগামী এক পুরুষ আর কিছু চিন্তা করা লাগবে না। মুখে যতো কথাই বলুক, বাংলাদেশে এমন কোনো মন্ত্রী বা আমলা নেই, যে এই টাকার উৎসে আঘাত করতে পারবে। সত্যি বলতে কী, বিটিআরসির অজানা কিছুই নেই। আমি খুব শক্তভাবে বিশ্বাস করি যে কারা কারা এই ব্যবসা করছে, তাদের যন্ত্রপাতি কোথায়-সে বিষয়ে সব তথ্যই বিটিআরসির কাছে আছে। তারা যদি ভিওআইপির বৈধ-অবৈধ এসব ক্লাসিফিকেশন চালু রেখেও অবৈধ ব্যবসা আসলেই বন্ধ করতে চায় , তবে তারা সেইসব রাঘববোয়ালদের ধরুক, সেই ভিওআইপি অপারেশন শাট ডাউন করে দিক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, প্রথমত রাজনৈতিক এবং অন্যান্য কারণে তাদের পক্ষে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব না। দ্বিতীয়ত তারা নিজেরাই অনেকে এরসাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছেন। নার্কোটিকসের চক্র যেমন অত্যন্ত শক্তিশালী, পৃথিবীর প্রায় কোনো দেশই ভাঙ্গতে পারেনা- তেমনি শক্তিশালী বাংলাদেশে এই ভিওআইপি ব্যবসার চক্র। এতো অল্প বিনিয়োগে, এতো কম সময়ে এতো বেশি টাকা বানানোর মতো আর কিছুই নেই এই দেশে, কাজেই এ ব্যবসা চলবে আর মাঝে মাঝে টম অ্যান্ড জেরির পাতানো খেলাও চলবে। খুব র‍্যাডিকাল কিছু না হলে সুদূর ভবিষ্যতেও এর থেকে উত্তরণের কোনো আশা নেই। ইতমধ্যেই প্রতিষ্ঠাণ হিসেবে বিটিআরসি নিজেকে মোটামুটি ভিওআইপি ধরার পুলিশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, অবৈধ ভিওআইপি ধরাতেই এই প্রতিষ্ঠানের যতো আগ্রহ দেখা যায়। আর মাঝেমধ্যে লাইসেন্স বিক্রি। আমার স্মৃতিশক্তির ব্যর্থতা হতে পারে, তবে এমন কোনো রেগুলেশন আজ পর্যন্ত বিটিআরসি সেট করেছে বলে আমি মনে করতে পারলাম না, যাতে প্রযুক্তি জনগণের কাছে সুলভে পৌছায়- জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারে।

এইসব নাটকে একমাত্র ক্ষতি দেশের জনগণের। লোক দেখানো অভিযোগে বিটিআরসি আপলিঙ্কের গতি কমানোর মতো হাস্যকর সব কাজ করবে। তাদের এই মূর্খতার শিকারে হয়ে দেশের লোকজন আউটসোর্সিং এর টাকা হারাবে, এমনকি বড় কোনো ডকুমেন্ট ইমেইল পর্যন্ত করতে ঘাম ঝড়াবে। অবশ্য সেটা খুব বড় সমস্যা না। কারণ দেশের ভবিষ্যত যাদের হাতে, তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না এবং তাদের ছেলে মেয়েরাও থাকে বিদেশে।

বাদ বাকি ষোলো কোটি বাঙালি মরুক, কার কী আসে যায়?

লেখকের নাম:
অমায়িক সত্যভাষী


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

হাততালি
দারুণ প্রয়োজনীয় লেখা।
বুদ্ধির ঢেঁকী বা জুতা আবিস্কার এর কথা গল্প কবিতায় পড়েছি। বিটিআরসির কল্যাণে বাস্তবে দেখলাম।

পিনাক পাণি এর ছবি

ব্যক্তি জীবনে আমি মোশান গ্রাফিক্স ডিজাইনার, আমার সকল ভারী ভারী কাজ আপলিঙ্কে ক্লায়েন্টের কাছে পাঠাতে হয় এবং ভবিষ্যতেও হবে।এই হঠকারী সিদ্ধান্তে এখন আমি দুচোখে কেবল সর্ষেফুল ই দেখছি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রাব্বানী এর ছবি

There is something sinister (and 'minister') about internet upload speed reduction in BD!

সুরঞ্জনা এর ছবি

বাংলায় মন্তব্য করলেই ভালো হয় হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশের ভবিষ্যত যাদের হাতে, তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন না এবং তাদের ছেলে মেয়েরাও থাকে বিদেশে।

বাদ বাকি ষোলো কোটি বাঙালি মরুক, কার কী আসে যায়?

চলুক

আর পুরো লেখার জন্য হাততালি

সুবোধ অবোধ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বর্তমানে যারা নীতি নির্ধারকের ভূমিকায় আছেন, তারা সবাই ধড়-পাকড় প্রজন্মের রাজনীতিক। ব্রিটিশ আমল থেকে এরশাদ আমল পর্যন্ত রাজনীতির এটাই ছিলো paradigm. ইন্টারনেট বিপ্লব আসার পর যেই নতুন বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, তা উপলব্ধি করতে তারা অপারগ। ফলাফল হলো, ইউটিউব বন্ধ করে রাখা কিংবা আপলিঙ্ক ৭৫% কমিয়ে দেওয়া যে আরিচা ঘাট এক বছরের জন্য বন্ধ রাখার সমতুল, সেটা কর্তাদের মোটা মাথায় প্রবেশ করে না।

আমি এই সমস্যা থেকে আশু উত্তরণ দেখি না। এই প্রজন্মের রাজনীতিকরা বুড়ো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এইসব হাবিজাবিই দেখে যেতে হবে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ইন্টারনেট রাখার দরকার কী? বন্ধ করে দিয়েই তো ঝামেলা চুকে যায়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই সমস্যায় দুদিন ধরে ভুগছেন আমার বাবা-মা। এতদূর থেকে আমার বাচ্চাটাকে দেখার একমাত্র উপায় স্কাইপ কাজ করছে না দু'দিন হলো। আজ যাও ভিডিও দেখা গেলো, কথা আসছে ভেঙ্গে। আউটরেজিয়াস!

মরুদ্যান এর ছবি

বিটিআরসি একটা ** প্রতিষ্ঠান। এরা টাকা খাওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে। এককালে এরা সব টেলকো রে জরিমানা কইরা কয়েকশ কোটি টেকাটুকা কামাইসিল, তখন শুনসি বিটিআরসির হোমরা চোমরা রা ৭০-৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাট কিনসে একেকজন।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

অমি_বন্যা  এর ছবি

আমি এই সমস্যা থেকে আশু উত্তরণ দেখি না। এই প্রজন্মের রাজনীতিকরা বুড়ো হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এইসব হাবিজাবিই দেখে যেতে হবে। দেঁতো হাসি

ঘুমকুমার এর ছবি

অদ্ভুত এই সব লোকদের চিন্তা ভাবনা। বিটিআরসি তে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরি নেওয়ার জন্য কি এস এস সি পাশ করলেই চলে??
আমি তো ভাবছিলাম মহাসেনের প্রভাবে ইন্টারনেটের ১২টা বেজে গেছে! এখন দেখি এই কাহিনী!!

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

আর বাড়াবে, এক ইউটিউব টাই এখন ও খুলতে পারলো না

কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো , আমরা এমন বি টি আর সি নিয়া কি করিব ?

সাইদ এর ছবি

BTRC = Bangladesh totally retard commission

কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন...বিটিআরসিতে তো অনেক প্রকৌশলী কাজ করেন নীতি নির্ধারক পর্যায়ে...তারা কেন এসব জিনিস তথাকথিত আমলা নামের কামলাদের বুঝাতে পারেন না...

চেরাগদান এর ছবি

"আপলিঙ্ক ভিওআইপি ছাড়া আবার কী কাজে লাগে? ডাউনলিঙ্ক তো আর বন্ধ করা হয়নি।"
যাহাদের ঘাড়ে নীতি নির্ধারণের এই গুরুদায়িত্ব চাপানো হইয়াছে তাহাদের "গাধা" বলিলে বোধ করি খুশিই হইবেন।
বটে, গাধা বলিয়াছে, গরু তো আর বলে নাই।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

আর কত? ভিওআইপির ক্যানো ১০০টা লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে না? আরো ১০০টা কম্পানিকে লাইসেন্স দিয়ে তাদের রেভেনিউ শেয়ার নিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। যখন বৈধটা সুলভ হয়, তখন কে যায় 'অবৈধ' কারবার করতে? এসব হবে না, কারণটা যদিও আন্দাজ করতে কষ্ট হয় না। কবে আমরা এমন কিছু নেতা পাবো যারা আমদের জন্য ভাববে, নিজের জন্য না।

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

চলুক

তানিম এহসান এর ছবি

প্রকৃত ডিজিটাল যুগের ধারণা আরো অনেক বেশি অগ্রসর।

দারুণ লেখা, খুবই প্রয়োজনীয়। চলুক চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

যে প্রজন্মের লোকগুলো নীতিনির্ধারনী চেয়ারে বসে আছে তারা তো আইটিবান্ধব নয়! তাদের কাছে ৭৫% আর ৫% মনে হয় একই কথা। গতিশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চাইতে বরং কোনওভাবে অবসর পর্যন্ত যাওয়া গেলে হয়।

লেখায় উত্তম জাঝা!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সাফি এর ছবি

চলুক

শাফায়েত এর ছবি

তাইতো বলি কাল রাতে এফটিপি সার্ভারে মাত্র ২০ মেগা আপলোড করতে অস্বাভাবিক বেশি সময় লাগলো কেন!! সহ্যের সীমা পার হয়ে যাচ্ছে, ইন্টারনেটেই যাদের সব কাজ তাদের মনে হয় এই দেশে থাকার কোনো উপায় রাখতে চায়না। এক ম্যাডামের কাছে শুনেছিলাম বিটিআরসির বেশিভাগ লোক নাকি অন্যান্য বিষয়ে লেখাপড়া করে কম্পিউটারের উপর ১ বছরের ডিপ্লোমা করে ওখানে ঢুকে, তার উপরে এদের মাথা পুরাই মগজহীন ফাপা, দেশে যে এখনো ইন্টারনেট আছে এটাই অনেক। কিছুদিন পরে হয়তো অবৈধ পর্ণ ডাউনলোডের জন্য ডাউনলিঙ্ক ৮০% কমিয়ে দিবে।

তারেক অণু এর ছবি

দারুণ প্রয়োজনীয় লেখা। হাততালি

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ লেখা কিন্তু আমাদের হর্তাকর্তারা কি আর সচলায়তন পড়ে!!!!!!!!!!!!

শাফায়েত এর ছবি

[url=http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article627033.bdnews ]ইন্টারনেটে আপলোড গতি কমছে না[/url] যাক একটু সুবুদ্ধি হয়েছে।

অমায়িক সত্যভাষী এর ছবি

গতকালের পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম, বিটিআরসি এই হঠকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ধন্যবাদ জানাই তাদের। বোকার মতো এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললে অসংখ্য মানুষের ভোগান্তি হতো, এবং জনমনে প্রচণ্ড ক্রোধ ছাড়া আর কিছুই সৃষ্টি হতো না।

সরকার যদি ভিওআইপিকে বৈধ-অবৈধের বেড়াজালেই আটকে রাখতে চায়, তবে রাজস্ব হারানোর যে অভিযোগ রয়েছে, তার থেকে কোনো মুক্তি নেই। এর একমাত্র সমাধান সরকারের চিন্তা ধারার পরিবর্তন। লোক দেখানো ভিএসপি লাইসেন্সে এর সমাধান হবে না।

যারা যারা পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন, শেয়ার করেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

শাব্দিক এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।