(আমার স্কুল জীবনের এক বন্ধু এভারেস্টের কাছাকাছি কোথাও আছে এই মুহূর্তে, ফেইসবুকে প্রতিদিনই ঢুঁ মেরে দেখি কোনও আপডেট আছে নাকি ওর। আগেরবার অল্পের জন্য চূড়ায় পৌঁছুতে পারেনি বেচারা, এবার তো ওকে পারতেই হবে। ওকে কথা দিয়েছি এভারেস্ট জয় করতে পারলে ওর সামিট জয়ের ছবিতে কিংবদন্তীর পর্বতারোহী রেইনহোল্ড মেসনারের অটোগ্রাফ নিজে গিয়ে নিয়ে আসবো। আজকের সিনেমা সেই মেসনার আর তাঁর হারিয়ে যাওয়া ভাইয়ের গল্প। এটি কোনও ফিল্ম রিভিউ নয়।)
জোসেফ ভিলসমাইয়ের নির্দেশিত ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত জার্মান দেশীয় এই মুভির মূল প্লটটি ১৯৭০ সালের মেসনার ভাইদের নাঙ্গা পর্বত অভিযানকে ঘিরে। পৃথিবীতে যে ১৪টি আটহাজারি পর্বতশৃঙ্গ আছে, পাকিস্তানের কাশ্মিরে অবস্থিত নাঙ্গা পর্বত (৮১২৫ মিটার) সেই তালিকার নবম স্থানে। উর্দুতে নাঙ্গা পর্বত মানে "উলঙ্গ পর্বত" কিন্তু “কিলার মাউন্টেন” হিসেবেও সমাধিক পরিচিত।
১৯৫৩ সালে নাঙ্গা পর্বতশৃঙ্গ জয়ের পূর্বেই ৩১ জন পর্বতারোহীর নির্মম মৃত্যু হয় এর পাদদেশে। ১৯৫৩ সালের সেই সফল অভিযানের টিমলিডার জার্মান নাগরিক কার্ল মারিয়া হেরলিগকোফার আবার পরিকল্পনা করেন নাঙ্গা পর্বত অভিযানের, এবার একটু ভিন্ন পথে। নাঙ্গা পর্বতের দক্ষিন পাশে অবস্থিত ৪৬০০ মিটার উঁচু খাঁড়া রুপালফেস(Rupalface) হল দুনিয়ার সবচেয়ে দুরূহ পার্বত্য দেয়াল।
রুপালফেস
১৯৭০ সালের অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল এই রুপালফেস অতিক্রম করে নাঙ্গা পর্বতশৃঙ্গ জয়। হিমালয়ে সচারচর ব্যবহৃত এক্সপিডিসন স্টাইলের(Expedition Style) পর্বত অভিযানের মাধ্যমে ঐ সুউচ্চ রুপালফেস দেয়াল বেয়ে উঠা অসম্ভব, শুধুমাত্র অ্যালপাইন স্টাইলের(Alpine Style) পর্বতারোহীই হয়ত পারবে এই অসাধ্য সাধনে। আর সেই প্রয়োজনেই জার্মান পতাকাধারী ১৯৭০ সালের নাঙ্গা অভিযানে অন্তর্ভুক্ত হয় ইতালিয়ান দুই তরুণ সহোদর, ২৬ বছর বয়সি রেইনহোল্ড মেসনার আর ওর দুই বছরের ছোট গুন্টার মেসনার।
ইতালির স্বায়ত্তশাসিত জার্মানভাষী প্রদেশ দক্ষিন তিরলে জন্মগ্রহণকারী দুই ভাইয়ের স্কুলশিক্ষক পিতাও ছিল শৌখিন পর্বতারোহী। আল্পসের কোলঘেঁষা তিরলের দোলোমিতি পর্বতমালার সব শৃঙ্গই দুই মেসনার ভাই জয় করে ফেলে বয়স বিশ বছর না পেরুতেই। দুজনেই স্বপ্ন দেখত হিমালয় অভিযানের, কিন্তু সেজন্য দরকার বড় স্পন্সর। মেসনার ভাইদের পরিচিতি ততদিনে ছড়িয়ে পড়েছে আল্পসের আশেপাশের দেশগুলিতেও। বড়ভাই রেইনহোল্ড ততদিনে ঠিক করেছে পেশা হিসেবে পর্বত অভিযাত্রিই হবে, চাকরী-বাকরি তাকে দিয়ে হবেনা। ওদিকে গুন্টার জীবিকার তাগিদে করে এক ছোটখাটো কেরানীর চাকরী। একদিন জার্মানি থেকে কার্ল মারিয়ার চিঠি আসে রেইনহোল্ডের ঠিকানায়, নাঙ্গা পর্বত অভিযানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ। স্বপ্ন সফল হল শুধু একজনের, গুন্টার আচ্ছন্ন হল প্রচণ্ড হতাশায়। বড়ভাইকে সোজা জানিয়ে দিলো ক্ষোভের কথা, চাকরী ছাড়তে এক মুহূর্তও দ্বিধা করবেনা সে যদি কোনভাবে মিলে যায় নাঙ্গা অভিযানে অংশগ্রহণের সুযোগ। মুভিতে এর পরের একটি দৃশ্য বড্ড ভালো লেগেছে, বড়দিনের রাতে একা নিজের লিভিংরুমে ক্রিসমাসট্রীর নিচে বসে আসে হতাশাগ্রস্ত গুন্টার, হঠাৎ চোখে পড়ে একটি বন্ধ খাম। ঠিক সেই মুহূর্তে বড়ভাই রেইনহোল্ড কাছে এসে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে গুন্টারকে বলে খামটি খুলে দেখতে। ভেতরের চিঠিতে দলনেতা কার্ল মারিয়া রেইনহোল্ডকে জানাচ্ছে অসুস্থতার কারণে দল থেকে একজন বাদ পড়েছে, চাইলে গুন্টারকে সে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। স্বপ্নপূরণের আনন্দে মেতে উঠে দুই ভাই!
(বামে) গুন্টার মেসনার (ডানে) রেইনহোল্ড মেসনার
যাত্রার পূর্বে মা গুন্টারকে পইপই করে বলে দেয় সবসময় বড় ভাইয়ের পাশে থাকতে আর বড়ছেলে রেইনহোল্ড মাকে এই প্রতিশ্রুতি দেয় যে ছোট ভাইকে সে তাঁর মার কোলে আবার ফিরিয়ে দিবে। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস আর ঐ কিলার মাউন্টেনের নির্মমতায় গুন্টার মেসনার হারিয়ে যায় চিরতরে।
সিনেমার পরের ঘটনাপ্রবাহ দুই অদম্য সাহসী সহোদরের বিজয়গাঁথা আর বিচ্ছেদের নির্মম গল্প। দুবারের অস্কার পুরষ্কার বিজয়ী সঙ্গীত পরিচালক গুস্তাভো সান্তাওলাল্লার চমৎকার আবহসঙ্গীতে নাঙ্গা পর্বতশৃঙ্গ বিজয়ের প্রতিটি দৃশ্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বারংবার বিঘ্নিত এই দুরূহ অভিযান অবশেষে সফলতা পায় ১৯৭০ সালের ২৭শে জুন। প্রায় ৭০০০ মিটার উঁচুতে থাকা সর্বশেষ ক্যাম্পে বিরূপ আবহাওয়ার দরুন বেশ কিছুদিন আটকে থাকে মেসনার ভাইরা। রেইনহোল্ড মেসনারের আর তর সইছিল না, বেসক্যাম্পে থাকা দলনেতা কার্ল মারিয়াকে ওয়্যারলেসে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয় নিজের সিদ্ধান্ত, খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাস উপেক্ষা করে একাই এগিয়ে যাবে সে। ছোট ভাই গুন্টারকে অনুরোধ করে দড়ি ব্যাবহার করে শৃঙ্গ থেকে ফেরত আসার পথ তৈরি করতে। আসলে রেইনহোল্ড চায়নি গুন্টারকে অজানা বিপদের মুখে ঠেলে দিতে, মার কাছে তো সে কথা দিয়ে এসেছে ছোট ভাইকে সাবধানে আগলে রাখবে।
নাঙ্গা পর্বত সিনেমার একটি দৃশ্য
২৭শে জুন ভোর তিনটায় রেইনহোল্ড একা শুরু করে তাঁর নাঙ্গা পর্বতশৃঙ্গ আরোহনের সর্বশেষ চেষ্টা। কথা ছিল গুন্টার ভোরে উঠে শুরু করবে দড়ি বাঁধার কাজ যেন রেইনহোল্ড নিরাপদে ক্যাম্পে ফিরতে পারে। বড়ভাই একা পর্বতশিখরে পৌঁছুবে আর সে কোনও সুযোগ পাবেনা এটা ঠিক মানতে পারছিলনা গুন্টার। হঠাৎ করেই কি মনে করে দড়ি ফেলে বড়ভাইকে ছুঁতে উপরে উঠতে শুরু করে গুন্টার। আবেগের বশবর্তী হয়ে বড় ভাইয়ের আদেশ না মানার চরম মূল্য পরবর্তীতে দিতে হয় দুই জনকেই।
৮১২৫ মিটার উঁচু নাঙ্গা পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের কিছু পথ বাকি থাকতে গুন্টার ছুঁয়ে ফেলে রেইনহোল্ডকে। বিকেল ৫টায় দুইভাই একসাথে পৌঁছে যায় কাঙ্খিত লক্ষে। প্রথমবারের মত দুর্লঙ্ঘ রুপালফেস পাড়ি দিয়ে নাঙ্গা পর্বত জয়ের আনন্দ অবশ্য খুব একটা স্থায়ী হয়নি। দড়ি ছাড়া ঐ খাঁড়া দেয়াল বেয়ে ক্যাম্পে ফিরে আসা ছিল অসম্ভব। পুরো রাতটা কোনও তাঁবু ছাড়া সেই পর্বতশৃঙ্গে কাটানো ছাড়া আর কোনও গতি ছিলনা। হিমাঙ্কের নিচে ৩০ ডিগ্রি ঠাণ্ডায় ক্লান্ত মেসনার ভাইয়েরা কাটায় ভোরের আলোর দেখার প্রত্যাশা না করেই। বেসক্যাম্পের সাথেও কোনও যোগাযোগ ছিলনা, কার্ল মারিয়া মেসনার ভাইদের খুঁজতে পাঠায় আরো দুই পর্বতারোহীকে। দৈবক্রমে দুইভাই বেঁচে থাকে সেই রাতে। পরদিন রেইনহোল্ড সিদ্ধান্ত নেয় নাঙ্গা পর্বতের অপর পাশের ভ্যালি দিয়ে নিচে নামার। রুপালফেসের মত অত খাঁড়া না হয়েও সেই উল্টো পথে নেই কোনও ক্যাম্প, হাতে নেই কোনও ম্যাপ, কোনদিন আদৌ নিচে নেমে আসতে পারবে কিনা তাঁর নেই কোনও নিশ্চয়তা। তারপরও আর কোনও রাস্তা খোলা ছিলনা সামনে।
নাঙ্গা পর্বত সিনেমার একটি দৃশ্য
প্রচণ্ড শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ে গুন্টার মেসনার। অভুক্ত, বিধ্বস্ত দুইভাই গুটি গুটি পায়ে নামতে থাকে নিচের দিকে, অজানার পথে। আরও একটি তীব্র শীতের রাত কাটে খোলা আকাশের নিচে। রেইনহোল্ড মেসনার পথ খুঁজতে এগিয়ে যায় আগে আগে, অসুস্থ গুন্টার আর পারছিলনা ভাইয়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে। একটা সময় এলিয়ে পড়ে বরফের উপর। কিছু সময় পরে এক তুষারধসে ঢেকে যায় গুন্টার মেসনারের অবশ দেহ।
রেইনহোল্ড পিছিয়ে পড়া ছোট ভাইকে খুঁজতে ফিরে আসে কিন্তু ততক্ষণে গুন্টার হারিয়ে গেছে চিরতরে। পুরো একটি রাত আর একটি দিন খুঁজেও ভাইয়ের দেখা মিলেনি আর। অলৌকিকভাবে নাঙ্গা পর্বত জয়ের চারদিন পর রেইনহোল্ড মেসনার এক কাশ্মীরি ছোট্ট লোকালয়ে পৌঁছুতে পারে। বেঁচে যায় তাঁর জীবন।
(পাদটীকা: ফ্রস্টবাইটের শিকারে রেইনহোল্ড মেসনারকে হারাতে হয় পায়ের সাতটি আঙ্গুল। কিন্তু দমে যাননি কিছুতেই, এক ডজনবার ফিরে গেছেন সেই নির্মম নাঙ্গা পর্বতে ছোট ভাই গুন্টারের সন্ধানে। বর্তমান প্রজন্ম তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পর্বতারোহী হিসেবে জানে। মাউন্ট এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গে সম্পূর্ণ এককভাবে ও বাড়তি অক্সিজেন ছাড়া সর্বপ্রথম আরোহনের জন্য তিনি বিখ্যাত। এছাড়াও প্রথমবারের মতো আট-হাজারী পর্বতশৃঙ্গগুলোর সবগুলোতে আরোহণের জন্যও তিনি বিখ্যাত। ১৯৮৬ সালে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন যার শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালের সেই ভাই-হারানো নাঙ্গা পর্বত অভিযানের মাধ্যমে।
২০০৫ সালে গুন্টার মেসনারের মৃতদেহ পাওয়া যায় যেখানে সে হারিয়ে গিয়েছিল সেই ভ্যালিতেই। রেইনহোল্ড ছুটে যান, মৃতদেহের অবশিষ্টাংশ দেখে চিনতে পারেন হারিয়ে যাওয়া ভাইকে। ২০০৫ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর নাঙ্গা পর্বতের পাদদেশেই তিব্বতীয় রীতিতে বাতাসে চাল উড়িয়ে আর শ্লোক উচ্চারনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয় গুন্টারের। )
……জিপসি
মন্তব্য
বন্ধুর নাম কী? আশা করি সে সফল হবে
facebook
আপ্নে হেরে ভালা কইরাই চিনেন… আইজ নাম কমু না, সবুর করেন… দুইদিন পর পুরা বাংলাদেশ হের নাম জাইনা যাইব!
বহুত টেনশনে আছি, তিন হপ্তা ধইরা দোস্তর কুনু খবর নাই।
……জিপসি
সজল ভাইযে এভাবে একেবারে যাবেন মানতে পারছি না
facebook
এইভাবে সজল ভাইকে হারাবো ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি। বাকরুদ্ধ অবস্থায় আছি সকাল থেকে।
কাহিনী তো পুরাই বলে দিলেন, আর দেখতে হবে না। বন্ধুর জন্য শুভকামনা।
কাহিনী যখন ভালো লেগেছে তখন সিনেমাটিও অবশ্যই ভালো লাগবে। দেখে ফেলুন, পয়সা মাইর যাবে না।
……জিপসি
সাহসী মানুষদের প্রতি কুর্র্নিশ
……জিপসি
মুভিটার নাম শুনেছি অনেকের কাছ থেকেই, ইউটিউবে ট্রেইলারও দেখেছি কিন্তু পুরো মুভিটা আর দেখা হয়ে উঠেনি।
- ধন্যবাদ, এই উইকএন্ডেই মুভিটা ডাউনলোড করার ইচ্ছে রইলো।
তবে একটা স্পয়লার এলার্ট দিতে পারতেন।
নাঙ্গা পর্বতের প্রতি সবসময় একটা ফ্যাসিনেশন কাজ করে, ইনফ্যাক্ট কে-২ এর চেয়েও বেশী...
ফেয়রি মেডৌজ এর জন্যই মনে হয় এই ফ্যাসিনেশন। পাকিস্থানে যাওয়ার কোন খায়েশ আমার ছিলনা, কিন্তু ফেয়রি মেডৌজ ব্যাতিক্রম।
কোন এক গ্রীষ্মের (চাঁদনী) রাতে ফেয়ারি মেডৌজের ক্যাম্প সাইট থেকে ধুমায়িত কফি হাতে নাঙ্গা পর্বত দেখার শখ আমার বহুকালের। লাইফ জুড়ে পচুর গিয়ান্জাম, ইনশাল্লাহ কোন একদিন আশা পূর্ণ হবে নিশ্চয়ই।
নাঙ্গা পর্বত আজ রক্তাত্ত কিছু ধর্মের লেবাসধারি অমানুষদের পাশবিকতায়!
http://bangla.bdnews24.com/world/article639524.bdnews
......জিপসি
এই খবরটি দেখার পর থেকে চিন্তা হচ্ছে। আপনি কি আপনার বন্ধুর আপডেট জানাবেন?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ভীষণ মন খারাপ করা খবর ...
নিহত বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ খালেদ হোসেইন। তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি সজল খালেদ নামে পরিচিত।
এএফপি বরাত দিয়ে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল মাই টিভির স্ক্রোলারে খবর -
****************************************
সর্বশেষ উনার দেহটা কি আনা যাবে, এ ব্যাপারে কিছু জানেন
এই সিজনে হয়ত না, কারণ তাতে উদ্ধারকারীদের জীবনও বিপন্ন হবে। অপেক্ষা করতে হবে পরের সিজনের জন্য।
আমাকে বোকা বানিয়ে তোর এভাবে চলে যাওয়াটা মানতে পারছি না রে সজল……তোর সামিট জয়ের ছবি নিয়ে আমি এখন কি করবো?
তুই এভাবে জিতে গিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য ঋণী করে রাখলি।
……জিপসি
আপনার এই বন্ধুর নাম জানার কৌতূহল ছিল আপনি পোস্ট দেবার পর থেকেই। এইভাবে উনার নাম জানা হবে আগে বুঝিনি।
..................................................................
#Banshibir.
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার বন্ধুর নাম এভাবে জানা হবে ভাবতেই পারি নি…
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
নতুন মন্তব্য করুন