বাংলা একটা সিনেমা তে দেখেছিলাম- নিরপরাধ আকজন আসামিকে ছেড়ে দিতে উৎকোচ না পেয়ে পুলিশ অফিসার নিজের পিঠ চুলকে নিয়েছিলেন আসামিকে দিয়ে। যাইহোক বাংলা সিনেমার গল্প আজ থাক। বরং গতরাতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা বলি। গতকাল আমার ছোট ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম উত্তরা তার হোমিও ঔষধ আনতে। ডাক্তারের সাথে দেখা করে ঔষধ নিলাম। রওয়ানা দিলাম গরিবের প্রাইভেট কার (সিএনজি) নিয়ে। চালক বললেন, "মামা মিরপুর যাইবেন তো, বেড়িবাঁধ দিয়া যাই। তারাতারি হইব।" আমিও রাজি হয়ে গেলাম। অটো-রিকশায় বসে দুই ভাই নানারকম গল্পে মশগুল, হঠাৎ শুনলাম কারা যেন গাড়ি সাইড করতে বলছেন। হঠাৎ ভয় পেয়ে গেলাম, এই পথের অনেক কিংবদন্তির কথাইত শুনেছি। পরে বুঝলাম না ভয় নেই, আমাদের রক্ষাকর্তা পুলিশ ভাই।
পুলিশঃ সাথে কি আছে?
আমিঃ স্যার, আমার ছোট ভাই আসুস্থ। ওর ঔষধ আনতে গেছিলাম। হোমিও ঔষধ।
পুলিশঃ আচ্ছা... হোমিও ঔষধ। দেখি আপনার ঔষধ...। ঔষধ বুঝলাম, প্রেসক্রিপসান কই?
আমিঃ স্যার, হোমিও ঔষধের তো প্রেসক্রিপসান হয় না। (স্যার, আমি ... চাকরি......, আইডি কার্ড, ব্লা, ব্লা)
পুলিশঃ আপনি বেশি বুঝেন। আপনি প্রেসক্রিপসান নিবেন আমার কাছে? এই বোতল খুলে দেখতে হবে। ঔষধ যদি মিষ্টি হয়, খবর আছে।
আমিঃ স্যার, বোতল টা খুললে তো স্যার ঔষধটা নষ্ট হবে। বাড়ি নিয়ে যেতে যেতে পরে যাবে।
পুলিশঃ না... যত কথাই বলেন, এই বোতল খুলে দেখতে হবে। আমার মনে হয় এইডা ফেন্সিডিল। দাঁড়ান, স্যার এর সাথে কথা বলে আসি।
আমিঃ স্যার, আমাদেরত রাত হয়ে যাচ্ছে। ওর (আমার ছোট ভাই কে দেখিয়ে) শরীরটা বেশী ভালো না। ওর ঔষধ খাওয়ার ও সময় হইছে।
পুলিশঃ দাঁড়ান... এতো বেস্ত হয়েন না। কত ধান্দাবাজি দেখলাম। স্যার... স্যার...... (কিঞ্চিত পরামর্শের পরে স্যারকে সাথে নিয়ে ফিরে আসলেন। এই ফাঁকে দায়িত্বরত অনন্যা পুলিশ ভাইয়েরা আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেন। আমি পাত্তা দিলাম না। স্যারসহ রক্ষাকর্তা ফিরে আসলেন)।
পুলিশ (স্যার): বোতলটা খুলে দেখলে আসুবিধা আছে?
আমিঃ বোতল টা খুললে তো স্যার ঔষধটা নষ্ট হবে। বাড়ি নিয়ে যেতে যেতে পরে যাবে। (স্যার, আমি ... চাকরি......, আইডি কার্ড, ব্লা... ব্লা)।
পুলিশ (স্যার): বুঝলাম। কিন্তু ইদানিং বিভিন্নরকম মড়কে ফেন্সিডিল পাচার হচ্ছে। আমাদের এটা খুলে দেখতে হবে।
আমিঃ ঠিক আছে স্যার, খুলে দেখেন। আমার ক্ষতি হবে এই আর কি। (দেখলাম পুলিশ টার চোখ চকচক করছে)।
পুলিশ (স্যার): আইটা খুলে দেখো। (পুলিশ টার হাতে বোতলটা ধরিয়ে দিলেন)।
পুলিশঃ জী স্যার, জী স্যার। ঔষধ যদি মিষ্টি হয়, খবর আছে। (আমার দিকে তাকিয়ে)।
আমি অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছি তার দিকে। আমি দেখলাম খুব দ্রুত ঔষধের বোতলটা খুললেন। এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই বোতলের অর্ধেক ঔষধ গোলায় ঢেলে দিলেন। আমি খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম এই ভেবে যে, সকালে আমাকে আবার যেতে হবে ঔষধ আনতে। টাকা নষ্ট হবে, সময় নষ্ট হবে, অফিসে বস এর ঝারি খেতে হবে। নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।
পুলিশঃ স্যার, এইটা তো পানির মতো। এই ভাই, নেন আপনার ঔষধ। এরপর থেকে ঔষধের সাথে প্রেস্ক্রিপসান রাখবেন। আজাইরা আমাদের সময় নষ্ট হল।
আমিঃ হোমিও ঔষধ তো পানির মতোই হবে।
পুলিশ (স্যার): আমরা দুঃখিত। বুঝেন তো কতো রকম মানুষ। আমাদেরকেইত সব দেখতে হয়।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে সিএনজি -তে উঠে বসলাম। ভেবে দেখলাম, রক্ষাকর্তা যদি বিরক্ত হয় আমাদের সারা রাত হয়ত পেট্রোল ভেনে উঠিয়ে বসিয়ে রাখবেন। অথবা সত্যি একটা ফেন্সিডিল বোতল হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমাদের দুই ভাইকে চালান দিলেইবা আমাদের কি করার আছে। সকালে খবরের কাগজে দেশবাসী পরবে, "মাদক পাচারকালে দুই ভাই আটক, বড় ভাইয়ের পকেটে থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জ্বাল আইডি কার্ড উদ্ধার"। বৃদ্ধ বাবা হয়ত শুনেই হার্ট অ্যাটাক করবেন, বা যদি সাহস করে সুস্থ থাকতে পারেন ঢাকা এসে হয়তো কোনভাবে আমাদের জামিন নিয়ে যাবেন। আমি চাকরি হারিয়ে গ্রামে গিয়ে সত্যিই হয়তো ফেন্সিডিলের ব্যবসা শুরু করব।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতেই বাসার কাছে চলে আসলাম। ড্রাইভার কে ন্যায্য ভারার সাথে কিছু জরিমানা দিয়ে বিদায় দিলাম। দুই ভাই সিঁড়ি দিয়ে আমার চিলেকোঠার দিকে উঠতে উঠতে বাংলা ছিনেমার ওই দৃশ্যের কথা মনে পরে গেল। নিরপরাধ আকজন আসামিকে ছেড়ে দিতে উৎকোচ না পেয়ে পুলিশ অফিসার নিজের পিঠ চুলকে নিচ্ছেন আসামিকে দিয়ে। দৃশ্যটি মনে পরতেই হাঁসি পেয়ে গেল। আর ভাবলাম আজকেই বা কম কি হল।খাওয়ার কিছুই না পেয়ে ছোট ভাইয়ের হোমিও ঔষধ খেতেও ছারল না। হা হা হা।
-যাযাবর মুরাদ
মন্তব্য
বাংলাদেশে ডাইলে পরীক্ষা কি ডাইল খেয়ে করে নাকি? অদ্ভুত তো! বিষের পরীক্ষা কি বিষ খেয়ে করবে?
গাধার বাচ্চা হাতির দল
মেজাজ খারাপ হইল।
..................................................................
#Banshibir.
যাক আপনাকে ছেড়ে দিছে। আমারে ধইরা থানায় নিয়া গেছিল। ওদের একাট ব্যবসা আছে নিরীহ ভদ্রগোছের কাউকে ধরে নিয়ে কিছু টাকা আদায় করা, নাহলে কোর্টে চালান দেয়া। ১৩ বছর আগের কথা, ২০ অথবা ৫০ তাকা ছিল ঐটা নিয়ে ৩ ঘণটা পর টহল টেম্পু দিয়ে বাসার কাছেই নামিয়ে দিছিল।
কয়েকটি মন্তব্য,
১) পুলিশ চেক করাটা ভালো। নানান রকম নাশকতার সম্ভাবনা চারিদিকে। আমাকে কখনো পুলিশ চেক করলে তাই বিরক্ত হই না। আর এখানে দেখাই যাচ্ছে, যে পুলিশ যখন দেখেছে আপনার বোতলের ক্ষতিকর তরল নেই তখন আর হ্যারাস করেনি। এবং আপনাকে ব্যাখ্যাও দিয়েছে, যে আজকাল নানান আড়ালে ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে তাই এই সতর্কতা।
২) খেয়ে পরীক্ষা করা দেখে বোঝা যায়, এদেশের পুলিশদের প্রশিক্ষণের হাল। আমি একবার একটা ব্যাগ নিয়ে বই মেলায় যাচ্ছিলাম। দেখি লাইনের সামনের পুলিশ, সবার ব্যাগ নিয়ে ঝাকিয়ে দেখছে বোমটোম আছে কি না! আমার ব্যাগ নিয়ে ঝাকি দিতেই আমি আতকে ওঠার ভঙ্গি করে বললাম, "ফাটবে তো!" অমনি লোকটার চেহারা যা হয়েছিলো। পিলে চমকে গেছিলোএকেবারে। তখন বললাম, "ভাই এইভাবে যে ঝাকায়ে দেখতেসেন, কারো ব্যাগে বিস্ফোরক সত্যি থাকলে তো সবার আগে আপনি ধরা খাবেন।" এরপর থেকে সে ঐ পদ্ধতি বাদ দিসে। পুলিশের আসলেই ভালো ট্রেইনিং দরকার।
৩) হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশি অর্ধেক খালি হয়ে গেলেও সমস্যা নেই। বাকি অর্ধেকে পানি দিয়ে ভরে ফেলবেন। জানেন হয়তো, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ যত বেশি ডাইলুট হয় তত বেশি পাওয়ারফুল হয়। ঘনত্ব অর্ধেক কমা মানে ডাবল পাওয়ার! তবে সবচেয়ে ভালো হলো হোমিওপ্যাথি পরিহার করা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খেক খেক খেক
খেকের কি হৈলো?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এই যুক্তি অনুসরণ করে ওষুধের বাকি অর্ধেকটাও ফেলে দিয়ে পুরো বোতলটাই পানি দিয়ে ভরে ফেলে একদম ফুল ডাইলুট করে ফেললে ঐ ওষুধটা তো তাহলে হোমিওপ্যাথিক যুক্তি অনুযায়ী ইনফিনিটলি পাওয়ারফুল হয়ে যাবে! তাহলে কি বলা যাবে না, বিশুদ্ধ এইচটুওহ্-ই হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে পাওয়ারফুল ও পোটেন্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধ? এর কত বড় সুবিধা ভেবে দেখেছেন - কোন ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে না, প্রেস্ক্রিপশন লাগবে না, ফি দেয়া লাগবে না, রাত-বিরেতে পুলিশের হাতে হেনস্থা হওয়া লাগবে না - স্রেফ বাসার বাথরুমের কলটা ছেড়ে দিয়ে বোতল ভরে নিলেই কেল্লা ফতে!
তাহলে ঘনত্ব 'পুরা' কমা (অর্থাৎ কিনা বাতাস) মানে কত পাওয়ার? কোয়াড্রুপল পাওয়ার? ভালই হল, কোন কারনে যদি বাথরুমের কলে পানি না থাকে, তাহলে এক বোতল বাতাস খেয়ে নিলেও চলবে তাই না? এইচটুওহ্-র ইনফিনিট পাওয়ার না হোক, অন্তত বিশুদ্ধ বাতাসের কোয়াড্রুপল পাওয়ার তো পাওয়া যাবে, কি বলেন? মন্দের ভাল।
কোন দরকার নাই। উপ্রে বলা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দুটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নিয়মিত সেবন করলেই চলবে।
****************************************
বইমেলায় ওটা জমাটি দিয়েছিলেন
সম্রাট দাশুগুপ্ত
হোমিওপ্যাথি পরিহার করা সবচেয়ে ভালো কেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হোমিওপ্যাথির চিকিৎসকরা যেই কারণে ডাক্তার দেখান সে কারণে।
এক বোতল হিস্যু নিয়া ঐ রাস্তায় কয়েকদিন ঘুরা ফেরা করা লাগবে।
নিম্নলেভেলের পুলিস কর্মী/কর্মকর্তাদের (কন্সটেবল/হাবিলদার এবং এএসআই/এসআই) পাওয়ার এ্যাবিউসের স্বীকার বেশি হয় গরীব মানুষ। প্রশিক্ষণ যেমন প্রয়োজন, তেমনি বেতন/ভাতা কম্পিটিটিভ হওয়াও প্রয়োজন। তার পরও প্রয়োজন মনিটরিং-এর। তবে, সাব ইন্সপেক্টরের যদি বাইরের আয় ছাড়া শুধু পুলিসের চাকরীর বেতনের পয়সায় এলিয়ন/প্রিমিও চড়ার শখ থাকে, সেক্ষেত্রে কিছুতেই কিছু হবেনা এটা গ্যারান্টেড।
২৯,০০০,০০০ মার্কিন ডলার দামের পিআরপি আমাদের কোন কল্যানে আসছে জানতে বড়ই মন চায়!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ইদানীং কেন জানি পুলিশদের একটুআধটু ভাল লাগতে শুরু হইছে।
একবার আমাদের বাস RAB এর চেক পোস্টে আট্কালো। "এই বড় সুটকেস কার?" RAB জিগায়। বাসের হেল্পার আমারে ডাকে! বাস থেকে নাইমা সুটকেস খুইলা (আমার প্রথম পিচ্কার জন্য অনেক ডাইপার ছিল ঐখানে) তারপরে ছাড়া পাইছিলাম।
ডিম পোচ
মজা পেলাম।।।।।।ফেন্সিডিল আছে কিনা খেয়ে পরীক্ষা করে পাগল আর কাকে বলে
Dear Sir,
I work for Uttara Division.I am sharing my official number.Please do contact me for complaining against police abuse/corruption.I apologize for your suffering. Mashroof Hossain,Assistant Cimmissioner(Patrol),Uttara Division,DMP.01713373159.
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহা।।।।।সুপার
নতুন মন্তব্য করুন